Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 107:33-108:13

33 ঈশ্বর নদীগুলিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছেন।
    ঈশ্বর ঝর্ণার প্রবাহ বন্ধ করেছেন।
34 উর্বর জমিকে ঈশ্বর পরিবর্তিত করেছেন এবং তা অকাজের নোনা জমিতে পরিণত হয়েছে।
    কেন? কারণ সেই অঞ্চলে মন্দ লোকরা বসবাস করতো।
35 ঈশ্বর মরুভূমিকে জলময় সরোবরে পরিবর্তিত করলেন।
    শুকনো জমি থেকে তিনি ঝর্ণার প্রবাহ বইয়ে দিলেন।
36 ক্ষুধার্ত মানুষকে ঈশ্বর সেই দেশে নিয়ে এলেন
    এবং তারা বসবাসের জন্য শহর নির্মাণ করলো।
37 ওরা ওদের জমিতে বীজ বুনলো।
    ওরা জমিতে দ্রাক্ষালতা পুঁতলো এবং ওরা খুব ভাল ফসল পেলো।
38 ঈশ্বর ওদের আশীর্বাদ করলেন, ওদের পরিবার বেড়ে উঠতে লাগলো।
    ওদের বহুবিধ গৃহপালিত পশু হলো।
39 দুর্যোগ এবং সমস্যার জন্য
    ওদের পরিবারগুলো ছোট এবং দুর্বল ছিলো।
40 ঈশ্বর ওদের নেতাদের লজ্জিত ও বিব্রত করালেন।
    ঈশ্বর ওদের মরুভূমির সেই স্থানে ঘোরালেন যেখানে কোন রাস্তাই নেই।
41 কিন্তু ঈশ্বর তারপর ওই ভাগ্যহত লোকদের দূর্দশা থেকে উদ্ধার করলেন।
    এবং এখন ওদের পরিবার মেষের পালের মত বড় হয়েছে।
42 সৎ‌ লোকরা এটা দেখে এবং তারা সুখী হয়।
    কিন্তু, মন্দ লোকরা এটা দেখে এবং তারা জানে না কি বলবে।
43 কোন ব্যক্তি যদি জ্ঞানী হয় তবে সে এইসব গুলো স্মরণে রাখবে
    এবং সে হৃদয়ঙ্গম করবে, ঈশ্বরের প্রকৃত প্রেম কি।

দায়ূদের প্রশংসা গীতগুলির অন্যতম।

108 ঈশ্বর, আমি প্রস্তুত, আমার সমস্ত হৃদয় ও আত্মা দিয়ে
    আপনার প্রশংসা গান করার জন্য আমি প্রস্তুত।
    হে বীণা এবং অন্যান্য তন্ত্রবাদ্য,
    সূর্যকে জাগিয়ে দাও!
হে প্রভু, বিভিন্ন জাতির মধ্যে আমরা আপনার প্রশংসা করবো।
    অন্যান্য লোকদের মাঝে আমরা আপনার প্রশংসা করবো।
হে প্রভু, আপনার প্রেম আকাশের চেয়ে উঁচু।
    আপনার প্রেম উচ্চতম মেঘের চেয়েও উঁচুতে অবস্থিত।
হে ঈশ্বর, স্বর্গের ওপরে উঠুন!
    সারা বিশ্বকে আপনার মহিমা দেখতে দিন।
হে ঈশ্বর, আপনার মিত্রদের রক্ষার জন্য এটা করুন।
    আমার প্রার্থনার উত্তর দিন এবং আপনার পরাক্রমী শক্তি ব্যবহার করুন।

ঈশ্বর তাঁর মন্দিরে বলেছেন,
    “আমি যুদ্ধে জয়ী হবো এবং জয় করে সুখী হবো!
    আমার লোকজনদের মধ্যে আমি এই ভূখণ্ড ভাগ করে দেবো।
    আমি ওদের শিখিম উপত্যকা দেবো।
    আমি ওদের সুক্কোত উপত্যকা দেবো।
    গিলিয়দ ও মনঃশিও আমার থাকবে।
    ইফ্রয়িম আমার শিরস্ত্রাণ হবে।
    যিহূদা হবে আমার বিচারদণ্ড।
    মোয়াব আমার পা ধোয়ার পাত্র হবে।
    ইদোম হবে আমার পাদূকাবাহক দাস।
    আমি পলেষ্টীয়দের পরাজিত করবো এবং জয়ধ্বনি দেবো।”

