Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 102

যন্ত্রণা কাতর একটি মানুষের প্রার্থনা। সে যখন দুর্বল বোধ করে ও প্রভুকে তার অভিযোগ জানাতে চায় তখনকার প্রার্থনা।

102 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
    সাহায্যের জন্য আমার ক্রন্দন শুনুন।
যখন আমি সমস্যার মধ্যে থাকি তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
    আমার কথা শুনুন, যখন আমি সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করি তখন আমায় উত্তর দিন।
ধোঁয়ার মত আমার জীবন কেটে যাচ্ছে।
    আমার জীবন একটি আগুনের মত যা ধীরে ধীরে পুড়ে যাচ্ছে।
আমার শক্তি চলে গেছে।
    আমি শুকনো মৃত প্রায় ঘাসের মত।
    আমি আমার খাবার পর্যন্ত খেতে ভুলে গেছি।
দুঃখের কারণে আমার ওজন কমে যাচ্ছে।[a]
আমি একটি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বাস করা পেঁচার মত নিঃসঙ্গ।
    ধ্বংসাবশিষ্ট অট্টালিকায় আমি একা পেঁচার মত বাস করছি।
আমি ঘুমোতে পারি না।
    আমি ছাদে বাস করা এক নিঃসঙ্গ পাখির মত।
শত্রুরা সব সময়ে আমাকে অপমান করে।
    ওরা আমাকে নিয়ে মজা করে ও ভৎ‌র্সনা করে।
আমার খাদ্যই এখন আমার বিরাট দুঃখ।
    আমার চোখের জল আমার পানীয়তে পড়ছে।
10 কেন? কারণ প্রভু আপনি আমার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন।
    আপনিই আমাকে তুলে ধরেছেন এবং তারপর আপনিই আমায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।

11 দিনের শেষের দীর্ঘ ছায়াগুলির মত আমার জীবন প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
    আমি শুকনো এবং মৃত প্রায় ঘাসের মত।
12 কিন্তু প্রভু, আপনি চিরদিনই বিরাজিত থাকবেন।
    আপনার নাম চিরকাল এবং অনন্তকাল মনে রাখা হবে।
13 আপনাকে উত্থান করতে হবে এবং আপনি সিয়োনকে স্বস্তি দেবেন।
    কারণ তাকে সান্ত্বনা দেবার সময় হয়েছে।
14 আপনার দাসগণ সিয়োনের পাথরগুলিকে ভালোবাসে।
    এই শহরের ধূলোকে পর্যন্ত তারা ভালোবাসে।
15 লোকরা প্রভুর নামের উপাসনা করবে।
    হে ঈশ্বর, পৃথিবীর সমস্ত রাজারা আপনাকে মহিমান্বিত করবে।
16 প্রভু সিয়োনকে আবার নির্মাণ করবেন।
    লোকেরা আবার তাঁর মহিমা দেখবে।
17 যে সব লোককে ঈশ্বর বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনি আবার তাদের প্রার্থনার উত্তর দেবেন।
    ঈশ্বর তাদের প্রার্থনা শুনবেন।
18 ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এইসব লিখে রাখো
    এবং ভবিষ্যতে ওরা প্রভুর প্রশংসা করবে।
19 প্রভু, তাঁর পবিত্র স্থান থেকে নীচের দিকে চেয়ে দেখবেন।
    স্বর্গ থেকে প্রভু পৃথিবীর দিকে চেয়ে দেখবেন।
20 তিনি বন্দীদের প্রার্থনা শুনবেন।
    যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের তিনি মুক্ত করবেন।
21 তারপর সিয়োনে লোকরা প্রভুর কথা বলবে।
জেরুশালেমে তারা প্রভুর নামের প্রশংসা করবে।
22     সব জাতিসমূহ একসঙ্গে জড় হবে।
    প্রভুর সেবার জন্য সব রাজ্য ছুটে আসবে।

