Book of Common Prayer
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: তন্ত্রবাদ্য সহযোগে দায়ূদের গানগুলির অন্যতম।
61 হে ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা সঙ্গীত শুনুন।
আমার প্রার্থনা শুনুন।
2 আমি যেখানেই থাকি, যতই দুর্বল হই না কেন,
আমি সাহায্যের জন্য আপনাকে ডাকবো!
আমাকে বহু বহু উঁচুতে
নিরাপদ স্থানে নিয়ে চলুন।
3 আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল!
আপনিই সেই শক্তিশালী দুর্গ যা আমাকে আমার শত্রুদের থেকে রক্ষা করে।
4 আমি চিরদিনের জন্য আপনার তাঁবুতে থাকতে চাই।
যেখানে আপনি আমায় সুরক্ষিত করবেন আমি সেখানেই লুকিয়ে থাকতে চাই।
5 হে ঈশ্বর, আপনাকে যা দেবার প্রতিশ্রুতি আমি করেছি তা আপনি শুনেছেন।
কিন্তু আপনার অনুগামীদের যা আছে, তার প্রতিটি জিনিসই আপনার কাছ থেকে এসেছে।
6 রাজাকে দীর্ঘ জীবন দিন!
তাকে চিরদিন জীবিত থাকতে দিন!
7 তাকে চিরদিন ঈশ্বরের সঙ্গে বেঁচে থাকতে দিন!
আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দিয়ে তাকে আপনি রক্ষা করুন।
8 আমি চিরকাল আপনার নামের প্রশংসা করবো।
আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রতিদিনই আমি তা পালন করবো।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: যিদূথূনের উদ্দেশ্যে দায়ূদের একটি গীত।
62 যাই ঘটুক না কেন, ঈশ্বর আমায় উদ্ধার করবেন এই আশায় আমার আত্মা ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছে।
আমার পরিত্রাণ একমাত্র তাঁর কাছ থেকেই আসবে।
2 হয়তো আমার অনেক শত্রু আছে, কিন্তু ঈশ্বরই আমার দুর্গ।
ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেন।
উঁচু পর্বতে ঈশ্বরই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আমার মস্ত বড় শত্রুও আমায় পরাজিত করতে পারবে না।
3 কতক্ষণ তোমরা আমায় আক্রমণ করবে?
আমি একটা ঝুঁকে পড়া দেওয়ালের মত।
আমি একটা ভগ্ন প্রায় বেড়ার মত।
4 আমার গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও
ঐসব লোক আমার বিনাশের পরিকল্পনা করছে।
আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলে ওরা আনন্দ পায়।
জনসমক্ষে ওরা আমার সম্পর্কে ভাল কথা বলে
কিন্তু গোপনে আমায় অভিশাপ দেয়।
5 আমাকে রক্ষা করবার জন্য আমার আত্মা ধৈর্য্য ধরে শুধুমাত্র ঈশ্বরের অপেক্ষা করছে!
ঈশ্বর আমার একমাত্র আশা।
6 ঈশ্বরই আমার দুর্গ। ঈশ্বরই আমায় রক্ষা করেন।
উঁচু পর্বতে ঈশ্বরই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
7 আমার মহিমা ও জয় ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে।
তিনিই আমার দৃঢ় দুর্গ, তিনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
8 হে লোক সকল, সর্বদাই ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস রাখো।
তোমাদের সব সমস্যা ঈশ্বরকে বল।
ঈশ্বরই আমাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
9 প্রকৃতপক্ষে লোকজন কোন সাহায্য করতে পারে না।
প্রকৃত সাহায্যের জন্য তোমরা ওদের ওপর নির্ভর করতে পারবে না।
ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করলে,
ওরা একটি বাতাসের ফুত্কার ছাড়া আর বেশী কিছু নয়।
10 জোর করে কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে তোমার ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস কর না।
একদম ভেবো না যে চুরি করে কিছু নিয়ে লাভবান হবে।
যদি তুমি ধনী হও,
তবে মোটেই বিশ্বাস করো না সম্পদ তোমায় সাহায্য করবে।
11 ঈশ্বর বলেন, একটাই মাত্র জিনিস আছে যার ওপর তুমি নির্ভর করতে পারো এবং আমি তা বিশ্বাস করি।
“একমাত্র ঈশ্বরের কাছ থেকেই শক্তি আসে!”
