Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 131-133

মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।

131 হে প্রভু, আমি অহঙ্কারী নই।
    আমি কোন গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হবার ভান করি না।
এমন কি আমি বিরাট কিছু করবার চেষ্টাও করি না।
    আমি নিজেকে এমন কোন ব্যাপারে জড়াই না, যা খুব বড় ও আমার অসাধ্য।
আমি শান্ত, আমার আত্মা শান্ত।
    মায়ের কোলে পরিতৃপ্ত শিশুর মত
    আমার আত্মা শান্তিতে মগ্ন।

ইস্রায়েল (তুমি) প্রভুকে বিশ্বাস কর।
    তাঁকে এখন বিশ্বাস কর, তাঁকে চিরদিন বিশ্বাস কর!

মন্দির পর্যন্ত আরোহণের একটি গীত।

132 প্রভু স্মরণে রাখবেন দায়ূদ কেমন কষ্ট পেয়েছিলেন।
দায়ূদ প্রভুর কাছে একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
    দায়ূদ যাকোবের শক্তিমান ঈশ্বরের কাছে একটি বিশেষ প্রতিশ্রুতি করেছিলেন।
দায়ূদ বলেছিলেন, “আমি আমার বাড়িতে যাবো না,
    আমি আমার বিছানায় শোব না।
আমি ঘুমোতে যাব না।
    আমি আমার চোখকে বিশ্রাম দেবো না।
যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি যাকোবের শক্তিমান ‘একজনের’ জন্য একটি বাসস্থান খুঁজে পাই
    ততক্ষণ পর্যন্ত আমি ওই সবের কোন কিছুই করবো না!”

আমরা ইফ্রাথায় সে সম্পর্কে শুনেছি।
    কিরিয়ৎ যিয়ারিমে আমরা সাক্ষ্য সিন্দুক খুঁজে পেয়েছি।
চল আমরা পবিত্র তাঁবুতে যাই।
    চল আমরা সেই চৌকিতে উপাসনা করি যেখানে প্রভু তাঁর পা রাখেন।[a]
হে প্রভু, আপনি এবং আপনার শক্তির সিন্দুক[b] উত্থান করুন
    এবং বিশ্রাম স্থানে ফিরে আসুন।
হে প্রভু, আপনার যাজকরা ধার্ম্মিকতায় সজ্জিত।
    আপনার নিষ্ঠাবান অনুগামীরা প্রচণ্ড সুখী।
10 আপনার সেবক দায়ূদের ভালোর জন্য,
    আপনার মনোনীত রাজাকে বাতিল করবেন না।
11 প্রভু দায়ূদের কাছে একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; প্রভু দায়ূদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
    প্রভু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, দায়ূদের পরিবার থেকেই রাজারা আসবে।
12 প্রভু বলেছেন, “দায়ূদ, যদি তোমার সন্তানরা আমার চুক্তি এবং যে বিধিসমূহ আমি তাদের শিখিয়েছি
    তা মানে তাহলে সর্বদাই তোমার পরিবারের কোন একজন, তোমার নিজের বংশধর, রাজা হবে।”

13 তাঁর মন্দিরের স্থান হিসেবে প্রভু সিয়োনকে মনোনীত করেছেন।
    তাঁর গৃহ (মন্দির) হিসেবে তিনি সেই স্থানই চেয়েছিলেন।
14 প্রভু বলেছিলেন, “চিরদিনের জন্য এটাই আমার স্থান হবে।
    আমার থাকার স্থান হিসেবে আমি এই জায়গাকে মনোনীত করেছি।
15 প্রচুর খাদ্য দিয়ে আমি এই শহরকে আশীর্বাদ করবো।
    এমনকি দরিদ্র মানুষরাও প্রচুর খাদ্য পাবে।
16 আমি যাজকদের পরিত্রাণ দিয়ে সজ্জিত করবো।
    আমার অনুগামীরা সুখী হবে।
17 এই স্থানে আমি দায়ূদকে শক্তিশালী করবো।
    আমার দ্বারা মনোনীত রাজার জন্য আমি একটি প্রদীপ দেব।
18 দায়ূদের শত্রুদের আমি লজ্জায় ঢেকে দেবো।
    কিন্তু দায়ূদের রাজ্যকে আমি বাড়িয়ে তুলবো।”

মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দায়ূদের গানের অন্যতম।

133 যখন ভাইরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে একত্রিত বসে
    তখন সেটা কত সুন্দর ও মনোরম।
এটা যেন সেই সুগন্ধি তেলের মত যে তেল হারোণের মাথায় ঢালা হয়েছে
    এবং তার মাথা থেকে মুখ ও দাড়ি বেয়ে তার বিশেষ বস্ত্রে গড়িয়ে পড়েছে।
এটা হর্ম্মোণ পর্বত থেকে আগত মৃদু বৃষ্টির মত যেটা সিয়োন পর্বতের ওপর ঝরে পড়ছে।
    কারণ সিয়োনে প্রভু তাঁর আশীর্বাদ দিয়েছিলেন, অনন্তকালের জীবনের আশীর্বাদ।

গীতসংহিতা 140

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি। দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।

140 প্রভু মন্দ লোকদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
    নৃশংস লোকের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ওই লোকরা মন্দ কাজ করার পরিকল্পনা করে।
    ওই লোকরা সর্বদাই লড়াই করে।
ওদের জিভ বিষধর সাপের মত।
    ওদের জিভের নীচে সাপের মতই বিষ থাকে।

প্রভু, দুষ্ট লোকদের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
    নৃশংস লোকদের থেকে আমায় রক্ষা করুন; ওই লোকরা আমায় ফাঁদে ফেলবার জন্য আমায় তাড়া করে।
ওই উদ্ধত লোকরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে।
    আমাকে ধরার জন্য ওরা জাল বিছিয়েছে।
    ওরা আমার পথে ফাঁদ পেতেছে।

প্রভু, আপনিই আমার ঈশ্বর।
    প্রভু আমার প্রার্থনা শুনুন।
প্রভু, আপনি আমার শক্তিশালী প্রভু; আপনি আমার পরিত্রাতা।
    আপনি আমার শিরস্ত্রাণের মত যেটা যুদ্ধের সময় আমার মাথাকে রক্ষা করে।
ওদের পরিকল্পনাকে সফল হতে দেবেন না।
    তাহলে ওরা নিজেদের ছাড়িয়ে যাবে।
প্রভু, ঐ লোকরা দুষ্ট। ওরা যা চায় তা ওদের পেতে দেবেন না।
    ওদের পরিকল্পনাকে সফল হতে দেবেন না; নতুবা ওরা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

হে প্রভু, আমার শত্রুকে জয়ী হতে দেবেন না; ওরা সবসময়েই মন্দ ফন্দি আঁটে।
    ওদের খারাপ ফন্দিগুলো যেন ওদের ক্ষেত্রেই ঘটে।
10 ওদের মাথায় জ্বলন্ত কয়লা ঢেলে দিন।
    আমার শত্রুদের আগুনে ফেলে দিন।
    ওদের কবরের মধ্যে নিক্ষেপ করুন যাতে ওরা আর ওখান থেকে উঠতে না পারে।
11 প্রভু, ওই মিথ্যাবাদীদের বাঁচতে দেবেন না।
    ওই মন্দ লোকদের প্রতি যেন মন্দ ঘটনাই ঘটে।
12 আমি জানি প্রভু ন্যায়সঙ্গভাবে দরিদ্রদের বিচার করেন।
    ঈশ্বর সহায়হীনকে সাহায্য করেন।
13 হে প্রভু, সৎ‌ ও ভাল লোকরা আপনার নামের প্রশংসা করবে।
    সৎ‌ লোকরা আপনার উপাসনা করবে।

গীতসংহিতা 142

দায়ূদের একটি মস্কীল। যখন তিনি গুহায় ছিলেন সেই সময় থেকে একটি প্রার্থনা।

142 আমি সাহায্যের জন্য প্রভুকে ডাকবো।
    আমি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করবো।
আমি প্রভুকে আমার সব সংকটের কথা বলবো।
    আমি প্রভুকে আমার অসুবিধার কথা বলবো।
আমার শত্রুরা আমার জন্য একটা ফাঁদ পেতেছে।
    আমি সমর্পণ করতে প্রস্তুত।
    কিন্তু প্রভু জানেন আমার মধ্যে কি হচ্ছে।

