Book of Common Prayer
আসফের প্রশংসা গীতগুলির একটি
83 ঈশ্বর, নীরব থাকবেন না!
কান বন্ধ করে রাখবেন না!
ঈশ্বর আপনি কিছু বলুন।
2 ঈশ্বর, শত্রুরা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে
এবং খুব শীঘ্রই ওরা আক্রমণ করবে।
3 আপনার লোকদের বিরুদ্ধে ওরা ফন্দি আঁটছে।
যে লোকদের আপনি ভালোবাসেন, আপনার শত্রুরা তাদের বিরুদ্ধে শলাপরামর্শ করছে।
4 ওই শত্রুরা বলাবলি করছে, “এস, আমরা ওদের পুরোপুরি ধ্বংস করে দিই।
তাহলে কোন ব্যক্তি আর কোনদিনের জন্যও ইস্রায়েলের নাম স্মরণ করবে না।”
5 ঈশ্বর, ওই সব লোক আপনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের সঙ্গে আপনি যে চুক্তি করেছেন,
তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, এক জোট হয়েছে।
6-7 ওই শত্রুরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করবে বলে এক জোট হয়েছে: ওদের মধ্যে যারা রয়েছে তারা হলো ইদোমবাসী, ইশ্মায়েলীয়, মোয়াব ও হাগারের উত্তরপুরুষ,
গবাল, অম্মোন ও অমালেকের অধিবাসী, সোর দেশের লোক এবং পলেষ্টীয় লোকেরা।
ওই সব লোক আমাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একজোট হয়েছে।
8 এমনকি অশূরীয়রাও ওদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
লোটের উত্তরপুরুষদের[a] ওরা খুব শক্তিশালী করেছে।
9 ঈশ্বর কীশোন নদীর কাছে, যেমন করে আপনি মিদিয়নদের পরাজিত করেছিলেন,
যেমন করে আপনি সীষরা ও যাবীনকে পরাজিত করেছিলেন তেমন করে আপনি ওই শত্রুদের পরাজিত করুন।
10 ঐন্দোরে আপনি ওদের পরাজিত করেছিলেন।
মাটিতেই ওদের দেহগুলো পচে গিয়েছিলো।
11 ঈশ্বর, ওই শত্রু নেতাদের পরাজিত করুন। ওরেব ও সেবদের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
সেবহ ও সল্মুন্নের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
12 ঈশ্বর, ওই লোকরা আমাদের
আপনার ভূখণ্ড থেকে বার করে দিতে চেয়েছিল।
13 হে ঈশ্বর, খড় কুটো যেমন বাতাসে উড়ে যায়, তেমনি ভাবে আপনি ওদের উড়িয়ে দিন।
ঝোড়ো হাওয়ায় খড় যেমন ছড়িয়ে যায় তেমনি ভাবে ওদের ইতঃস্তত ছড়িয়ে দিন।
14 দাবানল যেমন করে অরণ্য ধ্বংস করে,
লেলিহান আগুন যেমন করে পাহাড় পুড়িয়ে দেয় তেমন করে আপনি শত্রুদের ধ্বংস করুন।
15 হে ঈশ্বর, ঝড় যেমন করে ধূলো উড়িয়ে নিয়ে যায় তেমনি করে আপনি ওই লোকেদের তাড়া করুন।
টর্নেডোর মত ওদের কাঁপিয়ে দিন, ওদের উড়িয়ে দিন।
16 ঈশ্বর, আপনি ওদের এমন শিক্ষা দিন যাতে ওরা বুঝতে পারে ওরা প্রকৃতই দুর্বল।
তখন ওরা আপনার নামের উপাসনা করতে চাইবে!
17 ঈশ্বর, চিরদিনের মত ওদের ভীত ও লজ্জিত করে দিন।
ওদের অপমানিত ও বিনষ্ট করুন।
18 তখন ওরা বুঝতে পারবে যে,
আপনিই ঈশ্বর।
ওরা জানতে পারবে যে, আপনিই একমাত্র পরাৎপর,
সারা পৃথিবীর ঈশ্বর!
