Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
31 প্রভু, আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
আমাকে হতাশ করবেন না।
আমার প্রতি সদয় হোন এবং আমায় রক্ষা করুন।
2 হে ঈশ্বর, আমার কথা শুনুন।
শীঘ্রই আপনি এসে আমায় রক্ষা করুন।
আপনি আমার নিরাপদ আশ্রয় হোন।
আপনি আমার নিরাপদ দুর্গ হোন এবং আমায় সুরক্ষিত করুন!
3 ঈশ্বর, আপনিই আমার শিলা;
তাই, আপনার নামের স্বার্থে আমায় পরিচালিত করুন।
4 আমার শত্রুরা আমার সামনে এক ফাঁদ পেতে রেখেছে।
ওদের ফাঁদ থেকে আমায় উদ্ধার করুন।
আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়।
5 প্রভু, আপনিই সেই ঈশ্বর যাকে আমরা বিশ্বাস করতে পারি।
আমার জীবন আমি আপনার হাতে সমর্পণ করলাম।
আমায় উদ্ধার করুন!
6 যারা মূর্ত্তিসমূহের পূজা করে, তাদের আমি ঘৃণা করি।
আমি একমাত্র প্রভুকেই বিশ্বাস করি।
7 হে ঈশ্বর, আপনার করুণায় আমি খুব খুশী।
আপনি আমার দুর্ভোগ দেখেছেন।
আমার যে সব সমস্যা ছিল তাও আপনি জানেন।
8 আপনি আমাকে আমার শত্রুদের হস্তগত করবেন না।
ওদের ফাঁদ থেকে আপনি আমায় মুক্ত করবেন।
9 প্রভু, আমার অসংখ্য সমস্যা আছে।
তাই আমার প্রতি সদয় হন।
আমি মানসিকভাবে এমন বিপর্যস্ত যে কেঁদে কেঁদে আমার চোখ ব্যথা করছে।
আমার গলা ও পেট জ্বালা করছে।
10 আমার জীবন দুঃখে শেষ হতে চলেছে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে আমার বছরগুলি কাটছে।
আমার সংকটগুলি আমার সব শক্তিকে কেড়ে নিচ্ছে।
আমার সব শক্তি, আমায় ত্যাগ করছে।[a]
11 শত্রুরা আমায় ঘৃণা করছে।
আমার প্রতিবেশীরাও আমায় ঘৃণা করছে।
সমস্ত আত্মীয়রা আমার সঙ্গে রাস্তায় দেখা করে।
তারা আমাকে ভয় পায় এবং এড়িয়ে চলে।
12 হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতির মত
লোকরা আমাকে ভুলে গেছে।
13 লোকরা আমার সম্পর্কে যে সব ভয়ঙ্কর কথা বলে, তা আমি শুনি।
ঐসব লোক আমার বিরুদ্ধে গেছে।
ওরা আমায় মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছে।
14 হে প্রভু, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
আপনিই আমার ঈশ্বর।
15 আমার জীবন আপনার হাতে রয়েছে।
আমার শত্রুদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
কিছু লোক আমায় তাড়া করছে।
ওদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
16 দয়া করে আপনার দাসকে অভ্যর্থনা করুন এবং গ্রহণ করুন।
আমার প্রতি সদয় হোন এবং আমাকে রক্ষা করুন!