23 আমার শক্তি কমে এসেছে।
    আমার জীবনও ছোট হয়ে এসেছে।
24 তাই আমি বলেছিলাম, “আমি যতক্ষণ যুবক আছি আমাকে মরতে দেবেন না।
    ঈশ্বর আপনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন!
25 সুদূর অতীতে আপনি এই বিশ্বসৃষ্টি করেছিলেন।
    নিজের হাতে আপনি আকাশ সৃষ্টি করেছিলেন!
26 এই বিশ্ব, এই আকাশ একদিন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আপনি চির বিরাজমান থাকবেন!
    ওদের বস্ত্রের মতই পরিধান করা হবে।
এবং জামাকাপড়ের মতই আপনি ওদের বদল করবেন।
    ওরা সবাই পরিবর্তিত হবে।
27 কিন্তু ঈশ্বর, আপনি পরিবর্তিত হবেন না।
    আপনি চিরদিন বিরাজ করবেন!
28 আজ আমরা আপনার দাস।
    আমাদের সন্তানরাও এখানে বসবাস করবে।
    এমনকি তাদের উত্তরপুরুষরাও আপনার উপাসনা করার জন্য এখানেই বসবাস করবে।”

গীতসংহিতা 107:1-32

পঞ্চম খণ্ড

(গীতসংহিতা 107–150)

107 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও, কেননা তিনি মঙ্গলময়।
    তাঁর প্রেম চিরন্তন!
প্রভু যাদের রক্ষা করেছেন, তারা প্রত্যেকে অবশ্যই এই একই কথাগুলি উচ্চারণ করবে।
    প্রভু ওদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
প্রভু বিভিন্ন দেশ থেকে তাঁর লোকদের জড় করেছেন।
    তাদের তিনি পূর্ব ও পশ্চিম এবং উত্তর ও দক্ষিণ থেকে নিয়ে এসেছেন।

ওদের কেউ কেউ মরুভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো।
    ওরা বাঁচার জন্য অন্য জায়গা খুঁজছিলো
    কিন্তু ওরা কোন শহর খুঁজে পাচ্ছিলো না।
ক্ষুধা-তৃষ্ণায় ওরা ক্রমশঃই
    দুর্বল হয়ে পড়ছিলো।
তখন ওরা সাহায্যের জন্য প্রভুকে ডাকলো
    তাই তিনি ওদের বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন।
ঈশ্বর সোজা তাদের সেই শহরে নিয়ে গেলেন যেখানে তারা বাস করতে পারে।
প্রভুকে তাঁর প্রেমের জন্য এবং তাঁর আশ্চর্য কার্য,
    যা তিনি লোকদের জন্য করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ দাও।
ঈশ্বর তৃষিত আত্মার তৃষ্ণা নিবৃত্ত করেন;
    ঈশ্বর সুন্দর জিনিস দিয়ে ক্ষুধিত আত্মার সন্তুষ্টি করেন।

10 ঈশ্বরের কিছু লোক বন্দী ছিল,
    ওরা অন্ধকার গারদে বদ্ধ হয়েছিলো।
11 কেন? কারণ ঈশ্বর যা বলেছেন, ওরা তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলো।
    তারা পরাৎ‌‌পরের উপদেশসমুহ মান্য করতে অস্বীকার করেছিলো।
12 ওদের কুকর্মের জন্য ঈশ্বর ওদের জীবনকে কঠিনতর করে তুলেছিলেন।
    ওরা হোঁচট খেয়ে পড়লো কিন্তু ওদের সাহায্যের জন্য কেউ ছিল না।
13 ওরা সমস্যায় পড়েছিলো, তাই ওরা সাহায্যের জন্য প্রভুকে ডেকেছিলো
    এবং তিনি তাদের সমস্যাসমূহ থেকে বাঁচিয়েছিলেন।
14 ঈশ্বর ওদের অন্ধকার কারাগার থেকে বাইরে বার করে এনেছিলেন।
    যে দড়ি দিয়ে ওদের বেঁধে রাখা হয়েছিলো, ঈশ্বর তা ছিন্ন করেছিলেন।
15 প্রভুর প্রেমের জন্য এবং মানুষের জন্য
    তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দাও।
16 শত্রুদের পরাজিত করতে ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করেন।
ঈশ্বর ওদের পিতলের দরজা ভেঙে দিতে পারেন।
    ঈশ্বর ওদের ফটকের লোহা ভেঙে দিতে পারেন।

