Book of Common Prayer
118 প্রভুকে সম্মান কর, কারণ তিনিই ঈশ্বর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!
2 ইস্রায়েল এই কথা বল,
“তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
3 যাজকরা তোমরা বল,
“তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
4 তোমরা লোকেরা যারা প্রভুকে উপাসনা কর,
তোমরা বলো, “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
5 আমি সমস্যায় পড়েছিলাম তাই সাহায্যের জন্য আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম।
প্রভু আমায় উত্তর দিয়েছেন এবং আমায় মুক্ত করেছেন।
6 আমার সঙ্গে প্রভু আছেন, তাই আমি ভয় পাবো না।
লোকেরা আমাকে আহত করার জন্য কিছু করতে পারে না।
7 প্রভুই আমার সহায়।
আমি আমার শত্রুদের পরাজিত দেখবো।
8 মানুষকে বিশ্বাস করার থেকে
প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
9 তোমাদের নেতাদের বিশ্বাস করা থেকে
প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
10 বহু শত্রু আমাকে ঘিরে ধরেছিল।
কিন্তু প্রভুর শক্তির দ্বারা আমি আমার শত্রুদের পরাজিত করেছি।
11 আমার শত্রুরা ক্রমাগত আমায় ঘিরেই যাচ্ছিল।
প্রভুর শক্তির সাহায্যে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
12 ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছির মত শত্রুরা আমায় ঘিরে ধরেছিলো।
কিন্তু দ্রুত জ্বলনশীল ঝোপের মত ওরা শেষ হয়ে গিয়েছিলো।
প্রভুর শক্তি দিয়ে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
13 আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিলো এবং আমাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিলো।
কিন্তু প্রভু আমায় সাহায্য করেছিলেন।
14 প্রভুই আমার শক্তি এবং আমার জয়গান!
প্রভু আমায় রক্ষা করেন!
15 ধার্ম্মিক লোকেদের বাড়ীতে তুমি এই বিজয় উৎসব শুনতে পাবে।
প্রভু আবার তাঁর মহান শক্তি প্রদর্শন করলেন।
16 প্রভুর বাহুগুলি জয়ে উত্তোলিত।
তিনি আবার একবার তাঁর মহান শক্তি দেখালেন।
17 আমি মরবো না, আমি বেঁচে থাকবো
এবং প্রভু কি করেছেন তা আমি বলবো।
18 প্রভু আমায় শাস্তি দিয়েছেন,
কিন্তু তিনি আমায় মরতে দেন নি।
19 ন্যায়ের সিংহদ্বারগুলি আমার জন্য খুলে যাও,
আমি প্রভুর উপাসনা করতে ভেতরে আসবো।
20 ওইগুলো প্রভুর দ্বার।
একমাত্র ধার্ম্মিক লোকরাই ওর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।
21 হে প্রভু, আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়ার জন্য
এবং আমাকে রক্ষা করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
22 যে পাথরটিকে স্থপতিরা চায় নি, সেটাই হয়ে গেল মুখ্য প্রস্তর।
23 প্রভু এটি করেছেন
এবং এটি দেখতে অদ্ভুত লাগছে!
24 আজকের দিন সেই দিন যা প্রভু সৃষ্টি করেছেন।
আজ আমাদের আনন্দ করতে দিন, সুখী হতে দিন।
25 লোকেরা বললো, “প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু আমাদের রক্ষা করেছেন!
26 সেই লোকটিকে স্বাগত জানাও, যে প্রভুর নাম নিয়ে আসছে।”
যাজকরা উত্তর দিয়েছিলো, “আমরা তোমাকে প্রভুর গৃহে স্বাগত জানাই!
27 প্রভুই ঈশ্বর এবং তিনি আমাদের গ্রহণ করেন।
বলির জন্য একটা মেষ বাঁধ এবং সেটাকে বেদীর কোণে নিয়ে চল।”
28 প্রভু, আপনিই আমার ঈশ্বর, আপনাকে ধন্যবাদ দিই।
আমি আপনার প্রশংসা করি!
