Book of Common Prayer
146 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
2 আমার সারাজীবন ধরে আমি প্রভুর প্রশংসা করবো।
সারা জীবন আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
3 সাহায্যের জন্য তোমরা নেতাদের ওপর নির্ভর কর না।
লোকেদের বিশ্বাস কর না। কেন? কারণ লোকে তোমাকে বাঁচাতে পারে না।
4 মানুষ মরে কবরে চলে যায়।
তখন তাদের সাহায্যের সব পরিকল্পনা শেষ হয়ে যায়।
5 কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সাহায্য চায় তারা ভীষণ সুখী হয়।
ওরা ওদের প্রভু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে।
6 প্রভুই স্বর্গ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু সমুদ্র এবং তার ভেতরের সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু তাদের চিরদিন রক্ষা করবেন।
7 নিস্পেষিত লোকদের জন্য প্রভু ঠিক কাজ করেন।
ঈশ্বর ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার দেন।
কারাগারে বদ্ধ মানুষকে প্রভুই মুক্ত করেন।
8 প্রভু অন্ধকে পুনরায় দৃষ্টি দেন।
যারা সমস্যায় পড়েছে, প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
যে সব লোকরা ভাল তাদের প্রভু ভালোবাসেন।
9 আমাদের দেশে যে সব বিদেশীরা বাস করে তাদের প্রভু রক্ষা করেন।
প্রভুই বিধবা ও অনাথদের দেখাশোনা করেন
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
10 প্রভু চিরদিনই শাসন করবেন!
সিয়োন, তোমার ঈশ্বর চিরদিনই রাজত্ব করবেন!
প্রভুর প্রশংসা কর!
147 প্রভুর প্রশংসা কর কারণ তিনি মঙ্গলকর।
আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রশংসার গান কর।
তাঁর প্রশংসা করা ভালো এবং মনোরম।
2 প্রভু জেরুশালেম শহরটি বানিয়েছেন।
যে সব ইস্রায়েলীয়কে বন্দী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো ঈশ্বর তাদের ফিরিয়ে এনেছিলেন।
3 ঈশ্বর তাদের ভগ্নহৃদয় সারিয়ে তুলেছিলেন
এবং তাদের ক্ষতের শুশ্রূষা করেছিলেন।
4 ঈশ্বর তারা গণনা করেন
এবং প্রত্যেকটিকে তাদের নাম ধরে ডাকেন।
5 আমাদের প্রভু মহান; তিনি প্রচণ্ড শক্তিশালী।
তিনি যে কত জানেন তার কোন সীমা নেই।
6 বিনয়ী লোকদের ঈশ্বর সাহায্য করেন।
কিন্তু মন্দ লোকদের তিনি হতবিহ্বল করে দেন।
7 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও।
বীণা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর।
8 ঈশ্বর আকাশকে মেঘে ঢেকে দেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি আনেন।
ঈশ্বরই পাহাড়ে ঘাসের জন্ম দেন।
9 ঈশ্বর প্রাণীকে খাদ্য দেন।
ঈশ্বর নবীন পাখীদের আহার দেন।
10 মানবিক ইচ্ছাসমূহ ঈশ্বরের মধ্যে থাকে না।
যুদ্ধের শক্তিশালী ঘোড়াগুলো তিনি চান না।
11 যারা তাঁর উপাসনা করে তাদের নিয়েই প্রভু সুখী।
যারা তাঁর প্রকৃত প্রেমে বিশ্বাস রাখে ঈশ্বর তাদের নিয়েই খুশী হন।
12 জেরুশালেম, প্রভুর প্রশংসা কর!
সিয়োন, তোমার প্রভুর প্রশংসা কর!
