Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
20 যখন তুমি সংকটের মধ্যে থাকো, তখন প্রভু যেন তোমার ডাকে সাড়া দেন।
যাকোবের ঈশ্বর তোমায় সেগুলো অতিক্রম করতে সাহায্য করুন।
2 ঈশ্বর তাঁর পবিত্রস্থান থেকে তোমায় সাহায্য করুন।
সিয়োন পর্বত থেকে তিনি যেন তোমায় সাহায্য করেন।
3 তোমার দেওয়া সকল উৎসর্গ ঈশ্বর স্মরণে রাখুন।
তোমার দেওয়া সকল নৈবেদ্য যেন তিনি গ্রহণ করেন।
4 তুমি যা চাও, ঈশ্বর যেন তাই মঞ্জুর করেন।
তিনি যেন তোমার সব পরিকল্পনা সফল করেন।
5 ঈশ্বর যখন তোমাকে সাহায্য করেন তখন আমরা আনন্দ করব।
এস, আমরা তাঁর নামের প্রশংসা করি।
তুমি যা চাও প্রভু যেন তোমাকে তার সব কিছুই দেন!
6 এখন আমি জেনেছি, প্রভু তাঁর মনোনীত রাজাকে সাহায্য করেন!
প্রভু তাঁর পবিত্র স্বর্গলোকে বিরাজিত ছিলেন
এবং তাঁর মনোনীত রাজাকে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন।
7 কিছু লোক তাদের রথের ওপর নির্ভর করেছিল।
কিছু লোক তাদের সৈন্যদের ওপর নির্ভর করেছিল।
কিন্তু আমরা স্মরণে রেখেছিলাম আমাদের প্রভু ঈশ্বরকে।
8 সেই সব লোকগুলো পরাজিত হয়েছে, তারা যুদ্ধে মারা গেছে।
কিন্তু আমরা জিতেছি! আমরা বিজয়ী হয়েছি!
9 প্রভু তাঁর মনোনীত রাজাকে রক্ষা করেছেন!
ঈশ্বরের মনোনীত রাজা সাহায্য চাইলো। প্রভু তার উত্তর দিলেন!
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
21 প্রভু, আপনার শক্তি রাজাকে সুখী রাখে।
আপনি যখন তাকে রক্ষা করেন তখন সে অত্যন্ত খুশী হয়।
2 রাজা যা যা চেয়েছিল, আপনি তাকে তাই দিয়েছেন।
প্রভু, রাজা কিছু চেয়েছিল এবং আপনি তাকে ঠিক তাই দিয়েছেন সে যা চেয়েছিল।
3 প্রভু, সত্যিই আপনি রাজাকে আশীর্বাদ করেছেন।
আপনিই তার মাথায় সোনার মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন।
4 ঈশ্বর, রাজা আপনার কাছে জীবন চেয়েছিলো, আপনি তাকে তাই দিয়েছেন!
আপনি তাকে দীর্ঘ জীবন দিয়েছেন, যা যুগ যুগ ধরে চলছে।
5 আপনি রাজাকে জয়ের পথে পরিচালিত করেছেন এবং তাকে মহান গৌরব এনে দিয়েছেন।
আপনি তাকে সম্মান এবং প্রশংসা দিয়েছেন।
6 ঈশ্বর, সত্যিই আপনি রাজাকে চিরদিনের জন্য আশীর্বাদ করেছেন।
যখন রাজা আপনার মুখ দর্শন করে, তখন সে ভীষণ খুশী হয়।
7 রাজা প্রভুর ওপর আস্থা রাখে।
হে পরাৎপর, তাকে হতাশ করবেন না।
8 হে ঈশ্বর, আপনি আপনার শত্রুদের দেখাবেন যে আপনি শক্তিমান।
যারা আপনাকে ঘৃণা করে, আপনার শক্তি তাদের পরাজিত করবে।
9 হে প্রভু, আপনি যখন রাজার সঙ্গে থাকেন,
তখন সে একটা জ্বলন্ত চুল্লির মত যা সব কিছুকেই পুড়িয়ে দেয়।
তার ক্রোধ লেলিহান আগুনের মত জ্বলতে থাকে
এবং সে শত্রুদের বিনাশ করে।
10 আর তার শত্রুদের পরিবারসমূহ ধ্বংস হয়ে যাবে।
তারা এই পৃথিবী থেকে সরে যাবে।
11 কেন? কারণ ঐসব লোক প্রভু, আপনার বিরুদ্ধে খারাপ কাজের ফন্দি এঁটেছিল
কিন্তু তারা সফল হতে পারে নি।
12 প্রভু, ঐসব লোককে আপনি আপনার ক্রীতদাস করে রেখেছেন।
আপনি ওদের একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধেছেন।
আপনি ওদের গলায় দড়ি পরিয়েছেন।
আপনি ওদের ক্রীতদাসের মত মাথা নত করিয়েছেন।
13 প্রভু, আমরা আপনার মহত্বের গৌরব-গাথা গাইবো!
