Book of Common Prayer
কুফ
145 হে প্রভু, আমার সর্বান্তঃকরণ দিয়ে আমি আপনাকে ডাকছি, আমায় উত্তর দিন!
আমি আপনার সমস্ত আজ্ঞাগুলি মান্য করব।
146 প্রভু, আমি আপনাকে ডাকছি।
আমায় রক্ষা করুন! আমি আপনার চুক্তি পালন করবো।
147 আপনার কাছে প্রার্থনা করার জন্য আমি খুব সকালে উঠি।
আপনি যা বলেন আমি তার ওপর নির্ভর করি।
148 আপনার কথা অধ্যয়নের জন্য
আমি অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি।
149 হে প্রভু, আপনি প্রেমময় এবং ন্যায়পরায়ণ।
দয়া করে আমার কথা শুনুন এবং আমাকে বাঁচতে দিন।
150 দুষ্ট লোকরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ঐ লোকরা আপনার শিক্ষামালা অনুসরণ করে না।
151 প্রভু, আপনি আমার কাছেই আছেন
এবং আপনার সব আজ্ঞাই বিশ্বাস করা চলে।
152 দীর্ঘদিন আগে আমি আপনার চুক্তি থেকে জেনেছি
যে আপনার শিক্ষামালা হবে চিরন্তন।
রেশ
153 প্রভু, আমার দুর্দশা দেখুন এবং আমায় উদ্ধার করুন।
আমি আপনার শিক্ষামালাগুলো ভুলি নি।
154 হে প্রভু, আমার জন্য আপনি লড়াই করুন এবং আমায় রক্ষা করুন।
আপনার প্রতিশ্রুতি অনুসারে আমায় বাঁচতে দিন।
155 দুষ্ট লোকরা জয় করতে পারবে না,
কারণ তারা আপনার বিধি অনুসরণ করে না।
156 প্রভু, আপনি অত্যন্ত সদয়। যেগুলো আপনি যথাযথ বলেন সেই কাজই করুন এবং আমায় বেঁচে থাকতে দিন।
157 আমার অনেক শত্রু আছে যারা আমাকে আঘাত করতে চায়,
কিন্তু আমি আপনার চুক্তি অনুসরণ করা থেকে বিরত হই নি।
158 আমি ঐ বিশ্বাসঘাতকদের দেখি।
প্রভু, তারা আপনার বাক্য অনুসরণ করে না এবং আমি তা ঘৃণা করি।
159 দেখুন, আপনার আজ্ঞা পালনের জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
প্রভু আপনার সব ভালোবাসা দিয়ে আমায় বেঁচে থাকতে দিন।
160 একেবারে শুরু থেকে আপনার প্রত্যেকটি বাক্যকেই নির্ভর করা যাবে।
প্রভু, আপনার সমস্ত ভালো ও ন্যায্য বিধিগুলো চিরদিনই থাকবে।
শিন্
161 শক্তিশালী নেতারা বিনা কারণে আমায় আক্রমণ করেছিলো।
কিন্তু আমি একমাত্র আপনার বিধিকে ভয় ও শ্রদ্ধা করেছিলাম।
162 হে প্রভু, আপনার বাক্যসমুহ আমাকে খুশী করে,
একটি লোক প্রচুর সম্পদ খুঁজে পেলে যেমন সুখী হয় তেমন সুখী।
163 আমি মিথ্যাকে ঘৃণা করি! আমি ওসব সহ্য করতে পারি নি।
কিন্তু আমি আপনার শিক্ষামালাকে ভালোবাসি, প্রভু।
164 আপনার ভালো ও ন্যায্য বিধিগুলোর জন্য
আমি দিনে সাতবার আপনার প্রশংসা করি।
165 যারা আপনার শিক্ষাকে ভালোবাসে সেই লোকেরা প্রকৃত শান্তি খুঁজে পাবে।
কোন কিছুই ঐ লোকদের পতন ডেকে আনতে পারবে না।
166 প্রভু, আপনি আমায় রক্ষা করবেন আমি এই জন্য প্রতীক্ষা করছি।
আমি আপনার আজ্ঞাগুলি পালন করেছি।
167 আমি আপনার চুক্তি অনুসরণ করেছি।
প্রভু, আপনার বিধিগুলো আমি প্রচণ্ড ভালোবাসি।
168 আমি আপনার আজ্ঞা এবং আপনার চুক্তি অনুসরণ করেছি।
প্রভু, আমি কি করেছি তার সবই আপনি জানেন।
