Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 106

106 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুকে ধন্যবাদ দাও কারণ তিনি মঙ্গলময়!
    ঈশ্বরের প্রেম চিরন্তন!
ঈশ্বর যে প্রকৃতপক্ষে কত মহান তা কেউই বর্ণনা করে বলতে পারবে না।
    কোন ব্যক্তিই ঈশ্বরের যথেষ্ট প্রশংসা করতে পারে না।
যারা ঈশ্বরের নির্দেশ মানে তারা সুখী হয়।
    ওই সব লোক সর্বদাই ভালো কাজ করে।

হে প্রভু, যখন আপনি আপনার লোকদের দয়া করবেন, তখন আমার কথা স্মরণে রাখবেন।
    যখন আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করবেন তখন আমায় মনে রাখতে ভুলে যাবেন না।
আপনার পছন্দ করা লোকদের জন্য আপনি যে সব ভালো কাজ করেন,
    আমাকেও তার অংশীদার হতে দিন।
আপনার জাতির সঙ্গে আমাকেও আনন্দ করতে দিন।
    আপনার লোকদের সঙ্গে আমাকেও আপনার প্রশংসা করতে দিন।

যেমন ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা পাপ করেছে, আমরাও তেমন ভাবেই পাপ করেছি।
    আমরা ভুল করেছি। আমরা গর্হিত কাজ করেছি!
হে প্রভু, মিশরে আপনি যে সব অলৌকিক কাজ করেছিলেন
    তা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা কিছুই শেখেনি।
তারা আপনার ভালবাসা ও দয়া মনে রাখে নি।
    লোহিত সাগরের ধারে, আমাদের পূর্বপুরুষরা, আপনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।

কিন্তু তাঁর পবিত্র নামের মহিমার জন্য ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেছিলেন।
    তাঁর মহৎ‌‌ শক্তি প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর ওদের রক্ষা করেছিলেন।
ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং লোহিত সাগর শুকিয়ে গিয়েছিলো।
    শুকনো মরুভূমি দিয়ে চলার মত, তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের সমুদ্রের গভীরতার ভেতর দিয়ে ডাঙায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের শত্রুদের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছিলেন!
    তাদের শত্রুদের হাত থেকে ঈশ্বর তাদের উদ্ধার করেছিলেন।
11 ঈশ্বর সমুদ্র দ্বারা ওদের শত্রুদের আবৃত করেছিলেন!
    ওদের একজন শত্রুও পালাতে পারে নি!

12 তারপর আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিলেন।
    তাঁরা তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।
13 কিন্তু ঈশ্বর যা করেছিলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা খুব তাড়াতাড়ি তা ভুলে গিয়েছিলেন।
    তাঁরা ঈশ্বরের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করেন নি।
14 আমাদের পূর্বপুরুষরা মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত হয়েছিলেন।
    উষর প্রান্তরে তাঁরা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলেন।
15 কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা যা চেয়েছিলেন, ঈশ্বর ওঁদের তাই দিয়েছিলেন।
    কিন্তু ঈশ্বর ওঁদের এক ভয়াবহ রোগও দিয়েছিলেন।
16 পবিত্র শিবিরে লোকরা বিশ্বস্ত রইল
    এবং মোশি ও হারোণের প্রতি তাদের উদ্যম দেখাল।
17 কিন্তু দাথন এবং অবীরামের গোষ্ঠীর দিকে মাটি দ্বিধাবিভক্ত হল,
    তাদের গিলে ফেলল এবং ঢেকে দিল।[a]
18 তারপর এক আগুনের হল্কা সেই জনতাকে পুড়িয়ে দিলো।
    তারপর আগুন সেই সব দুষ্ট লোকদের পুড়িয়ে দিলো।
19 হোরেব পর্বতে তারা একটা সোনার বাছুর তৈরী করেছিল।
    তারা সেই মূর্ত্তিকে পূজো করেছিলো।
20 এইভাবে তৃণগ্রাসী বলদ মূর্ত্তির সঙ্গে
    ওদের মহিমাময় ঈশ্বরের আদান-প্রদান করেছিলো!
21 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ষা করেছিলেন! কিন্তু তাঁরা তাঁকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন।
    মিশরে যে ঈশ্বর বিরাট অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তাঁকে তাঁরা ভুলে গেলেন।
22 হামের দেশে ঈশ্বর আশ্চর্য কার্য করেছিলেন।
    লোহিত সাগরের ধারে ঈশ্বর ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলেন।

