Book of Common Prayer
95 এস, আমরা প্রভুর প্রশংসা করি!
যে শিলা আমাদের রক্ষা করেন তাঁর উদ্দেশ্যে আমরা উচ্চস্বরে প্রশংসাধ্বনি দিই।
2 আমরা প্রভুর উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের গান গাই।
তাঁর প্রশংসায় আমরা আনন্দগান গাই।
3 কেন? কারণ প্রভুই মহান ঈশ্বর!
তিনিই সেই মহান রাজা যিনি সকল “দেবতাদের” শাসন করছেন।
4 গভীরতম গুহা, উচ্চতম পর্বত, সবই প্রভুর।
5 সমুদ্রও তাঁরই—তিনিই তা সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বর তাঁর নিজের হাতে এই শুকনো জমি সৃষ্টি করেছেন।
6 এস, আমরা অবনত হয়ে তাঁর উপাসনা করি!
যে প্রভু আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রশংসা করি!
7 কেন? কারণ যদি আমরা তাঁর কন্ঠ শুনি
তাহলে তিনি আমাদের ঈশ্বর হবেন
এবং আমরা হব সেই লোকেরা যাদের তিনি খাদ্য জোগান,
আমরা হব সেই মেষ যাদের তিনি স্বহস্তে নেতৃত্ব দেন।
8 ঈশ্বর বলেন, “মরীবাতে তোমরা যেমন অবাধ্য হয়েছিলে,
মঃসার মরুপ্রান্তরে যেমন হয়েছিল, তেমন হয়ো না।
9 তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমায় পরীক্ষা করেছে।
ওরা আমাকে পরীক্ষা করেছিলো কিন্তু এই সময় ওরা দেখেছিলো আমি কি করতে পারি!
10 40 বছর ধরে আমি ওদের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ করেছি।
আমি জানি যে ওরা বিশ্বাসী নয়।
ওরা আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করতে অগ্রাহ্য করেছে।
11 তাই ওদের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি কথা দিয়েছিলাম যে,
‘ওরা আমার বিশ্রামের স্থানে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না।’”
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
40 আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম, তিনি তা শুনেছেন।
তিনি আমার ডাক শুনেছেন।
2 তিনি আমাকে কবর থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমাকে সেই কাদাময় জায়গা থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমায় উদ্ধার করে, আমাকে শক্ত মাটিতে দাঁড় করিয়েছেন।
তিনি আমার পদস্খলন হতে দেন নি।
3 প্রভু আমার মুখে নতুন গান দিয়েছেন,
সেই গান দিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের প্রশংসা করি।
বহুলোক দেখতে পাবে আমার কি হবে
এবং তারা ঈশ্বরের উপাসনা করবে। তাঁরা প্রভুকে বিশ্বাস করবে।
4 সেই ধন্য যে প্রভুর উপর বিশ্বাস রাখে।
যদি কেউ অপদেবতা এবং মূর্ত্তির দিকে সাহায্যের জন্য না যায় সে প্রকৃতই সুখী হবে।
5 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি অনেক আশ্চর্য কার্য করেছেন!
আমাদের জন্য আপনার ভীষণ ভালো পরিকল্পনা আছে।
কোন লোকই তার সব তালিকা করতে পারবে না!
আমি সেই সব জিনিসের কথা বার বার বলবো যা গুনে শেষ করা যায় না।
6 আপনি আমাকে প্রকৃত সত্য বাণী শোনবার কান দিয়েছেন।
হে প্রভু আপনি আমাকে এটা বুঝতে দিয়েছেন।
আপনি প্রকৃতপক্ষে উৎসর্গ বা শস্য নৈবেদ্য কোনটাই চান নি।
আপনি আসলে হোমবলি এবং পাপমোচনের নৈবেদ্যও চান না।
কিন্তু আপনি যা চান তা হল অন্য আরো কিছু।
7 তাই আমি বলেছি, “এই যে আমি, আমায় গ্রহণ করুন।
আমি এসেছি, আমার সম্পর্কে বইতে এমনই লেখা আছে।
8 হে ঈশ্বর, আপনি যা চান, আমি সেইগুলোই করতে চাই।
আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো জানতে চাই।”
9 মহাসভায় মানুষের সামনে আমি জয়ের কথা বলেছি।
এবং প্রভু আপনি জানেন, সুসমাচার উচ্চারণ করা থেকে আমি কখনও বিরত হব না।
10 আপনার কৃত মহৎ কীর্তি সম্পর্কে আমি বলেছি।
আমার অন্তরেও আমি সে সব কথা গোপন রাখি নি।
প্রভু আমি লোকদের বলেছি, নিজেদের বাঁচানোর জন্য তারা আপনার ওপর নির্ভর করতে পারে।
আমি মহাসভায় আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা গোপন করি নি।
11 তাই, প্রভু আপনার করুণা আমার কাছে লুকোবেন না!
আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে আমায় রক্ষা করুন।
12 মন্দ লোকরা আমার চারদিকে জড় হয়েছে।
তাদের গুনে শেষ করা যাবে না!
আমি আমার পাপের আবর্ত্তে আটকে পড়েছি।
আমি তা থেকে পালাতে পারছি না।
আমার মাথার চুলের চেয়েও ওদের সংখ্যা বেশী।
আমি সাহস হারিয়েছি।
13 প্রভু আমার কাছে ছুটে আসুন, আমায় বাঁচান!
প্রভু তাড়াতাড়ি এসে আমায় সাহায্য করুন!
14 ঐসব মন্দ লোক আমায় হত্যা করতে চাইছে।
প্রভু ঐসব লোককে হতাশ ও লজ্জিত করুন।
ঐ লোকরা আমায় আঘাত করতে চাইছে।
ওরা যেন লজ্জায় ছুটে পালিয়ে যায়!
15 ঐ মন্দ লোকরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
ঐসব লোক যেন অবমাননায় বোবা হয়ে যায়!
16 কিন্তু তারা, যারা আপনার কাছে আসে যেন সুখী হয় ও আনন্দ পায়।
তারা আপনার হাতে উদ্ধার পেতে ভালবাসে। অতএব তারা বলুক, “প্রভুর প্রশংসা কর!”
17 প্রভু, আমি একজন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ।
আমায় সাহায্য করুন, আমায় রক্ষা করুন।
হে আমার ঈশ্বর, আর দেরী করবেন না!
পরিচালকের প্রতি: বাদ্যযন্ত্রসহ দায়ূদের একটি মস্কীল যখন সীফীয়রা এসে শৌলকে বলেছিল, “আমাদের মনে হয় দায়ূদ আমাদের লোকদের মধ্যে লুকিয়ে আছে।”
54 ঈশ্বর, আপনার ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমায় রক্ষা করুন।
আমাকে মুক্তি দিতে আপনার পরাক্রম কাজে লাগান।
2 ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমি যা বলি তা শুনুন।
3 বিদেশী লোকরা যারা ঈশ্বরের উপাসনা করে না তারা আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছে।
ঐসব শক্তিশালী লোকরা আমায় হত্যা করার চেষ্টা করছে।
4 দেখ, আমার ঈশ্বর আমায় সাহায্য করবেন।
আমার প্রভু আমায় সহায়তা দেবেন।
5 যারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে, আমার ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
ঈশ্বর আমার প্রতি বিশ্বস্ত হবেন এবং ঐসব লোকের বিনাশ করবেন।
6 হে ঈশ্বর, আমি আপনাকে স্বেচ্ছাবলি উৎসর্গ করব।
প্রভু, আমি আপনার নামের প্রশংসা করবো কারণ সেটি এত ভালো!
7 আমি আপনার নামের প্রশংসা করব কারণ আমার সব সঙ্কট থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
আমি আমার শত্রুদের পরাজিত হতে দেখেছি।
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের গানগুলির মধ্যে একটি গীত। বৎশেবার প্রতি দায়ূদের পাপকর্মের পর ভাববাদী নাথন দায়ূদের কাছে গিয়েছিল। এটা প্রায় সেই সময়ের গীত।
51 আপনার মহান প্রেমময় দয়ার জন্য
এবং আপনার মহান করুণা দিয়ে
আমার সমস্ত পাপসমূহ ধুয়ে মুছে দিন!