17 কিছু লোক ওদের পাপসমূহ ও অন্যায়গুলোকে, নিজেদের নির্বোধে পরিণত করতে দেয়।
    তারা তাদের পাপসমূহের জন্য ভয়ঙ্কর ভাবে ভুগবে।
18 ওরা আহার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলো
    এবং প্রায় মারা গিয়েছিলো।
19 ওরা সমস্যায় পড়েছিলো, তাই ওরা প্রভুর কাছে সাহায্য চেয়েছিলো।
    এবং ওদের সমস্যা থেকে তিনি ওদের বাঁচিয়েছিলেন।
20 ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং ওদের সমস্যা মুক্ত করেছিলেন।
    তাই ওই লোকরা মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়েছিলো।
21 প্রভুকে তাঁর প্রেমের জন্য এবং লোকদের জন্য
    তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেন তার জন্য ধন্যবাদ দাও।
22 প্রভু যা কিছু করেছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যে, প্রভুর কাছে বলি উৎসর্গ কর।
    প্রভু যা যা করেছেন তা আনন্দের সঙ্গে বল।

23 কিছু লোক নৌকা করে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলো,
    ওদের জীবিকা ওদের মহাসমুদ্রে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো।
24 ওই সব লোক দেখেছে প্রভু কি করতে পারেন।
    সমুদ্রে তিনি যে সব বিস্ময়কর কাজ করেছেন, তা ওরা দেখেছে।
25 ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং প্রবল বাতাস বইতে শুরু করেছিলো।
    ঢেঊগুলো ক্রমেই উচ্চ থেকে উচ্চতর হয়েছিল।
26 ঢেউগুলো ওদের আকাশে তুলে দিচ্ছিলো
    এবং সমুদ্রের গভীরে নামিয়ে দিচ্ছিলো।
সে এমন ভয়ঙ্কর ঝড় ছিলো যে ওরা সাহস হারিয়ে ফেলেছিলো।
27     ওরা টল্মল করছিলো এবং নেশাগ্রস্তের মত বোধ করছিলো।
    নাবিক হিসেবে তাদের ক্ষমতা কোন কাজেই লাগেনি।
28 ওরা সমস্যায় পড়েছিলো তাই ওরা সাহায্যের জন্য প্রভুকে ডেকেছিলো
    এবং তিনি সমস্যাসমুহ থেকে ওদের রক্ষা করেছিলেন।
29 ঈশ্বর ঝড় থামিয়ে দিয়েছিলেন।
    তিনি সমুদ্রকে শান্ত করে দিয়েছিলেন।
30 সমুদ্র শান্ত দেখে নাবিকরা খুশী হয়েছিলো
    এবং তারা যেখানে যেতে চেয়েছিলো সেখানে ঈশ্বর তাদের নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
31 তাঁর প্রেমের জন্য এবং লোকদের জন্য তিনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেন,
    তার জন্য প্রভুকে ধন্যবাদ দাও।
32 বিরাট মহাসমাজের সামনে প্রভুর মহাসভায় প্রশংসা কর।
    প্রবীণ নেতারা যখন একত্রিত হবে তখন তাঁর প্রশংসা করো।

আদি 32:22-33:17

22 পরে সেই রাতে উঠে যাকোব সেখান থেকে চলে গেল। সে তার সাথে তার দুই স্ত্রী, দুই দাসী ও তার এগারোটি সন্তানকে নিয়ে যব্বোক নদী পার হল। 23 যাকোবের পরিবার নদী পার হয়ে গেলে সে তার সমস্ত জিনিসপত্রও পার হবার জন্য পাঠাল।

ঈশ্বরের সাথে যুদ্ধ

24 অবশেষে যাকোব নদী পার হবার জন্য রইল। কিন্তু সে একা পার হবার আগে একজন পুরুষ এসে তার সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করলেন। সূর্য্য ওঠার আগে পর্যন্ত সেই পুরুষটি তার সঙ্গে যুদ্ধ করলেন। 25 পুরুষটি যখন দেখলেন তিনি যাকোবকে পরাজিত করতে পারছেন না তখন যাকোবের পায়ে আঘাত করলেন; তাতে যাকোবের পায়ের হাড় সরে গেল।

26 তারপর সেই পুরুষটি যাকোবকে বললেন, “আমায় যেতে দাও, সূর্য্য উঠছে।”

কিন্তু যাকোব বলল, “আপনি আমাকে আশীর্বাদ না করলে আমি আপনাকে যেতে দেব না।”

27 সেই পুরুষটি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার নাম কি?”

