Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 18

পরিচালকের প্রতি: প্রভুর দাস দায়ূদের একটি গীত। প্রভু যখন দায়ূদকে শৌল এবং অন্যান্য শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, তখন দায়ূদ এই গীতটি লিখেছিলেন।

18 তিনি বললেন, “প্রভু আমার শক্তি,
    আমি আপনাকে ভালোবাসি!”

প্রভুই আমার শিলা, আমার দুর্গ, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
    আমার ঈশ্বর, আমার শিলা। আমি তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য ছুটে যাই।
ঈশ্বরই আমার ঢালস্বরূপ। তাঁর শক্তি আমায় রক্ষা করে।
    দুর্গম পাহাড়ে প্রভুই আমার গোপন আশ্রয়স্থল।

ওরা আমায় উপহাস করেছে।
    কিন্তু আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চেয়েছি
    এবং আমার শত্রুদের কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছি!
আমার শত্রুরা আমায় হত্যা করতে চাইছিল!
    আমার চারপাশে ছিল মৃত্যুর দড়ি।
    এক তীব্র বন্যা আমাকে পাতালের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
আমার চারপাশে ছিল কবরের রজ্জুগুলি।
    আমার সামনে পড়েছিল মৃত্যুর ফাঁদ।
ফাঁদে বদ্ধ হয়ে, আমি প্রভুর কাছে সাহায্য চাইলাম।
    হ্যাঁ, আমি আমার ঈশ্বরকে ডাকলাম।
ঈশ্বর তাঁর মন্দিরে ছিলেন।
    তিনি আমার কন্ঠস্বর শুনতে পেলেন।
    তিনি আমার সাহায্যের জন্য কান্না শুনতে পেলেন।
সারা পৃথিবী কেঁপে উঠলো,
    পর্বতের ভিতগুলো পর্যন্ত নড়ে উঠেছিল। কেন?
    কারণ প্রভু ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন!
ঈশ্বরের নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে এলো।
    ঈশ্বরের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।
    তাঁর দেহ থেকে জ্বলন্ত আগুন বিচ্ছুরিত হতে লাগলো।
আকাশমণ্ডল বিদীর্ণ করে প্রভু নীচে নেমে এলেন!
    একটি ঘন কালো মেঘের ওপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন।
10 বাতাসের পাখায় চড়ে তিনি আকাশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন।
    বাতাসের ওপর ভর করে, তিনি সুদূর শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন।
11 প্রভু একটা ঘন কালো মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন, সেই মেঘ তাঁকে তাঁবুর মত ঘিরেছিল।
    তিনি ঘন বজ্রময় মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন।
12 তারপর মেঘ ভেদ করে ঈশ্বরের আলোকময় ঔজ্জ্বল্য বেরিয়ে এলো।
    সেখানে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি এবং বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা দিল।
13 আকাশ থেকে প্রভু বিদ্যুতের মত ঝলসে উঠলেন!
    পরাৎ‌‌পরের রব শোনা গেল।
    সেখানে তখন শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রসহ অগ্নিময় বিদ্যুতের ঝলক ছিল।
14 প্রভু তাঁর তীরসমূহ[a] নিক্ষেপ করে শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেন।
    প্রভু তীরের মত ক্ষিপ্রগতিতে অনেকগুলো অশনিপাত করলেন এবং লোকরা বিভ্রান্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়লো।

15 প্রভু আপনি উচ্চস্বরে আপনার আজ্ঞা দিলেন
    এবং তীব্র বেগে বাতাস বইতে শুরু করলো।
জল পেছনে সরে গেল এবং আমরা সমুদ্রের তলদেশ দেখতে সমর্থ হলাম।
    আমরা পৃথিবীর ভিত দেখতে পেলাম।

