Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 105

105 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও এবং তাঁর নাম উপাসনা কর।
    তাঁর সমস্ত বিস্ময়কর কাজকর্ম সম্বন্ধে জাতিগণকে বল।
প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও; তাঁর প্রশংসা গান কর।
    তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেন সে সম্পর্কে বল।
প্রভুর পবিত্র নামে গর্ববোধ কর।
    যারা প্রভুর খোঁজে এসেছে তারা যেন সুখী হয়!
শক্তির জন্য তোমরা প্রভুর কাছে যাও।
    সর্বদাই তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য যাও।
তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেন তা স্মরণ কর।
    তিনি যে সমস্ত চমৎ‌‌কার কাজ করেছেন এবং তাঁর বিচক্ষণ প্রজ্ঞা সিদ্ধান্তগুলি স্মরণে রেখো।
তোমরা তাঁর দাস অব্রাহামের উত্তরপুরুষ।
    তোমরা যাকোবের উত্তরপুরুষ যাদের ঈশ্বর বেছে নিয়েছিলেন।
প্রভুই আমাদের ঈশ্বর।
    প্রভু সারা বিশ্বকে শাসন করেন।
ঈশ্বর তাঁর চুক্তি চিরদিন স্মরণে রাখেন এবং 1000 প্রজন্ম ধরে,
    যে আজ্ঞাগুলি তিনি দিয়েছেন তা স্মরণে রাখেন।
অব্রাহামের সঙ্গে ঈশ্বর একটা চুক্তি করেছিলেন।
    ইস‌্হাককে ঈশ্বর একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
10 তারপর সেটি তিনি যাকোবকে বিধিরূপে দিলেন।
    ইস্রায়েলের সঙ্গে ঈশ্বর চুক্তি করেছিলেন, এই চুক্তি চিরদিন ধরে চলবে!
11 ঈশ্বর বললেন, “আমি তোমাদের কনানের ভূখণ্ড দেব।
    সেই দেশটি তোমাদের হবে।”
12 যখন অব্রাহামের পরিবার ছোট ছিল, তখন ঈশ্বর এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
    সেই সময়, সেই দেশে তারা বিদেশী ছিল।
13 তারা এক জাতি থেকে অন্য জাতিতে,
    এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো।
14 কিন্তু ঈশ্বর লোকদের ওদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেন নি।
    ঈশ্বর রাজাদের সাবধান করে দিয়েছিলেন যে ওদের কোন ক্ষতি করা চলবে না।
15 ঈশ্বর বলেছিলেন, “আমার মনোনীত লোকদের আঘাত করো না।
    আমার ভাববাদীদের প্রতি অন্যায় করো না।”
16 ঈশ্বর সেই দেশে এক দুর্ভিক্ষ ঘটালেন।
    লোকজন আহারের জন্য খাবার পেল না।
17 কিন্তু, ঈশ্বর যোষেফ নামে একজনকে ওদের সামনে পাঠালেন।
    যোষেফকে একজন ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি করা হয়েছিল।
18 ওরা একটি দড়ি যোষেফের পায়ে জড়িয়ে বেঁধে দিল।
    ওরা তার গলায় একটা লোহার রিং পরিয়ে দিল।
19 ঈশ্বর যা বলেছিলেন তা যতদিন পর্যন্ত না প্রকৃতপক্ষে ঘটল, ততদিন যোষেফ ক্রীতদাসই ছিল।
    প্রভুর বার্তা প্রমাণ করেছিল যে যোষেফ নির্দোষ ছিল।
20 তাই মিশরের রাজা তাকে মুক্ত করে দিল।
