Book of Common Prayer
প্রথম খণ্ড
(গীতসংহিতা 1–41)
1 একজন ব্যক্তি প্রকৃত সুখী হবে যদি সে মন্দ লোকের পরামর্শে না চলে,
যদি সে পাপীদের মত জীবনযাপন না করে,
যদি সে তাদের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করে—যারা ঈশ্বরকে অশ্রদ্ধা করে।
2 একজন সৎ ব্যক্তি প্রভুর শিক্ষাকে ভালোবাসে।
সে প্রভুর শিক্ষা বিষয়ে দিনরাত চিন্তা করে।
3 এই জন্য সেই ব্যক্তি নদীর ধারে পোঁতা গাছের মত শক্ত ও দৃঢ় হয়।
যে গাছ ঠিক সময় ফল দেয়, সেই লোক সেই গাছের মত হয়।
সেই লোক, সেই গাছের মতই হয়, যার পাতা কোনদিন ঝরে যায় না।
সে যা কিছু করে, সবই সফল হয়।
4 মন্দ লোকরা সে রকম নয়।
মন্দ লোকরা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া তুষের মত।
5 সৎ লোকরা যদি একটা বিচারের সিদ্ধান্ত নেবার জন্য একত্রিত হয়, তবে মন্দ লোকরা অপরাধী হিসেবেই প্রমাণিত হবে।
সেই পাপীরা, বিচারে সরল নিষ্পাপ বলে প্রমাণিত হবে না।
6 কেন? কারণ প্রভু সৎ লোকদের রক্ষা করেন,
কিন্তু মন্দ লোকদের বিনাশ করেন।
2 অন্যান্য জাতিগুলোর লোকজন এত ক্রুদ্ধ কেন?
কেন তারা বোকার মত পরিকল্পনা করছে?
2 তাদের রাজারা এবং নেতারা,
প্রভু এবং তাঁর মনোনীত রাজার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একত্রিত হচ্ছে।
3 সেই সব নেতা বলছে, “এস আমরা ঈশ্বর এবং তাঁর মনোনীত রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি।
এস আমরা ওদের থেকে আলাদা হয়ে বেরিয়ে এসে নিজেদের মুক্ত করি!”
4 কিন্তু আমার প্রভু, স্বর্গের রাজা,
ওদের প্রতি বিদ্রূপের হাসি হেসেছিলেন।
5 ঈশ্বর ক্রুদ্ধ হয়ে সেই সব লোকদের বলেছেন,
6 “এই ব্যক্তিকে আমি রাজা হিসেবে মনোনীত করেছি!
এবং সে সিয়োন পর্বতে রাজত্ব করবে।
সিয়োন আমার কাছে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পর্বত।”
এই ঘটনা সেই সব নেতাদের ভীত করলো।
7 এখন আমি তোমাকে প্রভুর চুক্তির কথা বলবো।
প্রভু আমায় বললেন, “আজ আমি তোমার পিতা হলাম!
এবং তুমি আমার পুত্র।
8 যদি তুমি আমার কাছে চাও,
আমি সমগ্র জাতিগুলি তোমার হাতে দিয়ে দেব!
9 ভেঙে যেতে পারে না এমন ক্ষমতা নিয়ে তুমি তাদের ওপর শাসন করবে।
তুমি তাদের ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া মাটির পাত্রের মত ছড়িয়ে দেবে।”
10 সুতরাং হে রাজন্যবর্গ, জ্ঞানী হও।
অতএব হে শাসকগণ, চালাক-চতুর হও।
11 ভয় ও শ্রদ্ধা সহকারে প্রভুর সেবা কর।
12 ঈশ্বরের পুত্রকে চুম্বন কর এবং প্রমাণ কর যে তুমি ঈশ্বরের পুত্রের প্রতি ভক্তিতে একনিষ্ঠ
যদি তুমি তা না কর তিনি ক্রুদ্ধ হবেন এবং তোমায় বিনাশ করবেন।
সেই সব লোক যারা প্রভুর ওপর আস্থা রাখে তারা ধন্য।
কিন্তু অন্যদের সাবধান হতে হবে, কারণ প্রভু তাঁর ক্রোধ দেখাতে প্রায় প্রস্তুত।
দায়ূদের একটি গীত যখন থেকে তিনি তাঁর পুত্র অবশালোমের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
3 প্রভু, আমার অসংখ্য শত্রু।
বহু লোক আমার বিরুদ্ধে চলে গেছে।
2 বহু লোক আমার বিরুদ্ধে মন্দ কথা বলছে।
তারা বলছে, “ঈশ্বর ওকে রক্ষা করবেন না!”
