Book of Common Prayer
118 প্রভুকে সম্মান কর, কারণ তিনিই ঈশ্বর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!
2 ইস্রায়েল এই কথা বল,
“তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
3 যাজকরা তোমরা বল,
“তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
4 তোমরা লোকেরা যারা প্রভুকে উপাসনা কর,
তোমরা বলো, “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
5 আমি সমস্যায় পড়েছিলাম তাই সাহায্যের জন্য আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম।
প্রভু আমায় উত্তর দিয়েছেন এবং আমায় মুক্ত করেছেন।
6 আমার সঙ্গে প্রভু আছেন, তাই আমি ভয় পাবো না।
লোকেরা আমাকে আহত করার জন্য কিছু করতে পারে না।
7 প্রভুই আমার সহায়।
আমি আমার শত্রুদের পরাজিত দেখবো।
8 মানুষকে বিশ্বাস করার থেকে
প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
9 তোমাদের নেতাদের বিশ্বাস করা থেকে
প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
10 বহু শত্রু আমাকে ঘিরে ধরেছিল।
কিন্তু প্রভুর শক্তির দ্বারা আমি আমার শত্রুদের পরাজিত করেছি।
11 আমার শত্রুরা ক্রমাগত আমায় ঘিরেই যাচ্ছিল।
প্রভুর শক্তির সাহায্যে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
12 ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছির মত শত্রুরা আমায় ঘিরে ধরেছিলো।
কিন্তু দ্রুত জ্বলনশীল ঝোপের মত ওরা শেষ হয়ে গিয়েছিলো।
প্রভুর শক্তি দিয়ে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
13 আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিলো এবং আমাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিলো।
কিন্তু প্রভু আমায় সাহায্য করেছিলেন।
14 প্রভুই আমার শক্তি এবং আমার জয়গান!
প্রভু আমায় রক্ষা করেন!
15 ধার্ম্মিক লোকেদের বাড়ীতে তুমি এই বিজয় উৎসব শুনতে পাবে।
প্রভু আবার তাঁর মহান শক্তি প্রদর্শন করলেন।
16 প্রভুর বাহুগুলি জয়ে উত্তোলিত।
তিনি আবার একবার তাঁর মহান শক্তি দেখালেন।
17 আমি মরবো না, আমি বেঁচে থাকবো
এবং প্রভু কি করেছেন তা আমি বলবো।
18 প্রভু আমায় শাস্তি দিয়েছেন,
কিন্তু তিনি আমায় মরতে দেন নি।
19 ন্যায়ের সিংহদ্বারগুলি আমার জন্য খুলে যাও,
আমি প্রভুর উপাসনা করতে ভেতরে আসবো।
20 ওইগুলো প্রভুর দ্বার।
একমাত্র ধার্ম্মিক লোকরাই ওর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।
21 হে প্রভু, আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়ার জন্য
এবং আমাকে রক্ষা করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
22 যে পাথরটিকে স্থপতিরা চায় নি, সেটাই হয়ে গেল মুখ্য প্রস্তর।
23 প্রভু এটি করেছেন
এবং এটি দেখতে অদ্ভুত লাগছে!
24 আজকের দিন সেই দিন যা প্রভু সৃষ্টি করেছেন।
আজ আমাদের আনন্দ করতে দিন, সুখী হতে দিন।
25 লোকেরা বললো, “প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু আমাদের রক্ষা করেছেন!
26 সেই লোকটিকে স্বাগত জানাও, যে প্রভুর নাম নিয়ে আসছে।”
যাজকরা উত্তর দিয়েছিলো, “আমরা তোমাকে প্রভুর গৃহে স্বাগত জানাই!
27 প্রভুই ঈশ্বর এবং তিনি আমাদের গ্রহণ করেন।
বলির জন্য একটা মেষ বাঁধ এবং সেটাকে বেদীর কোণে নিয়ে চল।”
28 প্রভু, আপনিই আমার ঈশ্বর, আপনাকে ধন্যবাদ দিই।
আমি আপনার প্রশংসা করি!
