Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: “পদ্মসমূহ” গানটির পর্দায় গাওয়া। দায়ূদের একটি গীত।
69 হে ঈশ্বর আমার সংকটসমূহ থেকে আমায় রক্ষা করুন!
আমার মুখ পর্যন্ত জল পৌঁছে গেছে।
2 এখানে এমন কিছু নেই, যার ওপর আমি দাঁড়াতে পারি।
আমি কাদায় ডুবে যেতে বসেছি,
আমি গভীর জলে ডুবে রয়েছি, আমার চারদিকে ঢেউ উত্তাল হয়ে উঠেছে।
আমি প্রায় ডুবে মরতে বসেছি।
3 আমি এতই দুর্বল হয়ে পড়েছি যে সাহায্য চাইতেও অক্ষম হয়ে গেছি।
আমার গলা যন্ত্রণা করছে।
আমার চোখ যন্ত্রণায় টন্ টন্ করে ওঠার আগে পর্যন্ত
আমি আপনার সাহায্যের প্রতীক্ষা করেছি।
4 আমার মাথায় যত চুল আছে, আমার শত্রুর সংখ্যা তার থেকেও বেশী।
কোন কারণ ছাড়াই তারা আমায় ঘৃণা করে।
আমাকে বিনাশ করার জন্য ওরা খুব কঠিন চেষ্টা করে।
শত্রুরা আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছে।
ওরা বলছে যে আমি নাকি চুরি করেছি।
এরপর যে জিনিস আমি চুরি করি নি, ওরা আমায় তার দাম দিতে বাধ্য করেছে।
5 হে ঈশ্বর, আপনি আমার ত্রুটিগুলি জানেন।
আপনার কাছে আমি আমার পাপ লুকোতে পারি না।
6 হে আমার সদাপ্রভু, সর্বশক্তিমান প্রভু, আমার জন্য যেন আপনার অনুগামীরা লজ্জায় না পড়ে।
হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর, আপনার অনুগামীরা যেন আমার জন্য বিব্রত বোধ না করে।
7 আমার মুখ লজ্জায় ঢেকে গেছে।
এই লজ্জা আমি আপনার জন্য বহন করছি।
8 আমার ভাইরা অচেনা মানুষের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করে সেরকম আমার সঙ্গে করে।
আমার মায়ের সন্তানরা আমার সঙ্গে ভিন দেশীর মতই ব্যবহার করে।
9 আপনার মন্দির সম্পর্কে আমার তীব্র অনুভূতিই আমাকে শেষ করে দিচ্ছে।
যারা আপনাকে নিয়ে মজা করে তাদের কাছ থেকে আমি অপমান কুড়িয়েছি।
10 আমি কাঁদি এবং উপবাস করি,
এর জন্য ওরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
11 দুঃখ প্রকাশের জন্য আমি প্রায়শ্চিত্ত করি, কাপড় পরি,
লোকে আমায় নিয়ে মজা করে।
12 প্রকাশ্য স্থানে ওরা আমায় নিয়ে আলোচনা করে।
ওই মাতালরা আমায় নিয়ে গান বাঁধে।
13 হে ঈশ্বর, আমার দিক থেকে আপনার কাছে এই প্রার্থনা:
আমি চাই আপনি আমায় গ্রহণ করুন!
হে ঈশ্বর আমি চাই প্রেমের সঙ্গে আপনি আমায় সাড়া দিন।
আমি জানি আপনি আমায় উদ্ধার করবেন।
এ ব্যাপারে আমি আপনার ওপর নির্ভর করতে পারি।
14 আমাকে কাদা থেকে টেনে তুলুন।
আমায় কাদায় ডুবে যেতে দেবেন না।
যারা আমায় ঘৃণা করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
এই গভীর জল থেকে আমায় উদ্ধার করুন।
15 ঢেউগুলো যেন আমায় ডুবিয়ে না দেয়।
গভীর গহ্বরকে আমায় ভক্ষণ করতে দেবেন না।
কবরকে আমায় গিলে ফেলতে দেবেন না।
16 প্রভু, আপনার প্রেম ভালো, আপনার ভালোবাসা দিয়ে আমায় উত্তর দিন।
আপনার সব দয়া নিয়ে আমার দিকে ফিরুন, আমায় সাহায্য করুন!
