Book of Common Prayer
কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত।
87 জেরুশালেমের পবিত্র পাহাড়ে ঈশ্বর তাঁর মন্দির নির্মাণ করেছেন।
2 ইস্রায়েলের যে কোন জায়গার চেয়ে সিয়োনের ফটকগুলোকে ঈশ্বর অনেক বেশী ভালোবাসেন।
3 হে ঈশ্বরের নগরী, লোকে তোমার সম্পর্কে বিস্ময়কর কথা বলে।
4 ঈশ্বর তাঁর সব লোকের তালিকা রাখেন, ওদের মধ্যে কিছু লোক মিশর ও বাবিলে বাস করে।
ওদের মধ্যে কিছু লোক পলেষ্টীয়, সোর ও কূশ দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলো।
5 যারা সিয়োনে জন্মেছে,
তাদের প্রত্যেককে ঈশ্বর চেনেন।
পরাৎপর এই নগর নির্মাণ করেছেন।
6 ঈশ্বর, তাঁর সব লোকদের তালিকা রেখেছেন।
প্রত্যেকটি লোক কোথায় জন্মেছে তা ঈশ্বর জানেন।
7 ঈশ্বরের লোকরা বিশেষ ছুটি উদ্যাপন করতে জেরুশালেমে যায়।
ওরা প্রচণ্ড সুখী, ওরা নাচছে এবং গাইছে।
ওরা বলে, “জেরুশালেম থেকেই সব ভালো জিনিস আসে।”
চতুর্থ খণ্ড
(গীতসংহিতা 90–106)
ঈশ্বরের লোক, মোশির প্রার্থনা।
90 হে প্রভু, আমাদের সমস্ত প্রজন্মের জন্য আপনি আমাদের গৃহ ছিলেন।
2 হে ঈশ্বর, পর্বতমালার জন্মের আগে,
এই পৃথিবীর এবং জগৎ সৃষ্টির আগে, আপনিই ঈশ্বর ছিলেন।
হে ঈশ্বর, আপনি চিরদিন ছিলেন এবং আপনি চিরদিন থাকবেন।
3 এই পৃথিবীতে আপনিই মানুষকে এনেছেন।
আপনি পুনরায় তাদের ধূলোয় পরিণত করেন।
4 আপনার কাছে হাজার বছর গতকালের মত,
যেন গত রাত্রি।
5 আপনি আমাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেন, আমাদের জীবন একটা স্বপ্নের মত, সকাল হলেই আমরা চলে যাই।
আমরা ঘাসের মত।
6 সকালে ঘাসগুলো জন্মায়
এবং বিকেলে তা শুকিয়ে মরে যায়।
7 ঈশ্বর, আপনার ক্রোধ আমাদের ধ্বংস করে দিতে পারে
এবং তা আমাদের ভীত করে!
8 আমাদের সব পাপ আপনি জানেন।
ঈশ্বর, আমাদের প্রত্যেকটি গোপন পাপ আপনি দেখতে পান।
9 আপনার ক্রোধ আমাদের জীবন শেষ করে দিতে পারে।
ফিস্ফিসানি কথার মত আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায়।
10 আমরা হয়তো বা 70 বছর বেঁচে থাকি।
যদি আমরা শক্তিশালী হই তাহলে হয়তো 80 বছর বেঁচে থাকতে পারি।
আমাদের জীবন কঠোর পরিশ্রম এবং যন্ত্রণায় ভরা।
তারপর হঠাৎ আমাদের জীবন শেষ হয়ে যায় এবং আমরা উড়ে চলে যাই।
11 হে ঈশ্বর, আপনার ক্রোধের পূর্ণ শক্তি কতখানি তা কোন ব্যক্তিই জানে না।
কিন্তু ঈশ্বর, আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভয় আপনার ক্রোধের মতই বিরাট।
12 আমাদের জীবন প্রকৃতপক্ষে যে কত ছোট তা আমাদের দেখান।
যাতে আমরা প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারি।
13 প্রভু সব সময় আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন।
আপনার দাসদের প্রতি সদয় হোন।
14 প্রত্যেক প্রভাতে আপনার প্রেমে আমাদের ভরিয়ে দিন।
আমাদের সুখী হতে দিন, এ জীবনকে উপভোগ করতে দিন।
15 আমাদের জীবনে অনেক দুঃখ ও সমস্যা দিয়েছেন।
এবার আমাদের সুখী করুন।
16 যে সব অলৌকিক কাজ আপনি আপনার সেবকদের জন্য করেন, তা ওরা দেখুক।
ওদের সন্তানদের আপনার মহিমা দেখতে দিন।
17 ঈশ্বর আমাদের শ্রমে সাহায্য করুন।
আমাদের শ্রম তাঁকে সাহায্য করুক।
136 প্রভুর প্রশংসা কর কারণ তিনিই মঙ্গলকর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম বিরাজমান থাকে।
2 যিনি সব দেবতাদের দেবতা, সেই ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
3 সব প্রভুদের প্রভুকে প্রশংসা কর!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
4 ঈশ্বরের প্রশংসা কর যিনি একাই বিস্ময়কর সব কাজ করেন!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
5 ঈশ্বরের প্রশংসা কর যিনি প্রজ্ঞা দিয়ে আকাশ সৃষ্টি করেছেন!
