Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: বাঁশীর সঙ্গে গাইবার জন্য দায়ূদের একটি গীত।
5 হে প্রভু, আমার কথা শুনুন।
আমি যা বলতে চাইছি তা বুঝে নিন।
2 হে আমার ঈশ্বর, হে রাজন,
আমার প্রার্থনা শুনুন।
3 হে প্রভু, প্রতিদিন সকালে আপনার সামনে আমার নৈবেদ্য রাখি এবং আপনার সাহায্য প্রার্থনা করি।
প্রতিদিন সকালে আপনি আমার প্রার্থনা শোনেন।
4 হে ঈশ্বর, মন্দ লোকরা আপনার কাছে থাকুক, এ আপনি চান না।
দুষ্ট লোকরা আপনার উপাসনা করে না।
5 বোকারা আপনার কাছে আসতে পারে না।
লোকদের মন্দ কাজ করাকে আপনি ঘৃণা করেন।
6 আপনি মিথ্যাবাদীদের বিনাশ করেন।
যারা অন্য লোকদের আঘাত করার জন্য গোপনে ফন্দি আঁটে সেইসব লোকদেরও আপনি ঘৃণা করেন।
7 কিন্তু প্রভু, আপনার বিশাল করুণাধন্য হয়ে, আমি আপনার মন্দিরে যাবো।
প্রভু আমার, আপনার প্রতি ভীতি এবং শ্রদ্ধাসহ আমি আপনার মন্দিরে মাথা নত করবো।
8 প্রভু আমার, আপনার সঠিক জীবনযাত্রা
আমার কাছে উদ্ঘাটন করুন।
লোকেরা আমার দুর্বলতা খুঁজছে।
তাই যেমনভাবে আমার বেঁচে থাকা উচিৎ তা আমায় দেখিয়ে দিন।
9 লোকজন সত্যি কথা বলে না।
তারা মিথ্যাবাদী, সত্যকে বিকৃত করে।
তাদের মুখ শূন্য কবরের মত।
তারা অন্য লোকদের ভালো ভালো কথা বলছে, তারা কেবল তাদের ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
10 ঈশ্বর, ওদের শাস্তি দিন।
তাদের নিজেদের ফাঁদেই তাদের পড়তে দিন।
ঐসব লোকেরা আপনার বিরুদ্ধে গিয়েছে
অতএব ওদের বহু অন্যায়ের জন্য ওদের শাস্তি দিন।
11 কিন্তু সেই সব লোক যারা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে, তাদের সুখী করুন।
চিরদিনের জন্য সুখী করুন!
ঈশ্বর আমার, যারা আপনাকে ভালোবাসে, আপনি তাদের রক্ষা করুন ও শক্তি দিন।
12 হে প্রভু, সৎ লোকের জন্য আপনি যখন ভালো কাজ করেন,
তখন আপনি বিরাট বড় ঢালের মত তাদের রক্ষা করেন।
পরিচালকের প্রতি: শমীনীৎসহ তারবাদ্যে গাইবার জন্য দায়ূদের একটি গীত।
6 হে প্রভু, ক্রুদ্ধ অবস্থায় আমাকে সংশোধন করবেন না।
মহাক্রোধে আমাকে শাস্তি দেবেন না।
2 প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন,
আমি দুর্বল এবং অসুস্থ।
আমায় সুস্থ করে দিন
কারণ আমার হাড়গুলো নড়বড় করছে।
3 প্রভু আমার সারা দেহ টল্মল্ করছে।
প্রভু সুস্থ হতে আমার আর কতদিন লাগবে?
4 প্রভু ফিরে আসুন এবং আবার আমাকে শক্তিশালী এবং সবল করে দিন।
আপনার দয়াগুনে আমাকে পরিত্রাণ করুন।
5 মৃত লোকরা তাদের কবরে আপনাকে স্মরণ করে না।
মানুষ মৃত্যুর মুখে এসেও আপনার প্রশংসা করে না।
তাই আমায় সুস্থ করে দিন!
6 হে প্রভু, সারা রাত ধরে প্রার্থনা করে
আমি নিজেকে ক্ষয় করেছি।
আমার চোখের জলে
আমার বিছানা ভিজে গেছে।
7 আমার শত্রুরা আমাকে যা দুঃখ দিয়েছে
তার দরুণ কেঁদে কেঁদে আমার চোখ দুর্বল হয়ে গেছে।
8 মন্দ লোকরা, তোমরা চলে যাও।
কেন? কারণ প্রভু আমার কান্না শুনেছেন।
9 প্রভু আমার মিনতি শুনেছেন।
প্রভু আমার প্রার্থনা গ্রহণ করেছেন এবং আমায় উত্তর দিয়েছেন।
10 আমার সকল শত্রু হতাশ এবং নিরাশ হবে।
হঠাৎ একটা কিছু ঘটবে এবং ঐসব শত্রুরা লজ্জায় চলে যাবে।
10 প্রভু, আপনি এত দূরে থাকেন কেন?
