Book of Common Prayer
আসফের প্রশংসা গীতগুলির একটি
83 ঈশ্বর, নীরব থাকবেন না!
কান বন্ধ করে রাখবেন না!
ঈশ্বর আপনি কিছু বলুন।
2 ঈশ্বর, শত্রুরা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে
এবং খুব শীঘ্রই ওরা আক্রমণ করবে।
3 আপনার লোকদের বিরুদ্ধে ওরা ফন্দি আঁটছে।
যে লোকদের আপনি ভালোবাসেন, আপনার শত্রুরা তাদের বিরুদ্ধে শলাপরামর্শ করছে।
4 ওই শত্রুরা বলাবলি করছে, “এস, আমরা ওদের পুরোপুরি ধ্বংস করে দিই।
তাহলে কোন ব্যক্তি আর কোনদিনের জন্যও ইস্রায়েলের নাম স্মরণ করবে না।”
5 ঈশ্বর, ওই সব লোক আপনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের সঙ্গে আপনি যে চুক্তি করেছেন,
তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, এক জোট হয়েছে।
6-7 ওই শত্রুরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করবে বলে এক জোট হয়েছে: ওদের মধ্যে যারা রয়েছে তারা হলো ইদোমবাসী, ইশ্মায়েলীয়, মোয়াব ও হাগারের উত্তরপুরুষ,
গবাল, অম্মোন ও অমালেকের অধিবাসী, সোর দেশের লোক এবং পলেষ্টীয় লোকেরা।
ওই সব লোক আমাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একজোট হয়েছে।
8 এমনকি অশূরীয়রাও ওদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
লোটের উত্তরপুরুষদের[a] ওরা খুব শক্তিশালী করেছে।
9 ঈশ্বর কীশোন নদীর কাছে, যেমন করে আপনি মিদিয়নদের পরাজিত করেছিলেন,
যেমন করে আপনি সীষরা ও যাবীনকে পরাজিত করেছিলেন তেমন করে আপনি ওই শত্রুদের পরাজিত করুন।
10 ঐন্দোরে আপনি ওদের পরাজিত করেছিলেন।
মাটিতেই ওদের দেহগুলো পচে গিয়েছিলো।
11 ঈশ্বর, ওই শত্রু নেতাদের পরাজিত করুন। ওরেব ও সেবদের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
সেবহ ও সল্মুন্নের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
12 ঈশ্বর, ওই লোকরা আমাদের
আপনার ভূখণ্ড থেকে বার করে দিতে চেয়েছিল।
13 হে ঈশ্বর, খড় কুটো যেমন বাতাসে উড়ে যায়, তেমনি ভাবে আপনি ওদের উড়িয়ে দিন।
ঝোড়ো হাওয়ায় খড় যেমন ছড়িয়ে যায় তেমনি ভাবে ওদের ইতঃস্তত ছড়িয়ে দিন।
14 দাবানল যেমন করে অরণ্য ধ্বংস করে,
লেলিহান আগুন যেমন করে পাহাড় পুড়িয়ে দেয় তেমন করে আপনি শত্রুদের ধ্বংস করুন।
15 হে ঈশ্বর, ঝড় যেমন করে ধূলো উড়িয়ে নিয়ে যায় তেমনি করে আপনি ওই লোকেদের তাড়া করুন।
টর্নেডোর মত ওদের কাঁপিয়ে দিন, ওদের উড়িয়ে দিন।
16 ঈশ্বর, আপনি ওদের এমন শিক্ষা দিন যাতে ওরা বুঝতে পারে ওরা প্রকৃতই দুর্বল।
তখন ওরা আপনার নামের উপাসনা করতে চাইবে!
17 ঈশ্বর, চিরদিনের মত ওদের ভীত ও লজ্জিত করে দিন।
ওদের অপমানিত ও বিনষ্ট করুন।
18 তখন ওরা বুঝতে পারবে যে,
আপনিই ঈশ্বর।
ওরা জানতে পারবে যে, আপনিই একমাত্র পরাৎপর,
সারা পৃথিবীর ঈশ্বর!