29 প্রভুর প্রশংসা কর! কারণ তিনি মঙ্গলময়।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চিরন্তন।
দায়ূদের একটি ভজন।
145 হে আমার ঈশ্বর এবং রাজা, আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য এবং অনন্তকালের জন্য আমি আপনার নামকে আশীর্বাদ করি।
2 প্রতিদিন আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
3 প্রভু মহান; লোকজন ভীষণভাবে তাঁর প্রশংসা করে।
যে সব মহৎ কাজ তিনি করেন, তা আমরা গুনতে পারি না।
4 প্রভু, আপনি যা করেন তার জন্য লোকজন চিরদিন আপনার প্রশংসা করবে।
আপনি যে মহৎ কাজ করেন তার সম্পর্কে তারা বলবে।
5 আপনার মহত্ব এবং মহিমা দুইই চমৎকার।
আপনার বিস্ময়কর কাজ সম্পর্কে আমি বলবো।
6 প্রভু, যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন সে সম্পর্কে লোকে বলবে।
আপনি যে সব মহৎ কাজ করেন সে সম্পর্কে আমি বলবো।
7 আপনি যেসব ভালো কাজ করেন সে সম্পর্কে লোকরা বলবে।
লোকে আপনার ধার্ম্মিকতার গান গাইবে।
8 প্রভু দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।
প্রভু স্থিতধী এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
9 প্রতিটি লোকের জন্যই প্রভু মঙ্গলকর।
প্রভু যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতিটি বস্তুর প্রতি তিনি করুণা প্রদর্শন করেন।
10 প্রভু, আপনি যা করেন, তাই আপনাকে প্রশংসা এনে দেয়।
আপনার অনুগামীরা আপনার প্রশংসা করে।
11 তারা বলে আপনার রাজত্ব কত মহৎ।
তারা আপনার মহত্ব সম্বন্ধে বলে।
12 তাই হে প্রভু, আপনি যে সব মহৎ কাজ করেন অন্য লোকেরা তা জানতে পারে
এবং তারা জানতে পারে আপনার রাজত্ব কত বিশাল এবং গৌরবময়।
13 প্রভু, আপনার রাজত্ব চির বিরাজমান থাকবে।
আপনি চিরদিনই রাজত্ব করবেন।
14 পতিত মানুষকে প্রভু উদ্ধার করেন।
যারা সমস্যায় পড়ে প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
15 হে প্রভু, সমস্ত জীবিত প্রাণী তাদের খাদ্যের জন্য আপনার দিকে চেয়ে থাকে।
এবং যথাসময়ে আপনি তাদের খাদ্য দেন।
16 হে প্রভু, আপনি আপনার হাত খুলে দিন
এবং জীবিত প্রাণীদের যা কিছু প্রয়োজন তা দিন।
17 প্রভু যা কিছু করেন তা সবই ভালো।
যা কিছু তিনি করেন তা দেখিয়ে দেয় তিনি কত মঙ্গলকর এবং বিশ্বস্ত।
18 যারা তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে, প্রভু ওই সব লোকের কাছেই থাকেন।
তিনি তাঁর উপাসকদের অন্তরঙ্গ।
19 তাঁর অনুগামীরা যা চান প্রভু তাই করেন।
তিনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং ওদের রক্ষা করেন।
20 যারা তাঁকে ভালোবাসে, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
21 আমি প্রভুর প্রশংসা করবো!
সব লোক যেন চিরদিন ধরে তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করে।
পিতলের সাপ
4 ইস্রায়েলের লোকরা হোর পর্বত ত্যাগ করে সূফ সাগরে যাওয়ার পথ ধরে এগোলো। ইদোমের চারদিকে ঘোরার জন্য তারা এটা করল। কিন্তু লোকরা অধৈর্য্য হল। 5 তারা প্রভু এবং মোশির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করল। লোকরা বলল, “কেন আপনি আমাদের মিশর থেকে বাইরে নিয়ে এসেছেন? আমরা এখানে মরুভূমিতে মারা যাবো। এখানে কোনো রুটি নেই! জল নেই! আর আমরা এই সাংঘাতিক খাদ্যকে ঘৃণা করি।”
