Book of Common Prayer
কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত। সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ সম্পর্কে ইষ্রাহীয় হেমনের একটি মস্কীল।
88 প্রভু ঈশ্বর, আপনিই আমার পরিত্রাতা।
দিন রাত্রি ধরে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
2 আমার প্রার্থনার দিকে মনোযোগ দিন।
করুণার জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
3 আমার আত্মা এই যন্ত্রণায় অনেক কষ্ট পেয়েছে!
খুব তাড়াতাড়ি আমি মারা যাবো।
4 ইতিমধ্যেই লোকরা আমার সঙ্গে সেই রকম আচরণ শুরু করেছে, যা একজন মৃতের প্রতি করা হয়,
অথবা একজন লোক যে বেঁচে থাকার পক্ষে খুব দুর্বল তার সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হয়।
5 ওরা মৃতদের মধ্যে আমাকে খোঁজে।
আমি সেই মৃত লোকের মত কবরে পড়ে আছি,
যে মৃত লোককে আপনি ভুলে গেছেন,
যে আপনার থেকে এবং আপনার যত্ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
6 আপনি আমাকে মাটির সেই গর্তে পুরে দিয়েছেন।
হ্যাঁ, আপনি আমাকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছেন।
7 হে ঈশ্বর, আপনি আমার প্রতি ক্রোধান্বিত ছিলেন
এবং আপনি আমায় শাস্তি দিয়েছেন।
8 আপনি আমার বন্ধুদের আমায় ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছেন।
অচ্ছুত লোকের মত ওরা সবাই আমাকে এড়িয়ে যায়।
আমি গৃহবন্দী হয়ে আছি, আমি বাইরে যেতে পারি না।
9 যন্ত্রণায় কেঁদে কেঁদে আমার চোখ টন্টন্ করছে।
প্রভু, সারাক্ষণ আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি!
প্রার্থনার সময় আমার দুটি বাহু আমি আপনার দিকে তুলে ধরি।
10 প্রভু, আপনি কি মৃত লোকদের জন্য অলৌকিক কাজসমূহ করেন?
প্রেতরা কি জেগে উঠে আপনার প্রশংসা করে? না!
11 কবরে থাকা লোকরা কি আপনার সত্য প্রেম সম্বন্ধে কথা বলতে পারে?
মৃত্যুর জগতে থাকা লোকেরা কি আপনার বিশ্বস্ততার কথা বলতে পারে? না!
12 যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেন, অন্ধকারে থাকা মৃতরা তা দেখতে পায় না।
বিস্মৃতির দেশে মৃত লোকেরা আপনার ধার্ম্মিকতার কথা বলতে পারে না।
13 প্রভু, আমাকে সাহায্য করার জন্য আপনার কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছি!
প্রত্যেকদিন উষাকালে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি।
14 প্রভু কেন আপনি আমায় ত্যাগ করেছেন?
কেন আপনি আমার কথা শুনতে পান না?
15 তরুণ বয়স থেকেই আমি অসুস্থ ও দুর্বল।
আমি আপনার ক্রোধ ভোগ করেছি।
আমি আপনার ক্রোধের শিকার হয়েছি।
আমি অসহায়!
16 প্রভু, আপনার ক্রোধ
আমাকে ধ্বংস করেছে।
17 জ্বালা-যন্ত্রণা আমার নিত্যসঙ্গী।
আমার মনে হচ্ছে যেন, আমি আমার জ্বালা-যন্ত্রণায় ডুবে যাচ্ছি।
18 প্রভু, আমার প্রিয়জন ও বন্ধুদের থেকে আপনি আমার বিচ্ছিন্ন করেছেন।
একমাত্র অন্ধকারই আমার সঙ্গী হওয়ার জন্য অবশিষ্ট রয়েছে।
91 গুপ্ত আশ্রয় লাভের জন্য তুমি পরাৎপরের কাছে যেতে পারো।
সুরক্ষার জন্য তুমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যেতে পারো।
2 আমি প্রভুকে বলেছি, “আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল, আপনিই আমার দুর্গ।
হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাকে বিশ্বাস করি।”
3 ভয়ঙ্কর ব্যাধি এবং গুপ্ত বিপদ থেকে
ঈশ্বর তোমায় রক্ষা করবেন।
4 নিরাপত্তার জন্য তুমি ঈশ্বরের কাছে যেতে পারো।
যেমন করে পাখি তার ডানা মেলে তার শাবকদের আগলে রাখে, তেমন করে, ঈশ্বর তোমায় রক্ষা করবেন।
তোমায় রক্ষা করার জন্য ঈশ্বর হবেন একটি ঢাল ও প্রাচীরের মত।
5 রাতে তোমার ভয় পাওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
দিনের বেলাতেও শত্রুর তীরকে তুমি ভয় পাবে না।
6 নিশাকালে যে অসুখ আসে তাকে তুমি ভয় পাবে না,
কিংবা দিনের বেলায় যে ভয়ঙ্কর অসুস্থতা আসে তাকেও তুমি ভয় পাবে না।
7 তুমি 1000 হাজার শত্রুকে পরাজিত করতে পারবে।
তোমার নিজের ডান হাত 10,000 শত্রু সৈন্যকে পরাজিত করবে।
শত্রুরা তোমায় স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারবে না!