আমি চারদিকে দেখি,
    কিন্তু আমি আমার কোন বন্ধু দেখি না।
আমার পালানোর কোন জায়গা নেই।
    কেউ আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে না।
তাই আমি প্রভুর কাছে উচ্চস্বরে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলাম।
    “প্রভু, আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
    প্রভু আপনিই আমায় বাঁচতে দিতে পারেন।”
হে প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন
    কারণ আমি অসহায়।
যারা আমায় তাড়া করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
    ওই লোকগুলো আমার পক্ষে প্রচণ্ড শক্তিশালী।
আমাকে এই ফাঁদ এড়িয়ে যেতে সাহায্য করুন
    যাতে আমি আপনার নামের প্রশংসা করতে পারি।
এবং ভালো লোকরা এসে আমার সঙ্গে উদ্‌যাপন করবে,
    কারণ আপনি আমায় প্রযত্নে রেখেছিলেন।

যাত্রা 7:25-8:19

ব্যাঙরা

25 প্রভুর নীলনদের জলকে রক্তে পরিণত করার পর সাতদিন পার হল।

প্রভু তখন মোশির উদ্দেশ্যে বললেন, “ফরৌণকে গিয়ে বলো যে প্রভু বলেছেন, ‘আমার লোকেদের আমাকে উপাসনার জন্য ছেড়ে দাও! যদি তুমি ওদের ছেড়ে না দাও তাহলে আমি মিশর দেশ ব্যাঙে ভর্ত্তি করে দেব। নীলনদ ব্যাঙে ভর্ত্তি হয়ে উঠবে। নদী থেকে ব্যাঙরা উঠে এসে তোমার ঘরে শয্যাকক্ষে প্রবেশ করে বিছানায় উঠে বসবে। তোমার উনুনের চুল্লি, জলের পাত্র ব্যাঙে ভরে যাবে। তোমার সভাসদগণের ঘরও ব্যাঙে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তোমাদের চারিদিকে ব্যাঙরা ঘুরে বেড়াবে। তোমার সভাসদগণ, তোমার লোকদের এবং তোমার গায়েও ব্যাঙ ছেঁকে ধরবে।’”

প্রভু এরপর মোশিকে বললেন, “তুমি হারোণকে বলো সে যেন তার হাতের পথ চলার লাঠি নদী, খাল-বিল ও হ্রদের ওপর বিস্তার করে মিশর দেশে ব্যাঙ এনে ভরিয়ে দেয়।”

হারোণ মিশরের জলের ওপর তার লাঠি সমেত হাত বিস্তার করতেই নদী, খাল-বিল ও হ্রদ থেকে রাশি রাশি ব্যাঙ উঠে মিশরের মাটি ঢেকে ফেলল।

হারোণের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রাজার যাদুকররাও তাদের মায়াজাল বিস্তার করে একই কাণ্ড ঘটিয়ে দেখাল। ফলে মিশরের মাটিতে আরও অসংখ্য ব্যাঙ উঠে এলো।

ফরৌণ এবার বাধ্য হয়ে মোশি এবং হারোণকে ডেকে পাঠিয়ে তাদের বললেন, “প্রভুকে বলো তিনি যেন আমাকে এবং আমার লোকদের এই ব্যাঙের উপদ্রব থেকে রেহাই দেন। আমি প্রভুকে নৈবেদ্য উৎসর্গ করার জন্য লোকদের যাবার ছাড়পত্র দেব।”

মোশি ফরৌণকে বলল, “বলুন, আপনি কখন চান যে এই ব্যাঙরা ফিরে যাক্। আমি আপনার জন্য, আপনার সভাসদগণ ও প্রজাদের জন্য তাহলে প্রার্থনা করব। তারপরই ব্যাঙরা আপনাকে এবং আপনার ঘর ছেড়ে নদীতে ফিরে যাবে। ব্যাঙরা নদীতেই থাকে। বলুন আপনি কবে এই ব্যাঙদের উপদ্রব থেকে অব্যাহতি চান?”