12 হে আমার প্রভু, আপনার ভালোবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা।
লোকে যে কাজ করে তার জন্যই আপনি তাকে পুরস্কার বা শাস্তি দেন।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
68 ঈশ্বর, আপনি উঠুন এবং শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করুন।
তাঁর সব শত্রুরা যেন তাঁর থেকে দূরে পালিয়ে যায়।
2 ধোঁয়া যেমন বাতাসে উড়ে যায়,
তেমনি আপনার শত্রুরা যেন ছত্রভঙ্গ হয়।
মোম যেমনভাবে আগুনে গলে যায়,
তেমনই করে যেন আপনার শত্রুরাও ধ্বংস হয়।
3 কিন্তু ধার্ম্মিক লোকরা সুখী।
ধার্ম্মিক লোকরা ঈশ্বরের সঙ্গে আনন্দোল্লাসে সময় কাটাবে।
ধার্ম্মিক লোকরা নিজেদের উপভোগ করতে পারবে এবং প্রচণ্ড সুখী হবে!
4 ঈশ্বরের উদ্দেশ্য গান গাও।
তাঁর নামে প্রশংসা কর। ঈশ্বরের জন্য পথ প্রস্তুত কর।
মরুভূমিতে তিনি রথে চড়ে আসছেন।
তাঁর নাম “যাঃ।” তাঁর নামের প্রশংসা কর!
5 তাঁর পবিত্র মন্দিরে তিনিই অনাথের পিতার মত।
ঈশ্বর বিধবাদের যত্ন নেন।
6 সঙ্গীহীন লোককে ঈশ্বর গৃহ দেন;
ঈশ্বর তাঁর লোকদের কারাগার থেকে মুক্ত করেন, তারা ভীষণ সুখী।
কিন্তু যে লোকরা ঈশ্বরের বিরোধিতা করবে তারা রৌদ্র দগ্ধ মরুভূমিতে বাস করবে।
7 ঈশ্বর, আপনিই আপনার লোকদের মিশর থেকে বেরিয়ে আসতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আপনিই মরুভূমিতে হেঁটে গিয়েছিলেন।
8 এবং ভূমি কেঁপে উঠেছিল।
ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর স্বয়ং সীনয় পর্বতে নেমে এলেন এবং আকাশ বিগলিত হল।
9 একটা পরিশ্রান্ত ও প্রাচীন ভূখণ্ডকে পুনরায় সতেজ করার জন্য
আপনি বৃষ্টি পাঠিয়েছিলেন।
10 আপনার সব পশু সেই ভূখণ্ডে ফিরে এলো।
হে ঈশ্বর, সেই জায়গায় দরিদ্র লোকদের আপনি বহু ভাল জিনিস দিয়েছেন।
11 ঈশ্বর আজ্ঞা দিলেন
এবং বহু লোক সুসমাচার দিতে গেল:
12 “শক্তিশালী রাজার সৈনিকরা পালিয়ে গেছে! সৈনিকরা যুদ্ধ ফেরৎ যে সব জিনিস আনবে, বাড়ীর মহিলারা সেগুলো ভাগ করে নেবে।
যারা বাড়ীতে আছে তারা সেই সব সম্পদ ভাগ করে নেবে।
13 রূপোয় মোড়া ঘুঘুর ডানা ওরা পাবে।
সোনায় ঝকঝক্ করা ডানা তারা পাবে।”
14 সল্মোন পর্বতে ঈশ্বর শত্রু রাজাদের ছত্রভঙ্গ করলেন।
ওরা হয়েছিল তুষারে ঝরে যাওয়ার মত।
15 বাশন পর্বত অনেকগুলো শৃঙ্গ সম্বলিত এক বিরাট পর্বত।
16 হে বাশন পর্বত, কেন তুমি সিয়োন পর্বতকে নীচু নজরে দেখ?