যাকোব উত্তর দিল, “আমার নাম যাকোব।”

28 তখন সেই পুরুষটি বললেন, “তোমার নাম যাকোবের পরিবর্তে ইস্রায়েল হবে। আমি তোমার এই নাম রাখলাম কারণ তুমি ঈশ্বরের সঙ্গে ও মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ করেছ কিন্তু পরাজিত হও নি।”

29 তখন যাকোব তাকে জিজ্ঞেস করল, “দয়া করে বলুন আপনার নাম কি?”

কিন্তু সেই পুরুষটি বললেন, “কি জন্য আমার নাম জিজ্ঞেস করছ?” সেই সময়ই পুরুষটি যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন।

30 তাই যাকোব সেই জায়গার নাম পনূয়েল রাখল। যাকোব বলল, “এই স্থানেই আমি ঈশ্বরকে মুখোমুখি দেখলাম কিন্তু তাও প্রাণে বাঁচলাম।” 31 সে পনূয়েল পার হলে সূর্য্য উঠল। যাকোব পায়ের জন্য খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলল। 32 সেইজন্য আজও ইস্রায়েলীয়রা উরুসন্ধির পেশী ভোজন করে না, কারণ যাকোবের সেই পেশীই আহত হয়েছিল।

যাকোব সাহসের পরিচয় দিলেন

33 যাকোব তাকিয়ে দেখল এষৌ আসছেন। এষৌ তাঁর সঙ্গে 400 জন লোক নিয়ে আসছিলেন। যাকোব তার পরিবারকে চারটি দলে ভাগ করল। লেয়া এবং তার সন্তানরা একটি দলে, রাহেল ও যোষেফ আর একটি দলে এবং দুই দাসী ও তাদের সন্তানরা আরও দুটি দলে ছিল। যাকোব তার দাসীদের সন্তানদের সামনে রাখল। লেয়া এবং তার সন্তানদের সে তাদের পেছনে রাখল। যাকোব রাহেল ও যোষেফকে সবশেষে রাখল।

যাকোব নিজে এষৌর দিকে এগিয়ে গেল। এর ফলে এষৌর সাথেই প্রথমে তার সাক্ষাৎ হল। যাকোব তার ভাইয়ের দিকে হেঁটে যাবার সময় সাতবার আভূমি প্রণত হল।

এষৌ যাকোবকে দেখতে পেয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য দৌড়ে গেলেন। এষৌ যাকোবের গলা জড়িয়ে ধরে চুমু খেলেন। তারপর তাঁরা দুজনেই কাঁদলেন। এষৌ তাকিয়ে সেই স্ত্রীলোক ও শিশুদের দেখতে পেয়ে বললেন, “তোমার সাথে ঐ লোকজনরা কারা?”

যাকোব উত্তরে বললেন, “ঈশ্বর অনুগ্রহ করে আমাকে এইসব সন্তান-সন্ততিদের দিয়েছেন।”

তারপর সন্তানদের নিয়ে দুই দাসী এষৌর সঙ্গে দেখা করতে গেল। তারা তাঁর সামনে সশ্রদ্ধ প্রণিপাত করল। এরপর লেয়া ও তার সন্তানরা এষৌর সঙ্গে দেখা করে তাঁর সামনে সশ্রদ্ধভাবে উপুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করল। শেষে রাহেল ও যোষেফ এষৌর সঙ্গে দেখা করে উপুড় হয়ে প্রণাম করল।

এষৌ বললেন, “আমি এখানে আসার সময় যে জনসমারোহ দেখতে পেলাম তা এবং এইসব পশুই বা কিসের জন্য?”