146 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
2 আমার সারাজীবন ধরে আমি প্রভুর প্রশংসা করবো।
সারা জীবন আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
3 সাহায্যের জন্য তোমরা নেতাদের ওপর নির্ভর কর না।
লোকেদের বিশ্বাস কর না। কেন? কারণ লোকে তোমাকে বাঁচাতে পারে না।
4 মানুষ মরে কবরে চলে যায়।
তখন তাদের সাহায্যের সব পরিকল্পনা শেষ হয়ে যায়।
5 কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সাহায্য চায় তারা ভীষণ সুখী হয়।
ওরা ওদের প্রভু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে।
6 প্রভুই স্বর্গ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু সমুদ্র এবং তার ভেতরের সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু তাদের চিরদিন রক্ষা করবেন।
7 নিস্পেষিত লোকদের জন্য প্রভু ঠিক কাজ করেন।
ঈশ্বর ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার দেন।
কারাগারে বদ্ধ মানুষকে প্রভুই মুক্ত করেন।
8 প্রভু অন্ধকে পুনরায় দৃষ্টি দেন।
যারা সমস্যায় পড়েছে, প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
যে সব লোকরা ভাল তাদের প্রভু ভালোবাসেন।
9 আমাদের দেশে যে সব বিদেশীরা বাস করে তাদের প্রভু রক্ষা করেন।
প্রভুই বিধবা ও অনাথদের দেখাশোনা করেন
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
10 প্রভু চিরদিনই শাসন করবেন!
সিয়োন, তোমার ঈশ্বর চিরদিনই রাজত্ব করবেন!
প্রভুর প্রশংসা কর!
147 প্রভুর প্রশংসা কর কারণ তিনি মঙ্গলকর।
আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রশংসার গান কর।
তাঁর প্রশংসা করা ভালো এবং মনোরম।
2 প্রভু জেরুশালেম শহরটি বানিয়েছেন।
যে সব ইস্রায়েলীয়কে বন্দী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো ঈশ্বর তাদের ফিরিয়ে এনেছিলেন।
3 ঈশ্বর তাদের ভগ্নহৃদয় সারিয়ে তুলেছিলেন
এবং তাদের ক্ষতের শুশ্রূষা করেছিলেন।
4 ঈশ্বর তারা গণনা করেন
এবং প্রত্যেকটিকে তাদের নাম ধরে ডাকেন।
5 আমাদের প্রভু মহান; তিনি প্রচণ্ড শক্তিশালী।
তিনি যে কত জানেন তার কোন সীমা নেই।
6 বিনয়ী লোকদের ঈশ্বর সাহায্য করেন।
কিন্তু মন্দ লোকদের তিনি হতবিহ্বল করে দেন।
7 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও।
বীণা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর।
8 ঈশ্বর আকাশকে মেঘে ঢেকে দেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি আনেন।
ঈশ্বরই পাহাড়ে ঘাসের জন্ম দেন।
9 ঈশ্বর প্রাণীকে খাদ্য দেন।
ঈশ্বর নবীন পাখীদের আহার দেন।
10 মানবিক ইচ্ছাসমূহ ঈশ্বরের মধ্যে থাকে না।
যুদ্ধের শক্তিশালী ঘোড়াগুলো তিনি চান না।
11 যারা তাঁর উপাসনা করে তাদের নিয়েই প্রভু সুখী।
যারা তাঁর প্রকৃত প্রেমে বিশ্বাস রাখে ঈশ্বর তাদের নিয়েই খুশী হন।
12 জেরুশালেম, প্রভুর প্রশংসা কর!
সিয়োন, তোমার প্রভুর প্রশংসা কর!