তৌ
169 প্রভু আমার আনন্দ গীত শুনুন।
আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় জ্ঞানী করে দিন।
170 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় রক্ষা করুন।
171 আমায় আপনি আপনার বিধিগুলো শিখিয়েছেন।
আপনার প্রশংসা আমার ওষ্ঠ থেকে উপছে পড়ে।
172 আপনার বাক্যে আমাকে সাড়া দিতে দিন এবং আমাকে আমার গান গাইতে দিন।
হে প্রভু, আপনার সব বিধিই ভালো।
173 আমি স্থির করেছি আপনার আজ্ঞাই মান্য করবো।
তাই এগিয়ে আসুন এবং আমায় সাহায্য করুন।
174 হে প্রভু, আমি চাই আপনি আমায় রক্ষা করুন।
আপনার শিক্ষামালা আমাকে সুখী করে।
175 আমাকে বাঁচতে দিন এবং আপনার প্রশংসা করতে দিন প্রভু।
আপনার বিধি যেন আমায় সাহায্য করে।
176 হারিয়ে যাওয়া মেষের মত আমি ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম অতি দূরে।
হে প্রভু, আমায় খুঁজতে আসুন।
আমি আপনার দাস
এবং আমি আপনার আজ্ঞাগুলি ভুলে যাই নি।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
128 প্রভুর প্রত্যেকটি অনুগামীই সুখী।
ঈশ্বর যেভাবে চান তারা সেইভাবেই বাঁচে।
2 যার জন্য তুমি পরিশ্রম করছো তা তুমি উপভোগ করবে।
তুমি সুখী হবে এবং তোমার ভাল হবে।
3 গৃহে তোমার স্ত্রী ফলদায়ী দ্রাক্ষালতার মতই হবে।
তোমার সন্তানরা তোমার পোঁতা জলপাই গাছের মতই তোমার টেবিলের চারপাশে থাকবে।
4 এইভাবেই প্রভু তাঁর অনুগামীকে তাঁর প্রকৃত আশীর্বাদ দেবেন।
5 সিয়োন থেকে প্রভু তোমায় আশীর্বাদ করুন।
সারা জীবন ধরে জেরুশালেমে তুমি তাঁর আশীর্বাদ উপভোগ কর।
6 তুমি যেন তোমার নাতি-নাতনিদের দেখার জন্য দীর্ঘ জীবন লাভ কর।
ইস্রায়েলের শান্তি বজায় থাকুক।
মন্দির পর্যন্ত আরোহণের একটি গীত।
129 সারা জীবন ধরে আমার অনেক শত্রু ছিলো।
হে ইস্রায়েল, আমাকে ঐ শত্রুদের সম্পর্কে বল।
2 সারা জীবন ধরে আমার অনেক শত্রু ছিলো।
কিন্তু তারা কখনই জয়ী হয় নি।
3 আমার পিঠে গভীর ক্ষত না হওয়া পর্যন্ত তারা আমায় মেরেছিল।
আমার দীর্ঘ গভীর ক্ষত হয়েছিল।
4 কিন্তু মঙ্গলময় প্রভু দড়ি কেটে দিয়েছিলেন।
আমাকে ঐ মন্দ লোকদের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন।
5 যারা সিয়োনকে ঘৃণা করতো তারা পরাজিত হয়েছে।
যুদ্ধ থামিয়ে দিয়ে ওরা দৌড়ে পালিয়ে গেছে।
6 ঐ লোকগুলো ছাদের ওপর জন্মানো ঘাসের মত।
সেই ঘাস বেড়ে ওঠার আগেই মারা যায়।
7 একজন শ্রমিক সেই ঘাস থেকে এক মুঠো দানাও পায় না।
এক গাদা দানার জন্য সেখানে যথেষ্ট ছিল না।
8 পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কোনও লোকে বলবে না “প্রভু তোমায় আশীর্বাদ করুন।”
ওদের অভিনন্দন জানিয়ে লোকে বলবে না, “প্রভুর নামে আমরা তোমায় আশীর্বাদ করি।”
মন্দির পর্যন্ত আরোহণের একটি গীত।
130 হে প্রভু, আমি গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছি,