হে প্রভু, আপনার বিরাটত্বে আপনি মহিমান্বিত হউন!
দায়ূদের প্রশংসা গীতগুলির অন্যতম।
110 প্রভু আমার মনিবকে বলেছেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমার শত্রুকে তোমার অধীনে না এনে দিই ততক্ষণ আমার ডান দিকে বস।”
2 প্রভু তোমার রাজ্য বাড়াতে সাহায্য করবেন, তোমার রাজ্য সিয়োনে শুরু হবে
যতদিন পর্যন্ত তুমি তোমার শত্রুদের তাদের নিজেদের রাজ্যে শাসন করবে, ততদিন তা বাড়তে থাকবে।
3 যখন আপনি আপনার সৈন্যদের একত্রিত করবেন,
তখন আপনার লোকরা স্বেচ্ছায় আপনার সঙ্গে যোগ দেবে।
ওরা ওদের বিশেষ পোশাক পরে অতি প্রত্যুষে মিলিত হবে।
জমিতে পড়া শিশির কণার মত ওই তরুণরা আপনার চারদিকে থাকবে।
4 প্রভু একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
এবং তিনি তাঁর মত পরিবর্তন করবেন না।
“তুমি চিরদিনের জন্য একজন যাজক, একটি বিশিষ্ট রীতির যাজকের মত,
যেমন মল্কীষেদক ছিল সেইরকম।”
5 আমার প্রভু আপনার ডান দিকে রয়েছে।
যখন তিনি ক্রুদ্ধ হন তখন তিনি অন্যান্য রাজাদের পরাজিত করেন।
6 ঈশ্বর জাতি সকলের বিচার করবেন।
জমিটি মৃতদেহে ঢেকে যাবে
এবং ঈশ্বর শক্তিশালী জাতির নেতাদের শাস্তি দেবেন।
7 রাস্তার ধারের ঝর্ণা থেকে রাজাকে জল পান করতে হবে।
তারপর সে বিজয়ী হয়ে তার মাথা তুলবে!
116 প্রভু যখন আমার প্রার্থনা শোনেন,
তখন আমার ভালো লাগে।
2 আমি যখন সাহায্যের জন্য ডাকি
তখন তিনি আমার কথা শুনলে আমার ভালো লাগে।
3 আমি প্রায় মৃত হয়ে গিয়েছিলাম!
আমার চার দিকে মৃত্যুর দড়িগুলো জড়ানো ছিল।
কবর আমার ওপর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসছে।
আমি সংকটযুক্ত ও দুঃখিত হলাম।
4 তখন আমি প্রভুর নামকে আমন্ত্রণ করলাম।
আমি বলেছিলাম: “প্রভু, আমায় রক্ষা করুন!”
5 প্রভু মঙ্গলময় এবং করুণাময়।
ঈশ্বর দয়াময়।
6 প্রভু অসহায় মানুষের যত্ন নেন।
আমি সহায়হীন ছিলাম, প্রভু আমায় রক্ষা করেছেন।
7 হে আমার আত্মা, তোমার বিশ্রামের স্থানে ফিরে এস!
প্রভু তোমার সম্পর্কে যত্ন নেবেন।
8 হে ঈশ্বর, আপনি আমার আত্মাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছেন
এবং আপনি আমার অশ্রু নিবারণ করেছেন।
আপনি আমায় পতন থেকে রক্ষা করেছেন।
9 জীবিতদের রাজ্যে, আমি প্রভুর সেবা অব্যাহত রাখব।
10 যখন আমি বলেছি, “আমি ধ্বংস হয়ে গেছি”
তখনও আমি বিশ্বাস করে চলেছি।
11 হ্যাঁ, যখন আমি বিমর্ষ ছিলাম,
তখন বলেছিলাম, “সব লোকই মিথ্যাবাদী।”
12 আমি প্রভুকে কি আর দিতে পারি?
আমার যা কিছু আছে সবই প্রভু দিয়েছেন!
13 তিনি আমায় রক্ষা করেছেন,
তাই আমি তাঁকে পেয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করবো।
আমি প্রভুর নাম আমন্ত্রণ করবো।
14 যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রভুকে আমি তা দেবো।
আমি এখন তাঁর সকল লোকের সামনে যাবো।
15 প্রভুর অনুগামীদের একজনের মৃত্যু প্রভুর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রভু, আমি আপনার একজন দাস!
