Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 118

118 প্রভুকে সম্মান কর, কারণ তিনিই ঈশ্বর।
    তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!
ইস্রায়েল এই কথা বল,
    “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
যাজকরা তোমরা বল,
    “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
তোমরা লোকেরা যারা প্রভুকে উপাসনা কর,
    তোমরা বলো, “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”

আমি সমস্যায় পড়েছিলাম তাই সাহায্যের জন্য আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম।
    প্রভু আমায় উত্তর দিয়েছেন এবং আমায় মুক্ত করেছেন।
আমার সঙ্গে প্রভু আছেন, তাই আমি ভয় পাবো না।
    লোকেরা আমাকে আহত করার জন্য কিছু করতে পারে না।
প্রভুই আমার সহায়।
    আমি আমার শত্রুদের পরাজিত দেখবো।
মানুষকে বিশ্বাস করার থেকে
    প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
তোমাদের নেতাদের বিশ্বাস করা থেকে
    প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।

10 বহু শত্রু আমাকে ঘিরে ধরেছিল।
    কিন্তু প্রভুর শক্তির দ্বারা আমি আমার শত্রুদের পরাজিত করেছি।
11 আমার শত্রুরা ক্রমাগত আমায় ঘিরেই যাচ্ছিল।
    প্রভুর শক্তির সাহায্যে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
12 ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছির মত শত্রুরা আমায় ঘিরে ধরেছিলো।
    কিন্তু দ্রুত জ্বলনশীল ঝোপের মত ওরা শেষ হয়ে গিয়েছিলো।
প্রভুর শক্তি দিয়ে আমি ওদের পরাজিত করেছি।

13 আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিলো এবং আমাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিলো।
    কিন্তু প্রভু আমায় সাহায্য করেছিলেন।
14 প্রভুই আমার শক্তি এবং আমার জয়গান!
    প্রভু আমায় রক্ষা করেন!
15 ধার্ম্মিক লোকেদের বাড়ীতে তুমি এই বিজয় উৎসব শুনতে পাবে।
    প্রভু আবার তাঁর মহান শক্তি প্রদর্শন করলেন।
16 প্রভুর বাহুগুলি জয়ে উত্তোলিত।
    তিনি আবার একবার তাঁর মহান শক্তি দেখালেন।

17 আমি মরবো না, আমি বেঁচে থাকবো
    এবং প্রভু কি করেছেন তা আমি বলবো।
18 প্রভু আমায় শাস্তি দিয়েছেন,
    কিন্তু তিনি আমায় মরতে দেন নি।
19 ন্যায়ের সিংহদ্বারগুলি আমার জন্য খুলে যাও,
    আমি প্রভুর উপাসনা করতে ভেতরে আসবো।
20 ওইগুলো প্রভুর দ্বার।
    একমাত্র ধার্ম্মিক লোকরাই ওর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।
21 হে প্রভু, আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়ার জন্য
    এবং আমাকে রক্ষা করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

22 যে পাথরটিকে স্থপতিরা চায় নি, সেটাই হয়ে গেল মুখ্য প্রস্তর।
23 প্রভু এটি করেছেন
    এবং এটি দেখতে অদ্ভুত লাগছে!
24 আজকের দিন সেই দিন যা প্রভু সৃষ্টি করেছেন।
    আজ আমাদের আনন্দ করতে দিন, সুখী হতে দিন।

25 লোকেরা বললো, “প্রভুর প্রশংসা কর!
    প্রভু আমাদের রক্ষা করেছেন!
26     সেই লোকটিকে স্বাগত জানাও, যে প্রভুর নাম নিয়ে আসছে।”
যাজকরা উত্তর দিয়েছিলো, “আমরা তোমাকে প্রভুর গৃহে স্বাগত জানাই!
27 প্রভুই ঈশ্বর এবং তিনি আমাদের গ্রহণ করেন।
    বলির জন্য একটা মেষ বাঁধ এবং সেটাকে বেদীর কোণে নিয়ে চল।”