    সেই জাতির নেতা তাকে কারাগারের বাইরে বার করে দিল।
21 সে তাকে নিজের বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিল।
    যোষেফও তার প্রভুর সমস্ত সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করত।
22 যোষেফ অন্যান্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিল।
    বৃদ্ধ লোকদেরও যোষেফ শেখাতো।
23 পরে ইস্রায়েল মিশরে এলো।
    যাকোব হামের দেশে থাকলো।
24 যাকোবের পরিবার বেশ বড় হয়ে গেল।
    ওদের শত্রুদের থেকে ওরা অনেক শক্তিশালী হয়ে গেল।
25 এই মিশরীয়রা যাকোবের পরিবারকে ঘৃণা করতে লাগল।
    ওরা ওদের ক্রীতদাসদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল।
26 তাই ঈশ্বর তাঁর দাস মোশি
    এবং তাঁর নির্বাচিত যাজক হারোণকে পাঠিয়েছিলেন।
27 ঈশ্বর মোশি ও হারোণকে ব্যবহার করে
    হামের দেশে বহু অভাবনীয় কাজ করিয়েছিলেন।
28 ঈশ্বর নীরন্ধ্র অন্ধকার পাঠিয়েছিলেন,
    কিন্তু মিশরীয়রা তবুও তাঁর কথা শুনতে অস্বীকার করল।
29 তাই ঈশ্বর জলকে রক্তে পরিণত করলেন
    এবং ওদের সব মাছ মারা গেল।
30 ওদের দেশ ব্যাঙে ভরে গিয়েছিল।
    রাজার শোবার ঘরে পর্যন্ত ব্যাঙ ঢুকে পড়েছিলো।
31 ঈশ্বর আজ্ঞা দিলেন,
    উকুন ও মাছিরা উড়ে এলো।
    তারা দেশের সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ল!
32 ঈশ্বর বৃষ্টিকে শিলাবৃষ্টিতে পরিণত করলেন।
    সারা দেশে বিদ্যুৎপাত হল।
33 ঈশ্বর ওদের দ্রাক্ষালতা ও ডুমুর গাছ ধ্বংস করে দিলেন।
    ঈশ্বর ওদের দেশের সব গাছ ধ্বংস করে দিলেন।
34 ঈশ্বর আজ্ঞা দিলেন এবং গঙ্গাফড়িং ও পঙ্গপালরা এলো।
    ওদের সংখ্যা গণনারও অতীত।
35 ঝাঁকে ঝাঁকে গঙ্গাফড়িং ও পঙ্গপালরা দেশের সব গাছপালা ও দ্রাক্ষালতা,
    ডুমুর গাছগুলো খেয়ে শেষ করে দিল।
36 এরপর ঈশ্বর, দেশের প্রত্যেকটি প্রথমজাতকে হত্যা করলেন।
    ঈশ্বর সমস্ত জোষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেন।
37 তারপর ঈশ্বর মিশর থেকে তাঁর লোকদের বার নিয়ে এলেন।
    আসার সময় ওরা সঙ্গে করে সোনা রূপো নিয়ে এলো।
    ঈশ্বরের কোন লোকই হোঁচট খায় নি বা পড়ে যায় নি।
38 ঈশ্বরের লোকদের চলে যেতে দেখে মিশর ভীষণ খুশী হয়েছিলো,
    কেননা ওরা ঈশ্বরের লোকদের ভয় পেতো।
39 ঈশ্বর তাদের ওপর কম্বলের মত একটি মেঘ বিস্তৃত করে দিলেন।
    রাত্রে তাঁর লোকদের আলো দেখানোর জন্য, ঈশ্বর তাঁর অগ্নিস্তম্ভ ব্যবহার করলেন।
40 লোকরা খাদ্য চাইল এবং ঈশ্বর তাদের কাছে কোয়েল এনে দিলেন
    এবং তাদের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য ঈশ্বর আকাশ থেকে তাদের রুটি দিলেন।
41 ঈশ্বর শিলাটিকে অর্ধেক করে ভাঙলেন এবং সেখান থেকে জল বেরিয়ে এলো।
    মরুভূমিতে একটা নদী বইতে শুরু করলো!