16 প্রভু ওপর থেকে নীচে পৌঁছলেন এবং আমাকে রক্ষা করলেন।
    প্রভু আমাকে গভীর জল থেকে টেনে তুললেন।
17 আমার শত্রুরা আমার চেয়ে শক্তিশালী ছিলো।
    ওই সব লোক আমায় ঘৃণা করেছে।
    আমার কাছে আমার শত্রুরা বেশ শক্তিশালীই ছিল, তাই ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেছেন!
18 আমি সমস্যার মধ্যে নিমজ্জিত ছিলাম এবং আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিল।
    কিন্তু আমাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রভু সেখানে ছিলেন!
19 প্রভু আমায় ভালোবাসেন, তাই তিনি আমায় উদ্ধার করলেন।
    তিনি আমায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেলেন।
20 আমি নিস্পাপ, তাই প্রভু আমাকে আমার যোগ্য পুরস্কার দেবেন।
    আমি কোন অন্যায় কাজ করি নি, তাই তিনি আমার জন্য হিতকর কাজই করবেন।
21 কেন? কারণ আমি প্রভুর নির্দেশ পালন করেছি!
    আমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কোন পাপ করি নি।
22 আমি সর্বদাই প্রভুর নির্দেশসমূহ স্মরণে রাখি।
    আমি তাঁর নির্দেশিত বিধি পালন করি!
23 তাঁর সামনে আমি সর্বদাই সৎ‌ ও বিশুদ্ধ ছিলাম।
    আমি নিজেকে অন্যায় কাজ থেকে দূরে রেখেছিলাম।
24 এই কারণে প্রভু আমাকে আমার পুরস্কার দেবেন!
    কেন? কারণ আমি নির্দোষ!
প্রভু দেখেছেন, আমি কোন গর্হিত কাজ করি নি।
    তাই আমার প্রতি তিনি হিতকর কাজই করবেন।

25 প্রভু, যদি কোন লোক প্রকৃতই আপনাকে ভালোবাসে আপনিও তাঁর প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা প্রদর্শন করুন।
    আপনার প্রতি কেউ যদি সৎ‌ ও একনিষ্ঠ হয়, আপনিও তার প্রতি সৎ‌ হন।
26 হে প্রভু, যারা ভাল এবং শুচি তাদের কাছে আপনিও ভাল এবং শুচি।
    কিন্তু, নীচতম এবং ক্রুরতম ব্যক্তিকেও আপনি পরাক্রমী করতে পারেন।
27 প্রভু, নম্র লোকদের আপনি সাহায্য করেন।
    কিন্তু উদ্ধত ও অহঙ্কারী লোকদের আপনি অবদমিত করেন।
28 প্রভু, আপনিই আমার প্রদীপ জ্বালান।
    আমার ঈশ্বর, আমার চারদিকের অন্ধকারকে আলোকিত করেন!
29 আপনার সাহায্যে হে প্রভু, আমি সৈন্যদের সঙ্গে ছুটতে পারি।
    ঈশ্বরের সাহায্য পেয়ে, আমি শত্রুদের দেওয়ালের ওপর চড়তে পারি।

30 ঈশ্বর সর্বদাই যা সঠিক তাই করে থাকেন।
    প্রভুর বাক্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
    যারা তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখে, তিনি তাদের রক্ষা করেন।
31 প্রভু ছাড়া আর অন্য কোন ঈশ্বর নেই।
    আমাদের প্রভু ছাড়া আর কোন শিলা নেই।
32 ঈশ্বর আমায় শক্তি দেন।
    তিনি আমাকে পবিত্র জীবনযাপন করতে সাহায্য করেন।
33 ঈশ্বর আমাকে হরিণের মত দ্রুত দৌড়তে সাহায্য করেন।
    উচ্চস্থানে তিনিই আমাকে অবিচল রাখেন।
34 ঈশ্বর আমাকে যুদ্ধের কৌশল শিক্ষা দেন,
    তাই আমার বাহুগুলি একটি শক্তিশালী ধনুকে ছিলা পরাতে পারে।

35 ঈশ্বর আপনি আমায় রক্ষা করেছেন এবং জয়ী হতে সাহায্য করেছেন।
    আপনার ডান হাত দিয়ে আপনি সহায়তা করেছেন।
    আমার শত্রুকে পরাজিত করতে আপনি আমায় সাহায্য করেছেন।
36 আমার পা এবং গোড়ালি শক্ত করে দিন,
    যেন আমি হোঁচট না খেয়ে দ্রুত দৌড়তে পারি।

37 আমি যেন আমার শত্রুদের তাড়া করতে পারি এবং তাদের ধরে ফেলতে পারি।
    তাদের শেষ না করে আমি আর ফিরবো না!
38 আমি আমার শত্রুদের পরাজিত করবো। তারা আর উঠে দাঁড়াবে না।
    আমার সব শত্রু আমার পায়ের নীচে পড়ে থাকবে।
39 ঈশ্বর, যুদ্ধে আপনিই আমাকে শক্তিশালী করেছেন।
    আপনিই আমার শত্রুকে আমার সামনে ভূপতিত করেছেন।
40 আমার শত্রুদের পরাজিত করতে আপনি আমায় সাহায্য করেছেন
    এবং আমি আমার বিরোধীদের বিনষ্ট করেছি!
41 আমার শত্রুরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিল।
    কিন্তু তাদের সাহায্য করার কেউ ছিল না।
তারা এমনকি প্রভুকেও ডেকেছিল,
    কিন্তু প্রভু তাদের উত্তর দেন নি।
42 আমি আমার শত্রুদের মেরে টুকরো টুকরো করে দিয়েছি।
    তারা ধূলোর মত বাতাসে উড়ে গিয়েছিল।
    আমি তাদের একেবারে খণ্ড বিখণ্ড করে ছেড়েছি।

