Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 89

ইষ্রাহীয় এথনের কাছ থেকে একটি মস্কীল।

89 প্রভুর প্রেম সম্পর্কে আমি সর্বদাই গান গাইবো।
    তাঁর বিশ্বস্ততা সম্পর্কে আমি চিরকাল এবং অনন্তকাল গাই গাইবো!
প্রভু, আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আপনার ভালোবাসা চিরন্তন!
    আপনার বিশ্বস্ততা আকাশের মত থেকে যায়!

ঈশ্বর বলেছেন, “আমার মনোনীত রাজার সঙ্গে আমি একটি চুক্তি করেছি।
    আমার দাস দায়ূদের কাছে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
‘দায়ূদ, তোমার পরিবারকে আমি চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবো।
    তোমার রাজ্যকে আমি চিরকাল অব্যাহত রাখতে সাহায্য করব।’”

প্রভু, আপনি আশ্চর্য কার্য্য করেন। এই জন্য আকাশ আপনার প্রশংসা করে।
    লোকেরা আপনার ওপর নির্ভর করতে পারে। পবিত্র লোকেদের মণ্ডলীতে শুধুমাত্র এই সম্পর্কেই গান করে।
স্বর্গে প্রভুর সমকক্ষ কেউ নেই।
    অন্য কোন “দেবতার” সঙ্গে প্রভুকে তুলনা করা চলে না।
ঈশ্বর পবিত্র লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ওই পবিত্র দূতরা তাঁর চারপাশে জড়ো হয়।
    ওরা ঈশ্বরকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে।
    ওরা তাঁর ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
হে প্রভু সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আপনার মত কেউই নয়।
    আমরা সম্পূর্ণভাবে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি।
আপনি পরাক্রমশালী সমুদ্রকে শাসন করেন,
    এর উত্তাল তরঙ্গমালাকে আপনি শান্ত করে দিতে পারেন।
10 হে ঈশ্বর, আপনি রহবকে পরাজিত করেছিলেন।
    আপনার শক্তিশালী বাহু বলে আপনি আপনার শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করেছিলেন।
11 হে ঈশ্বর, স্বর্গ এবং মর্ত্য আপনার অধিকারভুক্ত।
    এই পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুই আপনি সৃষ্টি করেছেন।
12 উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে সবই আপনি সৃষ্টি করেছেন।
    তাবোর ও হর্ম্মোণ পর্বত আপনার নামের প্রশংসা করছে।
13 আপনার বাহু পরাক্রমবিশিষ্ট!
    আপনার হস্ত শক্তিমান!
    বিজয়ী হয়ে আপনার ডানহাত উপরের দিকে ওঠে!
14 সত্য ও ন্যায় বিচারের ওপর আপনার রাজ্য প্রতিষ্ঠিত।
    প্রেম এবং বিশ্বাস আপনার রাজাসনের দাস।
15 ঈশ্বর, আপনার নিষ্ঠাবান অনুগামীরা সত্যিই সুখী।
    তারা আপনার করুণার আলোকে বাস করে।
16 আপনার নাম সর্বদাই তাদের সুখী করে।
    তারা আপনার ধার্ম্মিকতার প্রশংসা করে।
17 আপনি তাদের বিস্ময়কর শক্তি।
    তাদের শক্তি আপনার কাছ থেকে আসে।
18 প্রভু, আপনিই আমাদের রক্ষাকর্তা।
    ইস্রায়েলের পবিত্র একজনই আমাদের রাজা।
19 আপনার বিশ্বস্ত অনুগামীদের সঙ্গে আপনি এক স্বপ্নদর্শনের কথা বলেছিলেন,
“জনতার মধ্যে থেকে আমি একজন তরুণকে মনোনীত করেছি।
    আমি সেই তরুণকে একজন গুরুত্বপূর্ণ লোক করে তুলেছি।
    সেই তরুণ সৈন্যকে আমি শক্তিশালী করেছি।
20 আমার দাস দায়ূদকে আমি খুঁজে পেয়েছি।
    বিশেষ তৈল দ্বারা আমি দায়ূদকে অভিষিক্ত করেছি।
21 আমার ডান হাত দিয়ে আমি দায়ূদকে সহায়তা দিয়েছি
    এবং আমার শক্তি দিয়ে আমি তাকে শক্তিশালী করেছি।
22 এই মনোনীত রাজাকে শত্রুরা পরাজিত করতে পারে নি।
    দুষ্ট লোকরা ওকে হারাতে পারে নি।
23 আমি ওর শত্রুদের শেষ করে দিয়েছি।
    যারা আমার মনোনীত রাজাকে ঘৃণা করেছে, তাদের আমি পরাজিত করেছি।
24 যে রাজাকে আমি পছন্দ করেছি, তাকে আমি সর্বদা ভালোবাসবো ও সমর্থন করবো।
    সর্বদাই আমি তাকে শক্তিশালী করে তুলবো।
25 আমার মনোনীত রাজাকে আমি সমুদ্রের দায়িত্ব দিয়েছি।
    নদীগুলোকে সে নিয়ন্ত্রণ করবে।
26 সে আমাকে বলবে, ‘আপনিই আমার পিতা।
    আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার শিলা, আমার পরিত্রাতা।’
27 আমি তাকে আমার প্রথম জাত সন্তান করবো।
    সে পৃথিবীর সব রাজাদের ওপরে মহারাজা হবে।
28 আমার প্রেম, ওই মনোনীত রাজাকে সব সময়েই রক্ষা করবে।
    ওর সঙ্গে আমার চুক্তি কোনদিন শেষ হবে না।
29 আমি ওর পরিবারকে চিরকাল অব্যাহত রাখব।
    ওর রাজ্য স্বর্গগুলির মতই চিরদিন বজায় থাকবে।
30 ওর উত্তরপুরুষরা যদি আমার বিধি ত্যাগ করে,
    যদি ওরা আমায় মান্য করা থেকে বিরত হয়, আমি ওদের শাস্তি দেবো।
31 যদি আমার মনোনীত রাজার উত্তরপুরুষরা
    আমার বিধি আজ্ঞা উপেক্ষা করে,
32 তাহলে আমি ওদের ভয়ানক শাস্তি দেবো।
33 কিন্তু ওদের ওপর থেকে কখনও আমার ভালোবাসা প্রত্যাহার করবো না।
    সর্বদাই আমি ওদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবো।
34 দায়ূদের সঙ্গে আমি কখনও আমার চুক্তি ভঙ্গ করবো না।
    আমি আমাদের চুক্তির পরিবর্তনও করবো না।
35 আমার পবিত্রতা দিয়ে, আমি ওকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
    দায়ূদের সঙ্গে আমি কখনই মিথ্যাচার করবো না!
36 দায়ূদের পরিবার চিরদিনের জন্য অব্যাহত থাকবে।
    যতকাল সূর্য থাকবে ততকাল ওর রাজ্য বজায় থাকবে।
37     চাঁদের মতই ওর রাজত্ব চিরদিন বজায় থাকবে।
আকাশই আমার সেই চুক্তির প্রমাণ দেয়। এই চুক্তি বিশ্বাস যোগ্য।”