23 ঈশ্বর ওসব লোককে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
    কিন্তু মোশি, যাকে তিনি মনোনীত করেছিলেন তিনি ঈশ্বরকে নিরস্ত করেন।
ঈশ্বর ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু মোশি পথ রোধ করে দাঁড়ান
    তাই ঈশ্বর সেইসব লোকদের আর ধ্বংস করেন নি।

24 কিন্তু তারপর এইসব লোক কনানের চমৎ‌‌কার রাজ্যে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে।
    ওরা বিশ্বাস করেনি যে, ওই দেশে (কনানে) বসবাসকারী মানুষদের পরাজিত করতে ঈশ্বর ওদের সাহায্য করবেন।
25 আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ করতে তাঁবুর ভেতরে রয়ে গিয়েছিলেন।
    তাঁরা প্রভুর কন্ঠস্বর শুনতে অস্বীকার করেছিলেন।
26 তাই ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে তাঁরা মরুভূমিতে মারা যাবেন।
27 ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি অন্য লোকদের তাদের উত্তরপুরুষদের পরাজিত করতে দেবেন।
    ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের তিনি বিভিন্ন জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।

28 তারপর, বাল-পিয়োরে, ঈশ্বরের লোকরা বাল মূর্ত্তির পূজা করায় যোগ দিয়েছিলো।
    ঈশ্বরের লোকরা জংলী দলটিতে যোগ দিয়েছিলো এবং মৃত লোকের সম্মানে উৎসর্গ করা বলি আহার করেছিলো।
29 ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন
    এবং তিনি তাদের ভীষণ অসুস্থ করে দিয়েছিলেন।
30 কিন্তু পীনহস ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলো
    এবং ঈশ্বর অসুস্থতা রদ করেছিলেন।
31 ঈশ্বর জানতেন যে পীনহস খুব ভালো একটা কাজ করেছিলো।
    ঈশ্বর সেটা চিরদিন, অনন্তকালের জন্য স্মরণে রাখবেন!

32 মরীবার কাছে লোকজন প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হল।
    তারা মোশিকে দিয়ে কিছু কু-কাজ করালো।
33 কারণ ওই লোকরা মোশিকে ভীষণ বিমর্ষ করে তুলল[b]
    এবং সে কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই কথা বলল।

34 ঈশ্বর তাঁর লোকদের কনানে অন্য জাতিসমূহ যারা বাস করছিল তাদের ধ্বংস করে দিতে বললেন।
    কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের কথা মান্য করে নি!
35 তারা অন্য জাতিগুলোর সঙ্গে মেলামেশা করেছিল
    এবং তারা যা করত ওরা তাই করতে শিখেছিল।
36 ওই লোকগুলো ঈশ্বরের লোকদের জন্য ফাঁদের মতই ভয়ঙ্কর হল।
    ঈশ্বরের লোকরাও সেইসব মূর্ত্তিসমূহের পূজা করতে শুরু করলো যাদের ওরা পূজা করত।
37 এমনকি ঈশ্বরের লোকেরা তাদের সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করেছিলো
    এবং ওই দানবদের কাছে উৎসর্গ করেছিলো।
38 ঈশ্বরের লোকরা নিস্পাপ লোকদের হত্যা করেছিলো।
    ওরা ওদের নিজেদের সন্তানদেরও হত্যা করেছিলো
    এবং তাদের মূর্ত্তিসমূহের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলো।
39 তাই অন্য লোকদের পাপে ঈশ্বরের লোকরা অপবিত্র হয়ে উঠেছিল।
    ঈশ্বরের লোকরা তাদের ঈশ্বরের কাছে অবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলো এবং অন্য লোকরা যা করতো ওরাও তাই করতে শুরু করেছিল।
40 ঈশ্বর তাঁর লোকজনের ওপরে চটে গেলেন।
    তাদের ব্যাপারে ঈশ্বর ক্লান্ত হয়ে গেলেন!
41 ঈশ্বর তাঁর লোকেদের,[c] কেউ চায় নি এমন কিছুতে পরিবর্তন করে দিলেন।
    ঈশ্বর ওদের শত্রুদের দিয়ে ওদের শাসন করালেন।
42 ঈশ্বরের লোকদের শত্রুরা ওদের দাবিয়ে রাখলো
    এবং তাদের নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে রাখলো।
43 ঈশ্বর তাদের বহুবার রক্ষা করেছিলেন
    কিন্তু তারা ঈশ্বরের উপদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।[d]
    অতএব, এই কারণে লোকদের সম্মানে খাটো করা হয়েছিল।
44 কিন্তু ঈশ্বরের লোকরা যখনই সমস্যায় পড়েছে ওরা সাহায্যের জন্য ঈশ্বরকে ডেকেছে
    এবং প্রত্যেকবারই ঈশ্বর ওদের প্রার্থনা শুনেছেন।
45 ঈশ্বর সর্বদাই তাঁর চুক্তির কথা স্মরণে রেখেছিলেন
    এবং তাঁর মহৎ‌‌ প্রেম দিয়ে তিনি সর্বদাই ওদের স্বস্তি দিয়েছিলেন।
46 অন্য জাতিরা ওদের বন্দী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলো।
    কিন্তু তাঁর লোকদের প্রতি ওদের সদয় করেন।
47 হে প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের রক্ষা করুন!
    আমাদের অন্য সব জাতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন
যাতে আমরা আপনার পবিত্র নামের প্রশংসা করতে পারি
    এবং বন্দনা গান করে আপনাকে সম্মান করতে পারি।
48 ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের বন্দনা কর। ঈশ্বর চির বিরাজমান
    এবং তিনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন।
সব লোকরা বলল, “আমেন!”