8 লক্ষ্য করে দেখ, দেখবে যে
ওই দুষ্ট লোকদের শাস্তি হয়েছে!
9 কেন? কারণ তুমি ঈশ্বরে আস্থা রাখ।
কারণ পরাৎপরকে তুমি তোমার নিরাপদ আশ্রয়স্থলরূপে গ্রহণ করেছ।
10 তোমার কোন অমঙ্গল হবে না।
তোমার বাড়ীতে কোন অসুখ থাকবে না।
11 ঈশ্বর তাঁর দূতদের আজ্ঞা দেবেন
এবং তুমি যেখানেই যাবে তারা তোমায় রক্ষা করবে।
12 তোমার পা যাতে পাথরে হোঁচট না খায়,
সেই জন্য ওদের হাত তোমায় ধরে থাকবে।
13 বিষধর সাপ, এমন কি সিংহের মধ্যে দিয়েও
তুমি হেঁটে যেতে পারবে।
14 প্রভু বলেন, “যদি কোন ব্যক্তি আমাকে ভালবাসে এবং বিশ্বাস করে, আমি তাকে রক্ষা করবো।
আমার অনুগামীরা যারা আমার নাম উপাসনা করে, তাদের আমি রক্ষা করবো।
15 আমার অনুগামীরা সাহায্যের জন্য আমায় ডাকবে এবং আমি তাদের সাড়া দেবো।
যখন তারা সমস্যায় পড়বে তখন আমি ওদের সঙ্গে থাকবো।
আমি ওদের রক্ষা করবো এবং সম্মান দেবো।
16 আমার অনুগামীদের আমি দীর্ঘ জীবন দেবো।
আমি ওদের রক্ষা করবো।”
বিশ্রাম দিবসের জন্য একটি প্রশংসা গীত।
92 প্রভুর প্রশংসা করাই ভাল।
হে পরাৎপর, আপনার নামের প্রশংসা করাই ভাল।
2 প্রাতঃকালে আপনার প্রেমের গান
এবং নিশাকালে আপনার বিশ্বস্ততার গান গাওয়াই ভালো।
3 ঈশ্বর, দশ তারা যন্ত্রে এবং বীণায়
আপনার জন্য সুর বাজানো ভাল।
4 প্রভু, যে সব জিনিস আপনি করেছেন তা দিয়ে আমাদের প্রকৃতই সুখী করেছেন।
আমরা প্রফুল্লচিত্তে ওই সব বিষয়ের গুণগান করি।
5 প্রভু, আপনি সেই সব মহৎ কাজ করেছেন।
আপনার চিন্তা বুঝে ওঠা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন।
6 আপনার তুলনায় মানুষ এক্কেবারে নির্বোধ প্রাণী।
আমরা সেই বোকাদের মত যারা কিছুই বুঝতে পারে না।
7 দুষ্ট লোকরা আগাছার মত বেঁচে থেকে এবং মরে।
যে অর্থহীন কাজ তারা করে যায়, তা চিরদিনের জন্য ধ্বংস হবে।
8 কিন্তু প্রভু, আপনি চিরদিনের জন্য সম্মানিত থাকবেন।
9 প্রভু, আপনার সব শত্রু ধ্বংস হবে।
সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে, তারা ধ্বংস হবে।
10 একটা গণ্ডার যেমন তার বিশাল খড়্গ দিয়ে আক্রমণ করে, আমিও সেই ভাবে, যারা আমার বিরোধিতা করে, সেইসব দুষ্ট লোকদের আক্রমণ করব।
বিশেষ কাজের জন্য আপনি আমায় মনোনীত করেছেন এবং গন্ধ তেল মাথায় ঢেলে আমায় অভিষিক্ত করেছেন।
11 চারপাশে আমি শত্রুদের দেখতে পাচ্ছি, বিরাট বলদের মত ওরা আমায় আক্রমণের জন্য তৈরী হয়ে রয়েছে।
আমি শুনছি ওরা আমার সম্পর্কে কি বলছে।
12 ধার্ম্মিক লোকরা প্রভুর মন্দিরে পোঁতা
লিবানোনের এরস গাছের মত।
13 ধার্ম্মিক লোকরা ঈশ্বরের মন্দিরে
অঙ্গনের কুসুমিত তাল গাছের মত।
14 তাদের বৃদ্ধ বয়সেও,
তারা স্বাস্থ্যবান তরুণ গাছের মতই ফল ধারণ করে।
15 প্রভু যে ভাল
এটা দেখানোর জন্যই ওরা ওখানে আছে।
তিনিই আমার শিলা
এবং তিনি কোন ভুল করেন না।