38 কিন্তু ঈশ্বর, আপনার মনোনীত রাজার প্রতি আপনি ক্রুদ্ধ হয়েছেন,
    এবং আপনি তাকে বরাবরই ত্যাগ করেছেন।
39 আপনার চুক্তি আপনি বাতিল করে দিয়েছেন।
    আপনি রাজার মুকুটকে ধূলোয় নিক্ষেপ করেছেন।
40 রাজার নগরীর প্রাচীর আপনি মাটিতে ফেলে দিয়েছেন।
    তার সব দুর্গকে আপনি ধ্বংস করেছেন।
41 পথচারী মানুষ তার জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।
    তার প্রতিবেশীরা তাকে বিদ্রূপ করে।
42 রাজার সব শত্রুকে আপনি খুশী করেছেন।
    তার শত্রুদের আপনি যুদ্ধে জয়ী হতে দিয়েছেন।
43 ঈশ্বর, আপনি ওদের নিজেদের রক্ষা করতে সাহায্য করেছেন।
    আপনার রাজাকে আপনি যুদ্ধে জয় করতে সাহায্য করেন নি।
44 আপনি তাকে জয়ী হতে দেন নি।
    তার সিংহাসনকে আপনি ভূ-লুন্ঠিত করেছেন।
45 তার যৌবনেই আপনি তার জীবনকে ছোট করে দিয়েছেন।
    তাকে আপনি লজ্জা দিয়েছেন।