17 আপনার দাসের কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন না।
আমি সংকটের মধ্যে পড়েছি! তাড়াতাড়ি আমায় সাহায্য করুন!
18 আসুন আমার আত্মাকে রক্ষা করুন।
শত্রুদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
19 আমার লজ্জা আপনি জানেন।
আপনি জানেন যে আমার শত্রুরা আমাকে ঘৃণা ও অপমান করেছে।
ওরা আমার প্রতি যে কাজ করেছে তাও আপনি দেখেছেন।
20 সেই লজ্জা আমায় বিদীর্ণ করে দিয়েছে।
লজ্জায় আমি মরে যেতে বসেছি!
আমি সহানুভূতি পাওয়ার আশা করেছিলাম
কিন্তু কখনই আমি তা পাই নি।
আমি অপেক্ষা করেছিলাম কোন লোক এসে আমায় সান্ত্বনা দিক
কিন্তু কোন লোক আসে নি।
21 ওরা আমায়, আহার নয়, বিষ দিয়েছে।
যখন আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম দ্রাক্ষারসের বদলে ওরা আমায় অম্লরস দিয়েছিল।
22 ওদের টেবিলগুলো খাবারে পরিপূর্ণ।
সমারোহপূর্ণ মঙ্গল আহার ওদের আছে।
ওদের ভোজ যেন ওদের বিনাশ করে।
23 আমি কামনা করি ওরা যেন অন্ধ হয়ে যায় এবং ওদের মেরুদণ্ড যেন দুর্বল হয়ে পড়ে।
24 ওদের আপনার সব ক্রোধ
অনুভব করতে দিন।
25 ওদের ঘর শূন্য করে দিন।
একটা কেউ যেন ওখানে বেঁচে না থাকে।
26 ওদের শাস্তি দিন, ওরা ছুটে পালাবে।
তখন ওরা আলোচনা করার জন্য কিছু যন্ত্রণা ও ক্ষত পাবে।
27 মন্দ কাজের জন্য ওদের শাস্তি দিন।
আপনার ধার্ম্মিকতা ওদের দেখাবেন না।
28 জীবনের গ্রন্থ থেকে ওদের নাম মুছে দিন।
জীবনের পুস্তকে ধার্ম্মিক লোকদের নামের সঙ্গে ওদের নাম লিখবেন না!
29 আমি দুঃখী এবং যন্ত্রণাবিদ্ধ।
ঈশ্বর আমায় টেনে তুলুন; আমায় রক্ষা করুন!
30 গানের মধ্যে দিয়ে আমি ঈশ্বরের প্রশংসা করবো।
ধন্যবাদ গীতের মধ্য দিয়ে আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
31 এটাই ঈশ্বরকে সুখী করবে!
উৎসর্গ হিসেবে একটা গোটা পশু দেওয়ার চেয়ে অথবা একটা ষাঁড় হত্যা করার চেয়ে, গানের মধ্যে দিয়ে ধন্যবাদ দেওয়া অনেক ভাল হবে।
32 হে বিনয়ী লোকরা, ঈশ্বরের উপাসনার জন্য এসো।
এইসব জেনে তোমরা খুশী হবে।
33 দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কথা প্রভু শোনেন।
যারা বন্দী আছেন প্রভু তাদের এখনও পছন্দ করেন।
34 হে আকাশ ও পৃথিবী, ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
হে সমুদ্র এবং সমুদ্রের মধ্যের সবকিছু, প্রভুর প্রশংসা কর!
35 প্রভু সিয়োনকে রক্ষা করবেন।
প্রভু যিহূদার শহরগুলি আবার নির্মাণ করবেন।
সেই ভূখণ্ড যাদের, সেখানে তারা আবার বাস করবে!