16 আমি আপনার দাস,
আমি আপনারই এক দাসীর সন্তান।
প্রভু, আপনিই আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন!
17 আমি আপনাকে ধন্যবাদ উৎসর্গ করবো।
আমি প্রভুর নাম স্মরণ করবো।
18 যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি প্রভুকে আমি তা দেবো।
আমি এখন তাঁর সকল লোকের সামনে যাবো।
19 আমি জেরুশালেমের মন্দিরে যাবো।
প্রভুর প্রশংসা কর।
117 তোমরা জাতিসকল, প্রভুর প্রশংসা কর।
তোমরা সব লোকেরা, প্রভুর প্রশংসা কর।
2 প্রভু আমাদের খুব ভালোবাসেন!
এবং প্রভু চিরদিনই আমাদের প্রতি সৎ থাকবেন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
পাথর থেকে জল নির্গত হল
17 সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা একসঙ্গে সীন মরুভূমি থেকে তাদের যাত্রা শুরু করল। প্রভু যেমনভাবে তাদের নেতৃত্ব দিলেন তারা সেইভাবে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে শুরু করল। ঘুরতে ঘুরতে তারা রফীদীমে গিয়ে শিবির স্থাপন করল। সেখানে কোনও পানীয় জল ছিল না। 2 তাই ঐসব লোকরা আবার মোশির সঙ্গে তর্ক শুরু করল এবং বলল, “আমাদের পানীয় জল দাও।”
মোশি তাদের বলল, “তোমরা কেন আমার বিরোধিতা করছো? কেনই বা তোমরা প্রভুকে পরীক্ষা করছো?”
3 কিন্তু লোকরা তখন প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত ছিল। তাই তারা পুনরায় মোশির কাছে নালিশ জানাতে শুরু করল। তারা বলল, “কেন তুমি আমাদের মিশর থেকে বার করে আনলে? তুমি কি আমাদের, আমাদের সন্তানদের এবং গবাদি পশুদের পানীয় জলের অভাবে মারার জন্য মিশর থেকে বাইরে নিয়ে এসেছো?”
4 তারপর মোশি প্রভুর কাছে কেঁদে পড়ল এবং বলল, “আমি এদের নিয়ে কি করি? যদি এখুনি কিছু না করা যায় তাহলে এরা তো সত্যি সত্যি আমাকে পাথর দিয়ে মেরে ফেলবে।”
5 প্রভু মোশিকে বললেন, “কিছু প্রবীণ নেতাদের নিয়ে ইস্রায়েলের লোকের সামনে গিয়ে দাঁড়াও। সঙ্গে তোমার পথ চলার লাঠিকেও নেবে যে লাঠি দিয়ে তুমি নীল নদে আঘাত করেছিলে। 6 আমি তোমার সামনে হোরেব পর্বতের (সীনয় পর্বত) ওপর দাঁড়াব। পথ চলার লাঠি দিয়ে ঐ পাথরে আঘাত করো আর তখনই দেখবে পাথর থেকে জল বেরিয়ে আসছে। ঐ জল লোকরা পান করতে পারবে।”
মোশি তাই করল এবং ইস্রায়েলের প্রবীণ নেতারাও তা স্বচক্ষে দেখতে পেল। 7 মোশি ঐ স্থানের নাম দিল মঃসা ও মরীবা, কারণ ঐ স্থানেই ইস্রায়েলের লোকরা তার বিরোধিতা করেছিল এবং ঈশ্বরের পরীক্ষা নিয়েছিল। লোকজন চেয়েছিল প্রভু তাদের সঙ্গে আছেন কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে।
অমালেকীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ
8 সেই সময় অমালেক গোষ্ঠীর লোকরা এল এবং রফীদীমে ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে দিল। 9 তখন মোশি যিহোশূয়কে বলল, “কিছু লোককে বেছে নিয়ে আগামীকাল থেকে অমালেকদের সঙ্গে যুদ্ধ করো। আমি তোমাকে পথ চলার লাঠি যেটাতে ঈশ্বরের পরাক্রম বিদ্যমান, সেইটা নিয়ে পাহাড়ের ওপর থেকে লক্ষ্য করব।”