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
6 শুষ্ক ভূখণ্ডকে তিনি সাগরে স্থাপন করেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
7 ঈশ্বর মহান আলোগুলো সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
8 দিনকে শাসন করার জন্য ঈশ্বর সূর্য সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
9 রাত্রিকে শাসন করার জন্য ঈশ্বর চাঁদ এবং তারা সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
10 মিশরের প্রথম জাত মানুষ এবং প্রাণীকে ঈশ্বর হত্যা করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
11 ঈশ্বর ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বার করে এনেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
12 ঈশ্বর তাঁর বিপুল শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে ছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগে ভাগ করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
14 ঈশ্বর লোহিত সাগরের মধ্যে দিয়ে ইস্রায়েলকে পরিচালিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম অনন্তকাল অব্যাহত থাকে।
15 ফরৌণ এবং সৈন্যবাহিনীকে ঈশ্বর লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
16 ঈশ্বর তাঁর লোকদের মরুভূমির মধ্যে দিয়ে পথ দেখিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
17 ঈশ্বর শক্তিশালী রাজাদের পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
18 ঈশ্বর বলবান রাজাদের পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
19 ঈশ্বর ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
20 ঈশ্বর বাশনের রাজা ওগকে পরাজিত করেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
21 ঈশ্বর তাদের ভূখণ্ড ইস্রায়েলকে দিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
22 ঈশ্বর সেই ভূখণ্ড ইস্রায়েলকে উপহারস্বরূপ দিয়েছেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
23 যখন আমরা পরাজিত হয়েছিলাম, তখন ঈশ্বর আমাদের স্মরণে রেখেছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
24 ঈশ্বর আমাদের শত্রুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
25 ঈশ্বর প্রত্যেকটি লোককে আহার দেন।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
26 স্বর্গের ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির বিরাজমান থাকে।
যাকোবের সঙ্গে রাহেলের সাক্ষাৎ
29 তারপর যাকোব আবার তার যাত্রা পথে চলল। সে পূর্বদিকের দেশে গেল। 2 যাকোব তাকিয়ে দেখল মাঠে একটা কূপ রয়েছে। কূপের ধারে ছিল তিন পাল মেষ। মেষরা এই কূপের জলই পান করত। একটা বড় পাথর দিয়ে কূপের মুখটা ঢাকা ছিল। 3 পালের সব মেষ জড়ো হলে মেষপালকরা কূপের মুখ থেকে পাথরটা গড়িয়ে দিতো। তখন সব মেষরা জল পান করত। মেষদের জল পান শেষ হলে মেষপালকরা সেই পাথরটা আবার যথাস্থানে গড়িয়ে দিত।
4 সেখানকার মেষপালকদের যাকোব বলল, “ভাইরা, তোমরা কোথা থেকে এসেছ?”
তারা উত্তরে বলল, “আমরা হারোণ থেকে এসেছি।”
5 তখন যাকোব বলল, “তোমরা কি নাহোরের পুত্র লাবনকে চেন?”
মেষপালকরা উত্তরে বলল, “আমরা তাঁকে চিনি।”
6 তখন যাকোব বলল, “তিনি কেমন আছেন?”