17 প্রভু, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি,
তাই আমি হতাশ হবো না,
মন্দ লোকেরা হতাশ হবে।
ওরা নীরবে কবরে যাবে।
18 ঐসব মন্দ লোক নিজেদের সম্পর্কে বড়াই করে
এবং সৎ লোকেদের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে।
ঐসব মন্দ লোকেরা প্রচণ্ড উদ্ধত।
কিন্তু যে মুখ দিয়ে ওরা মিথ্যা কথা বলে তা নীরব হয়ে যাবে।
19 হে ঈশ্বর, আপনার অনুগামীদের জন্য আপনি অনেক ভালো জিনিষ বাঁচিয়ে রেখেছেন।
যারা আপনাকে বিশ্বাস করে তাদের জন্য সকলের সামনেই আপনি ভাল কাজ করেন।
20 সৎ লোকদের আঘাত করার জন্য মন্দ লোকরা একসঙ্গে জড় হয়।
ঐসব মন্দ লোক লড়াই শুরু করতে চায়।
কিন্তু আপনি সেই সব সৎ লোকদের লুকিয়ে রাখেন এবং তাদের রক্ষা করেন।
আপনার নিজের আশ্রয়ে আপনি তাদের রক্ষা করেন।
21 প্রভু ধন্য! সারা শহর যখন শত্রুদের দ্বারা বেষ্টিত,
তখন তিনি আমার প্রতি, তাঁর আশ্চর্য করুণা দেখিয়েছেন।
22 আমি ভীত হয়ে বলেছিলাম, “আমি এমন এক জায়গায় রয়েছি সেখানে ঈশ্বরও আমাকে দেখতে পাবেন না।”
কিন্তু হে ঈশ্বর, আপনার সাহায্য চেয়ে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবং আপনি আমার উচ্চস্বরের প্রার্থনা শুনেছিলেন।
23 হে ঈশ্বরের অনুগামীরা, তোমরা অবশ্যই প্রভুকে ভালোবেসো!
যারা প্রভুর প্রতি নিষ্ঠাবান, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
কিন্তু যারা নিজের ক্ষমতা নিয়ে দম্ভ করে প্রভু তাদের শাস্তি দেন।
তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি পায়।
24 তোমরা যারা প্রভুর সাহায্যের জন্য প্রতীক্ষা করছো, তারা সাহসী হও, শক্তিশালী হও!
দায়ূদের একটি গীত।
35 হে প্রভু, আমার বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন!
যারা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তাদের সঙ্গে আপনি যুদ্ধ করুন!
2 প্রভু, ঢাল এবং বর্ম তুলে নিন।
উঠুন এবং আমায় সাহায্য করুন।
3 বর্শা এবং বল্লম হাতে তুলে নিন
এবং যারা আমার বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করুন।
হে প্রভু আমার আত্মাকে বলুন, “আমি তোমায় উদ্ধার করবো।”
4 কিছু লোক আমাকে হত্যা করতে চাইছে।
ওদের পরাজিত এবং লজ্জিত করুন।
এমন করুন যেন ওরা পিছন ফিরে পালিয়ে যায়।
ওরা আমায় আঘাত করার চক্রান্ত করছে।
ওদের পরাজিত ও নাস্তানাবুদ করে ছাড়ুন।
5 ওদের তুষের মত বাতাসে উড়িয়ে দিন।
প্রভুর দূত যেন ওদের ধাওয়া করে।
6 প্রভু ওদের পথ অন্ধকারময় এবং পিচ্ছিল করে দিন।
প্রভুর দূত যেন ওদের তাড়া করে।
7 আমি ওদের কাছে কোন ভুল কাজ করিনি কিন্তু ঐসব লোক আমাকে ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
সম্পূর্ণ বিনা কারণে ওরা আমায় ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
8 তাই প্রভু, ওদের নিজেদের ফাঁদেই ওদের ফেলুন।
নিজেদের জালেই ওরা হোঁচট খাক্।
কোন অজানা বিপদ যেন ওদের উপরে বর্তায়।
9 তখন আমি প্রভুতে আনন্দ করবো।
তিনি যখন আমায় উদ্ধার করবেন তখন আমি সুখী হবো।
10 আমার সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে আমি বলব, “প্রভু আপনার মত কেউই নেই।
শক্তিশালী লোকেদের হাত থেকে আপনি একজন দুর্বল লোককে বাঁচিয়েছেন।
আপনি একজন দরিদ্র লোককে উদ্ধার করেন
যার কাছ থেকে লোকে চুরি করতে চেষ্টা করে।”
11 একদল মিথ্যা সাক্ষী আমায় আঘাত করবার জন্য পরিকল্পনা করছে।
ওরা আমায় নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে। আমি কিন্তু জানি না ওরা কি বিষয়ে বলছে।
12 আমি কেবলমাত্র ভাল কাজই করেছি।
কিন্তু ওরা আমার প্রতি খারাপ কাজই করবে।
প্রভু, যে রকম ভালো জিনিস আমার প্রাপ্য তা আমায় দিন।
13 যখন ওরা অসুস্থ হয়েছিলো, আমি ওদের জন্য দুঃখ পেয়েছিলাম।
উপবাসের মাধ্যমে আমি সেই দুঃখ প্রকাশ করেছি।
ওদের জন্য প্রার্থনা করে এটাই কি আমার প্রাপ্য?
