Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 101

দায়ূদের একটি গীত।

101 আমি প্রেম এবং ন্যায়ের গান গাইবো।
    প্রভু, আমি আপনার উদ্দেশ্যে গান গাইবো।
আমি একজন বিচক্ষণ লোকের মত শুদ্ধ হৃদয় নিয়ে
    একটি শুদ্ধ জীবনযাপন করব।
    আপনি আমার গৃহের একান্ত অভ্যন্তরভাগে কখন আসবেন?[a]
আমার সামনে কোন মূর্ত্তি আমি রাখবো না।
    ওরকম ভাবে যারা আপনার বিরুদ্ধে যায় তাদের আমি ঘৃণা করি।
    আমি তা করবো না!
আমি সৎ‌ থাকবো।
    আমি কোন মন্দ কাজ করবো না।
যদি কেউ গোপনে তার প্রতিবেশী সম্পর্কে মন্দ কথা বলে,
    আমি তাকে চুপ করিয়ে দেবো।
আমি লোকেদের কখনই উদ্ধত হতে দেবো না
    এবং তাদের ভাবতে দেবো না যে তারা অন্যান্যদের চেয়ে ভালো।

আমি সমস্ত দেশের মধ্যে সেই সব লোকেদের খুঁজবো যাদের ওপর নির্ভর করা যায়।
    এবং একমাত্র তাদেরই আমার সেবা করতে দেবো।
    যারা পবিত্র জীবনযাপন করে একমাত্র তারাই আমার সেবক হবে।
আমি মিথ্যেবাদীদের আমার গৃহের গোপন
    অভ্যন্তরভাগে বাস করতে দেব না।
এই দেশে যে সব মন্দ লোক বাস করে, সব সময়েই আমি তাদের ধ্বংস করবো।
    মন্দ লোকদের আমি প্রভুর শহর ছেড়ে যেতে বাধ্য করবো।

গীতসংহিতা 109:1-30

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।

109 ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা শোনা থেকে বিরত হবেন না!
দুষ্ট লোকরা আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছে।
    যা সত্য নয় ওরা তাই বলছে।
লোকেরা আমার সম্পর্কে অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলছে।
    অকারণে লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম, কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করে।
    তাই ঈশ্বর, এখন আমি আপনার কাছে শরণাগত।
আমি ওইসব লোকেদের জন্য ভাল কাজই করেছিলাম
    কিন্তু ওরা আমার প্রতি মন্দই করেছে।
আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম,
    কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করেছে।

