Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি মিকতাম।
16 হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করুন।
কারণ আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
2 আমি প্রভুকে বলেছিলাম,
“প্রভু, আপনিই আমার সদাপ্রভু।
যা কিছু ভালো জিনিস এখন আমার আছে তা আপনার কাছ থেকেই এসেছে।”
3 পৃথিবীতে তাঁর অনুচরদের জন্য প্রভু বিস্ময়কর কাজ করেন।
প্রভু দেখিয়ে দেন যে প্রকৃতই তিনি ঐসব লোকেদের ভালোবাসেন।
4 কিন্তু যারা অন্যান্য দেবতার পূজা করতে ছুটে যায় তারা অনেক যন্ত্রণায় পড়বে।
যে রক্ত তারা ঐসব দেবমূর্ত্তিতে উৎসর্গ করে, আমি সেই উৎসর্গের সামিল হব না।
এমনকি আমি ঐসব দেবমূর্ত্তির নামও উচ্চারণ করবো না।
5 না, আমার ভাগের অংশ, আমার পানপাত্র প্রভুর কাছ থেকে আসে।
প্রভু আপনি আমায় সহায়তা দিয়েছেন।
আপনি আমায় আমার অংশ দিয়েছেন।
6 আমার অংশটুকু অবশ্যই চমৎকার।
আমার উত্তরাধিকার সত্যিই সুন্দর।
7 আমি প্রভুর প্রশংসা করি, কারণ তিনি আমায় উত্তমরূপে শিক্ষাদান করেছেন।
এমনকি নিশাকালে, তাঁর নির্দেশসমূহ তিনি আমার অন্তরের গভীরে রেখে যান।
8 আমি সর্বদাই প্রভুকে আমার সামনে রাখি।
আমি কখনই তাঁর দক্ষিণ পাশ ছেড়ে যাবো না।
9 তাই, আমার হৃদয় এবং আত্মা অত্যন্ত খুশী হবে।
আমার দেহও নিরাপদে বেঁচে থাকবে।
10 কেন? কারণ হে প্রভু পাতালে আপনি আমার আত্মা ছেড়ে চলে যাবেন না।
আপনার বিশ্বস্ত জনকে আপনি কবরে পচতে দেবেন না।
11 আপনি আমাকে বাঁচার প্রকৃত পথ সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করবেন।
হে প্রভু, শুধুমাত্র আপনার সঙ্গে থাকলেই জীবনের চরম শান্তি লাভ হবে।
আপনার ডানদিকে থাকতে পারলেই চিরন্তন সুখ আসবে।
দায়ূদের একটি প্রার্থনা।
17 হে প্রভু, ন্যায্য বিচারের জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমি উচ্চস্বরে আপনাকে ডাকছি
এবং আমি যা বলছি, সৎভাবে বলছি।
অতএব, আমার প্রার্থনা শুনুন।
2 আপনি আমার সম্পর্কে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন।
আপনি সত্যকে দেখতে পান।
3 আপনি আমার অন্তরের গভীর পর্যন্ত দেখেছেন।
সারারাত আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
আপনি আমায় জিজ্ঞাসা করেছেন এবং আমার মধ্যে কোন ত্রুটি পান নি।
আমি কোন মন্দ ফন্দি করি নি।
4 আপনার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে,
মানুষের পক্ষে যতখানি কঠিন প্রচেষ্টা সম্ভব, তা আমি করেছি।
5 আমি আপনার পথ অনুসরণ করেছি।
আমার দুটি পা আপনার প্রদর্শিত জীবনের চলার পথ কখনও পরিত্যাগ করে নি।
6 হে ঈশ্বর, আমি আপনাকে ডাকছি, দয়া করে আমায় উত্তর দিন।
আমার কথা শুনুন, আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 হে ঈশ্বর, যারা আপনার ওপর নির্ভর করে,
তাদের আপনি সাহায্য করেন।
সেই সব লোক আপনার ডানদিকে দাঁড়াবে।
তাই দয়া করে, আপনার এক অনুগামীর প্রার্থনা শুনুন।
