Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি মিকতাম।
16 হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করুন।
কারণ আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
2 আমি প্রভুকে বলেছিলাম,
“প্রভু, আপনিই আমার সদাপ্রভু।
যা কিছু ভালো জিনিস এখন আমার আছে তা আপনার কাছ থেকেই এসেছে।”
3 পৃথিবীতে তাঁর অনুচরদের জন্য প্রভু বিস্ময়কর কাজ করেন।
প্রভু দেখিয়ে দেন যে প্রকৃতই তিনি ঐসব লোকেদের ভালোবাসেন।
4 কিন্তু যারা অন্যান্য দেবতার পূজা করতে ছুটে যায় তারা অনেক যন্ত্রণায় পড়বে।
যে রক্ত তারা ঐসব দেবমূর্ত্তিতে উৎসর্গ করে, আমি সেই উৎসর্গের সামিল হব না।
এমনকি আমি ঐসব দেবমূর্ত্তির নামও উচ্চারণ করবো না।
5 না, আমার ভাগের অংশ, আমার পানপাত্র প্রভুর কাছ থেকে আসে।
প্রভু আপনি আমায় সহায়তা দিয়েছেন।
আপনি আমায় আমার অংশ দিয়েছেন।
6 আমার অংশটুকু অবশ্যই চমৎকার।
আমার উত্তরাধিকার সত্যিই সুন্দর।
7 আমি প্রভুর প্রশংসা করি, কারণ তিনি আমায় উত্তমরূপে শিক্ষাদান করেছেন।
এমনকি নিশাকালে, তাঁর নির্দেশসমূহ তিনি আমার অন্তরের গভীরে রেখে যান।
8 আমি সর্বদাই প্রভুকে আমার সামনে রাখি।
আমি কখনই তাঁর দক্ষিণ পাশ ছেড়ে যাবো না।
9 তাই, আমার হৃদয় এবং আত্মা অত্যন্ত খুশী হবে।
আমার দেহও নিরাপদে বেঁচে থাকবে।
10 কেন? কারণ হে প্রভু পাতালে আপনি আমার আত্মা ছেড়ে চলে যাবেন না।
আপনার বিশ্বস্ত জনকে আপনি কবরে পচতে দেবেন না।
11 আপনি আমাকে বাঁচার প্রকৃত পথ সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করবেন।
হে প্রভু, শুধুমাত্র আপনার সঙ্গে থাকলেই জীবনের চরম শান্তি লাভ হবে।
আপনার ডানদিকে থাকতে পারলেই চিরন্তন সুখ আসবে।
দায়ূদের একটি প্রার্থনা।
17 হে প্রভু, ন্যায্য বিচারের জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমি উচ্চস্বরে আপনাকে ডাকছি
এবং আমি যা বলছি, সৎভাবে বলছি।
অতএব, আমার প্রার্থনা শুনুন।
2 আপনি আমার সম্পর্কে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন।
আপনি সত্যকে দেখতে পান।
3 আপনি আমার অন্তরের গভীর পর্যন্ত দেখেছেন।
সারারাত আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
আপনি আমায় জিজ্ঞাসা করেছেন এবং আমার মধ্যে কোন ত্রুটি পান নি।
আমি কোন মন্দ ফন্দি করি নি।
4 আপনার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে,
মানুষের পক্ষে যতখানি কঠিন প্রচেষ্টা সম্ভব, তা আমি করেছি।
5 আমি আপনার পথ অনুসরণ করেছি।
আমার দুটি পা আপনার প্রদর্শিত জীবনের চলার পথ কখনও পরিত্যাগ করে নি।
6 হে ঈশ্বর, আমি আপনাকে ডাকছি, দয়া করে আমায় উত্তর দিন।
আমার কথা শুনুন, আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 হে ঈশ্বর, যারা আপনার ওপর নির্ভর করে,
তাদের আপনি সাহায্য করেন।
সেই সব লোক আপনার ডানদিকে দাঁড়াবে।
তাই দয়া করে, আপনার এক অনুগামীর প্রার্থনা শুনুন।
8 আপনার চোখের মণির মত আমায় রক্ষা করুন।
আপনার ডানার ছায়ায় আমায় আশ্রয় দিন।
9 প্রভু, সেই সব মন্দ লোক, যারা আমাকে বিনষ্ট করতে চাইছে, তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