6 এই কারণে প্রভু লোকদের মধ্যে বিষাক্ত সাপ পাঠালেন। সাপগুলো লোকদের দংশন করলে ইস্রায়েলের বহু সংখ্যক লোক মারা গেল। 7 তখন লোকরা মোশির কাছে এসে বলল, “আমরা জানি যে আমরা প্রভুর বিরুদ্ধে এবং আপনার বিরুদ্ধে কথা বলে পাপ করেছি। প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি সাপগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে যান।” সুতরাং মোশি লোকদের জন্য প্রার্থনা করলেন।
8 প্রভু মোশিকে বললেন, “একটি পিতলের সাপ তৈরী করো এবং এটিকে একটি খুঁটির ওপরে রাখো। কোনো ব্যক্তিকে সাপে কামড়ালে যদি সেই ব্যক্তি খুঁটির ওপরের পিতলের সাপটির দিকে তাকায় তাহলে সে ব্যক্তি মারা যাবে না।” 9 মোশি প্রভুর আদেশ পালন করলেন। তিনি একটি পিতলের সাপ তৈরী করে সেটিকে খুঁটির ওপরে রাখলেন। এরপর যখনই কোন মানুষকে সাপে দংশন করত, তখনই সে খুঁটির ওপরের পিতলের সাপটির দিকে তাকাতো আর বেঁচে যেতো।
সীহোন এবং ওগ
21 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের কাছে ইস্রায়েলের লোকরা কয়েকজন বার্তাবাহককে পাঠাল। সেই লোকরা রাজাকে বলল,
22 “আমাদের আপনার দেশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করার অনুমতি দিন। আমরা কোনো শস্য অথবা দ্রাক্ষার ক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাবো না। আমরা আপনার কোনো কুয়ো থেকে জল পান করবো না। আপনার দেশের সীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়া অন্য কোন রাস্তা দিয়েই যাবো না।”
23 কিন্তু রাজা সীহোন তাঁর দেশের মধ্য দিয়ে লোকদের যাওয়ার অনুমতি দিলেন না। রাজা তাঁর সৈন্যবাহিনীকে এক জায়গায় একত্রিত করে ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মরুভূমির দিকে অগ্রসর হলেন। রাজার সৈন্যরা যহস নামে একটি জায়গায় ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল।
24 কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা রাজাকে হত্যা করল। এরপর অর্ণোন নদী থেকে যব্বোক নদী পর্যন্ত জায়গা তারা অধিকার করল। ইস্রায়েলের লোকরা অম্মোন সীমানা পর্যন্ত অধিকার করল। অম্মোনীয়দের দ্বারা সীমানা খুবই শক্তভাবে সুরক্ষিত থাকার জন্য তারা সেই সীমানা পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেল। 25 ইস্রায়েলের লোকরা ইমোরীয়দের সমস্ত শহরগুলোকে দখল করল এবং সেগুলিতে বসবাস করতে শুরু করল। উপরন্তু তারা হিষবোন শহর এবং তার আশেপাশের ছোটো ছোটো শহরগুলোকেও অধিকার করল। 26 ইমোরীয়দের রাজা সীহোন হিষ্বোন শহরেই বাস করতেন। অতীতে মোয়াবের রাজার সঙ্গে সীহোন যুদ্ধ করে অর্ণোন নদী পর্যন্ত সমস্ত জায়গা অধিকার করেছিল। 27 এই কারণেই গায়করা গেয়ে থাকেন:
“হিষ্বোনে যাও এবং হিষ্বোন শহরকে আবার তৈরী কর!
সীহোনের শহরটিকে শক্ত কর!
28 হিষ্বোনে এক আগুন শুরু হয়েছিল।
সেই আগুন সীহোনের শহরেও উদ্ভুত হয়েছিল।
মোয়াবের আর নামে শহরটি সেই আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল।
অর্ণোন নদীর ওপরের পর্বতটিকেও সেই আগুন পুড়িয়ে দিয়েছে।
29 মোয়াব, ধিক্ তোমাকে!
কমোশ দেবতার লোকরা, তোমরা হেরে গেছ!
তার ছেলেরা পালিয়ে গেল।
ইমোরীয়দের রাজা সীহোন তার কন্যাদের জেলে বন্দী করল।
30 কিন্তু আমরা সেই ইমোরীয়দের পরাজিত করলাম।
হিষ্বোন থেকে দীবোন পর্যন্ত, মেদবার কাছে নাশিম থেকে নোফঃ পর্যন্ত তাদের শহরগুলোকেও আমরা ধ্বংস করেছি।”
31 এই কারণে ইস্রায়েলের লোকরা ইমোরীয়দের দেশে তাদের শিবির স্থাপন করল।
32 মোশি যাসের শহরটিকে অনুসন্ধানের জন্য কয়েকজন গুপ্তচর পাঠালেন। তারপরে ইস্রায়েলের লোকরা এটিকে দখল করল। তারা শহরটির আশেপাশের ছোটোখাটো শহরগুলোকেও অধিকার করল। ইস্রায়েলের লোকরা সেখানে বসবাসকারী ইমোরীয়দের সেই জায়গা ত্যাগ করতে বাধ্য করল।