43 যারা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
    আমাকে সেই সব জাতির নেতা বানিয়ে দিন।
    যে সব লোকদের আমি জানি না, তারা আমার সেবা করবে।
44 সেই সব লোক আমার সম্পর্কে শোনামাত্রই আমার আজ্ঞাকারী হবে।
    ঐ বিদেশীরা আমায় ভয় করবে।
45 ঐসব বিদেশীরা ভয়ে শুকিয়ে যাবে।
    ভয়ে কম্পমান হয়ে ওরা ওদের গোপন ডেরা থেকে বেরিয়ে আসবে।

46 প্রভু জীবন্ত!
    আমি আমার শিলার প্রশংসা করি। ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেন।
    তিনি মহান!
47 ঈশ্বর আমার জন্য আমার শত্রুদের শাস্তি দিয়েছেন।
    তিনি লোকদের আমার অধীনে এনে দিয়েছেন।
48     প্রভু, আপনি শত্রুর হাত থেকে আমায় বাঁচিয়েছেন।

যারা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের পরাস্ত করতে আপনি আমায় সাহায্য করেছেন।
    নিষ্ঠুর মানুষের হাত থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
49 হে প্রভু, এই কারণে আমি সকল জাতির কাছে আপনার প্রশংসা করি।
    এই জন্যই আপনার নামে আমি স্তোত্র গান করি।

50 প্রভু তাঁর মনোনীত রাজাকে বহু যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করেন!
    তাঁর মনোনীত রাজার প্রতি তিনি প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
    তিনি দায়ূদ এবং তাঁর উত্তরপুরুষদের প্রতি চিরদিন বিশ্বস্ত থাকবেন!

দ্বি. বি. 3:18-28

18 “সেই সময়, আমি তোমাদের এই আদেশ দিয়েছিলাম; ‘প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের যর্দন নদীর পূর্বদিকের্ দেশ বাস করার জন্য দিয়েছেন। কিন্তু এখন তোমাদের যোদ্ধারা অবশ্যই তাদের অস্ত্র তুলে নেবে এবং অন্যান্য ইস্রায়েলীয় পরিবারগোষ্ঠীকে নদী অতিক্রম করার কাজে নেতৃত্ব দেবে। 19 তোমাদের স্ত্রীরা, তোমাদের সন্তানরা এবং তোমাদের সমস্ত গবাদি পশু (আমি জানি তোমাদের অনেক গবাদিপশু আছে) অবশ্যই এই শহরগুলিতে থাকবে, যেটা আমি তোমাদের দিয়েছি। 20 কিন্তু তোমরা অবশ্যই তোমাদের ইস্রায়েলীয় আত্মীয়বর্গকে সাহায্য করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা যর্দন নদীর অপর পারে তাদের প্রভুর দেওয়া দেশ অধিগ্রহণ করে। প্রভু তাদের সেখানে শাস্তি দেওয়া পর্যন্ত তাদের সাহায্য করো, ঠিক যেমন তিনি এখানে তোমাদের জন্য করেছিলেন। এরপর আমি তোমাদের যে দেশ দিয়েছি সেখানে ফিরে আসতে পার।’

21 “তখন আমি যিহোশূয়কে বলেছিলাম, ‘প্রভু তোমাদের ঈশ্বর এই দুজন রাজার কি দশা করেছেন সেটা তুমি স্বচক্ষে দেখেছ। তুমি যে রাজ্যেই প্রবেশ করবে, সেখানেই ঈশ্বর এই একই কাজ করবেন। 22 এই সকল দেশের রাজাদের ভয় পেও না, কারণ প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।’