36 তাঁর দাসদের উত্তরপুরুষরা এই ভূখণ্ড পাবে।
সেই সব লোক যারা তাঁর নামকে ভালোবাসে তারা সেই ভূখণ্ডে বসবাস করবে।
তৃতীয় খণ্ড
(গীতসংহিতা 73–89)
আসফের একটি প্রশংসা গীত।
73 ঈশ্বর সত্যিই ইস্রায়েলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন।
যাদের হৃদয় শুচি তাদের সঙ্গে ঈশ্বর ভালো ব্যবহার করেন।
2 আমার প্রায় পদস্খলন হয়েছিলো
এবং আমি পাপ কাজ করতে শুরু করেছিলাম।
3 আমি দেখেছি ঐসব দুষ্ট লোকরা কৃতকার্য হয়েছে
এবং তা দেখে ঐসব উদ্ধত লোকদের প্রতি আমি ঈর্ষা করেছিলাম।
4 ওরা সবাই বলবান লোক ছিলো।
বেঁচে থাকবার জন্য ওদের কোন লড়াই করতে হত না।
5 ঐসব উদ্ধত লোককে আমাদের মত দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।
অন্যান্য লোকেদের মত ওদের কোন সংকট নেই।
6 তাই ওরা উদ্ধত এবং মানুষকে ঘৃণা করে।
এই অহঙ্কারকে তারা গলার মালার মত এবং শৌখিন বস্ত্রের মত সহজেই ধারণ করে।
7 ঐসব লোক যদি ওদের পছন্দের কিছু দেখে, ওরা গিয়ে তা নিয়ে চলে আসে।
ওরা যা মনে করে, ওরা তাই করতে পারে।
8 লোকের সম্পর্কে ওরা নির্মম ও অহিতকর কথাবার্তা বলে।
অন্যদের কাছ থেকে ওরা কিভাবে সুবিধে নেয় সে সম্বন্ধে ওরা গর্বের সঙ্গে কথা বলে।
9 ঐসব অহঙ্কারী লোকরা নিজেদের দেবতা বলে ভাবে!
ওরা ভাবে ওরাই পৃথিবীর শাসনকর্তা।
10 এমনকি ঈশ্বরের লোকরা পর্যন্ত সাহায্যের জন্য ওদের কাছে ছুটে যায়।
ঐ উদ্ধত লোকরা যা বলে, ওরাও তাই করে।
11 ঐ মন্দ লোকরা বলে, “আমরা কি করছি ঈশ্বর তা জানেন না!
ঈশ্বর, যিনি পরাৎপর, তিনি জানেন না!”
12 ঐ অহঙ্কারী লোকরা প্রচণ্ড দুর্জন,
কিন্তু ওরা ধনী এবং ওরা ক্রমশঃ আরো ধনী হয়ে উঠছে।
13 তাই আমার আত্মাকে কেন শুদ্ধ হতে হবে?
আমি কেন আমার হাত নির্দোষ রাখব?
14 হে ঈশ্বর, সারাদিন ধরে আমি যন্ত্রণা ভোগ করি।
প্রত্যেকদিন সকালে আপনি আমায় শাস্তি দেন।
15 ঈশ্বর, এইসব বিষয়ে আমি অন্য লোকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি।
কিন্তু আমি জানি তাতে আপনার লোকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।
16 এইসব বিষয় বোঝার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।
কিন্তু এটা আমার পক্ষে ভীষণ কষ্টকর।
17 ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আপনার মন্দিরে যাই নি,
আমি ঈশ্বরের মন্দিরে গেলাম এবং তারপর বুঝতে পারলাম।
18 ঈশ্বর, সত্যিই ঐসব লোককে আপনি ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছেন।
ওদের পতন এবং বিনাশ এখন সহজ হবে।
19 হঠাৎই সমস্যা আসতে পারে
এবং ঐ অহঙ্কারী লোকরা ধ্বংস হবে।
ওদের সাংঘাতিক কিছু ঘটতে পারে
এবং ওরা শেষ হয়ে যাবে।
20 প্রভু, যেমন করে আমরা জেগে উঠে স্বপ্নকে ভুলে যাই,
ঐসব লোকরা সেই স্বপ্নের মতই বিস্মৃত হবে।
আমাদের রাতের দুঃস্বপ্ন যেমন আপনি অদৃশ্য করে দেন,
তেমনি করে আপনি ওই লোকগুলোকে অদৃশ্য করে দেবেন।
21-22 আমি অত্যন্ত নির্বোধ ছিলাম।
আমি দুষ্ট ও ধনী লোকদের কথা ভাবতাম এবং ক্লেশগ্রস্ত হয়ে পড়তাম।
হে ঈশ্বর, আমি ক্লেশগ্রস্ত ছিলাম এবং আপনার ওপর রাগ করেছিলাম!
