Book of Common Prayer
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটি গীত।
120 আমি সমস্যায় পড়েছিলাম।
সাহায্যের জন্য আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম
এবং তিনি আমায় উদ্ধার করেছেন!
2 “প্রভু, যারা আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ওই লোকগুলো যে কথাগুলো বলেছে তা সত্য নয়।”
3 মিথ্যাবাদীরা তোমরা কি জানো তোমরা কি পাবে?
তোমরা কি জানো তোমরা কি লাভ করবে?
4 সৈনিকগণের তীক্ষ্ণ তীরসমুহ এবং জ্বলন্ত কয়লা দিয়ে তোমাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
5 তোমরা মিথ্যাবাদী, তোমাদের কাছে বাস করা মেশকে বাস করার মতন।
এটা যেন কেদরের তাবুঁতে বাস করার সমতুল্য।
6 যারা শান্তিকে ঘৃণা করে তেমন লোকদের সঙ্গে
আমি দীর্ঘদিন বাস করেছি।
7 আমি বলেছি আমি শান্তি চাই,
কিন্তু তারা যুদ্ধ চেয়েছে।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
121 সাহায্যের জন্য আমি পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকি।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমার সাহায্য কোথা থেকে আসবে?
2 আমার সাহায্য প্রভুর কাছ থেকে আসবে,
যে প্রভু স্বর্গ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।
3 ঈশ্বর তোমার পতন ঘটাতে দেবেন না।
তোমার রক্ষাকর্তা ঘুমিয়ে পড়বেন না।
4 ইস্রায়েলের রক্ষাকর্তা কখনও ঘুমোন না।
ঈশ্বর কখনও নিদ্রা যান না।
5 প্রভুই তোমার রক্ষাকর্তা।
তাঁর মহৎ শক্তি দিয়ে তিনি তোমায় রক্ষা করেন।
6 দিনের বেলায় সূর্য তোমায় আঘাত করতে পারে না।
রাতের বেলায় চাঁদ তোমায় আঘাত করতে পারে না।
7 সকল বিপদ থেকে প্রভু তোমায় রক্ষা করবেন।
প্রভু তোমার আত্মাকে রক্ষা করবেন।
8 যখনই তুমি আসবে এবং যাবে তখন প্রভু তোমায় সাহায্য করবেন।
প্রভু তোমাকে এখন এবং চিরদিন সাহায্য করবেন!
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দায়ূদের কাছ থেকে একটি গীত।
122 আমি প্রচণ্ড খুশী হয়েছিলাম যখন লোকে বলেছিলো,
“চল আমরা প্রভুর মন্দিরে যাই।”
2 আমরা এখানে জেরুশালেমের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।
3 এটা নতুন জেরুশালেম!
একটা সংযুক্ত শহর হিসেবে এই শহর আবার গড়ে উঠেছে।
4 এটা সেই শহর যেখানে
ঈশ্বরের লোকরা যায়।
প্রভুর নামের প্রশংসা করার জন্য ইস্রায়েলের লোকরা সেখানে যায়,
ওরা সবাই প্রভুর পরিবারগোষ্ঠীর লোক।
5 দায়ূদের পরিবারের রাজগণ তাঁদের বিচারের সিংহাসন ঐখানেই স্থাপন করেছেন।
লোকজনের বিচার করার জন্য তাঁরা তাঁদের সিংহাসন ঐখানে স্থাপন করেছেন।
6 জেরুশালেমের শান্তির জন্য প্রার্থনা কর:
“আমি আশা করি যারা আপনাকে ভালোবাসে তারা ওখানে গিয়ে শান্তি পাবে।
7 আমি আশা করি আপনার প্রাচীরের ভিতরে শান্তি থাকবে।
আপনার প্রাসাদগুলি নিরাপদ থাকুক।”
8 আমার প্রতিবেশী এবং ভাইদের ভালোর জন্য আমি প্রার্থনা করি,
সেখানে শান্তি থাকবে।
9 আমাদের প্রভুর মন্দিরের কল্যানের জন্য,
এই শহরের ভাল কিছু হোক্ এই মানসে আমি প্রার্থনা করি।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
123 হে ঈশ্বর, আমি আমার নয়ন যুগল ঊর্দ্ধে তুলি এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করি।
স্বর্গে আপনি রাজার মত বসেন।
2 দাসরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য
তাদের মনিবের ওপর নির্ভর করে।
সেইভাবে আমরাও আমাদের প্রভু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করি।
প্রভু আমাদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করবেন, এই প্রতীক্ষায় আমরা রয়েছি।
3 প্রভু, আমাদের প্রতি সদয় হোন,
কারণ দীর্ঘদিন ধরে আমরা অপমানিত হয়ে এসেছি।
4 ঐসব অলস এবং উদ্ধত লোকদের কাছ থেকে
আমরা যথেষ্ট অপমান ও নিন্দা পেয়েছি।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য দায়ূদের রচিত একটি গীত।
124 যদি প্রভু আমাদের দিকে না থাকতেন তাহলে কি হতে পারত?