প্রভুর স্বাধীনতার বার্তা
61 প্রভুর দাস বলেন, “প্রভু, আমার সদাপ্রভু, তাঁর আত্মা আমার মধ্যে দিয়েছেন। গরীবদের সঙ্গে কথা বলবার জন্য, তাদের ভগ্নহৃদয়ের ক্ষতে বন্ধনী জড়াবার জন্য এবং দুঃখীকে আরাম দেবার জন্য প্রভু আমাকে মনোনীত করেছেন। ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন নির্যাতিতদের ও বন্দীদের জানাতে যে, তারা মুক্ত হচ্ছে। 2 ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর উদারতা কখন দেখা যাবে সে সময়ের কথা ঘোষণা করার জন্য। দুষ্ট লোকদের তাদের শাস্তির সময় ঘোষণা করবার জন্য প্রভু আমাকে পাঠিয়েছেন। ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন দুঃখীদের স্বস্তি দিতে। 3 ঈশ্বর আমাকে সিয়োনের বিমর্ষ লোকদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি তাদের তা ভোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলব। আমি তাদের মাথার ছাই দূরে সরিয়ে দেব। আমি তাদের রাজমুকুট দেব। আমি তাদের দুঃখকে সরিয়ে দিয়ে সুখের তেল দেব। আমি তাদের দুঃখ দূর করব এবং উপাচারের বস্ত্র দেব। ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন এইসব লোকদের ‘ভাল বৃক্ষ’ এবং ‘প্রভুর বিস্ময়কর চারা গাছ’ হিসেবে নাম দিতে।”
4 সেই সময় যে সব পুরানো শহরগুলি ধ্বংস হয়েছিল তা আবার নতুন করে গড়ে উঠবে। সেই শহরগুলি প্রারম্ভিক সৃষ্টির সময়ের মত আবার নতুন হয়ে উঠবে। শহরগুলি বহুকাল আগে ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু আবার তা নতুন করে গড়ে উঠবে।
5 তখন তোমার শত্রুরা তোমার কাছে এসে মেষদের যত্ন নেবে। তোমার শত্রুদের শিশুরা তোমার মাঠে ও বাগানে কাজ করবে। 6 তোমাকে বলা হবে ‘প্রভুর যাজক।’ ‘আমাদের ঈশ্বরের দাস।’ পৃথিবীর সব জাতিদের ধনসম্পদ তুমি পাবে এবং এর জন্য তুমি গর্বিত হবে।
7 অতীতে, লোকে তোমাকে লজ্জায় ফেলত এবং তোমার কাছে খারাপ কথা বলত। তুমি অন্য লোকদের চেয়ে অনেক বেশী লজ্জিত হয়েছিলে। তাই তুমি অন্যদের তুলনায় তোমার ভূখণ্ডে দ্বিগুণ সুবিধা পাবে। তুমি চিরকালের জন্য সুখ পাবে। 8 এসব কেন ঘটবে? কারণ আমি প্রভুর ধার্মিকতা ও ন্যায়বোধকে ভালবাসি। আমি চুরি করা এবং অন্যান্য মন্দ কাজকে ঘৃণা করি। তাই আমি লোকেদের তাদের প্রাপ্য পুরস্কার দেব। আমি চিরকালের মতো আমার লোকদের সঙ্গে একটি চুক্তি করব। 9 সব জাতির প্রতিটি লোক আমার লোকদের জানবে। যারাই তাদের দেখবে, জানতে পারবে যে প্রভুই তাদের আশীর্বাদ করেছেন।
শেষের দিনগুলি