তাই সাহায্যের জন্য আমি আপনাকে ডাকছি।
2 হে আমার প্রভু, আমার কথা শুনুন।
সাহায্যের জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
3 হে প্রভু, আপনি যদি লোকদের তাদের পাপ সমূহের জন্য শাস্তি দেন
তাহলে কেউই আর জীবিত থাকবে না।
4 প্রভু আপনার লোকদের ক্ষমা করে দিন।
তাহলে আপনার উপাসনা করার মত লোক থাকবে।
5 প্রভু আমায় সাহায্য করবেন আমি এই প্রতীক্ষায় রয়েছি।
আমার আত্মা তাঁর জন্য প্রতীক্ষা করে।
প্রভু যা বলেন আমি তা বিশ্বাস করি।
6 আমি আমার প্রভুর প্রতীক্ষায় রয়েছি,
যেমন একজন প্রহরী সকাল হওয়ার প্রতীক্ষায় থাকে।
7 হে ইস্রায়েল, প্রভুকে বিশ্বাস কর।
প্রকৃত প্রেম একমাত্র প্রভুতেই খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রভু আমাদের বারে বারে রক্ষা করেন
8 এবং প্রভু ইস্রায়েলকে তাদের সব পাপের জন্যই ক্ষমা করবেন।
অপরকে একটি ঋণ পেতে সাহায্য করবার বিপদসমূহ
6 পুত্র, অপরের ঋণের জন্য কখনও দায়ী থেকো না। অন্য কোন ব্যক্তি তার ঋণ শোধ করতে না পারলে তুমি কি তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছ? 2 তাহলে তুমি ফেঁসে গিয়েছ। তুমি নিজের প্রতিশ্রুতি জালেই জড়িয়ে পড়েছ। 3 তুমি নিজেকে ঐ ব্যক্তিটির ক্ষমতার অধীনে রেখেছ। শীঘ্র তার কাছে গিয়ে নিজেকে মুক্ত কর। তার ঋণের বোঝা থেকে তোমাকে মুক্ত করবার জন্য তার কাছে অনুরোধ জানাও। 4 বিশ্রাম করো না এবং ঘুমিয়ো না। 5 হরিণের মত শিকারীর ফাঁদ থেকে পালিয়ে এসো। জাল কেটে পালিয়ে যাওয়া পাখির মতো নিজেকে মুক্ত কর।
অলস হওয়ার বিপদ
6 অলস মানুষ, তোমাদের পিঁপড়েদের মতো হওয়া উচিৎ। দেখো, পিঁপড়েরা কি করে। পিঁপড়েদের কাছ থেকে শেখো এবং জ্ঞানী হও। 7 পিঁপড়েদের কোনও মালিক নেই, শাসক নেই, নেতা নেই। 8 কিন্তু গ্রীষ্মকালে পিঁপড়েরা তাদের যাবতীয় খাবার সংগ্রহ করে। ঐ খাদ্য তারা বাঁচিয়ে রাখে এবং শীতের সময়ও তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার থাকে।
9 অলস মানুষ, আর কতক্ষণ তুমি ঘুমিয়ে থাকবে? তোমার শয্যায় বিশ্রাম নেওয়ার থেকে কখন তুমি উঠবে? 10 একজন অলস ব্যক্তি বলে, “আমাকে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমোতে দাও এবং একটু বিশ্রাম নিতে দাও।” 11 তার অলসতার ফলস্বরূপ, একজন চোর যেমন সব কিছু চুরি করে নেয় সে রকম ভাবে তার ওপর দারিদ্র্য আসবে! অচিরেই সে কপর্দকহীন হয়ে পড়বে!
পাপী লোকরা
12 একজন পাপী এবং অকর্মণ্য ব্যক্তি মিথ্যে কথা বলে এবং খারাপ কাজ করে। 13 সে চোখ টিপে এবং হাত ও পায়ের সাহায্যে নানা ধরণের ইঙ্গিত করে লোকদের ঠকায়। 14 ঐ ব্যক্তিটি দুষ্ট। সে সর্বদাই অপরের বিরুদ্ধে দুষ্ট পরিকল্পনা করে। সে সদাসর্বদা অশান্তি সৃষ্টি করে। 15 কিন্তু সে শাস্তি পাবে। আকস্মিক বিপর্যয় তার ওপর আসবে। অকস্মাৎ সে ধ্বংস হবে! এবং তাকে সাহায্য করবার কেউ থাকবে না!