সমস্যা জর্জরিত মানুষ আপনাকে দেখতে পায় না।
2 অহঙ্কারী এবং দুষ্ট লোকরা মন্দ ফন্দি আঁটছে
এবং তারা দরিদ্র লোকেদের আঘাত করে।
3 মন্দ লোকরা যা চায় তার বড়াই করে।
ঐসব লোভী লোকরা ঈশ্বরের নিন্দা করে।
এইভাবেই মন্দ লোকেরা প্রকাশ করে যে তারা প্রভুকে ঘৃণা করে।
4 মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম্ভিক।
তারা রাশি রাশি মন্দ ফন্দি আঁটে।
তারা এমন ভাব করে যেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই।
5 মন্দ লোকরা সর্বদাই কুটিল কাজকর্ম করে।
এমনকি তারা ঈশ্বরের বিধিসকল ও মহান শিক্ষামালাকে লক্ষ্য করে না।[a]
ঈশ্বরের শত্রুরা তাঁর শিক্ষামালাকে উপেক্ষা করে।
6 ঐসব লোকজন মনে করে, কোনদিন ওদের খারাপ কিছু হবে না।
তারা বলে, “আমরা সব দিনই মজা করবো, আমাদের কোন শাস্তি হবে না।”
7 ঐসব লোকরা সর্বদা অভিশাপ দিচ্ছে।
অন্যান্য লোকজন সম্পর্কে তারা সর্বদাই কটু ও মিথ্যা কথা বলে চলেছে।
সর্বদাই তারা অহিতকর কাজ করার ফন্দি আঁটে।
8 ঐসব লোক অন্যান্য লোকদের ধরার জন্য গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকে।
তারা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে আঘাত করার জন্য খুঁজতে থাকে।
নির্দোষ লোকদের ওরা হত্যা করে।
9 মন্দ লোকরা সেই সব সিংহের মত
যারা তাদের আহার্য পশুকে ধরার জন্য ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করতে থাকে।
তারা দরিদ্র লোকদের আক্রমণ করে।
মন্দ লোকদের তৈরী ফাঁদে দরিদ্র লোকরা ধরা পড়ে।
10 ঐসব লোক হতভাগ্য ও বিড়ম্বিত মানুষকে
বার বার আঘাত করে।
11 এই কারণে ভাগ্যহত লোকরা ভাবে, “ঈশ্বর আমাদের ভুলেই গেছেন
আমাদের থেকে তিনি চিরদিনের জন্য বিমুখ হয়েছেন!
আমাদের ওপর যা যা ঘটে চলেছে প্রভু তা দেখছেন না!”
12 প্রভু জেগে উঠুন এবং কিছু করুন!
ঈশ্বর, ঐসব মন্দ লোককে শাস্তি দিন!
ঐসব বঞ্চিত দরিদ্র লোকদের ভুলে যাবেন না!
13 মন্দ লোকরা কেন ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করে?
কারণ তারা ভাবে, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন না।
14 প্রভু, মন্দ লোকরা যে সব নির্দয় ও অহিতকর কাজ করে, নিশ্চয় আপনি তা দেখতে পান।
ঐসবের দিকে দেখুন এবং কিছু করুন!
সমস্যাগ্রস্ত মানুষ আপনার সাহায্যের দিকে চেয়ে রয়েছে।
হে প্রভু, আপনিই সেইজন যিনি অনাথদের সাহায্য করেন।
অতএব তাদের সাহায্য করুন!
15 প্রভু, মন্দ লোকদের বিনাশ করুন।
16 প্রভু চিরকালের এবং অনন্তকালের রাজা।
বিদেশী জাতিগুলি তাঁর দেশ থেকে অদৃশ্য হয়েছে।
17 হে প্রভু, দরিদ্র লোকরা কি চায় তা আপনি শুনেছেন।
তাদের প্রার্থনা শুনুন এবং তারা যা চায় তাই করুন!
18 প্রভু পিতৃ-মাতৃহীন সন্তানদের রক্ষা করুন।
দুঃখী লোকেদের অধিক যন্ত্রণার সম্মুখীন করবেন না।
এমন করুন যেন মন্দ লোকরা এখানে থাকতে ভয় পায়।
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের গীত।
11 আমি প্রভুর ওপর বিশ্বাস রাখি। তবে কেন তোমরা আমায় দৌড়ে গিয়ে লুকিয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলে?
