Book of Common Prayer
কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত।
87 জেরুশালেমের পবিত্র পাহাড়ে ঈশ্বর তাঁর মন্দির নির্মাণ করেছেন।
2 ইস্রায়েলের যে কোন জায়গার চেয়ে সিয়োনের ফটকগুলোকে ঈশ্বর অনেক বেশী ভালোবাসেন।
3 হে ঈশ্বরের নগরী, লোকে তোমার সম্পর্কে বিস্ময়কর কথা বলে।
4 ঈশ্বর তাঁর সব লোকের তালিকা রাখেন, ওদের মধ্যে কিছু লোক মিশর ও বাবিলে বাস করে।
ওদের মধ্যে কিছু লোক পলেষ্টীয়, সোর ও কূশ দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলো।
5 যারা সিয়োনে জন্মেছে,
তাদের প্রত্যেককে ঈশ্বর চেনেন।
পরাৎপর এই নগর নির্মাণ করেছেন।
6 ঈশ্বর, তাঁর সব লোকদের তালিকা রেখেছেন।
প্রত্যেকটি লোক কোথায় জন্মেছে তা ঈশ্বর জানেন।
7 ঈশ্বরের লোকরা বিশেষ ছুটি উদ্যাপন করতে জেরুশালেমে যায়।
ওরা প্রচণ্ড সুখী, ওরা নাচছে এবং গাইছে।
ওরা বলে, “জেরুশালেম থেকেই সব ভালো জিনিস আসে।”
চতুর্থ খণ্ড
(গীতসংহিতা 90–106)
ঈশ্বরের লোক, মোশির প্রার্থনা।
90 হে প্রভু, আমাদের সমস্ত প্রজন্মের জন্য আপনি আমাদের গৃহ ছিলেন।
2 হে ঈশ্বর, পর্বতমালার জন্মের আগে,
এই পৃথিবীর এবং জগৎ সৃষ্টির আগে, আপনিই ঈশ্বর ছিলেন।
হে ঈশ্বর, আপনি চিরদিন ছিলেন এবং আপনি চিরদিন থাকবেন।
3 এই পৃথিবীতে আপনিই মানুষকে এনেছেন।
আপনি পুনরায় তাদের ধূলোয় পরিণত করেন।
4 আপনার কাছে হাজার বছর গতকালের মত,
যেন গত রাত্রি।
5 আপনি আমাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেন, আমাদের জীবন একটা স্বপ্নের মত, সকাল হলেই আমরা চলে যাই।
আমরা ঘাসের মত।
6 সকালে ঘাসগুলো জন্মায়
এবং বিকেলে তা শুকিয়ে মরে যায়।
7 ঈশ্বর, আপনার ক্রোধ আমাদের ধ্বংস করে দিতে পারে
এবং তা আমাদের ভীত করে!
8 আমাদের সব পাপ আপনি জানেন।
ঈশ্বর, আমাদের প্রত্যেকটি গোপন পাপ আপনি দেখতে পান।
9 আপনার ক্রোধ আমাদের জীবন শেষ করে দিতে পারে।
ফিস্ফিসানি কথার মত আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায়।
10 আমরা হয়তো বা 70 বছর বেঁচে থাকি।
যদি আমরা শক্তিশালী হই তাহলে হয়তো 80 বছর বেঁচে থাকতে পারি।
আমাদের জীবন কঠোর পরিশ্রম এবং যন্ত্রণায় ভরা।
তারপর হঠাৎ আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায় এবং আমরা উড়ে চলে যাই।
11 হে ঈশ্বর, আপনার ক্রোধের পূর্ণ শক্তি কতখানি তা কোন ব্যক্তিই জানে না।
কিন্তু ঈশ্বর, আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভয় আপনার ক্রোধের মতই বিরাট।
12 আমাদের জীবন প্রকৃতপক্ষে যে কত ছোট তা আমাদের দেখান।
যাতে আমরা প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারি।
13 প্রভু সব সময় আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন।
আপনার দাসদের প্রতি সদয় হোন।
14 প্রত্যেক প্রভাতে আপনার প্রেমে আমাদের ভরিয়ে দিন।
আমাদের সুখী হতে দিন, এ জীবনকে উপভোগ করতে দিন।
15 আমাদের জীবনে অনেক দুঃখ ও সমস্যা দিয়েছেন।
এবার আমাদের সুখী করুন।
16 যে সব অলৌকিক কাজ আপনি আপনার সেবকদের জন্য করেন, তা ওরা দেখুক।
ওদের সন্তানদের আপনার মহিমা দেখতে দিন।
17 ঈশ্বর আমাদের শ্রমে সাহায্য করুন।
আমাদের শ্রম তাঁকে সাহায্য করুক।
136 প্রভুর প্রশংসা কর কারণ তিনিই মঙ্গলকর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম বিরাজমান থাকে।
2 যিনি সব দেবতাদের দেবতা, সেই ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