42 ঈশ্বর তাঁর পবিত্র প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করলেন।
    তাঁর দাস অব্রাহামের কাছে তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তিনি স্মরণ করলেন।
43 ঈশ্বর মিশর থেকে তাঁর নির্বাচিত লোকদের বার করে আনলেন।
    লোকজন মহা উল্লাস করতে করতে, আনন্দ গান গাইতে গাইতে বেরিয়ে এলো!
44 তারপর ঈশ্বর তাদের সেই দেশ দিলেন যেখানে অন্যান্য লোকরা বাস করেছিলো,
    অন্যান্য লোকরা যার জন্য পরিশ্রম করেছিলো, ঈশ্বরের লোকরা সেই সব জিনিস পেলো।
45 কেন ঈশ্বর এইসব করলেন? যাতে তাঁর লোকরা তাঁর বিধি মান্য করে।
    যাতে তারা তাঁর শিক্ষামালাসমূহ সতর্কতার সঙ্গে পালন করে।

প্রভুর প্রশংসা কর!

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 14:1-19

শিম্‌শোনের বিবাহ

14 শিম্‌শোন তিম্না শহরের দিকে নেমে এল। সেখানে সে একজন পলেষ্টীয় নারীকে দেখতে পেল। বাড়ি ফিরে শিম্‌শোন তার পিতামাতাকে বলল, “আমি তিম্নায় একজন পলেষ্টীয় নারী দেখেছি। তোমরা তাকে আমার কাছে এনে দাও। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই।”

তার পিতামাতা বলল, “তুমি তো ইস্রায়েলের একজন মেয়েকে বিয়ে করতে পারো। পলেষ্টীয়দের মেয়েকে বিয়ে করতে তোমার এত ইচ্ছে কেন? এসব লোকদের এমনকি সুন্নৎ পর্যন্ত হয় নি।” শিম্‌শোন এসব কথা শুনল না।

সে বলল, “ঐ মেয়েটিকেই আমার জন্য এনে দাও। তাকেই শুধু আমি চাই।” (শিম্‌শোনের পিতামাতা তো জানত না, এটাই ছিল প্রভুর অভিপ্রায়। তিনি কিভাবে পলেষ্টীয়দের শায়েস্তা করা যায় সেই রাস্তাই খুঁজছিলেন। সে সময় ইস্রায়েলে ওদেরই রাজত্ব ছিল।)

পিতামাতাকে নিয়ে শিম্‌শোন তিম্না শহরে নেমে এল। শহরের কাছাকাছি দ্রাক্ষার ক্ষেত পর্যন্ত তারা চলে এল। সেখানে হঠাৎ‌‌ একটা য়ুব সিংহ গর্জে উঠে শিম্‌শোনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। প্রভুর আত্মা মহাশক্তিতে শিম্‌শোনের উপর নেমে এল। খালি হাতেই শিম্‌শোন সিংহটাকে ছিঁড়ে দু-টুকরো করে ফেলল। অনায়াসেই সে এটা করে ফেলল। একটা কচি পাঁঠাকে চিরে ফেলার মতই কাজটা যেন সহজ হয়ে গেল শিম্‌শোনের কাছে। কিন্তু শিম্‌শোন ঘটনাটি পিতামাতার কাছে বলল না।

শিম্‌শোন শহরে গিয়ে পলেষ্টীয় মেয়েটির সঙ্গে কথাবার্তা বলল। মেয়েটি তাকে খুশি করেছিল। কয়েকদিন পর শিম্‌শোন ফিরে এসে ঐ পলেষ্টীয় মেয়েকে বিয়ে করতে এলে পথে মৃত সিংহটিকে সে দেখল। মৃত সিংহটির গায়ে মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বসে। কিছু মধুও হয়েছে। শিম্‌শোন হাতে কিছুটা মধু তুলে নিল। মধু খেতে খেতে সে হাঁটতে লাগল। পিতামাতার কাছে এসে সে তাদেরও একটু মধু দিল। তারা সেই মধু খেল। কিন্তু শিম্‌শোন বলল না, সেই মধু মরা সিংহের গা থেকে পাওয়া।

10 শিম্‌শোনের পিতা পলেষ্টীয় মেয়েটিকে দেখতে গেল। এটাই ছিল প্রথা যে বর সে একটা ভোজসভা করবে। সেই অনুযায়ী শিম্‌শোন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে গেল। 11 পলেষ্টীয় যখন দেখল শিম্‌শোন এরকম একটা ভোজের ব্যবস্থা করছে তখন তারা ওর কাছে 30 জন পলেষ্টীয়কে পাঠাল।