33 এরপর ইস্রায়েলের লোকরা বাশনের অভিমুখে সড়কপথে ভ্রমণ করল। বাশনের রাজা ওগ তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে ইস্রায়েলের লোকদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য কুচকাওয়াজ করে অগ্রসর হলেন। ইদ্রিয়ী নামে একটি জায়গায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন।
34 কিন্তু প্রভু মোশিকে বললেন, “ঐ রাজা সম্পর্কে ভীত হয়ো না। আমি তার সমস্ত সৈন্য এবং তার সম্পূর্ণ দেশ তোমার হাতে তুলে দেব। ইমোরীয়দের রাজা সীহোন, যিনি হিষ্বোনে বাস করতেন তার সঙ্গে তুমি যা করেছিলে এই রাজার সঙ্গেও তুমি সেটাই করো।”
35 সুতরাং ইস্রায়েলের লোকরা ওগ এবং তাঁর সৈন্যদের পরাজিত করল। তারা তাঁকে তাঁর পুত্রদের এবং তাঁর সৈন্যদের হত্যা করল। এরপর ইস্রায়েলের লোকরা তাঁর দেশ অধিকার করল।
12 এর ফলে ইহুদীদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস করল, এদের মধ্যে কয়েকজন সম্ভ্রান্ত গ্রীক মহিলা ও বহু পুরুষও ছিলেন।
13 থিষলনীকীয় ইহুদীরা যখন শুনতে পেল যে পৌল বিরয়াতে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করছেন, তখন তারা সেখানে এসে লোকদের ক্ষেপিয়ে তুলল। 14 তখন সেখানকার ভাইরা তাড়াতাড়ি করে পৌলকে সমুদ্রতীরে পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু সীল ও তীমথিয় বিরয়াতে রয়ে গেলেন। 15 পৌলকে সঙ্গে নিয়ে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা আথীনী পর্যন্ত গেলেন। সীল ও তীমথিয়র উদ্দেশ্যে এক বার্তা নিয়ে ভাইরা বিরয়াতে ফিরে এলেন। বার্তাতে বলা ছিল, “যত শীঘ্র সম্ভব তোমরা আমার কাছে চলে এস।”
আথীনীতে পৌল
16 তীমথীয় ও সীলের জন্য পৌল যখন আথীনীতে অপেক্ষা করছিলেন, তখন সেই শহরের সব জায়গায় নানা দেব-দেবীর মূর্তি দেখে অন্তর আত্মায় তিনি খুবই ব্যথিত হয়ে উঠলেন। 17 তাই তিনি সমাজ-গৃহে গিয়ে ইহুদী ও ভক্ত গ্রীকদের সঙ্গে ও হাটে বাজারে লোকদের কাছে প্রতিদিন ধর্মালোচনা করতে লাগলেন। 18 ইপিকূরের ও স্তোয়িকীর দার্শনিক সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েকজন তাঁর সঙ্গে তর্কবিতর্ক করতে লাগল।
কেউ কেউ বলল, “এই সবজান্তা কি বলতে চায়?” আবার কেউ কেউ বলল, “এ দেখছি বিদেশী দেবতাদের বিষয়ে প্রচার করছে।” কারণ পৌল সুসমাচার এবং যীশু ও তাঁর পুনরুত্থানের বিষয় বলছিলেন।
19 তারা পৌলকে আরেয়পাগের সভায় নিয়ে গিয়ে বলল, “আপনি এই যে নতুন বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন, এটা কি? আমরা কি তা জানতে পারি? 20 আপনি কিছু অদ্ভুত কথা শোনাচ্ছেন, তাই আমাদের জানতে ইচ্ছা হয়, এসবের অর্থ কি?” 21 আথীনীয় লোকেরা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশীরা সব সময় কেবল নিত্য-নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সময় কাটাত।
22 তখন পৌল আরেয়পাগের সভার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকলেন, “হে আথীনীয় লোকেরা, আপনারা দেখছি সমস্ত ব্যাপারেই খুব ধর্মপ্রবণ। 23 কারণ আমি বেড়াতে বেড়াতে আপনারা যাদের উপাসনা করেন সেগুলি লক্ষ্য করতে করতে একটা বেদী দেখলাম, যার গায়ে লেখা আছে, ‘অজানা দেবতার উদ্দেশ্যে!’ তাই যে অজানা দেবতার উপাসনা আপনারা করছেন তাঁকেই আমি আপনাদের কাছে উপস্থিত করছি।