3 কিন্তু হে প্রভু, আপনিই আমার ঢালস্বরূপ।
আপনি আমার গৌরব।
প্রভু আপনি আমাকে গুরুত্বপূর্ণ করেছেন![a]
4 আমি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করবো।
পবিত্র পর্বত থেকে তিনি আমার ডাকে সাড়া দেবেন!
5 আমি শুয়ে পড়ি এবং বিশ্রাম নিই এবং আমি জানি, আবার আমি জেগে উঠবো।
কেন? কারণ প্রভু আমায় আবৃত করে থাকেন। প্রভু আমায় রক্ষা করেন!
6 যদি হাজার সৈন্যও আমায় ঘিরে ফেলে,
আমি ঐ শত্রুদের ভয়ে ভীত হব না!
7 প্রভু, উঠে দাঁড়ান।[b]
হে আমার ঈশ্বর, আপনি এসে আমায় উদ্ধার করুন!
আপনি অসীম শক্তির অধিকারী!
আমার শত্রুদের চোয়ালে আপনি যদি আঘাত করেন
আপনি তাদের সবকটা দাঁতই ভেঙে দেবেন।
8 হে প্রভু, আপনার জয়!
এবং আপনার আশীর্বাদ রয়েছে আপনার লোকদের ওপর।
পরিচালকের প্রতি: তন্ত্রবাদ্যসহ গাইবার জন্য দায়ূদের একটি গীত।
4 হে আমার ধার্ম্মিকতার ঈশ্বর, যখন আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি,
আমার ডাকে সাড়া দেবেন!
আমার প্রার্থনা শুনুন, আমার প্রতি সদয় হোন!
সঙ্কট থেকে আমায় পরিত্রাণ দিন!
2 হে মানব সন্তানগণ, আর কতদিন তোমরা আমার বিরুদ্ধে মন্দ কথা বলতে থাকবে?
আমার সম্পর্কে বলার জন্য তোমরা নতুন নতুন মিথ্যার সন্ধান করছো। তোমরা মিথ্যা কথা বলতে ভালোবাসো।
3 তোমরা জানো যে, ঈশ্বর তাঁর অনুগামী ভালো লোকদের কথাই শোনেন।
সুতরাং যখন আমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করি তখন তিনি আমার কথা শোনেন।
4 যদি কোন কিছু তোমায় বিব্রত করে, তুমি রেগে যেতে পারো, কিন্তু পাপ করো না।
যখন তুমি বিছানায় ঘুমোতে যাও, তখন তুমি অবশ্যই ঐ সব বিষয়ে চিন্তা করবে না এবং শান্ত থাকবে।
5 ঈশ্বরকে ধার্ম্মিকতার বলি উৎসর্গ কর
এবং প্রভুর ওপর আস্থা রাখ।
6 অনেকে বলে, “কে আমাদের ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতা দেখাবে?
প্রভু, আপনার দীপ্তিময় মুখখানি আমাদের দেখতে দিন!”
7 প্রভু, আপনি আমায় প্রচণ্ড সুখী করেছেন!
ফসলের সময়, যখন আমাদের কাছে প্রচুর শস্য এবং দ্রাক্ষারস ছিল তখনকার চেয়েও আমি এখন বেশী খুশী।
8 আমি বিছানায় গিয়ে নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে পড়ি। কেন?
কারণ, হে প্রভু, নিরাপদে ঘুমোবার জন্য আপনি আমাকে শুইয়ে দেন।
প্রভুর উদ্দেশ্যে দায়ূদের একটি গীত। এই গানটি বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর কূশের পুত্র শৌল সম্পর্কিত।
7 প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি আপনার ওপর নির্ভর করি। যারা আমায় তাড়া করছে তাদের হাত থেকে আপনি আমায় রক্ষা করুন। আমায় উদ্ধার করুন!
2 যদি আপনি আমায় সাহায্য না করেন, আমি সিংহের হাতে ধরা পড়া পশুর মত অসহায় হয়ে পড়ব।
তারা আমাকে টেনে নিয়ে যাবে।
আমাকে রক্ষা করার কেউ থাকবে না!
3 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমি কোন অন্যায় করি নি।
আমি শপথ করে বলছি আমি কোন অন্যায় করিনি!