8 আপনার চোখের মণির মত আমায় রক্ষা করুন।
আপনার ডানার ছায়ায় আমায় আশ্রয় দিন।
9 প্রভু, সেই সব মন্দ লোক, যারা আমাকে বিনষ্ট করতে চাইছে, তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
যারা আমার চার পাশে থেকে আমাকে আঘাত করতে চাইছে, তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
10 ঐসব মন্দ লোক এত অহঙ্কারী যে তারা ঈশ্বরের বাক্য শুনতেই চায় না
এবং তারা নিজেদের সম্পর্কে বড়াই করে।
11 ঐসব লোক আমাকে তাড়া করেছে।
এখন তারা আমার চারপাশে রয়েছে।
তারা আক্রমণ করার জন্য তৈরী হয়ে রয়েছে।
12 ঐসব মন্দ লোক সিংহের মত অন্য পশুকে হত্যা করে খাবার জন্য অপেক্ষা করছে।
তারা সিংহের মত লুকিয়ে থাকে, আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকে।
13 প্রভু উঠুন এবং শত্রুদের কাছে যান।
ওদের দিয়ে আত্মসমর্পণ করান।
আপনার তরবারি ব্যবহার করে আমাকে মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
14 প্রভু, আপনার ক্ষমতা দ্বারা
দুষ্ট লোকদের বসতভূমি থেকে উচ্ছেদ করুন।
প্রভু, বহু লোক আপনার সাহায্যের জন্য এসেছে।
এই জীবনে এইসব লোকদের খুব বেশী কিছু নেই।
ঐসব লোককে প্রচুর খাদ্য দিন।
ওদের শিশুরা যা চায় সব দিন।
ওদের শিশুদের এতই বেশী পরিমান দিন যেন, ওরা ওদের শিশুদের জন্যও উদ্বৃত্ত খাদ্য রেখে যেতে পারে।
15 আমি বিচারের জন্য প্রার্থনা করেছি, তাই হে প্রভু আমি আপনাকে দেখবো।
এবং হে প্রভু, আপনাকে দেখে পরিপূর্ণভাবে পরিতৃপ্ত হব।
পরিচালকের প্রতি: “ভোরের হরিণ” গানটির সুরে বসানো দায়ূদের একটি গীত।
22 হে আমার ঈশ্বর, হে আমার ঈশ্বর!
কেন আপনি আমায় ছেড়ে চলে গেছেন?
আপনি এত দূরে যে, আমাকে রক্ষা করতে পারবেন না!
আপনি এত দূরে যে, আমার সাহায্যের জন্য চিৎকারও শুনতে পাবেন না!
2 ঈশ্বর আমার, সারাদিন ধরে আমি আপনাকে ডেকেছি।
কিন্তু আপনি সাড়া দেন নি।
সারারাত ধরে আমি আপনাকে ডেকেছি।
3 ঈশ্বর, আপনি হলেন সেই পবিত্র একজন।
আপনি রাজার মত থেকে যান। ইস্রায়েলের প্রশংসাই আপনার সিংহাসন।
4 আমাদের পূর্বপুরুষরা আপনার ওপর বিশ্বাস করেছিলেন।
হ্যাঁ, হে ঈশ্বর তাঁরা আপনার ওপর বিশ্বাস করেছিলেন এবং আপনি তাঁদের রক্ষা করেছেন।
5 ঈশ্বর, আমাদের পূর্বপুরুষরা আপনার কাছে সাহায্যের জন্য কেঁদে পড়েছিলেন
এবং তাঁরা তাঁদের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।
তাঁরা আপনার ওপর আস্থা রেখেছিলেন এবং তাই তাঁরা আশাহত হন নি!
6 সুতরাং, আমি কি কীট, মানুষ নই?
লোকে আমার সম্পর্কে লজ্জা বোধ করে এবং আমাকে ঘৃণা করে।
7 প্রত্যেকে যারা আমাকে দেখে, আমায় নিয়ে ঠাট্টা করে।
তারা তাদের মাথা নাড়ায় এবং আমায় জিভ ভেঙ্গায়।
8 তারা আমায় বলে: “প্রভুর কাছে সাহায্য চাও।
হয়তো বা তিনি তোমার পরিত্রাণ করবেন।
তিনি যদি সত্যিই তোমায় পছন্দ করেন, নিশ্চয়ই তিনি তোমায় উদ্ধার করবেন!”
