Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত।
101 আমি প্রেম এবং ন্যায়ের গান গাইবো।
প্রভু, আমি আপনার উদ্দেশ্যে গান গাইবো।
2 আমি একজন বিচক্ষণ লোকের মত শুদ্ধ হৃদয় নিয়ে
একটি শুদ্ধ জীবনযাপন করব।
আপনি আমার গৃহের একান্ত অভ্যন্তরভাগে কখন আসবেন?[a]
3 আমার সামনে কোন মূর্ত্তি আমি রাখবো না।
ওরকম ভাবে যারা আপনার বিরুদ্ধে যায় তাদের আমি ঘৃণা করি।
আমি তা করবো না!
4 আমি সৎ থাকবো।
আমি কোন মন্দ কাজ করবো না।
5 যদি কেউ গোপনে তার প্রতিবেশী সম্পর্কে মন্দ কথা বলে,
আমি তাকে চুপ করিয়ে দেবো।
আমি লোকেদের কখনই উদ্ধত হতে দেবো না
এবং তাদের ভাবতে দেবো না যে তারা অন্যান্যদের চেয়ে ভালো।
6 আমি সমস্ত দেশের মধ্যে সেই সব লোকেদের খুঁজবো যাদের ওপর নির্ভর করা যায়।
এবং একমাত্র তাদেরই আমার সেবা করতে দেবো।
যারা পবিত্র জীবনযাপন করে একমাত্র তারাই আমার সেবক হবে।
7 আমি মিথ্যেবাদীদের আমার গৃহের গোপন
অভ্যন্তরভাগে বাস করতে দেব না।
8 এই দেশে যে সব মন্দ লোক বাস করে, সব সময়েই আমি তাদের ধ্বংস করবো।
মন্দ লোকদের আমি প্রভুর শহর ছেড়ে যেতে বাধ্য করবো।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
109 ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা শোনা থেকে বিরত হবেন না!
2 দুষ্ট লোকরা আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছে।
যা সত্য নয় ওরা তাই বলছে।
3 লোকেরা আমার সম্পর্কে অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলছে।
অকারণে লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
4 আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম, কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করে।
তাই ঈশ্বর, এখন আমি আপনার কাছে শরণাগত।
5 আমি ওইসব লোকেদের জন্য ভাল কাজই করেছিলাম
কিন্তু ওরা আমার প্রতি মন্দই করেছে।
আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম,
কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করেছে।
6 আমার শত্রু যে মন্দ কাজ করেছে তার জন্য ওকে শাস্তি দিন।
একজন লোককে খুঁজে বার করুন যে প্রমাণ দেবে ও ভুল করেছে।
7 বিচারককে এই সিদ্ধান্ত নিতে দিন যে আমার শত্রু ভুল করেছে এবং সে দোষী।
আমার শত্রুরা যা যা বলে তা যেন ওর পক্ষে অহিতকরই হয়।
8 আমার শত্রুর শীঘ্রই মৃত্যু হোক্।
অন্য লোকরা তার স্থান নিক।
9 আমার শত্রুর সন্তানদের অনাথ
এবং তার স্ত্রীকে বিধবা করে দিন।
10 ওরা যেন ঘর বাড়ী হারিয়ে
ভিখারী হয়ে যায়।
11 আমার শত্রু যার কাছে ঋণী সে যেন ওর সব কিছু নিয়ে নেয়।
আমার শত্রু যে সব জিনিসের জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছিল, সেগুলো কোন আগন্তুক এসে নিয়ে যাক।
12 কামনা করি, কোন লোক যেন আমার শত্রুর প্রতি সদয় না হয়।
কামনা করি, কোন লোক যেন ওর ছেলেদের প্রতি ক্ষমা না দেখায়।
13 আমার শত্রুকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিন।
পরবর্তী প্রজন্ম যেন সব কিছু থেকে ওর নাম মুছে দেয়।