যাকোব বলল, “ঐ সব আপনার জন্য আমার উপহার। যেন আপনি আমাকে গ্রহণ করেন।”

কিন্তু এষৌ বললেন, “তোমাকে উপহার দিতে হবে না ভাই আমার যথেষ্ট রয়েছে।”

10 যাকোব বলল, “তা না, আমার মিনতি এই যদি সত্যিসত্যি আপনি আমাকে গ্রহণ করে থাকেন তবে আমি যে উপহার আপনাকে দিই তা গ্রহণ করুন। আমি আবার আপনার মুখ দেখতে পেয়ে আনন্দিত। যেন ঈশ্বরেরই মুখ দর্শন করলাম। আপনি যে আমাকে গ্রহণ করলেন এতেই আমি খুব খুশী। 11 সেইজন্য বিনয় করি আমি যে যে উপহার আপনার জন্য এনেছি তা গ্রহণ করুন। ঈশ্বর আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তাই আমার প্রয়োজনের অতিরিক্তই রয়েছে।” এইভাবে যাকোব তার উপহারগুলি স্বীকার করার জন্য এষৌর কাছে বিনতি করল। সেইজন্য এষৌ উপহারগুলি স্বীকার করলেন।

12 তারপর এষৌ বললেন, “এবার তুমি তোমার যাত্রা পথে চলতে পার। আমি তোমার সঙ্গে যাব।”

13 কিন্তু যাকোব তাকে বলল, “আপনি জানেন যে আমার শিশুরা দুর্বল এবং আমাকে আমার পশুপাল সম্পর্কে সাবধান হতে হবে। যদি আমি তাদের একদিনে এতদূর যেতে বাধ্য করি, তবে সব পশুই মারা পড়বে। 14 সেইজন্য আপনি আগে আগে যান। গবাদিপশু এবং অন্যান্য পশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্তানরা যাতে খুব ক্লান্ত না হয়ে পড়ে সেই দিক দেখে আমি খুব ধীর গতিতে যাব। আমি সেয়ীরে আপনার সঙ্গে দেখা করব।”

15 তাই এষৌ বললেন, “তবে তোমাকে সাহায্য করার জন্য আমার কিছু লোক তোমার কাছে রেখে যাই।”

কিন্তু যাকোব বলল, “আপনি বড়ই দয়ালু কিন্তু সেটারই বা প্রয়োজন কি?” 16 সেদিন এষৌ সেয়ীরের পথে যাত্রা শুরু করলেন। 17 কিন্তু যাকোব সুক্কোতে গেল। সেই জায়গায় সে নিজের জন্য একটা গৃহ তৈরী করল আর তার পশুপালের জন্য ছাউনি তৈরী করল। এইজন্য সেই জায়গার নাম রাখা হল সুক্কোৎ।

1 যোহন 3:1-10

আমরা ঈশ্বরের সন্তান

ভেবে দেখ, পিতা ঈশ্বর আমাদের কত ভালোই না বেসেছেন যাতে আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলে অভিহিত হই; বাস্তবিক আমরা তাই। জগতের লোক আমাদের চেনে না যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান, কারণ তারা ঈশ্বরকে জানে না। প্রিয় বন্ধুরা, এখন তো আমরা ঈশ্বরের সন্তান, আর ভবিষ্যতে আমরা আরো কি হব তা এখনও আমাদের কাছে প্রকাশ করা হয় নি। কিন্তু আমরা জানি যে যখন খ্রীষ্ট পুনরায় আসবেন তখন আমরা তাঁর সমরূপ হব, কারণ তিনি যেমন আছেন, তাঁকে তেমনি দেখতে পাব। খ্রীষ্ট শুদ্ধ আর তাঁর ওপরে যে সমস্ত লোক এই আশা রাখে, তারা খ্রীষ্টের মত নিজেদের শুদ্ধ করে।

যে কেউ পাপ করে, সে বিধি-ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, আর ব্যবস্থা লঙ্ঘন করাই পাপ। তোমরা জান, মানুষের পাপ তুলে নেবার জন্যই খ্রীষ্ট প্রকাশিত হলেন; আর খ্রীষ্টের নিজের কোন পাপ নেই। যে কেউ খ্রীষ্টে থাকে, সে পাপের জীবন-যাপন করে না। কেউ যদি পাপে জীবন-যাপন করে তবে সে খ্রীষ্টকে কখনও প্রকৃতভাবে উপলদ্ধি করে নি, এমন কি তাঁকে জানেও নি।