যারা আমার চার পাশে থেকে আমাকে আঘাত করতে চাইছে, তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
10 ঐসব মন্দ লোক এত অহঙ্কারী যে তারা ঈশ্বরের বাক্য শুনতেই চায় না
এবং তারা নিজেদের সম্পর্কে বড়াই করে।
11 ঐসব লোক আমাকে তাড়া করেছে।
এখন তারা আমার চারপাশে রয়েছে।
তারা আক্রমণ করার জন্য তৈরী হয়ে রয়েছে।
12 ঐসব মন্দ লোক সিংহের মত অন্য পশুকে হত্যা করে খাবার জন্য অপেক্ষা করছে।
তারা সিংহের মত লুকিয়ে থাকে, আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকে।
13 প্রভু উঠুন এবং শত্রুদের কাছে যান।
ওদের দিয়ে আত্মসমর্পণ করান।
আপনার তরবারি ব্যবহার করে আমাকে মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
14 প্রভু, আপনার ক্ষমতা দ্বারা
দুষ্ট লোকদের বসতভূমি থেকে উচ্ছেদ করুন।
প্রভু, বহু লোক আপনার সাহায্যের জন্য এসেছে।
এই জীবনে এইসব লোকদের খুব বেশী কিছু নেই।
ঐসব লোককে প্রচুর খাদ্য দিন।
ওদের শিশুরা যা চায় সব দিন।
ওদের শিশুদের এতই বেশী পরিমান দিন যেন, ওরা ওদের শিশুদের জন্যও উদ্বৃত্ত খাদ্য রেখে যেতে পারে।
15 আমি বিচারের জন্য প্রার্থনা করেছি, তাই হে প্রভু আমি আপনাকে দেখবো।
এবং হে প্রভু, আপনাকে দেখে পরিপূর্ণভাবে পরিতৃপ্ত হব।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
134 তোমরা প্রভুর দাসরা
যারা সারা রাত ধরে মন্দিরে তাঁর সেবা কর!
2 সেবকগণ দুহাত তুলে
তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর।
3 প্রভু সিয়োন থেকে তোমাদের আশীর্বাদ করুন।
প্রভু আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
135 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু নামের প্রশংসা কর!
হে প্রভুর দাসগণ, তাঁর প্রশংসা কর!
2 তোমরা যারা প্রভুর মন্দিরে দাঁড়িয়ে আছো,
আমাদের ঈশ্বরের মন্দিরের আঙিনায়, তারা তাঁর প্রশংসা কর।
3 প্রভুর প্রশংসা কর, কারণ তিনি ভালো।
তাঁর নামের প্রশংসা কর, কারণ তা অত্যন্ত মনোরম।
4 প্রভু যাকোবকে মনোনীত করেছেন।
ইস্রায়েল ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত।
5 আমি জানি প্রভু মহান!
আমাদের প্রভু সব দেবতাদের চেয়ে মহান!
6 স্বর্গে এবং পৃথিবীতে, সমুদ্র বা গভীর মহাসাগরে
ঈশ্বর যা চান তাই করতে পারেন।
7 ঈশ্বরই, সারা পৃথিবীতে মেঘ সৃষ্টি করেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ সৃষ্টি করেন
এবং ঈশ্বরই বাতাস সৃষ্টি করেন।
8 ঈশ্বর, মিশরবাসীদের প্রথম সন্তান এবং সেখানকার পশুদের প্রথম শাবককে ধ্বংস করেছিলেন।
9 ঈশ্বর, মিশরে অনেক চমৎকার ও অলৌকিক কাজ করেছিলেন।
এমনকি ফরৌণ এবং তার আধিকারিকদের জন্যও ঈশ্বর এইসব ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর অনেক জাতিকে পরাজিত করেছিলেন।
অনেক শক্তিশালী রাজাকে ঈশ্বর হত্যা করেছিলেন।
11 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
বাশনের রাজা ওগকে ঈশ্বর পরাজিত করেছিলেন।
কনানের সব রাজ্যগুলিকে ঈশ্বর পরাস্ত করেছিলেন।
12 এবং তাদের ভূখণ্ডগুলি প্রভু ইস্রায়েলকে দিয়েছেন।
তাদের ভূখণ্ড প্রভু তাঁর লোকদের দিয়েছেন।
13 প্রভু আপনার নাম চিরদিন ধরে বিখ্যাত থাকবে!
