Book of Common Prayer
95 এস, আমরা প্রভুর প্রশংসা করি!
যে শিলা আমাদের রক্ষা করেন তাঁর উদ্দেশ্যে আমরা উচ্চস্বরে প্রশংসাধ্বনি দিই।
2 আমরা প্রভুর উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের গান গাই।
তাঁর প্রশংসায় আমরা আনন্দগান গাই।
3 কেন? কারণ প্রভুই মহান ঈশ্বর!
তিনিই সেই মহান রাজা যিনি সকল “দেবতাদের” শাসন করছেন।
4 গভীরতম গুহা, উচ্চতম পর্বত, সবই প্রভুর।
5 সমুদ্রও তাঁরই—তিনিই তা সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বর তাঁর নিজের হাতে এই শুকনো জমি সৃষ্টি করেছেন।
6 এস, আমরা অবনত হয়ে তাঁর উপাসনা করি!
যে প্রভু আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রশংসা করি!
7 কেন? কারণ যদি আমরা তাঁর কন্ঠ শুনি
তাহলে তিনি আমাদের ঈশ্বর হবেন
এবং আমরা হব সেই লোকেরা যাদের তিনি খাদ্য জোগান,
আমরা হব সেই মেষ যাদের তিনি স্বহস্তে নেতৃত্ব দেন।
8 ঈশ্বর বলেন, “মরীবাতে তোমরা যেমন অবাধ্য হয়েছিলে,
মঃসার মরুপ্রান্তরে যেমন হয়েছিল, তেমন হয়ো না।
9 তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমায় পরীক্ষা করেছে।
ওরা আমাকে পরীক্ষা করেছিলো কিন্তু এই সময় ওরা দেখেছিলো আমি কি করতে পারি!
10 40 বছর ধরে আমি ওদের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ করেছি।
আমি জানি যে ওরা বিশ্বাসী নয়।
ওরা আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করতে অগ্রাহ্য করেছে।
11 তাই ওদের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি কথা দিয়েছিলাম যে,
‘ওরা আমার বিশ্রামের স্থানে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না।’”
পরিচালকের প্রতি: “ভোরের হরিণ” গানটির সুরে বসানো দায়ূদের একটি গীত।
22 হে আমার ঈশ্বর, হে আমার ঈশ্বর!
কেন আপনি আমায় ছেড়ে চলে গেছেন?
আপনি এত দূরে যে, আমাকে রক্ষা করতে পারবেন না!
আপনি এত দূরে যে, আমার সাহায্যের জন্য চিৎকারও শুনতে পাবেন না!
2 ঈশ্বর আমার, সারাদিন ধরে আমি আপনাকে ডেকেছি।
কিন্তু আপনি সাড়া দেন নি।
সারারাত ধরে আমি আপনাকে ডেকেছি।
3 ঈশ্বর, আপনি হলেন সেই পবিত্র একজন।
আপনি রাজার মত থেকে যান। ইস্রায়েলের প্রশংসাই আপনার সিংহাসন।
4 আমাদের পূর্বপুরুষরা আপনার ওপর বিশ্বাস করেছিলেন।
হ্যাঁ, হে ঈশ্বর তাঁরা আপনার ওপর বিশ্বাস করেছিলেন এবং আপনি তাঁদের রক্ষা করেছেন।
5 ঈশ্বর, আমাদের পূর্বপুরুষরা আপনার কাছে সাহায্যের জন্য কেঁদে পড়েছিলেন
এবং তাঁরা তাঁদের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।
তাঁরা আপনার ওপর আস্থা রেখেছিলেন এবং তাই তাঁরা আশাহত হন নি!
6 সুতরাং, আমি কি কীট, মানুষ নই?