2 ঈশ্বর, আমার অপরাধ মুছে দিন, আমার সব পাপ ধুয়ে দিন।
আবার আমায় পাপমুক্ত করে দিন!
3 আমি জানি আমি পাপ করেছি।
সব সময় আমি সেই সব পাপ দেখতে পাই।
4 যে সব কাজকে আপনি গর্হিত বলেন, সেই সব কাজই আমি করেছি।
ঈশ্বর আপনিই সেই পরম এক যার বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি।
এইসব কথা আমি স্বীকার করেছি যাতে মানুষ বোঝে
আমি ভুল কিন্তু আপনি সঠিক।
আপনার সব সিদ্ধান্ত যথাযথ নিরপেক্ষ।
5 আমি পাপের মধ্যে দিয়ে জন্মেছিলাম
এবং পাপের মধ্যেই আমার মা আমায় গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
6 হে ঈশ্বর, আপনি চান আমি প্রকৃতভাবে অনুগত হই।
তাই আমার মনের গভীরে প্রকৃত প্রজ্ঞা দান করুন।
7 এসবের দ্বারা আমার সব পাপ মুছে দিন, আমায় পবিত্র করে দিন।
সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়ে আমাকে তুষারের থেকেও শুভ্র করে দিন!
8 আমায় সুখী করুন! আবার কি করে সুখী হতে পারবো তা বলে দিন।
আপনি যে হাড়গুলো চূর্ণবিচূর্ণ করেছেন সেগুলো আবার সুখী হোক্!
9 আমার পাপের দিকে তাকাবেন না!
আমার সব পাপ মুছে দিন!
10 ঈশ্বর আমার মধ্যে বিশুদ্ধ হৃদয় সৃষ্টি করুন!
আমার আত্মাকে আবার শক্তিশালী করুন!
11 আমাকে দূরে ঠেলে দেবেন না!
আমার কাছ থেকে আপনার পবিত্র আত্মাকে সরিয়ে নেবেন না!
12 আপনার সাহায্য আমাকে প্রচণ্ড সুখী করেছে!
সেই আনন্দ আবার আমায় ফিরিয়ে দিন।
আপনার নির্দেশ মান্য করার জন্য, আমার আত্মাকে শক্তিশালী করে দিন।
13 পাপীদের কেমন ধারা জীবনযাত্রা আপনি চান তা আমি ওদের শেখাবো
এবং ওরা আপনার কাছে ফিরে আসবে।
14 ঈশ্বর, মৃত্যুর শাস্তি থেকে আমায় নিষ্কৃতি দিন।
হে আমার ঈশ্বর, আপনিই সেই, যিনি আমায় রক্ষা করেন!
আমার জন্য আপনি যে সব ভালো কাজ করেছেন, তা নিয়ে আমায় গান গাইতে দিন!
15 প্রভু আমার, আপনার সম্মানে আমি মুখ খুলবো এবং আপনার প্রশংসা গান গাইবো!
16 প্রকৃতপক্ষে আপনি কোন বলি চান না।
যদি আপনি চাইতেন আমি তা আপনার উদ্দেশ্যে দিতাম।
তাহলে কেন আপনাকে হোমবলি দেব যা আপনি প্রকৃত পক্ষে চান না!