3 একথা মনে রেখো যে শেষকালে ভয়ঙ্কর সময় আসছে। 2 কারণ লোকে তখন স্বার্থপর ও অর্থপ্রেমী হয়ে উঠবে। তারা গর্ব করবে, সবাইকে তুচ্ছ করবে ও পরনিন্দা করবে। লোকে তাদের মা-বাবার অবাধ্য হবে। তারা অকৃতজ্ঞ, অধার্মিক হবে। 3 অপর লোকদের জন্য তাদের স্নেহ-ভালবাসা থাকবে না। তারা অপরকে ক্ষমা করতে চাইবে না, বরং তারা অন্যের বিষয়ে নানা মন্দ কথা বলে বেড়াবে। লোকেরা আত্মসংযমী হবে না, হবে হিংস্র। তারা ভাল কিছু সইতে পারবে না। 4 শেষের দিনগুলিতে লোকেরা বিশ্বাসঘাতকতা করবে। বিবেচনা না করেই তারা হঠকারীর মতো কিছু করে বসবে। তারা আত্মগর্বে স্ফীত হবে। ঈশ্বরের চেয়ে বরং তারা ভোগবিলাসকেই ভালবাসবে। 5 তারা ধর্মের ঠাট বজায় রাখবে, কিন্তু ঈশ্বরের শক্তি প্রত্যাখ্যান করবে। তীমথিয়, এমন লোকদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চল।
6 এদের মধ্যে এমন লোক আছে, যারা চালাকি করে লোকের বাড়ি বাড়ি যায় এবং সেখানে তারা এমনসব নির্বোধ স্ত্রীলোকদের উপর প্রভুত্ব করে যারা পাপের দোষে পূর্ণ এবং সব রকমের ইচ্ছা দ্বারা চালিত। 7 সেই স্ত্রীলোকরা সতত নতুন শিক্ষা নিতে চেষ্টা করে; কিন্তু সেই সত্যকে পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হয় না। 8 আর যাম্নি ও যাম্বির কথা মনে কর; তারা মোশির বিরোধিতা করেছিল। সেইভাবে এই লোকেরাও সত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। এদের মন জঘন্য এবং এরা প্রকৃত বিশ্বাসের অনুসারী হতে পারে নি; 9 কিন্তু এরা তাদের কাজে কৃতকার্য হতে পারবে না। সবাই দেখতে পাবে যে তারা কতো নির্বোধ। যাম্নি ও যাম্বির বেলায়ও তাই হয়েছিল।
শেষ নির্দেশ
10 কিন্তু তুমি আমার সব কথাই জান। যা আমি শেখাই, যেভাবে আমি চলি সবই তুমি জান। আমার জীবনের কি লক্ষ্য তাও তুমি জান। তুমি আমার বিশ্বাস, ধৈর্য্য, ভালোবাসা ও সহিষ্ণুতার কথা জান। 11 আমার জীবনে নির্যাতন ও কষ্টভোগের কথাও তুমি জান। আন্তিয়খিয়া, ইকনিয় ও লুস্ত্রায় যখন আমি গিয়েছিলাম, সে সব জায়গায় আমার কি অবস্থা হয়েছিল, কত কষ্টের মধ্যে আমাকে পড়তে হয়েছিল তা তুমি জান; কিন্তু সেই সময় দুঃখ কষ্ট থেকে প্রভু আমাকে উদ্ধার করেছেন। 12 খ্রীষ্ট যীশুতে যত লোক ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে চলতে চাইবে তাদের সকলকে নির্যাতিত হতে হবেই। 13 কিন্তু দুষ্ট লোকদের এবং ঠগবাজদের ক্রমশঃই অধঃপতন ঘটবে। তারা পরকে ঠকাবে, নিজেরাও ঠকবে।
14 কিন্তু তুমি যা শিখেছ তাতেই স্থির থাক, এবং দৃঢ়ভাবে তা বিশ্বাস কর কারণ তুমি জান কাদের কাছ থেকে তুমি সেই শিক্ষা পেয়েছ। 15 বাল্যকাল থেকে পবিত্র শাস্ত্রের সঙ্গে তোমার পরিচয় হয়েছে। শাস্ত্রগুলিই তোমাকে সেই প্রজ্ঞা দেবে যা খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমে পরিত্রাণের পথে নিয়ে যায়। 16 সমস্ত শাস্ত্রই ঈশ্বর দিয়েছেন এবং অনুযোগ, সংশোধন ও ন্যায়পরায়ণ জীবনযাপনের জন্য প্রতিটি বাক্যই সঠিক নির্দেশ দিতে পারে। 17 যেন তার দ্বারা ঈশ্বরের লোক পরিপক্ক ও সমস্ত সৎ কর্মের জন্য সুসজ্জিত হয়।
