Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত।
25 প্রভু, আমি নিজেকে আপনার হাতে সমর্পণ করেছি।
2 হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
তাই আমাকে লজ্জিত করবেন না।
আমার শত্রুরা যেন আমার ওপর জয়লাভ না করে।
3 যদি কোন ব্যক্তি আপনার ওপর নির্ভর করে, সে কখনও হতাশাগ্রস্থ হবে না।
কিন্তু বিশ্বাসঘাতকরা হতাশ হবে।
তারা কিছুই পাবে না।
4 হে প্রভু, আপনার পথগুলি আমাকে দেখান।
আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
5 আমায় পরিচালিত করুন এবং আপনার সত্য সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার পরিত্রাতা।
প্রতিদিন আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
6 হে প্রভু, আমার প্রতি দয়া করে আমায় স্মরণ করবেন।
যে কোমল ভালোবাসা আপনি আমায় চিরদিন দিয়ে এসেছেন সেই ভালোবাসা আমার প্রতি প্রদর্শন করুন।
7 আমার তরুণ বয়সের কৃত কুকর্ম ও পাপ আপনি স্মরণে রাখবেন না।
হে প্রভু, আপনার সুনামের জন্য, আমায় ভালোবেসে স্মরণ করবেন।
8 প্রভু প্রকৃতপক্ষেই ভাল এবং সৎ।
তিনি পাপীদের ঠিক পথে জীবনযাপন করবার শিক্ষা দেন।
9 যারা বিনীত, তাদেরই তিনি তাঁর পথগুলি শেখান।
তিনি ন্যায়পথে তাদের পরিচালিত করেন।
10 প্রভুই রাজা, যারা তাঁর চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে
তিনি তাদের প্রতি সত্যনিষ্ঠ হন।
11 হে প্রভু, আমি অনেক পাপ কাজ করেছি।
কিন্তু আপনার মহত্ব দেখাবার জন্য, আমি যা যা করেছিলাম, সেগুলো সবই আপনি ক্ষমা করেছেন।
12 যদি কোন লোক প্রভুকেই অনুসরণ করবে বলে মনোনীত করে,
তাহলে ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকবার শ্রেষ্ঠ রাস্তা দেখাবেন।
13 সেই লোক ভাল জিনিস উপভোগ করতে পারবে,
এবং তাঁর সন্তানরা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ভূখণ্ড পাবে।
14 প্রভু তাঁর গূঢ় কথা তাঁর অনুগামীদের বলেন।
তাঁর চুক্তি সম্পর্কে তিনি তাদের শিক্ষা দেন।
15 সাহায্যের জন্য আমি সর্বদাই প্রভুর দিকে চেয়ে থাকি।
তিনি সর্বদাই আমাকে সমস্যার জাল থেকে মুক্ত করেন।
16 হে প্রভু, আমি নিঃসহায় এবং নিঃসঙ্গ।
আমার দিকে মুখ ফেরান, আমায় কৃপা করুন।
17 আমাকে আমার সংকটসমূহ থেকে মুক্ত করুন।
আমার সমস্যাগুলির সমাধান করতে আমায় সাহায্য করুন।
18 আমার প্রচেষ্টা ও সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করুন।
আমার সকল পাপ থেকে আমায় ক্ষমা করে দিন।
19 আমার যেসব শত্রু আছে তাদের দিকে দেখুন।
তারা আমায় ঘৃণা করে, আমায় আঘাত করতে চায়।
20 হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন।
আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
দয়া করে আমায় হতাশ করবেন না।
21 হে ঈশ্বর, আপনি প্রকৃতই ভাল।
আমি আপনাতে নির্ভর করি, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 হে ঈশ্বর, ইস্রায়েলের লোকদের,
তাদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
পরিচালকের প্রতি: মুৎ-লব্বেন স্বরে দায়ূদের একটি গীত।
9 আমি আমার সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়ে প্রভুর প্রশংসা করি।
প্রভু, আপনার সৃষ্টি করা প্রত্যেকটি আশ্চর্য কার্য সম্পর্কে আমি বলবো।
2 আপনি আমাকে অত্যন্ত সুখী করেছেন।
হে পরাৎপর ঈশ্বর, আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
3 আপনার কাছ থেকে আমার শত্রুরা দূরে পালিয়ে গেছে।
কিন্তু তাদের পতন হবে ও তারা বিনষ্ট হবে।
4 আপনি একজন সুবিচারক। আপনার সিংহাসনে আপনি ধর্ম বিচারকের মতই বসেছিলেন।
হে প্রভু, আপনি আমার অবস্থার কথা শুনেছিলেন এবং আমার সম্বন্ধে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।
5 আপনি সেসব লোকের সমালোচনা করেছেন।
প্রভু, সেই সব দুষ্ট লোককে আপনি বিনষ্ট করেছেন।
যারা বেঁচে রয়েছে, তাদের নামের তালিকা থেকে আপনি সেই সব দুষ্ট লোকের নাম চিরদিনের জন্য মুছে দিয়েছেন।
6 শত্রুরা নিশ্চিহ্ন হয়েছে!