13 জেরুশালেম, তোমার ফটকগুলিকে ঈশ্বর দৃঢ় করেছেন
এবং তোমার শহরের লোকজনকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করেন।
14 ঈশ্বর তোমাদের রাজ্যে শান্তি এনেছেন।
সেজন্যই যুদ্ধের সময় শত্রুরা তোমাদের ফসল নিয়ে যায় নি এবং তোমাদের আহারের জন্য প্রচুর শস্য আছে।
15 ঈশ্বর পৃথিবীকে একটা আদেশ দিলে
সে তৎক্ষণাৎ তা পালন করে।
16 যতক্ষণ পর্যন্ত মাটি পশমের মত সাদা না হয়, ঈশ্বর ততক্ষণ তুষার পাত করেন।
ঈশ্বরই শিলাবৃষ্টিকে বাতাসের মধ্যে ধূলোর মত উড়িয়ে নিয়ে যান।
17 ঈশ্বর আকাশ থেকে শিলাবৃষ্টি বর্ষণ করান।
তাঁর পাঠানো ঠাণ্ডা কেউ সহ্য করতে পারে না।
যে মেঘ তিনি পাঠান কোন লোকই তাকে দাঁড় করাতে পারে না।
18 তারপর ঈশ্বর আর একটা আদেশ দেন এবং আবার উষ্ণ বাতাস বইতে শুরু করে।
বরফ গলতে শুরু করে এবং জল প্রবাহিত হয়।
19 ঈশ্বর যাকোবকে তাঁর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ঈশ্বর তাঁর নিয়ম ও বিধিগুলো ইস্রায়েলকে দিয়েছিলেন।
20 অন্য কোন জাতির জন্য ঈশ্বর এসব করেন নি।
তাঁর বিধিগুলো ঈশ্বর অন্য লোকদের শেখান নি।
প্রভুর প্রশংসা কর।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত।
85 প্রভু, আপনার রাজ্যের প্রতি সদয় হোন।
যাকোবের লোকেরা বিদেশে নির্বাসিত।
নির্বাসিতদের ওদের নিজের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।
2 প্রভু, আপনার লোকেদের ক্ষমা করে দিন!
ওদের পাপ মুছে দিন!
3 প্রভু, আর ক্রুদ্ধ হবেন না।
রাগে আত্মহারা হবেন না।
4 হে আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর,
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হওয়া থেকে বিরত হোন এবং আবার আমাদের গ্রহণ করুন।
5 চিরদিনই কি আপনি
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকবেন?
6 আবার আমাদের জীবন্ত করে দিন!
আপনার লোকদের সুখী করুন।
7 প্রভু আমাদের রক্ষা করুন
এবং আপনি যে আমাদের ভালোবাসেন তা প্রদর্শন করুন।
8 প্রভু ঈশ্বর কি বলেছেন তা আমি শুনেছি।
তিনি বলেছেন, তাঁর লোকদের জন্য ও তাঁর অনুগামীদের জন্য শান্তি থাকবে।
তিনি আরও বলেছেন, তাই ওদের আর কখনও নির্বোধ জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়া উচিৎ হবে না।
9 ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের খুব শীঘ্রই রক্ষা করবেন।
আমরা খুব শীঘ্রই সম্মানের সঙ্গে আমাদের ভূখণ্ডে বাস করবো।
10 তারা সত্য এবং করুণাকে অভিনন্দন জানাবে।
তারা শান্তি ও ধার্ম্মিকতাকে চুমু খাবে।
11 পৃথিবীর লোকরা ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠাবান হবে।
স্বর্গ থেকে ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করবেন।
12 প্রভু আমাদের অনেক ভালো জিনিস দেবেন।
জমিগুলো প্রচুর পরিমাণে ভালো শস্য দেবে।
13 ধার্ম্মিকতা ঈশ্বরের আগে আগে যাবে
এবং তাঁর চলার পথ প্রস্তুত করবে।
দায়ূদের প্রার্থনা।
86 আমি একজন দীন, অসহায় মানুষ।
প্রভু আমার কথা দয়া করে শুনুন এবং আমার প্রার্থনার উত্তর দিন।
2 প্রভু, আমি আপনার অনুগামী, অনুগ্রহ করে আমায় রক্ষা করুন!