10 পরদিন যিহোশূয় মোশির আদেশ মেনে যুদ্ধ করতে গেল। একই সময়ে মোশি, হারোণ এবং হূর পাহাড়ের চূড়ায় উঠল। 11 যতক্ষণ পর্যন্ত মোশি তার হাত তুলে রইল, ইস্রায়েলীয়রা যুদ্ধ জিতছিল, যখন সে তার হাত নামিয়েছিল তখন তারা হেরে যাচ্ছিল।
12 কিছু সময় পরে হাত তুলে থাকতে থাকতে মোশি ক্লান্ত হয়ে উঠল। তখন হারোণ ও হূর একটা বিশাল পাথরে মোশিকে বসিয়ে তারা উভয়ে মোশির দুদিকে গিয়ে তার হাত তুলে ধরল। সূর্য না ডোবা পর্যন্ত তারা এইভাবেই মোশির হাত দুটোকে তুলে ধরে রইল। 13 আর যিহোশূয় অমালেকদের যুদ্ধে পরাজিত করল।
14 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “এই যুদ্ধ নিয়ে একটা বই লেখ যাতে লোকরা মনে রাখে এখানে কি ঘটেছিল এবং যিহোশূয়ের কাছে এটা জোরে পড়ে শোনাও যাতে সে জানতে পারে যে আমি অমালেকদের এই পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দেব।”
15 এরপর মোশি একটি বেদী তৈরী করল। সেই বেদীর নাম হল “প্রভুই আমার পতাকা।” 16 মোশি বলল, “আমি প্রভুর সিংহাসনের দিকে হাত বাড়িয়ে ছিলাম বলেই প্রভু অমালেকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন, যেমন তিনি সর্বদা করেন।”
উপযুক্ত অধ্যক্ষ হও
7 সেই সময় ঘনিয়ে আসছে যখন সবকিছুই শেষ হবে, সুতরাং মন স্থির রাখ ও আত্মসংযমী হও। এটা তোমাদের প্রার্থনা করতে সাহায্য করবে। 8 সব থেকে বড় কথা এই যে তোমরা পরস্পরকে একাগ্রভাবে ভালবাস, কারণ ভালবাসা অনেক অনেক পাপ ঢেকে দেয়। 9 কোনরকম অভিযোগ না করে পরস্পরের প্রতি অতিথিপরায়ণ হও। 10 তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে যে যেমন আত্মিক উপহার পেয়েছ, সেই অনুসারে উপযুক্ত অধ্যক্ষের মত একে অপরকে সাহায্য কর। 11 যদি কেউ প্রচার করে, তবে সে এমনভাবে তা করুক, যেন ঈশ্বরের বাক্য বলছে। যদি কেউ সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তি অনুসারেই তা করুক, যাতে সব বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর প্রশংসিত হন। গৌরব ও পরাক্রম যুগে যুগে তাঁরই হোক্। আমেন।
খ্রীষ্টীয়ান হিসাবে দুঃখভোগ
12 প্রিয় বন্ধুরা, তোমাদের যাচাই করার জন্য যে কষ্টের আগুন তোমাদের মধ্যে জ্বলছে, তাতে তোমরা আশ্চর্য হয়ো না। কোন অদ্ভুত কিছু তোমাদের জীবনে ঘটছে বলে মনে করো না। 13 বরং তোমরা আনন্দ করো যে খ্রীষ্টের দুঃখভোগের ভাগীদার হতে পেরেছ। এরপর তাঁর মহিমা যখন প্রকাশ পাবে তখন তোমরা মহা আনন্দ লাভ করবে। 14 তোমরা খ্রীষ্টানুসারী হয়েছ বলে কেউ যদি তোমাদের অপমান করে, তবে তোমরা ধন্য, কারণ ঈশ্বরের মহিমার আত্মা তোমাদের মধ্যে বিরাজ করছে। 15 তোমাদের মধ্যে কেউ যেন খুনী, কি চোর, কি দুষ্কর্মকারী রূপে বা অন্যায়ভাবে অন্যের ব্যাপারে হাত দিয়ে দুঃখভোগ না করে। 16 কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টীয়ান বলে দুঃখভোগ করে, তবে সে যেন লজ্জা না পায়, কিন্তু তার সেই নাম (খ্রীষ্টীয়ান) আছে বলে সে ঈশ্বরের প্রশংসা করুক। 17 বিচার আরম্ভ হবার সময় হয়েছে এবং তা ঈশ্বরের লোকদের থেকেই শুরু করা হবে। সেই বিচার যদি আমাদের থেকেই শুরু করা হয় তবে যারা ঈশ্বরের সুসমাচার প্রত্যাখ্যান করে তাদের পরিণাম কি হবে?