13 জেরুশালেম, তোমার ফটকগুলিকে ঈশ্বর দৃঢ় করেছেন
এবং তোমার শহরের লোকজনকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করেন।
14 ঈশ্বর তোমাদের রাজ্যে শান্তি এনেছেন।
সেজন্যই যুদ্ধের সময় শত্রুরা তোমাদের ফসল নিয়ে যায় নি এবং তোমাদের আহারের জন্য প্রচুর শস্য আছে।
15 ঈশ্বর পৃথিবীকে একটা আদেশ দিলে
সে তৎক্ষণাৎ তা পালন করে।
16 যতক্ষণ পর্যন্ত মাটি পশমের মত সাদা না হয়, ঈশ্বর ততক্ষণ তুষার পাত করেন।
ঈশ্বরই শিলাবৃষ্টিকে বাতাসের মধ্যে ধূলোর মত উড়িয়ে নিয়ে যান।
17 ঈশ্বর আকাশ থেকে শিলাবৃষ্টি বর্ষণ করান।
তাঁর পাঠানো ঠাণ্ডা কেউ সহ্য করতে পারে না।
যে মেঘ তিনি পাঠান কোন লোকই তাকে দাঁড় করাতে পারে না।
18 তারপর ঈশ্বর আর একটা আদেশ দেন এবং আবার উষ্ণ বাতাস বইতে শুরু করে।
বরফ গলতে শুরু করে এবং জল প্রবাহিত হয়।
19 ঈশ্বর যাকোবকে তাঁর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ঈশ্বর তাঁর নিয়ম ও বিধিগুলো ইস্রায়েলকে দিয়েছিলেন।
20 অন্য কোন জাতির জন্য ঈশ্বর এসব করেন নি।
তাঁর বিধিগুলো ঈশ্বর অন্য লোকদের শেখান নি।
প্রভুর প্রশংসা কর।
111 প্রভুর প্রশংসা কর!
যেখানে সৎ লোকেরা জমায়েত হয়,
সেই মণ্ডলীতে আমি সমস্ত অন্তর দিয়ে প্রভুকে ধন্যবাদ দিই।
2 প্রভু বিস্ময়কর কাজকর্ম করেন।
ঈশ্বরের কাছ থেকে যে সব ভালো জিনিস আসে লোকরা তা চায়।
3 ঈশ্বর প্রকৃতই বিস্ময়কর এবং মহিমাময় কার্য করেন।
তাঁর ধার্মিকতা চিরদিনই বিরাজ করে।
4 ঈশ্বর, আশ্চর্য কার্য করেন যাতে আমরা মনে রাখি
যে প্রভু সত্যিই দয়াময় ও ক্ষমাশীল।
5 ঈশ্বর, তাঁর অনুগামীদের আহার দেন।
ঈশ্বর চিরদিন তাঁর চুক্তি স্মরণে রাখেন।
6 ঈশ্বর যে সব শক্তিশালী জিনিসগুলি করেছেন তা তাঁর লোকজনের কাছে প্রমাণ করেছে
যে তিনি অন্য জাতিসমূহের অধিকারভুক্ত দেশ তাদের দিয়েছিলেন।
7 ঈশ্বর যা কিছু করেন সবই সুন্দর ও যথাযথ।
তাঁর সব আজ্ঞাকেই নির্ভর করা চলে।
8 ঈশ্বরের আজ্ঞাসমূহ চিরদিন বজায় থাকবে।
যে কারণে ঈশ্বর আজ্ঞাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি ছিল সৎ ও আন্তরিক।
9 তাঁর লোকেদের উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বর কাউকে পাঠিয়েছিলেন এবং ঈশ্বর তাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছেন তা চিরদিন বজায় থাকবে।
ঈশ্বরের নাম ভয়ঙ্কর এবং পবিত্র।
10 ঈশ্বরের প্রতি ভয় এবং শ্রদ্ধা থেকেই প্রজ্ঞার সূত্রপাত হয়।
যারা ঈশ্বরকে মান্য করে তারা খুব বিচক্ষণ।
চিরদিন ঈশ্বরের প্রতি প্রশংসাগীত গাওয়া হবে।
112 প্রভুর প্রশংসা কর!