আমার শত্রু যে মন্দ কাজ করেছে তার জন্য ওকে শাস্তি দিন।
    একজন লোককে খুঁজে বার করুন যে প্রমাণ দেবে ও ভুল করেছে।
বিচারককে এই সিদ্ধান্ত নিতে দিন যে আমার শত্রু ভুল করেছে এবং সে দোষী।
    আমার শত্রুরা যা যা বলে তা যেন ওর পক্ষে অহিতকরই হয়।
আমার শত্রুর শীঘ্রই মৃত্যু হোক্।
    অন্য লোকরা তার স্থান নিক।
আমার শত্রুর সন্তানদের অনাথ
    এবং তার স্ত্রীকে বিধবা করে দিন।
10 ওরা যেন ঘর বাড়ী হারিয়ে
    ভিখারী হয়ে যায়।
11 আমার শত্রু যার কাছে ঋণী সে যেন ওর সব কিছু নিয়ে নেয়।
    আমার শত্রু যে সব জিনিসের জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছিল, সেগুলো কোন আগন্তুক এসে নিয়ে যাক।
12 কামনা করি, কোন লোক যেন আমার শত্রুর প্রতি সদয় না হয়।
    কামনা করি, কোন লোক যেন ওর ছেলেদের প্রতি ক্ষমা না দেখায়।
13 আমার শত্রুকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিন।
    পরবর্তী প্রজন্ম যেন সব কিছু থেকে ওর নাম মুছে দেয়।
14 প্রভু যেন আমার শত্রুর পূর্বপুরুষদের পাপ সম্পর্কে অবগত হোন।
    ওর মায়ের পাপও যেন কখনও ধুয়ে না যায়।
15 আমি আশা করি প্রভু চিরদিন ওই সব পাপগুলো স্মরণে রাখবেন।
    এবং আমি আশা করি, আমার শত্রুকে সম্পূর্ণ ভুলে যেতে তিনি লোকদের বাধ্য করবেন।
16 কেন? কারণ ওই মন্দ লোকটা কোনদিন কোন ভালো কাজ করে নি।
    সে কোনদিন কাউকে ভালোবাসে নি।
    দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনকে সে কঠিন করে তুলেছিলো।
17 ওই লোকটা সর্বদাই অন্যদের অভিশাপ দিতে ভালবাসত।
    তাই ওর ক্ষেত্রেই ওই সব মন্দ বিষয় ফলতে দিন।
ওই মন্দ লোকটা কোনদিন চায় নি, অন্য কারো ভালো হোক্।
    তাই ওর ভালো হতে দেবেন না।
18 অভিশাপ যেন ওর বস্ত্র হয়।
অভিশাপ যেন ওর তৃষ্ণার জল হয়,
    অভিশাপগুলো যেন ওর দেহে মাখা তেল হয়।
19 দুষ্ট লোকে যে পোশাক পরে অভিশাপগুলো যেন সেই পোশাকসমূহ হয়
    এবং অভিশাপই যেন ওদের কোমরবন্ধ হয়।

20 আমার শত্রুর প্রতি প্রভু যেন এসব করেন। যারা আমায় খুন করতে চায় তাদের প্রতি প্রভু যেন এসব করেন।
21 প্রভু, আপনি আমার সদাপ্রভু। তাই আমার প্রতি এমন ব্যবহার করুন যা আপনার নামের মর্যাদা এনে দেবে।
    আপনার প্রেম খুব মহান, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 আমি নিছক একজন অসহায় দরিদ্র মানুষ।
    প্রকৃতই আমি ভগ্ন হৃদয়ের এক দুঃখী মানুষ।
23 আমি এমন অনুভব করি যেন, বেলা শেষের লম্বা ছায়ার মত আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।
    আমি নিজেকে অগ্রাহ্য করা ছারপোকার মত মনে করি।
24 ক্ষুধার কারণে আমার হাঁটু দুটো দুর্বল।
    ওজন কমে গিয়ে আমি ক্রমশঃই রোগা হয়ে যাচ্ছি।
25 মন্দ লোকরা আমায় অপমান করে।
    আমার দিকে তাকিয়ে ওরা মাথা নাড়ায়।
26 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমায় সাহায্য করুন।
    আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন!
27 তখন ওই লোকরা জানতে পারবে যে আপনি আমায় সাহায্য করেছিলেন।
    ওরা জানতে পারবে যে আপনার শক্তিই আমাকে সাহায্য করেছিলো।
28 ওই মন্দ লোকরা আমায় অভিশাপ দেয়।
    কিন্তু আপনি আমায় আশীর্বাদ করতে পারেন প্রভু।
ওরা আমায় আক্রমণ করেছে, তাই ওদের পরাজিত করুন।
    তাহলে আপনার দাস, আমি সুখী হব।
29 আমার শত্রুদের বিব্রত করে দিন!
    ওদের বস্ত্রাবরণ হিসেবে ওরা যেন ওদের লজ্জাই পরিধান করে।
30 আমি প্রভুকে ধন্যবাদ দিই।
    বহু লোকদের সামনে আমি তাঁর প্রশংসা করি।

