Book of Common Prayer
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: “চুক্তির লিলিফুল” গানটির পর্দায় গাওয়া আসফের একটি প্রশংসা গীত।
80 হে ইস্রায়েলের মেষপালক, আমার কথা শুনুন।
আপনি যোষেফের লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।
করূব দূতের ওপর আপনি রাজার মত বসেন।
আপনাকে আমাদের দেখতে দিন।
2 হে ইস্রায়েলের মেষপালক ইফ্রয়িম, বিন্যামীন এবং মনঃশির প্রতি আপনার মহত্ব প্রদর্শন করুন।
আপনি এসে আমাদের রক্ষা করুন।
3 ঈশ্বর, পুনর্বার আমাদের গ্রহণ করুন।
আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন!
4 প্রভু, হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, কখন আপনি আমাদের প্রার্থনা শুনবেন?
আপনি কি চিরদিনের মত আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে থাকবেন?
5 খাদ্য হিসেবে আপনার লোকদের আপনি চোখের জল দিয়েছেন।
আপনার লোকদের আপনি তাদেরই চোখের জলে ভর্ত্তি গামলা দিয়েছেন।
সেটাই ছিল তাদের পানীয় জল।
6 আমাদের শত্রুদের জন্য আপনি আমাদের ঝগড়ার কারণ হবার লক্ষ্য বানিয়েছেন
এবং শত্রুরা আমাদের বিদ্রূপ করে।
7 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, পুনরায় আমাদের গ্রহণ করুন।
আমাদের গ্রহণ করুন, আমাদের রক্ষা করুন।
8 অতীতে আপনি আমাদের প্রতি
গুরুত্বপূর্ণ চারা গাছের মতই যত্ন নিয়েছিলেন।
মিশর থেকে আপনি আপনার দ্রাক্ষালতা এনেছিলেন।
অন্যান্য লোকদের আপনি এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আপনার দ্রাক্ষালতা আপনি এখানে রোপণ করেছিলেন।
9 সেই দ্রাক্ষালতার জন্য আপনি জমি তৈরী করেছিলেন।
এর শিকড়গুলোকে আপনি জমির গভীরে বাড়তে সাহায্য করেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই দ্রাক্ষালতা সারা দেশ ছেয়ে ফেলেছে।
10 এটি পর্বতকে ঢেকে দিয়েছে।
এর পাতাগুলি বৃহৎ এরস গাছকেও ছায়া দিয়েছে।
11 এই দ্রাক্ষালতা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।
এর লতাপাতা ফরাৎ নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
12 ঈশ্বর, যে প্রাচীর আপনার দ্রাক্ষালতাকে রক্ষা করতো, কেন তাকে ভেঙে ফেললেন?
এখন যে কোন ব্যক্তিই এর ধার দিয়ে যায়, সেই এর দ্রাক্ষা তুলে নিয়ে যায়।
13 বুনো শূকররা এসে আমাদের দ্রাক্ষাক্ষেতে ঘুরে বেড়ায়।
বুনো জন্তুরা এসে এর পাতা খায়।
14 হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আপনি আসুন।
স্বর্গ থেকে আপনার দ্রাক্ষাক্ষেত দেখুন এবং তাকে রক্ষা করুন।
15 হে ঈশ্বর, নিজ হাতে যে দ্রাক্ষালতা আপনি লাগিয়েছিলেন, তার দিকে দেখুন।
যে চারাগাছকে[a] আপনি বড় হতে দিয়েছেন তার দিকে দেখুন।
16 শুকনো গোবরের মত আপনার দ্রাক্ষালতা পুড়ে গিয়েছিলো।
আপনি এর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে একে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
17 হে ঈশ্বর, যে সন্তান আপনার ডানদিকে দাঁড়িয়ে ছিল তার দিকে হাত বাড়ান।
যে সন্তানকে আপনি বড় করেছেন তার দিকে হাত বাড়ান।
18 সে আর আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
তাকে বাঁচতে দিন, সে আপনার নামের উপাসনা করবে।
19 হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আমাদের কাছে ফিরে আসুন।
আমাদের গ্রহণ করুন। আমাদের রক্ষা করুন।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: যিদুথূনের প্রতি আসফের একটি গীত।
77 আমি ঈশ্বরের কাছে কেঁদে পড়েছিলাম এবং সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছি।
হে ঈশ্বর, আমি উচ্চস্বরে আপনাকে ডেকেছি, আমার কথা শুনুন!