17 ঈশ্বর যে বলি চান তা হল এক অনুতপ্ত আত্মা।
হে ঈশ্বর, যদি একজন লোক নম্র হৃদয়ে ও বশ্যতার মন নিয়ে আপনার কাছে আসে তাকে আপনি ফিরিয়ে দেবেন না।
18 ঈশ্বর, সিয়োনের প্রতি প্রসন্ন হন ও ভাল ব্যবহার করুন।
জেরুশালেমের প্রাচীর আবার গড়ে দিন,
19 তাহলে আপনি হোমবলি এবং সব উত্তম বলি উপভোগ করতে পারবেন।
লোকরা আবার আপনার বেদীতে ষাঁড় বলি দেবে।
প্রভু প্রকৃতই কি চান
12 “এখন হে ইস্রায়েলের লোকরা, শোনো! প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, প্রকৃতই তোমাদের কাছে থেকে কি আশা করেন? ঈশ্বর চান যে তোমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করবে এবং তিনি যা বলেন সেটা করবে। ঈশ্বর চান যে তোমরা তাঁকে ভালোবাসবে এবং তোমাদের সমস্ত হৃদয় এবং সমস্ত আত্মা দিয়ে তাঁর সেবা করবে। 13 সেই কারণে আমি আজ তোমাদের যেগুলো দিচ্ছি সেই বিধিসমূহ এবং আজ্ঞাসমূহ তোমরা মেনে চলো। তোমাদের ভালোর জন্যই এই নিয়মাবলী এবং আজ্ঞাসমুহ।
14 “দেখ, সমস্ত কিছুই প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের। স্বর্গ এবং উচ্চতম স্বর্গ, পৃথিবী এবং তার ওপরের সমস্ত কিছুই প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের। 15 প্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের খুবই ভালোবাসতেন। তিনি তাদের এতই ভালোবাসতেন যে তিনি তোমাদের অর্থাৎ তাদের উত্তরপুরুষদের বেছেছিলেন। অন্যান্য জাতির মধ্যে থেকে তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন আর তোমরা আজও তাঁর বিশেষ জন।
16 “জেদী হয়ো না। তোমাদের হৃদয় সম্পূর্ণরূপে প্রভুকে দান কর। 17 কারণ প্রভুই হলেন তোমাদের ঈশ্বর। তিনি হলেন সকল ঈশ্বরের ঈশ্বর এবং সকল প্রভুর প্রভু। তিনি হলেন মহান, বীর্য্যবান এবং ভয়ঙ্কর ঈশ্বর। প্রভুর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তিই সমান। প্রভু তাঁর মন পরিবর্তনের জন্য উৎকোচ নেন না। 18 অনাথ এবং বিধবারা যাতে ন্যায় বিচার পায় সে দিকে তিনি দৃষ্টি রাখেন আর তিনি বিদেশীদেরও ভালোবাসেন। তিনি তাদের খাদ্য এবং কাপড় দেন। 19 সুতরাং তোমরা অবশ্যই ঐ সমস্ত বিদেশীদের ভালোবাসবে, কারণ মিশরে তোমরা নিজেরাই বিদেশী ছিলে।
20 “তোমরা অবশ্যই প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরকে, শ্রদ্ধা করবে এবং কেবলমাত্র তাঁরই উপাসনা করবে। তাঁকে কখনও ত্যাগ কোরো না। তোমরা যখন প্রতিজ্ঞা করবে, তখন অবশ্যই কেবলমাত্র তাঁরই নাম ব্যবহার করবে। 21 তোমরা কেবল তাঁরই প্রশংসা করবে। তিনি হলেন তোমাদের ঈশ্বর। তিনি তোমাদের জন্য মহৎ এবং আশ্চর্যজনক কাজ করেছেন। তোমরা নিজেদের চোখে সেগুলো দেখেছ। 22 তোমাদের পূর্বপুরুষরা যখন মিশরে নেমে গিয়েছিল, তখন সেখানে কেবলমাত্র 70 জন লোক ছিল। এখন প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের লোকসংখ্যা আকাশের অসংখ্য তারার মতো প্রচুর করেছেন।
11 তাই এস, আমরাও ঈশ্বরের সেই বিশ্রামে প্রবেশ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, যাতে আমরা কেউ অবাধ্যতার পুরানো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পতিত না হই।