12 ঐ 30 জনকে শিম্‌শোন বলল, “আমি তোমাদের একটা ধাঁধা বলতে চাই। এই আনন্দ অনুষ্ঠান সাতদিন ধরে চলবে। এর মধ্যে তোমাদের এই ধাঁধার উত্তর দিতে হবে। উত্তর দিতে পারলে আমি তোমাদের 30টি জামা আর 30টি কাপড় দেবো। 13 কিন্তু উত্তর না দিতে পারলে তোমরা আমাকে 30টি জামা আর 30টি কাপড় দেবে।” ওরা বলল, “বল কি তোমার ধাঁধা, আমরা শুনব।”

14 শিম্‌শোন তখন এই ধাঁধাটা বলল:

“খাদকের মধ্য থেকে খাদ্য কিছু জোটে,
    বলবান হতে মিষ্টি কিছু ওঠে।”

30 জন লোক তিনদিন ধরে মাথা ঘামাল, কিন্তু উত্তর দিতে পারল না।

15 চতুর্থ দিনে তারা শিম্‌শোনের স্ত্রীর কাছে এসে বলল, “তোমরা কি আমাদের নিঃস্ব করার জন্য নেমন্তন্ন করেছ? তোমার স্বামীর কাছ থেকে কায়দা করে ধাঁধার উত্তরটা জেনে নাও। যদি উত্তর না জানতে পার তাহলে আমরা তোমাকে আর তোমার বাপের বাড়ির সবাইকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবো।”

16 আর কোন উপায় না পেয়ে সে শিম্‌শোনের কাছে গিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। সে বলল, “তুমি তো আমায় শুধু ঘৃণাই করো! তুমি আমায় একটুও ভালবাস না! তুমি আমার দেশের লোকদের কাছে ধাঁধা বলেছ, কিন্তু কই আমাকে তো তুমি সেই ধাঁধার উত্তরটা বলো নি।” শিম্‌শোন উত্তর দিল, “আমার মাতাপিতাকেও যখন উত্তরটা বলি নি, তোমাকে বলতে যাব কেন?”

17 অনুষ্ঠানের বাকি দিনগুলোয় শিম্‌শোনের স্ত্রী কেঁদেই চলল। শেষ পর্যন্ত সপ্তম দিনে শিম্‌শোন ধাঁধার উত্তরটি স্ত্রীকে বলেই ফেলল কারণ তার স্ত্রী এই নিয়ে তাকে বিরক্ত করছিল। তারপর তার স্ত্রী দেশের লোকদের কাছে সেই উত্তরটি বলে দিল।

18 সুতরাং সাত দিনের দিন সূর্যাস্তের আগে পলেষ্টীয়রা উত্তরটা পেয়ে গেল। শিম্‌শোনকে গিয়ে তারা বলল:

“মধুর চেয়ে মিষ্ট কি আছে?
    সিংহের চেয়ে বেশী শক্তিশালী কে?”

তখন শিম্‌শোন বলল:

“যদি তোমরা আমার গরু সঙ্গে নিয়ে না চাষ করতে
    তোমরা আমার ধাঁধার সমাধান করতেই পারতে না।”

19 শিম্‌শোন খুব রেগে গিয়েছিল। প্রভুর আত্মা প্রবল শক্তির সাথে তার ওপর নেমে এল। সে অস্কিলোন শহরে চলে গেল। সেখানে সে 30 জন পলেষ্টীয়কে হত্যা করল। তাদের মৃতদেহ থেকে সে সমস্ত পোশাক তুলে নিল, ধন দৌলত সরিয়ে নিল। তারপর যারা তার ধাঁধার উত্তর দিয়েছিল, তাদের সে সব বিলিয়ে দিল। এরপর সে পিতার বাড়িতে চলে গেল।

প্রেরিত 6:15-7:16

15 তখন মহাসভায় যারা বসেছিল তারা সকলে স্তিফানের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে দেখল, স্তিফানের মুখ স্বর্গদূতের মুখের মত উজ্জ্বল।