14 প্রভু যেন আমার শত্রুর পূর্বপুরুষদের পাপ সম্পর্কে অবগত হোন।
ওর মায়ের পাপও যেন কখনও ধুয়ে না যায়।
15 আমি আশা করি প্রভু চিরদিন ওই সব পাপগুলো স্মরণে রাখবেন।
এবং আমি আশা করি, আমার শত্রুকে সম্পূর্ণ ভুলে যেতে তিনি লোকদের বাধ্য করবেন।
16 কেন? কারণ ওই মন্দ লোকটা কোনদিন কোন ভালো কাজ করে নি।
সে কোনদিন কাউকে ভালোবাসে নি।
দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনকে সে কঠিন করে তুলেছিলো।
17 ওই লোকটা সর্বদাই অন্যদের অভিশাপ দিতে ভালবাসত।
তাই ওর ক্ষেত্রেই ওই সব মন্দ বিষয় ফলতে দিন।
ওই মন্দ লোকটা কোনদিন চায় নি, অন্য কারো ভালো হোক্।
তাই ওর ভালো হতে দেবেন না।
18 অভিশাপ যেন ওর বস্ত্র হয়।
অভিশাপ যেন ওর তৃষ্ণার জল হয়,
অভিশাপগুলো যেন ওর দেহে মাখা তেল হয়।
19 দুষ্ট লোকে যে পোশাক পরে অভিশাপগুলো যেন সেই পোশাকসমূহ হয়
এবং অভিশাপই যেন ওদের কোমরবন্ধ হয়।
20 আমার শত্রুর প্রতি প্রভু যেন এসব করেন। যারা আমায় খুন করতে চায় তাদের প্রতি প্রভু যেন এসব করেন।
21 প্রভু, আপনি আমার সদাপ্রভু। তাই আমার প্রতি এমন ব্যবহার করুন যা আপনার নামের মর্যাদা এনে দেবে।
আপনার প্রেম খুব মহান, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 আমি নিছক একজন অসহায় দরিদ্র মানুষ।
প্রকৃতই আমি ভগ্ন হৃদয়ের এক দুঃখী মানুষ।
23 আমি এমন অনুভব করি যেন, বেলা শেষের লম্বা ছায়ার মত আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।
আমি নিজেকে অগ্রাহ্য করা ছারপোকার মত মনে করি।
24 ক্ষুধার কারণে আমার হাঁটু দুটো দুর্বল।
ওজন কমে গিয়ে আমি ক্রমশঃই রোগা হয়ে যাচ্ছি।
25 মন্দ লোকরা আমায় অপমান করে।
আমার দিকে তাকিয়ে ওরা মাথা নাড়ায়।
26 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমায় সাহায্য করুন।
আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন!
27 তখন ওই লোকরা জানতে পারবে যে আপনি আমায় সাহায্য করেছিলেন।
ওরা জানতে পারবে যে আপনার শক্তিই আমাকে সাহায্য করেছিলো।
28 ওই মন্দ লোকরা আমায় অভিশাপ দেয়।
কিন্তু আপনি আমায় আশীর্বাদ করতে পারেন প্রভু।
ওরা আমায় আক্রমণ করেছে, তাই ওদের পরাজিত করুন।
তাহলে আপনার দাস, আমি সুখী হব।
29 আমার শত্রুদের বিব্রত করে দিন!
ওদের বস্ত্রাবরণ হিসেবে ওরা যেন ওদের লজ্জাই পরিধান করে।
30 আমি প্রভুকে ধন্যবাদ দিই।
বহু লোকদের সামনে আমি তাঁর প্রশংসা করি।
অয়িন
121 যা সঠিক এবং ভালো আমি তাই করেছি।
হে প্রভু, যারা আমায় উৎপীড়ন করে এমন লোকেদের হাতে আমায় সমর্পণ করবেন না।
122 আপনার দাস, আমার প্রতি ভাল ব্যবহার করবার প্রতিশ্রুতি করুন।
হে প্রভু, ঐ অহঙ্কারী লোকেদের আমাকে উৎপীড়ন করতে দেবেন না।
123 হে প্রভু, আপনার সাহায্যের আশায় থেকে
এবং আপনার সুন্দর বাক্যের প্রত্যাশায় আমার দু চোখ ক্লান্ত।
124 আমি আপনার দাস। আমার প্রতি আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
আমাকে আপনার বিধিগুলো শেখান।
125 আমি আপনার দাস।
আমি যাতে আপনার চুক্তি জানতে পারি, আমায় বুঝতে সাহায্য করুন।