2 আমার প্রভু, যখনই আমি সমস্যায় পড়ি তখনই আমি আপনার কাছে আসি।
সারা রাত আমি আপনার দিকে আমার দুবাহু বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
আমার আত্মা আরাম পেতে অস্বীকার করেছিল।
3 আমি ঈশ্বর বিষয়ে চিন্তা করেছি এবং আমি যা অনুভব করেছি তা বলতে চেয়েছি।
কিন্তু আমি পারি নি।
4 আপনি আমাকে ঘুমাতে দেন নি।
আমি কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি এত বিচলিত ছিলাম যে কথা বলতে পারছিলাম না।
5 আমি অতীতের কথা চিন্তা করছিলাম।
বহু অতীতে যা ঘটে গেছে আমি সেই সব চিন্তা করেছিলাম।
6 রাত্রে আমি আমার গানগুলো সম্পর্কে ভাবি।
আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি এবং বুঝতে চেষ্টা করি।
7 আমি বিস্মিত হই, “আমাদের প্রভু কি চিরদিনের মত আমাদের ত্যাগ করে চলে গেলেন?
আবার কি তিনি আমাদের চাইবেন?
8 ঈশ্বরের প্রেম কি চিরদিনের জন্য চলে গেল?
আবার কি তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন?
9 ঈশ্বর কি কৃপা দেখাতে ভুলে গেলেন?
তাঁর সহানুভূতি কি ক্রোধে রূপান্তরিত হয়েছে?”
10 তারপর আমি ভাবলাম, “যে বিষয়টা আমায় সব থেকে বেশী বিব্রত করলো তা হল:
পরাৎপর কি তাঁর ক্ষমতা হারিয়েছেন?”
11 প্রভু কি করেছেন তা আমার স্মরণে আছে।
হে ঈশ্বর, অতীতে যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেছিলেন, তা আমার স্মরণে আছে।
12 আপনি যা করেছেন, তা নিয়ে আমি ভেবেছি,
সে সম্পর্কে আমি চিন্তা করেছি।
13 ঈশ্বর, আপনার পথই পবিত্র পথ।
ঈশ্বর কেউই আপনার মত মহৎ নয়।
14 আপনিই সেই ঈশ্বর, যিনি আশ্চর্য কার্য করেছেন।
আপনি লোকদের আপনার পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছেন।
15 আপনার ক্ষমতাবলে আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করেছেন।
যাকোব এবং যোষেফের উত্তরপুরুষদের আপনি রক্ষা করেছেন।
16 ঈশ্বর, আপনাকে দেখে জলও ভীত হয়েছিলো।
গভীর জলরাশি আপনাকে দেখে ভয়ে কেঁপে গিয়েছিলো।
17 ঘন মেঘে জল সিঞ্চন করেছিলো।
লোকে উঁচু মেঘে দারুণ বজ্র নির্ঘোষ শুনেছিলো।
তারপর আপনার বিদ্যুতের তীর সারা মেঘে ঝলক দিয়ে উঠেছিলো।
18 গুরু গুরু গর্জনের বজ্রধ্বনিতে আকাশ ভরে উঠেছিলো।
বিদ্যুৎ ঝলকে সারা পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠেছিলো।
পৃথিবী শিহরিত ও কম্পিত হয়েছিলো।
19 ঈশ্বর, গভীর জলের মধ্যে দিয়ে আপনি হেঁটে গেলেন, গভীর সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলেন।
কিন্তু সেখানে আপনি কোন চরণচিহ্ন রেখে যান নি।
20 মোশি এবং হারোণের মধ্যে দিয়ে
আপনি আপনার লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।
আসফের প্রশংসা গীতের অন্যতম।
79 হে ঈশ্বর, অন্য জাতিসমূহের কিছু লোক আপনার লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছিলো।
ওই সব লোক আপনার পবিত্র মন্দির ধ্বংস করেছে।
ওরা জেরুশালেমকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
2 হিংস্র পাখীদের খাওয়ানোর জন্য ওরা আপনার সেবকদের দেহ ফেলে রেখে গেছে।
বুনো পশুদের খাওয়ানোর জন্য ওরা আপনার অনুগামীদের দেহ ফেলে রেখে গেছে।
3 হে ঈশ্বর, যতক্ষণ না জলের মত রক্ত বয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা আপনার লোকদের হত্যা করেছে,
মৃতদেহগুলোকে কবর দেওয়ার মত একজনও অবশিষ্ট নেই।
4 আমাদের চারপাশের দেশগুলো আমাদের অপমান করেছে।
আমাদের চারপাশের লোকেরা আমাদের নিয়ে উপহাস করেছে এবং আমাদের নিয়ে মজা করেছে।
5 ঈশ্বর, চিরদিনই কি আপনি আমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ থাকবেন?