লোকে আমার সম্পর্কে লজ্জা বোধ করে এবং আমাকে ঘৃণা করে।
7 প্রত্যেকে যারা আমাকে দেখে, আমায় নিয়ে ঠাট্টা করে।
তারা তাদের মাথা নাড়ায় এবং আমায় জিভ ভেঙ্গায়।
8 তারা আমায় বলে: “প্রভুর কাছে সাহায্য চাও।
হয়তো বা তিনি তোমার পরিত্রাণ করবেন।
তিনি যদি সত্যিই তোমায় পছন্দ করেন, নিশ্চয়ই তিনি তোমায় উদ্ধার করবেন!”
9 হে ঈশ্বর, এটাই প্রকৃত সত্য যে, একমাত্র আপনার ওপরেই আমি নির্ভর করি।
এমন কি আমি যখন আমার মায়ের বুকের দুধ খেতাম আপনি আমাকে আশ্বাস এবং স্বস্তি দিতেন।
10 যে দিন আমি জন্মেছি, সে দিন থেকেই আপনি আমার ঈশ্বর।
মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার পরেই আমি আপনার যত্নে লালিত হয়েছি।
11 তাই, হে আমার ঈশ্বর, আমাকে ছেড়ে যাবেন না!
কারণ সংকট নিকটবর্ত্তী।
আমাকে সাহায্য করার মত কেউই নেই।
12 আমার চারপাশে লোকজন রয়েছে, শক্তিশালী বলদের মত
তারা আমার চারদিকে ঘিরে রয়েছে।
13 তাদের মুখগুলো একটা গর্জনকারী সিংহের মত হাঁ করে খোলা,
যেন তার শিকারের দিকে সবেগে ছুটে যাচ্ছে।
14 মাটিতে ফেলে দেওয়া জলের মত আমার শক্তি চলে গেছে।
আমার অস্থিগুলো আলাদা হয়ে গেছে।
আমি আমার সাহস হারিয়ে ফেলেছি!
15 আমার শক্তি[a] ভাঙ্গা মৃত্ পাত্রের মতই শুকিয়ে গেছে।
আমার জিভ তালুতে আটকে যাচ্ছে।
আপনি আমাকে মৃত্যুর ধূলায় পৌঁছে দিয়েছেন।
16 আমার চারপাশে “কুকুর” ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সেই সব মন্দ লোকেদের দল আমাকে ফাঁদে ফেলেছে।
সিংহের মত তারা আমার হাত ও পা বিদ্ধ করে দিয়েছে।
17 আমি আমার হাড়গুলো পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি।
লোকজন আমার দিকে চেয়ে রয়েছে!
তারা ক্রুর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!
18 ঐ লোকগুলো ওদের মধ্যে আমার কাপড়গুলো ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।
তারা আমার কাপড়ের জন্য ঘুঁটি চালছে।
19 প্রভু, আমাকে ছেড়ে যাবেন না!
আপনিই আমার শক্তি।
শীঘ্রই আমাকে সাহায্য করুন!
20 প্রভু, শত্রুর তরবারি হতে আমায় রক্ষা করুন।
ওই সব কুকুরদের হাত থেকে আমার মূল্যবান জীবন রক্ষা করুন।
21 আমাকে সিংহের মুখ থেকে রক্ষা করুন।
বলদের শিং এর আঘাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
22 প্রভু, আপনার সম্পর্কে আমি আমার ভাইদের বলবো।
মহাসমাজের সামনে আমি আপনার প্রশংসা করব।
23 তোমরা যারা প্রভুর উপাসনা কর, তারা প্রভুর প্রশংসা কর!
হে ইস্রায়েলের উত্তরপুরুষগণ প্রভুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর!
হে ইস্রায়েলের মানুষ, প্রভুকে ভয় ও শ্রদ্ধা কর।
24 কেন? কারণ প্রভু দরিদ্র লোকদের তাদের সংকটে সাহায্য করেন।
প্রভু তাদের জন্য লজ্জিত নন।
যদি মানুষ তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে
তিনি তাদের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকেন না।
25 প্রভু, মহাসমাজে আমার প্রশংসা আপনার কাছ থেকেই আসে।
এইসব উপাসনাকারী ভক্তদের সামনে, আমার মানত করা বলি আমি আপনাকে উৎসর্গ করবো।
26 দরিদ্র লোকরা খেয়ে তৃপ্ত হবে।
তোমরা যারা প্রভুকে খুঁজছ, তারা তাঁর প্রশংসা কর!