46 প্রভু, আর কতদিন ওই সব চলবে?
    আপনি কি চিরদিন আমাদের উপেক্ষা করবেন?
    আপনার ক্রোধ কি চিরদিনই আগুনের মত জ্বলতে থাকবে?
47 স্মরণ করে দেখুন আমার জীবন কত নাতিদীর্ঘ।
    আপনি আমাদের সকলকেই সামান্য সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন, এরপর আমরা মারা যাবো।
48 কেউ চিরদিন বাঁচবে না, এবং এমন কেউই নেই যে মরবে না।
    কোন ব্যক্তিই কবর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না।

49 হে ঈশ্বর, সেই প্রেম কোথায় যা অতীতে আপনি প্রদর্শন করেছিলেন?
    আপনি দায়ূদকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তার পরিবারের প্রতি আপনি বিশ্বাসভাজন থাকবেন।
50-51 হে প্রভু, স্মরণে রাখবেন, কেমন করে লোকরা আপনার দাসকে অপমান করেছিলো।
প্রভু, আপনার শত্রুদের কাছ থেকে সেই সব অপমান আমায় শুনতে হয়েছে।
    ওই লোকরা আপনার মনোনীত রাজাকে অপমান করেছে।

52 ধন্য প্রভু চিরকালের জন্য!
আমেন! আমেন!

আদি 49:1-28

যাকোব তাঁর পুত্রদের আশীর্বাদ করলেন

49 এরপর যাকোব তাঁর পুত্রদের তাঁর কাছে ডাকলেন এবং বললেন, “আমার বাছারা এখানে আমার কাছে এস। ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা আমি তোমাদের বলছি।

“যাকোবের পুত্ররা এস, একসাথে এসে শোন
তোমাদের পিতা ইস্রায়েল কি বলছেন।

রূবেণ

“রূবেণ আমার প্রথম জাত, তুমিই তো আমার প্রথম সন্তান,
    পুরুষ হিসাবে আমার শক্তির প্রথম প্রমাণ।
তুমি আমার সন্তানদের মধ্যে
    সবচেয়ে সম্মানিত এবং শক্তিমান।
কিন্তু বন্যার মত তোমার কামেচ্ছা,
    তুমি তা দমন করো নি।
সেইজন্য তুমি সম্মানিত সন্তান হিসাবে
    তোমার প্রাধান্য হারাবে।
তুমি তোমার পিতার শয্যায় উঠেছিলে
    আর তার এক স্ত্রীর সাথে শুয়েছিলে।
তুমি সেই শয্যায় ঘুমিয়েছ
    এবং সেই শয্যাকে অপবিত্র করেছ।

শিমিয়োন ও লেবি

“শিমিয়োন ও লেবি ভাই ভাই।
    তারা যোদ্ধা এবং তারা তাদের তরবারি নিয়ে যুদ্ধ করতে ভালবাসে।
আমি তাদের গোপন সভায় অংশ নেব না।
    আমি তাদের মন্দ পরিকল্পনায় অংশ নেব না।
তারা রাগে মানুষ হত্যা করল।
    এবং কেবল ঠাট্টা করতে পশুদের আঘাত করল।
তাদের রাগ এক অভিশাপ, কারণ তা প্রচণ্ড।
    উন্মত্ত হয়ে উঠলে তারা নিষ্ঠুরতায় পূর্ণ হয়।
তারা যাকোবের দেশে তাদের অংশ পাবে না।
    তারা সমস্ত ইস্রায়েলে ছড়িয়ে পড়বে।