গীতসংহিতা 119:121-144

অয়িন

121 যা সঠিক এবং ভালো আমি তাই করেছি।
    হে প্রভু, যারা আমায় উৎ‌পীড়ন করে এমন লোকেদের হাতে আমায় সমর্পণ করবেন না।
122 আপনার দাস, আমার প্রতি ভাল ব্যবহার করবার প্রতিশ্রুতি করুন।
    হে প্রভু, ঐ অহঙ্কারী লোকেদের আমাকে উৎ‌পীড়ন করতে দেবেন না।
123 হে প্রভু, আপনার সাহায্যের আশায় থেকে
    এবং আপনার সুন্দর বাক্যের প্রত্যাশায় আমার দু চোখ ক্লান্ত।
124 আমি আপনার দাস। আমার প্রতি আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
    আমাকে আপনার বিধিগুলো শেখান।
125 আমি আপনার দাস।
    আমি যাতে আপনার চুক্তি জানতে পারি, আমায় বুঝতে সাহায্য করুন।
126 প্রভু এখন আপনার কিছু করার সময় এসেছে।
    লোকরা আপনার বিধি ভঙ্গ করেছে।
127 প্রভু আপনার বিধিগুলোকে
    আমি সব থেকে খাঁটি সোনার চেয়েও ভালোবাসি।
128 আপনার সব আজ্ঞা আমি খুব যত্ন করে পালন করি।
    ভ্রান্ত শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি।

পে

129 হে প্রভু, আপনার চুক্তি সত্যিই বিস্ময়কর।
    সেই জন্য আমি তা অনুসরণ করি।
130 যখন লোকেরা আপনার বানীসমুহ বুঝতে শুরু করে,
    তা একটি আলোর মত যেটা তাদের সঠিক পথে বেঁচে থাকার পথ দেখায়।
131 হে প্রভু, আমি সত্যিই আপনার আজ্ঞাগুলো অধ্যয়ন করতে চাই।
    আমি সেই লোকের মত যার নিঃশ্বাস ভারী হয়েছে এবং অধৈর্য্য হয়ে প্রতীক্ষা করছে।
132 ঈশ্বর আমার দিকে দেখুন, আমার প্রতি সদয় হন,
    যারা আপনার নাম ভালোবাসে তাদের পক্ষে যা হিতকর তাই করুন।
133 প্রভু, আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় পরিচালিত করুন।
    আমার প্রতি ক্ষতিকর কিছু ঘটতে দেবেন না।
134 হে প্রভু, যে সব লোক আমায় আঘাত করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন
    এবং আমি আপনার আজ্ঞা মান্য করবো।
135 প্রভু, আপনার দাসকে গ্রহণ করুন
    এবং আমাকে আপনার বিধি শিক্ষা দিন।
136 লোকে আপনার শিক্ষামালাকে মান্য করে না।
    সেইজন্য আমি এত কেঁদেছি যে আমার চোখের জলে একটা নদী বইয়ে দিয়েছি।

সাদে

137 হে প্রভু, আপনি মঙ্গলময়
    এবং আপনার বিধিগুলোও ন্যায্য ও সৎ‌।
138 আপনার চুক্তিতে আপনি আমাদের জন্য ভালো এবং ন্যায্য বিধিসমূহ দিয়েছেন।
    আমরা সত্যি তাদের ওপর নির্ভর করতে পারি।
139 আমার প্রবল উদ্দীপনা আমায় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
    আমার শত্রুরা আপনার আজ্ঞাগুলো ভুলে গেছে তাই আমি এত বিমর্ষ হয়ে রয়েছি।
140 আমরা যে আপনার বাক্যকে বিশ্বাস করতে পারি,
    আমাদের কাছে সেই প্রমাণ আছে এবং আমি তা ভালোবাসি।
141 আমি একজন তরুণ লোক এবং লোকে আমায় সম্মান করে না।
    কিন্তু আমি আপনার আজ্ঞা ভুলি নি।
142 আপনার ধার্ম্মিকতা চিরন্তন
    এবং আপনার শিক্ষাগুলিকে বিশ্বাস করা যায়।
143 আমার সমস্যা এবং দুঃসময় ছিল।
    কিন্তু আমি আপনার নির্দেশ উপভোগ করি।
144 আপনার চুক্তি চিরকালের জন্য ভালো ও ন্যায্য।
    আমাকে বুঝতে সাহায্য করুন যাতে আমি বাঁচতে পারি।