হে ইস্রায়েল, আমাকে উত্তর দাও।
2 যখন লোকে আমাদের আক্রমণ করেছিলো,
তখন যদি প্রভু আমাদের দিকে না থাকতেন তাহলে কি অবস্থা হত?
3 যখন আমাদের শত্রুরা আমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছিলো,
তখন হয়তো তারা আমাদের জ্যান্ত গিলে ফেলত।
4 আমাদের শত্রুরা আমাদের বন্যার মত ধুয়ে দিয়ে যেতো,
নদীর মত ডুবিয়ে দিয়ে যেতো।
5 ঐ গর্বিত লোকরা মুখের ওপর ছাড়িযে যাওয়া জলের মত হত
এবং আমাদের ডুবিয়ে দিত।
6 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু আমাদের শত্রুদের হাতে, আমাদের ধরা পড়তে ও হত হতে দেন নি।
7 আমরা সেই পাখির মত, যে জালে জড়িয়ে পড়েও পালিয়ে গিয়েছিলো।
জাল ছিঁড়ে গেল এবং আমরা পালিয়ে গেলাম।
8 প্রভুর কাছ থেকে আমাদের সাহায্য আসে।
প্রভুই স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
125 যে লোকরা প্রভুতে আস্থা রাখে তারা সিয়োন পর্বতের মত হবে।
তারা কখনই কাঁপবে না
এবং তারা চিরদিন অব্যাহত থাকবে।
2 জেরুশালেমের চারদিকেই পর্বত রয়েছে এবং প্রভু তাঁর লোকদের চারদিকে রয়েছেন।
তাঁর লোককে তিনি চিরদিন রক্ষা করবেন।
3 দুষ্ট লোকরা ভাল লোকদের দেশকে চিরদিন শাসন করবে না।
যদি তাই হত তাহলে সৎ লোকরাও হয়তো মন্দ কাজ করা শুরু করতো।
4 হে প্রভু, ভাল ও সৎ লোকদের প্রতি ভালো ব্যবহার করুন।
শুদ্ধ হৃদয়ের লোকদের প্রতি সৎ ব্যবহার করুন।
5 মন্দ লোকরা মন্দ কাজকর্ম করে।
প্রভু ঐসব মন্দ লোককে শাস্তি দেবেন।
ইস্রায়েলের শান্তি বজায় থাকুক!
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার একটি গীত।
126 সিয়োন থেকে নির্বাসিত লোকদের প্রভু যখন ফিরিয়ে আনলেন,
সেই সময় যেন স্বপ্নের মতই ছিলো!
2 আমরা আনন্দে ভরে গিয়েছিলাম এবং আনন্দে গান গেয়েছিলাম!
তখন অন্যান্য জাতিতে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লো,
“ইস্রায়েলের লোকদের জন্য প্রভু বিস্ময়কর সব কাজ করেছেন।”
3 হ্যাঁ, প্রভু আমাদের জন্য চমৎকার জিনিসগুলি করেছেন এবং এই বিষয়ে আমরা খুশী।
4 হে প্রভু, মরুভূমিতে অতর্কিত বন্যার মত
আমাদের ভাগ্য[a] ফিরিয়ে দিন।
5 কোন ব্যক্তি যখন বীজ বোনে তখন হয়তো সে বিমর্ষ থাকে।
কিন্তু যখন সে ফসল সংগ্রহ করে তখন সে খুশী হয়।
6 যখন সে জমিতে বীজ বয়ে নিয়ে যায় তখন সে কাঁদতে পারে।
কিন্তু যখন সে শস্য ঘরে তোলে তখন সে খুশী হবে, আর উল্লাসে চিৎকার করবে!
মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার জন্য শলোমনের একটি গীত।
127 যদি প্রভু স্বয়ং একটি বাড়ী না তৈরী করেন,
তাহলে নির্মাণকারীরা বৃথাই তাদের সময় নষ্ট করছে।
যদি প্রভু স্বয়ং শহরের নজরদারি না করেন
তাহলে রক্ষী বৃথাই তার সময় নষ্ট করছে।
2 জীবিকার জন্য ভোরে ওঠা
এবং অধিক রাত পর্যন্ত কাজ করা অবশ্যই সময়ের অপচয়।
ঈশ্বর যাদের ভালোবাসেন
তাদের রাত্রে সুনিদ্রা দেন।
3 শিশুরা ঈশ্বরেরই উপহার। তারা হল মায়ের গর্ভ থেকে পাওয়া পুরস্কার।
4 একজন যুবকের ছেলেরা একজন সৈনিকের তূণের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা তীরের মত।
5 যে লোক তার তূণকে সন্তান দ্বারা পূর্ণ করে সে ধন্য হবে।
সেই লোক কখনই পরাজিত হবে না নগরের ফটকগুলিতে, তার সন্তানরা তাকে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে।
জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা
4 পুত্রগণ, তোমাদের পিতার শিক্ষাসমূহ মনোযোগ সহকারে শোন। মনোযোগ দিলে তবেই এই হিতোপদেশগুলি বুঝতে পারবে! 2 কেন? কারণ আমার এই উপদেশগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই শিক্ষামালা কখনও ভুলে যেও না।
3 এক সময় আমিও তোমাদের মত যুবক ছিলাম! আমি আমার পিতার ছোট পুত্র এবং আমার মাতার একমাত্র সন্তান ছিলাম। 4 এবং আমার পিতা আমাকে এই জিনিসগুলি শিখিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, “আমি যা বলি তা মনে রেখো। আমার আদেশ পালন কর, তাহলে বাঁচতে পারবে! 5 বিবেচনাশক্তি এবং জ্ঞান লাভ করো! কখনও আমার কথা ভুলো না। সর্বদা আমার উপদেশ মেনে চলবে। 6 জ্ঞান থেকে দূরে সরে থেকো না। তাহলে জ্ঞান তোমাকে রক্ষা করবে। জ্ঞানকে ভালোবাসো এবং জ্ঞান তোমাকে নিরাপদে রাখবে।
7 “তুমি যে মূহুর্ত থেকে জ্ঞান অর্জন করার সংকল্প করেছ তখন থেকেই জ্ঞানের পর্ব শুরু হয়েছে। অতএব তোমার সমস্ত প্রয়াস ব্যবহার করে, এমনকি তোমার সমস্ত বিষয় সম্পত্তির বিনিময়েও জ্ঞান অর্জন করবার চেষ্টা করো! তাহলে তুমি ক্রমশঃ বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। 8 জ্ঞানকে ভালোবাস, জ্ঞানই তোমাকে মহান করে তুলবে। জ্ঞানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলো এবং জ্ঞান তোমাকে সম্মান এনে দেবে। 9 জ্ঞানই সর্বশ্রেষ্ঠ বস্তু যা তোমার জীবনে ঘটতে পারে।”
10 পুত্র, আমার কথা শোন। আমার আদেশ মেনে চললে তোমার আয়ু বাড়বে। 11 আমি তোমাকে প্রজ্ঞা বা জ্ঞান সম্পর্কে বোঝাচ্ছি। আমি তোমাকে সৎ পথে নিয়ে যাচ্ছি। 12 এই পথকে অনুসরণ করো। তাহলে তুমি কখনও ফাঁদে পড়বে না। তুমি দৌড়বে কিন্তু কখনও হোঁচট খাবে না। তুমি যাই কর না কেন, তুমি নিরাপদ থাকবে। 13 এই শিক্ষাগুলি সর্বদা মনে রেখো। এগুলি ভুলে যেও না। ওগুলি তোমার জীবন!