10-11 কে আমাকে শত্রুর দূর্গে নেতৃত্ব দেবে?
    কে আমাকে ইদোমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেতৃত্ব দেবে?
ঈশ্বর একমাত্র আপনিই আমাদের সাহায্য করতে পারেন।
    কিন্তু আপনি আমাদের ত্যাগ করেছেন, আপনি আমাদের সৈন্যদের সঙ্গে যান নি!
12 ঈশ্বর আমাদের শত্রুদের পরাজিত করতে আমাদের সাহায্য করুন!
    লোকেরা আমাদের সাহায্য করতে পারবে না!
13 একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের শক্তিশালী করে তুলতে পারেন।
    ঈশ্বরই আমাদের শত্রুদের পরাজিত করতে পারেন!

গীতসংহিতা 33

33 হে ভালো লোকরা, তোমরা প্রভুতে আনন্দ কর!
    ভাল লোকদের পক্ষে তাঁর প্রশংসা করাই ভালো!
বীণা বাজাও এবং প্রভুর প্রশংসা কর!
    দশতারা বাদ্যযন্ত্র সহযোগে প্রভুর গান গাও।
তাঁর জন্য একটা নতুন গান গাও।
    অত্যন্ত সুন্দরভাবে বাজাও এবং আনন্দ ধ্বনি দাও!
প্রভুর বাক্য সত্য। তিনি যা কিছু করেন,
    তাতে তোমরা নির্ভর করতে পারো।
ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ হতে ও ভাল কাজ করতে ভালবাসেন।
    প্রভুর প্রকৃত ভালোবাসা পৃথিবীকে ভরিয়ে দেয়!
প্রভু নির্দেশবাক্য উচ্চারণ করেছিলেন এবং এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল।
    ঈশ্বরের মুখের নিঃশ্বাস থেকেই পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে।
ঈশ্বর, সমুদ্রের জল এক জায়গায় জমা করেছেন।
    তিনি সমুদ্রকে তার জায়গায় রাখেন।
সমগ্র পৃথিবীর সকলের উচিৎ‌ ঈশ্বরকে ভয় এবং শ্রদ্ধা করা।
    জগতের প্রত্যেকটি মানুষের তাঁকে ভয় করা উচিত।
কেন? কারণ ঈশ্বর একটি আজ্ঞা দেন এবং সেটি ঘটে।
    যদি তিনি বলেন “থাম” তাহলেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়।
10 প্রভু প্রত্যেকের উপদেশকেই অর্থহীন করে তুলতে পারেন।
    তিনি জাতিদের পরিকল্পনাগুলি মূল্যহীন করে দিতে পারেন।
11 কিন্তু প্রভুর উপদেশ চিরন্তন সত্য।
    তাঁর পরিকল্পনাগুলো বংশপরম্পরায় সত্য থাকে।
12 যারা প্রভুকে তাদের ঈশ্বররূপে পেয়েছে তারা সত্যিই ধন্য।
    কেন? কারণ ঈশ্বরই তাদের তাঁর নিজের লোক হিসেবে মনোনীত করেছেন।
13 প্রভু স্বর্গ থেকে নীচের দিকে তাকিয়েছিলেন
    এবং সমস্ত লোকদের দেখেছেন।
14 পৃথিবীতে যারা বসবাস করছে,
    তাঁর উচ্চ সিংহাসন থেকে তিনি সকলকে দেখেন।
15 ঈশ্বর প্রত্যেকটি লোকের মন সৃষ্টি করেছেন।
    প্রত্যেকটি লোক কি ভাবছে ঈশ্বর তাও জানেন।
16 একজন রাজা তার বৃহৎ‌‌ শক্তিতে উদ্ধার পায় না।
    একজন বলবান সৈনিক, তার নিজের শক্তিতে রক্ষা পায় না।
17 ঘোড়াগুলো যুদ্ধের বিজয় এনে দেয় না।
    এমনকি তাদের শক্তিও সৈন্যদের পালাতে সাহায্য করতে পারে না।
18 তাঁর প্রকৃত ভালবাসায় আস্থা রেখে, যারা প্রভুকে অনুসরণ করে,
    প্রভু তাদের ওপর লক্ষ্য রাখেন এবং তাদের প্রতি যত্ন নেন।
19 সেই সব লোককে ঈশ্বর মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
    ক্ষুধার্ত অবস্থায় তিনি তাদের শক্তি দেন।
20 তাই আমরা প্রভুর জন্য প্রতীক্ষা করবো।
    তিনি আমাদের সাহায্য করেন, রক্ষা করেন।
21 ঈশ্বর আমাদের সুখী করেন,
    আমরা তাঁর পবিত্র নামে প্রকৃতই আস্থা রাখি।
22 প্রভু, প্রকৃতই আমরা আপনার উপাসনা করি!
    তাই আমাদের প্রতি আপনার মহান ভালোবাসা দেখান।