আমি আপনার দাস, আপনি আমার ঈশ্বর।
আমি আপনাতে বিশ্বাস করি, তাই আমায় রক্ষা করুন।
3 হে আমার প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
সারাদিন ধরে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
4 প্রভু, আমার জীবন আমি আপনার হাতে দিলাম।
আমি আপনার দাস, তাই আমায় সুখী করুন।
5 প্রভু, আপনি মঙ্গলময় এবং করুণাময়।
আপনার লোকেরা সাহায্যের জন্য আপনাকে ডাকে।
প্রকৃতই আপনি ওই সব লোককে ভালোবাসেন।
6 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
করুণার জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 প্রভু, আমার সঙ্কটের সময়ে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
আমি জানি আপনি আমায় উত্তর দেবেন!
8 ঈশ্বর, আপনার মত কেউই নেই।
আপনি যা করেছেন তা আর কেউ করতে পারবে না।
9 প্রভু, আপনিই প্রত্যেকটি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
ওরা সবাই যেন এসে আপনার উপাসনা করে।
ওদের সকলে যেন আপনার নামের সম্মান করে।
10 ঈশ্বর, আপনি মহান এবং আপনি আশ্চর্য কার্য করেন!
আপনি একমাত্র আপনিই ঈশ্বর!
11 প্রভু, আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন
এবং আমি আপনার সত্য পথ অবলম্বন করে বেঁচে থাকবো।
আপনার উপাসনা করাকে আমার জীবনের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করতে আমায় সাহায্য করুন।
12 ঈশ্বর, প্রভু আমার, আমার সকল অন্তর দিয়ে আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিন আমি আপনার নামের সম্মান করবো!
13 ঈশ্বর আপনি আমার জন্য কত মহান ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন
এবং মৃত্যুর হাত থেকে আমায় রক্ষা করেছেন।
14 ঈশ্বর, অহঙ্কারী লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
একদল নৃশংস লোক আমায় হত্যার চেষ্টা করছে।
ওই সব লোক আপনাকে সম্মান করে না।
15 প্রভু, আপনি দয়াময় ও করুণাময় ঈশ্বর।
আপনি ধৈর্য্যশীল, বিশ্বস্ত এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
16 ঈশ্বর, আমার প্রতি সদয় হোন এবং দেখান যে আপনি আমার কথা শুনেছেন।
আমি আপনার দাস, আমায় শক্তি দিন।
আমি আপনার দাস, আমায় রক্ষা করুন!
17 ঈশ্বর, আপনি যে আমায় সাহায্য করবেন তা প্রদর্শন করে আমায় একটা চিহ্ন দিন।
আমার শত্রুরা সেই চিহ্ন দেখবে এবং ওরা হতাশ হবে।
সেটা প্রমাণ করবে যে আপনি আমার প্রার্থনা শুনেছেন এবং আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।
ঈশ্বর আসছেন
60 “জেরুশালেম, আমার আলো উঠে পড়!
তোমার আলো (ঈশ্বর) আসছেন।
তোমার উপর প্রভুর মহিমা প্রতিভাত হবে।
2 অন্ধকার পৃথিবীকে ঢেকে দিয়েছে।
লোকরা অন্ধকারাচ্ছন্ন।
কিন্তু প্রভু তোমার উপর তাঁর কিরণ বিকীরণ করবেন।
তাঁর মহিমা তোমার উপর দেখা যাবে।
3 সব জাতি তোমার আলোর কাছে আসবে।
রাজারাও তোমার উজ্জ্বল আলোর (ঈশ্বর) কাছে আসবেন।
4 তোমার চারপাশে দেখো!