14 ঐসব লোকদের জন্য আমি দুঃখের পোশাক পরেছিলাম এবং ওদের আমি আমার বন্ধুর মত, এমন কি ভাইয়ের মত দেখেছিলাম।
মায়ের মৃত্যুর পর যে লোকটা কাঁদে আমি তার মতই দুঃখিত ছিলাম।
ওদের দুঃখের কারণে আমি কালো কাপড় পরেছিলাম এবং দুঃখে মাথা নত করে আমি হাঁটাচলা করতাম।
15 কিন্তু যখন আমি একটু ভুল করলাম, ওরা আমায় উপহাস করলো।
ওরা আসলে প্রকৃত বন্ধু ছিল না।
আমি ওদের চিনতামও না, কিন্তু চারিদিক থেকে ওরা আমায় ঘিরেছিল এবং আক্রমণ করেছিল।
16 অত্যন্ত খারাপ ভাষায় ওরা আমায় বিদ্রূপ করেছে।
ওরা আমার বিরুদ্ধে ক্রোধ দেখিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে।
17 হে আমার প্রভু, আর কতদিন আপনি এইসব খারাপ ঘটনা ঘটতে শুধুই দেখে যাবেন?
ওরা আমায় ধ্বংস করতে চাইছে।
হে প্রভু, আমার জীবন রক্ষা করুন।
আমার প্রিয় জীবনকে ওদের থেকে রক্ষা করুন। ওরা সিংহের মত হিংস্র।
18 প্রভু মন্দিরের মহাসমাজে আমি আপনার প্রশংসা করবো।
সেই বলবান জনতার সামনে আমি আপনার প্রশংসা করবো।
19 ঐসব শত্রুকে কোন কারণেই আমাকে ঘৃণা করতে অথবা পরাজিত করতে দেবেন না।
আমাকে ওদের বিদ্রূপের পাত্র হতে দেবেন না।
ওদের গোপন পরিকল্পনার জন্য ওরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
20 আমার শত্রুরা প্রকৃতপক্ষে শান্তির জন্য পরিকল্পনা করছে না।
ওরা দেশের শান্তিপ্রিয় লোকদের বিরুদ্ধে অনিষ্টকর কাজ করার জন্য গোপনে পরিকল্পনা করছে।
21 শত্রুরা আমার সম্পর্কে বাজে কথা বলে চলেছে।
ওরা মিথ্যা কথা বলে, ওরা বলে “হ্যাঁ হ্যাঁ জানি, তুমি কি করছো।”
22 হে প্রভু আপনি অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে।
তাই, চুপ করে থাকবেন না।
আমায় ছেড়ে যাবেন না।
23 প্রভু, উঠুন! জাগুন!
হে আমার প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার জন্য লড়াই করুন, আমাকে ন্যায় বিচার দিন।
24 প্রভু, আমার ঈশ্বর, আপনার নিরপেক্ষতা দিয়ে আমার বিচার করুন।
ঐ লোকগুলোকে আমার প্রতি বিদ্রূপ করতে দেবেন না।
25 ওরা যেন বলতে না পারে, “হ্যাঁ! এইতো আমরা যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি!”
ওরা যেন বলতে না পারে, “আমরা ওকে ধ্বংস করেছি!”
26 আমি আশা করি, আমার সব শত্রু লজ্জিত ও অপমানিত হবে।
যখন আমার কিছু খারাপ হয়েছিল, তখন ওরা খুব খুশী হয়েছিল।
ওরা ভেবেছিলো ওরা আমার থেকে বেশী ভালো!