ঈশ্বর সিয়োন পর্বতকে ভালোবাসেন।
প্রভু চিরদিন সেখানে থাকবেন বলে স্থির করেছেন।
17 ঈশ্বর পবিত্র সিয়োন পর্বতে আসেন।
তাঁর পিছু পিছু লক্ষ লক্ষ রথ আসে।
18 লোকদের কাছ থেকে উপহার নেওয়ার জন্য,
এমনকি যারা তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল
তাদের কাছ থেকেও উপহার গ্রহণ করার জন্য
তিনি জাঁকজমক করে বন্দীদের নেতৃত্ব দিয়ে উচ্চ পর্বতের ওপরে গেলেন।
প্রভু ঈশ্বর সেখানে থাকার জন্য গেলেন।
19 প্রভুর প্রশংসা কর!
দিনের পর দিন তিনি আমাদের ভার বহন করেন।
ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করেন!
20 তিনিই আমাদের ঈশ্বর, তিনি সেই ঈশ্বর যিনি আমাদের রক্ষা করেন।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, আমাদের মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
21 ঈশ্বর অবশ্যই দেখাবেন যে তিনি তাঁর শত্রুদের পরাজিত করেছেন।
যারা তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
22 আমার প্রভু বলেছেন, “বাশন থেকে আমি আমার শত্রুদের নিয়ে আসবো,
পশ্চিম দেশ থেকে আমি শত্রুদের নিয়ে আসবো।
23 তোমরা তাদের রক্তের ওপর দিয়ে হাঁটতে পারবে।
তোমাদের কুকুর ওদের রক্ত চেটে খাবে।”
24 ঈশ্বরের শোভাযাত্রার দিকে তাকিয়ে দেখ।
আমার ঈশ্বর, আমার রাজার পবিত্র শোভাযাত্রার দিকে তাকিয়ে দেখ।
25 প্রথমেই আসছে গায়করা, তাদের পেছনে রয়েছে বীণাযন্ত্র বাদ্যকারীগণ
যাদের অনুসরণ করছিল খঞ্জণী বাজনারতা মেয়েরা।[a]
26 মহাসমাবেশে ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
হে ইস্রায়েলের লোকরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
27 ছোট বিন্যামীন নামক উপজাতি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সেখানে যিহূদার বড় পরিবারও রয়েছে।
সবূলূন এবং নপ্তালির নেতারাও সেখানে রয়েছেন।
28 ঈশ্বর, আপনার ক্ষমতা আমাদের দেখান!
যে ক্ষমতা আমাদের জন্য অতীতে ব্যবহার করেছেন সেই ক্ষমতা প্রদর্শন করুন।
29 জেরুশালেমে, আপনার প্রাসাদে আপনাকে উপহার দেবার জন্য
রাজারা তাঁদের ঐশ্বর্য্য নিয়ে আসবেন।
30 আপনি যা চান আপনার দণ্ড ব্যবহার করে,
ঐসব জন্তুদের দিয়ে আপনি তাই করান।
ঐসব জাতির ষাঁড় ও গোরুদের
আপনার অনুগত করুন।
ওই সব জাতিকে আপনি যুদ্ধে পরাজিত করেছেন।
ওদের দিয়ে আপনার কাছে রূপো আনয়ন করুন।
31 ওদের দিয়ে মিশর থেকে ধন-সম্পদ আনয়ন করুন।
ঈশ্বর, কূশীয়রা যেন ওদের সম্পদ আপনার কাছে নিয়ে আসে।
32 পৃথিবীতে রাজারা যারা আছো, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রশংসা কর!
