Book of Common Prayer
আসফের একটি মস্কীল।
78 হে আমার লোকরা, আমার শিক্ষামালা শোন।
আমি যা বলছি তা শোন।
2 আমি তোমাদের এই গল্প বলবো।
আমি তোমাদের এই প্রাচীন গল্পটি বলবো।
3 এই গল্প আমরাও শুনেছি, এই গল্পটা আমরা খুব ভালোভাবে জানি।
আমাদের পিতা-পিতামহরা এই গল্প বলেছেন।
4 এই গল্প আমরাও ভুলে যাবো না।
আমাদের লোকরা শেষ প্রজন্মকে পর্যন্ত এই গল্প বলতে থাকবে।
আমরা সবাই প্রভুর প্রশংসা করবো
এবং প্রভু যে সব আশ্চর্য কার্য করেছেন তা বলবো।
5 প্রভু যাকোবের সঙ্গে একটা চুক্তি করেছিলেন।
ইস্রায়েলকে ঈশ্বর একটা বিধি দিয়েছিলেন।
আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছেন।
তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের বলেছেন তারা যেন তাদের উত্তরপুরুষদের সেই বিধি সম্পর্কে শিক্ষাদান করে।
6 নতুন শিশুরা জন্ম নেবে। তারা আস্তে আস্তে বড় হবে।
তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এই গল্পগুলো বলবে।
এইভাবে শেষ প্রজন্মের মানুষ পর্যন্ত এই বিধি জানতে পারবে।
7 তাই ঐসব লোকরাই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করবে।
ঈশ্বর কি করেছেন তা তারা ভুলবে না।
ওরা খুব যত্ন করে তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করবে।
8 যদি লোকরা তাদের শিশুদের ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো সম্পর্কে শিক্ষা দেয়
তাহলে ওই শিশুরা ওদের পূর্বপুরুষদের মত হবে না, ওদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে গিয়েছিলো।
তারা তাঁকে মানতে অস্বীকার করেছিলো, ঐসব লোক প্রচণ্ড একগুঁয়ে ছিলো।
ওরা ঈশ্বরের আত্মার প্রতি নিষ্ঠাবান ছিল না।
9 ইফ্রয়িমের লোকেরা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ছিল
কিন্তু তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল।
10 তারা ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের চুক্তি রক্ষা করে নি।
তারা তাঁর শিক্ষামালা মান্য করতে অস্বীকার করেছিলো।
11 ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করেছিলেন, ইফ্রয়িমের লোকরা তা ভুলে গিয়েছিলো।
তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য ওদের দেখিয়েছিলেন, তা তারা ভুলে গিয়েছিলো।
12 ঈশ্বর ওদের পিতৃপুরুষদের মিশরের সোয়নে,
তাঁর পরাক্রম প্রদর্শন করে দেখিয়েছিলেন।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগ করেছিলেন এবং লোকদের সাগর পার করিয়েছিলেন।
সেই জল দুধারে একটি শক্তি দেওয়ালের মত দাঁড়িয়েছিলো।
14 প্রতিদিন প্রলম্বিত মেঘের দ্বারা ঈশ্বর ওদের পথ দেখিয়েছিলেন।
প্রতিটি রাত্রে আগুনের আলো দিয়ে ঈশ্বর ওদের পথ দেখিয়ে ছিলেন।
15 ঈশ্বর মরুভূমির পাথরকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন।
মাটির গভীর অতল থেকে ওই সব লোকদের তিনি জলও দিয়েছেন।
16 পাথর থেকে আগত ঝর্ণার জলকে
ঈশ্বরই নদীর প্রবাহ দিয়েছেন!
17 কিন্তু লোকরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ কাজ অব্যাহত রেখেছিল।
পরাৎপরের বিরুদ্ধে তারা মরুভূমিতে পর্যন্ত বিদ্রোহ করেছে।
18 তারা যখন তাদের ইচ্ছা পূর্ণ করবার জন্য খাবার চাইল
তখন তারা তাদের মনে মনে ঈশ্বরকে পরীক্ষা করল।
19 ওরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলো,
“ঈশ্বর কি আমাদের এই মরুভূমিতে খাবার এনে দিতে পারবেন?