যীশু পুনরায় নিজের মৃত্যুর বিষয়ে বললেন
(মথি 20:17-19; লূক 18:31-34)
32 একদিন তাঁরা রাস্তা দিয়ে জেরুশালেমের দিকে যাচ্ছেন এবং যীশু তাঁদের আগে আগে চলেছেন। শিষ্যরা আশ্চর্য হচ্ছিলেন আর তাঁর সঙ্গে যারা চলছিল, সেই লোকেরা ভীত হল। তখন তিনি আবার সেই বারোজন প্রেরিতকে নিয়ে নিজের প্রতি যা যা ঘটবে তা তাদের বলতে লাগলেন। 33 শোন, “আমরা জেরুশালেমে যাচ্ছি আর প্রধান যাজক এবং ব্যবস্থার শিক্ষকের হাতে মানবপুত্রকে সঁপে দেওয়া হবে তারা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে এবং অইহুদীদের হাতে তুলে দেবে। 34 তারা বিদ্রূপ করবে, তাঁর মুখে থুথু দেবে, তাঁকে চাবুক মারবে এবং হত্যা করবে, আর তিন দিন পরে তিনি আবার বেঁচে উঠবেন।”
যাকোব এবং যোহনের অনুগ্রহ ভিক্ষা
(মথি 20:20-28)
35 পরে সিবদিয়ের ছেলে যাকোব এবং যোহন তাঁর কাছে এসে বললেন, “হে গুরু, আমাদের ইচ্ছা এই, আমরা আপনার কাছে যা চাইব, আপনি আমাদের জন্য তা করবেন।”
36 যীশু তখন তাঁদের বললেন, “তোমাদের ইচ্ছা কি, তোমাদের জন্য আমি কি করব?”
37 তাঁরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এই বর দান করুন যাতে আপনি মহিমান্বিত হলে আমরা একজন আপনার ডানদিকে আর একজন বাঁ দিকে বসতে পাই।”
38 যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা জান না তোমরা কি চাইছ। আমি যে পেয়ালায় পান করি, তাতে তোমরা কি চুমুক দিতে পারবে বা আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তাইজ হই তাতে কি তোমরা বাপ্তাইজ হতে পারবে?”
39 তাঁরা তাঁকে বললেন, “আমরা পারব!”
তখন যীশু তাদের বললেন, “আমি যে পেয়ালায় পান করি তাতে তোমরা অবশ্যই চুমুক দেবে এবং আমি যে বাপ্তিস্মে বাপ্তাইজ হই তাতে তোমরাও বাপ্তাইজ হবে। 40 কিন্তু আমার ডান দিকে বা বাঁদিকে বসতে দেবার অধিকার আমার নেই। কারা সেখানে বসবে তা আগেই স্থির হয়ে গেছে।”
41 এই কথা শুনে অন্য দশ জন যোহন ও যাকোবের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। 42 কিন্তু যীশু তাঁদের ডেকে বললেন, “তোমরা জান জগতের মধ্যে যারা শাসনকর্তা বলে গন্য, তারা তাদের উপর প্রভুত্ব করে এবং তাদের মধ্যে যারা প্রধান, তারা তাদের উপর কর্ত্তৃত্ব করে। 43 তোমাদের ক্ষেত্রে সেই রকম হবে না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি প্রধান হতে চায়, তবে সে তোমাদের ক্রীতদাস হবে, 44 এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যদি প্রধান হতে চায়, সে সকলের দাস হবে। 45 কারণ বাস্তবে মানবপুত্রও সেবা পেতে আসেন নি, তিনি অন্যের সেবা করতেই এসেছেন এবং অনেক মানুষের মুক্তিপণ হিসাবে নিজের জীবন দিতে এসেছেন।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International