24 “ঈশ্বর, যিনি এই জগত ও তার মধ্যেকার সমস্ত কিছুর নির্মাণকর্তা, তিনিই স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু, তিনি মানুষের হাতে তৈরী মন্দিরে বাস করেন না। 25 মানুষের হাতের সেবা কার্যের প্রয়োজন তাঁর নেই। তাঁর তো কোন কিছুরই অভাব নেই। তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও যা কিছু প্রয়োজন তা দিচ্ছেন। 26 শুরুতে ঈশ্বর একটি মানুষকে সৃষ্টি করে সেই একজন মানুষ থেকেই মানবজাতির সৃষ্টি করেছেন, আর গোটা পৃথিবীটা তাদের বসবাসের জন্য দিয়েছেন। তিনি নির্ধারণ করে রেখেছেন কোথায় ও কখন তারা থাকবে।
27 “ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন মানুষ তাঁর অন্বেষণ করে। তাঁর খোঁজ করতে করতে তারা যেন শেষ পর্যন্ত তাঁর নাগাল পায়। অথচ তিনি আমাদের কারো কাছ থেকে তো দূরে নন, 28 ‘কারণ তাঁর সত্ত্বাতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্ত্বা।’ আবার আপনাদের কোন কোন কবিও একথা বলেছেন: ‘কারণ আমরা তাঁর সন্তান।’
29 “তাহলে আমরা যখন ঈশ্বরের সন্তান, তখন ঈশ্বরকে মানুষের শিল্পকলা বা কল্পনা অনুসারে সোনা, রূপো বা পাথরের তৈরী কোন মূর্তির সঙ্গে তুলনা করা আমাদের উচিত নয়। 30 মানুষের এই অজ্ঞতার সময়কে ঈশ্বর ক্ষমার চোখে দেখেছেন, কিন্তু এখন সব জায়গায় সকল মানুষকে তিনি এর জন্য মন-ফেরাতে বলছেন। 31 কারণ তিনি একটি দিন স্থির করেছেন, যে দিনে তিনি তাঁর নিরূপিত একজনকে দিয়ে সারা জগত সংসারের বিচার করবেন। এই বিষয়ে সকলে যেন বিশ্বাস করতে পারে এমন প্রমাণও তিনি দিয়েছেন: এই প্রমাণস্বরূপ তিনি মৃতদের মধ্য থেকে তাঁকে পুনরত্থিত করেছেন!”
32 মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের কথা শুনে তাদের মধ্যে কয়েকজন উপহাস করতে লাগল, কিন্তু অন্যরা বলল, “আমরা এ বিষয়ে আর একদিন আপনার কাছ থেকে শুনব!” 33 এরপর পৌল তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন। 34 তাদের মধ্যে কয়েকজন বিশ্বাস করল ও পৌলের সঙ্গ নিল। এদের মধ্যে আরেয়পাগীয়ের[a] সভ্য দিয়নুষিয়, দামারী নামে এক মহিলা ও আরো কয়েকজন ছিলেন।
বিশ্রামবারে এক স্ত্রীলোকের আরোগ্যলাভ
10 কোন এক বিশ্রামবারে যীশু এক সমাজগৃহে শিক্ষা দিচ্ছিলেন। 11 সেখানে একজন স্ত্রীলোক ছিল যাকে এক দুষ্ট আত্মা আঠারো বছর ধরে পঙ্গু করে রেখেছিল। সে কুঁজো হয়ে গিয়েছিল, কোনরকমেই সোজা হতে পারত না। 12 যীশু তাকে দেখে কাছে ডাকলেন, এবং স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “হে নারী, তোমার রোগ থেকে তুমি মুক্ত হলে!” 13 এরপর তিনি তার ওপর হাত রাখলেন, সঙ্গে সঙ্গে সে সোজা হয়ে দাঁড়াল, আর ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল।
14 যীশু তাকে বিশ্রামবারে সুস্থ করলেন বলে সেই সমাজগৃহের নেতা খুবই রেগে গিয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, “সপ্তাহে দুদিন তো কাজ করার জন্য আছে, তাই ঐ সব দিনে এসে সুস্থ হও, বিশ্রামবারে এসো না।”
15 প্রভু এর উত্তরে তাঁকে বললেন, “ভণ্ডের দল! তোমরা কি বিশ্রামবারে গরু বা গাধা খোঁযাড় থেকে বার করে জল খাওয়াতে নিয়ে যাও না? 16 এই স্ত্রীলোকটি, যে অব্রাহামের বংশে জন্মেছে, যাকে শয়তান আঠারো বছর ধরে বেঁধে রেখেছিল, বিশ্রামবার বলে কি সে সেই বাঁধন থেকে মুক্ত হবে না?” 17 তিনি এই কথা বলাতে যারা তাঁর বিরুদ্ধে ছিল তারা সকলেই খুব লজ্জা পেল; আর তিনি যে অপূর্ব কাজ করেছেন তার জন্য সমবেত জনতা আনন্দ করতে লাগল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International