তাই, ওই সব লোক যেন লজ্জা ও অবমাননায় ঢেকে যায়।
27 কিছু লোক চায় আমার ভালো হোক্। আমি আশা করি, ওরা প্রচণ্ড সুখী হবে!
ওরা সব সময় বলে, “প্রভু মহান!
যা তাঁর দাসের পক্ষে মঙ্গলকর, তিনি তাই চান।”
28 তাই হে প্রভু, আমি লোকদের বলি, আপনি কত ভাল।
প্রতিদিনই আমি আপনার প্রশংসা করি।
18 প্রভুই ঈশ্বর।
তিনিই আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু পৃথিবীকে তার জায়গায় ধরে রেখেছেন।
পৃথিবীকে তৈরি করার সময় তিনি তা খালি রাখতে চাননি।
পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার করেছেন তিনি!
“আমিই প্রভু, অন্য কোন ঈশ্বর নেই।
19 আমি গোপনে কিছু বলি নি।
আমি খোলাখুলি কথা বলেছি।
আমি আমার কথাগুলি পৃথিবীর অন্ধকার স্থানে লুকিয়ে রাখি নি।
আমি যাকোবের লোকদের পরিত্যক্ত জায়গায় আমার খোঁজ করতে বলিনি।
আমিই প্রভু, আমি সত্যি কথা বলি,
আমার মুখ নিঃসৃত সব সত্যি।
প্রভু প্রমাণ করেন যে তিনিই একমাত্র ঈশ্বর
20 “তোমরা অন্যান্য জাতি থেকে পালিয়ে এসেছ। তাই একত্রিত হয়ে আমার সামনে এস। (এই মানুষগুলি ভ্রান্ত দেবতার মূর্ত্তি বহন করেছিল। এইসব লোকরা অসার দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করে। কিন্তু তারা জানে না তারা কি করছে। 21 এদের আমার কাছে আসতে বল। তারা তাদের মামলা উপস্থিত করুক এবং উপদেশ নিক।)
“অনেক দিন আগে যে ঘটনা ঘটেছিল সে সম্পর্কে তোমাদের কে বলেছিল? অনেক অনেক দিন আগে থেকে কে তোমাদের এইসব জিনিসগুলির কথা বলে আসছে? আমি, এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর সেই সব বলে ছিলাম। আমিই একমাত্র ঈশ্বর। এখানে কি আমার মতো অন্য কোন ঈশ্বর আছে? অন্য কোন উৎকৃষ্ট ঈশ্বর আছে কি? অন্য কোন ন্যায়পরায়ণ ঈশ্বর আছে কি যে তার লোকদের রক্ষা করতে পারে? না! অন্য কোন ঈশ্বর নেই। 22 দূরবর্তী এলাকার লোকরা তোমরা মূর্ত্তির অনুসরণ বন্ধ কর। নিজেদের রক্ষা করতে তোমাদের উচিৎ আমাকে অনুসরণ করা। আমিই ঈশ্বর। অন্য কোন ঈশ্বর নেই। আমিই একমাত্র ঈশ্বর।
23 “আমি আমার নিজ ক্ষমতাবলে এই শপথ করছি এবং যখন আমি প্রতিশ্রুতি করি তখন তা সত্যি হবেই। আমি যা প্রতিশ্রুতি করেছি তা ঘটবেই এবং আমার প্রতিশ্রুতি প্রত্যেক লোক আমার সামনে মাথা নত করবে। প্রত্যেক লোক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যে তারা আমাকে অনুসরণ করবে। 24 লোকে বলবে, ‘একমাত্র প্রভুর কাছ থেকেই ক্ষমতা ও ধার্মিকতা এসেছে।’”
25 তারা বলবে, “শুধুমাত্র ঈশ্বরেই বিচার এবং শক্তি খুঁজে পাওয়া যায়।” কেউ কেউ প্রভুর ওপর ক্রুদ্ধ। কিন্তু তারা তাঁর কাছে আসবে এবং তখন এইসব ক্রুদ্ধ লোকরা লজ্জিত হবে। প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের ভাল কাজ করতে সাহায্য করবেন এবং তারা তাদের ঈশ্বরের জন্য খুব গর্বিত হবে।