তোমাদের অন্তঃকরণ চিরজীবি হউক!
27 তোমরা, সুদূর দেশগুলির জনগণ, প্রভুকে মনে রেখো
এবং তাঁর কাছে ফিরে এস!
যে সব মানুষ বিদেশে থাকে তারাও যেন প্রভুরই উপাসনা করে।
28 কেন? কারণ প্রভুই রাজা।
তিনি সব জাতিকে শাসন করেন।
29 বলিষ্ঠ এবং সুদেহী লোকেরা আহারান্তে ঈশ্বরের কাছে প্রণিপাত করবে।
বস্তুতঃ সকলে যারা মারা যাবে
এবং যারা ইতিমধ্যেই মারা গেছে
তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে অবনত হবে!
30 এবং ভবিষ্যতে আমাদের উত্তরপুরুষরা প্রভুর সেবা করবে।
লোকে চিরদিন তাঁর কথা বলবে।
31 প্রত্যেকটি প্রজন্ম তাদের শিশুদের কাছে
ঈশ্বর যে ভাল জিনিসগুলি করেছেন সে সম্পর্কে বলবে।
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি গীত।
40 আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম, তিনি তা শুনেছেন।
তিনি আমার ডাক শুনেছেন।
2 তিনি আমাকে কবর থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমাকে সেই কাদাময় জায়গা থেকে টেনে তুলেছেন।
তিনি আমায় উদ্ধার করে, আমাকে শক্ত মাটিতে দাঁড় করিয়েছেন।
তিনি আমার পদস্খলন হতে দেন নি।
3 প্রভু আমার মুখে নতুন গান দিয়েছেন,
সেই গান দিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের প্রশংসা করি।
বহুলোক দেখতে পাবে আমার কি হবে
এবং তারা ঈশ্বরের উপাসনা করবে। তাঁরা প্রভুকে বিশ্বাস করবে।
4 সেই ধন্য যে প্রভুর উপর বিশ্বাস রাখে।
যদি কেউ অপদেবতা এবং মূর্ত্তির দিকে সাহায্যের জন্য না যায় সে প্রকৃতই সুখী হবে।
5 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি অনেক আশ্চর্য কার্য করেছেন!
আমাদের জন্য আপনার ভীষণ ভালো পরিকল্পনা আছে।
কোন লোকই তার সব তালিকা করতে পারবে না!
আমি সেই সব জিনিসের কথা বার বার বলবো যা গুনে শেষ করা যায় না।
6 আপনি আমাকে প্রকৃত সত্য বাণী শোনবার কান দিয়েছেন।
হে প্রভু আপনি আমাকে এটা বুঝতে দিয়েছেন।
আপনি প্রকৃতপক্ষে উৎসর্গ বা শস্য নৈবেদ্য কোনটাই চান নি।
আপনি আসলে হোমবলি এবং পাপমোচনের নৈবেদ্যও চান না।
কিন্তু আপনি যা চান তা হল অন্য আরো কিছু।
7 তাই আমি বলেছি, “এই যে আমি, আমায় গ্রহণ করুন।
আমি এসেছি, আমার সম্পর্কে বইতে এমনই লেখা আছে।
8 হে ঈশ্বর, আপনি যা চান, আমি সেইগুলোই করতে চাই।
আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো জানতে চাই।”
9 মহাসভায় মানুষের সামনে আমি জয়ের কথা বলেছি।
এবং প্রভু আপনি জানেন, সুসমাচার উচ্চারণ করা থেকে আমি কখনও বিরত হব না।
10 আপনার কৃত মহৎ কীর্তি সম্পর্কে আমি বলেছি।
আমার অন্তরেও আমি সে সব কথা গোপন রাখি নি।
প্রভু আমি লোকদের বলেছি, নিজেদের বাঁচানোর জন্য তারা আপনার ওপর নির্ভর করতে পারে।
আমি মহাসভায় আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা গোপন করি নি।
11 তাই, প্রভু আপনার করুণা আমার কাছে লুকোবেন না!