আমাদের প্রভুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান কর!
33 ঈশ্বরের গীত গাও! তিনি তাঁর রথ প্রাচীন স্বর্গগুলির মধ্য দিয়ে চালান।
তাঁর পরাক্রান্ত রব শোন!
34 তোমাদের যে কোন দেবতার থেকে
ঈশ্বর অনেক বেশী শক্তিশালী।
ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শক্তিশালী করেছেন।
35 তাঁর মন্দিরে ঈশ্বর অবিস্মরণীয়, ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শক্তি এবং ক্ষমতা দিয়েছেন।
ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
14 আরো অনেক কিছু এই পৃথিবীতেই ঘটে থাকে যা অর্থহীন। কত সময়ে ভালো লোকের খারাপ হয় আবার খারাপ লোকের ভালো হয়। এর কোন মানে হয় না। 15 তাই আমি স্থির করেছিলাম যে জীবনকে উপভোগ করব। কেন? কারণ মানুষের পক্ষে সূর্যের নীচে প্রেয় হল খাদ্য, পানীয় ও আনন্দের মধ্যে জীবন উপভোগ করা। যাতে তারা প্রতিদিন কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে পারে, যা ঈশ্বর তাদের সূর্যের নীচে দিয়েছেন।
ঈশ্বর যা কিছু করেন তা আমরা বুঝতে পারি না
16 আমি নিজেকে প্রজ্ঞাপূর্ণ করার দায়িত্ব নিলাম। লোকরা এই জীবনে যা করে থাকে তা আমি ভাল করে লক্ষ্য করেছিলাম। আমি দেখেছিলাম অনেক লোক ব্যস্ত। তারা দিন রাত কাজ করে এবং প্রায় ঘুমোয় না বললেই চলে। 17 আমি আরো অনেক কিছু দেখে ছিলাম যা ঈশ্বর করেন। আমি এও দেখে ছিলাম সূর্যের নীচে ঈশ্বর যা করেন লোকরা তা অবশ্যই বোঝে। একজন ব্যক্তি চেষ্টা করতে পারে কিন্তু সে সফল হবে না। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলতে পারেন যে তিনি ঈশ্বর যা করেন তা বোঝেন, কিন্তু আসলে তা সত্যি নয়।
মৃত্যু কি ন্যায্য?
9 আমি এ সব কিছু গভীর ভাবে চিন্তা করেছিলাম। আমি দেখে ছিলাম ধার্মিক ও জ্ঞানী লোকরা যা করেন বা তাদের যা হয় সে সবই ঈশ্বরই নিয়ন্ত্রণ করেন। লোকরা জানে না তাদের ঘৃণা করা হবে, না ভালোবাসা হবে। লোকরা এও জানে না ভবিষ্যতে কি হবে।
2 কিন্তু সবার ক্ষেত্রে একই জিনিস ঘটে। ভাল ও মন্দ উভয় ধরণের লোকরাই মারা যান। শুচি ও অশুচি দুধরণের লোকের কাছেই মৃত্যু আসে। যারা ঈশ্বরকে নৈবেদ্য দেয় না তাদের মতো যারা ঈশ্বরকে নৈবেদ্য দেয় তারাও মারা যায়। একজন ভাল লোকও একজন পাপীর মত মারা যায়। যে ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে বিশেষ প্রতিশ্রুতি দেয় সেও সেই ব্যক্তির মতো মারা যায়, যে ঈশ্বরের কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে ভয় পায়।