যাত্রা 2:23-3:15

ঈশ্বর ইস্রায়েলকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিলেন

23 দেখতে দেখতে অনেক বছর পেরিয়ে গেল। মিশরের রাজাও ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের তখনও জোর করে কাজ করানো হচ্ছিল। তারা সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি শুরু করল। এবং সেই কান্না স্বয়ং ঈশ্বর শুনতে পাচ্ছিলেন। 24 ঈশ্বর তাদের গভীর আর্তনাদ শুনলেন এবং তিনি স্মরণ করলেন সেই চুক্তির কথা যা তিনি অব্রাহাম, ইস‌্হাক এবং যাকোবের সঙ্গে করেছিলেন। 25 ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের দেখেছিলেন এবং তিনি জানতেন তিনি কি করতে যাচ্ছেন এবং তিনি স্থির করলেন যে শীঘ্রই তিনি তাঁর সাহায্যের হাত তাদের দিকে বাড়িয়ে দেবেন।

জ্বলন্ত ঝোপ

রূয়েল ছাড়াও মোশির শ্বশুরের আর এক নাম ছিল যিথ্রো। যিথ্রো মিদিয়নীর একজন যাজক। মোশি যিথ্রোর মেষের পালের দেখাশোনার দায়িত্ব নিল। মোশি মেষের পাল চরাতে মরুভূমির পশ্চিম প্রান্তে যেত। একদিন সে মেষের পাল চরাতে চরাতে ঈশ্বরের পর্বত হোরেবে (সীনয়) গিয়ে উপস্থিত হল। ঐ পর্বতে সে জ্বলন্ত ঝোপের ভিতরে প্রভুর দূতের দর্শন পেল। মোশি দেখল ঝোপে আগুন লাগলেও তা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে না। তাই সে অবাক হয়ে জ্বলন্ত ঝোপের আর একটু কাছে এগিয়ে গেল। মনে মনে ভাবল কি আশ্চর্য ব্যাপার, ঝোপে আগুন লেগেছে, অথচ ঝোপটা পুড়ে নষ্ট হচ্ছে না!

প্রভু লক্ষ্য করছিলেন মোশি ক্রমশঃ ঝোপের দিকে দৃষ্টিপাত করতে করতে কাছে এগিয়ে আসছে। তাই ঈশ্বর ঐ ঝোপের ভিতর থেকে ডাকলেন, “মোশি, মোশি!”

এবং মোশি উত্তর দিল, “হ্যাঁ, প্রভু।”

তখন প্রভু বললেন, “আর কাছে এসো না। পায়ের চটি খুলে নাও। তুমি এখন পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছো। আমি তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর। আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস‌্হাকের ঈশ্বর এবং যাকোবের ঈশ্বর।”

মোশি ঈশ্বরের দিকে তাকানোর ভয়ে তার মুখ ঢেকে ফেলল।

তখন প্রভু বললেন, “মিশরে আমার লোকদের দুর্দশা আমি নিজের চোখে দেখেছি। এবং যখন তাদের ওপর অত্যাচার করা হয় তখন আমি তাদের চিৎকার শুনেছি। আমি তাদের যন্ত্রণার কথা জানি। এখন সমতলে নেমে গিয়ে মিশরীয়দের হাত থেকে আমার লোকদের আমি রক্ষা করব। আমি তাদের মিশর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাব এবং আমি তাদের এমন এক সুন্দর দেশে নিয়ে যাব যে দেশে তারা স্বাধীনভাবে শান্তিতে বাস করতে পারবে। সেই দেশ হবে বহু ভাল জিনিসে ভরা ভূখণ্ড।[a] নানা ধরণের মানুষ সে দেশে বাস করে: কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবুষীয় গোষ্ঠীর লোকরা সেখানে বাস করে। আমি ইস্রায়েলীয়দের কান্না শুনেছি। দেখেছি, মিশরীয়রা কিভাবে তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। 10 তাই এখন আমি তোমাকে ফরৌণের কাছে পাঠাচ্ছি। যাও! তুমি আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে বাইরে নিয়ে এসো।”

11 কিন্তু মোশি ঈশ্বরকে বলল, “আমি কোনও মহান ব্যক্তি নই! সুতরাং আমি কি করে ফরৌণের কাছে যাব এবং ইহুদীদের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনব?”

