Book of Common Prayer
আসফের প্রশংসা গীতগুলির একটি
83 ঈশ্বর, নীরব থাকবেন না!
কান বন্ধ করে রাখবেন না!
ঈশ্বর আপনি কিছু বলুন।
2 ঈশ্বর, শত্রুরা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে
এবং খুব শীঘ্রই ওরা আক্রমণ করবে।
3 আপনার লোকদের বিরুদ্ধে ওরা ফন্দি আঁটছে।
যে লোকদের আপনি ভালোবাসেন, আপনার শত্রুরা তাদের বিরুদ্ধে শলাপরামর্শ করছে।
4 ওই শত্রুরা বলাবলি করছে, “এস, আমরা ওদের পুরোপুরি ধ্বংস করে দিই।
তাহলে কোন ব্যক্তি আর কোনদিনের জন্যও ইস্রায়েলের নাম স্মরণ করবে না।”
5 ঈশ্বর, ওই সব লোক আপনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের সঙ্গে আপনি যে চুক্তি করেছেন,
তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, এক জোট হয়েছে।
6-7 ওই শত্রুরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করবে বলে এক জোট হয়েছে: ওদের মধ্যে যারা রয়েছে তারা হলো ইদোমবাসী, ইশ্মায়েলীয়, মোয়াব ও হাগারের উত্তরপুরুষ,
গবাল, অম্মোন ও অমালেকের অধিবাসী, সোর দেশের লোক এবং পলেষ্টীয় লোকেরা।
ওই সব লোক আমাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একজোট হয়েছে।
8 এমনকি অশূরীয়রাও ওদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
লোটের উত্তরপুরুষদের[a] ওরা খুব শক্তিশালী করেছে।
9 ঈশ্বর কীশোন নদীর কাছে, যেমন করে আপনি মিদিয়নদের পরাজিত করেছিলেন,
যেমন করে আপনি সীষরা ও যাবীনকে পরাজিত করেছিলেন তেমন করে আপনি ওই শত্রুদের পরাজিত করুন।
10 ঐন্দোরে আপনি ওদের পরাজিত করেছিলেন।
মাটিতেই ওদের দেহগুলো পচে গিয়েছিলো।
11 ঈশ্বর, ওই শত্রু নেতাদের পরাজিত করুন। ওরেব ও সেবদের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
সেবহ ও সল্মুন্নের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
12 ঈশ্বর, ওই লোকরা আমাদের
আপনার ভূখণ্ড থেকে বার করে দিতে চেয়েছিল।
13 হে ঈশ্বর, খড় কুটো যেমন বাতাসে উড়ে যায়, তেমনি ভাবে আপনি ওদের উড়িয়ে দিন।
ঝোড়ো হাওয়ায় খড় যেমন ছড়িয়ে যায় তেমনি ভাবে ওদের ইতঃস্তত ছড়িয়ে দিন।
14 দাবানল যেমন করে অরণ্য ধ্বংস করে,
লেলিহান আগুন যেমন করে পাহাড় পুড়িয়ে দেয় তেমন করে আপনি শত্রুদের ধ্বংস করুন।
15 হে ঈশ্বর, ঝড় যেমন করে ধূলো উড়িয়ে নিয়ে যায় তেমনি করে আপনি ওই লোকেদের তাড়া করুন।
টর্নেডোর মত ওদের কাঁপিয়ে দিন, ওদের উড়িয়ে দিন।
16 ঈশ্বর, আপনি ওদের এমন শিক্ষা দিন যাতে ওরা বুঝতে পারে ওরা প্রকৃতই দুর্বল।
তখন ওরা আপনার নামের উপাসনা করতে চাইবে!
17 ঈশ্বর, চিরদিনের মত ওদের ভীত ও লজ্জিত করে দিন।
ওদের অপমানিত ও বিনষ্ট করুন।
18 তখন ওরা বুঝতে পারবে যে,
আপনিই ঈশ্বর।
ওরা জানতে পারবে যে, আপনিই একমাত্র পরাৎপর,
সারা পৃথিবীর ঈশ্বর!
