Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 69

পরিচালকের প্রতি: “পদ্মসমূহ” গানটির পর্দায় গাওয়া। দায়ূদের একটি গীত।

69 হে ঈশ্বর আমার সংকটসমূহ থেকে আমায় রক্ষা করুন!
    আমার মুখ পর্যন্ত জল পৌঁছে গেছে।
এখানে এমন কিছু নেই, যার ওপর আমি দাঁড়াতে পারি।
    আমি কাদায় ডুবে যেতে বসেছি,
আমি গভীর জলে ডুবে রয়েছি, আমার চারদিকে ঢেউ উত্তাল হয়ে উঠেছে।
    আমি প্রায় ডুবে মরতে বসেছি।
আমি এতই দুর্বল হয়ে পড়েছি যে সাহায্য চাইতেও অক্ষম হয়ে গেছি।
    আমার গলা যন্ত্রণা করছে।
আমার চোখ যন্ত্রণায় টন্ টন্ করে ওঠার আগে পর্যন্ত
    আমি আপনার সাহায্যের প্রতীক্ষা করেছি।
আমার মাথায় যত চুল আছে, আমার শত্রুর সংখ্যা তার থেকেও বেশী।
    কোন কারণ ছাড়াই তারা আমায় ঘৃণা করে।
    আমাকে বিনাশ করার জন্য ওরা খুব কঠিন চেষ্টা করে।
শত্রুরা আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছে।
    ওরা বলছে যে আমি নাকি চুরি করেছি।
    এরপর যে জিনিস আমি চুরি করি নি, ওরা আমায় তার দাম দিতে বাধ্য করেছে।
হে ঈশ্বর, আপনি আমার ত্রুটিগুলি জানেন।
    আপনার কাছে আমি আমার পাপ লুকোতে পারি না।
হে আমার সদাপ্রভু, সর্বশক্তিমান প্রভু, আমার জন্য যেন আপনার অনুগামীরা লজ্জায় না পড়ে।
    হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর, আপনার অনুগামীরা যেন আমার জন্য বিব্রত বোধ না করে।
আমার মুখ লজ্জায় ঢেকে গেছে।
    এই লজ্জা আমি আপনার জন্য বহন করছি।
আমার ভাইরা অচেনা মানুষের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করে সেরকম আমার সঙ্গে করে।
    আমার মায়ের সন্তানরা আমার সঙ্গে ভিন দেশীর মতই ব্যবহার করে।
আপনার মন্দির সম্পর্কে আমার তীব্র অনুভূতিই আমাকে শেষ করে দিচ্ছে।
    যারা আপনাকে নিয়ে মজা করে তাদের কাছ থেকে আমি অপমান কুড়িয়েছি।
10 আমি কাঁদি এবং উপবাস করি,
    এর জন্য ওরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
11 দুঃখ প্রকাশের জন্য আমি প্রায়শ্চিত্ত করি, কাপড় পরি,
    লোকে আমায় নিয়ে মজা করে।
12 প্রকাশ্য স্থানে ওরা আমায় নিয়ে আলোচনা করে।
    ওই মাতালরা আমায় নিয়ে গান বাঁধে।
13 হে ঈশ্বর, আমার দিক থেকে আপনার কাছে এই প্রার্থনা:
    আমি চাই আপনি আমায় গ্রহণ করুন!
হে ঈশ্বর আমি চাই প্রেমের সঙ্গে আপনি আমায় সাড়া দিন।
    আমি জানি আপনি আমায় উদ্ধার করবেন।
    এ ব্যাপারে আমি আপনার ওপর নির্ভর করতে পারি।
14 আমাকে কাদা থেকে টেনে তুলুন।
    আমায় কাদায় ডুবে যেতে দেবেন না।
যারা আমায় ঘৃণা করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
    এই গভীর জল থেকে আমায় উদ্ধার করুন।
15 ঢেউগুলো যেন আমায় ডুবিয়ে না দেয়।
    গভীর গহ্বরকে আমায় ভক্ষণ করতে দেবেন না।
    কবরকে আমায় গিলে ফেলতে দেবেন না।
