Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 105

105 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও এবং তাঁর নাম উপাসনা কর।
    তাঁর সমস্ত বিস্ময়কর কাজকর্ম সম্বন্ধে জাতিগণকে বল।
প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও; তাঁর প্রশংসা গান কর।
    তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেন সে সম্পর্কে বল।
প্রভুর পবিত্র নামে গর্ববোধ কর।
    যারা প্রভুর খোঁজে এসেছে তারা যেন সুখী হয়!
শক্তির জন্য তোমরা প্রভুর কাছে যাও।
    সর্বদাই তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য যাও।
তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেন তা স্মরণ কর।
    তিনি যে সমস্ত চমৎ‌‌কার কাজ করেছেন এবং তাঁর বিচক্ষণ প্রজ্ঞা সিদ্ধান্তগুলি স্মরণে রেখো।
তোমরা তাঁর দাস অব্রাহামের উত্তরপুরুষ।
    তোমরা যাকোবের উত্তরপুরুষ যাদের ঈশ্বর বেছে নিয়েছিলেন।
প্রভুই আমাদের ঈশ্বর।
    প্রভু সারা বিশ্বকে শাসন করেন।
ঈশ্বর তাঁর চুক্তি চিরদিন স্মরণে রাখেন এবং 1000 প্রজন্ম ধরে,
    যে আজ্ঞাগুলি তিনি দিয়েছেন তা স্মরণে রাখেন।
অব্রাহামের সঙ্গে ঈশ্বর একটা চুক্তি করেছিলেন।
    ইস‌্হাককে ঈশ্বর একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
10 তারপর সেটি তিনি যাকোবকে বিধিরূপে দিলেন।
    ইস্রায়েলের সঙ্গে ঈশ্বর চুক্তি করেছিলেন, এই চুক্তি চিরদিন ধরে চলবে!
11 ঈশ্বর বললেন, “আমি তোমাদের কনানের ভূখণ্ড দেব।
    সেই দেশটি তোমাদের হবে।”
12 যখন অব্রাহামের পরিবার ছোট ছিল, তখন ঈশ্বর এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
    সেই সময়, সেই দেশে তারা বিদেশী ছিল।
13 তারা এক জাতি থেকে অন্য জাতিতে,
    এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো।
14 কিন্তু ঈশ্বর লোকদের ওদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেন নি।
    ঈশ্বর রাজাদের সাবধান করে দিয়েছিলেন যে ওদের কোন ক্ষতি করা চলবে না।
15 ঈশ্বর বলেছিলেন, “আমার মনোনীত লোকদের আঘাত করো না।
    আমার ভাববাদীদের প্রতি অন্যায় করো না।”
16 ঈশ্বর সেই দেশে এক দুর্ভিক্ষ ঘটালেন।
    লোকজন আহারের জন্য খাবার পেল না।
17 কিন্তু, ঈশ্বর যোষেফ নামে একজনকে ওদের সামনে পাঠালেন।
    যোষেফকে একজন ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি করা হয়েছিল।
18 ওরা একটি দড়ি যোষেফের পায়ে জড়িয়ে বেঁধে দিল।
    ওরা তার গলায় একটা লোহার রিং পরিয়ে দিল।
19 ঈশ্বর যা বলেছিলেন তা যতদিন পর্যন্ত না প্রকৃতপক্ষে ঘটল, ততদিন যোষেফ ক্রীতদাসই ছিল।
    প্রভুর বার্তা প্রমাণ করেছিল যে যোষেফ নির্দোষ ছিল।
20 তাই মিশরের রাজা তাকে মুক্ত করে দিল।