3 সব প্রভুদের প্রভুকে প্রশংসা কর!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
4 ঈশ্বরের প্রশংসা কর যিনি একাই বিস্ময়কর সব কাজ করেন!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
5 ঈশ্বরের প্রশংসা কর যিনি প্রজ্ঞা দিয়ে আকাশ সৃষ্টি করেছেন!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
6 শুষ্ক ভূখণ্ডকে তিনি সাগরে স্থাপন করেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
7 ঈশ্বর মহান আলোগুলো সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
8 দিনকে শাসন করার জন্য ঈশ্বর সূর্য সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
9 রাত্রিকে শাসন করার জন্য ঈশ্বর চাঁদ এবং তারা সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
10 মিশরের প্রথম জাত মানুষ এবং প্রাণীকে ঈশ্বর হত্যা করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
11 ঈশ্বর ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বার করে এনেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
12 ঈশ্বর তাঁর বিপুল শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে ছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগে ভাগ করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
14 ঈশ্বর লোহিত সাগরের মধ্যে দিয়ে ইস্রায়েলকে পরিচালিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম অনন্তকাল অব্যাহত থাকে।
15 ফরৌণ এবং সৈন্যবাহিনীকে ঈশ্বর লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
16 ঈশ্বর তাঁর লোকদের মরুভূমির মধ্যে দিয়ে পথ দেখিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
17 ঈশ্বর শক্তিশালী রাজাদের পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
18 ঈশ্বর বলবান রাজাদের পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
19 ঈশ্বর ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
20 ঈশ্বর বাশনের রাজা ওগকে পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
21 ঈশ্বর তাদের ভূখণ্ড ইস্রায়েলকে দিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
22 ঈশ্বর সেই ভূখণ্ড ইস্রায়েলকে উপহারস্বরূপ দিয়েছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
23 যখন আমরা পরাজিত হয়েছিলাম, তখন ঈশ্বর আমাদের স্মরণে রেখেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
24 ঈশ্বর আমাদের শত্রুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
25 ঈশ্বর প্রত্যেকটি লোককে আহার দেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
26 স্বর্গের ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
হোশেয়র মাধ্যমে প্রভু ঈশ্বরের বার্তা
1 প্রভুর এই বার্তাটি বেরির পুত্র হোশেয়র কাছে এসেছিল। উষিয়, যোথম, আহস এবং হিষ্কিয়—এরা যখন যিহূদার রাজা, সেই সময় এই বার্তাটি এসেছিল। এই সময় যোয়াশের পুত্র যারবিয়াম ইস্রায়েলের রাজা ছিলেন।
2 হোশেয়র কাছে এটাই ছিল প্রভুর প্রথম বার্তা। প্রভু বলেছিলেন, “যাও, একজন পতিতাকে বিয়ে কর যার বেশ্যাবৃত্তির দরুন সন্তান হয়েছে। কেন? কারণ এদেশের লোকরা পতিতাদের মতোই ব্যবহার করেছে। তারা প্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছে।”
যিষ্রিয়েলের জন্ম
