Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 70-71

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: লোকেদের স্মরণ করিয়ে দেবার মানসে দায়ূদের একটি গীত।

70 ঈশ্বর আমায় রক্ষা করুন!
    ঈশ্বর শীঘ্র আমায় সাহায্য করুন!
লোকে আমায় হত্যা করার চেষ্টা করছে।
    ওদের নিরাশ করুন!
    ওদের লজ্জিত বোধ করান!
যে সব লোক আমার খারাপ করতে চায়
    তাদের যেন পতন হয় ও তারা যেন লজ্জা পায়।
লোকে আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
    আশা করি ওদের যা প্রাপ্য ওরা তাই পাবে এবং লজ্জাবোধ করবে।
আমি কামনা করি যারা আপনার উপাসনা করে তারা যেন সত্যিকারের সুখী হয়।
যারা আপনার সাহায্য চায় তারা যেন সর্বদাই আপনার প্রশংসা করে।

ঈশ্বর আমি দীন অসহায় মানুষ।
    ঈশ্বর তাড়াতাড়ি করুন!
আপনি আসুন, আমায় রক্ষা করুন! ঈশ্বর একমাত্র আপনিই আমায় উদ্ধার করতে পারেন।
    আর দেরী করবেন না!

71 হে প্রভু, আমি আপনাতে বিশ্বাস রাখি,
    তাই আমি কখনও হতাশ হব না।
আপনার ধার্ম্মিকতা দিয়ে আপনি আমায় রক্ষা করবেন।
    আপনিই আমায় উদ্ধার করবেন। আমার কথা শুনুন, আমায় রক্ষা করুন।
আপনি আমার দুর্গ হোন,
    সেই গৃহ হোন যেখানে আমি নিরাপত্তার জন্য ছুটে যেতে পারি।
আপনিই আমার শিলা এবং আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
    তাই আমাকে রক্ষার আজ্ঞা দিন।
হে আমার ঈশ্বর, আমায় দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষা করুন।
    নৃশংস ও মন্দ লোকেদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
আমার জন্মের সময় থেকে আমি আপনার যত্নে ছিলাম।
    আমার জন্মের সময় থেকে আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
এমনকি আমার জন্মের আগে থেকেই আমি আপনার ওপর নির্ভর করেছি।
    আমি যখন মাতৃগর্ভে ছিলাম তখনও আমি আপনার ওপর আস্থা রেখেছি।
    সর্বদাই আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি।
আপনিই আমার শক্তির উৎ‌স।
    তাই অন্য লোকদের কাছে আমি দৃষ্টান্তস্বরূপ ছিলাম।
যে সব বিস্ময়কর জিনিস আপনি করেন তার সম্বন্ধে সর্বদাই আমি গান গাই।
আমি বৃদ্ধ হয়েছি বলে আমায় ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না।
    হত-শক্তি হয়েছি বলে আমায় ত্যাগ করবেন না।
10 শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
    ওরা একসঙ্গে মিলিত হয়েছিলো, এবং আমাকে হত্যা করার চক্রান্ত করেছিলো।
11 আমার শত্রুরা বলছে, “যাও ওকে তুলে নিয়ে এসো!
    ঈশ্বর ওকে ত্যাগ করেছেন। আর কেউ ওকে সাহায্য করবে না।”
12 ঈশ্বর, আমায় পরিত্যাগ করবেন না!
    ঈশ্বর তাড়াতাড়ি এসে আমায় রক্ষা করুন!
13 আমার শত্রুদের পরাজিত করুন!
    ওদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিন!
যারা আমার ক্ষতি করতে চাইছে,
    তারা যেন লজ্জিত ও অপমানিত হয়।
14 তাহলে আমি সব সময়ই আপনার ওপর নির্ভর করবো
    এবং আমি আরো বেশী করে আপনার প্রশংসা করবো।
15 আপনি যে কত ভালো, তা আমি লোকদের বলবো।
    আমি লোকদের বলবো কিভাবে আপনি আমায় প্রতিবার রক্ষা করেছিলেন।
    তা এত বার ঘটেছে যে গুনে শেষ করা যায় না।
16 আমি আপনার মহত্বের কথা বলবো, প্রভু আমার সদাপ্রভু।
    আমি সেই সব ধার্ম্মিকতার কথা বলব, যা শুধুমাত্র আপনি করতে পারেন।
17 ঈশ্বর, আমি যখন একটি ছোট্ট বালক ছিলাম তখন থেকে আপনি আমায় শিক্ষা দিয়েছেন।
    তখন থেকে আজ পর্যন্ত আপনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেছেন তা আমি মানুষকে বলেছি!
18 এখন আমি বৃদ্ধ হয়েছি, আমার চুল পেকে গেছে।
    কিন্তু হে ঈশ্বর, আমি জানি, আপনি আমায় ত্যাগ করবেন না।
    প্রত্যেকটি নতুন প্রজন্মকে আমি আপনার ক্ষমতা ও মহত্বের কথা বলবো।
19 ঈশ্বর, আপনার ধার্ম্মিকতা আকাশের সীমা অতিক্রম করে যায়।
    ঈশ্বর, কোন দেবতাই আপনার মত নয়।
    আপনি বিস্ময়কর সব কাজ করেছেন।
20 আপনি আমাকে সমস্যা এবং দুঃসময় প্রত্যক্ষ করিয়েছেন।
    কিন্তু তাদের সবকিছু থেকে রক্ষা করে আপনি আমায় বাঁচিয়ে রেখেছেন।
    কত গভীরে আমি ডুবে গিয়েছিলাম সেটা কথা নয়, কিন্তু আপনি আমায় সমস্যা থেকে টেনে তুলেছেন।
21 অতীতে যা করেছি তার থেকেও মহৎ‌‌ কাজসমূহ করতে আমায় সাহায্য করুন।
    আমাকে আরাম দিতে থাকুন।
22     আমি বীণা বাজিয়ে আপনার প্রশংসা করবো।
    হে ঈশ্বর আমি গাইবো ও বলবো যে, আপনার ওপর নির্ভর করা যেতে পারে।
    ইস্রায়েলের পবিত্র এক এর জন্য বীণা বাজিয়ে আমি গান গাইবো।
23 আপনি আমার আত্মাকে রক্ষা করেছেন।
    আমার আত্মা সুখী হবে। নিজের মুখে আমি আপনার প্রশংসা গান করবো।
24 আমার জিভ সর্বদাই আপনার ধর্মশীলতার গান গাইবে
    এবং যারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো তারা পরাজিত ও অসম্মানিত হবে।

