Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 89

ইষ্রাহীয় এথনের কাছ থেকে একটি মস্কীল।

89 প্রভুর প্রেম সম্পর্কে আমি সর্বদাই গান গাইবো।
    তাঁর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে আমি চিরকাল এবং অনন্তকাল গাই গাইবো!
প্রভু, আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আপনার ভালোবাসা চিরন্তন!
    আপনার বিশ্বস্ততা আকাশের মত থেকে যায়!

ঈশ্বর বলেছেন, “আমার মনোনীত রাজার সঙ্গে আমি একটি চুক্তি করেছি।
    আমার দাস দায়ূদের কাছে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
‘দায়ূদ, তোমার পরিবারকে আমি চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবো।
    তোমার রাজ্যকে আমি চিরকাল অব্যাহত রাখতে সাহায্য করব।’”

প্রভু, আপনি আশ্চর্য কার্য্য করেন। এই জন্য আকাশ আপনার প্রশংসা করে।
    লোকেরা আপনার ওপর নির্ভর করতে পারে। পবিত্র লোকেদের মণ্ডলীতে শুধুমাত্র এই সম্পর্কেই গান করে।
স্বর্গে প্রভুর সমকক্ষ কেউ নেই।
    অন্য কোন “দেবতার” সঙ্গে প্রভুকে তুলনা করা চলে না।
ঈশ্বর পবিত্র লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ওই পবিত্র দূতরা তাঁর চারপাশে জড়ো হয়।
    ওরা ঈশ্বরকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে।
    ওরা তাঁর ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আপনার মত কেউই নয়।
    আমরা সম্পূর্ণভাবে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি।
আপনি পরাক্রমশালী সমুদ্রকে শাসন করেন,
    এর উত্তাল তরঙ্গমালাকে আপনি শান্ত করে দিতে পারেন।
10 হে ঈশ্বর, আপনি রহবকে পরাজিত করেছিলেন।
    আপনার শক্তিশালী বাহু বলে আপনি আপনার শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করেছিলেন।
11 হে ঈশ্বর, স্বর্গ এবং মর্ত্য আপনার অধিকারভুক্ত।
    এই পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুই আপনি সৃষ্টি করেছেন।
12 উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে সবই আপনি সৃষ্টি করেছেন।
    তাবোর ও হর্ম্মোণ পর্বত আপনার নামের প্রশংসা করছে।
13 আপনার বাহু পরাক্রমবিশিষ্ট!
    আপনার হস্ত শক্তিমান!
    বিজয়ী হয়ে আপনার ডানহাত উপরের দিকে ওঠে!
14 সত্য ও ন্যায় বিচারের ওপর আপনার রাজ্য প্রতিষ্ঠিত।
    প্রেম এবং বিশ্বাস আপনার রাজাসনের দাস।
15 ঈশ্বর, আপনার নিষ্ঠাবান অনুগামীরা সত্যিই সুখী।
    তারা আপনার করুণার আলোকে বাস করে।
16 আপনার নাম সর্বদাই তাদের সুখী করে।
    তারা আপনার ধার্ম্মিকতার প্রশংসা করে।
17 আপনি তাদের বিস্ময়কর শক্তি।
    তাদের শক্তি আপনার কাছ থেকে আসে।
18 প্রভু, আপনিই আমাদের রক্ষাকর্তা।
    ইস্রায়েলের পবিত্র একজনই আমাদের রাজা।
19 আপনার বিশ্বস্ত অনুগামীদের সঙ্গে আপনি এক স্বপ্নদর্শনের কথা বলেছিলেন,
“জনতার মধ্যে থেকে আমি একজন তরুণকে মনোনীত করেছি।
    আমি সেই তরুণকে একজন গুরুত্বপূর্ণ লোক করে তুলেছি।
    সেই তরুণ সৈন্যকে আমি শক্তিশালী করেছি।
20 আমার দাস দায়ূদকে আমি খুঁজে পেয়েছি।
    বিশেষ তৈল দ্বারা আমি দায়ূদকে অভিষিক্ত করেছি।
21 আমার ডান হাত দিয়ে আমি দায়ূদকে সহায়তা দিয়েছি
    এবং আমার শক্তি দিয়ে আমি তাকে শক্তিশালী করেছি।
22 এই মনোনীত রাজাকে শত্রুরা পরাজিত করতে পারে নি।
    দুষ্ট লোকরা ওকে হারাতে পারে নি।
23 আমি ওর শত্রুদের শেষ করে দিয়েছি।
    যারা আমার মনোনীত রাজাকে ঘৃণা করেছে, তাদের আমি পরাজিত করেছি।
24 যে রাজাকে আমি পছন্দ করেছি, তাকে আমি সর্বদা ভালোবাসবো ও সমর্থন করবো।
    সর্বদাই আমি তাকে শক্তিশালী করে তুলবো।
25 আমার মনোনীত রাজাকে আমি সমুদ্রের দায়িত্ব দিয়েছি।
    নদীগুলোকে সে নিয়ন্ত্রণ করবে।
26 সে আমাকে বলবে, ‘আপনিই আমার পিতা।
    আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার শিলা, আমার পরিত্রাতা।’
27 আমি তাকে আমার প্রথম জাত সন্তান করবো।
    সে পৃথিবীর সব রাজাদের ওপরে মহারাজা হবে।
28 আমার প্রেম, ওই মনোনীত রাজাকে সব সময়েই রক্ষা করবে।
    ওর সঙ্গে আমার চুক্তি কোনদিন শেষ হবে না।
29 আমি ওর পরিবারকে চিরকাল অব্যাহত রাখব।
    ওর রাজ্য স্বর্গগুলির মতই চিরদিন বজায় থাকবে।
30 ওর উত্তরপুরুষরা যদি আমার বিধি ত্যাগ করে,
    যদি ওরা আমায় মান্য করা থেকে বিরত হয়, আমি ওদের শাস্তি দেবো।
31 যদি আমার মনোনীত রাজার উত্তরপুরুষরা
    আমার বিধি আজ্ঞা উপেক্ষা করে,
32 তাহলে আমি ওদের ভয়ানক শাস্তি দেবো।
33 কিন্তু ওদের ওপর থেকে কখনও আমার ভালোবাসা প্রত্যাহার করবো না।
    সর্বদাই আমি ওদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবো।
34 দায়ূদের সঙ্গে আমি কখনও আমার চুক্তি ভঙ্গ করবো না।
    আমি আমাদের চুক্তির পরিবর্তনও করবো না।
35 আমার পবিত্রতা দিয়ে, আমি ওকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
    দায়ূদের সঙ্গে আমি কখনই মিথ্যাচার করবো না!
36 দায়ূদের পরিবার চিরদিনের জন্য অব্যাহত থাকবে।
    যতকাল সূর্য থাকবে ততকাল ওর রাজ্য বজায় থাকবে।
37     চাঁদের মতই ওর রাজত্ব চিরদিন বজায় থাকবে।
আকাশই আমার সেই চুক্তির প্রমাণ দেয়। এই চুক্তি বিশ্বাস যোগ্য।”