সেই ব্যক্তি যে প্রভুকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে সে খুব সুখী হবে।
সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের আজ্ঞা পছন্দ করে।
2 তার উত্তরপুরুষরা এই পৃথিবীতে মহৎ হবে।
সৎ লোকদের উত্তরপুরুষরা সত্যিকারের ধন্য হবে।
3 সেই ব্যক্তির পরিবার প্রচণ্ড ধনী হবে
এবং তার ধার্মিকতা চিরদিন বজায় থাকবে।
4 সৎ লোকদের কাছে ঈশ্বর অন্ধকারে প্রতিভাত একটি আলোর মত।
ঈশ্বর দয়াময়, ক্ষমাশীল এবং ভালো।
5 একজন ব্যক্তির পক্ষে দয়ালু এবং উদার হওয়া ভালো।
একজন ব্যক্তির পক্ষে তার কর্মে সৎ থাকা ভালো।
6 সেই ব্যক্তির কোনদিন পতন হবে না।
একজন ধার্মিক ব্যক্তিকে চিরদিন স্মরণ করা হবে।
7 সে দুঃসংবাদে ভীত হবে না।
সে তার নিজের বিশ্বাসে দৃঢ় কেননা সে প্রভুতে আস্থা রাখে।
8 সেই ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসে দৃঢ়।
সে কখনও ভয় পাবে না, সুতরাং সে তার শত্রুদের পরাজিত করবে।
9 সেই ব্যক্তি দরিদ্রদের মুক্তহস্থে দান করে
এবং তার ধার্মিকতা চিরদিন বজায় থাকবে।
সে বিরাট সম্মান পাবে।
10 দুষ্ট লোকরা এইসব দেখে রেগে যায়।
ওরা রাগে দাঁত কড়মড় করতে থাকে কিন্তু তারপর ওরা অদৃশ্য হয়ে যায়।
যা সব থেকে বেশী করে দুষ্ট লোকরা চায় তা ওরা পাবে না।
113 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুর দাসরা, তাঁর প্রশংসা কর!
প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
2 প্রভুর নাম এখনকার জন্য এবং চিরকালের জন্য ধন্য হোক্।
3 যেখানে পূর্বদিকে সূর্যোদয় হয়
সেখান থেকে শুরু করে পশ্চিমে যেখানে সূর্য অস্ত যায় সেখান পর্যন্ত প্রভুর নামের প্রশংসা হোক্।
4 প্রভু, সমস্ত জাতিগুলির উর্দ্ধে।
তাঁর মহিমা আকাশ পর্যন্ত যায়।
5 কোন ব্যক্তিই আমাদের প্রভু ঈশ্বরের মত নয়।
ঈশ্বর স্বর্গের উঁচু আসনে বসেন।
6 ঈশ্বর আমাদের থেকে এত উঁচুতে আছেন যে আকাশ ও পৃথিবীকে দেখতে হলে
তাঁকে নীচের দিকে তাকাতে হয়।
7 ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের ধূলো থেকে ওপরে তোলেন।
আস্তাকুঁড় থেকে ঈশ্বর ভিখারীদের তুলে আনেন।
8 এবং সেই সব লোকদের ঈশ্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন।
ঈশ্বর তাদের লোকদের ওপর নেতৃত্ব করবার জন্য উচ্চ স্থানগুলি দেন।
9 একজন নারীর কোন সন্তান না থাকতে পারে।
কিন্তু ঈশ্বর তাকে সন্তান দেন ও সুখী করেন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
ঈশ্বর ইয়োবের সঙ্গে কথা বললেন
38 তখন প্রভু ঝোড়ো বাতাসের মধ্যে থেকে কথা বলে উঠলেন। প্রভু বললেন:
2 “কে এই অজ্ঞ লোক
যে বোকার মত কথা বলছে?
3 ইয়োব, নিজেকে প্রস্তুত করে নাও, সৈনিকের মত অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাও।
এবং আমি যে প্রশ্ন করবো তার উত্তর দেবার জন্য তৈরী হও।
4 “ইয়োব, আমি যখন পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলাম তখন তুমি কোথায় ছিলে?