প্রভুর প্রশংসা কর!

হিতোপদেশ 3:11-20

11 আমার পুত্র, কখনও কখনও তোমার ভুলত্রুটি তোমাকে দেখিয়ে দেবার জন্য প্রভু তোমাকে শাসন করবেন। এই শাস্তির জন্য রাগ কোরো না। ঐ শাস্তি থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা কোরো। 12 কেন? কারণ ঈশ্বর কেবল তাঁর স্নেহাস্পদদেরই সংশোধন করেন। হ্যাঁ, ঈশ্বর আমাদের পিতার মত, তিনি তাঁর প্রিয়তম সন্তানকেই শোধরানোর চেষ্টা করেন।

13 যে ব্যক্তি প্রজ্ঞা লাভ করেছে, সে সুখী হবে। যখন সে বোধশক্তিপ্রাপ্ত হবে, তখন সে আশীর্বাদধন্য হবে। 14 প্রজ্ঞা থেকে যে লাভ আসে তা রূপোর চেয়েও ভালো। প্রজ্ঞা থেকে যে লাভ হয় তা সূক্ষ্ম সোনার চেয়েও ভালো! 15 প্রজ্ঞার মূল্য মণি-মাণিক্যের চেয়েও বেশী। তোমার অভীষ্ট কোন বস্তুই প্রজ্ঞার মত অমূল্য নয়।

16 প্রজ্ঞা তোমাকে ধনসম্পদ, সম্মান এবং দীর্ঘজীবন এনে দেবে। 17 জ্ঞানী লোকরা শান্তিপূর্ণ, সুখী জীবনযাপন করে। 18 প্রজ্ঞা হল জীবন বৃক্ষের মত। প্রজ্ঞাকে যারা গ্রহণ করবে, তারা সুখী ও মনোরম জীবনযাপন করবে। জ্ঞানী ব্যক্তিরাই যথার্থ সুখী হবে!

19 প্রজ্ঞা এবং বোধকে প্রভু আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করবার জন্য ব্যবহার করেছেন। 20 মহাসমুদ্র এবং মেঘরাশি যা বৃষ্টি দেয় তা প্রভুর জ্ঞানের দ্বারাই সৃষ্ট।

1 যোহন 3:18-4:6

18 স্নেহের সন্তানরা, কেবল মুখে ভালবাসা না দেখিয়ে, এসো, আমরা কাজের মধ্য দিয়ে তাদের সত্যিকারের ভালবাসি।

19-20 এর দ্বারা আমরা জানব যে আমরা সত্যের। আমাদের অন্তর যদি আমাদের দোষী করে, তবুও ঈশ্বরের সামনে আমাদের বিবেক বিশ্বস্ত থাকবে। কারণ আমাদের বিবেকের থেকে ঈশ্বর মহান, ঈশ্বর তো সবই জানেন।