যিহূদা

“যিহূদা তোমার ভাইরা তোমার প্রশংসা করবে।
    তুমি তোমার শত্রুদের পরাজিত করবে।
    তোমার ভাইরা তোমার কাছে জানু পাতবে।
আমার বাছা, তুমি শিকারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সিংহের মতো।
    সে বিশ্রাম করলে তাকে বিরক্ত করার সাহস কার আছে?
10 যিহূদার বংশ থেকেই রাজারা উঠবে।
    তার বংশ যে শাসন করবে
এই চিহ্ন প্রকৃত রাজা না আসা পর্যন্ত রইবে।
    পরে বহু লোক বাধ্য হয়ে তার সেবা করবে।
11 সে তার গাধার শাবককে উত্তম দ্রাক্ষালতা দিয়ে বাঁধবে।
    সে উত্তম দ্রাক্ষারসে নিজের বস্ত্র ধৌত করবে।
12 তার চোখ দ্রাক্ষারস পান করে লাল,
    তার দাঁত দুধ পান করে সাদা।

সবূলূন

13 “সবূলূন সমুদ্রের কাছে বাস করবে।
    তার সমুদ্রোপকুল জাহাজের পক্ষে হবে নিরাপদ।
    সীদোন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে তার দেশ।

ইষাখর

14 “ইষাখর খচ্চরের মত কঠিন পরিশ্রম করেছে।
    ভারী বোঝা বহন করার পর সে বিশ্রাম করবে।
15 সে দেখবে তার বিশ্রাম স্থান উত্তম।
    তার দেশ হবে মনোহর।
তখন সে ভারী বোঝা বইতে সম্মত হবে।
    দান হিসাবে কাজ করতে সম্মতি জানাবে।

দান

16 “দান ইস্রায়েলের অন্য বংশের মতোই
    নিজের প্রজাদের বিচার করবে।
17 দান হবে পথের ধারের সাপের মতো।
    সে পথে শুয়ে থাকা বিষধর সাপের মতই হবে।
সেই সাপ, যে ঘোড়ার পায়ে দংশন করে
    চালককে মাটিতে ফেলে দেয়।

18 “হে প্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের অপেক্ষা করছি।

গাদ

19 “এক দল দস্যু গাদকে আক্রমণ করবে।
    কিন্তু গাদ তাদের পিছনে তাড়া করবে।

আশের

20 “আশেরের দেশে উত্তম খাদ্য উৎপন্ন হবে।
    রাজার উপযুক্ত খাদ্যই সে যোগাবে!

নপ্তালি

21 “নপ্তালি মুক্ত হরিণীর মতো,
    আর তার বাক্য তাদের সুন্দর শিশুর মতো।

যোষেফ

22 “যোষেফ বন্য গাধার মতো,
    সে ফলে ঢাকা লতার মতো, বসন্তে বেড়ে ওঠা শাখার মতো,
    বেড়ার গায়ে বেড়ে ওঠা লতার মতো।
23 অনেক লোক তার বিরোধিতা করেছে এবং তার সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
    ধনুকধারীরা তার শত্রু হয়েছে।
24 কিন্তু সে তার পরাক্রমী ধনু ও দক্ষ বাহুর সাহায্যে যুদ্ধ জয় করেছে।
সে ক্ষমতা পায় যাকোবের এক বীরের কাছ থেকে,
    এক মেষপালকের কাছ থেকে, ইস্রায়েলের শৈলের কাছে থেকে।
25 তোমার পিতার ঈশ্বরের কাছ থেকে ঈশ্বর তোমায় আশীর্বাদ করুন।
    সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তোমায় আশীর্বাদ করুন,
উপরের আকাশ হতে আশীর্বাদ বর্ষান,
    আর গভীর জল থেকেও আশীর্বাদ করুন।
    তিনি তোমাকে স্তন ও গর্ভ হতেও আশীর্বাদ করুন।
26 আমার পূর্বপুরুষরা অনেক আশীর্বাদ ভোগ করেছেন।
    কিন্তু তোমার পিতা আমি আরও বেশী আশীর্বাদ পেয়েছি।
তোমার ভাইরা তোমায় সব কিছু থেকে বঞ্চিত করল;
    কিন্তু এখন আমি পর্বতের সমান উঁচু আশীর্বাদ
    তোমার মাথায় রাশিকৃত করলাম।