14 দুষ্ট লোকরা যে পথে হাঁটে, সে পথে হেঁটো না। অসৎভাবে জীবনযাপন কোরো না। পাপীদের অনুকরণ কোরো না। 15 পাপ থেকে দূরে থেকো। তার কাছে যেও না। ওটা ছাড়িয়ে সোজা হয়ে হেঁটো। 16 কোনও দুষ্কর্ম না করা পর্যন্ত পাপীদের চোখে ঘুম আসে না। অপরের ক্ষতি না করে তারা বিশ্রাম নিতে পারে না। 17 পাপ এবং অন্যের ক্ষতি না করে তারা বাঁচতে পারে না।
18 ধার্মিক ব্যক্তিদের জীবনযাপনের পথ সূর্যোদয়ের আলোর মত। দুপুরে সে তার পূর্ণদীপ্তি পাওয়া পর্যন্ত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়। 19 পাপী লোকরা অন্ধকার রাতের মত। তারা আঁধারে হারিয়ে যায় এবং কি কারণে তাদের পতন হয় তা তারা দেখতেও পায় না।
20 পুত্র, আমার, আমি যা বলছি তা মন দিয়ে শোন। আমার উপদেশের প্রতি মনোনিবেশ কর। 21 আমার কথাগুলি যেন তোমাকে ত্যাগ না করে। আমি যা সব বলি তা মনে রেখো। সেগুলি তোমার হৃদয়ে সম্পদ করে রেখো। 22 যারা আমার শিক্ষামালা শোনে তারা জীবন লাভ করে। আমার কথাগুলি তাদের শরীরে সুস্বাস্থ্য নিয়ে আসে। 23 সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তুমি যা ভাবছ সে সম্পর্কে সজাগ থেকো। তোমার ভাবনাই তোমার ভাগ্য নিয়ন্তা।
24 কখনও মিথ্যা কথা বলো না। সত্যকে কলুষিত করো না। 25 তোমার সামনে যে সব ভালো এবং জ্ঞানগর্ভ আদর্শ রয়েছে তা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিও না। 26 যা করছ তার সম্বন্ধে সতর্ক থাকবে। সৎ জীবনযাপন কর। 27 সোজা পথ যা ভাল এবং সঠিক তা ত্যাগ কোরো না। কিন্তু সর্বদা পাপ থেকে দূরে থেকো।
ঈশ্বরই প্রেমের উৎস
7 প্রিয় বন্ধুরা, এস আমরা পরস্পরকে ভালবাসি, কারণ ঈশ্বরই ভালবাসার উৎস আর যে কেউ ভালবাসতে জানে সে ঈশ্বরের সন্তান, সে ঈশ্বরকে জানে। 8 যে ভালবাসতে জানে না, সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বর স্বয়ং হলেন ভালবাসা। 9 ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা এইভাবেই দেখিয়েছেন, তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এ জগতে পাঠালেন যেন তাঁর মাধ্যমে আমরা জীবন লাভ করি। 10 ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালবাসা নয়, বরং আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসাই হল প্রকৃত ভালবাসা। ঈশ্বর আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রকাশ করেছেন।
11 প্রিয় বন্ধুরা, এইভাবে ঈশ্বর আমাদের ভালবেসেছেন, সুতরাং আমরাও অবশ্যই পরস্পরকে ভালবাসব। 12 ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি। যদি আমরা পরস্পরকে ভালবাসি, তবে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে অবস্থান করেন; আর তাঁর ভালবাসা আমাদের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করেছে।
13 আমরা জানি যে তিনি আমাদের মধ্যে আছেন; আর আমরা তাঁর মধ্যে অবস্থান করছি। এ বিষয় আমরা জানি, কারণ ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে আমাদের দান করেছেন। 14 আমরা দেখেছি পিতা তাঁর পুত্রকে জগতের ত্রাণকর্তারূপে পাঠিয়েছেন। সেই বার্তাই আমরা লোকদের কাছে বলছি। 15 কেউ যদি স্বীকার করে যে যীশু ঈশ্বরের পুত্র, তবে ঈশ্বর তাঁর অন্তরে বাস করেন, আর সে ঈশ্বরেতে থাকে। 16 আমাদের জন্য ঈশ্বরের ভালবাসা আছে; আমরা তা জানি ও বিশ্বাস করি।