গীতসংহিতা 74

আসফের একটি মস্কীল।

74 ঈশ্বর আপনি কি চিরকালের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন?
    আপনি কি এখনও আপনার লোকদের ওপর ক্রুদ্ধ আছেন?
অতীতে আপনি যে সব লোকদের এনেছিলেন তাদের কথা স্মরণ করুন।
    আপনি আমাদের রক্ষা করেছেন, তাই আমরা সবাই আপনার।
সিয়োন পর্বতের কথা স্মরণ করুন, যেখানে আপনি বাস করতেন।
ঈশ্বর, সেই সব প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের ওপর দিয়ে আপনি হেঁটে আসুন।
    যে পবিত্র স্থানকে শত্রুরা ধ্বংস করে দিয়েছে সেখানে ফিরে আসুন।

মন্দিরেই তারা যুদ্ধের উন্মত্ত গর্জন শুরু করেছিলো।
    যুদ্ধে তারা জয়ী হয়েছে এটা বোঝানোর জন্য ওরা মন্দিরে পতাকা উড়িয়েছিল।
যারা নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে
    শত্রু সৈন্যরা সেই সব লোকের মত নির্মম।
হে ঈশ্বর, কুঠার ও কুড়ুল ব্যবহার করে
    ওরা আপনার মন্দিরের খোদাই করা কাঠের কক্ষগুলি ভেঙে চুরমার করেছে।
ঐ সৈন্যরা আপনার পবিত্রস্থান পুড়িয়ে দিয়েছে।
    আপনার নামের সম্মানে সেই মন্দির তৈরী হয়েছিলো
    কিন্তু ওরা তা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
শত্রুরা আমাদের সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
    দেশের প্রত্যেকটা পবিত্রস্থান ওরা পুড়িয়ে দিয়েছে।
আমরা আমাদের কোন চিহ্নসমূহ দেখতে পাচ্ছি না।
    আর কোন ভাববাদী নেই।
    কেউই জানে না এখন কি করতে হবে।
10 ঈশ্বর আর কতদিন শত্রুরা আমাদের নিয়ে উপহাস করবে?
    আপনি কি চিরদিন ওদের আপনার নামের অবমাননা করতে দেবেন?
11 ঈশ্বর, কেন আপনি আমাদের এত কঠিন শাস্তি দিলেন?
    আপনার বিপুল শক্তি ব্যবহার করে আপনি আমাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিলেন!
12 ঈশ্বর দীর্ঘদিন ধরে আপনি আমাদের রাজা ছিলেন।
    এই দেশে যে কোন যুদ্ধ জয় করতে আপনি আমাদের সাহায্য করেছেন।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগে ভাগ করতে
    আপনি আপনার পরাক্রম প্রয়োগ করেছিলেন।
14 বড় বড় সমুদ্র দানবদের আপনি পরাজিত করেছেন!
    আপনিই লিবিয়াথনের মাথা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এবং তার দেহ পশুদের খাওয়ার জন্য ফেলে এসেছেন।