9 হে ঈশ্বর, এটাই প্রকৃত সত্য যে, একমাত্র আপনার ওপরেই আমি নির্ভর করি।
এমন কি আমি যখন আমার মায়ের বুকের দুধ খেতাম আপনি আমাকে আশ্বাস এবং স্বস্তি দিতেন।
10 যে দিন আমি জন্মেছি, সে দিন থেকেই আপনি আমার ঈশ্বর।
মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার পরেই আমি আপনার যত্নে লালিত হয়েছি।
11 তাই, হে আমার ঈশ্বর, আমাকে ছেড়ে যাবেন না!
কারণ সংকট নিকটবর্ত্তী।
আমাকে সাহায্য করার মত কেউই নেই।
12 আমার চারপাশে লোকজন রয়েছে, শক্তিশালী বলদের মত
তারা আমার চারদিকে ঘিরে রয়েছে।
13 তাদের মুখগুলো একটা গর্জনকারী সিংহের মত হাঁ করে খোলা,
যেন তার শিকারের দিকে সবেগে ছুটে যাচ্ছে।
14 মাটিতে ফেলে দেওয়া জলের মত আমার শক্তি চলে গেছে।
আমার অস্থিগুলো আলাদা হয়ে গেছে।
আমি আমার সাহস হারিয়ে ফেলেছি!
15 আমার শক্তি[a] ভাঙ্গা মৃত্ পাত্রের মতই শুকিয়ে গেছে।
আমার জিভ তালুতে আটকে যাচ্ছে।
আপনি আমাকে মৃত্যুর ধূলায় পৌঁছে দিয়েছেন।
16 আমার চারপাশে “কুকুর” ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সেই সব মন্দ লোকেদের দল আমাকে ফাঁদে ফেলেছে।
সিংহের মত তারা আমার হাত ও পা বিদ্ধ করে দিয়েছে।
17 আমি আমার হাড়গুলো পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি।
লোকজন আমার দিকে চেয়ে রয়েছে!
তারা ক্রুর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!
18 ঐ লোকগুলো ওদের মধ্যে আমার কাপড়গুলো ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।
তারা আমার কাপড়ের জন্য ঘুঁটি চালছে।
19 প্রভু, আমাকে ছেড়ে যাবেন না!
আপনিই আমার শক্তি।
শীঘ্রই আমাকে সাহায্য করুন!
20 প্রভু, শত্রুর তরবারি হতে আমায় রক্ষা করুন।
ওই সব কুকুরদের হাত থেকে আমার মূল্যবান জীবন রক্ষা করুন।
21 আমাকে সিংহের মুখ থেকে রক্ষা করুন।
বলদের শিং এর আঘাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
22 প্রভু, আপনার সম্পর্কে আমি আমার ভাইদের বলবো।
মহাসমাজের সামনে আমি আপনার প্রশংসা করব।
23 তোমরা যারা প্রভুর উপাসনা কর, তারা প্রভুর প্রশংসা কর!
হে ইস্রায়েলের উত্তরপুরুষগণ প্রভুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর!
হে ইস্রায়েলের মানুষ, প্রভুকে ভয় ও শ্রদ্ধা কর।
24 কেন? কারণ প্রভু দরিদ্র লোকদের তাদের সংকটে সাহায্য করেন।
প্রভু তাদের জন্য লজ্জিত নন।
যদি মানুষ তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে
তিনি তাদের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকেন না।
25 প্রভু, মহাসমাজে আমার প্রশংসা আপনার কাছ থেকেই আসে।
এইসব উপাসনাকারী ভক্তদের সামনে, আমার মানত করা বলি আমি আপনাকে উৎসর্গ করবো।
26 দরিদ্র লোকরা খেয়ে তৃপ্ত হবে।
তোমরা যারা প্রভুকে খুঁজছ, তারা তাঁর প্রশংসা কর!
তোমাদের অন্তঃকরণ চিরজীবি হউক!
27 তোমরা, সুদূর দেশগুলির জনগণ, প্রভুকে মনে রেখো
এবং তাঁর কাছে ফিরে এস!