126 প্রভু এখন আপনার কিছু করার সময় এসেছে।
লোকরা আপনার বিধি ভঙ্গ করেছে।
127 প্রভু আপনার বিধিগুলোকে
আমি সব থেকে খাঁটি সোনার চেয়েও ভালোবাসি।
128 আপনার সব আজ্ঞা আমি খুব যত্ন করে পালন করি।
ভ্রান্ত শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি।
পে
129 হে প্রভু, আপনার চুক্তি সত্যিই বিস্ময়কর।
সেই জন্য আমি তা অনুসরণ করি।
130 যখন লোকেরা আপনার বানীসমুহ বুঝতে শুরু করে,
তা একটি আলোর মত যেটা তাদের সঠিক পথে বেঁচে থাকার পথ দেখায়।
131 হে প্রভু, আমি সত্যিই আপনার আজ্ঞাগুলো অধ্যয়ন করতে চাই।
আমি সেই লোকের মত যার নিঃশ্বাস ভারী হয়েছে এবং অধৈর্য্য হয়ে প্রতীক্ষা করছে।
132 ঈশ্বর আমার দিকে দেখুন, আমার প্রতি সদয় হন,
যারা আপনার নাম ভালোবাসে তাদের পক্ষে যা হিতকর তাই করুন।
133 প্রভু, আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় পরিচালিত করুন।
আমার প্রতি ক্ষতিকর কিছু ঘটতে দেবেন না।
134 হে প্রভু, যে সব লোক আমায় আঘাত করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন
এবং আমি আপনার আজ্ঞা মান্য করবো।
135 প্রভু, আপনার দাসকে গ্রহণ করুন
এবং আমাকে আপনার বিধি শিক্ষা দিন।
136 লোকে আপনার শিক্ষামালাকে মান্য করে না।
সেইজন্য আমি এত কেঁদেছি যে আমার চোখের জলে একটা নদী বইয়ে দিয়েছি।
সাদে
137 হে প্রভু, আপনি মঙ্গলময়
এবং আপনার বিধিগুলোও ন্যায্য ও সৎ।
138 আপনার চুক্তিতে আপনি আমাদের জন্য ভালো এবং ন্যায্য বিধিসমূহ দিয়েছেন।
আমরা সত্যি তাদের ওপর নির্ভর করতে পারি।
139 আমার প্রবল উদ্দীপনা আমায় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আমার শত্রুরা আপনার আজ্ঞাগুলো ভুলে গেছে তাই আমি এত বিমর্ষ হয়ে রয়েছি।
140 আমরা যে আপনার বাক্যকে বিশ্বাস করতে পারি,
আমাদের কাছে সেই প্রমাণ আছে এবং আমি তা ভালোবাসি।
141 আমি একজন তরুণ লোক এবং লোকে আমায় সম্মান করে না।
কিন্তু আমি আপনার আজ্ঞা ভুলি নি।
142 আপনার ধার্ম্মিকতা চিরন্তন
এবং আপনার শিক্ষাগুলিকে বিশ্বাস করা যায়।
143 আমার সমস্যা এবং দুঃসময় ছিল।
কিন্তু আমি আপনার নির্দেশ উপভোগ করি।
144 আপনার চুক্তি চিরকালের জন্য ভালো ও ন্যায্য।
আমাকে বুঝতে সাহায্য করুন যাতে আমি বাঁচতে পারি।
তাঁর লোকদের সাহায্য করতে ঈশ্বরের জন্য একটি প্রার্থনা
15 প্রভু, স্বর্গ থেকে নিজে তাকিয়ে দেখুন।
এখন কি ঘটে চলেছে?
আপনি স্বর্গস্থিত আপনার পবিত্র আবাস থেকে আমাদের দেখুন।
আমাদের প্রতি আপনার সেই গভীর প্রেম কোথায়?
আপনার ভিতর থেকে বার হয়ে আসা শক্তিশালী কর্মকাণ্ড কোথায়?
আমার জন্য আপনার ক্ষমা কোথায়?
আমার থেকে কেন আপনার উদার প্রেম সরিয়ে রেখেছেন?
16 দেখুন, আপনি আমাদের পিতা!
অব্রাহাম আমাদের জানে না।
ইস্রায়েল (যাকোব) আমাদের স্বীকার করে না।
প্রভু, আপনি আমাদের পিতা!
আপনি আমাদের ঈশ্বর যিনি সর্বদা আমাদের রক্ষা করেন।
17 প্রভু, কেন আপনি আমাদের আপনার কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন?
কেন আপনি আপনাকে অনুসরণ করা আমাদের পক্ষে কঠিন করে তুলেছেন?