15 নদী এবং ঝর্ণায আপনিই প্রবাহ দিয়েছেন।
    আপনিই নদীকে শুষ্ক করে দিয়েছেন।
16 হে ঈশ্বর, আপনিই দিন এবং রাত্রি নিয়ন্ত্রণ করেন।
    আপনিই চাঁদ এবং সূর্য সৃষ্টি করেছেন।
17 আপনিই পৃথিবীর সব কিছুর সীমা নির্ধারণ করেছেন।
    আপনিই শীত, গ্রীষ্ম সৃষ্টি করেছেন।
18 প্রভু মনে রাখবেন কেমন করে শত্রুরা আপনাকে অপমান করেছিলো!
    ঐ লোকগুলো আপনাকে অপমান করেছিল।
    ঐসব মূর্খ লোক আপনার নামকে ঘৃণা ও নিন্দে করেছে!
19 ঐসব বন্য পশুদের আপনার পারাবত নিয়ে যেতে দেবেন না!
    আপনার দীন দরিদ্র মানুষদের চিরদিনের জন্য ভুলে যাবেন না।
20 আমাদের চুক্তির কথা স্মরণ করুন!
    এই দেশের প্রত্যেকটি অন্ধকার স্থানে রয়েছে হিংসাত্মক ঘটনা।
21 ঈশ্বর, আপনার লোকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
    ওদের আর আহত হতে দেবেন না।
    আপনার দীন দুঃখী লোকরা আপনার প্রশংসা করে।
22 ঈশ্বর, উঠুন এবং যুদ্ধ করুন!
    প্রতিদিন যে অবমাননা ঐসব নির্বোধদের কাছ থেকে আপনাকে পেতে হয়েছে তা মনে রাখবেন।
23 আপনার শত্রুদের উন্মত্ত চিৎকারের কথা মনে রাখবেন।
    বার বার ওরা আপনাকে অপমান করেছে!

যিরমিয় 4:9-10

প্রভু বললেন, “যখন এগুলি ঘটবে,
    তখন রাজা এবং তাঁর পারিষদরা তাদের সাহস হারিয়ে ফেলবে,
যাজকরা দারুণ ভয় পেয়ে যাবেন
    এবং ভাববাদীরা যৎপরোনাস্তি বিহ্বল হবেন।”

10 তখন আমি, যিরমিয় বললাম, “হে প্রভু আমার মনিব, আপনি অবশ্যই যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকদের এই বলে প্রতারণা করেছেন: ‘তোমরা শান্তি পাবে।’ কিন্তু এখন তরবারিটি তাদের গলার দিকে লক্ষ্য করে রয়েছে।”

যিরমিয় 4:19-28

যিরমিয়ের কান্না

19 হায়! দুঃখ, যন্ত্রণা এবং চিন্তায়
    আমি কুঁকড়ে যাচ্ছি, হায়! কি দুশ্চিন্তা!
কি ভয়। আমি অন্তরে ব্যথিত।
    আমার হৃদয় ধুক্ ধুক্ করছে।
না, আমি আর চুপ করে থাকতে পারছি না কারণ আমি শত্রু পক্ষের শিঙা শুনেছি।
    ঐ শিঙা ধ্বনি যুদ্ধের আহবান জানাচ্ছে।
20 বিপর্যয় বিপর্যয়কে অনুসরণ করে।
    এই পুরো দেশটাই ধ্বংস হয়ে গেছে।
হঠাৎ‌‌ই আমার তাঁবু ধ্বংস হয়ে গেল।
    আমার পর্দাগুলো ছিঁড়ে গেছে।
21 প্রভু, আর কতদিন এই যুদ্ধের পতাকা আমাকে দেখতে হবে?
    কতদিন আমি আর এই যুদ্ধের দামামা শুনব?