12 ঈশ্বর বললেন, “তুমি পারবে, কারণ আমি তোমার সঙ্গে থাকব! আমি যে তোমাকে পাঠাচ্ছি তার প্রমাণ হবে; তুমি ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে উদ্ধার করে আনার পর এই পর্বতে এসে আমার উপাসনা করবে।”

13 তখন মোশি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলল, “কিন্তু আমি যদি গিয়ে ইস্রায়েলীয়দের বলি, ‘তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন,’ তখন তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তার নাম কি?’ তখন আমি তাদের কি বলব?”

14 তখন ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “তাদের বলো, ‘আমি আমিই।’ যখনই তুমি ইস্রায়েলীয়দের কাছে যাবে তখনই তাদের বলবে, ‘আমিই’ আমাকে পাঠিয়েছেন।” 15 ঈশ্বর মোশিকে আরও বললেন, “তুমি অবশ্যই তাদের একথা বলবে: ‘যিহোবা হলেন তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস‌্হাকের ঈশ্বর এবং যাকোবের ঈশ্বর। আমার নাম সর্বদা হবে যিহোবা। এই নামেই আমাকে লোকে বংশ পরম্পরায় চিনবে।’ লোকদের বলো, যিহোবা তোমাকে পাঠিয়েছেন!”

1 করিন্থীয় 13

ভালবাসা শ্রেষ্ঠ বরদান

13 আর এখন আমি তোমাদের এসবের থেকে আরো উৎ‌কৃষ্ট একটা পথ দেখাব। আমি যদি বিভিন্ন মানুষের ভাষা, এমনকি স্বর্গদূতদের ভাষাও বলি কিন্তু আমার মধ্যে যদি ভালবাসা না থাকে, তবে আমি জোরে বাজানো ঘন্টা বা ঝনঝন করা করতালের আওয়াজের মতো। আমি যদি ভাববাণী বলার ক্ষমতা পাই, ঈশ্বরের সব নিগূঢ়তত্ত্ব ভালভাবে বুঝি এবং সব ঐশ্বরিক জ্ঞান লাভ করি, আমার যদি এমন বড় বিশ্বাস থাকে যার শক্তিতে আমি পাহাড় পর্যন্ত টলাতে পারি, অথচ আমার মধ্যে যদি ভালবাসা না থাকে তবে এসব থাকা সত্ত্বেও আমি কিছুই নয়। আমি যদি আমার যথা সর্বস্ব দিয়ে দরিদ্রদের মুখে অন্ন যোগাই, যদি আমার দেহকে আহুতি দেবার জন্য আগুনে সঁপে দিই,

কিন্তু যদি আমার মধ্যে ভালবাসা না থাকে, তাহলে আমার কিছুই লাভ নেই। ভালবাসা ধৈর্য্য ধরে, ভালবাসা দয়া করে, ভালবাসা ঈর্ষা করে না, অহঙ্কার বা গর্ব করে না। ভালবাসা কোন অভদ্র আচরণ করে না। ভালবাসা স্বার্থ-সিদ্ধির চেষ্টা করে না, কখনও রেগে ওঠে না, অপরের অন্যায় আচরণ মনে রাখে না। ভালবাসা কোন মন্দ বিষয় নিয়ে আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যে আনন্দ করে। ভালবাসা সব কিছুই সহ্য করে, সব কিছু বিশ্বাস করে, সব কিছুতেই প্রত্যাশা রাখে, সবই ধৈর্য্যের সঙ্গে গ্রহণ করে।

ভালবাসার কোন শেষ নেই। কিন্তু ভাববাণী বলার ক্ষমতা যদি থাকে তো লোপ পাবে। যদি অপরের ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা থাকে, তবে তাও একদিন শেষ হবে। যদি জ্ঞান থাকে, তবে তাও একদিন লোপ পাবে। এসব কিছুর পরিসমাপ্তি ঘটবে কারণ আমাদের যে জ্ঞান ও ভাববাণী বলার ক্ষমতা তা অসম্পূর্ণ। 10 কিন্তু যখন সম্পূর্ণ সিদ্ধ বিষয় আসবে, তখন যা অসম্পূর্ণ ও সীমিত সে সব লোপ পেয়ে যাবে।