প্রভু আমাদের কাছে ফিরে আসুন।
আমরা আপনার দাস।
আমাদের কাছে এসে আমাদের সাহায্য করুন।
আমাদের পরিবারসমূহ আপনার অধিকারভুক্ত।
18 আপনার পবিত্র লোকরা মাত্র কিছু সময়ের জন্য তাদের জায়গায় বাস করত।
তখন আমাদের শত্রুরা আপনার পবিত্র মন্দিরের ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়েছিল।
19 বহুকাল ধরে আমরা সেই লোক ছিলাম যারা আপনার দ্বারা শাসিত ছিলাম না।
যাদের আপনার নামে ডাকা হয়নি।
কেন আপনি আকাশ ছিন্ন করে নেমে আসেন না?
তাহলে পর্বতগুলি আপনার সামনে কাঁপবে।
64 আপনি যদি আকাশ ছিঁড়ে খুলে ফেলে পৃথিবীতে এসে পড়েন
তবে সব পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পাহাড় আপনার সামনে গলে যাবে।
2 জ্বলন্ত গুল্মলতার মতো পাহাড় পুড়বে।
আগুনের ওপর জলের মতো পাহাড় সেদ্ধ হবে।
তখন আপনার শত্রুরা আপনার বিষয়ে জানতে পারবে।
তারা যখন আপনাকে দেখবে তখন প্রত্যেক জাতিই ভয় পাবে।
3 কিন্তু সত্যিই আমরা এসব চাই না।
আপনার সামনে পাহাড় গলে যাবে।
4 আপনার লোকরা সত্যিই আপনার কথা শোনেনি।
আপনার লোকরা কখনও আপনার কথা শোনেনি।
কেউ কখনও আপনার মতো একজন ঈশ্বর দেখেনি।
আপনিই একমাত্র, আর কোন ঈশ্বর নেই।
যদি লোকরা ধৈর্য্য সহকারে আপনার সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করে
তবেই আপনি তাদের জন্য মহান কাজ করবেন।
5 যারা ভাল কাজ করে তাদের সঙ্গেই আপনি থাকেন।
যে পথে আপনি চান সেই পথেই তাঁরা জীবনযাপন করেন।
কিন্তু অতীতে আমরা পাপ করেছি
এবং তাই আপনি ক্রুদ্ধ ছিলেন।
কিন্তু এখন আমরা কিভাবে রক্ষা পাবো?
6 আমরা সবাই পাপের জন্য নোংরা হয়ে উঠেছি।
এমন কি আমাদের ভাল কাজও অশুদ্ধ।
আমাদের ভালো কাজগুলো রক্তে রঞ্জিত পোশাকের মত।
আমরা সবাই মরা পাতার মত।
আমাদের পাপ আমাদের বাতাসের মতো বয়ে নিয়ে চলেছে।
7 আমরা আপনার উপাসনা করি না।
আমরা আপনার নামে বিশ্বাস রাখি না।
আমরা আপনাকে অনুসরণ করতে উৎসাহিত নই।
তাই আপনি আপনার মুখ আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছেন।
আপনি আমাদের পাপের জন্য আমাদের গলিয়ে দিয়েছেন।
8 কিন্তু প্রভু আপনি আমাদের পিতা।
আমরা মাটির পিণ্ডের মতো এবং আপনি মৃৎশিল্পী।
আপনার হাত আমাদের সৃষ্টি করেছে।
9 প্রভু, আমাদের ওপর ক্রোধ পুষে রাখবেন না।
আমাদের পাপ চিরকাল মনে রাখবেন না।
আমাদের দিকে দয়া করে তাকান!
আমরা আপনারই লোক।
মণ্ডলীর নেতারা
3 একথা সত্য, যদি কেউ মণ্ডলীর তত্ত্বাবধায়কের কাজে আগ্রহী হন, তবে তিনি এক উত্তম কাজ আশা করেন। 2 তত্ত্বাবধায়ককে অতি অবশ্যই সমালোচনার উর্দ্ধে থাকতে হবে। তিনি এক স্ত্রীর স্বামী হবেন। তাঁকে হতে হবে আত্মসংযমী, ভদ্র, সম্মানীয়, অতিথিসেবক এবং শিক্ষাদানে পারদর্শী মানুষ। 3 প্রচুর দ্রাক্ষারস পান করা তাঁর উচিত হবে না। তিনি উগ্রপ্রকৃতির মানুষও হবেন না। তিনি হবেন ভদ্র ও শান্তিপ্রিয়। অর্থের প্রতি তাঁর লোভ থাকবে না। 4 তাঁকে এমনই মানুষ হতে হবে যিনি নিজের ঘর সংসার সুষ্ঠভাবে চালাতে পারেন, নিজের ছেলেমেয়েদের সুশাসনে রাখতে পারেন যাতে তিনি তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা পান। 5 কেউ যদি নিজের সংসার চালনা করতে না জানে, তবে সে কেমন করে ঈশ্বরের মণ্ডলীর তত্ত্বাবধান করবে?