আপনার করুণা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে আমায় রক্ষা করুন।
12 মন্দ লোকরা আমার চারদিকে জড় হয়েছে।
তাদের গুনে শেষ করা যাবে না!
আমি আমার পাপের আবর্ত্তে আটকে পড়েছি।
আমি তা থেকে পালাতে পারছি না।
আমার মাথার চুলের চেয়েও ওদের সংখ্যা বেশী।
আমি সাহস হারিয়েছি।
13 প্রভু আমার কাছে ছুটে আসুন, আমায় বাঁচান!
প্রভু তাড়াতাড়ি এসে আমায় সাহায্য করুন!
14 ঐসব মন্দ লোক আমায় হত্যা করতে চাইছে।
প্রভু ঐসব লোককে হতাশ ও লজ্জিত করুন।
ঐ লোকরা আমায় আঘাত করতে চাইছে।
ওরা যেন লজ্জায় ছুটে পালিয়ে যায়!
15 ঐ মন্দ লোকরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
ঐসব লোক যেন অবমাননায় বোবা হয়ে যায়!
16 কিন্তু তারা, যারা আপনার কাছে আসে যেন সুখী হয় ও আনন্দ পায়।
তারা আপনার হাতে উদ্ধার পেতে ভালবাসে। অতএব তারা বলুক, “প্রভুর প্রশংসা কর!”
17 প্রভু, আমি একজন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ।
আমায় সাহায্য করুন, আমায় রক্ষা করুন।
হে আমার ঈশ্বর, আর দেরী করবেন না!
যন্ত্রণার অর্থ
3 আমি সেই মানুষ যে অনেক দুঃখ কষ্ট দেখেছে।
আমি তাকে দেখেছি
যে আমাদের লাঠি দিয়ে মেরেছিল!
2 প্রভু আমাকে আলোয় নয়,
অন্ধকারে নিয়ে এলেন।
3 প্রভু আমাকে সারা দিন ধরে তাঁর হাত দিয়ে মারধোর করেছেন।
তিনি আমাকে বারবার মারলেন।
4 তিনি আমার চামড়া ও মাংস ছিঁড়ে ফেললেন।
তিনি হাড়গোড় ভেঙে দিলেন।
5 প্রভু আমার বিরুদ্ধে তিক্ততা ও সমস্যার পাহাড় তৈরী করলেন।
তিনি আমার চারি দিকে তিক্ততার সমস্যাকে আনলেন।
6 যারা দীর্ঘসময় থেকে মৃত তাদের মতো
তিনি আমাকে অন্ধকারে বসিয়ে রাখলেন।
7 তিনি আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখলেন।
তাই আমি বেরোতে পারলাম না, ভারী চেন দিয়ে তিনি আমাকে বেঁধে রাখলেন।
8 এমনকি যখন আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করে কাঁদলাম
প্রভু আমার সেই প্রার্থনায় কর্ণপাত করেন নি।
9 তিনি ভাঙা পাথর দিয়ে আমার বেরোনোর পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি ঐ পথকে আঁকাবাঁকা করে দিয়েছেন।
19 আমার যন্ত্রণা এবং আমার উদ্দেশ্যহীন ভাবে
ঘুরে বেড়ানো মনে রাখবেন।
যে শাস্তি আপনি আমায় দিয়েছিলেন তা মনে রাখবেন।
20 সব দুঃখ কষ্টের কথা আমার ভালো ভাবেই মনে আছে
এবং আমি খুবই বিষন্ন।
21 কিন্তু ঠিক তক্ষুনি, আমি অন্য কিছু ভাবি।
যখন আমি এরকম করে ভাবি, আমি কিছু আশা দেখতে পাই এবং আমার ভাবনাগুলি হল এইরকম:
22 প্রভুর করুণা ও ভালোবাসা অসীম।
তাঁর দয়ার কোন শেষ নেই।
23 প্রতিটি প্রভাতে নতুন নতুন ভাবে আপনি এটা প্রদর্শন করেন!