4-6 প্রভু আমার ঈশ্বর, যদি আমার বাক্য কোন মন্দ কাজ করে থাকে
এবং যদি আমি আমার বন্ধুর প্রতি কোন অন্যায় কাজ করে থাকি
এবং যদি কোন কারণ ছাড়াই শত্রুর কাছ থেকে কোন জিনিস নিয়ে থাকি বা আক্রমণ করে থাকি
তাহলে আমার শত্রুরা যেন আমাকে খুঁজে ধরে ফেলে
এবং আমাকে হত্যা করে আমার জীবন ধূলোয় মিশিয়ে দেয়
এবং আমার আত্মাকে পাতালে পাঠিয়ে দেয়।
7 প্রভু, লোকদের বিচার করুন।
সকল জাতিদের আপনার সঙ্গে সঙ্ঘবদ্ধ করুন।
8 এবং লোকদের বিচার করুন।
হে প্রভু, আমারও বিচার করুন।
প্রমাণ করুন আমি সত্য পথে আছি।
প্রমাণ করুন আমি নিষ্পাপ।
9 মন্দ লোকদের শাস্তি দিন,
সৎ লোকদের সাহায্য করুন।
হে ঈশ্বর, আপনিই মঙ্গলময়।
আপনি লোকের হৃদয়ের ভেতরে কি আছে তা দেখতে পান।
10 যাদের হৃদয় সৎ তাদের ঈশ্বর সাহায্য করেন।
তাই ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন।
11 ঈশ্বর একজন সুবিচারক।
সব সময় তিনি মন্দের বিরুদ্ধে বলেন।
12 ঈশ্বর তাঁর আক্রমণ থামাবেন না।
তিনি তাঁর আক্রমণ থেকে পিছু হঠবেন না।[a]
তিনি তাঁর ধনুকে টান দিয়েছেন
এবং শত্রুদের প্রতি তাঁর লক্ষ্য স্থির রেখেছেন।
13 তিনি মারণাস্ত্র তৈরী করে রেখেছেন এবং তাঁর তীরগুলো ধারালো করেছেন।
14 কিছু লোক সর্বদাই মন্দ ফন্দি আঁটে।
তারা গোপনে ফন্দি করে
এবং মিথ্যা কথা বলে।
15 তারা অন্য লোকদের ফাঁদে ফেলতে চায় এবং আঘাত করতে চায়।
কিন্তু নিজেদের ফাঁদে পড়েই ওরা আহত হবে।
16 যা শাস্তি ওদের প্রাপ্য ওরা সেই শাস্তিই পাবে।
অপরের প্রতি ওরা নির্দয় ছিল।
ওদের যা প্রাপ্য ওরা তাই পাবে।
17 আমি প্রভুর প্রশংসা করি, কারণ তিনি ভালো।
আমি পরাৎপর প্রভুর নামের প্রশংসা করি।
21 মোশি সূফ সাগরের ওপর তার হাত মেলে ধরল। প্রভু পূর্ব দিক থেকে প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি করলেন। এই ঝড় সারারাত ধরে চলতে লাগল। দু’ভাগ হয়ে গেল সমুদ্র। এবং বাতাস মাটিকে শুকনো করে দিয়ে সমুদ্রের মাঝখান বরাবর পথের সৃষ্টি করল। 22 ইস্রায়েলের লোকরা ঐ পথ দিয়ে হেঁটে সূফ সাগর পেরিয়ে গেল। তাদের দুদিকে ছিল জলের দেওয়াল। 23 পিছনে ফরৌণের সমস্ত অশ্বারোহী সেনা ও রথ ধাওয়া করল। 24 পরদিন সকালে মেঘস্তম্ভ ও অগ্নিশিখার ওপর থেকে প্রভু মিশরীয় সেনাদের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন। তখন প্রভু ইস্রায়েলীয়দের পক্ষ নিয়ে মিশরীয় সৈন্যবাহিনীকে আতঙ্কে ফেলে দিলেন। 25 রথের চাকা আটকে গিয়ে রথ চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। মিশরীয়রা চিৎকার করে উঠল, “চলো এখান থেকে বেরিয়ে যাই। প্রভুই ইহুদীদের হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।”
26 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “সমুদ্রের ওপর তোমার হাত তুলে ধর। দেখবে তীব্র জলোচ্ছ্বাস গ্রাস করছে মিশরীয়দের রথ ও অশ্বারোহী সেনাদের।”
27 মোশি তার হাত সমুদ্রের ওপর মেলে ধরলো। তাই দিনের আলো ফোটার ঠিক আগে সমুদ্র তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গেল। মিশরীয়রা জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচার তাগিদে প্রাণপনে দৌড়তে লাগল। কিন্তু প্রভু তাদের সমুদ্রের জলে ঠেলে দিলেন। 28 জলোচ্ছ্বাস গ্রাস করল রথ ও অশ্বারোহী সেনাদের। ফরৌণের যে সমস্ত সেনারা ইস্রায়েলীয়দের তাড়া করে আসছিল তারা সব ধ্বংস হল। কেউ বেঁচে থাকল না।