ছেলেমেয়ে এবং বাবা মা
6 ছেলেমেয়েরা, প্রভু যেভাবে চান সেইভাবে তোমাদের বাবা মাকে মেনে চলো; তোমাদের উচিত তাঁদের বাধ্য হওয়া। 2 আজ্ঞায় আছে, “তোমাদের মা-বাবাকে সম্মান করো।”(A) এটাই হল প্রতিশ্রুতিযুক্ত প্রথম আজ্ঞা। 3 সেই প্রতিশ্রুতি হচ্ছে: “তাহলে সবদিক দিয়ে তোমার মঙ্গল হবে ও তুমি মর্ত্যে দীর্ঘায়ু হবে।”(B)
4 তোমরা যারা সন্তানের বাবা, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তোমাদের সন্তানদের ক্রুদ্ধ করো না, বরং প্রভু যেমন চান সেইরূপ শাসন করে ও শিক্ষা দিয়ে তাদের মানুষ করে তোল।
ক্রীতদাস এবং মনিব
5 ক্রীতদাসরা, তোমরা তোমাদের এই জগতের মনিবদের ভয় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মান্য করো। তোমরা যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য তেমনি আন্তরিকভাবে ও সত্য হৃদয়ে তাদেরও বাধ্য হও। 6 মানুষের অনুমোদনের জন্য কেবল তাদের চোখের সামনে যে তাদের সেবা করবে তা নয়, বরং খ্রীষ্টের ক্রীতদাসের মতো কাজ করো যে ক্রীতদাসরা ঈশ্বরের ইচ্ছা আন্তরিকভাবে পালন করছে। 7 ক্রীতদাস হিসেবে সমস্ত অন্তর দিয়ে এমনভাবে কাজ কর যেন তুমি মানুষকে নয়, ঈশ্বরকে সেবা করছ। 8 মনে রেখো, তুমি ক্রীতদাস বা স্বাধীন যাই হও না কেন, তোমার সমস্ত ভাল কাজের জন্য প্রভু তোমায় পুরষ্কার দেবেন।
9 ক্রীতদাসের মনিবরা, তোমাদের বলি, তোমাদের দাসদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করো। তাদের কড়া কথা বলো না। মনে রেখো, তাদের ও তোমাদের প্রভু স্বর্গে আছেন; আর সেই প্রভু সকলকেই সমানভাবে বিচার করেন।
যীশু ঝড় থামালেন
(মথি 8:23-27; লূক 8:22-25)
35 ঐদিন সন্ধ্যে হলে তিনি শিষ্যদের বললেন, “চল, আমরা হ্রদের ওপারে যাই।” 36 তখন তাঁরা লোকদের বিদায় দিয়ে, তিনি নৌকায় যে অবস্থায় বসেছিলেন, তেমনিভাবেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন, সেখানে আরও নৌকা তাদের সঙ্গে ছিল। 37 দেখতে দেখতে প্রচণ্ড ঝড় উঠল এবং ঢেউগুলো নৌকায় এমন আছড়ে পড়তে লাগল যে নৌকা জলে ভরে উঠতে লাগল। 38 সেইসময় যীশু নৌকার পিছন দিকে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁরা তাঁকে জাগিয়ে বললেন, “গুরু, আপনার কি চিন্তা হচ্ছে না যে আমরা সকলে ডুবতে বসেছি?”
39 তখন তিনি জেগে উঠে ঝড়কে ধমক দিলেন ও সমুদ্রকে বললেন, “থাম! শান্ত হও!” সঙ্গে সঙ্গে ঝড় থেমে গেল, আর সবকিছু শান্ত হল।
40 তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা এত ভীতু কেন? তোমাদের কি এখনও বিশ্বাস হয় নি?”
41 কিন্তু শিষ্যরা আরও ভয় পেয়ে পরস্পরের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “ইনি তবে কে? এমন কি ঝড় এবং সমুদ্রও এঁর কথা শোনে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International