প্রভু মানুষ আপনাকে চিরকাল মনে রাখবে।
14 প্রভু জাতিগুলিকে শাস্তি দিয়েছিলেন।
কিন্তু প্রভু তাঁর সেবকদের প্রতি সদয় ছিলেন।
15 অন্যান্য লোকদের দেবতারা শুধুই সোনা ও রূপোর মূর্ত্তি।
ওদের দেবতারা নিছকই মানুষের হাতের তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
16 ওই মূর্ত্তিগুলোর মুখ ছিলো কিন্তু কথা বলতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগুলোর চোখ ছিলো কিন্তু দেখতে পেতো না।
17 ওই মূর্ত্তিগুলোর কান ছিলো কিন্তু শুনতে পেতো না।
ওই মূর্ত্তিগূলোর নাক ছিলো কিন্তু ঘ্রাণ নিতে পারতো না।
18 যে লোকগুলো ওই মূর্ত্তিগুলো তৈরী করেছে তারাও ওই রকম হয়ে যাবে!
কেন? কারণ ওরা বিশ্বাস করে যে মূর্ত্তিগুলোই ওদের সাহায্য করবে।
19 হে ইস্রায়েলের পরিবারবর্গ, প্রভুর প্রশংসা কর!
হে হারোণের পরিবার, প্রভুর প্রশংসা কর!
20 হে লেবীয় পরিবার প্রভুর প্রশংসা কর!
হে প্রভুর অনুগামীরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
21 সিয়োন থেকে, তাঁর গৃহ জেরুশালেম থেকে,
প্রভু প্রশংসা প্রাপ্ত হন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
23 মোশি তখন তাদের বলল, “প্রভুই ওদের বলেছিলেন এটা করতে। কারণ আগামীকাল হল প্রভুকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য বিশেষ বিশ্রামের দিন। তোমরা আজ সব খাবার রান্না করে আজকে খাবার পরে অবশিষ্ট খাবার কালকের জন্য মজুত করে রাখতে পারো।”
24 মোশির আদেশমত, লোকরা সেদিনকার অতিরিক্ত খাবার পরের দিনের জন্য সঞ্চয় করে রেখে দিল। কিন্তু ঐ খাবার এতটুকু নষ্ট হল না। তার মধ্যে একটাও পোকা ছিল না।
25 শনিবার মোশি লোকদের বলল, “আজ হল প্রভুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য বিশেষ বিশ্রামের দিন। তাই আজ আর কেউ তোমরা মাঠে যাবে না। গতকালের মজুত করা খাবার আজ খাবে। 26 সপ্তাহের বাকি ছয় দিন খাবার সংগ্রহ করলেও প্রতি সাত দিনের দিন হবে বিশ্রামের দিন। তাই বিশ্রামের দিনে মাঠে কোনও খাবার পাওয়া যাবে না।” 27 একথা বলা সত্ত্বেও শনিবার কয়েকজন খাবারের সন্ধানে বাইরে গেল। কিন্তু দেখল কোনও খাবার মাঠে পড়ে নেই। 28 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “আর কতদিন এই লোকরা আমার নির্দেশ ও শিক্ষাকে অমান্য করবে? 29 দেখ, প্রভু এই বিশ্রামের দিনটি তোমাদের অবসরের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন। তাই প্রভু শুক্রবার তোমাদের দুদিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে দেন। সুতরাং যে যেখানেই থাকো না কেন শনিবার বিশ্রামের দিনে তোমরা সকলে বিশ্রাম নেবে ও আরাম করবে।” 30 তাই লোকজন প্রভুর কথামতো বিশ্রামের দিনে আরাম করতে লাগল।
31 ইস্রায়েলের লোকেরা ঐ খাদ্যবস্তুর নাম দিল “মান্না।” মান্নাকে দেখতে সাদা রঙের ধনে বীজের মতো হলেও এর স্বাদ অনেকটা মধু দিয়ে তৈরী করা পিঠের মতো। 32 মোশি বলল, “প্রভু বলেছেন: পরবর্তী উত্তরপুরুষের জন্য তোমাদের দু’পোয়া করে মান্না সঞ্চয় করে রাখতে হবে। তাহলে পরে তারা দেখতে পাবে এই বিশেষ খাবার যা আমি তোমাদের মিশর দেশ থেকে উদ্ধার করে এনে মরুভূমিতে দিয়েছি।”