যদি তুমি প্রকৃতই জ্ঞানী হও তাহলে আমাকে উত্তর দাও।
5 যদি তুমি এতই জ্ঞানী হও তো বল এই পৃথিবীটা কত বড় হবে তা কে স্থির করেছিল?
পরিমাপক রেখা দিয়ে কে পৃথিবীটার পরিমাপ করেছে?
6 পৃথিবীর ভিত্তি স্তম্ভগুলি কিসের ওপর বসে রয়েছে?
তার জায়গায় কে প্রথম নির্মান-প্রস্তর রেখেছে?
7 যখন তা সৃষ্টি করা হয়েছিল তখন প্রভাতের তারাসমূহ এক সঙ্গে গান গেয়েছিল।
দেবদূতরা আনন্দে হর্ষধ্বনি করেছিল।
8 “ইয়োব, পৃথিবীর গভীর থেকে যখন সমুদ্র প্রবাহিত হতে শুরু করেছিল
তখন কে তা বন্ধ করার জন্য দ্বার রুদ্ধ করেছিল?
9 সেই সময়, নবজাতককে পোশাক পরাবার মত আমি একটি পোশাকের মত মেঘগুলোকে চারদিকে জড়িয়ে দিয়েছিলাম
এবং তাকে, একটি শিশুকে যেমন শক্ত করে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভাবে অন্ধকার দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম।
10 আমি সমুদ্রের সীমা নির্ধারণ করেছিলাম,
এবং তাকে বাঁধের অন্যদিকে রেখেছিলাম।
11 আমি সমুদ্রকে বলেছিলাম, ‘তুমি এই পর্যন্ত আসতে পার, এর বেশী নয়।
এই খানেই তোমার উদ্ধত ঢেউ যেন থেমে যায়।’
প্রভুর প্রতি ইয়োবের উত্তর
42 তখন ইয়োব প্রভুকে উত্তর দিলেন। ইয়োব বললেন,
2 “প্রভু, আমি জানি আপনি সব কিছু করতে পারেন।
আপনি পরিকল্পনা করেন, কোন কিছুই আপনার পরিকল্পনাকে পরিবর্তিত করতে বা রোধ করতে পারে না।
3 প্রভু, আপনি এই প্রশ্ন করেছেন: ‘কে সেই অজ্ঞ লোক যে এমন বোকা বোকা কথা বলছে?’
প্রভু, আমি যা বুঝি নি আমি তা বলেছি।
আমি সেই সব বিষয়ের কথা বলেছি যেগুলো বুঝতে গেলে আমি বিস্ময়-বিহবল হয়ে যাই।
4 “প্রভু, আপনি আমায় বলেছেন, ‘শোন ইয়োব, এখন আমি বলবো।
আমি তোমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবো এবং তুমি আমাকে তার উত্তর দেবে।’
5 প্রভু, অতীতে আমি আপনার সম্বন্ধে শুনেছিলাম,
কিন্তু এখন আমার নিজের চোখে আমি আপনাকে দেখলাম।
4 এরপর সেই চব্বিশজন প্রাচীন ও চারজন প্রাণী সিংহাসনে যিনি বসেছিলেন, সেই ঈশ্বরের চরণে মাথা নত করে তাঁর উপাসনা করে বললেন:
“আমেন, হাল্লিলুইয়া!”
5 পরে সিংহাসন থেকে এক বাণী নির্গত হল, কে যেন বলে উঠল:
“হে আমার দাসরা, তোমরা যারা তাঁকে ভয় কর,
তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান, তোমরা সকলে ঈশ্বরের প্রশংসা কর!”
6 পরে আমি বিরাট জনসমুদ্রের রব, প্রবল জলকল্লোল ও প্রচণ্ড মেঘগর্জনের মতো এই বাণী শুনলাম:
“হাল্লিলুইয়া!