21 প্রিয় বন্ধুরা, যদি আমাদের বিবেকগুলি আমাদের দোষের অনুভূতি না দেয় তবে ঈশ্বরের সামনে আমরা নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারব। 22 আর ঈশ্বরের কাছ থেকে যা কিছু চাই না কেন তা আমরা পাব, কারণ আমরা যা তাঁর সন্তোষজনক তাই করছি। 23 তাঁর আদেশ হল আমরা যেন তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের নামে বিশ্বাস করি ও পরস্পরকে ভালবাসি। 24 যে ঈশ্বরের আদেশগুলি মান্য করে সে ঈশ্বরে থাকে; আর ঈশ্বর তার অন্তরে থাকেন। ঈশ্বর যে আমাদের অন্তরে আছেন তা আমরা কি করে জানব? যে আত্মাকে ঈশ্বর দিয়েছেন, সেই আত্মাই আমাদের বলছে যে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে আছেন।

ভণ্ড শিক্ষকদের বিষয়ে যোহনের সতর্কবাণী

প্রিয় বন্ধুরা, সংসারে অনেক ভণ্ড ভাববাদী দেখা দিয়েছে, তাই তোমরা সব আত্মাকে বিশ্বাস করো না। কিন্তু সেই সব আত্মাদের যাচাই করে দেখ যে তারা ঈশ্বর হতে এসেছে কিনা। এইভাবে তোমরা ঈশ্বরের আত্মাকে চিনতে পারবে। যে কোন আত্মা যীশু খ্রীষ্ট যে রক্ত মাংসের দেহ ধারণ করে এসেছেন বলে স্বীকার করে, সে ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু যে আত্মা, যীশুকে স্বীকার করে না, সে ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে নি। এ সেই খ্রীষ্টারির আত্মা, খ্রীষ্টের শত্রু যে আসছে তা তোমরা শুনেছ, আর এখন সে তো সংসারে এসেই গেছে।

আমার স্নেহের সন্তানগণ, তোমরা ঈশ্বরের লোক, তাই তোমরা ওদের ওপর জয়ী হয়েছ; কারণ তোমাদের মধ্যে যিনি (ঈশ্বর) বাস করেন তিনি জগতের মধ্যে বাসকারী দিয়াবলের থেকে অনেক মহান। এই ভণ্ড শিক্ষকরা হল জগতের, তাই তারা যা বলে তা সব জাগতিক কথাবার্তা, আর জগত তাদের কথা শোনে। কিন্তু আমরা ঈশ্বরের লোক, ঈশ্বরকে যে জানে সে আমাদের কথা শোনে, যে ঈশ্বরের লোক নয় সে আমাদের কথা শোনে না। এইভাবেই আমরা সত্যের আত্মাকে ও ছলনার আত্মাকে চিনতে পারি।

যোহন 11:17-29

বৈথনিয়াতে যীশু

17 যীশু বৈথনিয়াতে এসে জানতে পারলেন যে গত চারদিন ধরে লাসার কবরে আছেন। 18 বৈথনিয়া থেকে জেরুশালেমের দূরত্ব ছিল প্রায় দুই মাইল। 19 তাই ইহুদীদের অনেকেই মার্থা ও মরিয়মকে তাঁদের ভাইয়ের মৃত্যুর পর সান্ত্বনা দিতে এসেছিল।

20 মার্থা যখন শুনলেন যে যীশু এসেছেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, কিন্তু মরিয়ম ঘরেই থাকলেন। 21 মার্থা যীশুকে বললেন, “প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন তাহলে আমার ভাই মরত না। 22 কিন্তু এখনও আমি জানি যে, আপনি ঈশ্বরের কাছে যা কিছু চাইবেন, ঈশ্বর আপনাকে তাই দেবেন।”

23 যীশু তাঁকে বললেন, “তোমার ভাই আবার উঠবে।”

24 মার্থা তাঁকে বললেন, “আমি জানি শেষ দিনে পুনরুত্থানের সময় সে আবার উঠবে।”

25 যীশু মার্থাকে বললেন, “আমিই পুনরুত্থান, আমিই জীবন। যে কেউ আমাকে বিশ্বাস করে, সে মরবার পর জীবন ফিরে পাবে। 26 যে কেউ জীবিত আছে ও আমায় বিশ্বাস করে, সে কখনও মরবে না। তুমি কি একথা বিশ্বাস কর?”

27 মার্থা তাঁকে বললেন, “হ্যাঁ, প্রভু! আমি বিশ্বাস করি যে জগতে যাঁর আসার কথা আছে আপনিই সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র।”

যীশু কাঁদলেন

28 এই কথা বলার পর মার্থা সেখান থেকে চলে গেলেন ও তার বোন মরিয়মকে একান্তে ডেকে বললেন, “গুরু এসেছেন, আর তিনি তোমায় ডাকছেন।” 29 মরিয়ম একথা শুনে তাড়াতাড়ি করে যীশুর কাছে গেলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International