গণনা 16:36-50

36 প্রভু মোশিকে বললেন, 37-38 “যাজক হারোণের পুত্র ইলীয়াসরকে বলো, যে আগুন এখনও শিখাহীন হয়ে জ্বলছে তার থেকে সমস্ত সুগন্ধি ধূপধূনোর পাত্রগুলো নিয়ে এসো। এই সুগন্ধি ধূপধূনোর পাত্রগুলি এখন পবিত্র। পাত্রগুলো পবিত্র কারণ তারা এই পাত্রগুলো ঈশ্বরকে প্রদান করেছিল। তাদের ধুনুচিগুলো নিয়ে হাতুড়ির সাহায্যে সমতল পাতে পরিণত কর। এরপর এই ধাতব চাদরটি বেদীর আচ্ছাদনের কাজে ব্যবহার করো। ইস্রায়েলের লোকদের জন্য এটি চিহ্ন, যাতে তারা সতর্ক হয়।”

39 সুতরাং যাজক ইলীয়াসর পিতলের তৈরী সেই ধুনুচিগুলো নিলেন। যারা মারা গিয়েছিল তারাই ঐ পাত্রগুলো এনেছিল। আর তারা তা পিটিয়ে বেদীকে ঢাকবার জন্য পাত প্রস্তুত করলেন। 40 মোশির মাধ্যমে প্রভু যে ভাবে আজ্ঞা দিয়েছিলেন, তিনি ঠিক সেভাবেই তা করলেন। এটি এমন একটি চিহ্নস্বরূপ হল যা ইস্রায়েলের লোকদের মনে রাখতে সাহায্য করবে যে কেবলমাত্র হারোণের পরিবারের কোনো ব্যক্তিই প্রভুর সামনে সুগন্ধি ধূপধূনো উৎসর্গ করতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি যদি প্রভুকে সুগন্ধি ধূপধূনোর নৈবেদ্য প্রদান করেন তাহলে সেও কোরহ এবং তার অনুসরণকারীদের মতোই মারা যাবে।

হারোণ লোকদের রক্ষা করলেন

41 পরদিন ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা মোশি এবং হারোণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, “আপনারা প্রভুর লোকদের হত্যা করেছেন।”

42 আর ইস্রায়েলের লোকরা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে একত্র হয়ে যখন সমাগম তাঁবুর দিকে তাকাল, তখন দেখল মেঘ সেটিকে ঢেকে দিয়েছে এবং সেখানে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশিত হচ্ছে। 43 তারপর মোশি এবং হারোণ সমাগম তাঁবুর সামনে গেল।

44 প্রভু মোশিকে বললেন, 45 “ঐ লোকদের থেকে দূরে সরে যাও, যাতে আমি এখনই তাদের ধ্বংস করতে পারি।” তাতে মোশি এবং হারোণ মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ল।

46 তখন মোশি হারোণকে বলল, “ধুনুচি নিয়ে তাতে বেদী থেকে আগুন নিয়ে রাখো। এরপর এতে সুগন্ধি ধূপধূনো দাও এবং ঐ লোকদের কাছে তাড়াতাড়ি গিয়ে তাদের পবিত্র করো। কারণ প্রভু তাদের প্রতি খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই রোগ ছড়াতে শুরু করেছে।”

47-48 সুতরাং হারোণ মোশির কথামতো কাজ করল। হারোণ সুগন্ধি ধূপধূনো ও আগুন এনে লোকদের মাঝখানে দৌড়ে গেল। কিন্তু লোকদের মধ্যে এর মধ্যেই অসুস্থতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে হারোণ মৃত লোক এবং যারা জীবিত আছে তাদের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়াল। লোকদের শুচি করার জন্যে যা দরকার হারোণ ঠিক তাই করল এবং তাদের অসুস্থতা আর বাড়ল না। 49 কোরহের কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের ছাড়াও আরও 14,700 জন লোক অসুস্থতার জন্য মারা গেল। 50 সুতরাং ঐ ভয়ঙ্কর অসুস্থতা আর এগোলো না এবং পরে হারোণ পবিত্র তাঁবুর প্রবেশপথে মোশির কাছে গিয়ে গেল।