বিন্যামীন

27 “বিন্যামীন ক্ষুধার্ত নেকড়ে।
    সকালে সে শিকার করে খেতে বসে।
    বিকালে যা পড়ে থাকে তা ভাগ করে নেয়।”

28 এই হল ইস্রায়েলের বারো বংশ। আর এই কথাগুলো তাদের পিতা তাদের বলেছিলেন। তিনি প্রত্যেকটি সন্তানকে তাদের উপযুক্ত আশীর্বাদে আশীর্বাদ করলেন।

1 করিন্থীয় 10:14-11:1

14 আমার প্রিয় বন্ধুরা, সব রকম প্রতিমা পূজা থেকে দূরে থাক। 15 আমি তোমাদের বুদ্ধিমান জেনে একথা বলছি। আমি যা বলি তা তোমরা নিজেরাই বিচার করে দেখ। 16 আশীর্বাদের পানপাত্র, যা নিয়ে আমরা ধন্যবাদ দিই তা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগীতা নয়? যে রুটি ভেঙে টুকরো টুকরো করে খাওয়া হয়, তা কি খ্রীষ্টের দেহের সহভাগীতা নয়? 17 রুটি একটাই কিন্তু আমরা সকলেই সেই একটা রুটি থেকেই অংশ গ্রহণ করি। তাই আমরা অনেক হলেও আসলে আমরা এক দেহ।

18 ইস্রায়েল জাতির কথা চিন্তা কর। যারা বলির মাংস খায় তারা কি সেই যজ্ঞবেদীর নৈবেদ্যর সহভাগী হয় না? 19 তাহলে আমার কথার অর্থ কি হল? আমি কি এই কথা বলছি যে, প্রতিমার কাছে যেসব ভোগ উৎসর্গ করা হয় তার কোন তাৎপর্য আছে অথবা প্রতিমার কোন বাস্তবতা আছে? 20 কিন্তু আমার কথার অর্থ এই লোকেরা যা কিছু প্রতিমার উদ্দেশ্যে বলিদান করে, তারা তা ভূতদের উদ্দেশ্যেই করে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নয়; আর আমি চাই না যে তোমাদের কোনভাবে ভুতদের সঙ্গে সংযোগ থাকে। 21 তোমরা প্রভুর পানপাত্র ও ভুতদের পানপাত্র, উভয় থেকে পান করতে পার না। আবার তোমরা প্রভুর টেবিল ও ভুতদের টেবিল উভয় টেবিলে অংশ নিতে পার না। 22 তোমরা কি প্রভুকে ঈর্ষান্বিত করতে চাইছ? আমরা কি তাঁর থেকে শক্তিশালী? কখনই না।

তোমাদের স্বাধীনতা ঈশ্বরের মহিমার জন্য ব্যবহার কর

23 “আমাদের সব কিছু করার স্বাধীনতা আছে।” তবে সব কিছুই যে মঙ্গলজনক তা নয়। “হ্যাঁ, যে কোন কিছু করার স্বাধীনতা আমাদের দেওয়া আছে।” তবে সব কিছুই যে গড়ে তোলে তা নয়। 24 কেউ যেন স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা না করে; বরং প্রত্যেকে যেন অপরের মঙ্গল চায়।

25 বিবেকের প্রশ্ন না তুলে যে কোন মাংস বাজারে বিক্রি হয় তা খাও। 26 কারণ শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে: “পৃথিবী ও তার মধ্যেকার সব কিছুই প্রভুর।”(A)

27 যদি কোন অবিশ্বাসী ভাই তোমাকে নিমন্ত্রণ করে আর যদি তুমি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে চাও, তবে নিজের বিবেকের কাছে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করে যে কোন খাদ্যদ্রব্য পরিবেশন করে সামনে রাখা হয়, তা খেও। 28 কিন্তু কেউ যদি বলে যে, “এ হল প্রতিমার প্রসাদ” তবে যে জানালো, তার কথা চিন্তা করে ও বিবেকের কথা মনে রেখে, তা খেও না। 29 আমি কোন ব্যক্তির নিজের বিবেকের নয়, কিন্তু অপর ব্যক্তির বিবেকের বিষয় বলছি। আমার স্বাধীনতা কেন অপরের বিবেক বিচার করবে? 30 যদি আমি ধন্যবাদ জানিয়ে খাই, তাহলে যে বিষয়ের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়েছি সে বিষয়ে আমার সমালোচনা হবে এ আমি চাই না।