16 প্রভু, আপনার প্রেম ভালো, আপনার ভালোবাসা দিয়ে আমায় উত্তর দিন।
    আপনার সব দয়া নিয়ে আমার দিকে ফিরুন, আমায় সাহায্য করুন!
17 আপনার দাসের কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন না।
    আমি সংকটের মধ্যে পড়েছি! তাড়াতাড়ি আমায় সাহায্য করুন!
18 আসুন আমার আত্মাকে রক্ষা করুন।
    শত্রুদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
19 আমার লজ্জা আপনি জানেন।
    আপনি জানেন যে আমার শত্রুরা আমাকে ঘৃণা ও অপমান করেছে।
    ওরা আমার প্রতি যে কাজ করেছে তাও আপনি দেখেছেন।
20 সেই লজ্জা আমায় বিদীর্ণ করে দিয়েছে।
    লজ্জায় আমি মরে যেতে বসেছি!
আমি সহানুভূতি পাওয়ার আশা করেছিলাম
    কিন্তু কখনই আমি তা পাই নি।
আমি অপেক্ষা করেছিলাম কোন লোক এসে আমায় সান্ত্বনা দিক
    কিন্তু কোন লোক আসে নি।
21 ওরা আমায়, আহার নয়, বিষ দিয়েছে।
    যখন আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম দ্রাক্ষারসের বদলে ওরা আমায় অম্লরস দিয়েছিল।
22 ওদের টেবিলগুলো খাবারে পরিপূর্ণ।
সমারোহপূর্ণ মঙ্গল আহার ওদের আছে।
    ওদের ভোজ যেন ওদের বিনাশ করে।
23 আমি কামনা করি ওরা যেন অন্ধ হয়ে যায় এবং ওদের মেরুদণ্ড যেন দুর্বল হয়ে পড়ে।
24 ওদের আপনার সব ক্রোধ
    অনুভব করতে দিন।
25 ওদের ঘর শূন্য করে দিন।
    একটা কেউ যেন ওখানে বেঁচে না থাকে।
26 ওদের শাস্তি দিন, ওরা ছুটে পালাবে।
    তখন ওরা আলোচনা করার জন্য কিছু যন্ত্রণা ও ক্ষত পাবে।
27 মন্দ কাজের জন্য ওদের শাস্তি দিন।
    আপনার ধার্ম্মিকতা ওদের দেখাবেন না।
28 জীবনের গ্রন্থ থেকে ওদের নাম মুছে দিন।
    জীবনের পুস্তকে ধার্ম্মিক লোকদের নামের সঙ্গে ওদের নাম লিখবেন না!
29 আমি দুঃখী এবং যন্ত্রণাবিদ্ধ।
    ঈশ্বর আমায় টেনে তুলুন; আমায় রক্ষা করুন!
30 গানের মধ্যে দিয়ে আমি ঈশ্বরের প্রশংসা করবো।
    ধন্যবাদ গীতের মধ্য দিয়ে আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
31 এটাই ঈশ্বরকে সুখী করবে!
    উৎসর্গ হিসেবে একটা গোটা পশু দেওয়ার চেয়ে অথবা একটা ষাঁড় হত্যা করার চেয়ে, গানের মধ্যে দিয়ে ধন্যবাদ দেওয়া অনেক ভাল হবে।
32 হে বিনয়ী লোকরা, ঈশ্বরের উপাসনার জন্য এসো।
    এইসব জেনে তোমরা খুশী হবে।
33 দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কথা প্রভু শোনেন।
    যারা বন্দী আছেন প্রভু তাদের এখনও পছন্দ করেন।
34 হে আকাশ ও পৃথিবী, ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
    হে সমুদ্র এবং সমুদ্রের মধ্যের সবকিছু, প্রভুর প্রশংসা কর!
35 প্রভু সিয়োনকে রক্ষা করবেন।
    প্রভু যিহূদার শহরগুলি আবার নির্মাণ করবেন।
সেই ভূখণ্ড যাদের, সেখানে তারা আবার বাস করবে!
36     তাঁর দাসদের উত্তরপুরুষরা এই ভূখণ্ড পাবে।
    সেই সব লোক যারা তাঁর নামকে ভালোবাসে তারা সেই ভূখণ্ডে বসবাস করবে।