3 সূর্যের নীচে যা কিছু খারাপ ঘটনা ঘটে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই পরিণতি হয়। এটাও খুবই খারাপ যে লোকেরা সবসময় মন্দ ও মূর্খের মতো চিন্তা করবে এবং সেই চিন্তা তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে। 4 যে এখনও বেঁচে আছে সে যেই হোক্ না কেন তার জন্য আশা আছে। এই প্রবাদটি সত্যি যে:
জীবিত কুকুর মৃত সিংহের চেয়ে শ্রেয়।
5 জীবিত মানুষ জানে যে সে মারা যাবে। কিন্তু মৃত মানুষ কিছু জানে না। মৃত মানুষের আর কোন কিছু পাওয়ার নেই। মানুষ খুব তাড়াতাড়ি তাকে ভুলে যাবে। 6 একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর ভালবাসা, ঘৃণা, ঈর্ষা কোন কিছু অবশিষ্ট থাকে না। একজন মৃত ব্যক্তি সূর্যের নীচে যা কিছু হবে তাতে আর ভাগ নেবে না।
যতক্ষণ পারো জীবনকে উপভোগ কর
7 তুমি তোমার খাদ্য ও পানীয়কে উপভোগ কর। যদি তুমি এসব করো ঈশ্বর আনন্দিত হবেন। 8 তোমার পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখো এবং মাথায় তেল ব্যবহার করো। 9 সূর্যের নীচে তোমার অযোগ্য জীবন যতদিন থাকে ততদিন তোমার স্ত্রী, যাকে তুমি ভালবাস তার সঙ্গে তুমি জীবন উপভোগ কর এবং তোমার কাছে যা কিছু আছে তা হল এই। তোমার জীবনে যে সব কাজ তোমায় করতে হবে তা উপভোগ করো। 10 তোমাকে যে কাজই দেওয়া হোক্ না কেন সব সময় সেটা উদ্যমসহ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। মৃত্যুর পর আমরা সবাই একই জায়গায় যাব। সেখানে কোন কাজ, কোন চিন্তা, কোন জ্ঞান বা কোন প্রজ্ঞা থাকে না।
হাগার এবং সারার উদাহরণ
21 আমাকে বলতো, তোমাদের মধ্যে কে মোশির বিধি-ব্যবস্থার অধীন থাকতে চাও? তোমরা কি জান না বিধি-ব্যবস্থা কি বলে? 22 শাস্ত্র বলছে যে অব্রাহামের দুটি পুত্র ছিল, একটি পুত্রের মা ছিল দাসী স্ত্রী, অপর পুত্রের মা ছিল স্বাধীন স্ত্রী। 23 দাসী স্ত্রীর গর্ভে অব্রাহামের যে সন্তান জন্মেছিল তার জন্ম স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল, কিন্তু স্বাধীন স্ত্রীর গর্ভে অব্রাহামের যে সন্তান জন্মেছিল, সে অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির ফলেই জন্মেছিল।
24 এই বিষয়গুলি রূপকের মতো ব্যাখ্যা করা যায়। এই দুই মহিলা দুটি চুক্তির প্রতিনিধিত্ব করে, একটি চুক্তি যেটা সীনয় পর্বত থেকে এসেছিল, সেটা একদল লোকের জন্ম দিয়েছিল দাসত্বের জন্যে। যে মাতার নাম হাগার, সে এই চুক্তির সঙ্গে তুলনীয়। 25 হাগার হলেন আরবের সীনয় পর্বতের মতো। তিনি বর্তমান ইহুদীদের জেরুশালেমের প্রতিরূপ, কারণ সেই জেরুশালেম তার লোকদের সাথে দাসত্বের বন্ধনে বদ্ধ। 26 কিন্তু স্বর্গীয় জেরুশালেম স্বাধীন মহিলা স্বরূপ। সেই জেরুশালেম আমাদের মাতৃসম। 27 কারণ শাস্ত্রে লেখা আছে:
“হে বন্ধ্যা নারী, তোমরা যারা সন্তানের জন্ম দাও নি,
তোমরা আনন্দ কর, উল্লসিত হও!