প্রভু, আপনি তাদের নগরসমূহ ধ্বংস করেছেন!
এখন শুধুমাত্র ভাঙা বাড়ীগুলো পড়ে আছে।
সেই সব দুষ্ট লোকদের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবার মত কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
7 কিন্তু প্রভু চিরদিনের জন্য শাসন করেন।
প্রভু তাঁর রাজ্যকে শক্তিশালী করেছেন।
পৃথিবীতে ন্যায় আনবার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন।
8 প্রভু পৃথিবীতে প্রত্যেককে ন্যায় বিচার দেন।
প্রভু সব জাতিদের সৎভাবে বিচার করেন।
9 বহু মানুষ তাদের নানাবিধ সমস্যার ফাঁদে আবদ্ধ এবং জর্জরিত।
তাদের সমস্যার ভারের নীচে তারা পিষ্ট হয়ে গেছে।
প্রভু, তাদের জন্য আপনি নিরাপদ স্থান হোন
যেন তারা আপনার কাছে যেতে পারে।
10 লোকেরা যারা আপনার নাম জানে
তারা আপনার ওপর বিশ্বাস রাখবে।
প্রভু, লোকজন যদি আপনার কাছে আসে,
আপনি তাদের সাহায্য না করে ফিরিয়ে দেবেন না।
11 হে সিয়োন-বাসীরা, তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর।
প্রভুর মহৎ কর্মের কথা অন্যান্য জাতিকে বল।
12 যারা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল
তিনি তাদের কথা মনে রেখেছেন।
সেই বঞ্চিত দরিদ্র লোকেরা সাহায্য প্রার্থনা করেছিল।
প্রভু তাদের ভুলে যান নি।
13 আমি ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করেছিলাম: “প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
দেখুন, আমার শত্রুরা আমায় আঘাত করেছে।
আমাকে ‘মৃত্যুর ফটকগুলি’ থেকে রক্ষা করুন।
14 তাহলে, হে প্রভু, জেরুশালেম শহরের ফটকে আমি আপনার প্রশংসাগীত করতে পারবো।
এতে আমি সুখী হবো। কারণ আপনি আমায় রক্ষা করেছিলেন।”
15 অন্য সব জাতি, লোকদের ফাঁদে ফেলার জন্য মাটিতে গর্ত খুঁড়েছে।
কিন্তু তারা নিজেরাই নিজের ফাঁদে পড়ে গেছে।
অন্যসব লোকজনকে ধরবে বলে ওরা লুকিয়ে জাল পেতেছিল
কিন্তু ওরা নিজের জালেই ধরা পড়ে গেছে।
16 প্রভু ওই মন্দ লোকদের ধরেছেন।
তাই লোকজন জানতে পারলো, যারা মন্দ কাজ করে প্রভু তাদের শাস্তি দেন।
17 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তারাই মন্দ।
তারা পাতালে পতিত হবে।
18 কখনও কখনও এমন মনে হয় যে, সমস্যা জর্জরিত মানুষকে ঈশ্বর ভুলে গেছেন।
এমনও মনে হচ্ছে যে, এইসব দরিদ্র লোকদের কোন আশা বাকী নেই।
কিন্তু ঈশ্বর কখনই তাদের চিরদিনের মত ভোলেন না।
19 হে প্রভু, উঠুন এবং জাতিগণের বিচার করুন।
মানুষকে একথা ভাবতে দেবেন না যে তারা শক্তিশালী।
20 লোকদের কিছু শিক্ষা দিন।
তাদের একথা বুঝতে দিন যে তারা কেবলই মানুষ।
দায়ূদের একটি গীত।
15 প্রভু, কে আপনার পবিত্র তাঁবুতে থাকতে পারে?
কে আপনার পবিত্র পর্বতে থাকতে পারে?