তারা বলল, “তিনি ভাল আছেন। সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে। দেখুন, তাঁর কন্যা রাহেল এখন মেষপাল নিয়ে আসছেন।”
7 যাকোব বলল, “দেখ, এখনও দিনের আলো রয়েছে এবং সূর্য ডুবতে এখনও দেরী। মেষ জড়ো করার সময় তো এখন নয়। তাই তাদের জল পান করিয়ে মাঠে আবার চরতে দাও।”
8 কিন্তু মেষপালকরা বলল, “সব মেষপাল এক জায়গায় জড়ো না হওয়া পর্যন্ত আমরা তা করতে পারি না। তারপর আমরা কূপের মুখ থেকে পাথর সরিয়ে দেব আর সব মেষ জল পান করতে পারবে।”
9 যে সময় যাকোব মেষপালকদের সঙ্গে কথা বলছিল, সে সময় রাহেল তার পিতার মেষপাল নিয়ে এল। (রাহেলের কাজ ছিল মেষদের যত্ন নেওয়া।)
10 রাহেল ছিল লাবনের কন্যা। লাবন ছিলেন যাকোবের মাতার অর্থাৎ রিবিকার ভাই। যাকোব রাহেলকে দেখে এগিয়ে গিয়ে পাথর সরিয়ে তার মামার মেষদের জল দিল। 11 পরে যাকোব রাহেলকে চুমু খেয়ে উঁচু গলায় কাঁদতে লাগল। 12 যাকোব রাহেলকে বলল যে সে তার পিতার পরিবারের দিক দিয়ে আত্মীয়—রিবিকার পুত্র। তাই রাহেল দৌড়ে বাড়ী গিয়ে তার পিতাকে তা জানাল।
13 লাবন তাঁর বোনের পুত্র যাকোবের কথা শুনলেন। এবার তাই লাবন দৌড়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। লাবন তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলেন এবং নিজের বাড়ীতে নিয়ে এলেন। যা ঘটেছিল তার সব কিছু যাকোব লাবনকে বলল।
14 তখন লাবন বললেন, “তুমি যে আমার পরিবারের একজন এ বড়ই আনন্দের!” তাই লাবন যাকোবের সঙ্গে এক মাস কাটালেন।
যাকোবের সঙ্গে লাবনের চালাকি
15 একদিন লাবন যাকোবকে বললেন, “পারিশ্রমিক বিনা আমার জন্য তোমার এই পরিশ্রম করাটা ঠিক হচ্ছে না। তুমি আমার আত্মীয়, দাস নও। আমি তোমায় কি পারিশ্রমিক দেব?”
16 লাবনের দুটি কন্যা ছিল। বড়টির নাম লেয়া এবং ছোটটির নাম রাহেল।
17 রাহেল সুন্দরী ছিল। লেয়ার চোখ দুটি শান্ত ছিল।[a] 18 যাকোব রাহেলকে ভালোবাসল। যাকোব লাবনকে বলল, “আমি সাত বছর কাজ করব যদি আপনি আমাকে আপনার কনিষ্ঠা কন্যা রাহেলকে বিয়ে করতে দেন।”
19 লাবন বললেন, “অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে হওয়ার থেকে তোমার সঙ্গে বিয়ে হওয়াটা ওর পক্ষে মঙ্গল হবে। তাই আমাদের সঙ্গে থেকে যাও।”
20 তাই যাকোব থেকে গেল এবং লাবনের জন্য সাত বছর কাজ করল। কিন্তু রাহেলকে সে ভালবাসত বলে এই সাত বছর সময় তার কাছে অল্প বলে মনে হল।
অপরের সমালোচনা করো না
14 বিশ্বাসে যে দুর্বল, এমন কোন ভাইকে তোমাদের মধ্যে গ্রহণ করতে অস্বীকার করো না। তার ভিন্ন ধারণা নিয়ে তার সঙ্গে তর্ক করো না। 2 এক একজন বিশ্বাস করে যে তার যা ইচ্ছা হয় এমন সব কিছুই সে খেতে পারে; কিন্তু যে বিশ্বাসে দুর্বল সে মনে করে যে সে কেবল শাকসব্জী খেতে পারে। 3 যে ব্যক্তি সব খাবারই খায় সে যেন যে কেবল সব্জীই খায়, তাকে হেয় জ্ঞান না করে। আর যে মানুষ কেবল সব্জী খায়, তারও উচিত সব খাবার খায় এমন লোককে ঘৃণা না করা, কারণ ঈশ্বর তাকেও গ্রহণ করেছেন। 4 তুমি অন্যের ভৃত্যের দোষ ধরবে না। সে ঠিক করছে না ভুল করছে তা তার মনিবই ঠিক করবেন; বরং প্রভুর দাস নির্দোষই হবে কারণ প্রভু তাকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করতে পারেন।
