Book of Common Prayer
97 প্রভু শাসন করেন, তাই পৃথিবী সুখী।
দূরদূরান্তের ভূখণ্ডও সুখী।
2 ঘন কালো মেঘ প্রভুকে ঘিরে রয়েছে।
সুবিচার এবং ধার্ম্মিকতা তাঁর রাজ্যকে দৃঢ় করে।
3 একটা আগুন প্রভুর আগে আগে যায়
এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করে।
4 তাঁর বিদ্যুৎ আকাশে ঝলক দিয়ে ওঠে।
তা দেখে লোকে ভয় পায়।
5 পর্বতও প্রভুর সামনে মোমের মত গলে যায়।
সমগ্র পৃথিবীর প্রভুর সামনে তারা গলে যায়!
6 আকাশ তাঁর ধার্ম্মিকতার কথা বলে!
প্রত্যেকে তাঁর মহিমা দেখুক!
7 লোকরা তাদের মূর্ত্তিকে পূজা করে।
ওরা ওদের “দেবতার” বড়াই করে।
কিন্তু ওই লোকগুলো লজ্জিত হবে।
ওদের “দেবতারাই” মাথা নত করে প্রভুর উপাসনা করবে।
8 সিয়োন, শোন এবং সুখী হও!
যিহূদার শহরসমূহ, সুখী হও!
কেন? কারণ ঈশ্বর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেন।
9 হে পরাৎপর প্রভু, প্রকৃতই আপনি পৃথিবীর শাসনকর্তা।
“দেবতাদের” চেয়ে আপনি অনেক ভালো।
10 যারা প্রভুকে ভালোবাসে, তারা মন্দকে ঘৃণা করবে।
ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
11 ধার্ম্মিক লোকদের ওপর আলো ও সুখ উদ্ভাসিত হয়।
12 হে ধার্ম্মিক লোকরা, প্রভুতে সুখী হও!
তাঁর পবিত্র নামের সম্মান কর!
99 প্রভুই রাজা।
তাই জাতিগুলোকে ভয়ে কাঁপতে দাও।
করূব দূতদের ওপরে ঈশ্বর একজন রাজার মত বসেন।
তাই পৃথিবীকে ভয়ে কেঁপে উঠতে দাও।
2 সিয়োনে প্রভু মহান!
সমগ্র জাতির ওপরে তিনি একজন মহান নেতা।
3 সমস্ত লোক আপনার প্রশংসা করুক।
ঈশ্বরের নাম ভীতিপ্রদ।
ঈশ্বরই পবিত্র।
4 শক্তিশালী রাজা ন্যায় বিচার পছন্দ করে।
ঈশ্বর, আপনিই ধার্ম্মিকতা সৃষ্টি করেছেন।
আপনিই যাকোবকে ধার্ম্মিকতা এবং ন্যায়নীতি দিয়েছিলেন।
5 আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর
এবং তাঁর পবিত্র পাদপীঠে[a] উপাসনা কর।
6 মোশি ও হারোণ তাঁর বহু যাজকদের মধ্যে দু’জন
এবং শমূয়েলও তাঁর নাম উচ্চারণকারীদের একজন।
ওরা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলো
এবং প্রভু ওদের উত্তর দিয়েছেন।
7 দীর্ঘ মেঘের ভেতর থেকে ঈশ্বর কথা বলেছেন।
ওরাও তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করেছিল।
ঈশ্বর ওদের বিধি প্রদান করেছিলেন।
8 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন।
আপনি ওদের দেখিয়েছেন যে আপনিই ক্ষমাশীল ঈশ্বর
এবং মানুষ মন্দ কাজ করে বলে আপনি মানুষকে শাস্তি দেন।
9 আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
তাঁর পবিত্র পর্বতের দিকে মাথা নত কর এবং তাঁর উপাসনা কর।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, সত্যিই পবিত্র!