তোমরা যারা কখনই প্রসব যন্ত্রণা ভোগ কর নি;
তোমরা উল্লাস কর,
কারণ স্বামীর সঙ্গে বসবাসকারী স্ত্রীর চাইতে
নিঃসঙ্গ স্ত্রীর অনেক বেশী সন্তান হবে।”(A)
28 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমরাও সেই ইস্হাকের মতো প্রতিশ্রুতির সন্তান। 29 কিন্তু ঠিক এখনকার মতোই তখনও যে পুত্র স্বাভাবিকভাবে জন্মেছিল, সে অন্য পুত্রকে অর্থাৎ পবিত্র আত্মার শক্তিতে যার জন্ম হয়েছিল তাকে নির্যাতন করত। 30 কিন্তু শাস্ত্র কি বলে? “দাসী স্ত্রী ও তার পুত্রকে তাড়িয়ে দাও! কারণ দাসীর পুত্র স্বাধীন স্ত্রীর পুত্রের সাথে কিছুরই উত্তরাধিকারী হবে না।”(B) 31 তাই বলি আমার ভাই ও বোনেরা, আমরা সেই দাসীর সন্তান নই, আমরা স্বাধীন স্ত্রীর সন্তান।
যীশু বহু মানুষকে আরোগ্যদান করলেন
29 এরপর যীশু সেখান থেকে গালীল হ্রদের তীর ধরে চললেন। তিনি একটা পাহাড়ের ওপর উঠে সেখানে বসলেন।
30 আর বহু লোক সেখানে এসে জড়ো হল, তারা খোঁড়া, অন্ধ, নুলো, বোবা এবং আরও অনেককে সঙ্গে নিয়ে এল। তারা ঐসব রোগীদের তাঁর পায়ের কাছে রাখল আর যীশু তাদের সকলকে সুস্থ করলেন। 31 লোকেরা যখন দেখল বোবা কথা বলছে, নুলো সুস্থ সবল হচ্ছে, খোঁড়া চলাফেরা করছে, অন্ধরা দৃষ্টিশক্তি লাভ করছে, তখন তারা আশ্চর্য হয়ে গেল আর ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে লাগল।
যীশু চার হাজারেরও বেশী লোককে খাওয়ালেন
(মার্ক 8:1-10)
32 যীশু তখন তাঁর শিষ্যদের বললেন, “এই লোকদের জন্য আমার মনে কষ্ট হচ্ছে, কারণ এরা আজ তিন দিন হল আমার সঙ্গে সঙ্গে আছে, এদের কাছে আর কোন খাবার নেই। এই ক্ষুধার্ত অবস্থায় এদের আমি চলে যেতে বলতে পারি না, তাহলে হয়তো এরা পথে মুর্ছা যাবে।”
33 তখন শিষ্যরা তাঁকে বললেন, “এই নির্জন জায়গায় এত লোককে খাওয়ানোর মতো অতো খাবার আমরা কোথায় পাবো?”
34 যীশু তাঁদের বললেন, “তোমাদের কাছে কটা রুটি আছে?”
তাঁরা বললেন, “সাতখানা রুটি ও কয়েকটা ছোট মাছ আছে।”
35 যীশু সেই সব লোককে মাটিতে বসে যেতে বললেন। 36 তারপর তিনি সেই সাতটা রুটি ও মাছ ক’টা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন, পরে সেই রুটি টুকরো করে শিষ্যদের হাতে দিলেন, আর শিষ্যরা তা লোকদের দিতে লাগলেন। 37 লোকেরা সবাই বেশ পেট ভরে খেল। টুকরো-টাকরা যা পড়ে রইল, তা তোলা হলে পর তা দিয়ে সাতটা টুকরি ভর্ত্তি হয়ে গেল। 38 যারা খেয়েছিল তাদের মধ্যে মহিলা ও ছোট ছোট ছেলেমেয়ে বাদ দিয়ে কেবল পুরুষ মানুষের সংখ্যাই ছিল চার হাজার। 39 এরপর যীশু লোকদের বিদায় দিয়ে নৌকায় উঠে মগদনের অঞ্চলে গেলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International