    সেই জাতির নেতা তাকে কারাগারের বাইরে বার করে দিল।
21 সে তাকে নিজের বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিল।
    যোষেফও তার প্রভুর সমস্ত সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করত।
22 যোষেফ অন্যান্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিল।
    বৃদ্ধ লোকদেরও যোষেফ শেখাতো।
23 পরে ইস্রায়েল মিশরে এলো।
    যাকোব হামের দেশে থাকলো।
24 যাকোবের পরিবার বেশ বড় হয়ে গেল।
    ওদের শত্রুদের থেকে ওরা অনেক শক্তিশালী হয়ে গেল।
25 এই মিশরীয়রা যাকোবের পরিবারকে ঘৃণা করতে লাগল।
    ওরা ওদের ক্রীতদাসদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল।
26 তাই ঈশ্বর তাঁর দাস মোশি
    এবং তাঁর নির্বাচিত যাজক হারোণকে পাঠিয়েছিলেন।
27 ঈশ্বর মোশি ও হারোণকে ব্যবহার করে
    হামের দেশে বহু অভাবনীয় কাজ করিয়েছিলেন।
28 ঈশ্বর নীরন্ধ্র অন্ধকার পাঠিয়েছিলেন,
    কিন্তু মিশরীয়রা তবুও তাঁর কথা শুনতে অস্বীকার করল।
29 তাই ঈশ্বর জলকে রক্তে পরিণত করলেন
    এবং ওদের সব মাছ মারা গেল।
30 ওদের দেশ ব্যাঙে ভরে গিয়েছিল।
    রাজার শোবার ঘরে পর্যন্ত ব্যাঙ ঢুকে পড়েছিলো।
31 ঈশ্বর আজ্ঞা দিলেন,
    উকুন ও মাছিরা উড়ে এলো।
    তারা দেশের সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ল!
32 ঈশ্বর বৃষ্টিকে শিলাবৃষ্টিতে পরিণত করলেন।
    সারা দেশে বিদ্যুৎপাত হল।
33 ঈশ্বর ওদের দ্রাক্ষালতা ও ডুমুর গাছ ধ্বংস করে দিলেন।
    ঈশ্বর ওদের দেশের সব গাছ ধ্বংস করে দিলেন।
34 ঈশ্বর আজ্ঞা দিলেন এবং গঙ্গাফড়িং ও পঙ্গপালরা এলো।
    ওদের সংখ্যা গণনারও অতীত।
35 ঝাঁকে ঝাঁকে গঙ্গাফড়িং ও পঙ্গপালরা দেশের সব গাছপালা ও দ্রাক্ষালতা,
    ডুমুর গাছগুলো খেয়ে শেষ করে দিল।
36 এরপর ঈশ্বর, দেশের প্রত্যেকটি প্রথমজাতকে হত্যা করলেন।
    ঈশ্বর সমস্ত জোষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেন।
37 তারপর ঈশ্বর মিশর থেকে তাঁর লোকদের বার নিয়ে এলেন।
    আসার সময় ওরা সঙ্গে করে সোনা রূপো নিয়ে এলো।
    ঈশ্বরের কোন লোকই হোঁচট খায় নি বা পড়ে যায় নি।
38 ঈশ্বরের লোকদের চলে যেতে দেখে মিশর ভীষণ খুশী হয়েছিলো,
    কেননা ওরা ঈশ্বরের লোকদের ভয় পেতো।
39 ঈশ্বর তাদের ওপর কম্বলের মত একটি মেঘ বিস্তৃত করে দিলেন।
    রাত্রে তাঁর লোকদের আলো দেখানোর জন্য, ঈশ্বর তাঁর অগ্নিস্তম্ভ ব্যবহার করলেন।
40 লোকরা খাদ্য চাইল এবং ঈশ্বর তাদের কাছে কোয়েল এনে দিলেন
    এবং তাদের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য ঈশ্বর আকাশ থেকে তাদের রুটি দিলেন।
41 ঈশ্বর শিলাটিকে অর্ধেক করে ভাঙলেন এবং সেখান থেকে জল বেরিয়ে এলো।
    মরুভূমিতে একটা নদী বইতে শুরু করলো!