দায়ূদের একটি গীত।
23 প্রভুই আমার মেষপালক।
আমার যা কিছু চাই, সবসময় আমি তা-ই নেব।[a]
2 তিনি আমাকে সবুজ চারণ ক্ষেত্রে শুইয়ে দেন।
তিনি আমাকে বিশ্রাম জলাধারের পাশে পরিচালিত করেন।
3 তাঁর নামের মহিমা উপলদ্ধি করার জন্য তিনি আমার আত্মাকে নতুন শক্তি দেন।
তাঁর নামের জন্য তিনি আমায় ঠিক পথে পরিচালিত করেন।
4 এমনকি, যদি আমি কবরের মত গাঢ় অন্ধকারময় কোন উপত্যকা দিয়ে হেঁটে যাই,
আমি কোন বিপদের দ্বারা ভীত হব না।
কেন? কারণ আপনি যে আমার সঙ্গে রয়েছেন প্রভু।
আপনার শাসনদণ্ড আমাকে স্বস্তি দেয়, নিরাপদে রাখে।
5 প্রভু, আপনি আমার শত্রুদের সামনে আমার টেবিল তৈরী করেছিলেন।
আপনি আমার মাথায় তেল দিয়ে আমাকে অভিবাদন করেছিলেন।
আমার পানপাত্র পরিপূর্ণ এবং তা উপচে পড়ছে।
6 ধার্ম্মিকতা এবং ক্ষমা আজীবন আমার সঙ্গে থাকবে।
এবং আমি প্রভুর মন্দিরে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকবো।
দায়ূদের একটি গীত।
27 প্রভু, আপনিই আমার জ্যোতি এবং আমার পরিত্রাতা।
আমি কাউকেই ভয় পাবো না!
প্রভুই আমার জীবনের সুরক্ষা স্থান,
তাই কোন লোককেই আমি ভয় পাবো না।
2 মন্দ লোকেরা আমায় আক্রমণ করতে পারে
এবং আমার শত্রুরা আমায় ধ্বংস করবার চেষ্টা করতে পারে,
তখন তারা হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে।
3 যদি একদল সৈন্যও আমার চারদিকে ঘিরে থাকে, আমি ভয় করবো না।
এমনকি যুদ্ধে যদি লোকজন আমায় আক্রমণ করে, আমি ভয় করবো না। কেন? কারণ আমি প্রভুকে বিশ্বাস করি।
4 প্রভুর কাছ থেকে আমি কেবলমাত্র একটা জিনিসই চাইবো:
আমাকে সারাজীবন মন্দিরে তাঁর সৌন্দর্য্য দেখবার জন্য
এবং তাঁকে সাক্ষাৎ করবার জন্য
প্রভুর মন্দিরে বসে থাকতে দিন।
5 যখন আমি বিপদগ্রস্ত তখন প্রভুই আমায় রক্ষা করবেন।
তাঁর তাঁবুতেই তিনি আমায় লুকিয়ে রাখবেন।
তিনি আমাকে তাঁর নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে নেবেন।
6 আমার শত্রুরা আমায় ঘিরে রয়েছে, কিন্তু ওদের পরাজিত করতে প্রভু আমায় সাহায্য করবেন!
তারপর আমি তাঁর তাঁবুতে বলি উৎসর্গ করবো।
আনন্দধ্বনি করে আমি উৎসর্গ নিবেদন করব।
প্রভুর সম্মানে আমি গান-বাজনা করবো।
7 প্রভু আমার কথা শুনুন।
আমায় উত্তর দিন এবং আমার প্রতি সদয় হোন।
8 প্রভু, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
আমার অন্তর থেকে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি আপনার সামনে এসেছি।
9 প্রভু, আপনার দাস আমি, আমার দিক থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
আমায় সাহায্য করুন এবং আমায় সরিয়ে দেবেন না!
আমায় ফেলে চলে যাবেন না! ঈশ্বর আমার, আপনিই আমার পরিত্রাতা।
10 আমার মা বাবা আমায় ছেড়ে চলে গেছেন।
কিন্তু প্রভু আমায় গ্রহণ করেছেন।
তিনি আমায় তাঁর আপনজন করে নিয়েছেন।
11 প্রভু আমার প্রচুর শত্রু আছে।
তাই আপনার পথ আমায় শেখান।
আমায় সঠিক কাজ করতে শেখান।
12 প্রভু, আমার বিরোধী পক্ষকে আমায় পরাজিত করতে দেবেন না।
কারণ মিথ্যে সাক্ষীরা আদালতে আমার বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
আমার বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ উদ্রেক করবার জন্য
তারা এটা করেছিল।
13 আমি প্রকৃতই বিশ্বাস করি যে, আমার মৃত্যুর পূর্বে[a] আমি প্রভুর ধার্মিকতা দেখে যাবো।
14 প্রভুর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা কর।
শক্তিমান ও সাহসী হও
এবং প্রভুর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা কর!