28 প্রভু, আপনিই আমার ঈশ্বর, আপনাকে ধন্যবাদ দিই।
    আমি আপনার প্রশংসা করি!
29 প্রভুর প্রশংসা কর! কারণ তিনি মঙ্গলময়।
    তাঁর প্রকৃত প্রেম চিরন্তন।

গীতসংহিতা 145

দায়ূদের একটি ভজন।

145 হে আমার ঈশ্বর এবং রাজা, আমি আপনার প্রশংসা করি।
    চিরদিনের জন্য এবং অনন্তকালের জন্য আমি আপনার নামকে আশীর্বাদ করি।
প্রতিদিন আমি আপনার প্রশংসা করি।
    চিরদিনের জন্য আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
প্রভু মহান; লোকজন ভীষণভাবে তাঁর প্রশংসা করে।
    যে সব মহৎ‌‌ কাজ তিনি করেন, তা আমরা গুনতে পারি না।
প্রভু, আপনি যা করেন তার জন্য লোকজন চিরদিন আপনার প্রশংসা করবে।
    আপনি যে মহৎ‌‌ কাজ করেন তার সম্পর্কে তারা বলবে।
আপনার মহত্ব এবং মহিমা দুইই চমৎ‌‌কার।
    আপনার বিস্ময়কর কাজ সম্পর্কে আমি বলবো।
প্রভু, যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন সে সম্পর্কে লোকে বলবে।
    আপনি যে সব মহৎ‌‌ কাজ করেন সে সম্পর্কে আমি বলবো।
আপনি যেসব ভালো কাজ করেন সে সম্পর্কে লোকরা বলবে।
    লোকে আপনার ধার্ম্মিকতার গান গাইবে।

প্রভু দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।
    প্রভু স্থিতধী এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
প্রতিটি লোকের জন্যই প্রভু মঙ্গলকর।
    প্রভু যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতিটি বস্তুর প্রতি তিনি করুণা প্রদর্শন করেন।
10 প্রভু, আপনি যা করেন, তাই আপনাকে প্রশংসা এনে দেয়।
    আপনার অনুগামীরা আপনার প্রশংসা করে।
11 তারা বলে আপনার রাজত্ব কত মহৎ‌‌।
    তারা আপনার মহত্ব সম্বন্ধে বলে।
12 তাই হে প্রভু, আপনি যে সব মহৎ‌‌ কাজ করেন অন্য লোকেরা তা জানতে পারে
    এবং তারা জানতে পারে আপনার রাজত্ব কত বিশাল এবং গৌরবময়।
13 প্রভু, আপনার রাজত্ব চির বিরাজমান থাকবে।
    আপনি চিরদিনই রাজত্ব করবেন।

14 পতিত মানুষকে প্রভু উদ্ধার করেন।
    যারা সমস্যায় পড়ে প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
15 হে প্রভু, সমস্ত জীবিত প্রাণী তাদের খাদ্যের জন্য আপনার দিকে চেয়ে থাকে।
    এবং যথাসময়ে আপনি তাদের খাদ্য দেন।
16 হে প্রভু, আপনি আপনার হাত খুলে দিন
    এবং জীবিত প্রাণীদের যা কিছু প্রয়োজন তা দিন।
17 প্রভু যা কিছু করেন তা সবই ভালো।
    যা কিছু তিনি করেন তা দেখিয়ে দেয় তিনি কত মঙ্গলকর এবং বিশ্বস্ত।
18 যারা তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে, প্রভু ওই সব লোকের কাছেই থাকেন।
    তিনি তাঁর উপাসকদের অন্তরঙ্গ।
19 তাঁর অনুগামীরা যা চান প্রভু তাই করেন।
    তিনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং ওদের রক্ষা করেন।
20 যারা তাঁকে ভালোবাসে, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
    কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
21 আমি প্রভুর প্রশংসা করবো!
    সব লোক যেন চিরদিন ধরে তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করে।