মোশি কনানে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না

23 “এরপর আমার বিশেষ কিছু করার জন্য আমি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, 24 ‘প্রভু আমার মনিব, আমি তোমার সেবক। আমি জানি যে তুমি তোমার চমৎ‌‌কারিত্বের এবং শক্তির সামান্য অংশই আমাকে দেখিয়েছ। তুমি যে মহৎ‌‌ এবং শক্তি সম্পন্ন কাজ করেছ, তেমন কাজ করতে পারে এমন কোনো ঈশ্বর স্বর্গে অথবা পৃথিবীতে নেই। 25 কৃপা করে আমাকে যর্দন নদী পার হতে এবং সেই উত্তম দেশ প্রত্যক্ষ করতে দাও। আমাকে সুন্দর পার্বত্য দেশ এবং লিবানোন দর্শন করতে দাও।’

26 “কিন্তু তোমাদের জন্য প্রভু আমার ওপরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তিনি আমার কথা শুনতে অস্বীকার করেছিলেন। প্রভু আমাকে বলেছিলেন, ‘এটাই যথেষ্ট! এই প্রসঙ্গে আর কোনো কথা বোলো না। 27 পিস্গা পর্বতের সর্বোচ্চ শিখরে যাও। এর পশ্চিম দিক, উত্তর দিক, দক্ষিণ দিক এবং পূর্ব দিক প্রত্যক্ষ কর। তুমি এইসব চোখে দেখতে পাবে, কিন্তু কখনই যর্দন নদী অতিক্রম করতে পারবে না। 28 তুমি অবশ্যই যিহোশূয়কে নির্দেশ দেবে। তুমি অবশ্যই তাকে উৎসাহিত করবে এবং তাকে সবল করবে। কারণ যর্দন নদী অতিক্রম করার কাজে যিহোশূয় লোকদের নেতৃত্ব দেবে। তুমি কেবল দেশটি দেখতে পাবে, কিন্তু যিহোশূয় তাদের ঐ দেশে নিয়ে যাবে। সে তাদের ঐ দেশটির অধিগ্রহণে এবং সেখানে বাস করতে সাহায্য করবে।’

রোমীয় 9:19-33

19 তাহলে তোমরা হয়তো আমাকে বলতে পার: “তবে ঈশ্বর কেন পাপের জন্য মানুষকে দোষী করেন?” কারণ ঈশ্বরের ইচ্ছা কে প্রতিরোধ করতে পারে? 20 তা সত্য, কিন্তু তুমি কে? ঈশ্বরকে প্রশ্ন করার কোন অধিকার তোমার নেই। মাটির পাত্র কি নির্মাণকর্তাকে প্রশ্ন করতে পারে? মাটির পাত্র কখনও নির্মাতাকে বলে না, “তুমি কেন আমাকে এমন করে গড়লে?” 21 কাদামাটির ওপরে কুমোরের কি কোন অধিকার নেই, সে কি একই মাটির তাল থেকে তার ইচ্ছামত দুরকম পাত্র তৈরী করতে পারে না? একটি বিশেষ ব্যবহারের জন্য আর অন্যটি সাধারণ ব্যবহারের জন্য?

22 ঈশ্বর যদিও চেয়েছিলেন, যে লোকেদের বিনাশের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের ওপর তিনি তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন ও তাঁর ক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ দেবেন, তবু ঈশ্বর তাঁর ক্রোধের পাত্রদের প্রতি অসীম ধৈর্য্য দেখিয়েছেন। 23 যাতে সেই দয়ার পাত্রদের, যাদের তিনি মহিমা প্রাপ্তির যোগ্য করে তৈরী করেছিলেন, তাদের কাছে তাঁর মহিমার ঐশ্বর্য্য সম্বন্ধে পরিচয় করাতে পারেন। 24 আমরাই সেই লোক, ঈশ্বর যাদের আহ্বান করেছেন। ইহুদী বা অইহুদীর মধ্য থেকে ঈশ্বর আমাদের আহ্বান করেছেন। 25 এবিষয়ে হোশেয়ের পুস্তকে লেখা আছে:

“যারা আমার লোক নয়,
    তাদের আমি নিজের লোক বলব,
যে প্রিয়তমা ছিল না
    তাকে আমার প্রিয়তমা বলব।”(A)

26 “আর যেখানে ঈশ্বর বলেছিলেন
    ‘তোমরা আমার লোক নও’,
    সেখানেই তাদের বলা যাবে জীবন্ত ঈশ্বরের সন্তান।”(B)

27 যিশাইয় ইস্রায়েল সম্বন্ধে উচ্চকণ্ঠে বলেছিলেন:

“যদিও ইস্রায়েলীদের সংখ্যা সমুদ্র তীরের বালুকণার মত অগনিত হয়,
    তবুও তাদের মধ্য থেকে অবশিষ্ট কিছু মানুষ শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পাবে।
28 বিচারের ব্যাপারে প্রভু এই পৃথিবীতে যা করবেন বলেছেন, তিনি তা পূর্ণ করবেন, শিগ্গিরই তা শেষ করবেন।”(C)