গীতসংহিতা 73

তৃতীয় খণ্ড

(গীতসংহিতা 73–89)

আসফের একটি প্রশংসা গীত।

73 ঈশ্বর সত্যিই ইস্রায়েলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন।
    যাদের হৃদয় শুচি তাদের সঙ্গে ঈশ্বর ভালো ব্যবহার করেন।
আমার প্রায় পদস্খলন হয়েছিলো
    এবং আমি পাপ কাজ করতে শুরু করেছিলাম।
আমি দেখেছি ঐসব দুষ্ট লোকরা কৃতকার্য হয়েছে
    এবং তা দেখে ঐসব উদ্ধত লোকদের প্রতি আমি ঈর্ষা করেছিলাম।
ওরা সবাই বলবান লোক ছিলো।
    বেঁচে থাকবার জন্য ওদের কোন লড়াই করতে হত না।
ঐসব উদ্ধত লোককে আমাদের মত দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।
    অন্যান্য লোকেদের মত ওদের কোন সংকট নেই।
তাই ওরা উদ্ধত এবং মানুষকে ঘৃণা করে।
    এই অহঙ্কারকে তারা গলার মালার মত এবং শৌখিন বস্ত্রের মত সহজেই ধারণ করে।
ঐসব লোক যদি ওদের পছন্দের কিছু দেখে, ওরা গিয়ে তা নিয়ে চলে আসে।
    ওরা যা মনে করে, ওরা তাই করতে পারে।
লোকের সম্পর্কে ওরা নির্মম ও অহিতকর কথাবার্তা বলে।
    অন্যদের কাছ থেকে ওরা কিভাবে সুবিধে নেয় সে সম্বন্ধে ওরা গর্বের সঙ্গে কথা বলে।
ঐসব অহঙ্কারী লোকরা নিজেদের দেবতা বলে ভাবে!
    ওরা ভাবে ওরাই পৃথিবীর শাসনকর্তা।
10 এমনকি ঈশ্বরের লোকরা পর্যন্ত সাহায্যের জন্য ওদের কাছে ছুটে যায়।
    ঐ উদ্ধত লোকরা যা বলে, ওরাও তাই করে।
11 ঐ মন্দ লোকরা বলে, “আমরা কি করছি ঈশ্বর তা জানেন না!
    ঈশ্বর, যিনি পরাৎ‌‌পর, তিনি জানেন না!”

12 ঐ অহঙ্কারী লোকরা প্রচণ্ড দুর্জন,
    কিন্তু ওরা ধনী এবং ওরা ক্রমশঃ আরো ধনী হয়ে উঠছে।
13 তাই আমার আত্মাকে কেন শুদ্ধ হতে হবে?
    আমি কেন আমার হাত নির্দোষ রাখব?
14 হে ঈশ্বর, সারাদিন ধরে আমি যন্ত্রণা ভোগ করি।
    প্রত্যেকদিন সকালে আপনি আমায় শাস্তি দেন।

15 ঈশ্বর, এইসব বিষয়ে আমি অন্য লোকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি।
    কিন্তু আমি জানি তাতে আপনার লোকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।
16 এইসব বিষয় বোঝার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।
    কিন্তু এটা আমার পক্ষে ভীষণ কষ্টকর।
17 ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আপনার মন্দিরে যাই নি,
    আমি ঈশ্বরের মন্দিরে গেলাম এবং তারপর বুঝতে পারলাম।
18 ঈশ্বর, সত্যিই ঐসব লোককে আপনি ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছেন।
    ওদের পতন এবং বিনাশ এখন সহজ হবে।
19 হঠাৎ‌‌ই সমস্যা আসতে পারে
    এবং ঐ অহঙ্কারী লোকরা ধ্বংস হবে।
ওদের সাংঘাতিক কিছু ঘটতে পারে
    এবং ওরা শেষ হয়ে যাবে।
20 প্রভু, যেমন করে আমরা জেগে উঠে স্বপ্নকে ভুলে যাই,
    ঐসব লোকরা সেই স্বপ্নের মতই বিস্মৃত হবে।
আমাদের রাতের দুঃস্বপ্ন যেমন আপনি অদৃশ্য করে দেন,
    তেমনি করে আপনি ওই লোকগুলোকে অদৃশ্য করে দেবেন।