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 16:15-31

15 দলীলা শিম্‌শোনকে বলল, “তুমি তো আমায় বিশ্বাসই করো না? তুমি কি করে বলো যে, আমি তোমায় ভালবাসি? গোপন ব্যাপারটা তুমি আমাকে বললে না। এই নিয়ে তিনবার তুমি আমাকে বোকা বানালে। তোমার শক্তির গোপন কথা তুমি আমাকে বললে না।” 16 দিনের পর দিন দলীলা শিম্‌শোনকে রাগিয়ে তুলতে লাগল। তার ঘ্যানঘ্যানানি শুনতে শুনতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। ক্লান্তিতে সে যেন মরমর অবস্থায় পৌঁছাল। 17 সে এটা আর সহ্য করতে পারল না। শেষ পর্যন্ত সে দলীলাকে সব কিছুই বলে দিল। সে বলল, “আমি কখনও চুল কাটি না। আমার জন্মের আগে থেকেই আমাকে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ আমার চুল কেটে নেয়, তাহলে আমি অন্য পাঁচজন সাধারণ লোকের মতো দুর্বল হয়ে পড়ব।”

18 দলীলা বুঝতে পারল শিম্‌শোন তার গোপন কথাটা এবার সত্যই বলেছে। পলেষ্টীয় শাসকদের কাছে সে একটা খবর পাঠাল। সে বলে পাঠাল, “আর একবার ফিরে এসো, শিম্‌শোন আমায় সব বলে দিয়েছে।” এই খবর পেয়ে তারা আবার দলীলার কাছে চলে এল। প্রতিশ্রুতি মত দলীলাকে দেবার মত টাকা নিয়ে এল।

19 দলীলার কোলে মাথা দিয়ে শিম্‌শোন যখন শুয়ে ছিল, সেই সময় দলীলা তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিল। তারপর সে একজন লোককে শিম্‌শোনের চুলের গোছা কেটে নেবার জন্য ডাকল। এইভাবে দলীলা শিম্‌শোনকে শক্তিহীন করে দিল। শিম্‌শোনের শক্তি চলে গেল। 20 দলীলা শিম্‌শোনকে ডেকে বলল, “শিম্‌শোন, পলেষ্টীয়রা তোমাকে ধরবার জন্য আসছে!” শিম্‌শোন জেগে উঠে ভাবলো, “আমি আগের মতোই নিজেকে বাঁচিয়ে নিতে পারব।” কিন্তু সে বুঝতে পারে নি যে প্রভু তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

21 পলেষ্টীয়রা শিম্‌শোনকে ধরে ফেলল। তারা তার চোখ খুবলে নিয়ে তাকে ঘসা শহরে নিয়ে গেল এবং যাতে সে পালিয়ে না যায় সেজন্য চেন দিয়ে বাঁধল। তারপর কারাগারে তাকে ঢুকিয়ে যাঁতায় শস্য পিষতে বাধ্য করল। 22 কিন্তু আবার শিম্‌শোনের চুল গজাতে লাগলো।

23 পলেষ্টীয়দের শাসকরা সবাই উৎসব করতে জড়ো হল। তারা তাদের দেবতা দাগোনের কাছে একটা মস্ত বড় নৈবেদ্য দেবার ব্যবস্থা করছিল। তারা বলল, “আমাদের দেবতাই আমাদের শিম্‌শোনকে হারিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।” 24 পলেষ্টীয়রা শিম্‌শোনের দিকে তাকাল এবং তাদের দেবতার প্রশংসা করতে শুরু করল। তারা বলল:

“এই লোকটা আমাদের লোককে হত্যা করেছে
    এবং আমাদের দেশ ধ্বংস করেছে।
আমাদের দেবতা আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে জয়ী করেছে।”