আপনি খুব নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত!
24 আমি মনে মনে বললাম, “আমি যা চাই তা হল, প্রভু।
তাঁর ওপর আমার আস্থা আছে।”
25 যে সব লোকরা প্রভুর জন্য অপেক্ষা করে, প্রভু তাদের প্রতি সদয় হন।
প্রভুর কাছে যারা সাহায্য চায় তাদের প্রতি প্রভু সদয়।
26 নিজেকে রক্ষা করবার সব চেয়ে ভাল উপায় হল
শান্তভাবে প্রভুর অপেক্ষায় থাকা।
27 কোন ব্যক্তির পক্ষে ছোট বেলা থেকেই
যোয়াল বহন করা ভালো।
28 প্রভু যখন তাঁর যোয়াল বা বাঁক কোন ব্যক্তির ওপর রাখেন
তখন শান্তভাবে একাকী তার বসে থাকা উচিত।
29 উদ্ধার পাবার আশায়
তাকে তার মুখ আভূমি নত করতে হবে।
30 ওই লোকটির গাল বাড়িয়ে চড় খাওয়া উচিত।
ওই ব্যক্তির উচিত অন্যদের তাকে অপমান করতে দেওয়া।
31 ওই ব্যক্তির মনে রাখা উচিত
যে প্রভু কাউকেই চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করেন না।
32 প্রভু যখন শাস্তি দেন তখন তিনি ক্ষমাও করেন।
এই ক্ষমা তাঁর গভীরে ভালবাসা আর করুণা থেকেই আসে।
33 প্রভু কাউকে শাস্তি দিতে চান না।
লোকরা অশান্তিতে থাকুক এটাও তিনি চান না।
10 ঈশ্বরের অনুগ্রহ যে তোমরা লাভ করবে সে বিষয়ে ভাববাদীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তাঁরা এই মুক্তির বিষয়েও সযত্নে অনুসন্ধান করেছেন। 11 খ্রীষ্টের আত্মা ঐসব ভাববাদীদের মধ্যে ছিলেন এবং সেই আত্মা তাঁদের জানিয়েছিলেন খ্রীষ্টের প্রতি কি কি দুঃখভোগ ঘটবে এবং সেই দুঃখভোগের পর কত মহিমা আসবে। তাঁরা এও জানতে চেষ্টা করেছিলেন যে সেই আত্মা তাঁদের কি নির্দেশ করছেন, কখন সেই সব ঘটবে এবং তা ঘটার সময় জগৎ কেমন থাকবে।
12 ঐ ভাববাদীদের জানানো হয়েছিল যে ঐ সব সেবা কাজ তাঁদের জন্য নয়, বরং ভাববাদীরা তোমাদেরই সেবা করেছিলেন। স্বর্গ থেকে পাঠানো পবিত্র আত্মায় পরিচালিত হয়ে যাঁরা তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে তোমরা সেই সব কথা শুনেছ। তোমরা যে সব বিষয় শুনেছ, সে সব বিষয় স্বর্গদূতরাও শুনতে আগ্রহী।
পবিত্রভাবে জীবনযাপন করতে আহ্বান
13 সেবা করবার উপযোগী করে তোমাদের মনকে প্রস্তুত রেখো, আর আত্মসংযমী হও। যীশু খ্রীষ্টের আগমনের সময় যে অনুগ্রহ তোমাদের দেওয়া হবে তার ওপর সম্পূর্ণ প্রত্যাশা রাখ। 14 অতীতে তোমরা এটা বুঝতে না তাই তোমাদের অভিলাষ অনুসারে মন্দ পথে চলতে; এখন তোমরা ঈশ্বরের বাধ্য সন্তান, তাই অতীতে তোমরা যেভাবে চলতে সেভাবে চলো না। 15 কিন্তু যে ঈশ্বর তোমাদের আহ্বান করেছেন সেই ঈশ্বর যেমন পবিত্র তেমনি তোমরাও তোমাদের সকল কাজে পবিত্র থাক। 16 শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি পবিত্র বলে তোমরা পবিত্র হও।” (A)