দেখ, লোকরা তোমার চারপাশে জড়ো হচ্ছে
এবং তোমার কাছে আসছে।
তোমার পুত্রদের সঙ্গে দূর দূরান্ত থেকে কন্যারাও আসছে।
5 “ভবিষ্যতে এসব ঘটবে এবং সেই সময় তুমি তোমার লোকদের দেখতে পাবে।
তোমার মুখে সুখের বহিঃপ্রকাশ থাকবে।
প্রথম তুমি ভীত হলেও
পরে উচ্ছসিত হয়ে উঠবে।
সাগর পারের সমস্ত ধনসম্পদ তোমার সামনে রাখা হবে।
জাতিসমূহের ধনসম্পদও তোমার কাছে পৌঁছবে।
6 মিদিয়ন ও ঐফা থেকে উটের দল
তোমার জমি পার হবে।
শিবা থেকে দীর্ঘ উটের সারি আসবে তোমার কাছে।
তারা বয়ে আনবে সোনা ও ধূপ।
তারা প্রভুর প্রশংসা করে গান গাইবে।
7 লোকরা কেদরের সমস্ত মেষকে একত্রিত করে তোমাকে এনে দেবে।
নবায়োত থেকে তারা মেষও আনবে।
তুমি সেগুলি আমার বেদীতে নৈবেদ্য হিসাবে দেবে।
এবং আমি তা গ্রহণ করব।
আমি আমার মন্দির
আরও সুন্দর করে বানিয়ে তুলবো।
8 লোকের দিকে তাকাও।
আকাশে দ্রুত পার হয়ে যাওয়া মেঘের মতো তারা তোমার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তারা হল খুব দ্রুত বাসায় উড়ে যাওয়া ঘুঘু পাখীদের মত।
9 দূরবর্তী এলাকায় লোকরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
বিশাল যাত্রীবাহী জাহাজগুলি জলযাত্রার জন্য প্রস্তুত।
এই জাহাজগুলি তোমাদের ছেলেমেয়েদের দূরদেশ থেকে আনার প্রতিক্ষায় রয়েছে।
তারা তাদের ঈশ্বর ইস্রায়েলের পবিত্র একজনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য
সোনা এবং রূপো নিয়ে আসবে।
প্রভু তোমাদের জন্য চমৎকার কাজ করবেন।
10 অন্য দেশের ছেলেমেয়েরা তোমাদের প্রাচীরগুলো আবার গড়ে তুলবে।
তাদের রাজারা তোমাদের সেবা করবে।
“আমি যখন তোমাদের উপর ক্রুদ্ধ ছিলাম, তখন আমি তোমাদের শাস্তি দিয়েছিলাম।
কিন্তু এখন তোমরা আমার স্বপক্ষে,
এবং আমি তোমাদের জন্য করুণাময় হব।
11 তোমার ফটক সব সময় খোলা থাকবে।
সেগুলি দিনরাত কখনই বন্ধ হবে না।
সব জাতি ও রাজারা তোমাকে তাদের সম্পদ দেবে।
12 কোন জাতি বা দেশ যদি তোমার সেবা না করে তবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।
13 লিবানোনের সব মহৎ দ্রব্যই তুমি পাবে।
লোকরা তোমাকে পাইন, ফার ও সাইপ্রাসের মতো মূল্যবান গাছ দেবে।
এই গাছগুলি জেরুশালেমে আমার জেরুশালেমস্থিত উপাসনাগৃহকে
আরও সুন্দর করে তৈরি করতে ব্যবহৃত হবে।
এই জায়গাটা আমার সিংহাসনের সামনে চৌকির মতো হবে।
এবং আমি এই জায়গাটিকে যথেষ্ট সম্মান দেব।
14 অতীতে যারা তোমাকে কষ্ট দিয়েছে
তারা এখন তোমার সামনে মাথা নত করবে।
অতীতে যারা তোমাকে ঘৃণা করত
তারা এখন তোমার পায়ে মাথা নত করবে।
তারা তোমাকে ডাকবে, ‘প্রভুর নগরী,’ ‘ইস্রায়েলের পবিত্র একজনের সিয়োন।’
15 “তুমি আর কখনও পরিত্যক্ত হবে না।
তুমি পুনরায় ঘৃণার পাত্র হবে না, তুমি কখনও শূন্য হবে না।
আমি তোমাকে চিরকালের জন্য মহান করে দেব।
তুমি চিরকালের জন্য এখন থেকেই সুখী হবে।
16 জাতিগুলি তোমার প্রয়োজনীয় সব কিছুই দেবে।
তুমি হবে মাতৃদুগ্ধপায়ী শিশুর মতো।
কিন্তু তুমি রাজার ধন ‘পান’ করবে।
তখন তুমি বুঝবে যে তিনি আমি, প্রভু, যিনি তোমাকে রক্ষা করেন।