21-22 আমি অত্যন্ত নির্বোধ ছিলাম।
    আমি দুষ্ট ও ধনী লোকদের কথা ভাবতাম এবং ক্লেশগ্রস্ত হয়ে পড়তাম।
হে ঈশ্বর, আমি ক্লেশগ্রস্ত ছিলাম এবং আপনার ওপর রাগ করেছিলাম!
    আমি নির্বোধ ও অজ্ঞ পশুর মত ব্যবহার করেছিলাম।
23 আমার যা কিছু দরকার তা আমার আছে!
আমি সর্বদাই আপনার সঙ্গে আছি।
    হে ঈশ্বর আপনি আমার হাত ধরুন।
24 ঈশ্বর, আমায় সুপরামর্শ দিন ও পরিচালিত করুন।
    তাহলে আপনি আমায় গৌরবের পথে নিয়ে যাবেন।
25 হে স্বর্গের ঈশ্বর, আমি সর্বদা আপনার সঙ্গে রয়েছি
    এবং আমি যখন আপনার সঙ্গে রয়েছি তখন এই পৃথিবীতে আমি আর কী চাইতে পারি?
26 আমার এই দেহ মন একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে,
    কিন্তু আমার শিলা, যাঁকে আমি ভালোবাসি তিনি থাকবেন।
    চিরকালের জন্য আমার কাছে ঈশ্বর আছেন!
27 ঈশ্বর যারা আপনাকে ত্যাগ করেছে তারা হারিয়ে যাবে।
    যারা আপনার প্রতি অবিশ্বস্ত তাদের আপনি ধ্বংস করে দেবেন।
28 আমি জানি, আমি ঈশ্বরের কাছে এসেছি এবং তাঁর কাছাকাছি থাকা আমার পক্ষে ভালো।
    আমি আমার প্রভু, সদাপ্রভুকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল করে নিয়েছি।
    ঈশ্বর আপনি যা কিছু করেছেন তাঁর সব কিছু বলতে আমি এসেছি।

উপদেশক 11:9-12:14

যৌবনে ঈশ্বরের সেবা কর

যতক্ষণ তোমার যৌবন আছে ততক্ষণ তা উপভোগ কর। সুখে থাকো, তোমার প্রাণ যা চায় তাই কর। কিন্তু মনে রেখো ঈশ্বর তোমার সব কাজের বিচার করবেন। 10 ক্রোধ দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। তোমার দেহকে কোন মন্দ কাজ করতে দিও না, কারণ যৌবন এবং ইচ্ছা কোন কাজে লাগে না।

বৃদ্ধ বয়সের সমস্যা

12 বৃদ্ধ বয়সে যে সময়ে তোমার জীবনকে ব্যর্থ মনে হবে সেই সময় আসার আগে তোমার যৌবনেই তুমি সৃষ্টিকর্তার কথা স্মরণ করো।

চন্দ্র, সূর্য এবং তারা তোমার কাছে অন্ধকার হয়ে আসার আগেই যৌবনকালে তুমি তোমার সৃষ্টিকর্তার কথা ভাবো। একটার পর একটা ঝড়ের মতোই সমস্যা আসে।

সেই সময় তোমার বাহুতে শক্তি থাকবে না। তোমার পা দুর্বল হয়ে বেঁকে যাবে। তোমার দাঁত পড়ে যাবে আর খাওয়ার বা চিবিয়ে খাওয়ার ক্ষমতা থাকবে না। তোমার দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে। তোমার শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাবে। তুমি রাস্তার শব্দ শুনতে পাবে না। এমনকি পাথর দিয়ে শস্যদানা ভাঙার শব্দও তুমি শুনতে পাবে না। তুমি কোন নারী কণ্ঠের গান শুনতে পাবে না। কিন্তু ভোর বেলায় কোন একটি পাখির গানও তোমাকে জাগিয়ে দেবে কারণ তুমি ঘুমোতে পারবে না।