আমি নির্বোধ ও অজ্ঞ পশুর মত ব্যবহার করেছিলাম।
23 আমার যা কিছু দরকার তা আমার আছে!
আমি সর্বদাই আপনার সঙ্গে আছি।
হে ঈশ্বর আপনি আমার হাত ধরুন।
24 ঈশ্বর, আমায় সুপরামর্শ দিন ও পরিচালিত করুন।
তাহলে আপনি আমায় গৌরবের পথে নিয়ে যাবেন।
25 হে স্বর্গের ঈশ্বর, আমি সর্বদা আপনার সঙ্গে রয়েছি
এবং আমি যখন আপনার সঙ্গে রয়েছি তখন এই পৃথিবীতে আমি আর কী চাইতে পারি?
26 আমার এই দেহ মন একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে,
কিন্তু আমার শিলা, যাঁকে আমি ভালোবাসি তিনি থাকবেন।
চিরকালের জন্য আমার কাছে ঈশ্বর আছেন!
27 ঈশ্বর যারা আপনাকে ত্যাগ করেছে তারা হারিয়ে যাবে।
যারা আপনার প্রতি অবিশ্বস্ত তাদের আপনি ধ্বংস করে দেবেন।
28 আমি জানি, আমি ঈশ্বরের কাছে এসেছি এবং তাঁর কাছাকাছি থাকা আমার পক্ষে ভালো।
আমি আমার প্রভু, সদাপ্রভুকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল করে নিয়েছি।
ঈশ্বর আপনি যা কিছু করেছেন তাঁর সব কিছু বলতে আমি এসেছি।
রাজা যিহোয়াকীমের বিরুদ্ধে বিধান
13 “রাজা যিহোয়াকীমের জীবনে খারাপ সময় ঘনিয়ে আসছে।
সে তার রাজপ্রাসাদ তৈরী করতে বহু অসৎ কাজ করেছে।
লোক ঠকিয়ে প্রাসাদের ঘর সমেত উচ্চতা বাড়িয়েছে।
তার প্রজাদের দিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে
সে কাজ করিয়ে নিয়েছে।”
14 যিহোয়াকীম বলল,
“আমি নিজের জন্য একটি বিশাল প্রাসাদ তৈরী করব।
সেই প্রাসাদের ওপরের তলায় বড় বড় ঘর থাকবে।”
তাই সে বড় বড় জানালা তৈরী করল।
এরস বৃক্ষের কাঠ দিয়ে তৈরী জানালার চারিদিকে সে লাল রঙ করল।
15 যিহোয়াকীম, তোমার প্রাসাদে অসংখ্য এরস বৃক্ষের কাঠ
তোমাকে মহান রাজা করে দিতে পারবে না।
তোমার পিতা যোশিয় খাদ্য ও পানীয় পেয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন।
তিনি সঠিক পথে সঠিক কাজ করেছিলেন।
অতএব তাঁর ক্ষেত্রে সব কিছুই ভালো হয়েছিল।
16 যোশিয় গরীব দুঃখী লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে
তার সঙ্গে খারাপ কোন ঘটনা ঘটেনি।
যিহোয়াকীম, “ঈশ্বরকে জানার অর্থ কি?”
এর অর্থ সৎভাবে জীবনযাপন করা
এবং যারা গরীব ও আর্ত্ত তাদের সাহায্য করা।
এই হল প্রভুর বার্তা:
17 “যিহোয়াকীম, তোমার চোখ দুটো শুধু তোমার লাভের দিকটাই দেখে।
তোমার সমস্ত ভাবনা হল লাভ নিয়ে এবং কি করে আরো বেশী কিছু পাবে তাই নিয়ে।
তুমি ইচ্ছা করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছো।
স্বেচ্ছায় অন্যের জিনিস চুরি করেছো।”
18 সুতরাং যোশিয়র পুত্র যিহোয়াকীমকে প্রভু এই কথাগুলি বললেন:
“যিহূদার লোকেরা কখনও যিহোয়াকীমের জন্য কাঁদবে না।
তারা একে অপরকে বলবে না;
‘হে আমার ভাই, আমি যিহোয়াকীমের জন্য খুব দুঃখিত!