যে সব মানুষ বিদেশে থাকে তারাও যেন প্রভুরই উপাসনা করে।
28 কেন? কারণ প্রভুই রাজা।
তিনি সব জাতিকে শাসন করেন।
29 বলিষ্ঠ এবং সুদেহী লোকেরা আহারান্তে ঈশ্বরের কাছে প্রণিপাত করবে।
বস্তুতঃ সকলে যারা মারা যাবে
এবং যারা ইতিমধ্যেই মারা গেছে
তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে অবনত হবে!
30 এবং ভবিষ্যতে আমাদের উত্তরপুরুষরা প্রভুর সেবা করবে।
লোকে চিরদিন তাঁর কথা বলবে।
31 প্রত্যেকটি প্রজন্ম তাদের শিশুদের কাছে
ঈশ্বর যে ভাল জিনিসগুলি করেছেন সে সম্পর্কে বলবে।
7 তখন মোশি সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে যিহোশূয়কে ডেকে বললেন, “শক্ত হও, মনে সাহস আনো। যে দেশ প্রভু এদের পূর্বপুরুষদের দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তুমি তাদের সেখানে নিয়ে যাবে এবং সেই দেশ তাদের অধিকার করাবে। 8 প্রভু তোমায় পথ দেখাবেন, তিনি নিজেই তোমার সঙ্গে আছেন। তিনি তোমাকে ছাড়বেন না বা ত্যাগ করবেন না। দুশ্চিন্তা করো না, ভয় পেও না।”
মোশি শিক্ষাগুলি লিপিবদ্ধ করলেন
9 তারপর মোশি সেই শিক্ষাগুলি লিখে যাজকদের হাতে দিলেন। যাজকরা ছিল লেবি গোষ্ঠীর লোক, যাদের কাজ ছিল প্রভুর চুক্তির সেই সিন্দুক বহন করা। মোশি ইস্রায়েলের সমস্ত প্রবীণদের কাছেও শিক্ষাগুলি দিলেন। 10 তারপর মোশি তাদের এই আজ্ঞা দিয়ে বললেন, “প্রত্যেক সাত বছরের শেষে, মুক্তির বছরে অর্থাৎ কুটিরবাস উৎসবের সময়, 11 যে সময় ইস্রায়েলের সমস্ত লোক প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের মনোনীত স্থানে প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসবে, সেই সময় তুমি অবশ্যই এই শিক্ষাগুলি লোকদের কাছে পাঠ করবে যাতে তারা তা শুনতে পায়। 12 সকল পুরুষ, স্ত্রীলোক, শিশুদের এবং তোমাদের মধ্যে বাসকারী বিদেশীদের অবশ্যই একসাথে জড়ো করবে। তারা এইসব শিক্ষা শুনবে ও তোমাদের প্রভু ঈশ্বরকে সম্মান করতে শিখবে। তখন তারা ব্যবস্থার পুস্তকে যে যে বিষয় আছে তার সবই পালন করতে পারবে। 13 উত্তরপুরুষরা যদি শিক্ষাগুলি না জেনে থাকে তবে তারাও শুনবে এবং প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরকে, সম্মান করতে শিখবে। তারা যতদিন তোমার দেশে বাস করবে ততদিন প্রভুকে সম্মান করবে। শীঘ্রই তোমরা যর্দন নদী পার হয়ে সেই দেশ অধিকার করবে।”
মোশি ইস্রায়েলীয়দের সতর্ক করে দিলেন