38 কিন্তু ঈশ্বর, আপনার মনোনীত রাজার প্রতি আপনি ক্রুদ্ধ হয়েছেন,
    এবং আপনি তাকে বরাবরই ত্যাগ করেছেন।
39 আপনার চুক্তি আপনি বাতিল করে দিয়েছেন।
    আপনি রাজার মুকুটকে ধূলোয় নিক্ষেপ করেছেন।
40 রাজার নগরীর প্রাচীর আপনি মাটিতে ফেলে দিয়েছেন।
    তার সব দুর্গকে আপনি ধ্বংস করেছেন।
41 পথচারী মানুষ তার জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।
    তার প্রতিবেশীরা তাকে বিদ্রূপ করে।
42 রাজার সব শত্রুকে আপনি খুশী করেছেন।
    তার শত্রুদের আপনি যুদ্ধে জয়ী হতে দিয়েছেন।
43 ঈশ্বর, আপনি ওদের নিজেদের রক্ষা করতে সাহায্য করেছেন।
    আপনার রাজাকে আপনি যুদ্ধে জয় করতে সাহায্য করেন নি।
44 আপনি তাকে জয়ী হতে দেন নি।
    তার সিংহাসনকে আপনি ভূ-লুন্ঠিত করেছেন।
45 তার যৌবনেই আপনি তার জীবনকে ছোট করে দিয়েছেন।
    তাকে আপনি লজ্জা দিয়েছেন।