স্তিফানের বক্তব্য

এরপর যাজক স্তিফানকে বললেন, “এসব কথা কি সত্যি?” এর উত্তরে স্তিফান বললেন, “ভাইরা ও এই জাতির পিতাগণ, আমার কথা শুনুন। আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম হারণে বসবাস করার আগে যে সময় মিসপতামিয়াতে ছিলেন, সেই সময় মহিমাময় ঈশ্বর তাঁর সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। আর তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি তোমার স্বদেশ ও স্বজনের মধ্য থেকে চলে এস, আর আমি যে দেশ দেখাব সেই দেশে যাও।’(A)

“অব্রাহাম তখন কলদীয়ের দেশ ছেড়ে হারণে এসে বসবাস করেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ঈশ্বর তাঁকে সেখান থেকে এই দেশে আনলেন, যে দেশে এখন আপনারা বাস করছেন। এখানে ঈশ্বর তাঁকে কোন ভূসম্পত্তি দিলেন না, এমন কি এক ছটাক জমিও না; কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেন যে শেষ পর্যন্ত এই দেশটা তাঁকে ও তাঁর বংশধরদের দেবেন। যদিও অব্রাহামের তখনও কোন সন্তান ছিল না।

“ঈশ্বর তাঁকে এই কথা বললেন, ‘তোমার বংশধররা বিদেশে প্রবাসী জীবন কাটাবে, তারা দাসত্ব-শৃঙ্খলে বদ্ধ হবে, আর সে দেশের লোকরা তাদের প্রতি চারশো বছর ধরে অত্যাচার করবে। তারা যে জাতির দাসত্ব করবে, আমি তাদের দণ্ড দেব।’(B) ঈশ্বর আরো বললেন, ‘এরপর তারা সেই দেশ থেকে বেরিয়ে এসে এখানে আমার উপাসনা করবে।’(C)

“এরপর অব্রাহামের সঙ্গে ঈশ্বর এক চুক্তি করলেন। এই চুক্তির চিহ্ন হল সুন্নত সংস্কার। এরপর অব্রাহামের একটি পুত্র সন্তান হল। আট দিনের দিন তিনি তার সুন্নত করালেন; সেই পুত্রের নাম ইস‌্হাক। তাঁরা ইস‌্হাকের পুত্র যাকোবেরও সুন্নত করলেন। যাকোবের পুত্ররা বারোজন গোষ্ঠীর পিতা হলেন।

“তাদের সেই পিতাগণ যোষেফের প্রতি ঈর্ষান্বিত হলেন। যোষেফকে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হলে তাকে মিশরে নিয়ে আসা হল, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সহবর্তী ছিলেন। 10 যোষেফ সেখানে অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে তাঁর সমস্ত কষ্টের হাত থেকে উদ্ধার করলেন। ফরৌণ তখন মিশরের রাজা। যোষেফের মধ্যে ঈশ্বরদত্ত বিজ্ঞতা দেখতে পেয়ে ফরৌণ তাঁকে পছন্দ করলেন। ফরৌণ যোষেফকে মিশরের অধ্যক্ষরূপে নিযুক্ত করলেন, এমনকি ফরৌণের গৃহের সমস্ত পরিজনের উপরে তাকে কর্তা করলেন। 11 এরপর সারা মিশরে ও কনান দেশে প্রচণ্ড খরা হল—এমন খরা যাতে কোন ফসল উৎপন্ন হল না, এতে লোকেরা মহাকষ্টে পড়ল। আমাদের পিতৃপুরুষদের খাদ্যবস্তুর অভাব হল।