42 ঈশ্বর তাঁর পবিত্র প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করলেন।
    তাঁর দাস অব্রাহামের কাছে তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তিনি স্মরণ করলেন।
43 ঈশ্বর মিশর থেকে তাঁর নির্বাচিত লোকদের বার করে আনলেন।
    লোকজন মহা উল্লাস করতে করতে, আনন্দ গান গাইতে গাইতে বেরিয়ে এলো!
44 তারপর ঈশ্বর তাদের সেই দেশ দিলেন যেখানে অন্যান্য লোকরা বাস করেছিলো,
    অন্যান্য লোকরা যার জন্য পরিশ্রম করেছিলো, ঈশ্বরের লোকরা সেই সব জিনিস পেলো।
45 কেন ঈশ্বর এইসব করলেন? যাতে তাঁর লোকরা তাঁর বিধি মান্য করে।
    যাতে তারা তাঁর শিক্ষামালাসমূহ সতর্কতার সঙ্গে পালন করে।

প্রভুর প্রশংসা কর!

দানি 6:1-15

দানিয়েল ও সিংহরা

দারিয়াবস ভাবলেন যে 120 জন রাজ্যপালকে তাঁর সম্পূর্ণ রাজত্বের দায়িত্ব দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এবং তিনি এই 120 জন রাজ্যপালকে তত্ত্বাবধান করবার জন্য তিন জন অধ্যক্ষ নিযুক্ত করলেন। দানিয়েল ছিলেন এই তিনজনের একজন। রাজা এদের নিযুক্ত করেছিলেন যাতে কেউ তাঁকে ঠকিয়ে রাজ্যের ক্ষতি না করতে পারে। দানিয়েল তাঁর উৎকৃষ্ট চরিত্রের জন্য অন্য যে কোন অধ্যক্ষ অথবা রাজ্যপালের চেয়ে তাঁর পদে ভালো অবস্থায় ছিলেন। এতে রাজা এতই সন্তুষ্ট হলেন যে তিনি দানিয়েলকে সমগ্র রাজ্যের শাসক হিসেবে নিয়োগ করবেন বলে স্থির করলেন। কিন্তু অন্য অধ্যক্ষ ও শাসকরা এই খবর শুনে ঈর্ষান্বিত হল। তাই দানিয়েল রাজার জন্য যে কাজ করছিলেন তার মধ্যে তারা দোষ খুঁজে বার করবার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তারা তাঁর কাজে কোন দোষ-ত্রুটি খুঁজে পেল না। দানিয়েল ছিলেন বিশ্বাসী। তিনি কখনও ইচ্ছে করে অথবা ভুলেও কোন ভুল কাজ করেন নি।

অবশেষে সেই লোকরা দেখল যে দানিয়েলকে দোষারোপ করার মতো কোন কারণই তারা খুঁজে পাবে না। তাই তারা ঠিক করল যে তারা রাজার কাছে দানিয়েলের ঈশ্বরের নীতি সম্পর্কিত ব্যাপারে অভিযোগ করবে।

তাই ঐ দুজন অধ্যক্ষ ও শাসকরা দল বেঁধে রাজার কাছে গিয়ে বলল, “মহারাজ দারিয়াবস চিরজীবি হোন! সমস্ত অধ্যক্ষগণ, গুরুত্বপূর্ণ রাজকর্মচারীগণ, মন্ত্রীগণ এবং রাজ্যপালরা একটি নির্দিষ্ট ব্যাপারে একমত হল। আপনি এ বিষয়টিকে একটি আদেশ হিসাবে প্রচার করুন যা সকলে মানবে। এই আদেশটি হল যে পরবর্তী 30 দিনের মধ্যে কেউ যদি রাজা ছাড়া অন্য কোন দেবতা বা মানুষের কাছে প্রার্থনা করে তবে তাকে সিংহের খাঁচায় নিক্ষেপ করা হবে। মহারাজ আপনি এই আদেশ লেখা কাগজটিতে স্বাক্ষর করে এই আদেশটি অপরিবর্তিত রাখার ব্যবস্থা করুন, কেননা মাদীয় ও পারসীকদের নিয়মানুসারে কোন আইন বা আদেশ বাতিল বা পরিবর্তন হয় না।” তাই রাজা দারিয়াবস এই আদেশপত্রটি সাক্ষর করলেন।

10 দানিয়েল, প্রত্যেক দিন তিন বার করে নতজানু হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন এবং তাঁর গুণগান করতেন। যখন তিনি এই আজ্ঞার কথা শুনলেন তিনি তাঁর বাড়ীর ভেতরে গিয়ে জেরুশালেমের দিকে খোলা জানালার কাছে গেলেন এবং নতজানু হয়ে প্রতি দিনের মতো ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন।

11 তখন ওই সব লোকরা দল বেঁধে দানিয়েলের বাড়ি গেল এবং তাঁকে প্রার্থনা করতে এবং ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চাইতে দেখতে পেল। 12 তাই তারা রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁর আদেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলল, “মহারাজ আপনি একটি আদেশ জারি করেছেন যে পরবর্তী 30 দিনের মধ্যে যদি কেউ রাজা ছাড়া অন্য কোন মানুষ বা দেবতার কাছে প্রার্থনা করে তবে তাকে সিংহের খাঁচায় নিক্ষেপ করা হবে। এবং আপনি আদেশটিতে স্বাক্ষরও করেছেন।”