46 প্রভু, আর কতদিন ওই সব চলবে?
    আপনি কি চিরদিন আমাদের উপেক্ষা করবেন?
    আপনার ক্রোধ কি চিরদিনই আগুনের মত জ্বলতে থাকবে?
47 স্মরণ করে দেখুন আমার জীবন কত নাতিদীর্ঘ।
    আপনি আমাদের সকলকেই সামান্য সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন, এরপর আমরা মারা যাবো।
48 কেউ চিরদিন বাঁচবে না, এবং এমন কেউই নেই যে মরবে না।
    কোন ব্যক্তিই কবর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না।

49 হে ঈশ্বর, সেই প্রেম কোথায় যা অতীতে আপনি প্রদর্শন করেছিলেন?
    আপনি দায়ূদকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তার পরিবারের প্রতি আপনি বিশ্বাসভাজন থাকবেন।
50-51 হে প্রভু, স্মরণে রাখবেন, কেমন করে লোকরা আপনার দাসকে অপমান করেছিলো।
প্রভু, আপনার শত্রুদের কাছ থেকে সেই সব অপমান আমায় শুনতে হয়েছে।
    ওই লোকরা আপনার মনোনীত রাজাকে অপমান করেছে।

52 ধন্য প্রভু চিরকালের জন্য!
আমেন! আমেন!

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 12:1-7

যিপ্তহ ও ইফ্রয়িম

12 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা সৈন্যদের ডাক দিল। তারপর নদী পেরিয়ে তারা সকলে সাফোন শহরে গেল। তারা যিপ্তহকে বলল, “কেন তুমি অম্মোনদের সঙ্গে লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য চাও নি? আমরা তোমায় পুড়িয়ে মারব। তোমার বাড়িও জ্বালিয়ে দেব।”

যিপ্তহ জবাব দিল, “অম্মোনরা আমাদের নানা সমস্যায় ফেলেছিল। তাই আমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। আমি তো তোমাদের সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউই আমায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নি। যখন দেখলাম তোমরা কেউ কোন সাহায্য করবে না, তখন আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে অম্মোনদের সঙ্গে যুদ্ধে নেমে পড়লাম। ওদের হারাতে প্রভু আমায় সাহায্য করলেন। তাহলে আজ কেন তোমরা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছ?”

তারপর যিপ্তহ গিলিয়দের সব লোকদের ডাকল। তারা ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করল। কারণ ইফ্রয়িমরা গিলিয়দের লোকদের অপমান করেছিল। তারা বলেছিল, “তোমরা গিলিয়দের লোকরা শুধুমাত্র ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর থেকে বেঁচে যাওয়া লোক, এছাড়া তোমাদের কোনো পরিচয় নেই। তোমাদের থাকার মতো কোন জমিজায়গা নেই। তোমরা কিছুটা ইফ্রয়িমের, কিছুটা মনঃশির।” গিলিয়দের লোকরা ইফ্রয়িমের লোকদের হারিয়ে দিল।

যে যে জায়গা দিয়ে লোকরা যর্দন নদী অতিক্রম করত গিলিয়দের লোকরা সেইসব জায়গা দখল করে নিল। এসব জায়গা দিয়ে ইফ্রয়িমের দেশে যাওয়া যেত। যখনই ইফ্রয়িমের কোন বেঁচে থাকা লোক বলত, “আমায় নদী পার হতে দাও,” গিলিয়দের লোক জিজ্ঞাসা করত, “তুমি কি একজন ইফ্রয়িম?” যদি সে বলত, “না,” তাহলে তারা বলত, “আচ্ছা, তবে বলো তো ‘শিব্বোলেৎ।’” ইফ্রয়িমের লোকরা শব্দটা ঠিকমত উচ্চারণ করতে পারত না। তারা উচ্চারণ করত “সিব্বোলেৎ।” তাই তাদের মধ্যে কোন লোক যদি বলত, “সিব্বোলেৎ” তাহলে গিলিয়দের লোকরা বুঝতে পারতো সে একজন ইফ্রয়িম। সঙ্গে সঙ্গে তারা তাকে ঘাট পারাপারের জায়গায় মেরে ফেলতো। এইভাবে তারা 42,000 ইফ্রয়িমের লোককে হত্যা করেছিল।