146 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
2 আমার সারাজীবন ধরে আমি প্রভুর প্রশংসা করবো।
সারা জীবন আমি তাঁর প্রশংসা করবো।
3 সাহায্যের জন্য তোমরা নেতাদের ওপর নির্ভর কর না।
লোকেদের বিশ্বাস কর না। কেন? কারণ লোকে তোমাকে বাঁচাতে পারে না।
4 মানুষ মরে কবরে চলে যায়।
তখন তাদের সাহায্যের সব পরিকল্পনা শেষ হয়ে যায়।
5 কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে সাহায্য চায় তারা ভীষণ সুখী হয়।
ওরা ওদের প্রভু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে।
6 প্রভুই স্বর্গ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু সমুদ্র এবং তার ভেতরের সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।
প্রভু তাদের চিরদিন রক্ষা করবেন।
7 নিস্পেষিত লোকদের জন্য প্রভু ঠিক কাজ করেন।
ঈশ্বর ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার দেন।
কারাগারে বদ্ধ মানুষকে প্রভুই মুক্ত করেন।
8 প্রভু অন্ধকে পুনরায় দৃষ্টি দেন।
যারা সমস্যায় পড়েছে, প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
যে সব লোকরা ভাল তাদের প্রভু ভালোবাসেন।
9 আমাদের দেশে যে সব বিদেশীরা বাস করে তাদের প্রভু রক্ষা করেন।
প্রভুই বিধবা ও অনাথদের দেখাশোনা করেন
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
10 প্রভু চিরদিনই শাসন করবেন!
সিয়োন, তোমার ঈশ্বর চিরদিনই রাজত্ব করবেন!
প্রভুর প্রশংসা কর!
147 প্রভুর প্রশংসা কর কারণ তিনি মঙ্গলকর।
আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রশংসার গান কর।
তাঁর প্রশংসা করা ভালো এবং মনোরম।
2 প্রভু জেরুশালেম শহরটি বানিয়েছেন।
যে সব ইস্রায়েলীয়কে বন্দী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো ঈশ্বর তাদের ফিরিয়ে এনেছিলেন।
3 ঈশ্বর তাদের ভগ্নহৃদয় সারিয়ে তুলেছিলেন
এবং তাদের ক্ষতের শুশ্রূষা করেছিলেন।
4 ঈশ্বর তারা গণনা করেন
এবং প্রত্যেকটিকে তাদের নাম ধরে ডাকেন।
5 আমাদের প্রভু মহান; তিনি প্রচণ্ড শক্তিশালী।
তিনি যে কত জানেন তার কোন সীমা নেই।
6 বিনয়ী লোকদের ঈশ্বর সাহায্য করেন।
কিন্তু মন্দ লোকদের তিনি হতবিহ্বল করে দেন।
7 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও।
বীণা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর।
8 ঈশ্বর আকাশকে মেঘে ঢেকে দেন।
ঈশ্বরই বৃষ্টি আনেন।
ঈশ্বরই পাহাড়ে ঘাসের জন্ম দেন।
9 ঈশ্বর প্রাণীকে খাদ্য দেন।
ঈশ্বর নবীন পাখীদের আহার দেন।
10 মানবিক ইচ্ছাসমূহ ঈশ্বরের মধ্যে থাকে না।
যুদ্ধের শক্তিশালী ঘোড়াগুলো তিনি চান না।
11 যারা তাঁর উপাসনা করে তাদের নিয়েই প্রভু সুখী।
যারা তাঁর প্রকৃত প্রেমে বিশ্বাস রাখে ঈশ্বর তাদের নিয়েই খুশী হন।
12 জেরুশালেম, প্রভুর প্রশংসা কর!
সিয়োন, তোমার প্রভুর প্রশংসা কর!
13 জেরুশালেম, তোমার ফটকগুলিকে ঈশ্বর দৃঢ় করেছেন
এবং তোমার শহরের লোকজনকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করেন।
14 ঈশ্বর তোমাদের রাজ্যে শান্তি এনেছেন।
সেজন্যই যুদ্ধের সময় শত্রুরা তোমাদের ফসল নিয়ে যায় নি এবং তোমাদের আহারের জন্য প্রচুর শস্য আছে।
15 ঈশ্বর পৃথিবীকে একটা আদেশ দিলে
সে তৎক্ষণাৎ তা পালন করে।
16 যতক্ষণ পর্যন্ত মাটি পশমের মত সাদা না হয়, ঈশ্বর ততক্ষণ তুষার পাত করেন।
ঈশ্বরই শিলাবৃষ্টিকে বাতাসের মধ্যে ধূলোর মত উড়িয়ে নিয়ে যান।
17 ঈশ্বর আকাশ থেকে শিলাবৃষ্টি বর্ষণ করান।
তাঁর পাঠানো ঠাণ্ডা কেউ সহ্য করতে পারে না।
যে মেঘ তিনি পাঠান কোন লোকই তাকে দাঁড় করাতে পারে না।
18 তারপর ঈশ্বর আর একটা আদেশ দেন এবং আবার উষ্ণ বাতাস বইতে শুরু করে।
বরফ গলতে শুরু করে এবং জল প্রবাহিত হয়।
19 ঈশ্বর যাকোবকে তাঁর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ঈশ্বর তাঁর নিয়ম ও বিধিগুলো ইস্রায়েলকে দিয়েছিলেন।
20 অন্য কোন জাতির জন্য ঈশ্বর এসব করেন নি।
তাঁর বিধিগুলো ঈশ্বর অন্য লোকদের শেখান নি।
প্রভুর প্রশংসা কর।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত।
85 প্রভু, আপনার রাজ্যের প্রতি সদয় হোন।
যাকোবের লোকেরা বিদেশে নির্বাসিত।
নির্বাসিতদের ওদের নিজের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।
2 প্রভু, আপনার লোকেদের ক্ষমা করে দিন!