5 কেউ হয়তো মনে করে এই দিনটি ঐ দিনটির থেকে ভাল, আবার কেউ মনে করে সব দিনই সমান ভাল। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ মনে তার বিশ্বাস সম্বন্ধে স্থির নিশ্চয় হোক। 6 যে কোন দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকে সে প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে। তেমনি যে মানুষ সবরকম খাবারই খায়, সেও প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে কারণ সে ওই খাবারের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়। এদিকে যে ব্যক্তি কিছু খাদ্য গ্রহণে বিরত থাকে সেও তো প্রভুর উদ্দেশ্যেই তা করে।
7 হ্যাঁ, আমরা সকলেই প্রভুর জন্য বেঁচে থাকি। আমরা কেউ নিজের জন্য বেঁচে থাকি না, কেউ নিজের জন্য মরেও যাই না। 8 আমাদের বেঁচে থাকা তো প্রভুরই উদ্দেশ্যে বেঁচে থাকা, আমরা যদি মরি তবে তো প্রভুর জন্যই মরি। তাই আমরা বাঁচি বা মরি, যে ভাবেই থাকি না কেন, আমরা প্রভুরই। 9 এইজন্যই খ্রীষ্ট মৃত্যু বরণ করলেন ও পুনরায় বেঁচে উঠলেন, যাতে তিনি মৃত ও জীবিত সকলেরই প্রভু হতে পারেন।
10 তাহলে তোমরা কেন খ্রীষ্টেতে তোমার এক ভাইয়ের দোষ ধর? তোমার ভাইয়ের থেকে তুমি ভাল, এমন কথাই বা ভাব কি করে? আমাদের সকলকেই ঈশ্বরের বিচারাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে। আর ঈশ্বর আমাদের বিচার করবেন। 11 হ্যাঁ, শাস্ত্রে লেখা আছে:
“‘প্রত্যেক ব্যক্তি আমার সামনে নতজানু হবে।
প্রত্যেক ওষ্ঠাধর স্বীকার করবে যে আমি ঈশ্বর,
প্রভু বলেন, আমার জীবনের দিব্য, এসব হবেই।’”(A)
12 আমাদের সকলকেই ঈশ্বরের কাছে আমাদের জীবনের হিসাব দিতে হবে।
অপরকে পাপে প্ররোচিত করো না
13 তাই এস, আমরা অন্যের বিচার করা থেকে বিরত হই, বরং আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা এমন কিছু করব না যাতে আমাদের কোন ভাই বা বোন হোঁচট খায় ও প্রলোভনে পড়ে পাপ করে। 14 আমি প্রভু যীশুতে নিশ্চিতভাবে বুঝেছি যে কোন খাবার আসলে অশুচি নয়, তা খাওয়া অন্যায় নয়। তবে কেউ যদি সেই খাবার অশুচি ভাবে, তাহলে তার কাছে তা অশুচি।
15 তোমার খাদ্যে যদি তোমার ভাই আত্মিকভাবে আহত হয় তাহলে বুঝতে হবে যে তুমি আর ভালোবাসার পথে চলছ না। তুমি এমন কিছু খেও না যা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এতে তার বিশ্বাস আঘাত পেতে পারে, কারণ খ্রীষ্ট সেই ব্যক্তির জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। 16 তাহলে তোমার কাছে যা ভাল, তা যেন অপরের কাছে নিন্দিত না হয়। 17 ঈশ্বরের রাজ্য খাদ্য পানীয় নয়, কিন্তু তা ধার্মিকতা, শান্তি ও পবিত্র আত্মাতে আনন্দ। 18 যে এ বিষয়ে খ্রীষ্টের দাসত্ব করে, সে ঈশ্বরের প্রীতিপাত্র এবং মানুষের কাছেও পরীক্ষাসিদ্ধ।