25 লোকরা উৎসবে বেশ মেতে উঠলো। তারা বলল, “শিম্‌শোনকে বার করে আনো। আমরা তাকে নিয়ে মজা করব।” কারাগার থেকে শিম্‌শোনকে নিয়ে এসে তারা ওকে নিয়ে মজা করতে লাগল। দাগোনের মন্দিরের থামের মাঝখানে তারা শিম্‌শোনকে দাঁড় করাল। 26 একজন ভৃত্য শিম্‌শোনের হাত ধরে ছিল। শিম্‌শোন তাকে বলল, “যে দুই থামের উপর মন্দিরের উপরের অংশের ভার রয়েছে তা আমাকে ছুঁতে দাও। আমি সেখানে হেলান দিয়ে দাঁড়াতে চাই।”

27 মন্দিরে ঠাসা ভীড়। পলেষ্টীয়দের শাসকরা সেখানে সব এসেছে। মন্দিরের ছাদে প্রায় 3000 নর-নারী। তারা শিম্‌শোনকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, মজা করছে। 28 শিম্‌শোন প্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করল, “হে সর্বশক্তিমান প্রভু তুমি দয়া করে আমায় স্মরণ করো। ঈশ্বর, আর একবার তুমি আমায় শক্তি দাও। এই একটা কাজ আমায় করতে দাও, আমি যেন এই পলেষ্টীয়দের আমার দুই চোখ উপড়ে নেওয়ার জন্য শাস্তি দিতে পারি!” 29 তারপর শিম্‌শোন মন্দিরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুটো থামকে ধরল। থাম দুটো সমস্ত মন্দিরটাকে ধরে রেখেছিল। দুটো থামের ভেতর সে নিজেকে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করল। একটি থাম তার ডানদিকে, আরেকটা বাঁদিকে। 30 শিম্‌শোন বলল, “এই পলেষ্টীয়দের সঙ্গে আমার প্রাণ যাক্!” তারপর যত জোরে পারল থামদুটোকে ধাক্কা দিল। আর সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত শাসকদের ও লোকজনের ওপর মন্দিরটা ভেঙ্গে পড়ে গেল। এইভাবে শিম্‌শোন বেঁচে থাকা অবস্থায় যত পলেষ্টীয় হত্যা করেছিল, মরে গিয়ে তার চেয়ে ঢের বেশী পলেষ্টীয় হত্যা করল।

31 শিম্‌শোনের ভাই আর পরিবারের লোকরা সবাই তার শবদেহ নিতে এলো। তাকে নিয়ে তারা তার পিতার সমাধিতে কবর দিল। সমাধিটা রয়েছে সরা আর ইষ্টায়োল শহরের মাঝখানে। 20 বছর ধরে শিম্‌শোন ইস্রায়েলীয়দের বিচারক ছিলেন।

2 করিন্থীয় 13:1-11

শেষ সতর্ক বার্তা ও শুভেচ্ছা

13 এই তৃতীয়বার আমি তোমাদের কাছে যাচ্ছি। “দুই বা তিন জন সাক্ষীর প্রমাণ দ্বারা প্রত্যেক মামলার নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।”(A) দ্বিতীয় বার আমি যখন তোমাদের ওখানে গিয়েছিলাম, তখন যারা পাপ জীবনযাপন করছিল তাদের আমি তখনই সতর্ক করে দিয়েছিলাম। এখন যখন আমি দূরে তখন আবার তোমাদের সাবধান করছি। যখন আমি পুনরায় তোমাদের দেখতে আসব, তখন সেইসব পাপীদের অথবা অন্য যে কেউ পাপ করে তাকে রেহাই দেব না। কারণ খ্রীষ্ট, যিনি আমার মাধ্যমে কথা বলেন, তোমরা তো তাঁরই প্রমাণ চাও। তিনি তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে দুর্বল নন, বরং তিনি তোমাদের মধ্যে শক্তিমান। কারণ এটা সত্য যে তিনি তাঁর দুর্বলতার জন্য ক্রুশের ওপর পেরেক বিদ্ধ হয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বরের পরাক্রমে তিনি এখন জীবিত। এও সত্য যে আমরাও তাঁতে (খ্রীষ্টে) দুর্বল, কিন্তু তোমাদের জন্য আমরা ঈশ্বরের পরাক্রম দ্বারা তাঁর সাথে বাস করব।