22 ঈশ্বর বললেন, “আমার লোকরা হল মূর্খ।
    তারা আমাকে জানে না।
তারা হল নির্বোধ বালক।
    তারা বুঝতে পারছে না।
তাদের বিবেচনা শক্তি নেই।
    তারা শয়তানিতে পটু কিন্তু তারা জানে না কি করে ভাল কিছু করতে হয়।”

প্রলয় আসছে

23 আমি পৃথিবীর দিকে তাকালাম।
    কিন্তু দেখলাম পৃথিবী শূন্য।
    পৃথিবীতে কিছুই ছিল না।
আমি আকাশের দিকে তাকালাম।
    দেখলাম সমস্ত আলো নিভে গিয়েছে।
24 আমি পর্বতের দিকে তাকালাম।
    দেখলাম পর্বত কাঁপছে।
    সমস্ত পাহাড়গুলি ভয়ে কাঁপছে।
25 আমি দেখলাম কিন্তু কোন মানুষ খুঁজে পেলাম না।
    আকাশের সমস্ত পাখি মূহুর্তে উধাও হয়ে গিয়েছে।
26 আমি ভালো দেশের দিকে তাকালাম এবং দেখলাম তা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
    ঐ দেশে সমস্ত শহরগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রভুর ভয়ঙ্কর ক্রোধেই এই দশা।

27 প্রভু এইগুলি বললেন:
“এই পুরো দেশটাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
    কিন্তু আমি সম্পূর্ণভাবে তা ধ্বংস করব না।
28 জীবিত লোকরা আর্তনাদ করে মৃত লোকেদের জন্য কাঁদবে।
    আকাশ এমশঃ কালো হয়ে উঠবে।
আমি যা বলব তার নড়চড় হবে না।
    আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলাবো না।”

রোমীয় 2:12-24

12 যারা বিধি-ব্যবস্থা জানে আর যারা তা কখনই শোনে নি, পাপ করলে তারা সকলে একই পর্যায়ে পড়ে। বিধি-ব্যবস্থা না জেনে যত লোক পাপ করেছে, তারা সকলেই বিধি-ব্যবস্থা ছাড়াই বিনষ্ট হবে। একইভাবে যাদের কাছে বিধি-ব্যবস্থা আছে তবু পাপ করে, তাদের বিধি-ব্যবস্থা দ্বারাই বিচার হবে। 13 বিধি-ব্যবস্থার কথা শুধু শুনলে ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় না বরং বিধি-ব্যবস্থা যা বলে তা সর্বদা পালন করলেই ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হওয়া যায়।

14 অইহুদীরা কোন বিধি-ব্যবস্থা পায় নি, অথচ তারা যখন স্বভাবতঃ বিধি-ব্যবস্থা অনুযায়ী কাজ করে তখন তারা নিজেরাই নিজেদের বিধি-ব্যবস্থা। যদিও তাদের অধিকারে কোন বিধি-ব্যবস্থা নেই তবুও এটাই সত্য। 15 তারা দেখায় যে, বিধি-ব্যবস্থার নির্দেশ কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ, তা তারা তাদের হৃদয় দিয়েই জানে। তাদের বিবেকও এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়। অনেক সময় তাদের চিন্তাধারাই ব্যক্ত করে যে তারা অন্যায় কাজ করছে আর তাতে তারা দোষী হয়। কোন কোন সময় তাদের চিন্তাধারা ব্যক্ত করে যে তারা ঠিকই করছে, আর তাই তারা দোষী হয় না।

16 এসব তখনই ঘটবে যখন ঈশ্বর, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে মানুষের সকল গুপ্ত বিষয়ের বিচার করবেন। যে সুসমাচার আমি লোকদের কাছে প্রচার করি তা এই কথাই বলছে।