6 কোন নবদীক্ষিত শিষ্য যেন মণ্ডলীর তত্ত্বাবধায়ক না হয়। এতো শীঘ্রই তাকে এই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে ভেবে সে হয়তো অহঙ্কারী হয়ে উঠবে। তখন দিয়াবলের মতো তার গর্বের জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে; 7 আর বাইরের লোকদের কাছেও তার সুনাম থাকা দরকার, যাতে সে কোনভাবে অপদস্থ না হয় এবং শয়তানের ফাঁদে না পড়ে।
মণ্ডলীর পরিচারক
8 সেইরকম পরিচারকদেরও সকলের শ্রদ্ধা পাবার যোগ্য মানুষ হতে হবে। তারা যেন এক কথার মানুষ হয়, মাত্রা ছাড়িয়ে দ্রাক্ষারস পান না করে, অপরকে ঠকিয়ে ধনী হবার চেষ্টা না করে। 9 তারা যেন নির্মল বিবেক সম্পন্ন হয় এবং খ্রীষ্টীয় ধর্ম বিশ্বাসের প্রকাশিত গভীর সত্যগুলি নিয়ে আঁকড়ে থাকে। 10 প্রথমে তাদের যাচাই করা হোক্। যদি তাদের মধ্যে নিন্দনীয় কিছু না থাকে, তাহলেই তারা পরিচারকরূপে সেবা করতে পারবে।
11 সেইভাবে মণ্ডলীতে মহিলাদেরও সকলের শ্রদ্ধেয়া হতে হবে। তাঁরা যেন অপরের নামে কুৎসা না রটান, যেন মিতাচারী ও সব ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য হন।
12 মণ্ডলীর পরিচারকদের যেন একটি মাত্র স্ত্রী থাকে, তারা যেন ভালভাবে তাদের সন্তানদের পালন করতে ও সংসার পরিচালনা করতে পারে। 13 কারণ যে পরিচারকরা ভালভাবে কাজ করে, তারা সুনাম অর্জন করে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে তাদের বিশ্বাসে সাহসী হয়ে ওঠে।
আমাদের জীবনের নিগূঢ়তত্ত্ব
14 যদিও আমি আশা করছি শীঘ্রই তোমাদের কাছে যাব তবু তোমাদের এসব লিখলাম। 15 কারণ যদি আমার দেরী হয়, তাহলে যেন তোমরা জানতে পার যে ঈশ্বরের পরিবারের মধ্যে কেমন আচার আচরণ করতে হয়, যা জীবন্ত ঈশ্বরের মণ্ডলী—এই মণ্ডলী হল সত্যের স্তম্ভ ও দৃঢ় ভিত। 16 একথা কেউই অস্বীকার করতে পারে না যে আমাদের ধর্মের নিগূঢ় সত্য অতি মহান:
খ্রীষ্ট মনুষ্য দেহে প্রকাশিত হলেন,
পবিত্র আত্মার শক্তিতে যথার্থ প্রতিপন্ন হলেন,
স্বর্গদূতরা তাঁর দর্শন পেলেন।
সর্বজাতির মধ্যে তাঁর সুসমাচার প্রচারিত হল,
জগতের মানুষ তাঁর প্রতি বিশ্বাসী হয়ে উঠল,
পরে স্বমহিমায় তিনি স্বর্গে উন্নীত হলেন।
যীশুর কর্ত্তৃত্বের বিষয়ে ইহুদী নেতাদের সন্দেহ
(মথি 21:23-27; লূক 20:1-8)
27 পরে তাঁরা জেরুশালেমে ফিরে এলেন। আর যখন তিনি মন্দিরের মধ্যে দিয়ে হাঁটছেন, সেই সময় প্রধান যাজকরা, ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও বয়স্ক ইহুদী নেতারা তাঁর কাছে এলেন। 28 তাঁরা তাকে বললেন, “কোন ক্ষমতায় তুমি এসব করছ? এসব করতে তোমাকে কেই বা এই ক্ষমতা দিয়েছে?”