10 উত্তরে ফরৌণ জানালেন, “আগামীকাল।”

মোশি বলল, “বেশ আপনার কথা মতো তাই হবে। তবে এবার নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের প্রভু ঈশ্বরের মতো আর কোন ঈশ্বর এখানে নেই। 11 ব্যাঙরা আপনাকে, আপনার ঘর এবং আপনার সভাসদগণ ও প্রজাদের সবাইকে ছেড়ে ফিরে যাবে। কেবলমাত্র নদীতেই তারা এবার থেকে বাস করবে।”

12 এরপর মোশি এবং হারোণ ফরৌণের কাছ থেকে ফিরে এলো। ফরৌণের বিরুদ্ধে পাঠানো সমস্ত ব্যাঙদের সরিয়ে নেবার জন্য মোশি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করল। 13 মোশির প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে প্রভু ঘরে, বাইরে, মাঠে ঘাটের সমস্ত ব্যাঙকে মেরে ফেললেন। 14 কিন্তু মৃত ব্যাঙের স্তূপ পচতে শুরু করল এবং সারা দেশ দুর্গন্ধে ভরে উঠল। 15 ব্যাঙদের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই ফরৌণ আবার একগুঁয়ে ও জেদী হয়ে উঠলেন। প্রভুর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী মোশি ও হারোণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাজা পালন করলেন না।

উকুন

16 প্রভু তখন মোশিকে বললেন, “হারোণকে বলো তার হাতের লাঠি দিয়ে মাটির ধূলোয় আঘাত করতে, এবং তারপর সেই ধূলো মিশরের সর্বত্র উকুনে পরিণত হবে।”

17 হারোণ প্রভুর কথামতো ধূলোতে তার লাঠি আঘাত করতেই মিশরের সর্বত্র ধূলো উকুনে পরিণত হল। এবং সেই উকুনগুলো মানুষ ও পশুদের গায়ের ওপর চড়ে বসল।

18 রাজার যাদুকররা এবারও একই জিনিস করে দেখানোর চেষ্টা করল কিন্তু তারা কিছুতেই ধূলোকে উকুনে পরিণত করতে পারল না। কিন্তু সেই উকুনগুলো মানুষ ও পশুদের শরীরে রয়ে গেল। 19 যাদুকররা এবারে ব্যর্থ হয়ে গিয়ে রাজা ফরৌণকে বলল যে ঈশ্বরের শক্তিই এটাকে সম্ভব করেছে। কিন্তু ফরৌণ তাদের কথাতে কান দিলেন না। প্রভুর ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারেই অবশ্য এই ঘটনা ঘটল।

2 করিন্থীয় 3:7-18

নতুন চুক্তি মহামহিমা আনে

যদি পাথরের ফলকের[a] ওপর লেখা ব্যবস্থা, যার পরিণতি মৃত্যু, তা দেবার সময় এমন ঔজ্জ্বল্যের সাথে এসেছিল যে ইস্রায়েলের লোকেরা ঔজ্জ্বল্যের জন্য মোশির মুখের দিকে সোজা তাকাতে পারছিল না, যদিও সেই উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে যাচ্ছিল, তবে আত্মার কাজ কি অনেক বেশী মহিমামণ্ডিত হবে না? যে বিধি-ব্যবস্থায় মানুষ দোষী প্রতিপন্ন হচ্ছিল তা যদি মহিমামণ্ডিত হয়ে থাকে, তবে যে বিধি-ব্যবস্থা মানুষকে ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক প্রতিপন্ন করে তার মহিমা আরও কত না বেশী হবে। 10 বাস্তবিক, তুলনায় নতুন বিধি-ব্যবস্থার মহিমার উজ্জ্বলতার কাছে পুরানো বিধি-ব্যবস্থার মহিমা ম্লান হয়ে যায়। 11 যে বিধি-ব্যবস্থা অল্প দিনের মধ্যে লোপ পেয়ে গেল তার মহিমা যদি এত উজ্জ্বল হয়ে থাকে, তবে যে বিধি-ব্যবস্থা চিরস্থায়ী তার মহিমা আরও কত না বেশী উজ্জ্বল হবে!