আপনার তীব্র আবেগ কি আগুনের মতই জ্বলতে থাকবে?
6 হে ঈশ্বর, যে সব জাতি আপনাকে জানে না তাদের ওপর আপনার ক্রোধ দেখান।
সেই সব রাজ্য যারা আপনার নামের উপাসনা করে না, তাদের ওপর আপনার ক্রোধ উজাড় করে দিন।
7 ওইসব জাতি যাকোবকে বিনষ্ট করেছে।
ওরা যাকোবের দেশকে ধ্বংস করেছে।
8 ঈশ্বর, আমাদের পূর্বপুরুষের পাপের জন্য আমাদের শাস্তি দেবেন না।
শীঘ্রই আপনার করুণা প্রদর্শন করুন!
আমাদের ভীষণভাবে আপনাকে প্রয়োজন!
9 হে আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর, আমাদের সাহায্য করুন! সাহায্য করুন! পরিত্রাণ করুন!
তা আপনার নামের মহিমা এনে দেবে।
আপনার নামের ধার্ম্মিকতার জন্য
আমাদের পাপ মুছে দিন।
10 আমাদের উদ্দেশ্যে, অন্য জাতিকে এই কথা বলতে দেবেন না,
“কোথায় তোমাদের ঈশ্বর? তিনি কি তোমাদের সাহায্য করতে পারেন না?”
ঈশ্বর, ঐ লোকদের শাস্তি দিন এবং সেই শাস্তি যেন আমরা দেখতে পাই।
আপনার সেবকদের হত্যা করার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
11 দয়া করে বন্দীদের আর্তনাদ শুনুন!
ঈশ্বর, যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আপনার মহৎ শক্তি ব্যবহার করে তাদের রক্ষা করুন।
12 হে ঈশ্বর, আমাদের চারপাশের লোকরা আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, তার জন্য ওদের আপনি সাত গুণ বেশী শাস্তি দিন।
আপনাকে অপমান করার জন্য ওদের শাস্তি দিন।
13 আমরা আপনারই লোক। আমরাই আপনার পালের মেষ।
আমরা চিরদিন আপনার প্রশংসা করবো।
ঈশ্বর, আদি অনন্তকাল ধরে আমরা আপনার প্রশংসা করবো!