24 এই সমস্ত শিক্ষা মোশি যত্ন সহকারে একটি বইয়ে লিখলেন। 25 আর তা লেখা শেষ হলে, তিনি লেবীয়দের একটি আদেশ দিলেন। (এই লেবীয়রা প্রভুর চুক্তির সিন্দুক বয়ে নিয়ে যেত।) মোশি বললেন, 26 “ব্যবস্থাপুস্তক বই নিয়ে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বরের চুক্তির সিন্দুকের পাশে রাখ। তাহলে তা তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবে। 27 আমি জানি তোমরা খুব একগুঁয়ে, তোমরা তোমাদের মত করে জীবন কাটাতে চাও। দেখ আমি তোমাদের সাথে থাকাকালীনই তোমরা প্রভুর বাধ্য হতে অস্বীকার করেছিলে। তাই আমি জানি যে আমার মৃত্যুর পরও তোমরা তাঁর বাধ্য হতে অস্বীকার করবে। 28 তোমাদের পরিবারগোষ্ঠীর সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও নেতাদের এক জায়গায় জড়ো করো। আমি তাদের এইসব বিষয় বলব এবং তাদের বিরুদ্ধে আকাশ ও পৃথিবীকে সাক্ষী করবো। 29 আমি জানি আমার মৃত্যুর পর তোমরা মন্দ হয়ে পড়বে। আমি যে ভাবে আজ্ঞা করেছি তার থেকে তোমরা দূরে সরে যাবে। ভবিষ্যতে তোমাদের অমঙ্গল হবে। কারণ প্রভু যে কাজ মন্দ বলেন তোমরা সেই সবই করতে চাও এবং তোমাদের মন্দ কাজের দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট কর।”
মোশির গান
30 ইস্রায়েলের সমস্ত লোক এক জায়গায় জড়ো হলে মোশি তাদের জন্য এই গানের সবটাই গাইলেন:
32 “আকাশ, আমি যা বলি শোন।
পৃথিবী, আমার মুখের কথা শোন।
2 আমার উপদেশ বৃষ্টির মত ঝরবে,
যেমন শিশির পড়ে মাটির উপরে,
বৃষ্টির ধারা ঘাসের উপর পড়ে,
যেমন সবুজ গাছপালার উপর বৃষ্টি নামে।
3 কারণ আমি প্রভুর নাম প্রচার করব। তোমরা ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
4 “শৈল (প্রভু)
এবং তাঁর কাজও ত্রুটিহীন!
কারণ তাঁর পথসকল ন্যায্য!
ঈশ্বর সত্য এবং বিশ্বাসযোগ্য।
তিনি মঙ্গলময় ও সৎ।
10 ভাই ও বোনেরা, আমার হৃদয়ের একান্ত কামনা এই, যেন সমস্ত ইহুদী উদ্ধার পায়। ঈশ্বরের কাছে এই আমার কাতর মিনতি। 2 আমি ইহুদীদের বিষয়ে একথা বলতে পারি যে ঈশ্বরের বিষয়ে তাদের উৎসাহ আছে; কিন্তু এটা তাদের জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নেই। 3 যে পথে ঈশ্বর মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন তারা সেই পথ জানে না। তারা নিজেদের প্রচেষ্টায় ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে চায়। তাই যে পথে ঈশ্বর মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন, তা তারা গ্রহণ করে নি। 4 খ্রীষ্টের আগমনে বিধি-ব্যবস্থার যুগ শেষ হয়েছে। এখন যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করে তারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়।
5 বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া সম্পর্কে মোশি বলে গেছেন, “যে ব্যক্তি এইসব বিধি-ব্যবস্থা পালন করবে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”(A) 6 যে ধার্মিকতা ঈশ্বরে বিশ্বাস থেকে জন্মায় সে সম্বন্ধে শাস্ত্রে বলেছে: “মনে মনে কখনও বলো না, ‘ওপরে স্বর্গে কে যাবে?’” (এর অর্থ, “খ্রীষ্টকে কে পৃথিবীতে নামিয়ে আনবে?”) 7 “বা ‘নীচে পাতালে কে যাবে?’” (এর অর্থ, “মৃতদের মধ্য থেকে কে খ্রীষ্টকে উর্দ্ধে আনবে?”)