প্রিয় সন্তানরা, সতর্ক থেকো। কেউ যেন তোমাদের বিপথে না নিয়ে যায়। যে কেউ যথার্থ কাজ করে সে নীতিপরায়ণ, ঠিক যেমন খ্রীষ্ট নীতিপরায়ণ। দিয়াবল সেই শুরু থেকেই পাপ করে চলেছে। যে ব্যক্তি পাপ করেই চলে সে দিয়াবলের। দিয়াবলের কাজকে ধ্বংস করার জন্যই ঈশ্বরের পুত্র প্রকাশিত হয়েছিলেন।

যে কেউ ঈশ্বরের সন্তান হয়, সে ক্রমাগত পাপ করতে পারে না, কারণ নরজীবনদায়ী ঈশ্বরের শক্তি সেই ব্যক্তির মধ্যে থাকে। সে ঈশ্বরের সন্তানে পরিণত হয়েছে; তাই সে পাপে জীবন কাটাতে পারে না। 10 এভাবেই আমরা দেখতে পারি কারা ঈশ্বরের সন্তান আর কারাই বা দিয়াবলের সন্তান। যারা সত্কর্ম করে না তারা ঈশ্বরের সন্তান নয়, আর যে তার ভাইকে ভালবাসে না সে ঈশ্বরের সন্তান নয়।

যোহন 10:31-42

31 ইহুদীরা তাঁকে মারবার জন্য আবার পাথর তুলল। 32 যীশু তাদের বললেন, “পিতার শক্তিতে আমি অনেক ভাল কাজ করেছি, তার মধ্যে কোন্ কাজটার জন্য তোমরা পাথর মারতে চাইছ?”

33 ইহুদীরা এর উত্তরে তাঁকে বলল, “তুমি যে সব ভাল কাজ করেছ, তার জন্য আমরা তোমায় পাথর মারতে চাইছি না। কিন্তু আমরা তোমাকে পাথর মারতে চাইছি এই জন্য যে, তুমি ঈশ্বর নিন্দা করেছ। তুমি একজন মানুষ, অথচ নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করছ।”

34 যীশু তাদের বললেন, “তোমাদের বিধি-ব্যবস্থায় কি একথা লেখা নেই যে, ‘আমি বলেছি তোমরা ঈশ্বর?’(A) 35 শাস্ত্রে তাদেরই ঈশ্বর বলেছিল যাদের কাছে ঈশ্বরের বাণী এসেছিল। আর শাস্ত্র সব সময়ই সত্য। 36 আমিই সেই ব্যক্তি, পিতা যাঁকে মনোনীত করে জগতে পাঠালেন। আমি বলেছি, ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র।’ তবে তোমরা কেন বলছ যে আমি ঈশ্বর নিন্দা করছি? 37 আমি যদি আমার পিতার কাজ না করি, তাহলে আমায় বিশ্বাস করো না। 38 কিন্তু আমি যখন সেইসব কাজ করছি তখনও যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করো, তাহলে সেই সব কাজকে বিশ্বাস কর। তাহলে তোমরা জানতে পারবে ও বুঝতে পারবে যে পিতা আমাতে আছেন আর আমি পিতার মধ্যে আছি।”

39 এরপর তারা আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের হাত এড়িয়ে চলে গেলেন।

40 যর্দনের অপর পারে যেখানে যোহন বাপ্তাইজ করছিলেন, যীশু সেখানে আবার গেলেন ও সেখানে থাকলেন। 41 বহুলোক তাঁর কাছে আসতে থাকল, আর তারা বলাবলি করতে লাগল, “যোহন কোন অলৌকিক কাজ করেন নি বটে; কিন্তু এই মানুষটির বিষয়ে যোহন যা বলেছেন, সে সবই সত্য।” 42 আর সেখানে অনেকেই যীশুর ওপর বিশ্বাস করল।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International