তুমি জানতে পারবে যাকোবের মহান ঈশ্বর তোমার পরিত্রাতা।
17 “এখন তোমার তামা রয়েছে।
আমি তোমাকে সোনা এনে দেব।
এখন তোমার লোহা রয়েছে।
আমি তোমাকে দেব রূপা।
আমি তোমার কাঠকে তামায় পরিণত করব।
আমি তোমার পাথরকে লোহাতে পরিণত করব।
আমি তোমার শাস্তিকে শান্তিতে রূপান্তরিত করব।
এখন তোমাকে লোকরা কষ্ট দিলেও
পরে তারাই তোমার জন্য ভাল ভাল কাজ করবে।
অনুমোদিত কর্মী
14 তুমি লোকদের এইসব কথা মনে করিয়ে দিও: ঈশ্বরের সামনে তাদের সতর্ক করে দাও যেন লোকেরা বাক্য নিয়ে তর্ক বিতর্ক না করে, কারণ তাতে কোন লাভ হয় না, বরং যারা শোনে তাদের সর্বনাশ হয়। 15 যে কর্মী সঠিকভাবে সত্য শিক্ষাকে ব্যবহার করে এবং নিজের কাজকর্ম সম্বন্ধে লজ্জিত নয় এমন একজন কর্মী হিসেবে ঈশ্বরের অনুমোদন পাবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা কর।
16 কিন্তু বাজে জাগতিক আলোচনা, যার মধ্যে ঈশ্বরের কোন প্রেরণা নেই তার থেকে দূরে থাকো। ঐ ধরণের কথাবার্তা মানুষকে ক্রমে ক্রমে ঈশ্বর থেকে দূরে নিয়ে যায়। 17 যারা এই ধরণের আলোচনা করে তাদের শিক্ষা কর্কট রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ে। হুমিনায় ও কিলীত হল এই ধরণের লোক। 18 এরা সত্য শিক্ষা থেকে সরে গেছে। তারা বলছে, মৃতদের পুনরুত্থান হয়ে গেছে। এই দুজন লোক কিছু কিছু লোকের বিশ্বাস নষ্ট করেছে।
19 ঈশ্বর তাঁর মণ্ডলীর জন্য যে শক্ত ভিত স্থাপন করেছেন তা হেলানো যাবে না। সেই ভিতের ওপর এও লেখা আছে, “ঈশ্বর সেই সব লোকদের জানেন যারা তাঁর”(A) এবং “যে কেউ নিজেকে ঈশ্বরের লোক বলে সে মন্দ কাজ হতে অবশ্যই দূরে থাকুক।”
20 কিন্তু কোন বড় বাড়িতে কেবল সোনার ও রূপোর বাসন নয়, কাঠের ও মাটির পাত্রও থাকে, তাদের মধ্যে কিছু বাসন থাকে বিশেষ ব্যবহারের জন্য, আবার কিছু বাসন থাকে সাধারণ ব্যবহারের জন্য। 21 সুতরাং যদি কেউ নিজেকে এইসব মন্দ বিষয় হতে পরিষ্কার করে তবে সে বিশেষ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত বাসনই হয়ে উঠবে; সেই ব্যক্তি পবিত্র হয়ে উঠবে আর তার কর্তা তাকে ব্যবহার করতে পারবে। সেই ব্যক্তি যে কোন সৎ কাজ করবার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
22 তুমি যৌবনের সমস্ত কামনা বাসনা থেকে পালাও এবং যাদের অন্তঃকরণ বিশুদ্ধ, যারা তাদের প্রভুতে ভরসা রাখে, সেই সমস্ত লোকের সাথে বিশ্বাস, ভালবাসা ও শান্তির সাথে সঠিক জীবনযাপনের জন্য আগ্রহী হও। 23 কিন্তু মূর্খতাপূর্ণ ও জ্ঞানহীন তর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়ো না, তুমি জান যে ঐসব শূন্যগর্ভ তর্কবিতর্ক থেকে লড়াইয়ের সৃষ্টি হয়। 24 যে মানুষ প্রভুর সেবক তার কোন বিবাদে জড়িয়ে পড়া ঠিক নয়, সে হবে সকলের প্রতি দয়ালু। প্রভুর সেবককে একজন উত্তম শিক্ষক হতে হবে, তাকে সহিষ্ণু হতে হবে। 25 যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলে বিনীতভাবেই তাদের ভুল দেখিয়ে দিতে হবে। হয়তো ঈশ্বর তাদের হৃদয়ের পরিবর্তন করবেন যাতে তারা সত্যকে গ্রহণ করতে পারে। 26 দিয়াবল ঐ লোকদের ফাঁদে ফেলেছে ও তার ইচ্ছা পালন করার জন্য দাসে পরিণত করেছে। কিন্তু এমন হতে পারে যে তারা চেতনা পেয়ে জেগে উঠবে ও বুঝতে পারবে যে শয়তান তাদের নিয়ে খেলছে আর দিয়াবলের ফাঁদ থেকে তারা নিজেদের মুক্ত করতে পারবে।