20 তিনি পাথরে আঘাত করলেন এবং বন্যার মতো জলধারা বেরিয়ে এলো।
কিন্তু তিনি কি আমাদের কিছু রুটি এবং মাংস দিতে পারেন?”
21 ওই লোকগুলো কি বলছে, প্রভু তা শুনলেন।
যাকোবের ওপর ঈশ্বর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন।
ইস্রায়েলের ওপর ঈশ্বর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন।
22 কেন? কারণ লোকরা তাঁকে বিশ্বাস করে নি।
ঈশ্বর যে ওদের রক্ষা করতে পারেন, তা ওরা বিশ্বাস করে নি।
23-24 এর পর ঈশ্বর মেঘকে উন্মুক্ত করে দিলেন
এবং খাদ্যের জন্য ওদের ওপরে মান্না বর্ষিত হল।
এ যেন আকাশের দ্বার খুলে গেল
এবং স্বর্গের ভাণ্ডার থেকে শস্যরাশি পড়তে লাগলো।
25 লোকরা দেবদূতদের[a] সেই খাবার খেয়েছিলো।
ওদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঈশ্বর প্রচুর খাবার পাঠিয়েছিলেন।
26 ঈশ্বর পূর্বদিক থেকে একটা ঝোড়ো বাতাস প্রবাহিত করলেন
এবং ওদের কাছে একধরণের পাখি বৃষ্টির মত পড়তে লাগলো।
27 ঈশ্বর তেমানের দিক থেকে সেই বায়ুকে প্রবাহিত করালেন
এবং যে নীল আকাশের দিকটায় প্রচুর পাখি ছিল সেই দিকটা অন্ধকারময় হয়ে গেল।
28 ওদের তাঁবুর ঠিক মাঝখানে,
ওদের তাঁবুর চারপাশে পাখিগুলো পড়ে গিয়েছিল।
29 তাদের কাছে বিরাট খাদ্যের ভাণ্ডার ছিল।
কিন্তু তাদের ক্ষুধা তাদের পাপকার্যে প্ররোচিত করেছিল।
30 তারা তাদের ভোজন নিয়ন্ত্রিত করে নি।
তাই পাখীগুলোর দেহ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসার আগেই তারা পাখীগুলোকে খেয়ে ফেলেছিল।
31 অতএব, খাবার যখন তাদের মুখের মধ্যে তখনও ছিল তখন ঈশ্বর ওইসব লোকের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ হলেন
এবং ওদের অনেককে মেরে ফেললেন। ঈশ্বর বহু স্বাস্থ্যবান তরুণের মৃত্যুর কারণ হলেন।
32 ওইসব লোকরা আবার পাপ করলো!
ঈশ্বর যে সব আশ্চর্য কার্য করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করলো না।
33 তাই ওদের মূল্যহীন জীবনগুলোতে
ঈশ্বর দুর্বিপাক এনে শেষ করে দিলেন।
34 যখনই ঈশ্বর ওদের কাউকে হত্যা করেছেন, অন্যরা তাঁর কাছে ফিরে এসেছেন।
ওরা ছুটে ছুটে ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসেছে।
35 তখন এইসব লোকরা স্মরণ করবে যে ঈশ্বরই ছিলেন তাদের শিলা।
ওরা তখন মনে করবে যে পরাৎপরই একমাত্র ওদের মুক্তিদাতা।
36 ওরা বলেছিলো, ওরা তাঁকে ভালোবাসে কিন্তু ওরা মিথ্যা কথা বলেছিলো।
ওই সব লোক একেবারেই আন্তরিক ছিলো না।
37 প্রকৃতপক্ষে ওদের হৃদয় ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলো না।
চুক্তির প্রতি ওরা একেবারেই বিশ্বস্ত ছিলো না।
38 কিন্তু ঈশ্বর করুণাময় ছিলেন।
তিনি ওদের সব পাপ ক্ষমা করে দিলেন, তিনি কিন্তু ওদের ধ্বংস করেন নি।
বহুবার ঈশ্বর তাঁর ক্রোধ সংবরণ করেছেন।
তিনি নিজেকে কখনই অতিরিক্ত ক্রুদ্ধ হতে দেন নি।
39 ঈশ্বর মনে রেখেছিলেন যে ওরা ন্যায়পরায়ণ মানুষ।
লোকরা বাতাসেরই মত, যারা বয়ে যায় এবং চলে যায়।
40 ওঃ, কতবার ঐ লোকগুলো মরুভূমিতে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে!