29 এই রকম কথা যিশাইয় আগেই বলেছিলেন:

“সর্বশক্তিমান প্রভু যদি আমাদের জন্য
কিছু বংশধর রেখে না দিতেন
    তবে এতদিনে আমরা সদোমের তুল্য হতাম,
    আমরা এতদিনে ঘমোরার তুল্য হতাম।”(D)

30 তাহলে এসবের অর্থ কি? অর্থ এই, যারা অইহুদী তারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হবার কোন চেষ্টা করে নি; তাদেরই ঈশ্বর ধার্মিক প্রতিপন্ন করলেন। তাদের বিশ্বাসের জন্য তারা ধার্মিক প্রতিপন্ন হল। 31 আর ইস্রায়েলীয়রা বিধি-ব্যবস্থা পালন করার মধ্য দিয়ে ধার্মিক প্রতিপন্ন হবার চেষ্টা করেও কৃতকার্য হয় নি। 32 কারণ তারা তাদের কৃতকার্যের দ্বারা ধার্মিক প্রতিপন্ন হবার চেষ্টা করেছে। ধার্মিক প্রতিপন্ন হবার জন্য তারা ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস করে নি, তারা ব্যাঘাতজনক পাথরে ধাক্কা পেয়ে হোঁচট খেয়েছে। 33 শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে:

“দেখ, আমি সিয়োনে একটি পাথর রাখছি
    যাতে মানুষ হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে;
কিন্তু যারা তাঁর ওপর বিশ্বাস করবে তারা কখনও লজ্জায় পড়বে না।”(E)

মথি 24:1-14

ভবিষ্যতে মন্দিরের বিনাশ

(মার্ক 13:1-31; লূক 21:5-33)

24 যীশু মন্দির থেকে যখন বাইরে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে মন্দিরের বড় বড় দালানের দিকে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন। এর জবাবে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা এখন এখানে এসব দেখছ, কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এখানে একটা পাথর আর একটা পাথরের ওপর থাকবে না, এসবই ভুমিস্যাত হবে।”

যীশু যখন জৈতুন পর্বতমালার ওপর বসেছিলেন, তখন তাঁর শিষ্যরা একান্তে তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললেন, “আমাদের বলুন, কখন এসব ঘটবে, আর আপনার আসার এবং এযুগের শেষ পরিণতির সময় জানার চিহ্নই বা কি হবে?”

এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “দেখো, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায়। আমি তোমাদের একথা বলছি কারণ অনেকে আমার নামে আসবে আর তারা বলবে, ‘আমি খ্রীষ্ট।’ আর তারা অনেক লোককে ঠকাবে। তোমরা নানা যুদ্ধের কথা শুনবে এবং তোমাদের কানে যুদ্ধের গুজব আসেব। কিন্তু দেখো, তোমরা ভয় পেও না, কারণ ঐ সব ঘটনা অবশ্যই ঘটবে কিন্তু তখনও শেষ নয়। হ্যাঁ, এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে; আর এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে। সর্বত্র দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হবে। কিন্তু এসব কেবল যন্ত্রণার আরম্ভ মাত্র।

“সেই সময় শাস্তি দেবার জন্য তারা তোমাদের ধরিয়ে দেবে ও হত্যা করবে। আমার শিষ্য হয়েছ বলে জগতের সকল জাতির লোকেরা তোমাদের ঘৃণা করবে। 10 সেই সময় অনেক লোক বিশ্বাস থেকে সরে যাবে। তারা একে অপরকে শাসনকর্তাদের হাতে ধরিয়ে দেবে আর তারা পরস্পরকে ঘৃণা করবে। 11 অনেক ভণ্ড ভাববাদীর আবির্ভাব হবে, যাঁরা বহু লোককে ঠকাবে। 12 অধর্ম বেড়ে যাওয়ার ফলে অধিকাংশ লোকদের মধ্য থেকে ভালবাসা কমে যাবে। 13 কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে নিজেকে স্থির রাখবে, সে রক্ষা পাবে। 14 আর রাজ্যের (স্বর্গ) এই সুসমাচার জগতের সর্বত্র প্রচার করা হবে। সমস্ত জাতির কাছে তা সাক্ষ্যরূপে প্রচারিত হবে, আর তারপরই উপস্থিত হবে সেই সময়।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International