রোমীয় 4:13-25

বিশ্বাসের দ্বারা প্রাপ্ত ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি

13 জগতের উত্তরাধিকারী হবার যে প্রতিজ্ঞা ঈশ্বর অব্রাহাম ও তার বংশধরদের কাছে করেছিলেন, তা বিধি-ব্যবস্থার মাধ্যমে আসেনি কিন্তু বিশ্বাসের দ্বারা যে ধার্মিকতা লাভ হয় তার মধ্য দিয়েই সেই প্রতিজ্ঞা করা হযেছিল। 14 কারণ যদি বিধি-ব্যবস্থায় নির্ভর কেউ জগতের উত্তরাধিকারী হয় তবে বিশ্বাসের কোন অর্থ হয় না এবং সেক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাও মূল্যহীন। 15 কারণ বিধি-ব্যবস্থা মেনে চলা না হলে তা শুধুই ঈশ্বরের ক্রোধ বয়ে আনে। বিধি-ব্যবস্থা যেখানে নেই, সেখানে তার লঙ্ঘনও নেই।

16 তাই ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির পূর্ণতা বিশ্বাসের ফলেই লাভ হয়, যেন তা অনুগ্রহের দান হিসাবে গ্রহণ করা হয়। এইভাবে অব্রাহামের সব বংশধরদের জন্য সেই প্রতিজ্ঞা দৃঢ়ভাবে রয়েছে। যাদের বিধি-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে কেবল তাদের জন্যই সেই প্রতিজ্ঞা রয়েছে তা নয়, কিন্তু তাদের জন্যও সেই প্রতিজ্ঞা রয়েছে যাদের অব্রাহামের মতো বিশ্বাস রয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি তাদেরই জন্য যারা অব্রাহামের মত বিশ্বাসে চলে। অব্রাহাম আমাদের সকলেরই পিতা। 17 শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করলাম।”(A) ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অব্রাহাম আমাদের পিতা। তিনি সেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন, যিনি মৃতকে জীবন দেন ও যার অস্তিত্ব নেই তাকে অস্তিত্বে আনেন।

18 অব্রাহামের সন্তান হবার কোন আশা ছিল না। কিন্তু অব্রাহাম ঈশ্বর বিশ্বাসে স্থির ছিলেন। আশা না থাকলেও আশা করে যাচ্ছিলেন, আর এই জন্যই তিনি বহুজাতির পিতা হতে পেরেছিলেন। ঠিক ঈশ্বর যেমন বলেছিলেন, “তোমার বংশধররা আকাশের তারার মত অসংখ্য হবে।”(B) 19 অব্রাহামের বয়স তখন একশ বছর, কাজেই সন্তান লাভের জন্য তাঁর দৈহিক ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর স্ত্রী সারার সন্তান ধারণ করার ক্ষমতা ছিল না। অব্রাহাম এসব কথা চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন নি। 20 ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার পূর্ণতার বিষয়ে অব্রাহামের কোন সন্দেহ ছিল না। অব্রাহাম অবিশ্বাস করলেন না বরং তিনি বিশ্বাসে বলবান হয়ে উঠলেন এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করলেন। 21 ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা যে তিনি সফল করতে পারবেন সেই সম্বন্ধে অব্রাহাম সুনিশ্চিত ছিলেন। 22 আর তাই, “এই বিশ্বাস তাকে ঈশ্বরের সম্মুখে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেছিল।” 23 শাস্ত্রে এই কথা শুধু যে তাঁর জন্যই লেখা হয়েছিল তা নয়, 24 ঐ কথাগুলি আমাদের জন্যও লেখা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাসকেও ঈশ্বর আমাদের পক্ষে ধার্মিকতা হিসাবে প্রতিপন্ন করলেন। কারণ যিনি প্রভু যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন, সেই ঈশ্বরে আমরা বিশ্বাস করি। 25 আমাদের পাপের জন্য সেই যীশুকে মৃত্যুর হাতে সমর্পণ করা হল এবং আমাদের ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার জন্য যীশু মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন।