115 হে প্রভু, আমাদের কোন সম্মান পাওয়া উচিৎ নয়।
সব সম্মানই আপনার।
আপনার প্রেমের জন্য আমরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি।
2 অন্য জাতির লোকরা কি করে বলতে পারে, “কোথায় তোমাদের ঈশ্বর?”
3 ঈশ্বর স্বর্গে রয়েছেন এবং তিনি যা চান তাই করতে পারেন।
4 অন্যান্য জাতির “দেবতারা” শুধুই সোনা ও রূপার তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
ওরা কিছু মানুষের তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
5 ওই মূর্ত্তিদের মুখ আছে কিন্তু কথা বলতে পারে না।
ওদের চোখ আছে কিন্তু দেখতে পায় না।
6 ওদের কান আছে কিন্তু শুনতে পায় না।
ওদের নাক আছে কিন্তু ঘ্রাণ নিতে পারে না।
7 ওদের হাত আছে কিন্তু অনুভব করতে পারে না।
ওদের পা আছে কিন্তু চলতে পারে না
এবং ওদের কন্ঠ থেকে কোন স্বর আসে না।
8 যে সব লোকরা মূর্ত্তিগুলি তৈরী করে এবং তাতে তাদের আস্থা রাখে, তারা কি ওই সব মূর্ত্তিগুলোর মত হয়ে যাবে?
9 হে ইস্রায়েলের লোকরা, প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
10 হারোণের পরিবার প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
11 প্রভুর অনুগামীরা, প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
12 প্রভু আমাদের স্মরণে রাখবেন
এবং আমাদের আশীর্বাদ করবেন।
প্রভু ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ করবেন।
প্রভু হারোণের পরিবারকে আশীর্বাদ করবেন।
13 প্রভু তাঁর সমস্ত অনুগামীদের আশীর্বাদ করবেন।
দীন থেকে মহত্তম পর্যন্ত সকলকেই সমানভাবে আশীর্বাদ করবেন।
14 প্রভু, তোমাকে এবং তোমার সন্তানদের অনেক অনেক আশীর্বাদ দিন।
15 প্রভুই স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন
এবং প্রভু তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন!
16 স্বর্গ ঈশ্বরের
কিন্তু মানুষকে তিনি পৃথিবী দিয়েছেন।
17 মৃত লোকেরা ঈশ্বরের প্রশংসা করে না।
মৃত লোকেরা, যারা কবরে রয়েছে তারা প্রভুর প্রশংসা করে না।
18 কিন্তু আমরা এখন প্রভুকে ধন্যবাদ দিচ্ছি এবং চিরদিন আমরা তাঁকে ধন্যবাদ দেবো।
প্রভুর প্রশংসা কর!
40 ইস্রায়েলীয়বাসীরা 430 বছর ধরে মিশরে বাস করেছিল। 41 প্রভুর সৈন্যরা[a] 430 বছর পর সেই বিশেষ দিনে মিশর ত্যাগ করেছিল। 42 তাই সেটা ছিল একটি বিশেষ রাত্রি কারণ প্রভু তাদের মিশর থেকে বাইরে বার করে আনার জন্য লক্ষ্য রাখছিলেন। সেইভাবে, সমস্ত ইস্রায়েলবাসীরা প্রভুকে সম্মান জানানোর জন্য চিরকাল এই বিশেষ রাতটির প্রতি লক্ষ্য রাখবে।
43 প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “এই হল নিস্তারপর্বের বলির নিয়মাবলী: কোন বিদেশী এই নিস্তারপর্বে আহার করবে না। 44 কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি কোন দাস কেনে এবং তাকে সুন্নৎ করায় তাহলে সেই দাস নিস্তারপর্ব খেতে পারবে। 45 কিন্তু যে লোক তোমার দেশের একজন সাময়িক বাসিন্দা বা ভাড়া করা কর্মী তার নিস্তারপর্ব ভোজ খাওয়া উচিৎ নয়। এই নিস্তারপর্ব শুধুমাত্র ইস্রায়েলের লোকদের জন্য।