29 ইস্রায়েলের লোকরা সমুদ্রের মাঝখানে তৈরি হওয়া পথ দিয়ে সূফ সাগর পেরিয়ে গেল। তাদের পথের দুপাশে ছিল জলের দেওয়াল। 30 সুতরাং সেইদিন এইভাবে প্রভু মিশরীয়দের হাত থেকে ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করলেন। পরে ইস্রায়েলীয়রা সূফ সাগরের তীরে মিশরীয়দের মৃত দেহের সারি দেখতে পেল। 31 মিশরীয়দের সেই পরিণতি দেখার পর থেকে ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুর শক্তি সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হল। তারা প্রভুকে ভয় ও সম্মান করতে শুরু করল। তারা বিশ্বাস করতে শুরু করল প্রভুকে এবং তাঁর দাস মোশিকে।
1 আমি পিতর, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত।
পন্ত, গালাতীয়া, কাপ্পাদকিয়া, এশিয়া ও বিথুনিয়াতে ঈশ্বরের যেসব মনোনীত লোকরা নির্বাসনে ছড়িয়ে আছে তাদের উদ্দেশ্যে এই চিঠি লিখছি। 2 বহুপূর্বেই পিতা ঈশ্বর তাঁর পরিকল্পনা অনুসারে তোমাদের মনোনীত করেছেন, যাতে তোমরা তাঁর পবিত্র লোকসমষ্টি হও। পবিত্র আত্মা তোমাদের পবিত্র করেছেন। ঈশ্বর চেয়েছিলেন, যে তোমরা তাঁর বাধ্য হবে ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের রক্তে শুচি হবে।
ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও শান্তি যেন তোমাদের ওপর প্রচুর পরিমানে বর্তায়।
জীবন্ত প্রত্যাশা
3 প্রশংসিত হোন ঈশ্বর ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা! ঈশ্বরের মহাদয়ায় তিনি আমাদের নতুন জীবন দিয়েছেন। খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা এই নতুন জীবন এনেছে এক নতুন প্রত্যাশা। 4 আমরা এখন ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রত্যাশা করব যা তিনি সন্তানদের জন্য স্বর্গে সঞ্চিত রেখেছেন, যা কখনও ধ্বংস বা বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
5 বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের শক্তি তোমাদের রক্ষা করছে এবং যে পর্যন্ত না তোমরা পরিত্রাণ পাও সেই পর্যন্ত নিরাপদে রাখছে। সেই পরিত্রাণের আয়োজন করা আছে যাতে তা শেষকালে তোমরা পাও। 6 আপাততঃ বিভিন্ন দুঃখ কষ্ট তোমাদের ব্যথিত করলেও ঐ কথা ভেবে তোমরা আনন্দ কর। 7 এসব দুঃখ কষ্ট আসে কেন? এরা আসে যাতে তোমাদের বিশ্বাস খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়। যে সোনা ক্ষয় পায় তাকেও আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি করা হয়, আর তোমাদের খাঁটি বিশ্বাস তো সেই সোনার চাইতেও মূল্যবান। বিশ্বাসের পরীক্ষায় যদি দেখা যায় যে তোমাদের বিশ্বাস অটল আছে, তবে যীশু খ্রীষ্টের পুনরাগমনের সময় তোমরা কত না প্রশংসা, গৌরব ও সম্মান পাবে।
8 তাঁকে না দেখেও তোমরা তাঁকে ভালবাস। তোমরা তাঁকে না দেখতে পেয়েও বিশ্বাস করছ বলে তোমরা এক অনির্বচনীয় গৌরবময় মহা আনন্দে পরিপূর্ণ হচ্ছ। 9 তোমাদের বিশ্বাসের এক লক্ষ্য আছে, আর সেই লক্ষ্য হল তোমাদের আত্মার পরিত্রাণ যা তোমরা লাভ করছ।
10 ঈশ্বরের অনুগ্রহ যে তোমরা লাভ করবে সে বিষয়ে ভাববাদীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তাঁরা এই মুক্তির বিষয়েও সযত্নে অনুসন্ধান করেছেন। 11 খ্রীষ্টের আত্মা ঐসব ভাববাদীদের মধ্যে ছিলেন এবং সেই আত্মা তাঁদের জানিয়েছিলেন খ্রীষ্টের প্রতি কি কি দুঃখভোগ ঘটবে এবং সেই দুঃখভোগের পর কত মহিমা আসবে। তাঁরা এও জানতে চেষ্টা করেছিলেন যে সেই আত্মা তাঁদের কি নির্দেশ করছেন, কখন সেই সব ঘটবে এবং তা ঘটার সময় জগৎ কেমন থাকবে।