2 একমাত্র তারাই পারে যারা পবিত্রভাবে জীবনযাপন করে, সৎ কাজ করে,
এবং তাদের অন্তর থেকে সত্য কথা বলে,
তারাই আপনার পবিত্র পর্বতে বাস করতে পারে।
3 এই ধরণের লোক, অন্যান্য মানুষ সম্পর্কে খারাপ কথা বলে না।
তারা তাদের প্রতিবেশীদের আঘাত করবার জন্য কোন কাজ করে না।
তারা তাদের খুব কাছের মানুষ সম্পর্কে লজ্জাজনক কিছু বলে না।
4 ঈশ্বরকে যারা খুশী করে না, তারা তাদের সম্মান করে না।
কিন্তু যারা প্রভুর সেবা করে, তারা তাদের সম্মান প্রদর্শন করে।
যদি তারা প্রতিবেশীর কাছে কোন প্রতিশ্রুতি করে,
তবে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে।
5 যদি তারা কাউকে টাকা ধার দেয়,
তারা সেই ঋণের জন্য সুদ চায় না।
এমনকি, কেউ যদি তাদের নির্দোষ লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য টাকা দিতে চায়
তবু তারা সে কাজ করতে অস্বীকার করে।
যে কেউ এইভাবে জীবনযাপন করে, সে সর্বদাই ঈশ্বরের কাছে থাকবে।[a]
10 “প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক, এবং যাকোবের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তোমাদের এই দেশ দেওয়ার জন্য প্রভু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। প্রভু সেই দেশ তোমাদের দেবেন এবং তোমরা যেগুলো তৈরী করো নি সেই বৃহৎ এবং সম্পদশালী শহরগুলোও তিনি তোমাদের দেবেন। 11 প্রভু তোমাদের এমন উত্তম দ্রব্যে পরিপূর্ণ বাড়ী দেবেন, যে দ্রব্য তোমরা সেখানে রাখো নি। প্রভু তোমাদের এমন অনেক কূপ দেবেন যা তোমরা খনন করো নি। খেয়ে দেয়ে তৃপ্ত হলে পর প্রভু তোমাদের প্রচুর দ্রাক্ষার ক্ষেত এবং জলপাইয়ের গাছ দেবেন যেগুলো তোমরা রোপণ করনি।
12 “কিন্তু খুব সাবধান! প্রভুকে ভুলো না। মনে রেখো তোমরা মিশরে ক্রীতদাস ছিলে, কিন্তু প্রভু তোমাদের মিশর থেকে বাইরে নিয়ে এসেছিলেন। 13 প্রভু তোমাদের ঈশ্বরকে সম্মান করো এবং কেবলমাত্র তাঁরই সেবা করো। শপথ করার সময় তোমরা কেবলমাত্র তাঁরই নাম ব্যবহার করবে, অন্য দেবতার নাম ব্যবহার করবে না। 14 অন্য দেবতার অনুসরণ করবে না। তোমাদের চর্তুদিকে বসবাসকারী জাতিগণের দেবতাদের তোমরা অনুসরণ করবে না। 15 প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, যিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন তিনি নিজের গৌরব রক্ষা করতে উদ্যোগ নেন, সুতরাং যদি তোমরা ঐ সকল অন্যান্য দেবতাদের পূজা করো, তাহলে প্রভু তোমাদের উপরে প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হবেন। তিনি তোমাদের এই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে দেবেন।
ঈশ্বর তাঁর পুত্রের মাধ্যমে কথা বলেছেন
1 অতীতে ঈশ্বর ভাববাদীদের মাধ্যমে বহুবার নানাভাবে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। 2 এখন এই শেষের দিনগুলোতে ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আবার কথা বললেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের দ্বারাই সমগ্র জগত সৃষ্টি করেছেন। তাঁর পুত্রকেই সবকিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন। 3 একমাত্র ঈশ্বরের পুত্রই ঈশ্বরের মহিমার ও তাঁর প্রকৃতির মূর্ত প্রকাশ। ঈশ্বরের পুত্র তাঁর পরাক্রান্ত বাক্যের দ্বারা সবকিছু ধরে রেখেছেন। সেই পুত্র মানুষকে সমস্ত পাপ থেকে শুচিশুদ্ধ করেছেন। তারপর স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডানপাশের আসনে বসেছেন। 4 ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে এমন এক নাম দিয়েছেন যা স্বর্গদূতদের নাম থেকে শ্রেষ্ঠ; আর স্বর্গদূতদের তুলনায় তিনি হয়ে উঠেছেন আরো মহান।
5 কারণ ঈশ্বর ঐ স্বর্গদূতদের মধ্যে কাকে কখন বলেছিলেন,
“তুমি আমার পুত্র;
আজ আমি তোমার পিতা হয়েছি।”(A)
আবার ঈশ্বর কখনই বা স্বর্গদূতদের বলেছেন,
“আমি তার পিতা হব
আর সে আমার পুত্র হবে।”(B)
6 আবার তাঁর প্রথম পুত্রকে যখন তিনি জগতে নিয়ে এলেন তখন ঈশ্বর বললেন,
“ঈশ্বরের সমস্ত স্বর্গদূতরা তাঁর উপাসনা করুক।”[a]
7 স্বর্গদূতদের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:
“আমার স্বর্গদূতদের আমি তৈরী করি বায়ুর মতো করে