ওরা তাঁকে কত দুঃখই দিয়েছে!
41 ওই লোকগুলো বার বার ঈশ্বরের ধৈর্য্য পরীক্ষা করেছে।
ইস্রায়েলের পবিত্র একজনকে ওরা সত্যই ক্রুদ্ধ করেছে।
42 ওই লোকরা ঈশ্বরের পরাক্রমের কথা ভুলে গিয়েছিলো।
ঈশ্বর যে বহুবার শত্রুদের হাত থেকে ওদের রক্ষা করেছিলেন, তা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
43 মিশরে ঈশ্বর যে সব চমৎকার কাজগুলি করেছিলেন তার কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো,
সোয়ন প্রান্তরের চমৎকার কাজের কথা ওরা ভুলে গিয়েছিলো।
44 ঈশ্বর নদীগুলিকে রক্তে পরিণত করেছিলেন!
মিশরবাসীরা সেই জল পান করতে পারলো না।
45 ঈশ্বর ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি পাঠালেন যারা মিশরবাসীদের কামড় দিলো,
তিনি অগনিত ব্যাঙ পাঠালেন যারা মিশরবাসীর জীবন ধ্বংস করে দিলো।
46 ওদের শস্যকে ঈশ্বর গঙ্গা ফড়িংয়ের কবলে
এবং ওদের বৃক্ষ লতাকে পঙ্গপালের কবলে করে দিলেন।
47 ঈশ্বর শিলাবৃষ্টির দ্বারা ওদের দ্রাক্ষাক্ষেত নষ্ট করলেন।
শিলাবৃষ্টির দ্বারা তিনি ওদের বৃক্ষরাজি ধ্বংস করলেন।
48 শিলাবৃষ্টি দিয়ে তিনি ওদের পশুদের মারলেন
এবং বজ্র-বিদ্যুৎ দিয়ে গবাদি পশুদের মারলেন।
49 ঈশ্বর মিশরের লোকদের তাঁর ক্রোধ দেখালেন।
ওদের বিরুদ্ধে তিনি তাঁর বিধ্বংসকারী দূতদের পাঠালেন।
50 ক্রোধ প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর একটা রাস্তা পেয়েছিলেন।
ওদের একটা লোককেও তিনি বাঁচতে দিলেন না।
এক মহামড়কের মধ্যে দিয়ে তিনি ওদের মরতে দিলেন।
51 মিশরের প্রত্যেকটি প্রথমজাত সন্তানকে ঈশ্বর হত্যা করলেন।
হাম পরিবারের প্রত্যেকটি প্রথম জাতককে তিনি হত্যা করলেন।
52 তারপর একজন মেষপালকের মত তিনি ইস্রায়েলকে পথ দেখিয়েছিলেন।
একজন মেষপালকের মত তিনি তাঁর লোকেদের, মেষপালকের মত জনহীন প্রান্তরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
53 ঈশ্বর তাঁর লোকদের নিরাপদে চালনা করেছিলেন।
তাঁর লোকদের ভয় করার মত কিছু ছিল না।
তাদের শত্রুদের তিনি লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
54 তাঁর পবিত্র ভূখণ্ডে ঈশ্বর তাঁর লোকদের পৌঁছে দিয়েছিলেন।
তিনি তাঁর লোকদের নিজ ক্ষমতা বলে পাওয়া সেই পর্বতে যেটা তিনি রূপ দিয়েছিলেন সেটাতে নিয়ে গেলেন।
55 ঈশ্বর অন্যান্য জাতিদের সেই ভূখণ্ডের থেকে বাইরে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
প্রত্যেকটি পরিবারকে বাধ্য করিয়েছেন।
প্রত্যেকটি পরিবারকে ঈশ্বর সে ভূখণ্ডের অংশ দিয়েছেন।
এখান বাস করার জন্য ইস্রায়েলের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীকে
ঈশ্বর সেই ভূখণ্ডে ঘর দিয়েছেন।
56 কিন্তু ওরা পরাৎপর ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলো এবং তাঁকে দুঃখী করেছিলো।
ওই সব লোক ঈশ্বরের আজ্ঞা মান্য করে নি।