রাজা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, এই আদেশটি মাদীয় ও পারসীকদের একটি আদেশ। এই আদেশ কখনও বাতিল করা বা বদলানো যায় না।”

13 তখন ঐ লোকরা বলল, “দানিয়েল নামক ওই ব্যক্তিটি আপনাকে অথবা যে আদেশ পত্রে আপনি স্বাক্ষর করেছেন, তাকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। দানিয়েল যিহূদা থেকে আনা বন্দীদের একজন এবং সে আপনার আদেশ মানছে না। সে এখনও রোজ তিন বার করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছে।”

14 রাজা একথা শুনে খুবই দুঃখ পেলেন ও মুষড়ে পড়লেন। তিনি দানিয়েলকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন এবং সেই জন্য সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি দানিয়েলকে রক্ষা করার উপায় ভাবতে লাগলেন। 15 তখন ওই লোকরা রাজার কাছে একত্রে গিয়ে বলল, “মহারাজ মনে রাখবেন মাদীয় ও পারসীকদের নিয়মানুসারে কোন আইন বা আদেশে যদি রাজা স্বাক্ষর করেন তবে তা বাতিল বা পরিবর্তন করা যায় না।”

2 যোহন

সেই প্রাচীন এই চিঠি ঈশ্বরের মনোনীত মহিলা ও তাঁর সন্তানদের কাছে লিখেছে।

আমি তোমাদের সকলকে সত্যে ভালবাসি।

কেবল আমি নই, যারা সত্য কি জানে তারাও তোমাদের ভালবাসে। সেই সত্য আমাদের অন্তরে আছে বলেই আমরা তোমাদের ভালবাসি। সেই সত্য আমাদের সঙ্গে চিরকাল থাকবে।

পিতা ঈশ্বর ও তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের কাছ থেকে অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি আমাদের সঙ্গে থাকবে। সত্য ও ভালবাসার মধ্য দিয়ে আমরা এই আশীর্বাদের অধিকারী হয়েছি।

তোমার সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ সত্য পথে চলছে ও পিতা আমাদের যেমন আদেশ করেছেন সেই অনুসারে জীবনযাপন করছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। প্রিয় ভদ্রমহিলা, তোমার কাছে আমার অনুরোধ আমরা যেন একে অপরকে ভালবাসি। এটা কোন নতুন আদেশ নয়। এই আদেশ তো আমরা শুরু থেকেই শুনে আসছি। এবং এই ভালবাসার অর্থ হল, ঈশ্বর যেমন আদেশ করেছেন সেইরকমভাবে জীবনযাপন করা। ঈশ্বরের আদেশ হল তোমরা ভালবাসায় ভরা জীবনযাপন কর।

এই জগতে অনেক ভণ্ড শিক্ষক তৈরী হয়েছে। যীশু খ্রীষ্ট যে মানব দেহে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন একথা তারা স্বীকার করে না। যে এইরকম করে, সে শিক্ষক হিসেবে ঠগ্ ও খ্রীষ্টারি। তোমরা নিজেদের সম্পর্কে সাবধান হও যাতে যে পুরস্কারের জন্য তোমরা কাজ করেছ তা থেকে তোমরা বঞ্চিত না হও। সতর্ক থেকো যেন পুরো পুরস্কারটাই পেতে পারো।

কেবল খ্রীষ্টের শিক্ষারই অনুসরণ করা উচিত, যদি কেউ খ্রীষ্টের শিক্ষাকে পরিবর্তিত করে তবে সে ঈশ্বরকে পায় না; কিন্তু যে কেউ সেই শিক্ষানুসারে চলে সে পিতা ও পুত্র উভয়কেই পায়। 10 যদি কেউ যীশুর বিষয়ে এই সত্য শিক্ষা না নিয়ে তোমাদের কাছে শিক্ষা দিতে আসে, তবে তাকে বাড়িতে গ্রহণ করো না, কোন রকম শুভেচ্ছাও তাকে জানিও না। 11 কারণ যে তাকে শুভেচ্ছা জানায় সে তার দুষ্কর্মের ভাগী হয়।

12 যদিও তোমাদের কাছে লেখার অনেক বিষয়ই আমার ছিল, কিন্তু আমি কলম ও কালি ব্যবহার করতে চাই না। আমি আশা করছি তোমাদের কাছে যাব তাহলে আমরা একসাথে হয়ে অনেক কথা বলতে পারব, যেন আমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়। 13 ঈশ্বরের মনোনীত তোমার বোনের[a] সন্তানরা তোমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।