ইহুদীরা এবং বিধি-ব্যবস্থা

17 তোমার অবস্থা কেমন? তুমি নিজেকে ইহুদী বলে পরিচয় দাও এবং বিধি-ব্যবস্থার উপর নির্ভর কর ও গর্ব কর যে তুমি ঈশ্বরের কাছাকাছি রয়েছ। 18 তুমি জান যে ঈশ্বর তোমার কাছ থেকে কোন্ কাজ আশা করেন; আর কোন্টা গুরুত্বপূর্ণ তাও তুমি জান, কারণ তুমি বিধি-ব্যবস্থা শিক্ষা করেছ। 19 যারা ঠিক পথ চেনে না তুমি মনে কর এমন লোকদের তুমি একজন পথ প্রদর্শক। তুমি মনে কর যারা অন্ধকারে আছে তুমি তাদের কাছে জ্যোতিস্বরূপ। 20 তুমি মনে কর যে, যাদের মৌলিক শিক্ষার প্রয়োজন তুমি তাদের শিক্ষক হতে পার। তোমার কাছে বিধি-ব্যবস্থা আছে তাই তুমি মনে কর যে তুমি সবই জান ও সব সত্য তোমার কাছেই রয়েছে। 21 তুমি অপরকে শিক্ষা দিয়ে থাক; কিন্তু তুমি কি নিজেকেও শিক্ষা দাও? চুরি করো না বলে তুমি অপরকে শিক্ষা দাও। কিন্তু তুমি নিজে চুরি কর। 22 তুমি বল লোকে যেন যৌন পাপে লিপ্ত না হয়; কিন্তু তুমি নিজে সেই পাপে পাপী। তুমি প্রতিমা ঘৃণা কর কিন্তু মন্দির থেকে চুরি কর। 23 তুমি ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব কর আবার সেই একই বিধি-ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে ঈশ্বরেরই অবমাননা কর। 24 শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে: “ইহুদীরা, তোমাদের জন্যই অইহুদীরা ঈশ্বরের নিন্দা করে।”(A)

যোহন 5:19-29

ঈশ্বরের ক্ষমতা যীশুর আছে

19 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি পুত্র নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না। পিতাকে যা করতে দেখেন কেবল তাই করতে পারেন। পিতা যা কিছু করেন পুত্রও তাই করেন। 20 পিতা পুত্রকে ভালবাসেন, আর পিতা যা কিছু করেন তা পুত্রকে দেখান আর এর থেকে আরো মহান মহান কাজ পুত্রকে তিনি দেখাবেন, তখন তোমরা আশ্চর্য হয়ে যাবে। 21 পিতা মৃতদের জীবন দান করেন, তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন।

22 “পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার তিনি পুত্রকে দিয়েছেন, 23 যাতে পিতাকে যেমন সমস্ত লোক সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করে। যে পুত্রকে সম্মান করে না, সে পিতাকেও সম্মান করে না, কারণ পিতাই সেইজন যিনি পুত্রকে পাঠিয়েছেন।

24 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে কেউ আমার কথা শোনে, আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন লাভ করে এবং সে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে না। সে মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। 25 আমি তোমাদের সত্যি বলছি সময় আসছে; বলতে কি এসে গেছে, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনবে, আর যারা শুনবে তারা বাঁচবে। 26 পিতার নিজের যেমন জীবন দান করার ক্ষমতা রয়েছে ঠিক তেমনই তিনি তাঁর পুত্রকেও জীবন দান করার ক্ষমতা দিয়েছেন। 27 এবং পিতা সেই পুত্রের হাতেই সমস্ত বিচারের অধিকার দিয়েছেন, কারণ এই পুত্রই মানবপুত্র।

28 “এই কথা শুনে তোমরা অবাক হয়ো না, কারণ সময় আসছে, যারা কবরের মধ্যে আছে তারা সবাই মানবপুত্রের রব শুনবে। 29 তারপর তারা তাদের কবর থেকে বাইরে আসবে। যারা সৎ‌ কর্ম করেছে তারা উত্থিত হবে ও অনন্ত জীবন লাভ করবে। আর যারা মন্দ কাজ করেছিল তারা পুনরুত্থিত হবে এবং দোষী বলে বিবেচিত হবে।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International