তুমি উঁচু জায়গায় চড়তে ভয় পাবে, তুমি তোমার পথের ওপর পড়ে থাকা প্রত্যেকটি ক্ষুদ্র জিনিসের ওপর পা দিতে ভয় পাবে। তোমার চুল বাদাম গাছের ফুলের মতো সাদা হয়ে যাবে। তুমি হাঁটার সময়ে ফড়িংএর মতো নিজেকে বয়ে বেড়াবে। তুমি বাঁচার শক্তি হারিয়ে ফেলবে। আর এরপর তুমি তোমার সমাধিতে স্থান পাবে। বিলাপকারীরা তোমার শোকযাত্রায় সমবেত হবে।

মৃত্যু

যৌবনে রূপোর তার ছিঁড়ে যাওয়ার আগে,
    সোনার পাত্র ভেঙে যাওয়ার আগে
    তুমি তোমার সৃষ্টিকর্তার কথা স্মরণ কর।
    ভাঙ্গা পাত্রের মতো তোমার জীবন অর্থহীন হওয়ার আগে,
    কুয়োতে ভেঙে পড়ে যাওয়া পাথরের চাকার মতো তোমার জীবন নষ্ট হওয়ার আগে
    তুমি সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ কর।
তোমার শরীর মাটি থেকে এসেছে
    এবং তোমার মৃত্যুর পর তোমার শরীর আবার মাটিতেই মিশে যাবে,
কিন্তু তোমার আত্মা এসেছে ঈশ্বরের কাছ থেকে,
    তোমার মৃত্যুর পর তা আবার ঈশ্বরের কাছেই ফিরে যাবে।

সব কিছুই অর্থহীন, উপদেশক বলেছেন সবই সময়ের অপচয়।

উপসংহার

উপদেশক তাঁর প্রজ্ঞা অন্য লোকদের শিক্ষার কাজে লাগাতেন। উপদেশক অত্যন্ত যত্নসহকারে অনেক জ্ঞানের বাণী অধ্যয়ন করেছিলেন ও সেগুলিকে একত্র করে সংগ্রহ করেছিলেন। 10 উপদেশক সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এবং তিনি সত্য ও নির্ভরযোগ্য নীতিকথা লিখে গিয়েছিলেন।

11 জ্ঞানী ব্যক্তির কথা হল সেই তীক্ষ্ণ লাঠির মত যা মানুষ পশুদের সঠিক রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করে। সেই উপদেশ হল শক্ত পেয়ালার মতো যা ভাঙে না। সেই শিক্ষামালা তোমাকে সঠিক রাস্তা দেখাবে। ঐসব নীতির বাণীই এসেছিল একই মেষপালকের (ঈশ্বরের) কাছ থেকে। 12 তাই ঐ বাণীগুলি পড় কিন্তু পুত্র ও অন্য বই সম্বন্ধে সাবধান থেকো। মানুষ সর্বদাই বই লিখছে এবং অতিরিক্ত অধ্যয়ন তোমাকে ক্লান্ত করে দেবে।

13-14 এই বইতে যা লেখা তার থেকে কি শিক্ষা আমরা নেবো? মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করা ও তার আদেশ মান্য করা। কেন? কারণ মানুষ যা কিছু করে ঈশ্বর তা জানেন, সেটা গুপ্ত কিছু হলেও ঈশ্বর তা জানেন। তিনি ভাল ও মন্দ সব বিষয়ই জানেন। মানুষ যা কিছু করবে ঈশ্বর তার বিচার করবেন।

গালাতীয় 5:25-6:10

25 সুতরাং আত্মাই যখন আমাদের নতুন জীবনের উৎস তখন এস আমরা আত্মার অধীনে চলি। 26 এস আমরা যেন অযথা অহঙ্কার না করি, পরস্পরকে জ্বালাতন ও হিংসা না করি।