তুমি আমায় বলেছিলে, “পাখীর মত তোমার পর্বতে উড়ে যেতে!”
2 মন্দ লোকরা শিকারীর মত, তারা অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে।
তারা ধনুকের ছিলা টেনে ধরে।
তারা তাদের তীর লোকের দিকে তাক করে এবং সাধু ও সৎ লোকের হৃদয়ে তা সরাসরি বিদ্ধ করে।
3 সমাজে ভিতগুলোই যদি নষ্ট হয়ে যায়,
তবে সৎ লোকরা কি করবে?
4 প্রভু তাঁর পবিত্র মন্দিরে রয়েছেন।
প্রভু স্বর্গে তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন।
এই পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে, তার সবই তিনি দেখতে পান।
লোকরা সত্যিকারের ভাল না মন্দ তা জানবার জন্য প্রভু লোকেদের খুব কাছ থেকে ভালভাবে নিরীক্ষণ করেন।
5 প্রভু সৎ লোকদের খোঁজেন।
কিন্তু হিংসাশ্রয়ী বদ লোকদের পরিত্যাগ করেন।
6 মন্দ লোকদের ওপর তিনি জ্বলন্ত কয়লা ও গন্ধক বর্ষণ করবেন।
ঐসব মন্দ লোক উত্তপ্ত ও অগ্নিময় বাতাস ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
7 কিন্তু প্রভু ভালো। যেসব লোক ভাল কাজ করে তিনি তাদের ভালোবাসেন।
সৎ লোকরা তাঁরই সঙ্গে থাকবে এবং তাঁকে দেখতে পাবে।
ইয়োব ইলীফসকে উত্তর দিলেন
6 1-2 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন:
“আমি যদি আমার ক্রোধকে দাঁড়িপাল্লার এক দিকে এবং দুঃখকে অন্য দিকে রাখতে পারতাম
তাহলে তাদের ওজন একই হত।
3 তাদের ওজন সমুদ্রের সব কটি বালুকণার চেয়েও বেশী।
এই কারণেই আমার বাক্য এত কর্কশ।
4 সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের তীর আমার দেহে বিদ্ধ হয়েছে।
আমার জীবন ঐ সব তীরের বিষ পান করছে!
ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর অস্ত্রসমূহ আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সারি দিয়ে রাখা আছে।
8 “যা চেয়েছি তা যদি পেতাম!
আমি যা সত্যিই চাই তা যদি ঈশ্বর দিতেন!
9 আমি চেয়েছিলাম, ঈশ্বর আমায় ধ্বংস করুন।
এগিয়ে এসে আমায় হত্যা করুন।
10 যদি তিনি আমায় হত্যা করেন, আমি স্বস্তি পাবো, আমি সুখী হব: এত যন্ত্রণা সত্ত্বেও আমি সেই পবিত্রতমের আদেশ পালন করা থেকে বিরত হই নি।
11 “আমার সব শক্তি চলে গেছে, তাই আমার বেঁচে থাকার কোন আশা নেই।
আমি জানি না আমার কি হবে, তাই আমার ধৈর্য্য ধরার কোন কারণ নেই।
12 আমি পাথরের মত শক্ত নই।
আমার দেহ পিতল দিয়ে তৈরী নয়।
13 আত্মনির্ভর হবার মত আমার কোন শক্তি নেই।
কেন? কারণ আমার কাছ থেকে সাফল্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
14 “যদি কেউ সমস্যায় পড়ে, তার প্রতি তার বন্ধুর সদয় হওয়া উচিৎ।
যদি কেউ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দিক থেকেও মুখ ফেরায়, তবুও তার প্রতি তার বন্ধুর বিশ্বস্ত থাকা উচিৎ।
15 কিন্তু তুমি, আমার ভাই, তুমি বিশ্বস্ত ছিলে না, আমি তোমার প্রতি নির্ভর করতে পারিনি।
তুমি সেই ঝর্ণার মত যা কখনও প্রবাহিত হয় আবার কখনও প্রবাহিত হয় না। তুমি সেই ঝর্ণার মত
21 এখন, তুমি সেই সব ঝর্ণার মত।
আমার দুর্দশা দেখে তুমি ভীত হয়েছো।
যাফোতে পিতর
32 পিতর জেরুশালেমের আশে পাশে বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করতে করতে লুদ্দার খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের কাছে এলেন। 33 লুদ্দায় তিনি ঐনিয় নামে একজন পঙ্গু লোকের দেখা পান; সে আট বছর ধরে পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী ছিল। 34 পিতর তাকে বললেন, “ঐনিয় যীশু তোমায় সুস্থ করেছেন, তুমি ওঠ, বিছানা গুটিয়ে নাও। তুমি নিজেই তা পারবে।” সঙ্গে সঙ্গে ঐনিয় উঠে দাঁড়াল। 35 তখন লুদ্দা ও শারোণের সব লোক তাকে দেখে প্রভুর প্রতি ফিরল ও বিশ্বাসী হল।
36 যাফোতে টাবিথা বা দর্কা যার অর্থ “হরিণী” নামে এক শিষ্য ছিলেন। তিনি সব সময় লোকের উপকার করতেন, বিশেষ করে গরীবদের সাহায্য করতেন। 37 পিতর যখন লুদ্দায় ছিলেন টাবিথা অসুস্থ হয়ে মারা যান; তাই তারা তাঁর দেহ স্নান করিয়ে ওপরের ঘরে শুইয়ে রাখল। 38 লুদ্দা যাফোর কাছাকাছি ছিল। অনুগামীরা যখন শুনলেন যে পিতর লুদ্দায় আছেন, তখন তাঁরা দুজন লোককে সেখানে পাঠিয়ে অনুরোধ করলেন, “যেন পিতর তাড়াতাড়ি করে একবার তাদের ওখানে আসেন!”