মথি 20:1-16

যীশু মজুরদের বিষয় নিয়ে এক দৃষ্টান্তমূলক কাহিনী শোনালেন

20 “স্বর্গরাজ্য এমন একজন জমিদারের মতো, যিনি তাঁর দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করার জন্য ভোরবেলাই মজুর আনতে বেরিয়ে পড়লেন। তিনি মজুরদের দিনে একটি রৌপ্যমুদ্রা মজুরী দেবেন বলে ঠিক করে, তাদের তাঁর দ্রাক্ষা ক্ষেতে পাঠিয়ে দিলেন।

“প্রায় নটার সময় তিনি বাড়ির বাইরে গেলেন আর দেখলেন, কিছু লোক বাজারে তখনও কিছু না করে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরাও আমার দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করতে যাও, আমি তোমাদের ন্যায় মজুরী দেব।’ তখন তারাও দ্রাক্ষা ক্ষেতে কাজ করতে গেল।

“সেই ব্যক্তি আবার প্রায় বেলা বারোটা ও তিনটার সময় বাড়ির বাইরে গিয়ে ঐ একই রকম ভাবে মজুরদের কাজে পাঠালেন। প্রায় পাঁচটার সময় তিনি আবার বাইরে গেলেন ও আরো কিছু লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাদের বললেন, ‘তোমরা সারাদিন কোন কাজ না করে এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’

“তারা তাঁকে বলল, ‘কেউ আমাদের কাজে নেয় নি।’

“তখন ক্ষেতের মালিক তাদের বললেন, ‘তোমরাও গিয়ে আমার ক্ষেতে কাজে লাগো।’

“দিনের শেষে ক্ষেতের মালিক তাঁর নায়েবকে ডেকে বললেন, ‘মজুরদের সকলকে ডাক ও তাদের মজুরী মিটিয়ে দাও; শেষের জন থেকে শুরু করে প্রথম জন পর্যন্ত সকলকে দাও।’

“বিকেল পাঁচটায় যে মজুররা কাজে লেগেছিল, তারা এসে প্রত্যেকে একটা রূপোর টাকা নিয়ে গেল। 10 প্রথমে যাদের কাজে লাগানো হয়েছিল, তারা বেশী পাবে বলে আশা করেছিল, কিন্তু তারাও প্রত্যেকে একটা করে রূপোর টাকা পেল। 11 তারা তা নিল বটে কিন্তু ক্ষেতের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, 12 যারা শেষে কাজে লেগেছিল তারা মাত্র একঘন্টা কাজ করেছে, আর আপনি তাদের ও আমাদের সমান মজুরী দিলেন; অথচ আমরা কড়া রোদে সারা দিন ধরে কাজ করলাম।

13 “এর উত্তরে তিনি তাদের একজনকে বললেন, ‘বন্ধু, আমি তো তোমার সঙ্গে কোন অন্যায় ব্যবহার করিনি। তুমি কি এক টাকা মজুরীতে কাজ করতে রাজী হও নি? 14 তোমার যা পাওনা তা নিয়ে বাড়ি যাও। আমার ইচ্ছা, আমি তোমাকে যা দিয়েছি, এই শেষের জনকেও তাই দেব। 15 যা আমার নিজের, তা আমার খুশীমতো ব্যবহার করার অধিকার কি আমার নেই? আমি দয়ালু, এই জন্য কি তোমার ঈর্ষা হচ্ছে?’

16 “ঠিক এই রকম যারা শেষের তারা প্রথম হবে, আর যারা প্রথম, তারা শেষে পড়ে যাবে।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International