57 ওরা ঠিক ওদের পূর্বপুরুষদের মতই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলো।
ওরা একটি বঞ্চক ধনুকের মত[b] দিক পরিবর্তন করেছিলো।
58 ইস্রায়েলের লোকরা উচ্চস্থান তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে ক্রুদ্ধ করেছিলো।
তারা মূর্ত্তিসমূহ তৈরী করেছিলো এবং ঈশ্বরকে অত্যন্ত ঈর্ষান্বিত করে তুলেছিল।
59 এইসব শুনে ঈশ্বর ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন।
ঈশ্বর ইস্রায়েলকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছিলেন!
60 ঈশ্বর পবিত্র তাঁবুটি শীলোতে রেখেছিলেন।
সাধারণ লোকদের মধ্যে ঈশ্বর সেই তাঁবুতে থাকতেন।
61 ঈশ্বর অন্য জাতিকে তাঁর লোকদের অধিকার করতে দিয়েছেন।
শত্রুরা ঈশ্বরের সুন্দরতম রত্ন নিয়ে গিয়েছিলো।
62 ঈশ্বর তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করলেন।
তিনি তাদের যুদ্ধে নিহত হতে দিলেন।
63 তরুণরা সব পুড়ে মারা গেল
এবং যে মেয়েদের ওরা বিয়ে করবে ভেবেছিলো তারা কেউই বিয়ের গান গাইছিলো না।
64 যাজকরা মারা গেল
কিন্তু তাদের বিধবারা ওদের জন্য কাঁদে নি।
65 শেষ কালে, যেমন করে একজন লোক ঘুম থেকে ওঠে,
প্রচুর দ্রাক্ষারস পান করে যেমন একজন সৈনিক ওঠে,
তেমন করে আমাদের প্রভু উঠলেন।
66 ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের জোর করে হঠিয়ে দিয়ে ওদের পরাজিত করালেন।
ঈশ্বর তাঁর শত্রুদের পরাজিত করে চিরদিনের জন্য ওদের অসম্মানিত করলেন।
67 তারপর ঈশ্বর যোষেফের তাঁবুটিকে[c] বাতিল করলেন
এবং ইফ্রয়িমের শাসন ক্ষমতা কেড়ে নিলেন।
68 তারপর ঈশ্বর যিহূদা জাতিকে শাসক জাতি হিসেবে মনোনীত করলেন
এবং তাঁর প্রিয় জেরুশালেমকে মন্দির নির্মাণের স্থান হিসেবে বেছে নিলেন।
69 সেই পাহাড়ের উঁচু জায়গায় ঈশ্বর তাঁর মন্দির নির্মাণ করলেন।
পৃথিবীর মত তিনি তাঁর মন্দির চিরকালের জন্য স্থাপন করলেন।
70 ঈশ্বর তাঁর বিশেষ সেবকরূপে দায়ূদকে মনোনীত করলেন।
দায়ূদ মেষ চরাচ্ছিলো, কিন্তু ঈশ্বর সেই কাজ থেকে তাকে নিয়ে এলেন।
71 ঈশ্বর দায়ূদকে, তাঁর লোকদের মেষপালক হওয়ার দায়িত্ব,
যাকোবের লোকদের দায়িত্ব এবং ইস্রায়েলের লোকদের ও তাদের সম্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
72 দায়ূদ পবিত্র মনে তাদের নেতৃত্ব দিলেন।
তিনি খুব প্রজ্ঞার সঙ্গে তাদের পরিচালিত করলেন।
দুষ্ট লোকদের তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা উচিৎ