সাতটি জিনিষ যা প্রভু ঘৃণা করেন
16 প্রভু, সাতটি নয়, ছয়টি জিনিসকে ঘৃণা করেন:
17 যে চোখগুলো একজন লোকের গর্ব দেখায়,
যে জিহ্বা মিথ্যে কথা বলে,
হাতগুলো যেগুলো নির্দোষ লোকদের হত্যা করে,
18 হৃদয়সমূহ, যারা অন্যদের বিরুদ্ধে অনিষ্ট পরিকল্পনা করে,
পা, যেগুলো কু-কাজ করতে ছোটে,
19 যে ব্যক্তি আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দেয় এবং যা সত্যি নয় তাই বলে,
যে ব্যক্তি ভাইদের মধ্যে তর্কাতর্কির কারণ ঘটায়।
ঈশ্বরের সন্তান জগতকে জয় করতে পারে
5 যারা বিশ্বাস করে যে যীশুই খ্রীষ্ট, তারা ঈশ্বরের সন্তান। যে কেউ পিতাকে ভালবাসে, সে তাঁর সন্তানদের ভালবাসে। 2 আমরা কি করে জানব যে আমরা ঈশ্বরের সন্তানদের ভালবাসি? আমরা জানি যেহেতু আমরা ঈশ্বরকে ভালবাসি ও তাঁর সব আদেশ পালন করি। 3 ঈশ্বরকে ভালবাসার অর্থই হচ্ছে তাঁর আদেশ পালন করা; আর ঈশ্বরের আদেশ ভারী বোঝার মতো নয়। 4 কারণ প্রত্যেক ঈশ্বরজাত সন্তান জগতকে জয় করে। 5 আমাদের বিশ্বাসই আমাদের জগতজয়ী করেছে। কে জগতের ওপরে বিজয়ী হতে পারে? যে বিশ্বাস করে যে, যীশুই ঈশ্বরের পুত্র।
ঈশ্বর তাঁর পুত্রের কথা বললেন
6 ইনিই যীশু খ্রীষ্ট, যিনি জগতে জল ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন। আত্মাই বলছেন এই কথা সত্য, আর সেই আত্মা স্বয়ং সত্য। 7 যীশুর বিষয়ে তিনজন সাক্ষ্য দিচ্ছেন। 8 আত্মা, জল ও রক্ত আর সেই তিনের এক সাক্ষ্য।
9 লোকে যখন সত্য কিছু বলে আমরা তা বিশ্বাস করি, তবে ঈশ্বরের দেওয়া সাক্ষ্য এর থেকে কত না মূল্যবান। বস্তুত ঈশ্বর স্বয়ং আমাদের কাছে এই সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনি তাঁর নিজের পুত্রের বিষয়ে সত্য জানিয়েছেন। 10 ঈশ্বরের পুত্রকে যে বিশ্বাস করে ঐ সত্য তার অন্তরে থাকে। ঈশ্বরের কথায় যে বিশ্বাস করে না, সে তাঁকে মিথ্যাবাদী করেছে, কারণ ঈশ্বর তাঁর পুত্রের বিষয়ে যে কথা বলেছেন সে তাতে বিশ্বাস করে নি। 11 সেই সাক্ষ্য হচ্ছে, ঈশ্বর আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং এই জীবন তাঁর পুত্রে আছে। 12 ঈশ্বরের পুত্রকে যে পেয়েছে সেই সত্য জীবন পেয়েছে। ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নি সে জীবন পায় নি।
ইহুদী নেতারা যীশুকে হত্যার চক্রান্ত করতে লাগল
(মথি 26:1-5; মার্ক 14:1-2; লূক 22:1-2)
45 তখন মরিয়মের কাছে যারা এসেছিল, সেই সব ইহুদীদের মধ্যে অনেকে যীশু যা করলেন তা দেখে যীশুর ওপর বিশ্বাস করল। 46 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন ফরীশীদের কাছে গিয়ে যীশু যা করেছিলেন তা তাদের জানালো। 47 এরপর প্রধান যাজক ও ফরীশীরা পরিষদের এক মহাসভা ডেকে সেখানে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “আমরা এখন কি করব? এই লোকটা তো অনেক অলৌকিক চিহ্নকার্য করছে। 48 আমরা যদি ওকে এইভাবেই চলতে দিই তাহলে তো সকলেই এর ওপর বিশ্বাস করবে। তখন রোমীয়রা এসে আমাদের এই মন্দির ও আমাদের জাতিকে ধ্বংস করবে।”
49 কিন্তু তাদের মধ্যে একজন, যাঁর নাম কায়াফা, যিনি সেই বছরের জন্য মহাযাজকের পদ পেয়েছিলেন, তাদের বললেন, “তোমরা কিছুই জানো না। 50 আর তোমরা এও বোঝ না যে গোটা জাতি ধ্বংস হওয়ার পরিবর্তে সেই মানুষের মৃত্যু হওয়া তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে।”
51 একথা কায়াফা যে নিজের থেকে বললেন তা নয়, কিন্তু সেই বছরের জন্য মহাযাজক হওয়াতে তিনি এই ভাববাণী করলেন, যে সমগ্র জাতির জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন। 52 যীশু যে কেবল ইহুদী জাতির জন্য মৃত্যুবরণ করবেন তা নয়, সারা জগতে যে সমস্ত ঈশ্বরের সন্তানরা চারদিকে ছড়িয়ে আছে, তাদের সকলকে একত্রিত করার জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করবেন।
53 তাই সেই দিন থেকে তারা যীশুকে হত্যা করার জন্য চক্রান্ত করতে লাগল। 54 যীশু তখন প্রকাশ্যে ইহুদীদের মধ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দিলেন। তিনি সেখান থেকে মরুপ্রান্তরের কাছে ইফ্রয়িম নামে এক শহরে চলে গেলেন এবং সেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে থাকলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International