12 ঐ ভাববাদীদের জানানো হয়েছিল যে ঐ সব সেবা কাজ তাঁদের জন্য নয়, বরং ভাববাদীরা তোমাদেরই সেবা করেছিলেন। স্বর্গ থেকে পাঠানো পবিত্র আত্মায় পরিচালিত হয়ে যাঁরা তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে তোমরা সেই সব কথা শুনেছ। তোমরা যে সব বিষয় শুনেছ, সে সব বিষয় স্বর্গদূতরাও শুনতে আগ্রহী।
শিষ্যদের প্রতি যীশুর সান্ত্বনা
14 “তোমাদের হৃদয় বিচলিত না হোক্। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখো, আর আমার প্রতিও আস্থা রাখো। 2 আমার পিতার বাড়িতে অনেক ঘর আছে, যদি না থাকতো আমি তোমাদের বলতাম। আমি তোমাদের থাকবার একটা জায়গা ঠিক করতে যাচ্ছি। 3 সেখানে গিয়ে জায়গা ঠিক করার পর আমি আবার আসব ও তোমাদের আমার কাছে নিয়ে যাব, যাতে আমি যেখানে থাকি তোমরাও সেখানে থাকতে পার। 4 আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সকলেই সে জায়গার পথ চেন।”
5 থোমা তাঁকে বললেন, “প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা আমরা জানি না। আমরা সেখানে যাবার পথ কিভাবে জানবো?”
6 যীশু তাঁকে বললেন, “আমিই পথ, আমিই সত্য ও জীবন। পিতার কাছে যাবার আমিই একমাত্র পথ। 7 তোমরা যদি সত্যি আমাকে জেনেছ, তবে পিতাকেও জানতে পেরেছ। আর এখন থেকে তোমরা তাঁকে জেনেছ ও তাঁকে দেখেছ।”
8 ফিলিপ যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি পিতাকে আমাদের দেখান, তাহলেই যথেষ্ট হবে।”
9 যীশু তাঁকে বললেন, “আমি তোমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছি; আর ফিলিপ, তোমরা এখনও আমায় চিনলে না? যে কেউ আমায় দেখেছে সে পিতাকে দেখেছে। তোমরা কি করে বলছ, ‘পিতাকে আমাদের দেখান’? 10 তুমি কি বিশ্বাস কর না যে আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতাও আমার মধ্যে আছেন? আমি তোমাদের যে সকল কথা বলি তা নিজের থেকে বলি না। আমার মধ্যে যিনি আছেন সেই পিতা তাঁর নিজের কাজ করেন। 11 যখন আমি বলি যে আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতাও আমার মধ্যে আছেন, তখন আমাকে বিশ্বাস কর। যদি তা না কর, তবে আমার দ্বারা কৃত সব অলৌকিক কাজের কারণেই বিশ্বাস কর।
12 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে আমার ওপর বিশ্বাস রাখে, আমি যে কাজই করি না কেন, সেও তা করবে, বলতে কি সে এর থেকেও আরো মহান কাজ করবে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি। 13 আর তোমরা আমার নামে যা কিছু চাইবে, আমি তা পূর্ণ করব, যেন পিতা পুত্রের দ্বারা মহিমান্বিত হন। 14 তোমরা যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু চাও, আমি তা পূর্ণ করব।
পবিত্র আত্মার প্রতিশ্রুতি
15 “তোমরা যদি আমায় ভালবাস তবে তোমরা আমার সমস্ত আদেশ পালন করবে। 16 আমি পিতার কাছে চাইব, আর তিনি তোমাদের আর একজন সাহায্যকারী[a] দেবেন, যেন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন। 17 তিনি সত্যের আত্মা,[b] যাঁকে এই জগত সংসার মেনে নিতে পারে না, কারণ জগত তাঁকে দেখে না বা তাঁকে জানে না। তোমরা তাঁকে জান, কারণ তিনি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন, আর তিনি তোমাদের মধ্যেই থাকবেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International