ওদের পাপ মুছে দিন!
3 প্রভু, আর ক্রুদ্ধ হবেন না।
রাগে আত্মহারা হবেন না।
4 হে আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর,
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হওয়া থেকে বিরত হোন এবং আবার আমাদের গ্রহণ করুন।
5 চিরদিনই কি আপনি
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকবেন?
6 আবার আমাদের জীবন্ত করে দিন!
আপনার লোকদের সুখী করুন।
7 প্রভু আমাদের রক্ষা করুন
এবং আপনি যে আমাদের ভালোবাসেন তা প্রদর্শন করুন।
8 প্রভু ঈশ্বর কি বলেছেন তা আমি শুনেছি।
তিনি বলেছেন, তাঁর লোকদের জন্য ও তাঁর অনুগামীদের জন্য শান্তি থাকবে।
তিনি আরও বলেছেন, তাই ওদের আর কখনও নির্বোধ জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়া উচিৎ হবে না।
9 ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের খুব শীঘ্রই রক্ষা করবেন।
আমরা খুব শীঘ্রই সম্মানের সঙ্গে আমাদের ভূখণ্ডে বাস করবো।
10 তারা সত্য এবং করুণাকে অভিনন্দন জানাবে।
তারা শান্তি ও ধার্ম্মিকতাকে চুমু খাবে।
11 পৃথিবীর লোকরা ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠাবান হবে।
স্বর্গ থেকে ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করবেন।
12 প্রভু আমাদের অনেক ভালো জিনিস দেবেন।
জমিগুলো প্রচুর পরিমাণে ভালো শস্য দেবে।
13 ধার্ম্মিকতা ঈশ্বরের আগে আগে যাবে
এবং তাঁর চলার পথ প্রস্তুত করবে।
দায়ূদের প্রার্থনা।
86 আমি একজন দীন, অসহায় মানুষ।
প্রভু আমার কথা দয়া করে শুনুন এবং আমার প্রার্থনার উত্তর দিন।
2 প্রভু, আমি আপনার অনুগামী, অনুগ্রহ করে আমায় রক্ষা করুন!
আমি আপনার দাস, আপনি আমার ঈশ্বর।
আমি আপনাতে বিশ্বাস করি, তাই আমায় রক্ষা করুন।
3 হে আমার প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
সারাদিন ধরে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
4 প্রভু, আমার জীবন আমি আপনার হাতে দিলাম।
আমি আপনার দাস, তাই আমায় সুখী করুন।
5 প্রভু, আপনি মঙ্গলময় এবং করুণাময়।
আপনার লোকেরা সাহায্যের জন্য আপনাকে ডাকে।
প্রকৃতই আপনি ওই সব লোককে ভালোবাসেন।
6 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
করুণার জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 প্রভু, আমার সঙ্কটের সময়ে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
আমি জানি আপনি আমায় উত্তর দেবেন!
8 ঈশ্বর, আপনার মত কেউই নেই।
আপনি যা করেছেন তা আর কেউ করতে পারবে না।
9 প্রভু, আপনিই প্রত্যেকটি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
ওরা সবাই যেন এসে আপনার উপাসনা করে।
ওদের সকলে যেন আপনার নামের সম্মান করে।
10 ঈশ্বর, আপনি মহান এবং আপনি আশ্চর্য কার্য করেন!
আপনি একমাত্র আপনিই ঈশ্বর!
11 প্রভু, আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন
এবং আমি আপনার সত্য পথ অবলম্বন করে বেঁচে থাকবো।
আপনার উপাসনা করাকে আমার জীবনের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করতে আমায় সাহায্য করুন।
12 ঈশ্বর, প্রভু আমার, আমার সকল অন্তর দিয়ে আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিন আমি আপনার নামের সম্মান করবো!