46 “প্রত্যেক পরিবার একটি বাড়ীতেই আহার করবে। কোনও খাবার বাড়ীর বাইরে যাবে না, মেষ শাবকের কোন হাড় ভাঙ্গবে না। 47 সমস্ত ইস্রায়েল প্রজাতির মানুষ এই উৎসব পালন করবে। 48 যদি ইস্রায়েলীয় ছাড়া অন্য কোন উপজাতির লোক তোমাদের সঙ্গে থাকে এবং তোমাদের খাবারে ভাগ বসাতে চায় তবে তাকে এবং তার পরিবারের প্রত্যেক পুরুষকে সুন্নৎ করাতে হবে। তাহলে সে অন্যান্য ইস্রায়েলীয়দের সমকক্ষ হয়ে যাবে এবং তাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খেতে পারবে। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তির সুন্নৎ না করানো হয় তবে সে এই খাবার আহার করতে পারবে না। 49 এই নিয়ম সকলের জন্যই প্রযোজ্য। এই নিয়মটি ইস্রায়েলীয় অথবা অ-ইস্রায়েলীয় সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”
50 তাই প্রভু মোশি ও হারোণকে যা আদেশ দিয়েছিলেন সমস্ত ইস্রায়েলের লোক তা পালন করল। 51 তাই সেই দিন প্রভু এইভাবে দলে দলে ইস্রায়েলবাসীদের মিশর দেশ থেকে বাইরে বার করে আনলেন।
29 কিন্তু যারা মৃত লোকদের উদ্দেশ্যে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে তাদের কি হবে? মৃতেরা যদি কখনও পুনরুত্থিত না হয়, তাহলে তাদের জন্য এই লোকেরা কেন বাপ্তাইজ হয়?
30 আমরাই বা কেন প্রতি মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হই? 31 আমি প্রতিদিন মরছি। খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের জন্য আমার যে গর্ব আছে তারই দোহাই দিয়ে আমি বলছি, একথা সত্য। 32 যদি শুধু মানবিক স্তরে ইফিষের সেই হিংস্র পশুদের সঙ্গে যুদ্ধ করে থাকি তাহলে আমার কি লাভ হয়েছে? কিছুই না। মৃতদের যদি পুনরুত্থান নেই তবে, “এস ভোজন পান করি কারণ কাল তো আমরা মরবই।”(A)
33 ভ্রান্ত হয়ো না, “অসৎ সঙ্গ সচ্চরিত্র নষ্ট করে।” 34 চেতনায় ফিরে এস, পাপ কাজ বন্ধ কর, কারণ তোমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা ঈশ্বর সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তোমাদের লজ্জা দেবার জন্যই আমি একথা বলছি।
আমাদের কি রকম দেহ হবে
35 কিন্তু কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করবে, “মৃতেরা কি করে পুনরুত্থিত হয়? তাদের কি রকম দেহই বা হবে?” 36 কি নির্বোধের মত প্রশ্ন! তোমরা যে বীজ বোনো, তা না মরা পর্যন্ত জীবন পায় না। 37 তুমি যা বোনো, যে “দেহ” উৎপন্ন হবে তুমি তা বোনো না, তার বীজ মাত্র বোনো, সে গমের বা অন্য কিছুর হোক্। 38 তারপর ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে তিনি তার জন্য একটা দেহ দেন। প্রতিটি বীজের জন্য তাদের নিজের নিজের দেহ দেন। 39 সকল প্রাণীর মাংস এক রকমের নয়; কিন্তু মানুষের এক রকমের মাংস, পশুদের আর এক ধরণের মাংস, পক্ষীদের আবার অন্য রকমের মাংস। 40 সেই রকম স্বর্গীয় দেহগুলি যেমন আছে, তেমনি পার্থিব দেহগুলিও আছে। স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার ঔজ্জ্বল্য, আবার পার্থিব দেহগুলির অন্যরকম। 41 সূর্যের এক প্রকারের ঔজ্জ্বল্য, চাঁদের আর এক ধরণের, আবার নক্ষত্রদের অন্য ধরণের। একটা নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্য ভিন্ন।