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত।
85 প্রভু, আপনার রাজ্যের প্রতি সদয় হোন।
যাকোবের লোকেরা বিদেশে নির্বাসিত।
নির্বাসিতদের ওদের নিজের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।
2 প্রভু, আপনার লোকেদের ক্ষমা করে দিন!
ওদের পাপ মুছে দিন!
3 প্রভু, আর ক্রুদ্ধ হবেন না।
রাগে আত্মহারা হবেন না।
4 হে আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর,
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হওয়া থেকে বিরত হোন এবং আবার আমাদের গ্রহণ করুন।
5 চিরদিনই কি আপনি
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকবেন?
6 আবার আমাদের জীবন্ত করে দিন!
আপনার লোকদের সুখী করুন।
7 প্রভু আমাদের রক্ষা করুন
এবং আপনি যে আমাদের ভালোবাসেন তা প্রদর্শন করুন।
8 প্রভু ঈশ্বর কি বলেছেন তা আমি শুনেছি।
তিনি বলেছেন, তাঁর লোকদের জন্য ও তাঁর অনুগামীদের জন্য শান্তি থাকবে।
তিনি আরও বলেছেন, তাই ওদের আর কখনও নির্বোধ জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়া উচিৎ হবে না।
9 ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের খুব শীঘ্রই রক্ষা করবেন।
আমরা খুব শীঘ্রই সম্মানের সঙ্গে আমাদের ভূখণ্ডে বাস করবো।
10 তারা সত্য এবং করুণাকে অভিনন্দন জানাবে।
তারা শান্তি ও ধার্ম্মিকতাকে চুমু খাবে।
11 পৃথিবীর লোকরা ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠাবান হবে।
স্বর্গ থেকে ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করবেন।
12 প্রভু আমাদের অনেক ভালো জিনিস দেবেন।
জমিগুলো প্রচুর পরিমাণে ভালো শস্য দেবে।
13 ধার্ম্মিকতা ঈশ্বরের আগে আগে যাবে
এবং তাঁর চলার পথ প্রস্তুত করবে।
দায়ূদের প্রার্থনা।
86 আমি একজন দীন, অসহায় মানুষ।
প্রভু আমার কথা দয়া করে শুনুন এবং আমার প্রার্থনার উত্তর দিন।
2 প্রভু, আমি আপনার অনুগামী, অনুগ্রহ করে আমায় রক্ষা করুন!
আমি আপনার দাস, আপনি আমার ঈশ্বর।
আমি আপনাতে বিশ্বাস করি, তাই আমায় রক্ষা করুন।
3 হে আমার প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
সারাদিন ধরে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
4 প্রভু, আমার জীবন আমি আপনার হাতে দিলাম।
আমি আপনার দাস, তাই আমায় সুখী করুন।
5 প্রভু, আপনি মঙ্গলময় এবং করুণাময়।
আপনার লোকেরা সাহায্যের জন্য আপনাকে ডাকে।
প্রকৃতই আপনি ওই সব লোককে ভালোবাসেন।
6 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
করুণার জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 প্রভু, আমার সঙ্কটের সময়ে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
আমি জানি আপনি আমায় উত্তর দেবেন!
8 ঈশ্বর, আপনার মত কেউই নেই।
আপনি যা করেছেন তা আর কেউ করতে পারবে না।
9 প্রভু, আপনিই প্রত্যেকটি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
ওরা সবাই যেন এসে আপনার উপাসনা করে।
ওদের সকলে যেন আপনার নামের সম্মান করে।
10 ঈশ্বর, আপনি মহান এবং আপনি আশ্চর্য কার্য করেন!
আপনি একমাত্র আপনিই ঈশ্বর!
11 প্রভু, আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন
এবং আমি আপনার সত্য পথ অবলম্বন করে বেঁচে থাকবো।
আপনার উপাসনা করাকে আমার জীবনের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করতে আমায় সাহায্য করুন।
12 ঈশ্বর, প্রভু আমার, আমার সকল অন্তর দিয়ে আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিন আমি আপনার নামের সম্মান করবো!