প্রভুকে মনে রেখো
8 “তোমরা অবশ্যই সমস্ত আজ্ঞাগুলো মেনে চলবে যেগুলো আজ আমি তোমাদের দিলাম। কারণ তাহলে তোমরা বেঁচে থাকবে, বৃদ্ধি পাবে এবং প্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশ দেবেন বলে শপথ করেছিলেন সেই দেশে প্রবেশ করবে। 2 প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, 40 বছর ধরে মরুভূমিতে যে ভ্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেটার কথা তোমরা অবশ্যই মনে রাখবে। প্রভু তোমাদের পরীক্ষা করছিলেন। তিনি তোমাদের বিনয়ী করতে চেয়েছিলেন। তিনি তোমাদের মনের ভেতরের জিনিস জানতে চেয়েছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে তোমরা তাঁর আদেশ মানবে কিনা। 3 প্রভু তোমাদের নম্র করেছিলেন এবং তোমাদের ক্ষুধার্ত করেছিলেন। তিনি তোমাদের মান্না খাইয়েছিলেন—যা তোমরা আগে কখনও জানতে না, যা তোমাদের পূর্বপুরুষরা আগে কখনও দেখে নি। এই কাজগুলো প্রভু করেছিলেন যাতে তোমরা জানো যে কেবলমাত্র রুটিই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে না। মানুষের জীবন প্রভুর কথিত সমস্ত বাক্যের ওপর নির্ভর করে। 4 এই গত 40 বছরে তোমাদের জামাকাপড় পুরানো হয় নি এবং তোমাদের পাও ফোলে নি, কারণ প্রভু তোমাদের রক্ষা করেছিলেন। 5 তোমরা অবশ্যই মনে রাখবে যে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন ও সংশোধন করছিলেন যেমন একজন পিতা তার পুত্রকে শিক্ষা দেয় এবং সংশোধন করে।
6 “তোমরা অবশ্যই প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো মেনে চলে তাঁকে অনুসরণ এবং শ্রদ্ধা করবে। 7 প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের এক উত্তম দেশে নিয়ে যেতে চলেছেন—যে দেশে অনেক নদী এবং জলপ্রবাহ আছে। সেখানে উপত্যকা এবং পাহাড়গুলোতে ভূমির ভেতর থেকে জল বেরিয়ে এসে প্রবাহিত হয়। 8 সেই দেশে গম এবং বার্লি, দ্রাক্ষালতা, ডুমুর গাছ এবং ডালিম আছে। সেই দেশে জলপাই তেল এবং মধু আছে। 9 সেখানে তোমাদের খাদ্যের অভাব হবে না এবং তোমাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই তোমরা পাবে। সেই দেশের পাথরগুলো লোহা। সেখানকার পাহাড় খুঁড়লে তোমরা তামা পাবে। 10 তোমরা যা খেতে চাও তা পেয়ে তৃপ্ত হবে এবং সেই সুন্দর দেশটি তোমাদের দেবার জন্য তোমরা তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা করবে।
1 আমি যাকোব, ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস, নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা ঈশ্বরের বারো গোষ্ঠীর লোকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বিশ্বাস ও প্রজ্ঞা
2 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরা যখন নানারকম প্রলোভনের মধ্যে পড়, তখন তা মহা আনন্দের বিষয় বলে মনে কর। 3 একথা জেনো, এই সকল বিষয় তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা করে ও তোমাদের ধৈর্য্য্যগুণ বাড়িয়ে দেয়। 4 সেই ধৈর্য্য্যগুণকে তোমাদের জীবনে পুরোপুরিভাবে কাজ করতে দাও। এর ফলে তোমরা নিখুঁত ও সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে এবং কোন বিষয়ে তোমাদের কোন অভাব থাকবে না।
5 তোমাদের কারো যদি প্রজ্ঞার অভাব হয়, তবে সে তার জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুক। ঈশ্বর দয়াবান; তিনি সকলকে উদারভাবে এবং আনন্দের সঙ্গে দেন। অতএব ঈশ্বর তোমাদের প্রজ্ঞা প্রদান করবেন। 6 কিন্তু ঈশ্বরের কাছে চাইতে হলে কোনরকম সন্দেহ না রেখে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গেই তা চাইতে হবে, কারণ যে সন্দেহ করে, সে ঝোড়ো হাওয়ায় আলোড়িত উত্তাল সমুদ্র তরঙ্গের মতো। 7-8 এই প্রকার লোক দুই মনের মানুষ, প্রত্যেকটি কাজেই চঞ্চল ও অস্থির। এমন লোকের মনে করা উচিত নয় যে প্রভুর কাছে সে কিছু পাবে।