হে আমার ভগিনী, আমি যিহোয়াকীমের জন্য খুব দুঃখিত!’
তারা যিহোয়াকীমের জন্য দুঃখিত হবে না।
তারা তার সম্বন্ধে বলবে না,
‘হে মনিব, আমরা দুঃখিত!
হে রাজা আমরা মর্মাহত!’
19 জেরুশালেমের লোকরা যিহোয়াকীমকে কবর দেবে একটি মৃত গাধার সৎকারের ভঙ্গিতে।
তারা তার মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে জেরুশালেমের ফটকের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
20 “যিহূদা, যাও লিবানোনের পাহাড়ে উঠে চিৎকার করে কাঁদো
যাতে তোমাদের সেই কান্নার রোল বসনের পাহাড় থেকে শোনা যায়।
অবারীম পাহাড় থেকে চেঁচিয়ে ওঠো।
কারণ তোমার ‘প্রেমিকরা’ সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
21 “যিহূদা, তুমি নিজেকে নিরাপদ মনে করেছিলে
কিন্তু আমি তোমাকে সতর্ক করেছিলাম!
তোমায় সতর্ক করেছিলাম
কিন্তু আমার কথা শোননি।
ছেলেমানুষ ছিলে বলে তুমি ভুলপথে জীবনযাপন করেছিলে।
যিহূদা, তুমি তোমার যৌবনকাল থেকে
আমাকে অমান্য করেছ।
22 যিহূদা আমি তোমাকে যে শাস্তি দেব তা আসবে ঝড়ের মতো
এবং সেই ঝড় তোমার সমস্ত মেষপালকদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
তুমি ভেবেছিলে অন্যান্য জাতিগুলি তোমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে,
কিন্তু তারাও পরাজিত হবে।
তখন তুমি সত্যি সত্যি নিরাশ হয়ে পড়বে।
লজ্জিত হবে নিজের অতীতের কৃতকর্মের কথা ভেবে।
23 “রাজা, তুমি পাহাড়ের একেবারে ওপরে এরস বৃক্ষের তৈরী সুদৃশ্য প্রাসাদে বাস করো।
এটা অনেকটা তোমার কাছে লিবানোনে বাস করার মতোই যেখান থেকে ঐ কাঠ আসে।
যেহেতু পাহাড়ের ওপর বিশাল প্রাসাদে তুমি বাস করো তাই তুমি নিজেকে নিরাপদ ভাবছো।
কিন্তু যখন শাস্তি তোমার কাছে আসবে তখন তুমি আঘাত পাবে এবং প্রসব যন্ত্রণায় কাতর মহিলার মত আর্তনাদ করবে।”
12 তাই ভাই ও বোনেরা, আমরা ঋণী কিন্তু সেই ঋণ আমাদের দৈহিক প্রবৃত্তির কাছে নয়। আমরা অবশ্যই আর দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা জীবন পরিচালিত করব না। 13 কারণ যদি তোমরা দৈহিক প্রবৃত্তির দ্বারা চল তবে মরবে। কিন্তু পবিত্র আত্মার সাহায্যে যদি দেহের মন্দ কাজগুলি থেকে বিরত থাক তবে জীবন পাবে।
14 ঈশ্বরের প্রকৃত সন্তানরা ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়। 15 তোমরা যে আত্মাকে পেয়েছ তা তো দাসত্বের আত্মা নয় যে পুনরায় ভয়ে থাকবে। বরং তোমরা যে আত্মাকে পেয়েছ তার দ্বারা পুত্রত্ব পেয়েছ; আর সেই আত্মাতে আমরা ডাকি, “আব্বা, পিতা।” 16 পবিত্র আত্মা নিজেও আমাদের আত্মার সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়ে বলছেন যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান। 17 আর যদি সন্তান হই, তবে আমরা তাঁর উত্তরাধিকারী এবং খ্রীষ্টের সাথে উত্তরাধিকারী, যদি অবশ্য খ্রীষ্ট যেমন দুঃখভোগ করেছিলেন, তেমনি আমরা তাঁর সঙ্গে দুঃখভোগ করি, আর তা করলে আমরা খ্রীষ্টের সঙ্গে মহিমান্বিত হব।
ভবিষ্যতে আমরা মহিমান্বিত হব