31 তাই তোমরা আহার কর, কি পান কর বা যা কিছু কর, সব কিছুই ঈশ্বরের মহিমার জন্য কর। 32 কি ইহুদী, কি গ্রীক, কি ঈশ্বরের মণ্ডলী, কারো বিঘ্নের কারণ হয়ো না। 33 যেমন আমি নিজের ভাল চাই না কিন্তু অপরের ভাল চাই, যেন তারা উদ্ধার লাভ করে।

11 আমি যেমন খ্রীষ্টের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করি, তোমরাও তেমনি আমার দৃষ্টান্ত অনুসরণ কর।

মার্ক 7:24-37

যীশু একটি অইহুদী স্ত্রীলোককে সাহায্য করলেন

(মথি 15:21-28)

24 পরে তিনি সেই স্থান ছেড়ে সোর অঞ্চলে গিয়ে সেখানে একটা বাড়িতে ঢুকলেন, আর তিনি যে সেখানে এসেছেন সেটা গোপন রাখতে চাইলেন: কিন্তু পারলেন না। 25 যীশুর আসার কথা শুনে একটি স্ত্রীলোক, যার মেয়ের ওপর অশুচি আত্মা ভর করেছিল, সে সঙ্গে সঙ্গে এসে যীশুর পায়ে লুটিয়ে পড়ল। 26 স্ত্রীলোকটি ছিল জাতিতে গ্রীক, সুরফৈনীকী। সে মিনতি করে যীশুকে বলল যেন তিনি তার মেয়ের ভেতর থেকে ভূতকে তাড়িয়ে দেন।

27 তিনি স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “প্রথমে ছেলেমেয়েরা তৃপ্ত হোক্, কারণ ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরকে খাওয়ানো ঠিক নয়।”

28 তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “প্রভু এটা সত্য; কিন্তু কুকুররাও তো খাবার টেবিলের নীচে ছেলেমেয়েদের ফেলে দেওয়া খাবারের টুকরোগুলো খেতে পায়।”

29 তখন তিনি তাকে বললেন, “তুমি ভালোই বলেছ, বাড়ি যাও, গিয়ে দেখ ভূত তোমার মেয়েকে ছেড়ে চলে গেছে।”

30 তখন সে বাড়ি গিয়ে দেখতে পেল, মেয়েটি বিছানায় শুয়ে আছে এবং ভূত তার মধ্য থেকে বেরিয়ে গেছে।

এক বধিরের আরোগ্যলাভ

31 পরে তিনি সোর থেকে সীদোন হয়ে দিকাপলি অঞ্চলের ভেতর দিয়ে গালীল হ্রদের কাছে ফিরে এলেন। 32 তখন কিছু লোক একটা বোবা কালাকে তাঁর কাছে এনে তাঁকে তার ওপর হাত রাখতে মিনতি করল।

33 তিনি তাকে ভীড়ের মধ্যে থেকে এক পাশে এনে তার দুই কানে নিজের আঙ্গুল দিলেন। তারপর থুথু ফেলে তার জিভ ছুঁলেন। 34 আর স্বর্গের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “ইপফাথা!” যার অর্থ “খুলে যাক!” 35 সঙ্গে সঙ্গে লোকটি কানে শুনতে পেল, তার জিভের জড়তা কেটে গেল আর সে ভালভাবেই কথা বলতে লাগল।

36 পরে তিনি তাদের একথা আর কাউকে বলতে নিষেধ করলেন; কিন্তু তিনি যতই বারণ করলেন ততই তারা আরো বেশী করে বলতে লাগল। 37 যীশুর এই কাজ দেখে তারা অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে গিয়ে বলল, “তিনি যা কিছু করেন তা অপূর্ব। তিনি কালাকে শোনার শক্তি, বোবাকে কথা বলার শক্তি দেন।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International