33 তাই মোশি হারোণকে বলল, “একটা পাত্র নাও এবং তাতে দু’পোয়া মান্না রাখো। প্রভুর সামনে আমাদের উত্তর পুরুষদের জন্য এই মান্না রাখো।” 34 (মোশির প্রতি প্রভুর নির্দেশ মতো হারোণ একটি পাত্রে মান্না ভরল এবং সাক্ষ্য সিন্দুকের ভেতর রাখল।) 35 ইস্রায়েলীয়রা 40 বছর ধরে মান্না খেয়েছিল। কনান দেশের সীমান্তে এসে না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা মান্না খেয়েছিল। 36 (মান্না মাপা হত পোয়া হিসেবে। এক পোয়া হল 8 কাপের সমান।)
13 তোমরা যদি সব সময় ভাল কাজই করতে চাও তবে কে তোমাদের ক্ষতি করবে? 14 কিন্তু যদি ন্যায় পথে চলার জন্য নির্যাতিত হও, তাহলে তোমরা ধন্য আর, “তোমরা ঐ লোকদের ভয় করো না বা তাদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ো না।”(A) 15 বরং অন্তরে খ্রীষ্টকে পবিত্র প্রভু বলে মেনে নাও। তোমাদের সবার যে প্রত্যাশা আছে সেই বিষয়ে তোমাদের যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে তখন তার যথাযথ জবাব দিতে তোমরা সব সময় প্রস্তুত থেকো। 16 কিন্তু এই জবাব বিনয় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দেবে। তোমাদের বিবেক শুদ্ধ রেখো, যাতে তোমরা সমালোচিত না হও, তাহলে যারা তোমাদের খ্রীষ্টীয় সৎ জীবনযাপনের প্রতি অপমান প্রদর্শন করে তারা লজ্জিত হবে।
17 কারণ অন্যায় করে দুঃখভোগ করার চেয়ে বরং ঈশ্বরের যদি এমন ইচ্ছা হয়, ভাল কাজ করে দুঃখভোগ করা অনেক ভাল।
18 কারণ খ্রীষ্ট নিজে পাপের জন্য একবার চিরকালের জন্য
সবার হয়ে কষ্টভোগ করেছিলেন।
সেই ন্যায়পরায়ণ মানুষ অন্যায়কারী মানুষের জন্য
মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
এই কাজ তিনি করেছিলেন ঈশ্বরের কাছে তোমাদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
দৈহিকভাবে তাঁকে মারা হয়েছিল,
কিন্তু আত্মায় তিনি জীবিত হলেন।
19 সেই অবস্থায় তিনি কারারুদ্ধ আত্মাদের কাছে গিয়ে প্রচার করলেন। 20 সেই কারারুদ্ধ আত্মারা বহুকাল আগে নোহের সময়ে ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছিল। নোহের জাহাজ তৈরীর সময় ঈশ্বর তাদের জন্য ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছিলেন। সেই জাহাজে কেবল অল্প কিছু লোক (আট জন) জলের দ্বারা রক্ষা পেল। 21 সেই জল বাপ্তিস্মের মত যা এখন তোমাদের রক্ষা করে। শরীরের ময়লা সেই বাপ্তিস্মের দ্বারা ধুয়ে যায় না; কিন্তু তা ঈশ্বরের কাছে সৎ বিবেক বজায় রাখার জন্য এক আবেদন। যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের কারণে এটা তোমাদের রক্ষা করে। 22 যীশু স্বর্গারোহণ করে পিতা ঈশ্বরের ডানপাশে আছেন, আর স্বর্গদূতরা, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতগণ এবং শক্তিধররা এখন তাঁর অধীনে।
পরিবর্তিত জীবন
4 তাই বলছি, খ্রীষ্ট নিজেই যখন তাঁর মরদেহে দুঃখভোগ করলেন, তখন তোমরাও সেই একই মনোভাব নিয়ে নিজেদের মনটাকে দৃঢ় কর, কারণ দেহে যার দুঃখভোগ হয়েছে, সে পাপ করা থেকে নিবৃত্ত হয়েছে। 2 নিজেদের শক্তিশালী করে তোলো যাতে মানবিক বাসনার অনুগামী না হয়ে তোমরা বাকি জীবন ঈশ্বর তোমাদের কাছে যা চান তা করে কাটাতে পার। 3 কারণ অতীতে অবিশ্বাসীরা যেমন চলেছিল তেমনি চলে তোমরা অনেক সময় নষ্ট করেছ। তোমরা যৌন পাপে ও কামোচ্ছাসে লিপ্ত ছিলে এবং হুল্লোড়পূর্ণ মাতলামিতে ভরা ভোজসভায় যোগ দিয়ে ও ঘৃন্য মূর্তিপূজা করেই তো দিন কাটিয়েছ।