13 ঈশ্বর আপনি আমার জন্য কত মহান ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন
এবং মৃত্যুর হাত থেকে আমায় রক্ষা করেছেন।
14 ঈশ্বর, অহঙ্কারী লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
একদল নৃশংস লোক আমায় হত্যার চেষ্টা করছে।
ওই সব লোক আপনাকে সম্মান করে না।
15 প্রভু, আপনি দয়াময় ও করুণাময় ঈশ্বর।
আপনি ধৈর্য্যশীল, বিশ্বস্ত এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
16 ঈশ্বর, আমার প্রতি সদয় হোন এবং দেখান যে আপনি আমার কথা শুনেছেন।
আমি আপনার দাস, আমায় শক্তি দিন।
আমি আপনার দাস, আমায় রক্ষা করুন!
17 ঈশ্বর, আপনি যে আমায় সাহায্য করবেন তা প্রদর্শন করে আমায় একটা চিহ্ন দিন।
আমার শত্রুরা সেই চিহ্ন দেখবে এবং ওরা হতাশ হবে।
সেটা প্রমাণ করবে যে আপনি আমার প্রার্থনা শুনেছেন এবং আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।
ভূমিকে নবায়িত করা হবে
21 হে দেশ, ভয় কোরো না।
আনন্দ অনুষ্ঠান কর
কারণ প্রভু অনেক মহৎ কাজ করবেন।
22 মাঠের পশুরা ভয় পেয়ো না
কারণ প্রান্তরের ভূমিতে আবার ঘাস জন্মাবে।
গাছে আবার ফল ধরবে,
এবং ডুমুর ও দ্রাক্ষা গাছে আবার উত্তম ফল হবে।
23 সিয়োনের লোকরা তোমরা প্রভু ঈশ্বরেতে আনন্দ অনুষ্ঠান কর।
কারণ তিনি তাঁর উদারতার চিহ্ন হিসাবে বৃষ্টি বর্ষাবেন।
তা ছাড়াও তিনি আগের মতোই
তোমাদের আগে আগে বৃষ্টি ও শেষের দিকে বৃষ্টি দেবেন।
24 আর ঢেঁকির মেঝেগুলি শস্যে ভরে যাবে,
অলিভ তেলে ও দ্রাক্ষারসে পিপেগুলো ভরে উপচে পড়বে।
25 “আমি তোমাদের বিরুদ্ধে
যে সমস্ত ঝাঁকের পঙ্গপাল, লাফানে পঙ্গপাল,
ধ্বংসকারী পঙ্গপাল এবং কাটুরে পঙ্গপাল অর্থাৎ আমার মহা সৈন্যদের পাঠিয়েছিলাম
যারা সেই বছর তোমাদের শস্য ধ্বংস করেছে
তা আমি পরিশোধ করব।
26 তোমরা প্রচুর খাবার খেয়ে তৃপ্ত হবে
এবং প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের নামের প্রশংসা করবে।
কারণ তিনি তোমাদের জন্য চমৎকার অলৌকিক কাজ করেছেন।
প্রভু বলেন, আমার লোকরা আর কখনও লজ্জিত হবে না।
27 আর তোমরা জানবে যে আমি (প্রভু) ইস্রায়েলের মধ্যে বাস করি।
আমিই তোমাদের প্রভু ও ঈশ্বর
আর কোন ঈশ্বর নেই।
আমার লোকরা আর কখনও লজ্জিত হবে না।”
1 আমি যাকোব, ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস, নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা ঈশ্বরের বারো গোষ্ঠীর লোকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বিশ্বাস ও প্রজ্ঞা
2 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরা যখন নানারকম প্রলোভনের মধ্যে পড়, তখন তা মহা আনন্দের বিষয় বলে মনে কর। 3 একথা জেনো, এই সকল বিষয় তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা করে ও তোমাদের ধৈর্য্য্যগুণ বাড়িয়ে দেয়। 4 সেই ধৈর্য্য্যগুণকে তোমাদের জীবনে পুরোপুরিভাবে কাজ করতে দাও। এর ফলে তোমরা নিখুঁত ও সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে এবং কোন বিষয়ে তোমাদের কোন অভাব থাকবে না।