59 দেখো, তোমাদের রক্ষা করার জন্য প্রভুর ক্ষমতাই যথেষ্ট। তোমরা যখনই তাঁর সাহায্য চাইবে তখনই তিনি তা শুনতে পান। 2 কিন্তু তোমাদের পাপ ঈশ্বর থেকে তোমাদের বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রভু তোমাদের পাপ দেখে তোমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যান। 3 তোমাদের হাত নোংরা এবং রক্তে ভেজা। তোমাদের আঙ্গুলগুলি অপরাধ দিয়ে আচ্ছাদিত। তোমরা তোমাদের মুখ দিয়ে বেশি মিথ্যা কথা বলো। তোমাদের জিহ্বা কু-কথা বলে। 4 কেউ অন্যের নামে সত্যি কথা বলে না। একে অন্যের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই করে এবং নিজেদের মামলা জিততে ভূয়ো তর্কের ওপর নির্ভর করে। একে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে। তারা সব সমস্যায় ভরা এবং তারা শয়তানির জন্ম দেয়। 5 তারা বিষাক্ত সাপের ডিমের মতো শয়তানির জন্ম দেয়। তোমরা যদি ঐ ডিমগুলির একটিও খাও তবে মৃত্যু অনিবার্য এবং যদি একটি ডিম ভাঙো তাহলে বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে আসবে।
মিথ্যাবাদীদের কথা মাকড়সার জালের মতো। 6 এই জাল কাপড় বানানোর কাজে ব্যবহার করা যায় না। তোমরা এইসব জাল দিয়ে নিজেদের আবৃত করতে পার না।
কিছু লোক দুষ্ট কাজ করে এবং অন্য লোকদের আঘাত করার জন্য তাদের হাত ব্যবহার করে। 7 তারা তাদের পা শয়তানির পিছনে দৌড়বার কাজে ব্যবহার করে। যারা কোন ভুল কাজ করেনি তাদের হত্যা করবার জন্য তারা তাড়াহুড়ো করে। তারা শুধুই দুষ্ট চিন্তা করে। হিংস্রতা, চুরি-জোচচুরি হল তাদের একমাত্র বাঁচার পথ। 8 তারা জানে না শান্তির পথ। তাদের মধ্যে একজনও সৎ নয়। তারা খুব অসাধু জীবনযাপন করে। এবং যারা এইসব লোকদের মতো জীবনযাপন করে তারা সারা জীবন কখনও শান্তি পায় না।
ইস্রায়েলের পাপ সমস্যা নিয়ে আসে
9 সব সততা ও ধার্মিকতা অদৃশ্য হয়েছে।
আমাদের কাছাকাছি রয়েছে কেবলই অন্ধকার।
তাই আমরা আলোর জন্য অপেক্ষা করি
কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা অন্ধকার পাই,
আমরা আশা করি উজ্জ্বল আলো আসবে, কিন্তু আমরা অন্ধকারে পথ চলি।
10 আমরা চোখহীন মানুষের মতো।
অন্ধ লোকেদের মত আমরা দেওয়ালে ধাক্কা খাই।
আমরা রাতের মতো হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই।
এমনকি দিবালোকেও দেখতে পাই না।
দিন দুপুরে মরা মানুষের মতো পড়ে যাই।
11 আমরা সবাই খুব দুঃখিত,
ঘুঘু ও ভাল্লুকের মতো দুঃখের শব্দ করি।
আমরা মানুষের ন্যায়বোধের জন্য অপেক্ষা করছি।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন ন্যায়বোধের লক্ষণ নেই।
আমরা রক্ষা পাবার জন্য অপেক্ষা করছি।
কিন্তু পরিত্রাণ এখনও অনেক দূরে।
12 কেন? কারণ আমরা আমাদের ঈশ্বরের প্রতি
অনেক অনেক খারাপ কাজ করেছি।
আমাদের পাপ দেখিয়ে দিচ্ছে যে আমরা ভুল করেছি।
আমরা জানি এসব করে আমরা দোষী হয়েছি।
13 আমরা পাপ করে
প্রভুর কাছ থেকে সরে গিয়েছি।
আমরা তাঁর থেকে দূরে চলে গিয়েছি,
তাঁকে ত্যাগ করেছি।
আমাদের পাপ প্রমাণ করে যে আমরা দোষী।
আমরা জানি যে এইসব কাজ করে আমরা দোষ করেছি।
আমরা পাপ করেছি এবং প্রভুর বিরুদ্ধাচরণ করেছি। আমরা তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁকে ত্যাগ করেছি।
আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে খারাপ কাজের পরিকল্পনা করেছি।
আমরা এইসব জিনিসগুলির কথা ভেবেছি
এবং মনে মনে তার পরিকল্পনা করেছি।
14 আমরা বিচারবোধশূন্য হয়ে পড়েছি।
ন্যায়বোধ চলে গেছে অনেক দূরে।
সত্য রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়েছে।
ধার্মিকতাকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
15 সত্য অন্তর্হিত হয়েছে।
যারা ভাল করতে চায় তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে।
প্রভু লক্ষ্য রাখলেও তিনি কোন ন্যায় দেখতে পাচ্ছেন না।
প্রভু এইসব পছন্দ করেন না।
1 আমি পৌল, খ্রীষ্ট যীশুর একজন প্রেরিত। আমি একজন প্রেরিত কারণ ঈশ্বর তাই চেয়েছিলেন। লোকদের কাছে ঈশ্বর আমাকে পাঠালেন যাতে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন লাভের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেই কথা আমি তাদের বলি।
2 তীমথিয়ের কাছে লিখছি। তুমি আমার প্রিয় পুত্রের মত।
পিতা ঈশ্বর ও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর কাছ থেকে তোমাদের ওপর অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক্।
ধন্যবাদ ও উৎসাহ দান
3 দিনে বা রাতে প্রার্থনার সময় আমি তোমাকে স্মরণ করে থাকি। প্রার্থনার সময় তোমার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। আমার পিতৃপুরুষরা যাঁর সেবা করতেন তিনি সেই ঈশ্বর। শুদ্ধ বিবেকে আমি সর্বদাই তাঁর সেবা করে আসছি। 4 তুমি যে আমার জন্যে চোখের জল ফেলেছিলে সে কথা আমার মনে আছে। আমি তোমাকে দেখতে খুবই আকাঙ্খা করছি যাতে আমার অন্তরটা আনন্দে ভরে ওঠে। 5 তোমার আন্তরিক বিশ্বাসের কথাও আমার মনে আছে। ঐ ধর্ম বিশ্বাস প্রথমে ছিল তোমার দিদিমা লোয়ীর ও তোমার মা উনীকীর। আমি জানি যে সেই একই বিশ্বাস তোমার অন্তরে অটুট রয়েছে। 6 সেই জন্য আমি তোমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, তোমার মধ্যে ঈশ্বরের দেওয়া বিশেষ দান রয়েছে। আমি যখন তোমার ওপর হস্তার্পন করেছিলাম তখন সেই দান ঈশ্বর তোমাকে দিয়েছিলেন। এখন আমি চাই যে সেই দান তুমি কাজে লাগাও এবং তাকে দিন দিন আরো বাড়তে দাও; যেমন করে সামান্য অগ্নি শিখা এক প্রলয় অগ্নি সৃষ্টি করে। 7 ঈশ্বর আমাদের ভীরুতার আত্মা দেন নি। ঈশ্বর আমাদের পরাক্রম, প্রেম ও আত্মসংযমের আত্মা দিয়েছেন।
8 তাই আমাদের প্রভু যীশুর কথা লোকদের কাছে বলতে লজ্জা পেও না। আমার বিষয়েও লজ্জা বোধ করো না। আমি তো প্রভুর জন্য কারাগারে আছি। কিন্তু সুসমাচারের জন্য তুমি আমার সঙ্গে দুঃখভোগ কর। ঐ কাজ করার জন্য শক্তি ঈশ্বরই আমাদের দেন।