4 কিন্তু এখন সেই অবিশ্বাসী লোকেরাই দেখে আশ্চর্য হয় যে তোমরা আর সেই জংলী বেপরোয়া জীবনযাপনে যোগ দাও না; আর সেই জন্য তারা তোমাদের গালাগালি ও অপবাদ দেয়। 5 কিন্তু তাদের এই রকম আচরণের জন্য তাঁর (খ্রীষ্টের) কাছে কৈফিয়ত্ দিতে হবে, যিনি জীবিত ও মৃতদের বিচার করবেন। 6 এই কারণেই এই সুসমাচার সেই সমস্ত বিশ্বাসীদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল যাঁরা আজকে মৃত; যেন দৈহিকভাবে মানুষের মত তাঁদের মৃত্যুর বিধান দেওয়া হলেও ঈশ্বরের মত তাঁরা আত্মার দ্বারা অনন্তকাল বাস করেন।
16 “আমি তোমাদের এসব বলছি যাতে তোমরা তোমাদের বিশ্বাস ত্যাগ না কর। 2 তারা তোমাদের সমাজ-গৃহ থেকে বহিষ্কৃত করবে। বলতে কি এমন সময় আসছে, যখন তারা তোমাদের হত্যা করে মনে করবে যে তারা ঈশ্বরের সেবা করছে। 3 তারা এরূপ কাজ করবে কারণ তারা না জানে আমাকে, না জানে পিতাকে। 4 কিন্তু আমি তোমাদের এসব কথা বললাম, যেন এসব ঘটবার সময় আসলে তোমরা মনে করতে পার যে, আমি তোমাদের এসব বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
পবিত্র আত্মার কাজ
“শুরুতেই আমি তোমাদের এসব কথা বলিনি, কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে ছিলাম। 5 কিন্তু যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এখন আমি তাঁর কাছে ফিরে যাচ্ছি, আর তোমাদের কেউ জিজ্ঞেস করছ না, ‘আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’ 6 এখন আমি তোমাদের এসব কথা বললাম, তাই তোমাদের অন্তর দুঃখে ভরে গেছে। 7 কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি যদি না যাই তাহলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না। কিন্তু আমি যদি যাই তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।
8 “যখন সেই সাহায্যকারী আসবেন তখন তিনি পাপ, ন্যায়পরায়ণতা ও বিচার সম্পর্কে জগতের মানুষকে চেতনা দেবেন। 9 তিনি পাপ সম্পর্কে চেতনা দেবেন কারণ তারা আমাতে বিশ্বাস করে না। 10 ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে বোঝাবেন কারণ এখন আমি পিতার কাছে যাচ্ছি, আর তোমরা আমায় দেখতে পাবে না। 11 বিচার সম্বন্ধে চেতনা দেবেন কারণ এই জগতের যে শাসক তার বিচার হয়ে গেছে।
12 “তোমাদের বলবার মতো আমার এখনও অনেক কথা আছে; কিন্তু সেগুলো তোমাদের গ্রহণ করার পক্ষে এখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে। 13 সত্যের আত্মা যখন আসবেন, তখন তিনি সকল সত্যের মধ্যে তোমাদের পরিচালিত করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছু বলেন না, কিন্তু তিনি যা শোনেন তাই বলেন, আর আগামী দিনে কি ঘটতে চলেছে তা তিনি তোমাদের কাছে বলবেন। 14 তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কারণ আমি যা বলি তাই তিনি গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন। 15 যা কিছু পিতার, তা আমার। এই কারণেই আমি বলেছি যে সত্যের আত্মা আমার নিকট থেকে সবই গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International