18 এখন আমরা দুঃখ ভোগ করছি; কিন্তু আমাদের জন্য যে মহিমা প্রকাশিত হবে তার সঙ্গে বর্তমান কালের এই দুঃখভোগ তুলনার যোগ্যই নয়। 19 বিশ্বসৃষ্টি ব্যাকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে ঈশ্বর কবে তাঁর পুত্রদের প্রকাশ করবেন। সমগ্র বিশ্ব এর জন্য আকুল প্রতীক্ষায় রয়েছে। 20 বিশ্ব সৃষ্টিকে তো ব্যর্থতার বন্ধনে বেঁধে রাখা হয়েছে যদিও তা তার নিজের ইচ্ছায় নয় কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায়, যিনি সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রেখেছেন। 21 তবুও বিশ্বসৃষ্টির এই আশা রয়েছে যে সেও একদিন এই অবক্ষয়ের দাসত্ব থেকে মুক্ত হবে আর ঈশ্বরের সন্তানদের মহিমাময় স্বাধীনতার অংশীদার হবে।
22 আমরা জানি যে এখন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি ব্যথায় আর্তনাদ করছে যেমন করে নারী সন্তান প্রসবের ব্যথা ভোগ করে। 23 কেবল গোটা বিশ্ব নয়, আমরাও যাঁরা পবিত্র আত্মাকে উদ্ধারের জন্য প্রথম ফলরূপে পেয়েছি, আমাদের দেহের মুক্তিলাভের প্রতীক্ষায় অন্তরে আর্তনাদ করছি। 24 আমরা উদ্ধার পেয়েছি তাই আমাদের অন্তরে এই প্রত্যাশা রয়েছে। প্রত্যাশার বিষয় প্রত্যক্ষ হলে তা প্রত্যাশা নয়। যা পাওয়া হয়ে গেছে তার জন্য কে প্রত্যাশা করে? 25 আমরা যা এখনও পাই নি তারই জন্য প্রত্যাশা করছি, ধৈর্য্য্যের সঙ্গেই তার জন্য প্রতীক্ষা করছি।
26 একইভাবে আমাদের দুর্বলতায় পবিত্র আত্মাও আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন, কারণ আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করব জানি না, তাই স্বয়ং পবিত্র আত্মা আমাদের হয়ে অব্যক্ত আর্তস্বরে আবেদন জানিয়ে থাকেন। 27 মানুষের অন্তরে কি আছে ঈশ্বর তা দেখতে পান; আর ঈশ্বর পবিত্র আত্মার বাসনা কি তা জানেন; কারণ পবিত্র আত্মা ভক্তদের হয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে সেই আবেদন করেন।
41 তখন ইহুদীরা যীশুর সম্পর্কে গুঞ্জন শুরু করল, কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমিই সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে।” 42 তারা বলল, “তিনি কি যোষেফের ছেলে নন? আমরা কি এর বাবা মাকে চিনি না? তাহলে এখন কেমন করে তিনি বলছেন, ‘আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি?’”
43 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “নিজেদের মধ্যে ওসব বচসা বন্ধ কর। 44 যিনি আমায় পাঠিয়েছেন সেই পিতা না আনলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না; আর আমিই তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব। 45 ভাববাদীদের পুস্তকে লেখা আছে: ‘তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা লাভ করবে।’(A) যে কেউ পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে সেই আমার কাছে আসে। 46 আমি বলছি না যে, কেউ পিতাকে দেখেছেন। কেবলমাত্র যিনি পিতার কাছ থেকে এসেছেন তিনিই পিতাকে দেখেছেন।
47 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে কেউ বিশ্বাস করেছে সেই অনন্ত জীবন পেয়েছে। 48 আমিই সেই রুটি যা জীবন দেয়। 49 তোমাদের পিতৃপুরুষরা মরুপ্রান্তরে মান্না খেয়েছিল, কিন্তু তবু তারা মারা গিয়েছিল। 50 এ সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে, আর কেউ যদি তা খায়, তবে সে মরবে না। 51 আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই রুটি খায় তবে সে চিরজীবি হবে। যে রুটি আমি দেব তা হল আমার দেহের মাংস। তা আমি দিই যাতে জগত জীবন পায়।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International