29 প্রভুর প্রশংসা কর! কারণ তিনি মঙ্গলময়।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চিরন্তন।
দায়ূদের একটি ভজন।
145 হে আমার ঈশ্বর এবং রাজা, আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য এবং অনন্তকালের জন্য আমি আপনার নামকে আশীর্বাদ করি।
2 প্রতিদিন আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
3 প্রভু মহান; লোকজন ভীষণভাবে তাঁর প্রশংসা করে।
যে সব মহৎ কাজ তিনি করেন, তা আমরা গুনতে পারি না।
4 প্রভু, আপনি যা করেন তার জন্য লোকজন চিরদিন আপনার প্রশংসা করবে।
আপনি যে মহৎ কাজ করেন তার সম্পর্কে তারা বলবে।
5 আপনার মহত্ব এবং মহিমা দুইই চমৎকার।
আপনার বিস্ময়কর কাজ সম্পর্কে আমি বলবো।
6 প্রভু, যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন সে সম্পর্কে লোকে বলবে।
আপনি যে সব মহৎ কাজ করেন সে সম্পর্কে আমি বলবো।
7 আপনি যেসব ভালো কাজ করেন সে সম্পর্কে লোকরা বলবে।
লোকে আপনার ধার্ম্মিকতার গান গাইবে।
8 প্রভু দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।
প্রভু স্থিতধী এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
9 প্রতিটি লোকের জন্যই প্রভু মঙ্গলকর।
প্রভু যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতিটি বস্তুর প্রতি তিনি করুণা প্রদর্শন করেন।
10 প্রভু, আপনি যা করেন, তাই আপনাকে প্রশংসা এনে দেয়।
আপনার অনুগামীরা আপনার প্রশংসা করে।
11 তারা বলে আপনার রাজত্ব কত মহৎ।
তারা আপনার মহত্ব সম্বন্ধে বলে।
12 তাই হে প্রভু, আপনি যে সব মহৎ কাজ করেন অন্য লোকেরা তা জানতে পারে
এবং তারা জানতে পারে আপনার রাজত্ব কত বিশাল এবং গৌরবময়।
13 প্রভু, আপনার রাজত্ব চির বিরাজমান থাকবে।
আপনি চিরদিনই রাজত্ব করবেন।
14 পতিত মানুষকে প্রভু উদ্ধার করেন।
যারা সমস্যায় পড়ে প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
15 হে প্রভু, সমস্ত জীবিত প্রাণী তাদের খাদ্যের জন্য আপনার দিকে চেয়ে থাকে।
এবং যথাসময়ে আপনি তাদের খাদ্য দেন।
16 হে প্রভু, আপনি আপনার হাত খুলে দিন
এবং জীবিত প্রাণীদের যা কিছু প্রয়োজন তা দিন।
17 প্রভু যা কিছু করেন তা সবই ভালো।
যা কিছু তিনি করেন তা দেখিয়ে দেয় তিনি কত মঙ্গলকর এবং বিশ্বস্ত।
18 যারা তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে, প্রভু ওই সব লোকের কাছেই থাকেন।
তিনি তাঁর উপাসকদের অন্তরঙ্গ।
19 তাঁর অনুগামীরা যা চান প্রভু তাই করেন।
তিনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং ওদের রক্ষা করেন।
20 যারা তাঁকে ভালোবাসে, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
21 আমি প্রভুর প্রশংসা করবো!
সব লোক যেন চিরদিন ধরে তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করে।
4 “যখন থেকে তোমরা মিশরের মাটিতে আছো তখন থেকেই আমি তোমাদের প্রভু ঈশ্বর। তোমরা আমাকে ছাড়া অন্য কোন ঈশ্বরকে চিনতে না। আমি ছাড়া আর কোন ত্রাণকর্তা নেই। 5 আমি সেই মরুভূমিতে তোমাদের চিনতাম—আমি সেই সমতল শুকনো মাটির দেশে তোমাদের চিনতাম। 6 আমি ইস্রায়েল জাতিকে খাদ্য জুগিয়েছি; তারা সেই খাদ্য খেয়েছে। তারা পেট ভরে খেয়েছে এবং খুশী হয়েছে। (তারপর) তারা অহঙ্কারী হয়েছে এবং আমাকে ভুলে গেছে!