3 সেজন্য হোশেয় দিব্লায়িমের কন্যা গোমরকে বিয়ে করল। গোমর গর্ভবতী হল এবং হোশেয়কে একটি পুত্র উপহার দিল। 4 প্রভু হোশেয়কে বললেন, “তার নাম যিষ্রিয়েল রাখো। কেন? কারণ কিছুক্ষণের মধ্যে আমি যিষ্রিয়েলের উপত্যকাতে রক্তপাতের জন্য যেহূর পরিবারকে শাস্তি দেব। তারপর আমি ইস্রায়েলের রাজ্যকে ধ্বংস করব। 5 এবং সেই সময়ে, যিষ্রিয়েল উপত্যকায় ইস্রায়েলের ধনুক ভাঙ্গব।”
লো-রুহামার জন্ম
6 তারপর গোমর আবার গর্ভবতী হলো এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিল। প্রভু হোশেয়কে বললেন, “তার নাম লো-রুহামা রাখো। কেন? কারণ আমি ইস্রায়েল দেশকে ক্রমাগত ক্ষমা করতে পারব না। আমি আর তাদের ক্ষমা করতে থাকব না। 7 কিন্তু আমি যিহূদা জাতির প্রতি করুণা দেখাব। আমি যিহূদা জাতিকে রক্ষা করবো। আমি তাদের রক্ষা করার জন্য ধনুক অথবা তরবারি ব্যবহার করব না। আমি তাদের রক্ষা করার জন্য যুদ্ধের ঘোড়া অথবা সৈন্য ব্যবহার করব না। আমি আমার নিজের ক্ষমতা বলে তাদের রক্ষা করব।”
লো-অম্মির জন্ম
8 লো-রুহামার লালন-পালন শেষ করার পর, গোমর আবার গর্ভবতী হল। সে একটি শিশু পুত্রের জন্ম দিল। 9 তখন প্রভু বললেন, “তার নাম লো-অম্মি রাখো। কেন? কারণ তোমরা আমার লোক নও। আমি তোমাদের ঈশ্বর নই।”
প্রভু ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি করেছেন যে ইস্রায়েলীয়দের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে
10 “ভবিষ্যতে, ইস্রায়েল জাতির লোকসংখ্যা সমুদ্রের বালির মতো অসংখ্য হবে। তুমি বালি পরিমাপ করতে পার না অথবা তার সংখ্যা গুনতেও পার না। তখন এটা যেখানে তাদের বলা হয়েছিল, ‘তোমরা আমার লোক নও,’ সেই জায়গাতেই তাদের বলা হবে, ‘তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের সন্তান।’
11 “তখন যিহূদাবাসী এবং ইস্রায়েলবাসীরা একত্রিত হবে। তাদের মধ্যে থেকে তারা একজন শাসককে নির্ধারণ করবে। এবং ঐ দেশের ভূখণ্ডের জন্য তাদের জাতি হবে অনেক বড়![a] যিষ্রিয়েলের দিন সত্যই মহৎ হবে।”
2 “তখন তোমরা তোমাদের ভাইদের বলবে, ‘তোমরা আমার লোক।’ এবং তোমরা তোমাদের বোনেদের বলবে, ‘তিনি তোমাদের প্রতি কৃপা প্রদর্শন করেছেন।’”
পৌলের মাকিদনিয়া ও গ্রীসে যাত্রা
20 সেই হাঙ্গামা থেমে যাবার পর পৌল যীশুর অনুগামীদের ডেকে পাঠালেন, আর তাদের সকলকে উৎসাহ দান করে ও শুভেচ্ছা জানিয়ে মাকিদনিয়ার অঞ্চলগুলিতে যাবার জন্য রওনা দিলেন। 2 তিনি সেই অঞ্চল দিয়ে মাকিদনিয়ায় যেতে যেতে বিভিন্ন জায়গায় খ্রীষ্টানুসারীদের অনেক কথা বলে উৎসাহ দিলেন, শেষে গ্রীসে এসে পৌঁছলেন। 3 সেখানে তিনি তিন মাস থাকলেন।
তিনি যখন সমুদ্রপথে সুরিয়া যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখন ইহুদীরা তাঁর বিরুদ্ধে এক চক্রান্ত করছে এই কথা জানতে পেরে তিনি মাকিদনিয়া হয়ে সুরিয়া যাবেন বলে ঠিক করলেন। 4 কিছু কিছু লোক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিল। এরা হল বিরয়ার পুর্হের ছেলে সোপাত্র, থিষলনীকিয় থেকে আগত আরিষ্টার্খ ও সিকুন্দ, দর্বীর গায় ও তীমথিয় আর এশিয়ার তুখিক ও ত্রফিম। 5 এরা পৌলের আগেই রওনা হয়ে ত্রোয়াতে গিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। 6 খামিরবিহীন রুটির পর্বের পর আমরা ফিলিপী থেকে সমুদ্রপথে রওনা হয়ে পাঁচ দিন পর ত্রোয়াতে তাদের সঙ্গে যোগ দিলাম। সেখানে আমরা সাত দিন থাকলাম।
ত্রোয়াতে পৌলের শেষ যাত্রা