লূক 5:12-26

একজন কুষ্ঠ রোগীকে যীশু আরোগ্যদান করলেন

(মথি 8:1-4; মার্ক 1:40-45)

12 একবার যীশু কোন এক নগরে ছিলেন, সেখানে একজন লোক যার সর্বাঙ্গ কুষ্ঠরোগে ভরে গিয়েছিল, সে যীশুকে দেখে তাঁর সামনে উপুড় হয়ে পড়ে মিনতি করে বলল, “প্রভু, আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলেই আমাকে ভালো করতে পারেন।”

13 তখন যীশু হাত বাড়িয়ে তাকে ছুঁয়ে বললেন, “আমি তা-ই চাই। তুমি আরোগ্য লাভ কর!” আর সঙ্গে সঙ্গে তার কুষ্ঠ ভালো হয়ে গেল। 14 তখন যীশু তাকে আদেশ করলেন, “দেখ, একথা কাউকে বোলো না; কিন্তু যাও, যাজকদের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও, আর শুচি হবার জন্য মোশির নির্দেশ মতো বলি উৎসর্গ কর। তুমি যে আরোগ্য লাভ করেছ, সবার সামনে এইভাবে তা প্রকাশ কর।”[a]

15 যীশুর বিষয়ে নানা খবর চতুর্দিকে আরো ছড়িয়ে পড়তে লাগল, আর বহুলোক ভীড় করে তাঁর কথা শুনতে ও রোগ থেকে সুস্থ হবার জন্য তাঁর কাছে আসতে লাগল। 16 কিন্তু যীশু প্রায়ই নির্জন জায়গায় প্রান্তরের মধ্যে গিয়ে প্রার্থনা করতেন।

যীশু একজন পঙ্গুকে সুস্থ করেন

(মথি 9:1-8; মার্ক 2:1-12)

17 একদিন তিনি যখন শিক্ষা দিচ্ছেন তখন সেখানে কয়েকজন ফরীশী ও ব্যবস্থার শিক্ষক বসেছিল। এরা গালীল ও যিহূদিয়ার প্রতিটি নগর ও জেরুশালেম থেকে এসেছিল। রোগীদের সুস্থ করার জন্য প্রভুর শক্তি যীশুর মধ্যে ছিল। 18 সেই সময় কয়েকজন লোক খাটে করে একজন পঙ্গুকে বয়ে নিয়ে এল। তারা তাকে ভেতরে যীশুর কাছে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল; 19 কিন্তু ভীড়ের জন্য ভেতরে যাবার পথ পেল না। তখন তারা ছাদে উঠে ছাদের টালি সরিয়ে তাকে তার খাটিযা সমেত লোকদের মাঝে যেখানে যীশু ছিলেন সেখানে নামিয়ে দিল। 20 তাদের এই বিশ্বাস দেখে যীশু বললেন, “তোমার পাপ ক্ষমা করা হল।”

21 এই শুনে ইহুদী ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও ফরীশীরা নিজেদের মধ্যে মনে মনে ভাবতে লাগল, “এই লোকটা কে যে ঈশ্বর নিন্দা করছে! একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে?”

22 কিন্তু যীশু তাদের মনের চিন্তা বুঝতে পেরে বললেন, “তোমরা মনে মনে কেন ঐ কথা ভাবছ? 23 কোনটা বলা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা করা হল,’ না ‘তুমি উঠে হেঁটে বেড়াও?’ 24 কিন্তু তোমরা যেন জানতে পারো যে পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা মানবপুত্রের[b] আছে।” তাই তিনি পঙ্গু লোকটিকে বললেন, “আমি তোমায় বলছি, ওঠো! তোমার খাটিয়া তুলে নিয়ে বাড়ি যাও।”

25 আর লোকটি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সামনে উঠে দাঁড়াল আর যে খাটিয়ার ওপর সে শুয়েছিল তা তুলে নিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে বাড়ি চলে গেল। 26 এই দেখে সবাই খুব আশ্চর্য হয়ে গেল, আর ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল। তারা ভয় ও ভক্তিতে পূর্ণ হয়ে বলতে লাগল, “আজ আমরা এক বিস্ময়কর ঘটনা দেখলাম।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International