নিজেদের পরীক্ষা করে দেখ, তোমাদের বিশ্বাস আছে কি না; প্রমাণের জন্য নিজেদের যাচাই কর। তোমরা কি জান না যে খ্রীষ্ট যীশু তোমাদের মধ্যে আছেন? কিন্তু এ বিষয়ে যদি তোমাদের অন্তরে সেই প্রমাণ না পাও, তবে খ্রীষ্ট তোমাদের মধ্যে নেই। আশা করি তোমরা একথা স্বীকার করবে যে আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমরা ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি, যেন তোমরা কোন অন্যায় না কর। এর অর্থ এই নয় যে আমরা যে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি সেটা স্পষ্ট হোক্ বরং আমরা ব্যর্থ হয়েছি মনে হলেও যেন যা ন্যায় তোমরা তাই কর। কারণ আমরা সত্যের বিপক্ষে কিছুই করতে পারি না, কেবল সত্যের সপক্ষে করতে পারি। তোমরা শক্তিশালী হলে আমরা দুর্বল হলেও আনন্দ করি। আমরা প্রার্থনাও করি, যেন তোমাদের খ্রীষ্টীয় জীবন উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে ওঠে। 10 এই কারণে যখন আমি তোমাদের থেকে দূরে তখন আমি এই সমস্ত লিখছি; যাতে আমি যখন তোমাদের সাথে থাকব, তখন আমাকে যেন তোমাদের শাস্তি দিতে বা তিরস্কার করতে না হয়। সেই ক্ষমতা তোমাদের ভেঙে ফেলবার জন্য নয়, কিন্তু তোমাদের আত্মিক জীবন গড়ে তোলবার জন্যই প্রভু আমাকে দিয়েছেন।

11 আমার ভাই ও বোনেরা, সব শেষে বলি, বিদায়। সিদ্ধি লাভের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা কর, আমি যা বলেছি সেই অনুসারে কাজ কর, একমনা হও, মিলে মিশে শান্তিতে থাক, তাতে প্রেমের ও শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।

মার্ক 5:25-34

25 একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল। 26 অনেক চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে এবং সর্বস্ব ব্যয় করেও এতটুকু ভাল না হয়ে বরং আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

27 সে যীশুর বিষয় শুনে ভীড়ের মধ্যে তাঁর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাক স্পর্শ করল। 28 সে মনে মনে ভেবেছিল, “যদি কেবল তাঁর পোশাক ছুঁতে পারি, তবেই আমি সুস্থ হব।” 29 আর সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তস্রাব বন্ধ হল এবং সে তার শরীরে অনুভব করল যে সেই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছে। 30 যীশু সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলেন যে তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বার হয়েছে। তাই ভীড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, “কে আমার পোশাক স্পর্শ করেছে?”

31 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “আপনি দেখছেন, লোকরা আপনার ওপরে ঠেলাঠেলি করে পড়ছে, তবু বলছেন, ‘কে আমাকে স্পর্শ করল?’”

32 কিন্তু যে এই কাজ করেছে, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখতে লাগলেন। 33 তখন সেই স্ত্রীলোকটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তার প্রতি কি করা হয়েছে তা জানাতে তাঁর পায়ে পড়ল এবং সমস্ত সত্যি কথা তাঁকে বলল। 34 তখন যীশু তাকে বললেন, “তোমার বিশ্বাস তোমাকে ভাল করেছে, শান্তিতে চলে যাও ও তোমার রোগ থেকে সুস্থ থাক।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International