আর আমার সেবকদের আগুনের শিখার মতো করে।”(C)
8 কিন্তু তাঁর পুত্রের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন:
“হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন হবে চিরস্থায়ী;
আর ন্যায় বিচারের মাধ্যমে তুমি তোমার রাজ্য শাসন করবে।
9 তুমি ন্যায়কে ভালবাস এবং অন্যায়কে ঘৃণা কর।
এই কারণে তোমার ঈশ্বর তোমাকে পরম আনন্দ দিয়েছেন;
তোমার সঙ্গীদের থেকে তোমায় অধিক পরিমাণে দিয়েছেন।”(D)
10 ঈশ্বর একথাও বলেছেন:
“হে প্রভু, আদিতে তুমিই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ;
স্বর্গ তোমারই হাতের সৃষ্টি।
11 সেসব একদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে; কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী।
সেসব পোশাকের মতো পুরানো হয়ে যাবে।
12 তুমি সেসব পোশাকের মতো গুটিয়ে রাখবে;
আর পোশাকের মতো সেগুলির পরিবর্তন হবে।
কিন্তু তোমার কোন পরিবর্তন হবে না,
তোমার অনুগ্রহ শেষ হবে না।”(E)
13 কিন্তু ঈশ্বর স্বর্গদূতদের মধ্যে কাউকে কখনও বলেন নি:
“আমি তোমার শত্রুদের যতক্ষণ না তোমার পদানত করি,
তুমি আমার ডানপাশে বস।”(F)
14 ঐ স্বর্গদূতরা কি পরিচর্যাকারী আত্মা নয়? আর যাঁরা পরিত্রাণ লাভ করেছে তাদের পরিচর্যা করার জন্যই কি এদের পাঠানো হয় নি?
যীশুর পৃথিবীতে আগমন
1 আদিতে বাক্য[a] ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন আর সেই বাক্যই ছিলেন ঈশ্বর। 2 সেই বাক্য আদিতে ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন। 3 তাঁর মাধ্যমেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়েছিল এবং এর মধ্যে তাঁকে ছাড়া কোন কিছুরই সৃষ্টি হয় নি। 4 তাঁর মধ্যে জীবন ছিল; আর সেই জীবন জগতের মানুষের কাছে আলো নিয়ে এল। 5 সেই আলো অন্ধকারের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে উঠল; আর অন্ধকার সেই আলোকে জয় করতে পারে নি।
6 একজন লোক এলেন তাঁর নাম যোহন; ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। 7 তিনি সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য সাক্ষী রূপে এলেন যাতে তাঁর মাধ্যমে সকল লোক সেই আলোর কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারে। 8 যোহন নিজে সেই আলো ছিলেন না; কিন্তু তিনি এসেছিলেন যাতে লোকদের কাছে সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন। 9 প্রকৃত যে আলো, তা সকল মানুষকে আলোকিত করতে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
10 সেই বাক্য জগতে ছিল এবং এই জগত তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল; কিন্তু জগত তাঁকে চিনতে পারে নি। 11 যে জগত তাঁর নিজস্ব সেখানে তিনি এলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকরাই তাঁকে গ্রহণ করল না। 12 কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল। যারা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন। 13 ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি। মা-বাবার দৈহিক কামনা-বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের এই জন্ম।
14 বাক্য মানুষের রূপ ধারণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বসবাস করতে লাগলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর যে মহিমা, সেই মহিমা আমরা দেখেছি। সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পরিপূর্ণ ছিলেন। 15 যোহন তাঁর সম্পর্কে মানুষকে বললেন, “ইনিই তিনি যাঁর সম্বন্ধে আমি বলেছি। ‘যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।’”
16 সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পূর্ণ ছিলেন। আমরা সকলে তাঁর থেকে অনুগ্রহের ওপর অনুগ্রহ পেয়েছি। 17 কারণ মোশির মাধ্যমে বিধি-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অনুগ্রহ ও সত্যের পথ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে এসেছে। 18 ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি; কিন্তু একমাত্র পুত্র, যিনি পিতার কাছে থাকেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International