প্রকৃত সম্পদ
9 যে বিশ্বাসী ভাই গরীব, সে গর্ব অনুভব করুক, কারণ ঈশ্বর তাকে আত্মিকভাবে উন্নত করেছেন। 10 যে বিশ্বাসী ভাই ধনী, সে গর্ব বোধ করুক, কারণ ঈশ্বর তাকে দেখিয়েছেন যে সে আত্মিকভাবে দরিদ্র। ধনী ব্যক্তি একদিন বুনো ফুলের মতো ঝরে যাবে। 11 সূর্য ওঠার পর তার তাপ ক্রমশঃ বেড়েই যায়, তাপে তৃণ ঝলসে যায় ও ফুল ঝরে যায়। ফুল সুন্দর হলেও তার রূপের বাহার বিলীন হয়ে যায়। তেমনি ঘটে ধনী ব্যক্তির জীবনে। তার কাজের পরিকল্পনাকালেই সে হঠাৎ মৃত্যুমুখে পড়ে।
ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রলোভন আসে না
12 পরীক্ষার সময় যে ধৈর্য্য ধরে ও স্থির থাকে সে ধন্য, কারণ বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ঈশ্বর তাকে পুরস্কার স্বরূপ অনন্ত জীবন দেবেন। ঈশ্বরকে যারা ভালবাসে তাদের তিনি এই জীবন দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 13 কেউ যখন প্রলুদ্ধ হয় তখন যেন সে না বলে, “ঈশ্বর আমাকে প্রলুদ্ধ করেছেন।” মন্দ ঈশ্বরকে কোন জিনিস প্রলোভিত করতে পারে না এবং ঈশ্বরও নিজে কাউকে প্রলোভনে ফেলেন না। 14 প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মন্দ অভিলাষের দ্বারা প্রলুদ্ধ হয়। তার মন্দ ইচ্ছা তাকে পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায় এবং ফাঁদে ফেলে। 15 এই মন্দ ইচ্ছা গর্ভবতী হয়ে পাপের জন্ম দেয় এবং পাপ পূর্ণতা লাভ করে মৃত্যুর জন্ম দেয়।
যীশুই খ্রীষ্ট
(মথি 16:13-19; মার্ক 8:27-29)
18 একদিন যীশু কোন এক জায়গায় নিভৃতে প্রার্থনা করছিলেন। তাঁর শিষ্যরা সেখানে এলে তিনি তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, “লোকেরা কি বলে, আমি কে?”
19 তাঁরা বললেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন, কেউ বা বলে এলিয়, আবার কেউ কেউ বলে প্রাচীনকালের ভাববাদীদের মধ্যে একজন বেঁচে উঠেছেন।”
20 তিনি তাঁদের বললেন, “কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?”
পিতর বললেন, “ঈশ্বরের সেই খ্রীষ্ট।”
21 তখন তিনি তাঁদের সতর্ক করে দিলেন যেন একথা তাঁরা কারো কাছে প্রকাশ না করেন।
যীশু বললেন যে তাঁকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে
(মথি 16:21-28; মার্ক 8:31–9:1)
22 তিনি আরো বললেন, “মানবপুত্রের অনেক দুঃখ ও যাতনা ভোগ করার প্রয়োজন আছে; ইহুদী নেতারা, প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে, তারা তাঁকে হত্যা করবে; আর তিন দিনের মাথায় তিনি মৃত্যুলোক থেকে পুনরুত্থিত হবেন।”
23 পরে তিনি তাঁদের সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, “যদি কেউ আমার সঙ্গে আসতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক; আর প্রতিদিন নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমায় অনুসরণ করুক। 24 যে কেউ নিজের জীবন রক্ষা করতে চায় সে তা হারাবে, কিন্তু যে কেউ আমার জন্য নিজের জীবন হারায় সে তা রক্ষা করবে। 25 সমগ্র জগৎ লাভ করে কেউ যদি নিজেকে ধ্বংস করে তবে তার কি লাভ হল? 26 যদি কেউ আমার জন্য ও আমার শিক্ষার জন্য লজ্জা বোধ করে, তবে যখন মানবপুত্র নিজ মহিমায় এবং পিতা ও পবিত্র স্বর্গদূতদের মহিমায় আসবেন তখন তিনিও তার জন্য লজ্জিত হবেন। 27 কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এখানে এমন কয়েকজন আছে যাঁরা ঈশ্বরের রাজ্য না দেখা পর্যন্ত মৃত্যুর মুখ দেখবে না।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International