7 “সেজন্য আমি তাদের কাছে সিংহের মতোই হব। আমি চিতাবাঘের মতোই রাস্তায় অপেক্ষা করব। 8 আমি তাদের ভাল্লুকের মতো আক্রমণ করব যার বাচ্চাদের কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমি তাদের আক্রমণ করব—তাদের বুকগুলোকে একটানে চিরে ফেলব। আমি সিংহ অথবা বন্য জীব-জন্তুদের মতোই শিকারকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাব।”
ঈশ্বরের ক্রোধ হতে কেউই ইস্রায়েলকে রক্ষা করতে পারবে না
9 “ইস্রায়েল, আমি তোমাকে সাহায্য করেছিলাম; কিন্তু তোমরা আমার বিরুদ্ধে গেছো। সেজন্য এখন আমি তোমাদের ধ্বংস করব! 10 তোমাদের রাজা কোথায়? তোমাদের কোন শহরেই সে তোমাদের রক্ষা করতে পারবে না! তোমাদের বিচারকরা কোথায়? তোমরা তাদের খোঁজ করে বলছো, ‘আমাদের একজন রাজা এবং কিছু নেতা দাও।’ 11 আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি তোমাকে একজন রাজা দিয়েছিলাম। তারপর আমি যখন খুবই ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম, তখন তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম।
12 “ইফ্রয়িম তার দোষ লুকোবার চেষ্টা করেছিল।
সে ভেবেছিল, তার পাপগুলো গোপন বিষয়
কিন্তু সে ওই কাজের জন্য শাস্তি পাবে।
13 একজন স্ত্রীলোক প্রসব করার সময় যে যন্ত্রণা অনুভব করে,
তার শাস্তিও সেই রকম হবে।
সে কখনোই জ্ঞানী পুত্র হতে পারবে না।
তার জন্মাবার সময় আসবে এবং সে বেঁচে থাকতে পারবে না।
14 “আমি তাদের কবর থেকে রক্ষা করব!
আমি তাদের মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি দেব!
মৃত্যু, তোমার রোগগুলি কোথায়?
কবর, কোথায় তোমার বিনষ্ট করার ক্ষমতা?
আমি শোক প্রকাশ করার কোন কারণই দেখি না!
ঈশ্বরের জ্ঞান
6 কিন্তু তবু আমরা পরিপক্কদের কাছে জ্ঞানের কথা বলি, সেই জ্ঞান পার্থিব জ্ঞানের মতো নয়, তা এই যুগের শাসকদের জ্ঞানের মতো নয়, সেই শাসকরা তো শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। 7 কিন্তু আমরা নিগূঢ়তত্ত্বে ঈশ্বরের জ্ঞানের কথা বলি। সেই জ্ঞান গুপ্ত ছিল এবং ঈশ্বর আমাদের মহিমান্বিত করবেন বলে এবিষয় সৃষ্টির পূর্বেই স্থির করে রেখেছিলেন। 8 এই যুগের শাসকদের মধ্যে কেউ তা বোঝেনি, যদি বুঝত তবে তারা কখনও মহিমাপূর্ণ প্রভুকে ক্রুশে বিদ্ধ করত না। 9 কিন্তু শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে:
“ঈশ্বরকে যারা ভালবাসে,
তাদের জন্য তিনি যা প্রস্তুত করেছেন,
কোন মানুষ তা কখনও চোখে দেখেনি,
কানে শোনেনি, এমন কি কল্পনাও করেনি।”(A)
10 কিন্তু আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁর আত্মার দ্বারা তা প্রকাশ করেছেন।
কারণ আত্মা সব কিছুর অনুসন্ধান করেন, এমন কি ঈশ্বরের নিগূঢ় তত্ত্বের অনুসন্ধান করেন। 11 বিষয়টি এই রকম: কোন মানুষ অপরে কি চিন্তা করছে তা জানে না। কেবল সেই ব্যক্তির আত্মা, যে তার অন্তরে থাকে সেই জানে। তেমনি ঈশ্বর কি চিন্তা করেন তা কেউ জানে না, কেবল ঈশ্বরের আত্মা জানেন। 12 আমরা জগতের আত্মাকে গ্রহণ করি নি কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে যে আত্মা এসেছেন তাঁকেই আমরা পেয়েছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহ করে আমাদের যা যা দান করেছেন তা জানতে পারি।