12 ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও সক্রিয়। তাঁর বাক্য দুপাশে ধারযুক্ত তলোয়ারের ধারের থেকেও তীক্ষ্ণ। এটা প্রাণ ও আত্মার গভীর সংযোগস্থল এবং সন্ধি ও অস্থির কেন্দ্র ভেদ করে মনের চিন্তা ও ভাবনার বিচার করে। 13 ঈশ্বরের সামনে কোন সৃষ্ট বস্তুই তাঁর অগোচরে থাকতে পারে না, তিনি সব কিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পান। তাঁর সাক্ষাতে সমস্ত কিছুই খোলা ও প্রকাশিত রয়েছে, আর তাঁরই কাছে একদিন সব কাজকর্মের হিসেব দিতে হবে।
ঈশ্বরের সামনে আসতে যীশু আমাদের সাহায্য করেন
14 আমাদের এক মহাযাজক আছেন যিনি স্বর্গে ঈশ্বরের সাথে বাস করতে গেছেন। তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র। তাই এসো আমরা বিশ্বাসে অবিচল থাকি। 15 আমাদের মহাযাজক যীশু আমাদের দুর্বলতার কথা জানেন। যীশু এই পৃথিবীতে সবরকমভাবে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন। আমরা যেভাবে পরীক্ষিত হই যীশু সেইভাবেই পরীক্ষিত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কখনও পাপ করেন নি। 16 সেইজন্যে বিশ্বাসে ভর করে করুণা সিংহাসনের সামনে এসো, যাতে আমাদের প্রয়োজনে আমরা দয়া ও অনুগ্রহ পেতে পারি।
যীশু এবং বাপ্তিস্মদাতা যোহন
22 এরপর যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে যিহূদিয়া প্রদেশে এলেন। তিনি সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকতে লাগলেন ও বাপ্তাইজ করতে লাগলেন। 23 যোহনও শালীমের নিকট ঐনোন নামক স্থানে বাপ্তাইজ করছিলেন, কারণ সেখানে প্রচুর জল ছিল; আর লোকেরা তাঁর কাছে এসে বাপ্তিস্ম নিচ্ছিল। 24 যোহন তখনও কারাগারে বন্দী হন নি।
25 সেই সময় ইহুদী রীতি অনুসারে শুচি হওয়ার বিষয়ে যোহনের শিষ্যদের সঙ্গে একজন ইহুদীর তর্ক বাধে। 26 পরে তারা যোহনের কাছে এসে বলল, “গুরু, তাঁকে মনে পড়ে যিনি যর্দন নদীর ওপারে আপনার সঙ্গে ছিলেন এবং যাঁর বিষয়ে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন? তিনি লোকেদের বাপ্তাইজ করছেন আর সবাই তাঁর কাছে যাচ্ছে।”
27 এর উত্তরে যোহন বললেন, “স্বর্গ থেকে দেওয়া না হলে কেউই কোন কিছু লাভ করতে পারে না। 28 তোমরা নিজেরাই শুনেছ যে আমি বলেছিলাম, ‘আমি খ্রীষ্ট নই; কিন্তু আমাকে তাঁর আগেই পাঠানো হয়েছে।’ 29 কনে বরেরই জন্য, কিন্তু বরের বন্ধু পাশে দাঁড়িয়ে থাকে বরের কথা শোনার জন্য। আর সে যখন বরের গলা শুনতে পায় তখন খুবই আনন্দিত হয়। তাই আজ আমার সেই আনন্দ পূর্ণ হল। 30 তিনি উত্তরোত্তর বড় হবেন, আর আমি অবশ্যই নগন্য হয়ে যাব।
একজন যিনি স্বর্গ থেকে আসেন
31 “একজন যিনি উর্দ্ধ থেকে আসেন তিনি সবার উর্দ্ধে। যে এই জগতের মধ্য থেকে আসে সে জগতের, তাই সে যা কিছু বলে তা জগতের বিষয়েই বলে। যিনি স্বর্গ থেকে আসেন তিনি সবার উপরে। 32 তিনি যা দেখেছেন আর শুনেছেন তারই সাক্ষ্য দেন; কিন্তু কেউই তাঁর সাক্ষ্য মেনে নিতে রাজী নয়। 33 যে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করে সে তার দ্বারা প্রমাণ করে যে ঈশ্বরই সত্য, 34 কারণ ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন তিনি ঈশ্বরের কথাই বলেন। ঈশ্বর তাঁকে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ করেছেন। 35 পিতা তাঁর পুত্রকে ভালবাসেন, আর তিনি তাঁর হাতেই সব কিছু সঁপে দিয়েছেন। 36 যে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবনের অধিকারী হয়; কিন্তু যে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও লাভ করে না, বরং তার ওপরে ঈশ্বরের ক্রোধ থাকে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International