12 “কিন্তু যাকোব শুনতে পেলেন যে মিশরে শস্য মজুত আছে, তখন তিনি আমাদের পিতৃপুরুষদের মিশরে পাঠালেন। 13 তাঁদের সেই ছিল প্রথমবার মিশরে যাওয়া। তাঁরা যখন দ্বিতীয়বার সেখানে গেলেন, তখন যোষেফ নিজে থেকে তাঁর ভাইদের কাছে আত্মপরিচয় দিলেন। যোষেফের পরে পরিজনদের সংবাদ ফরৌণ শুনতে পেলেন। 14 পরে কিছু লোক পাঠিয়ে যোষেফ তাঁর পিতা যাকোব ও তাঁর সব আত্মীয় পরিজনদের ডেকে পাঠালেন। তাঁরা মোট 75 জন ছিলেন। 15 এইভাবে যাকোব মিশরে গেলেন, পরে তাঁর ও আমাদের পিতৃপুরুষদের সেখানে মৃত্যু হল। 16 তাঁদের মৃতদেহ শিখিমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আর সেখানে তাঁদের কবরে রাখা হয়। এই কবরস্থান অব্রাহাম শিখিম শহরে হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে কিছু টাকা দিয়ে কিনেছিলেন।

যোহন 4:27-42

27 সেই সময় তাঁর শিষ্যরা ফিরে এলেন। একজন স্ত্রীলোকের সঙ্গে যীশুকে কথা বলতে দেখে তাঁরা আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তবু কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন না, “আপনি কি চাইছেন?” বা “আপনি কি জন্য ওর সঙ্গে কথা বলছেন?”

28 সেই স্ত্রীলোকটি তখন তার কলসী ফেলে রেখে গ্রামে গেল, আর লোকদের বলল, 29 “তোমরা এস, একজন লোককে দেখ, আমি যা কিছু করেছি, তিনি আমাকে সে সব বলে দিলেন। তিনিই কি সেই মশীহ নন?” 30 তখন লোকেরা শহর থেকে বার হয়ে যীশুর কাছে আসতে লাগল।

31 এরই মাঝে তাঁর শিষ্যরা তাঁকে অনুরোধ করে বললেন, “গুরু, আপনি কিছু খেয়ে নিন!”

32 কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “আমার কাছে এমন খাবার আছে যার কথা তোমরা কিছুই জান না।”

33 তখন তাঁর শিষ্যরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “তাহলে কি কেউ তাঁকে কিছু খাবার এনে দিয়েছে?”

34 তখন যীশু তাঁদের বললেন, “যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা পালন করা ও তাঁর যে কাজ তিনি আমায় করতে দিয়েছেন তা সম্পন্ন করাই হল আমার খাবার। 35 তোমরা প্রায়ই বলে থাক, ‘আর চার মাস বাকী আছে, তারপরই ফসল কাটার সময় হবে।’ কিন্তু তোমরা চোখ মেলে একবার ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে দেখ, ফসল কাটবার মতো সময় হয়েছে। 36 যে ফসল কাটছে সে এখনই তার মজুরী পাচ্ছে, আর সে তা করছে অনন্ত জীবন লাভের জন্য। তার ফলে বীজ যে বোনে আর ফসল যে কাটে উভয়েই একই সঙ্গে আনন্দিত হয়। 37 এই প্রবাদ বাক্যটি সত্য যে, ‘একজন বীজ বোনে আর অন্যজন কাটে।’ 38 আমি তোমাদের এমন ফসল কাটতে পাঠিয়েছি, যার জন্য তোমরা কোন পরিশ্রম করনি। তার জন্য অন্যরা খেটেছে আর তোমরা তাদের কাজের ফসল তুলছ।”

39 সেই শহরের অনেক শমরীয় তাঁর ওপর বিশ্বাস করল, কারণ সেই স্ত্রীলোকটি সাক্ষ্য দিচ্ছিল, “আমি যা যা করেছি সবই তিনি আমাকে বলে দিয়েছেন।” 40 শমরীয়রা তাঁর কাছে এসে যীশুকে তাদের সঙ্গে থাকতে অনুরোধ করল। তখন তিনি দুদিন সেখানে থাকলেন। 41 আরও অনেক লোক তাঁর কথা শুনে তাঁর ওপর বিশ্বাস করল।

42 তারা সেই স্ত্রীলোকটিকে বলল, “প্রথমে তোমার কথা শুনে আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, কিন্তু এখন আমরা নিজেরা তাঁর কথা শুনে বিশ্বাস করেছি ও বুঝতে পেরেছি যে ইনি সত্যিই জগতের উদ্ধারকর্তা।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International