18 শাস্ত্র যেমন বলে, “নীতিপরায়ণদের পরিত্রাণ লাভ যদি এমন কঠিন হয়
তবে যারা ঈশ্বরবিহীন ও পাপী তাদের কি হবে?”(A)
19 যারা ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে দুঃখভোগ করছে, তারা সেই বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্তার হাতে নিজেদের (আত্মাকে) সঁপে দিক এবং ভাল কাজ করে যাক্।
দুঃখ আনন্দে পরিণত হবে
16 “আর একটু পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না। অল্প একটু পরে আবার আমাকে দেখতে পাবে।”
17 তখন তাঁর শিষ্যদের মধ্যে কয়েকজন পরস্পরকে বলল, “উনি আমাদের কি বলতে চাইছেন, ‘কিছু পরে তোমরা আমায় দেখতে পাবে না, কিছু পরে তোমরা আবার আমায় দেখতে পাবে?’ এ কথারই বা অর্থ কি, ‘কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি’?” 18 তাঁরা আরও বললেন, “তিনি ‘অল্প কিছুকাল পরে’ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? তিনি কি বলছেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।”
19 তারা তাঁকে কি জিজ্ঞেস করতে চান তা যীশু বুঝতে পারলেন। তাই তিনি তাঁদের বললেন, “যখন আমি বললাম, ‘অল্প কিছু পরে তোমরা আমায় দেখতে পাবে না, আবার অল্প কিছু পরে আবার আমায় দেখতে পাবে, এর দ্বারা আমি কি বোঝাতে চাইছি এই নিয়েই কি পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করছ’? 20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা কাঁদবে, ব্যথিত হবে, কিন্তু জগত সংসার তাতে আনন্দিত হবে। তোমরা দুঃখে ভারাক্রান্ত হবে, কিন্তু তোমাদের দুঃখ আনন্দে পরিণত হবে।
21 “স্ত্রীলোক সন্তান প্রসবের সময় কষ্ট পায়, কারণ তখন তার প্রসব বেদনার সময়; কিন্তু যখন সে সন্তান প্রসব করে, তখন সে তার কষ্টের কথা ভুলে যায়, জগতে একজন জন্মগ্রহণ করল জেনে সে আনন্দিত হয়। 22 ঠিক সেই রকম, তোমরাও এখন দুঃখ পাচ্ছ, কিন্তু আমি তোমাদের আবার দেখা দেব, আর তোমাদের হৃদয় তখন আনন্দে ভরে যাবে। তোমাদের সেই আনন্দ কেউ তোমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। 23 সেদিন তোমরা আমার কাছে কিছু চাইবে না। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা আমার নামে যদি পিতার কাছে কিছু চাও, তিনি তোমাদের তা দেবেন। 24 এ পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছু চাও নি। তোমরা চাও, তাহলে তোমরা পাবে। তোমাদের আনন্দ তখন পূর্ণতায় ভরে যাবে।
জগত জয় করা হল
25 “আমি হেঁয়ালি করে তোমাদের এসব বলেছিলাম। সময় আসছে যখন আমি আর হেঁয়ালি করে তোমাদের কিছু বলব না, বরং পিতার বিষয় সরল ভাষায় তোমাদের কাছে ব্যক্ত করব। 26 সেই দিন যা চাইবার তা তোমরা আমার নামেই চাইবে, আর আমি তোমাদের বলছি না যে আমি তোমাদের হয়ে পিতার কাছে চাইব। 27 না, পিতা নিজেই তোমাদের ভালবাসেন, কারণ তোমরা আমায় ভালবেসেছ এবং তোমরা বিশ্বাস কর যে আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি। 28 আমি পিতার কাছ থেকে এই জগতে এসেছি, এখন আমি এ জগত ছেড়ে আবার পিতার কাছে ফিরে যাচ্ছি।”
29 তাঁর শিষ্যরা বললেন, “দেখুন, এখন আপনি স্পষ্টভাবে বলছেন, কোনরকম হেঁয়ালি করে বলছেন না। 30 এখন আমরা বুঝলাম যে আপনি সব কিছুই জানেন। কোন ব্যক্তি প্রশ্ন করার আগেই আপনি তার উত্তর দিতে পারেন। এজন্যই আমরা বিশ্বাস করি যে আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।”
31 যীশু তাঁদের বললেন, “তাহলে তোমরা এখন বিশ্বাস করছ? 32 শোন, সময় আসছে, বলতে কি এসে পড়েছে, যখন তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যে যার নিজের জায়গায় চলে যাবে, আর আমায় একা ফেলে পালাবে, তবু আমি একা নই, কারণ পিতা আমার সঙ্গে আছেন।
33 “আমি তোমাদের এসব কথা বললাম যাতে তোমরা আমার মধ্যে শান্তি পাও। জগতে তোমরা কষ্ট পাবে, কিন্তু সাহসী হও! আমিই জগতকে জয় করেছি!”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International