5 তোমাদের কারো যদি প্রজ্ঞার অভাব হয়, তবে সে তার জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুক। ঈশ্বর দয়াবান; তিনি সকলকে উদারভাবে এবং আনন্দের সঙ্গে দেন। অতএব ঈশ্বর তোমাদের প্রজ্ঞা প্রদান করবেন। 6 কিন্তু ঈশ্বরের কাছে চাইতে হলে কোনরকম সন্দেহ না রেখে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গেই তা চাইতে হবে, কারণ যে সন্দেহ করে, সে ঝোড়ো হাওয়ায় আলোড়িত উত্তাল সমুদ্র তরঙ্গের মতো। 7-8 এই প্রকার লোক দুই মনের মানুষ, প্রত্যেকটি কাজেই চঞ্চল ও অস্থির। এমন লোকের মনে করা উচিত নয় যে প্রভুর কাছে সে কিছু পাবে।
প্রকৃত সম্পদ
9 যে বিশ্বাসী ভাই গরীব, সে গর্ব অনুভব করুক, কারণ ঈশ্বর তাকে আত্মিকভাবে উন্নত করেছেন। 10 যে বিশ্বাসী ভাই ধনী, সে গর্ব বোধ করুক, কারণ ঈশ্বর তাকে দেখিয়েছেন যে সে আত্মিকভাবে দরিদ্র। ধনী ব্যক্তি একদিন বুনো ফুলের মতো ঝরে যাবে। 11 সূর্য ওঠার পর তার তাপ ক্রমশঃ বেড়েই যায়, তাপে তৃণ ঝলসে যায় ও ফুল ঝরে যায়। ফুল সুন্দর হলেও তার রূপের বাহার বিলীন হয়ে যায়। তেমনি ঘটে ধনী ব্যক্তির জীবনে। তার কাজের পরিকল্পনাকালেই সে হঠাৎ মৃত্যুমুখে পড়ে।
ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রলোভন আসে না
12 পরীক্ষার সময় যে ধৈর্য্য ধরে ও স্থির থাকে সে ধন্য, কারণ বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ঈশ্বর তাকে পুরস্কার স্বরূপ অনন্ত জীবন দেবেন। ঈশ্বরকে যারা ভালবাসে তাদের তিনি এই জীবন দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 13 কেউ যখন প্রলুদ্ধ হয় তখন যেন সে না বলে, “ঈশ্বর আমাকে প্রলুদ্ধ করেছেন।” মন্দ ঈশ্বরকে কোন জিনিস প্রলোভিত করতে পারে না এবং ঈশ্বরও নিজে কাউকে প্রলোভনে ফেলেন না। 14 প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মন্দ অভিলাষের দ্বারা প্রলুদ্ধ হয়। তার মন্দ ইচ্ছা তাকে পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায় এবং ফাঁদে ফেলে। 15 এই মন্দ ইচ্ছা গর্ভবতী হয়ে পাপের জন্ম দেয় এবং পাপ পূর্ণতা লাভ করে মৃত্যুর জন্ম দেয়।
স্বর্গে আনন্দ
(মথি 18:12-14)
15 অনেক করআদায়কারী ও পাপী লোকেরা প্রায়ই যীশুর কথা শোনার জন্য আসত। 2 এতে ফরীশী ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা এই বলে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে লাগল, “এই লোকটা জঘন্য পাপী লোকদের সঙ্গে মেলামেশা ও খাওয়া দাওয়া করে।”
গৃহত্যাগী ছেলে
11 এরপর যীশু বললেন, “একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। 12 ছোট ছেলেটি তার বাবাকে বলল, ‘বাবা, সম্পত্তির যে অংশ আমার ভাগে পড়বে তা আমায় দিয়ে দাও।’ তখন বাবা দুই ছেলের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করে দিলেন।
13 “কিছু দিন পর ছোট ছেলে তার সমস্ত কিছু নিয়ে দূর দেশে চলে গেল। সেখানে সে উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করে সমস্ত টাকা পয়সা উড়িয়ে দিল। 14 তার সব টাকা পয়সা খরচ হয়ে গেলে সেই দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিল আর সেও অভাবে পড়ল। 15 তাই সে সেই দেশের এক ব্যক্তির কাছে দিন মজুরীর একটা কাজ চাইল। সেই ব্যক্তি তাকে তার শুয়োর চরাবার জন্য মাঠে পাঠিয়ে দিল। 16 শুয়োর যে শুঁটি খায় তা খেয়ে সে তার পেট ভরাতে চাইত, কিন্তু কেউ তাকে তাও দিত না।