29 যীশু তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করছি, যদি তোমরা উত্তর দিতে পারো, তাহলে আমি তোমাদের বলব কোন ক্ষমতায় এসব করছি। 30 যোহন যে বাপ্তাইজ করেছিলেন তা করার অধিকার তিনি স্বর্গ থেকে পেয়েছিলেন না মানুষের কাছ থেকে পেয়েছিলেন? আমাকে বলো।”
31 তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বললেন, “যদি আমরা বলি, ‘স্বর্গ থেকে,’ তাহলে বলবে ‘তবে তোমরা তাকে বিশ্বাস কর নি কেন?’ 32 কিন্তু যদি আমরা বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তাহলে জনসাধারণ আমাদের ওপর রেগে যাবে।” (তাঁরা জনসাধারণকে ভয় করতেন কারণ জনসাধারণের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে যোহন একজন ভাববাদী।)
33 তাই তাঁরা যীশুকে বললেন, “আমরা জানি না।”
তখন যীশু তাঁদের বললেন, “তবে আমিও কোন্ ক্ষমতায় এসব করছি, তা তোমাদের বলব না।”
ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠালেন
(মথি 21:33-46; লূক 20:9-19)
12 তখন যীশু দৃষ্টান্ত দিয়ে তাদের কাছে বলতে লাগলেন, “একটি লোক দ্রাক্ষা ক্ষেতের চারদিকে বেড়া দিলেন। তিনি দ্রাক্ষা মাড়াই করতে একটি গর্ত খুঁড়লেন, একটি উঁচু ঘর তৈরী করলেন এবং সেই ক্ষেত চাষীদের কাছে জমা দিয়ে অন্য দেশে চলে গেলেন।
2 “এরপর চাষীদের কাছে ফলের পাওনা অংশ পাবার জন্য তাদের কাছে ঠিক সময়ে তাঁর চাকরকে পাঠিয়ে দিলেন। 3 কিন্তু চাষীরা তাকে মারধর করে খালি হাতে ফিরিয়ে দিল। 4 তিনি আর একজন চাকরকে তাদের কাছে পাঠালেন, তারা তার মাথায় আঘাত করল, 5 এবং তাকে অপমান করল। তখন তিনি আর একজন চাকরকে পাঠালেন, তারা তাকে মেরে ফেলল। এইভাবে তিনি আরো অনেককে পাঠালেন। তারা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মারধোর করল এবং কয়েকজনকে মেরেই ফেলল।
6 “তাঁর একমাত্র প্রিয় পুত্র ছিল। তিনি শেষ পর্যন্ত তাঁকেই পাঠালেন, ভাবলেন তারা নিশ্চয়ই তাঁর পুত্রকে সম্মান করবে।
7 “চাষীরা তখন নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, ‘এই তো মালিকের ছেলে, ওর বাবা মরলে ক্ষেতের মালিক তো ওই হবে, এস! একে মেরে ফেলো, তাহলে আমরা ক্ষেতের মালিক হব।’ 8 তখন তারা তাকে মেরেই ফেলল ও তার মৃতদেহটি দ্রাক্ষা ক্ষেতের বাইরে ফেলে দিল।
9 “তখন সেই দ্রাক্ষা ক্ষেতের মালিক কি করবেন? তিনি এসে চাষীদের মেরে ফেলবেন এবং সেই দ্রাক্ষা ক্ষেতটি অন্যদের দিয়ে দেবেন। 10 শাস্ত্রের এই কথা কি তোমরা পড় নি,
‘যে পাথর রাজমিস্ত্রিরা বাতিল করেছিল
সেটিই হয়ে উঠল কোণের প্রধান পাথর?
11 এটা প্রভুই করেছেন,
আর আমাদের চোখে এটা খুব চমকপ্রদ।’”(A)
12 তখন তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করতে লাগল, কিন্তু লোকদের ভয় পেল, কারণ তারা জানত যে দৃষ্টান্তটি তিনি তাদের উদ্দেশ্যেই বলেছেন, তাই তারা তাঁকে ছেড়ে চলে গেল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International