একজন ধনী লোকের যীশুকে অনুসরণ করতে অস্বীকার
(মথি 19:16-30; লূক 18:18-30)
17 পরে তিনি বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় একজন লোক দৌড়ে এসে, তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে জিজ্ঞেস করলেন, “হে সৎ গুরু, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমি কি করব?”
18 তখন যীশু তাকে বললেন, “তুমি কেন আমাকে সৎ বলছ? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউই সৎ নয়। 19 তুমি তো ঈশ্বরের সব আদেশ জানো, ‘নরহত্যা কোরো না, ব্যভিচার কোরো না, চুরি কোরো না, বাবা-মাকে সম্মান কোরো।’”(A)
20 লোকটি তাঁকে বলল, “হে গুরু, ছোটবেলা থেকে এগুলো আমি পালন করে আসছি।”
21 যীশু লোকটির দিকে সস্নেহে তাকালেন এবং বললেন, “একটা বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে। যাও তোমার যা কিছু আছে বিক্রি কর; আর সেই অর্থ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দাও, তাতে তুমি স্বর্গে ধন পাবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ কর।”
22 এই কথায় সে মর্মাহত ও দুঃখিত হল এবং ম্লান মুখে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।
23 তখন যীশু চারদিকে তাকিয়ে শিষ্যদের বললেন, “যাদের ধন আছে তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা খুবই দুষ্কর!”
24 শিষ্যরা তাঁর কথা শুনে অবাক হলেন। যীশু আবার তাঁদের বললেন, “শোন, ঈশ্বরের রাজ্যে যাওয়া সত্যিই কষ্টকর। 25 একজন ধনী লোকের ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”
26 তখন তারা আরও আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, “তবে কারা উদ্ধার পেতে পারে?”
27 তখন যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “এটা মানুষের পক্ষে অসম্ভব; কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে নয়, কারণ সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের পক্ষে সম্ভব।”
28 তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, “দেখুন! আমরা সবকিছু ত্যাগ করে আপনার অনুসারী হয়েছি।”
29 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি যে কেউ আমার জন্য বা আমার সুসমাচার প্রচারের জন্য বাড়িঘর, ভাইবোন, মা-বাবা, ছেলেমেয়ে জমিজমা ছেড়ে এসেছে, 30 তার বদলে সে এই জগতে তার শতগুণ ফিরে পাবে। তাকে তাড়না ভোগ করতে হলেও এই জগতে শতগুণ বাড়িঘর, ভাইবোন, মা, ছেলেমেয়ে এবং জমিজমা পাবে, আর পরবর্তী যুগে পাবে অনন্ত জীবন। 31 কিন্তু আজ যারা প্রথম, এমন অনেক লোক শেষে পড়বে এবং যারা আজ শেষের তাদের মধ্যে অনেকে প্রথম হবে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International