11 আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর মতো কথা বলতাম, শিশুর মতোই চিন্তা করতাম, ও শিশুর মতোই বিচার করতাম। এখন আমি পরিণত মানুষ হয়েছি, তাই শৈশবের বিষয়গুলি ত্যাগ করেছি। 12 এখন আমরা আয়নায় আবছা দেখছি; কিন্তু সেই সময় সরাসরি পরিষ্কার দেখব। এখন আমার জ্ঞান সীমিত, কিন্তু তখন আমি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারব, ঠিক যেমন ঈশ্বর এখন আমাকে সম্পূর্ণভাবে জানেন। 13 এখন এই তিনটি বিষয় আছে: বিশ্বাস, প্রত্যাশা ও ভালবাসা; আর এদের মধ্যে ভালবাসাই শ্রেষ্ঠ।

মার্ক 9:14-29

অসুস্থ ছেলেকে যীশুর আরোগ্যদান

(মথি 17:14-20; লূক 9:37-43)

14 পরে তাঁরা অন্য শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন তাঁদের চারদিকে অনেক লোক আর ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাদের সাথে তর্ক করছেন। 15 তাঁকে দেখামাত্র সমস্ত লোক অবাক হল এবং তাঁর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে প্রণাম জানাতে লাগল।

16 তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা এদের সঙ্গে কি নিয়ে তর্ক করছ?”

17 তাতে লোকেদের মধ্যে থেকে একজন বলে উঠল, “হে গুরু, আমার ছেলেটিকে আপনার কাছে এনেছিলাম। তাকে এক বোবা আত্মায় পেয়েছে, সে কথা বলতে পারে না। 18 সেই আত্মা তাকে যেখানে ধরে, সেইখানে আছাড় মারে; আর তার মুখে ফেনা ওঠে, সে দাঁত কিড়মিড় করে আর শক্ত হয়ে যায়। আমি আপনার শিষ্যদের এই আত্মাটাকে ছাড়াতে বললাম, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”

19 তখন যীশু তাঁদের বললেন, “হে অবিশ্বাসী বংশ, আমাকে আর কতকাল তোমাদের সঙ্গে থাকতে হবে? তোমাদের নিয়ে আর আমি কত ধৈর্য্য ধরব? তাকে আমার কাছে নিয়ে এস।”

20 তারা তাকে তাঁর কাছে নিয়ে এল। যীশুকে দেখামাত্র সেই আত্মা ছেলেটিকে মুচড়ে ধরল; আর সে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি দিতে লাগল, তার মুখ দিয়ে ফেনা বার হচ্ছিল।

21 তখন যীশু তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, “এর কতদিন এমন হয়েছে?”

ছেলেটির বাবা বলল, “ছেলেবেলা থেকে এরকম হয়েছে। 22 এই আত্মা একে মেরে ফেলার জন্য অনেকবার আগুনে ও জলে ফেলে দিয়েছে। আপনি যদি কিছু করতে পারেন, তবে দয়া করে আমাদের উপকার করুন।”

23 যীশু তাকে বললেন, “কি বললে, ‘যদি পারেন!’ যে বিশ্বাস করে তার পক্ষে সবই সম্ভব।”

24 সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটির বাবা চিৎকার করে কেঁদে বলল, “আমি বিশ্বাস করি! আমার অবিশ্বাসের প্রতিকার করুন!”

25 অনেক লোক সেদিকে আসছে দেখে যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমকে বললেন, “হে বোবা কালার আত্মা, আমি তোমাকে বলছি, এর মধ্যে আর কখনও ঢুকবে না!”

26 তখন সেই আত্মা চেঁচিয়ে তাকে ভয়ঙ্করভাবে মুচড়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল। তাতে ছেলেটি মড়ার মত হয়ে পড়ল, এমন কি অধিকাংশ লোক বলল, “সে মরে গেছে।” 27 কিন্তু যীশু তার হাত ধরে তুললে সে উঠে দাঁড়াল।

28 পরে যীশু বাড়ি ফিরে এলে শিষ্যরা তাঁকে একান্তে জিজ্ঞেস করলেন, “আমরা কেন ঐ অশুচি আত্মাকে তাড়াতে পারলাম না?”

29 যীশু তাঁদের বললেন, “প্রার্থনা[a] ছাড়া আর কোন কিছুতেই এ আত্মাকে তাড়ানো যায় না।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International