12 অতএব আমাদের এই ধরণের প্রত্যাশা থাকাতে আমরা খুব নির্ভীক হতে পারি। 13 আমরা মোশির মত নই। মোশি তো নিজের মুখ ঢেকে রাখতেন যাতে ইস্রায়েলীয়রা সেই উজ্জ্বলতা দেখতে না পায়, কারণ সেই মহিমা কমতে কমতে মিলিয়ে যাচ্ছিল। 14 তাদের মন কঠোর হয়ে গিয়েছিল, কারণ যখন শাস্ত্র পড়া হয় তখন মনে হয় আজও তাদের সেই আবরণ রয়েই গেছে। সেই আবরণ এখনও সরে নি, একমাত্র খ্রীষ্টের মাধ্যমেই সেই আবরণ সরিয়ে দেওয়া সম্ভব। 15 হ্যাঁ, আজও মোশির বিধি-ব্যবস্থার পুস্তক পড়ার সময় তাদের হৃদয়ের ওপরে আবরণ থাকে। 16 কিন্তু যখনই কেউ প্রভুর দিকে ফেরে তখন সেই আবরণ সরে যায়। 17 এই প্রভু হলেন আত্মা, আর প্রভুর আত্মা যেখানে সেখানেই স্বাধীনতা। 18 তাই, যখন আমরা অনাদৃত মুখে আয়নায় দেখা ছবির মত করে প্রভুর মহিমা দেখতে থাকি, তখন তা দেখতে দেখতে আমরা সকলেই তাঁর সেই (মহিমাময়) রূপে রূপান্তরিত হতে থাকি। সেই রূপান্তর আমাদের মহিমা থেকে উজ্জ্বলতর মহিমার মধ্যে নিয়ে যায়। এই মহিমা আমরা প্রভু, যিনি আজ্ঞা করেন তাঁর কাছ থেকে লাভ করি।

মার্ক 10:17-31

একজন ধনী লোকের যীশুকে অনুসরণ করতে অস্বীকার

(মথি 19:16-30; লূক 18:18-30)

17 পরে তিনি বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় একজন লোক দৌড়ে এসে, তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে জিজ্ঞেস করলেন, “হে সৎ‌ গুরু, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমি কি করব?”

18 তখন যীশু তাকে বললেন, “তুমি কেন আমাকে সৎ‌ বলছ? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউই সৎ‌ নয়। 19 তুমি তো ঈশ্বরের সব আদেশ জানো, ‘নরহত্যা কোরো না, ব্যভিচার কোরো না, চুরি কোরো না, বাবা-মাকে সম্মান কোরো।’”(A)

20 লোকটি তাঁকে বলল, “হে গুরু, ছোটবেলা থেকে এগুলো আমি পালন করে আসছি।”

21 যীশু লোকটির দিকে সস্নেহে তাকালেন এবং বললেন, “একটা বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে। যাও তোমার যা কিছু আছে বিক্রি কর; আর সেই অর্থ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দাও, তাতে তুমি স্বর্গে ধন পাবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ কর।”

22 এই কথায় সে মর্মাহত ও দুঃখিত হল এবং ম্লান মুখে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।

23 তখন যীশু চারদিকে তাকিয়ে শিষ্যদের বললেন, “যাদের ধন আছে তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা খুবই দুষ্কর!”

24 শিষ্যরা তাঁর কথা শুনে অবাক হলেন। যীশু আবার তাঁদের বললেন, “শোন, ঈশ্বরের রাজ্যে যাওয়া সত্যিই কষ্টকর। 25 একজন ধনী লোকের ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”

26 তখন তারা আরও আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, “তবে কারা উদ্ধার পেতে পারে?”

27 তখন যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “এটা মানুষের পক্ষে অসম্ভব; কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে নয়, কারণ সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের পক্ষে সম্ভব।”

28 তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, “দেখুন! আমরা সবকিছু ত্যাগ করে আপনার অনুসারী হয়েছি।”

29 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি যে কেউ আমার জন্য বা আমার সুসমাচার প্রচারের জন্য বাড়িঘর, ভাইবোন, মা-বাবা, ছেলেমেয়ে জমিজমা ছেড়ে এসেছে, 30 তার বদলে সে এই জগতে তার শতগুণ ফিরে পাবে। তাকে তাড়না ভোগ করতে হলেও এই জগতে শতগুণ বাড়িঘর, ভাইবোন, মা, ছেলেমেয়ে এবং জমিজমা পাবে, আর পরবর্তী যুগে পাবে অনন্ত জীবন। 31 কিন্তু আজ যারা প্রথম, এমন অনেক লোক শেষে পড়বে এবং যারা আজ শেষের তাদের মধ্যে অনেকে প্রথম হবে।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International