ছ’বছর যিপ্তহ ইস্রায়েলীয়দের বিচারক ছিল। তারপর সে মারা গেল। গিলিয়দে তার শহরে তাকে ওরা কবর দিল।

প্রেরিত 5:12-26

ঈশ্বরের কাছ থেকেই প্রমাণ

12 প্রেরিতদের মাধ্যমে লোকদের মধ্যে নানান অলৌকিক কাজ হতে লাগল। প্রেরিতরা শলোমনের বারান্দায় একত্রিত হতেন। তাঁদের সকলের উদ্দেশ্য একই ছিল। 13 অন্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে সাহস করত না; কিন্তু সকলে তাঁদের প্রশংসা করত। 14 আর দলে দলে অনেক পুরুষ ও স্ত্রীলোক যীশুতে বিশ্বাসী হয়ে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীবর্গের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকল। 15 লোকরা, এমন কি তাদের অসুস্থ রোগীদের নিয়ে এসে রাস্তার মাঝে তাদের বিছানায় বা খাটিযাতে শুইয়ে রাখত, যেন পিতর যখন সেখান দিয়ে যাবেন তখন অন্ততঃ তাঁর ছাযাও তাদের উপর পড়ে; আর তাতেই তারা সুস্থ হয়ে যেত। 16 জেরুশালেমের চারপাশের বিভিন্ন নগর থেকে অনেক লোক অসুস্থ ও অশুচি আত্মায় ভর করা লোকদের নিয়ে এসে ভীড় করত আর তারা সকলেই সুস্থ হত।

প্রেরিতদের কাজ বন্ধ করার জন্য ইহুদীদের চেষ্টা

17 এরপর মহাযাজক এবং তাঁর সঙ্গীরা অর্থাৎ সদ্দূকী দলের লোকরা ঈর্ষায় জ্বলে উঠল। 18 তারা প্রেরিতদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটকে দিল; 19 কিন্তু রাতের বেলায় প্রভুর এক দূত সেই কারাগারের দরজা খুলে দিলেন। তিনি তাদের পথ দেখিয়ে কারাগারের বাইরে নিয়ে গিয়ে বললেন, 20 “যাও মন্দিরের মধ্যে দাঁড়িয়ে তোমরা লোকদের এই নতুন জীবনের সকল বার্তা শোনাও।” 21 প্রেরিতেরা আজ্ঞা অনুসারে ভোর বেলায় মন্দিরে গিয়ে শিক্ষা প্রচার করতে লাগলেন।

এদিকে মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা, ইহুদী সমাজের গন্যমান্য লোকদের এক মহাসভা ডাকল; আর প্রেরিতদের সেখানে নিয়ে আসার জন্য কারাগারে লোক পাঠালো। 22 কিন্তু সেই লোকরা কারাগারে এসে কারাগারের মধ্যে প্রেরিতদের দেখতে পেল না। তাই তারা ফিরে গিয়ে বলল, 23 “আমরা দেখলাম কারাগারের তালা বেশ ভালভাবেই বন্ধ আছে, দরজায় দরজায় পাহারাদাররা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে আমরা কাউকে দেখতে পেলাম না। দেখলাম কারাগার খালি পড়ে আছে।” 24 মন্দির রক্ষীবাহিনীর প্রধান ও প্রধান যাজকরা এই কথা শুনে হতবুদ্ধি হয়ে ভাবতে লাগল এর পরিণতি কি হবে?

25 সেই সময় একজন এসে তাদের বলল, “শুনুন! যে লোকদের আপনারা কারাগারে রেখেছিলেন, দেখলাম তাঁরা মন্দিরের মধ্যে দাঁড়িয়ে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছেন।” 26 তখন রক্ষীবাহিনীর প্রধান তার লোকদের নিয়ে সেখানে গেল ও প্রেরিতদের নিয়ে এল। তারা কোনরকম জোর করল না, কারণ তারা লোকদের ভয় করতে লাগল, পাছে তারা পাথর ছুঁড়ে তাদের মেরে ফেলে।

যোহন 3:1-21

যীশু ও নীকদীম

ফরীশীদের মধ্যে নীকদীম নামে একজন লোক ছিলেন। তিনি ইহুদী সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। একদিন রাতে তিনি যীশুর কাছে এসে বললেন, “গুরু, আমরা জানি আপনি একজন শিক্ষক, ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন। ঈশ্বর সহায় না হলে কেউ কি ঐরূপ অলৌকিক কাজ করতে পারে, যা আপনি করছেন?”

এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, নতুন জন্ম না হলে কোন ব্যক্তি ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পাবে না।”

নীকদীম তাঁকে বললেন, “মানুষ বৃদ্ধ হয়ে গেলে কেমন করে তার আবার নতুন জন্ম হতে পারে? সে নিশ্চয়ই দ্বিতীয় বার মায়ের গর্ভে প্রবেশ করে আবার জন্মাতে পারে না!”

যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি কোন লোক জল ও আত্মা থেকে না জন্মায়, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না। শরীর থেকেই শরীরের জন্ম হয় আর আত্মা থেকে জন্ম হয় আধ্যাত্মিকতার। আমি তোমাকে যা বললাম, তাতে আশ্চর্য হয়ো না, ‘তোমাদের নতুন জন্ম হওয়া অবশ্যই দরকার।’ বাতাস যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে বয় আর তুমি তার শব্দ শুনতে পাও; কিন্তু কোথা থেকে আসে আর কোথায় বা তা বয়ে যায় তুমি তা জানো না। আত্মা থেকে যাদের জন্ম হয় তাদের সকলের বেলাও সেইরকম হয়।”

এর উত্তরে নীকদীম তাঁকে বললেন, “এটা কেমন করে হতে পারে?”

10 তখন যীশু তাঁকে বললেন, “তুমি ইস্রায়েলীয়দের একজন গুরুত্বপূর্ণ গুরু; আর তুমি এটা জানো না? 11 যা সত্য আমি তোমাকে তাই বলছি, আমরা যা জানি তাই বলি, আমরা যা দেখেছি সেই বিষয়েই সাক্ষ্য দিই: কিন্তু আমরা যাই বলি না কেন তোমরা তা গ্রহণ করো না। 12 আমি তোমাদের কাছে পার্থিব বিষয়ের কথা বললে তোমরা যদি বিশ্বাস না করো, তবে আমি স্বর্গীয় বিষয়ে কোন কথা বললে তোমরা তা কেমন করে বিশ্বাস করবে? 13 যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন সেই মানবপুত্র ছাড়া কেউ কখনও স্বর্গে ওঠেনি।

14 “মরুভূমির মধ্যে মোশি যেমন সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, তেমনি মানবপুত্রকে অবশ্যই উঁচুতে ওঠানো হবে। 15 সুতরাং যে কেউ মানবপুত্রকে বিশ্বাস করে সেই অনন্ত জীবন পায়।”

16 কারণ ঈশ্বর এই জগতকে এতোই ভালবাসেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দিলেন, যেন সেই পুত্রের ওপর যে কেউ বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় বরং অনন্ত জীবন লাভ করে। 17 ঈশ্বর জগতকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তাঁর পুত্রকে এ জগতে পাঠাননি, বরং জগত যেন তাঁর মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় এইজন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছেন। 18 যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে তার বিচার হয় না। কিন্তু যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে না, সে দোষী সাব্যস্ত হয়, কারণ সে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্রের ওপর বিশ্বাস করে নি। 19 আর এটাই বিচারের ভিত্তি। জগতে আলো এসেছে, কিন্তু মানুষ আলোর চেয়ে অন্ধকারকে বেশী ভালবেসেছে, কারণ তারা মন্দ কাজ করেছে। 20 যে কেউ মন্দ কাজ করে সে আলোকে ঘৃণা করে, আর সে আলোর কাছে আসে না, পাছে তার কাজের স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়ে। 21 কিন্তু যে কেউ সত্যের অনুসারী হয় সে আলোর কাছে আসে, যাতে সেই আলোতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তার সমস্ত কাজ ঈশ্বরের মাধ্যমে হয়েছে।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International