13 সেই সব বিষয়ে বলতে গিয়ে আমরা মানবিক জ্ঞানের শিক্ষানুরূপ কথায় নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মার শিক্ষানুসারে বলেছি, আত্মিক বিষয় বোঝাতে আত্মিক কথাই ব্যবহার করছি। 14 যার মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা নেই সে আত্মা থেকে যে বিষয়গুলি আসে তা গ্রহণ করতে পারে না, কারণ তার কাছে সে সব মূর্খতা। যে ব্যক্তির মধ্যে পবিত্র আত্মা নেই সে আত্মিক কথা বুঝতে পারে না, কারণ সেই বিষয়গুলি কেবল, আত্মিকভাবেই বিচার করা যায়। 15 কিন্তু আত্মিক ব্যক্তি সকল বিষয়ে বিচার করতে পারে। অন্য কেউ তার সম্বন্ধে বিচার করতে পারে না। কারণ শাস্ত্র বলছে:
16 “কে প্রভুর মন জেনেছে,
যে তাঁকে নির্দেশ দিতে পারে?”(B)
কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।
হেরোদ যীশুর সম্পর্কে শুনলেন
(মার্ক 6:14-29; লূক 9:7-9)
14 সেই সময় গালীলের শাসনকর্তা হেরোদ, যীশুর বিষয় শুনতে পেলেন। 2 তিনি তাঁর চাকরদের বললেন, “এই লোক নিশ্চয়ই বাপ্তিস্মদাতা যোহন। সে নিশ্চয়ই মৃত লোকদের মধ্য থেকে বেঁচে উঠেছে। আর সেইজন্যই এইসব অলৌকিক কাজ করতে পারছে।”
বাপ্তিস্মদাতা যোহন নিহত হলেন
3 এই হেরোদই যোহনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারের মধ্যে শেকলে বেঁধে রেখেছিলেন। তাঁর ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার অনুরোধেই তিনি একাজ করেছিলেন। 4 কারণ যোহন হেরোদকে বার-বার বলতেন, “হেরোদিয়াকে তোমার ঐভাবে রাখা বৈধ নয়।” 5 হেরোদ এই জন্য যোহনকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি লোকদের ভয় করতেন, কারণ সাধারণ লোক যোহনকে ভাববাদী বলে মানত।
6 এরপর হেরোদের জন্মদিন এল, সেই উৎসবে হেরোদিয়ার মেয়ে, হেরোদ ও তাঁর অতিথিদের সামনে নেচে হেরোদকে খুব খুশী করল। 7 সেজন্য হেরোদ শপথ করে বললেন যে, সে যা চাইবে তিনি তাকে তাইদেবেন। 8 মেয়েটি তার মায়ের পরামর্শ অনুসারে বলল, “থালায়় করে বাপ্তিস্মদাতা যোহনের মাথাটা আমায় এনে দিন।”
9 যদিও রাজা হেরোদ এতে খুব দুঃখিত হলেন, তবু তিনি শপথ করেছিলেন বলে এবং যাঁরা তাঁর সঙ্গে খেতে বসেছিলেন তাঁরা সেই শপথের কথা শুনেছিলেন বলে সম্মানের কথা ভেবে তিনি তা দিতে হুকুম করলেন। 10 তিনি লোক পাঠিয়ে কারাগারের মধ্যে যোহনের শিরশ্ছেদ করালেন। 11 এরপর যোহনের মাথাটি থালায় করে নিয়ে এসে সেই মেয়েকে দেওয়া হলে, সে তা নিয়ে তার মায়ের কাছে গেল। 12 তারপর যোহনের অনুগামীরা এসে তাঁর দেহটি নিয়ে গিয়ে কবর দিলেন। আর তাঁরা যীশুর কাছে গিয়ে সব কথা জানালেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International