8 এ ব্যাপারে শাস্ত্র বলছে: “সেই শিক্ষা তোমার কাছেই তোমার মুখে ও হৃদয়ে আছে।”(B) সে শিক্ষা হল বিশ্বাসের শিক্ষা যা আমরা লোকদের কাছে বলি। 9 তুমি যদি নিজ মুখে যীশুকে প্রভু বলে স্বীকার কর, এবং অন্তরে বিশ্বাস কর যে ঈশ্বরই তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন তাহলে উদ্ধার পাবে। 10 কারণ মানুষ অন্তরে বিশ্বাস করে ধার্মিকতা লাভ করার জন্য আর মুখে বিশ্বাসের কথা স্বীকার করে উদ্ধার পাবার জন্য।
11 শাস্ত্র এই কথাই বলে যে: “যে খ্রীষ্টে বিশ্বাস করে সে কখনও লজ্জায় পড়বে না।”(C) 12 এক্ষেত্রে ইহুদী ও অইহুদীদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, একই প্রভু সকলের প্রভু। যত লোক তাঁকে ডাকে সেই সকলের ওপর তিনি প্রচুর আশীর্বাদ ঢেলে দেন। 13 হ্যাঁ, শাস্ত্র বলে, “যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে ডাকবে সে উদ্ধার পাবে।”(D)
15 “তোমরা তখন দেখবে যে, ভাববাদী দানিয়েলের মধ্য দিয়ে যে ‘সর্বনাশা ঘৃণার বস্তুর’[a] কথা বলা হয়েছিল তা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে।” (যে একথা পড়ছে সে বুঝুক এর অর্থ কি।) 16 “সেই সময় যারা যিহূদিয়াতে থাকবে, তারা পাহাড় অঞ্চলে পালিয়ে যাক্। 17 যে ছাদে থাকবে, সে যেন ঘর থেকে তার জিনিস নেবার জন্য নীচে না নামে। 18 ক্ষেতের মধ্যে যে কাজ করবে, সে তার জামা নেবার জন্য ফিরে না আসুক।
19 “হায়! সেই মহিলারা, যারা সেই দিনগুলিতে গর্ভবতী থাকবে, বা যাদের কোলে থাকবে দুধের শিশু। 20 তাই প্রার্থনা কর যেন শীতকালে বা বিশ্রামবারে তোমাদের পালাতে না হয়। 21 সেই দিনগুলিতে এমন মহাকষ্ট হবে যা জগতের শুরু থেকে এই সময় পর্যন্ত আর কখনও হয় নি এবং হবে ও না।
22 “আরো বলছি, সেই দিনগুলির সংখ্যা ঈশ্বর যদি কমিয়ে না দিতেন তবে কেউই অবশিষ্ট থাকত না। কিন্তু তাঁর মনোনীত লোকদের জন্য তিনি সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে রেখেছেন।
23 “সেই সময় কেউ যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, মশীহ (খ্রীষ্ট)’ এখানে, অথবা ‘দেখ, তিনি ওখানে,’ তাহলে সে কথায় বিশ্বাস করো না। 24 আমি একথা বলছি, কারণ অনেক ভণ্ড খ্রীষ্ট ও ভণ্ড ভাববাদীর উদয় হবে। তারা মহা আশ্চর্য কাজ করবে ও চিহ্ন দেখাবে, যেন লোকদের ঠকাতে পারে। যদি সম্ভব হয়, এমনকি ঈশ্বরের মনোনীত লোকদেরও ঠকাবে। 25 দেখ, আমি আগে থেকেই তোমাদের এসব কথা বলে রাখলাম।
26 “তাই তারা যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, খ্রীষ্ট প্রান্তরে আছেন!’ তবে তোমরা সেখানে যেও না, অথবা যদি বলে দেখ, ‘তিনি ভেতরের ঘরে লুকিয়ে আছেন,’ তাদের কথায় বিশ্বাস করো না। 27 আকাশে বিদ্যুত যেমন পূর্ব দিকে দেখা দিয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত চমকে দেয়, তেমনি করেই মানবপুত্রের আবির্ভাব হবে। 28 যেখানে শব, সেখানেই শকুন এসে জড় হবে।
29 “মহাক্লেশের সেই দিনগুলির পরই,
‘সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে,
চাঁদ আর আলো দেবে না।
তারাগুলো আকাশ থেকে খসে পড়বে
আর আকাশমণ্ডলে মহা আলোড়নের সৃষ্টি হবে।’[b]
30 “সেই সময় আকাশে মানবপুত্রের চিহ্ন দেখা দেবে। তখন পৃথিবীর সকল গোষ্ঠী হা-হুতাশ করবে; আর তারা মানবপুত্রকে মহাপরাক্রম ও মহিমামণ্ডিত হয়ে আকাশের মেঘে করে আসতে দেখবে। 31 খুব জোরে তূরীধ্বনির সঙ্গে তিনি তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠাবেন। তাঁরা আকাশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত, চার দিক থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের জড়ো করবেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International