মৃত্যু থেকে যীশুর পুনরুত্থানের সংবাদ
(মার্ক 16:1-8; লূক 24:1-12; যোহন 20:1-10)
28 বিশ্রামবারের শেষে সপ্তাহের প্রথম দিন, অর্থাৎ, ববিবার খুব ভোরে মগ্দলীনী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবরটা দেখতে এলেন।
2 তখন হঠাৎ ভীষণ ভূমিকম্প হল, কারণ প্রভুর একজন স্বর্গদূত স্বর্গ থেকে নেমে এসে সেই পাথরখানা সমাধিগুহার মুখ থেকে সরিয়ে দিলেন ও তার ওপরে বসলেন। 3 তাঁর চেহারা বিদ্যুত ঝলকের মতো উজ্জ্বল ও তাঁর পোশাক তুষারশুভ্র। 4 তাঁর ভয়ে পাহারাদাররা কাঁপতে কাঁপতে মড়ার মতো হয়ে গেল।
5 সেই স্বর্গদূত ঐ স্ত্রীলোকদের বললেন, “তোমরা ভয় পেও না, আমি জানি তোমরা যাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে খুঁজছ। 6 কিন্তু তিনি এখানে নেই। তিনি যেমন বলেছিলেন, তেমনি পুনরুত্থিত হয়েছেন। এস, যেখানে তাঁকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল তা দেখ; 7 আর তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁর শিষ্যদের বল, ‘তিনি মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন। তিনি তোমাদের আগে আগে গালীলে যাচ্ছেন, তোমরা তাঁকে সেখানে দেখতে পাবে।’” তারপর স্বর্গদূত বললেন, “আমি তোমাদের যে কথা বললাম তা মনে রেখো।”
8 তখন সেই স্ত্রীলোকেরা তাড়াতাড়ি কবরের কাছ থেকে চলে গেলেন। তাঁরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, তবু তাঁদের মন আনন্দে ভরে গিয়েছিল, তাঁরা যীশুর শিষ্যদের একথা বলার জন্য দৌড়ালেন। 9 হঠাৎ যীশু তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, “শুভেচ্ছা নাও!” তখন তাঁরা যীশুর কাছে গিয়ে তাঁর পা জড়িয়ে ধরে তাঁকে প্রণাম করলেন। 10 যীশু তাঁদের বললেন, “ভয় করো না, তোমরা যাও, আমার ভাইদের গিয়ে বল, তারা যেন গালীলে যায়, সেখানেই আমার দেখা পাবে।”
ইহুদী নেতাদের কাছে সংবাদ এল
11 সেই মহিলারা যখন যাচ্ছিলেন, তখন সেই পাহারাদারদের কয়েকজন শহরে গিয়ে যা যা ঘটেছিল তা প্রধান যাজকদের বলল। 12 প্রধান যাজকরা ইহুদী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে একটা ফন্দি আঁটলো। তারা সেই পাহারাদারদের অনেক টাকা দিয়ে বলল, 13 “তোমরা লোকদের বলো আমরা রাতে যখন ঘুমাচ্ছিলাম সেই সময় যীশুর শিষ্যরা এসে তাঁর দেহটা চুরি করে নিয়ে গেছে। 14 আর একথা যদি রাজ্যপালের কানে যায়, আমরা তাঁকে বোঝাব আর তোমাদের ঝামেলার হাত থেকে দূরে রাখব।” 15 তারা সেই টাকা নিয়ে তাদের যেমন বলতে শেখানো হয়েছিল তেমনই বলল। ইহুদীদের মধ্যে আজও এই গল্পটাই প্রচলিত আছে।
শিষ্যদের সঙ্গে যীশু কথা বললেন
(মার্ক 16:14-18; লূক 24:36-49; যোহন 20:19-23; প্রেরিত 1:6-8)
16 এবার সেই এগারো জন শিষ্য গালীলে ফিরে গিয়ে যীশু তাঁদের যেমন বলেছিলেন সেই মতো সেই পর্বতে গেলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International