ঈশ্বরই স্বয়ং ভালবাসা, আর যে কেউ ভালবাসায় থাকে সে ঈশ্বরের মধ্যে থাকে ও ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন। 17 যদি আমাদের ক্ষেত্রে ভালবাসা এইভাবেই পূর্ণতা পায়, তবে শেষ বিচারের দিনে আমরা নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারব, কারণ এ জগতে আমরা খ্রীষ্টেরই মতো। 18 যেখানে ঈশ্বরের ভালবাসা সেখানে ভয় থাকে না, পরিপূর্ণ ভালবাসা ভয়কে দূর করে দেয়, কারণ ভয়ের সঙ্গে শাস্তির চিন্তা জড়িত থাকে। যে ভয় পায় সে ভালবাসায় পূর্ণতা লাভ করে নি।
19 তিনিই (ঈশ্বর) আগে আমাদের ভালবেসেছেন, আর তার ফলে আমরা ভালবাসতে পারি। 20 যদি কেউ বলে, “সে ঈশ্বরকে ভালবাসে” অথচ সে তার খ্রীষ্টেতে কোন ভাই ও বোনকে ঘৃণা করে তবে সে মিথ্যাবাদী। যে ভাইকে দেখতে পাচ্ছে, সে যদি তাকে ঘৃণা করে তবে যাঁকে সে কোনও দিন চোখে দেখে নি, সেই ঈশ্বরকে সে ভালবাসতে পারে না। 21 কারণ ঈশ্বরের কাছ থেকে আমরা এই আদেশ পেয়েছি, ঈশ্বরকে যে ভালবাসে সে যেন তার নিজের ভাইকেও ভালবাসে।
30 যীশু তখনও গ্রামের মধ্যে ঢোকেন নি। মার্থা যেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি সেখানেই ছিলেন। 31 যে ইহুদীরা মরিয়মের সঙ্গে বাড়িতে ছিল ও তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, তারা যখন দেখল যে মরিয়ম তাড়াতাড়ি করে উঠে বাইরে যাচ্ছেন, তখন তারাও তাঁর পিছনে পিছনে চলল। তারা মনে করল যে তিনি হয়তো লাসারের কবরের কাছে যাচ্ছেন ও সেখানে গিয়ে কাঁদবেন। 32 যীশু যেখানে ছিলেন, মরিয়ম সেখানে এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ের ওপর পড়ে বললেন, “প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না।”
33 যীশু যখন দেখলেন যে মরিয়ম কাঁদছেন আর তাঁর সঙ্গে যে সব ইহুদীরা এসেছিল তারাও কাঁদছে, তখন তিনি দুঃখিত হয়ে উঠলেন এবং অন্তরে গভীরভাবে বিচলিত হলেন। 34 তখন তিনি বললেন, “তোমরা তাকে কোথায় রেখেছ?”
তারা বললেন, “প্রভু, আসুন, এসে দেখুন।”
35 যীশু কেঁদে ফেললেন।
36 তখন সেই ইহুদীরা সকলে বলতে লাগল, “দেখ! উনি লাসারকে কত ভালোবাসতেন।”
37 কিন্তু তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বলল, “যীশু তো অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন তাহলে কেন তিনি লাসারকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন না?”
যীশু লাসারকে জীবন দান করেন
38 এরপর যীশু আবার অন্তরে বিচলিত হয়ে উঠলেন। লাসারকে যেখানে রাখা হয়েছিল, যীশু সেই কবরের কাছে গেলেন। কবরটি ছিল একটা গুহা, যার প্রবেশ পথ একটা পাথর দিয়ে ঢাকা ছিল। 39 যীশু বললেন, “ঐ পাথরটা সরিয়ে ফেল।”
সেই মৃত ব্যক্তির বোন মার্থা বললেন, “প্রভু চারদিন আগে লাসারের মৃত্যু হয়েছে। এখন পাথর সরালে এর মধ্য থেকে দুর্গন্ধ বার হবে।”
40 যীশু তাঁকে বললেন, “আমি কি তোমায় বলিনি, যদি বিশ্বাস কর তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবে?”
41 এরপর তারা সেই পাথরখানা সরিয়ে দিল, আর যীশু উর্দ্ধ দিকে তাকিয়ে বললেন, “পিতা, আমি তোমায় ধন্যবাদ দিই, কারণ তুমি আমার কথা শুনেছ। 42 আমি জানি তুমি সব সময়ই আমার কথা শুনে থাক। কিন্তু আমার চারপাশে যাঁরা দাঁড়িয়ে আছে তাদের জন্য আমি একথা বলছি, যেন তারা বিশ্বাস করে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ।” 43 এই কথা বলার পর যীশু জোর গলায় ডাকলেন, “লাসার বেরিয়ে এস!” 44 মৃত লাসার সেই কবর থেকে বাইরে এল। তার হাত-পা টুকরো কাপড় দিয়ে তখনও বাঁধা ছিল আর তার মুখের ওপর একখানা কাপড় জড়ানো ছিল।
যীশু তখন তাদের বললেন, “বাঁধন খুলে দাও এবং ওকে যেতে দাও।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International