39 তখন পিতর প্রস্তুত হয়ে তাদের সঙ্গে চললেন। তিনি সেখানে হাজির হলে তারা তাঁকে ওপরের সেই ঘরে নিয়ে গেল; আর বিধবারা সকলে তাঁর চারদিকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল, দর্কা জীবিত অবস্থায় তাদের সঙ্গে থাকবার সময়ে যেসব পোশাকগুলি তৈরী করেছিলেন তা দেখাতে লাগল। 40 পিতর সকলকে ঘরের বাইরে বার করে দিয়ে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করলেন। তারপর সেই দেহের দিকে ফিরে তিনি বললেন, “টাবিথা, ওঠ!” তাতে তিনি চোখ খুললেন ও পিতরকে দেখে উঠে বসলেন। 41 তখন পিতর হাত বাড়িয়ে তাঁকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন। এরপর তিনি বিশ্বাসীদের ও সেই বিধবাদের ডেকে তাঁকে জীবিত দেখালেন।
42 এই কথা যাফোর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল আর অনেক লোক প্রভুর ওপর বিশ্বাস করল। 43 পিতর যাফোতে শিমোন নামে এক চামড়া ব্যবসায়ীর ঘরে অনেক দিন রইলেন।
অনন্ত জীবনের বাক্যসকল
60 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে তাঁর এই কথা শুনে বলল, “এ বড়ই কঠিন কথা; কে এ গ্রহণ করতে পারে?”
61 যীশু অন্তরে টের পেলেন যে তাঁর শিষ্যরা এই বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। তাই তিনি তাদের বললেন, “এই শিক্ষায় কি তোমরা ধাক্কা পেয়েছ? 62 তবে মানবপুত্র আগে যেখানে ছিলেন উর্দ্ধে সেখানে তাঁকে ফিরে যেতে দেখলে তোমরা কি বলবে? 63 আত্মাই জীবন দান করে, রক্ত মাংসের শরীর কোন উপকারে আসে না। আমি তোমাদের সকলকে যে সব কথা বলেছি তা হল আধ্যাত্মিক আর তাই জীবন দান করে। 64 কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করে না।” কারণ যীশু শুরু থেকেই জানতেন কে কে তাঁকে বিশ্বাস করে না, আর কেই বা তাঁকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে। 65 তাই তিনি বললেন, “এজন্য আমি তোমাদের বলেছি, ‘পিতা ইচ্ছা না করলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না।’”
66 এই কারণেই তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে পিছিয়ে গেল, তাঁর সঙ্গে চলাফেরা বন্ধ করে দিল।
67 তখন যীশু সেই বারোজন প্রেরিতকে বললেন, “তোমরাও কি চলে যেতে চাইছ?”
68 শিমোন পিতর বললেন, “প্রভু, আমরা কার কাছে যাব? আপনার কাছে সেই বাণী আছে যা অনন্ত জীবন দান করে। 69 আমরা বিশ্বাস করি ও জানি যে আপনিই সেই পবিত্র একজন, যিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।”
70 এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “আমি কি তোমাদের বারোজনকে মনোনীত করি নি? তবু তোমাদের মধ্যে একজন দিয়াবল আছে।” 71 তিনি শিমোন ঈষ্করিয়োতের ছেলে যিহূদার বিষয়ে বলছিলেন, কারণ যিহূদা সেই বারো জনের মধ্যে একজন হলেও পরে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International