আমাদের প্রভু যিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর,
তিনি রাজত্ব শুরু করেছেন।
7 এস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, আর তাঁর মহিমা কীর্তন করি,
কারণ মেষশাবকের বিবাহের দিন এল।
তাঁর বধূও বিবাহের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে।
8 তাকে পরিধান করতে দেওয়া হল
শুচি শুভ্র উজ্জ্বল মসীনার বসন।”
(সেই মসীনার বসন হল ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের সত্কর্মের প্রতীক।)
9 এরপর তিনি আমায় বললেন, “তুমি এই কথা লেখ। ধন্য তারা, যারা মেষশাবকের বিবাহে নিমন্ত্রিত হয়েছে।” তারপর দূত আমায় বললেন, “এগুলি ঈশ্বরের সত্য বাক্য।”
10 আমি তাঁকে উপাসনা করার জন্য তাঁর চরণে মাথা নত করলাম। কিন্তু স্বর্গদূত আমায় বললেন, “আমার উপাসনা করো না! আমি তোমারই মত এবং তোমার যে ভাইরা যীশুর সাক্ষ্য ধরে রয়েছে তাদের মতো এক দাস। ঈশ্বরেরই উপাসনা কর, কারণ ভাববাদীর আত্মাই হল যীশুর সাক্ষ্য।”
শ্বেত অশ্বের চালক
11 এরপর আমি দেখলাম, স্বর্গ উন্মুক্ত, আর সেখানে সাদা একটা ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে। তার ওপর যিনি বসে আছেন, তাঁর নাম “বিশ্বস্ত ও সত্যময়” আর তিনি ন্যায়সিদ্ধ বিচার করেন ও যুদ্ধ করেন। 12 আগুনের শিখার মতো তাঁর চোখ, আর তাঁর মাথায় অনেকগুলি মুকুট আছে; সেই মুকুটগুলির উপর এমন এক নাম লেখা আছে, যার অর্থ তিনি ছাড়া অন্য আর কেউ জানে না। 13 রক্তে ডোবানো পোশাক তাঁর পরণে; তাঁর নাম ঈশ্বরের বাক্য। 14 স্বর্গের সেনাবাহিনী সাদা ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পেছনে পেছনে চলেছিল। তাদের পরণে ছিল শুচিশুভ্র মসীনার পোশাক। 15 একটি ধারালো তরবারি তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছিল, যা দিয়ে তিনি পৃথিবীর সমস্ত জাতিকে আঘাত করবেন। লৌহ যষ্টি হাতে জাতিবৃন্দের ওপর তিনি শাসন পরিচালনা করবেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধের কুণ্ডে তিনি সব দ্রাক্ষা মাড়াই করবেন। 16 তাঁর পোশাকে ও উরুতে লেখা আছে এই নাম:
যীশু, ঈশ্বরের মেষশাবক
29 পরের দিন যোহন যীশুকে তাঁর দিকে আসতে দেখে বললেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপরাশি বহন করে নিয়ে যান! 30 ইনিই সেই লোক, যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, ‘আমার পরে একজন আসছেন, কিন্তু তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।’ 31 এমনকি আমিও তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু ইস্রায়েলীয়রা যেন তাঁকে খ্রীষ্ট বলে চিনতে পারে এইজন্য আমি এসে তাদের জলে বাপ্তাইজ করছি।”
32-34 এরপর যোহন তাঁর সাক্ষ্যে বললেন, “আমি নিজেও খ্রীষ্ট কে তা জানতাম না। কিন্তু লোকদের জলে বাপ্তাইজ করতে ঈশ্বর আমাকে পাঠালেন। ঈশ্বর আমাকে বললেন, ‘তুমি দেখতে পাবে এক ব্যক্তির উপর পবিত্র আত্মা এসে অধিষ্ঠান করছেন। আর তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি পবিত্র আত্মাতে বাপ্তাইজ করবেন।’” যোহন বললেন, “আমি পবিত্র আত্মাকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখেছি। সেই আত্মা কপোতের আকারে এসে যীশুর উপর বসলেন। আমি তা দেখেছি আর তাই আমি লোকদের বলি, ‘তিনিই ঈশ্বরের পুত্র।’”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International