একে অপরকে সাহায্য করো

আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি হঠাৎ‌ পাপে পড়ে তবে তোমরা যাঁরা আত্মিক ভাবাপন্ন তারা অবশ্যই তাকে ঠিক পথে আনতে সাহায্য করবে। একাজ অত্যন্ত নম্রভাবে করতে হবে; কিন্তু তোমরা নিজেরাও সাবধানে থেকো, পাছে তোমরাও পরীক্ষায় পড়। তোমরা একে অপরের ভার বহন কর, এই রকম করলে বাস্তবে খ্রীষ্টের বিধি-ব্যবস্থাই পালন করবে। কোন ব্যক্তি যদি প্রকৃতপক্ষে ভাল না হয়েও নিজেকে অন্যদের থেকে ভাল মনে করে তাহলে সে নিজেকে প্রতারণা করছে। অপর লোকের সঙ্গে নিজের তুলনা না করে প্রত্যেকের উচিত নিজের কাজ যাচাই করে দেখা, তবে সে যা করছে তাই নিয়ে গর্ব করতে পারবে। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের দায়িত্ব নিতে হবে।

যেমন বুনবে তেমন কাটবে

যে ব্যক্তি শিক্ষকের কাছ থেকে ঈশ্বরের বার্তার বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে, তার উচিত সেই শিক্ষককে তার সমস্ত উত্তম বিষয়ের সহভাগী করে প্রতিদান দেওয়া। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের দায়িত্ব নিতে হবে।

তোমরা নিজেদের বোকা বানিও না। ঈশ্বরকে ঠকানো যায় না। যেমন বুনবে, তেমন কাটবে। যে নিজ পাপ প্রকৃতির বীজ রোপন করে সে তার থেকে সংগ্রহ করবে। কিন্তু যে পবিত্র আত্মার বীজ বুনবে সে পবিত্র আত্মার কাছ থেকে অনন্ত জীবন পাবে। ভাল কাজ করতে করতে আমরা যেন ক্লান্ত না হয়ে পড়ি, কারণ নিরুপিত সময়ে আমরা ফসল রূপে অনন্ত জীবন পাব। হাল ছাড়লে চলবে না। 10 সুযোগ পেলে আমাদের সব লোকের প্রতি ভাল কাজ করা উচিত, বিশেষ করে বিশ্বাসীর গৃহের পরিজনদের প্রতি।

মথি 16:21-28

যীশুর নিজের মৃত্যুর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বানী

(মার্ক 8:31–9:1; লূক 9:22-27)

21 সেই সময় থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদের জানাতে লাগলেন যে তাঁকে অবশ্যই জেরুশালেমে যেতে হবে। আর সেখানে কিভাবে তাঁকে ইহুদী নেতা, প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হবে। তাঁকে মেরে ফেলা হবে ও তিন দিনের মাথায় তিনি মৃত্যুলোক থেকে বেঁচে উঠবেন।

22 তখন পিতর তাঁকে একপাশে ডেকে নিয়ে ভর্ৎসনার সুরে বললেন, “প্রভু, এসবের হাত থেকে ঈশ্বর আপনাকে রক্ষা করুন। এর কোন কিছুই আপনার প্রতি ঘটবে না।”

23 যীশু পিতরের দিকে ফিরে বললেন, “আমার কাছ থেকে দূর হও শয়তান! তুমি আমার বাধা স্বরূপ! তুমি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে এ বিষয় চিন্তা করছ, ঈশ্বরের যা তা তুমি ভাবছ না।”

24 এরপর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “কেউ যদি আমায় অনুসরণ করতে চায় তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক আর নিজের ক্রুশ তুলে নিয়ে আমার অনুসারী হোক্। 25 যে কেউ নিজের জীবন রক্ষা করতে চায়, সে তা হারাবে। কিন্তু যে আমার জন্য তার নিজের প্রাণ হারাতে চাইবে সে তা রক্ষা করবে। 26 কেউ যদি সমস্ত জগত লাভ করে তার প্রাণ হারায় তবে তার কি লাভ? প্রাণ ফিরে পাবার জন্য তার দেবার মতো কি-ই বা থাকতে পারে? 27 মানবপুত্র যখন তাঁর স্বর্গদূতদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর পিতার মহিমায় আসবেন, তখন তিনি প্রত্যেক লোককে তার কাজ অনুসারে প্রতিদান দেবেন। 28 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে এমন কেউ কেউ আছে যারা কোনও মতে মৃত্যু দেখবে না, যে পর্যন্ত মানবপুত্রকে তাঁর রাজ্যে আসতে না দেখে।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International