17 ঈশ্বর কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে প্রত্যেক লোকের কাজ অনুসারে তার বিচার করেন; সেই ঈশ্বরকে যখন তোমরা পিতা বলে সম্বোধন কর তখন তোমাদের উচিত পৃথিবীতে প্রবাসীর মতো ঈশ্বর ভয়ে জীবনযাপন করা। 18 তোমরা তো জান যে অতীতে তোমরা উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতে, যা তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়েছিলে। কিন্তু এখন সেই রকম জীবনযাপন করা থেকে তোমরা মুক্তি পেয়েছ। ঈশ্বর নশ্বর সোনা বা রূপোর বিনিময়ে তোমাদের মুক্তি ক্রয় করেন নি। 19 কিন্তু নির্দোষ ও নিখুঁত মেষশাবক, খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দিয়ে তোমাদের ক্রয় করেছেন। 20 জগত সৃষ্টির আগেই খ্রীষ্টকে মনোনীত করা হয়েছিল; কিন্তু এই শেষ সময়ে তোমাদের জন্য তিনি প্রকাশিত হলেন।
যীশু বললেন পিতর তাঁকে অস্বীকার করবেন
(মথি 26:31-35; মার্ক 14:27-31; লূক 22:31-34)
36 শিমোন পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?”
যীশু বললেন, “যেখানে এখন আমি যাচ্ছি, তুমি আমার পেছনে সেখানে আসতে পারবে না; কিন্তু পরে তুমি আমায় অনুসরণ করবে।”
37 পিতর তাঁকে বললেন, “প্রভু, এখন কেন আমি আপনার সঙ্গে যেতে পারি না? আমি আপনার জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেব।”
38 যীশু তাকে বললেন, “তুমি কি সত্যি আমার জন্য প্রাণ দেবে? আমি তোমাকে সত্যি বলছি; কাল ভোরে মোরগ ডাকার আগেই তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে।
যীশুর সমাধি
(মথি 27:57-61; মার্ক 15:42-47; লূক 23:50-56)
38 এরপর অরিমাথিয়ার যোষেফ, যিনি যীশুর শিষ্য ছিলেন, কিন্তু ইহুদীদের ভয়ে তা গোপনে রাখতেন, তিনি যীশুর দেহটি নিয়ে যাবার জন্য পীলাতের কাছে অনুমতি চাইলেন। পীলাত তাঁকে অনুমতি দিলে তিনি এসে যীশুর দেহটি নামিয়ে নিয়ে গেলেন।
39 নীকদীমও এসেছিলেন (যোষেফের সঙ্গে)। এই সেই ব্যক্তি যিনি যীশুর কাছে আগে একরাতের অন্ধকারে দেখা করতে এসেছিলেন। নীকদীম আনুমানিক ত্রিশ কিলোগ্রাম গন্ধ-নির্যাস মেশানো অগুরুর প্রলেপ নিয়ে এলেন। 40 এরপর ইহুদীদের কবর দেওয়ার রীতি অনুসারে যীশুর দেহে সেই প্রলেপ মাখিয়ে তাঁরা তা মসীনার কাপড় দিয়ে জড়ালেন। 41 যীশু সেখানে ক্রুশ বিদ্ধ হয়েছিলেন, তার কাছে একটি বাগান ছিল, সেই বাগানে একটি নতুন কবর ছিল সেখানে আগে কাউকে কখনও কবর দেওয়া হয় নি। 42 এই কবরটি নিকটেই ছিল, যীশুর দেহ তাঁরা সেই কবরেব মধ্যে রাখলেন, কারণ ইহুদীদের বিশ্রামের দিনটি শুরু হতে চলেছিল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International