9 ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ করেছেন এবং তাঁর পবিত্র প্রজা করেছেন, আমাদের কাজের কারণে নয়, কিন্তু তাঁর নিজ অনুগ্রহ এবং সংকল্প অনুসারে করেছেন। সৃষ্টির বহু পূর্বে ঈশ্বর, খ্রীষ্ট যীশুতে সেই অনুগ্রহ আমাদের দেন; 10 কিন্তু সেই অনুগ্রহ আমাদের ত্রাণকর্তা খ্রীষ্ট যীশু না আসা পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নি। যীশু এসে সেই মৃত্যুকে শক্তিহীন করলেন ও তাঁর সুসমাচারের মাধ্যমে জীবনের ও অমরতার পথ দেখালেন।
11 সেই সুসমাচার প্রচার করার জন্য আমাকে মনোনীত করা হল; আমাকে প্রেরিতরূপে ও সেই সুসমাচারের শিক্ষকরূপে মনোনীত করা হল। 12 সেই সুসমাচার প্রচার করি বলে আমি কষ্টভোগ করছি; কিন্তু তাতে আমি লজ্জা বোধ করি না। যাঁকে আমি বিশ্বাস করেছি তাঁকে আমি জানি। তিনি যা কিছুর ভার আমার ওপর তুলে দিয়েছেন, তা যে তিনি সেই মহাদিনটি পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেন এই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।
13 তুমি যে সত্য শিক্ষা আমার কাছে পেয়েছ সেই অনুসারে চল। খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভালবাসা ও বিশ্বাস তুমি পেয়েছ তা দৃঢ়ভাবে ধরে থাক। ঐসব শিক্ষা তোমার সামনে দৃষ্টান্ত স্বরূপ হয়ে থাকবে, সে অনুসারে তোমাকে শিক্ষা দিতে হবে। 14 যে মূল্যবান সত্য তোমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তা তুমি আমাদের অন্তরে বাসকারী পবিত্র আত্মার সাহায্যে রক্ষা কর।
পাপের কারণ সম্পর্কে যীশু সাবধান করে দিলেন
(মথি 18:6-9; লূক 17:1-2)
42 “আর এই যে সাধারণ লোক যারা আমায় বিশ্বাস করে, যদি কেউ তাদের একজনকে পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে সেই লোকের গলায় একটা বড় যাতাঁর পাট বেঁধে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়াই তার পক্ষে ভাল। 43 তোমার হাত যদি তোমার পাপের কারণ হয়, তবে তাকে কেটে ফেলো, কারণ দুই হাত নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে পোড়ার থেকে বরং নুলো হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভাল। 44 [a] 45 তোমার পা যদি তোমার পাপের কারণ হয় তবে তাকে কেটে ফেলো, কারণ দুই পা নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে বরং খোঁড়া হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভাল। 46 [b] 47 আর যদি তোমার চোখ তোমার পাপের কারণ হয়, তবে সে চোখকে উপড়ে ফেল। দুচোখ নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে এক চোখ নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা তোমার পক্ষে ভাল। 48 নরকে যে কীট মানুষকে খায় তারা কখনও মরে না এবং আগুন কখনও নেভে না।(A)
49 “লবণ দেওয়ার মত প্রত্যেকের ওপর আগুন দেওয়া হবে।
50 “লবণ ভাল, কিন্তু লবণ যদি লবণত্ব হারায়, তবে কেমন করে তাকে তোমরা আস্বাদযুক্ত করবে? তোমরা নিজের নিজের মনে লবণ রাখ এবং পরস্পর শান্তিতে থাক।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International