17 “শেষ পর্যন্ত একদিন তার চেতনা হল, আর সে বলল, ‘আমার বাবার কাছে কত মজুর পেট ভরে খেতে পায় আর এখানে আমি খিদের জ্বালায় মরছি। 18 আমি উঠে আমার বাবার কাছে যাব, তাকে বলব, বাবা, আমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ও তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় পাপ করেছি। 19 তোমার ছেলে বলে পরিচয় দেবার কোন যোগ্যতা আর আমার নেই। তোমার চাকরদের একজনের মতো করে তুমি আমায় রাখ!’ 20 এরপর সে উঠে তার বাবার কাছে গেল।
ছেলের প্রত্যাবর্তন
“সে যখন বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে আছে, এমন সময় তার বাবা তাকে দেখতে পেলেন, বাবার অন্তর দুঃখে ভরে গেল। বাবা দৌড়ে গিয়ে ছেলের গলা জড়িয়ে ধরে তাকে চুমু খেলেন। 21 ছেলে তখন তার বাবাকে বলল, ‘বাবা, আমি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ও তোমার কাছে অন্যায় ও পাপ করেছি। তোমার ছেলে বলে পরিচয় দেবার যোগ্যতা আমার নেই।’
22 “কিন্তু তার বাবা চাকরদের ডেকে বললেন, ‘তাড়াতাড়ি কর, সব থেকে ভাল জামাটা নিয়ে এসে একে পরিয়ে দাও। এর হাতে আংটি ও পায়ে জুতো পরিয়ে দাও। 23 হৃষ্টপুষ্ট একটা বাছুর নিয়ে এসে সেটা কাট, আর এস, আমরা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করি, আনন্দ করি! 24 কারণ আমার এই ছেলেটা মারা গিয়েছিল আর এখন সে জীবন ফিরে পেয়েছে! সে হারিয়ে গিয়েছিল, এখন তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।’ এই বলে তারা সকলে আনন্দ করতে লাগল।
বড় ছেলের প্রতিক্রিয়া
25 “সেই সময় তাঁর বড় ছেলে মাঠে ছিল। বাড়ির কাছাকাছি এসে সে বাজনা আর নাচের শব্দ শুনতে পেল। 26 তখন সে একজন চাকরকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল, ‘কি ব্যাপার, এসব কি হচ্ছে?’ 27 চাকরটি বলল, ‘আপনার ভাই এসেছে, আর সে সুস্থ শরীরে নিরাপদে ফিরে এসেছে বলে আপনার বাবা হৃষ্টপুষ্ট বাছুর কেটে ভোজের আয়োজন করেছেন।’
28 “এই শুনে বড় ছেলে খুব রেগে গেল, সে বাড়ির ভেতরে যেতে চাইল না। তখন তার বাবা বেরিয়ে এসে তাকে সান্ত্বনা দিলেন। 29 কিন্তু সে তার বাবাকে বলল, ‘দেখ, এত বছর ধরে আমি তোমাদের সেবা করেছি, কখনও তোমার কথার অবাধ্য হই নি। তবু আমার বন্ধুদের সঙ্গে একটু আমোদ করার জন্য তুমি আমায় কখনও একটা ছাগলও দাও নি। 30 কিন্তু তোমার এই ছেলে যে বেশ্যাদের পেছনে তোমার টাকা উড়িয়ে দিয়েছে, সে যখন এল তখন তুমি তার জন্য হৃষ্টপুষ্ট বাছুর কাটলে।’
31 “তার বাবা তাকে বললেন, ‘বাছা, তুমি তো সব সময় আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ; আর আমার যা কিছু আছে সবই তো তোমার। 32 কিন্তু আমাদের আনন্দিত হয়ে উৎসব করা উচিত, কারণ তোমার এই ভাই মরে গিয়েছিল আর এখন সে জীবন ফিরে পেয়েছে। সে হারিয়ে গিয়েছিল, এখন তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।’”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International