7 রবিবার আমরা যখন আবার প্রভুর ভোজ গ্রহণ করতে একত্রিত হলাম তখন পৌল পরের দিন সেখান থেকে চলে যাবেন বলে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত তাদের সাথে কথা বলতে থাকলেন। 8 আমরা ওপরের যে ঘরে সমবেত হয়েছিলাম সেখানে অনেক প্রদীপ ছিল। 9 উতুখ নামে এক যুবক সেই ঘরের জানালায় বসেছিল। পৌলের দীর্ঘ বক্তৃতার সময় সে গভীরভাবে ঘুমিয়ে গেল। তারপর ঘুমের ঘোরে সে তিনতলা থেকে নীচে পড়ে গেল। লোকেরা গিয়ে যখন তাকে তুলল, দেখা গেল সে মারা গেছে।
10 পৌল নিজেই নীচে নেমে গেলেন। তিনি তার দেহের ওপরে নিজেকে রেখে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “তোমরা বিচলিত হয়ো না, কারণ দেখ এর মধ্যে এখনও প্রাণ আছে।” 11 এরপর পৌল ওপরের ঘরে গিয়ে রুটি ভাঙলেন ও কিছু খাওয়া-দাওয়া করে ভোর পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন। তারপর তিনি তাদের কাছ থেকে রওনা হলেন। 12 বিশ্বাসীরা সেই যুবককে জীবিত অবস্থায় তার বাড়ি নিয়ে যেতে পেরে খুবই আশ্বস্ত হল।
ত্রোয়া থেকে মাইলেটাস যাত্রা
13 আমরা সমুদ্রপথে আঃসে রওনা দিয়ে পৌলের আগেই সেখানে পৌঁছালাম। ঠিক ছিল যে পৌল আঃসে হাঁটা পথে যাবেন আর সেখানে আমরা তাঁকে জাহাজে তুলে দেব। 14 পরে আঃসে পৌলের সঙ্গে আমাদের দেখা হল, আর তিনি জাহাজে আমাদের কাছে এলেন। আমরা সকলে মিতুলীনী শহরে গেলাম। 15 সেখান থেকে পরের দিন জাহাজে করে খীয়ের দ্বীপের কাছে পৌঁছালাম। দ্বিতীয় দিনে আমরা সামঃ দ্বীপ পার হয়ে তার পরদিন মিলীতে গেলাম, 16 কারণ পৌল আগেই ঠিক করেছিলেন যে তিনি ইফিষে নামবেন না। তিনি এশিয়াতে বেশী সময় থাকতে চাইলেন না, কারণ পঞ্চাশত্তমীর আগেই জেরুশালেমে পৌঁছবার জন্য তিনি ব্যগ্র হয়ে উঠেছিলেন।
যীশু এক স্ত্রীলোককে আরোগ্যদান করলেন
(মথি 8:14-17; মার্ক 1:29-34)
38 যীশু সমাজ-গৃহ থেকে বেরিয়ে শিমোনের বাড়িতে গেলেন। সেখানে শিমোনের শাশুড়ী খুব জ্বরে ভুগছিলেন, তাই তারা এসে তাঁকে অনুরোধ করল যেন তিনি তাঁকে সুস্থ করেন। 39 তখন যীশু তাঁর কাছে দাঁড়িয়ে জ্বরকে ধমক দিলেন, এর ফলে জ্বর ছেড়ে গেল, আর তিনি তখনই উঠে তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে লাগলেন।
আরো বহু লোককে যীশু সুস্থ করলেন
40 সূর্য অস্ত যাবার সময় লোকরা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের লোকজন, যারা নানা রোগে অসুস্থ ছিল তাদের যীশুর কাছে নিয়ে এল। যীশু তাদের প্রত্যেকের ওপরে হাত রেখে তাদের সুস্থ করলেন। 41 তাদের অনেকের মধ্যে থেকে ভূত বার হয়ে এল। তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “আপনি ঈশ্বরের পুত্র।” কিন্তু তিনি তাদের ধমক দিলেন, তাদের কথা বলতে দিলেন না, কারণ তারা জানত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
যীশু অন্যান্য শহরে গেলেন
(মার্ক 1:35-39)
42 ভোর হলে যীশু সেই জায়গা ছেড়ে এক নির্জন জায়গায় চলে গেলেন। কিন্তু বিরাট জনতা তাঁর খোঁজ করতে লাগল; আর তিনি যেখানে ছিলেন সেখানে এসে হাজির হল এবং তিনি যেন তাদের কাছ থেকে চলে না যান সেজন্য তাঁকে আটকাতে চেষ্টা করল। 43 কিন্তু তিনি তাদের বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্যের এই সুসমাচার আমাকে অন্যান্য শহরেও বলতে হবে, কারণ এরই জন্য আমাকে পাঠানো হয়েছে।”
44 এরপর তিনি যিহূদিযার বিভিন্ন সমাজ-গৃহে প্রচার করতে লাগলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International