19 তাই সেই সব কাজ যা শান্তির পথ প্রশস্ত করে এবং পরস্পরকে শক্তিশালী করে, এস, আমরা তাই করি। 20 নিছক খাদ্যবস্তু নিয়ে ঈশ্বরের কাজ পণ্ড করো না, কারণ সব খাদ্যই শুচি ও খাওয়া যায়, কিন্তু কারো কিছু খাওয়া নিয়ে যদি অন্যের পতন ঘটে তাহলে তেমন কিছু খাওয়া অবশ্যই অন্যায়। 21 তোমার ভাই যদি হোঁচট খায় ও পাপে পতিত হয়, তাহলে মাংস আহার বা দ্রাক্ষারস পান না করাই শ্রেয়। তেমন কোন কাজও না করা ভাল যার ফলে তোমার কোন ভাই বা বোনের পতন ঘটতে পারে ও সে পাপ করে।
22 তোমরা যা ভাল বলে বিশ্বাস কর তা তুমি ও তোমার ঈশ্বরের মধ্যেই রাখ; কারণ কেউ যখন ভাল মনে করে কোন কাজ করে এবং সে যা করছে সেই ব্যাপারে যদি তার বিবেক তাকে দোষী না করে, তবে সেই ব্যক্তি ধন্য। 23 কিন্তু কোন কিছু খাবার ব্যাপারে যার অন্তরে দ্বিধা থাকে সে যদি তবুও তা খায় তাহলে সে অবশ্যই দোষী, কারণ সে তো নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করল। কেউ যদি বিশ্বাস করতে না পারে যে এটা ঠিক তবে সেই কাজ করা পাপ।
47 যে ঈশ্বরের লোক, সে ঈশ্বরের কথা শোনে। আর এই কারণেই তোমরা শুনতে চাও না, কারণ তোমরা ঈশ্বরের নও।”
যীশু অব্রাহাম এবং নিজের সম্বন্ধে বললেন
48 এর উত্তরে ইহুদীরা বলল, “আমরা কি ঠিক বলিনি যে তুমি একজন শমরীয়, আর তোমার মধ্যে এক ভূত রয়েছে?”
49 যীশু জবাব দিলেন, “দেখ, আমায় ভূতে গ্রাস করে নি, বরং আমি আমার পিতাকে সম্মান করি। কিন্তু তোমরা আমার অসম্মান করেছ। 50 আমি নিজের জন্য সম্মান চাইছি না। একজন আছেন যিনি আমার জন্য সম্মান চান, তিনিই বিচার করেন। 51 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি আমার শিক্ষা অনুসারে চলে, সে কখনও মরবে না।”
52 ইহুদীরা তাঁকে বলল, “এখন আমরা বুঝেছি যে তোমায় ভূতে গ্রাস করেছে। অব্রাহাম ও ভাববাদীরা মারা গেছে আর তুমি বলছ, ‘যদি কেউ আমার শিক্ষা অনুসারে চলে, তবে সে মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না।’ 53 তুমি কি মনে কর যে তুমি আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহামের চেয়ে মহান? অব্রাহাম মারা গেছেন, আর ভাববাদীরাও মারা গেছেন। তুমি নিজেকে কি মনে করছ?”
54 এর উত্তরে যীশু বললেন, “আমি যদি নিজেকে সম্মানিত করি তবে সেই সম্মানের কোন মূল্য নেই। যিনি আমায় সম্মানিত করেন তিনি আমাদের পিতা, যাঁর সম্পর্কে তোমরা বল, তিনি আমাদের ঈশ্বর। 55 আর তোমরা তাঁকে জানো না, কিন্তু আমি তাঁকে জানি। আমি যদি বলি যে আমি তাঁকে জানি না, তাহলে আমি তোমাদেরই মতো মিথ্যাবাদী হয়ে যাবো। কিন্তু আমি তাঁকে অবশ্যই জানি, আর তিনি যা কিছু বলেন আমি সে সকল পালন করি। 56 তোমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম আমার আগমনের দিন দেখতে পাবেন বলে খুশী হয়েছিলেন। তিনি সেই দিন দেখে খুশী হয়েছিলেন।”
57 তখন ইহুদীরা তাঁকে বলল, “তোমার বয়স এখনও পঞ্চাশ বছর হয়নি আর তুমি বলছ যে তুমি অব্রাহামকে দেখেছ!”
58 যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি। অব্রাহামের জন্মের আগে থেকেই আমি আছি।” 59 তখন তারা তাঁকে পাথর ছুঁড়ে মারবার জন্য পাথর তুলে নিল; কিন্তু যীশু নিজেকে লুকিয়ে ফেললেন ও মন্দির চত্বর ছেড়ে চলে গেলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International