13 ঈশ্বর আপনি আমার জন্য কত মহান ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন
এবং মৃত্যুর হাত থেকে আমায় রক্ষা করেছেন।
14 ঈশ্বর, অহঙ্কারী লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
একদল নৃশংস লোক আমায় হত্যার চেষ্টা করছে।
ওই সব লোক আপনাকে সম্মান করে না।
15 প্রভু, আপনি দয়াময় ও করুণাময় ঈশ্বর।
আপনি ধৈর্য্যশীল, বিশ্বস্ত এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
16 ঈশ্বর, আমার প্রতি সদয় হোন এবং দেখান যে আপনি আমার কথা শুনেছেন।
আমি আপনার দাস, আমায় শক্তি দিন।
আমি আপনার দাস, আমায় রক্ষা করুন!
17 ঈশ্বর, আপনি যে আমায় সাহায্য করবেন তা প্রদর্শন করে আমায় একটা চিহ্ন দিন।
আমার শত্রুরা সেই চিহ্ন দেখবে এবং ওরা হতাশ হবে।
সেটা প্রমাণ করবে যে আপনি আমার প্রার্থনা শুনেছেন এবং আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।
এষৌর জন্য “আশীর্বাদ”
30 ইস্হাক যাকোবকে আশীর্বাদ করা শেষ করলেন। তারপর যেই যাকোব পিতার কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে চলে গেল অমনি এষৌ ফিরে এল শিকার থেকে। 31 পিতা ঠিক যেমন খেতে ভালবাসে ঠিক সেভাবে এষৌ মাংস রাঁধল। তারপর খাবারটা নিয়ে এল পিতার কাছে। পিতাকে সে বলল, “পিতা, আমি তোমার পুত্র। ওঠো, তোমার জন্য শিকার করে আমি মাংস রেঁধে নিয়ে এসেছি, খাও, তারপরে আমায় আশীর্বাদ করো।”
32 কিন্তু ইস্হাক জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কে?”
সে উত্তর দিল, “আমি তোমার পুত্র—তোমার বড় পুত্র এষৌ।”
33 তখন ইস্হাক মহা উদ্বিগ্ন হলেন। জিজ্ঞেস করলেন, “তাহলে তুমি আসার আগে কে মাংস রান্না করে এনে দিল আমায়? আমি সমস্ত মাংস খেয়ে তাকে আশীর্বাদ করলাম। এখন সেই আশীর্বাদ ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষেও ঢের দেরী হয়ে গেছে।”
34 এষৌ তার পিতার কথা শুনল। সে খুব ক্রুদ্ধ ও বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠল। সে চিৎকার করে কেঁদে উঠল। পিতাকে বলল, “তাহলে আমাকেও আশীর্বাদ করো, পিতা!”
35 ইস্হাক বললেন, “তোমার ভাই আমার সঙ্গে চালাকি করেছে! সে এসে তোমার আশীর্বাদ নিয়ে গেছে!”
36 এষৌ বলল, “তার নাম যাকোব। ওর জন্যে ঐ নামই ঠিক। আমার সঙ্গে ভাই দুবার চালাকি করল। প্রথমবার কৌশলে সে প্রথম সন্তান হিসেবে আমার যা অধিকার ছিল তার থেকে বঞ্চিত করেছে এবং এবার আমার প্রাপ্য আশীর্বাদ থেকে আমাকে বঞ্চিত করল।” তারপর এষৌ জিজ্ঞেস করল, “আমার জন্য কি তোমার আর কোন আশীর্বাদ অবশিষ্ট নেই?”
37 ইস্হাক উত্তর দিলেন, “না, তার জন্য বড় দেরী হয়ে গেছে। আমি তোমায় শাসন করার অধিকারও যাকোবকে দিয়ে ফেলেছি। আমার আশীর্বাদে সে পাবে তার সমস্ত ভাইদের সেবা। আর আমি তাকে প্রচুর শস্য আর দ্রাক্ষারসের জন্য আশীর্বাদ দিয়েছি। তোমায় আশীর্বাদ করার জন্য আর কিছু বাকি নেই।”
38 কিন্তু এষৌ আশীর্বাদের জন্যে পিতাকে পীড়াপীড়ি করে বলল, “পিতা তোমার কাছে কি শুধুমাত্র একটিই আশীর্বাদ আছে?” এষৌ কাঁদতে শুরু করল।
39 তখন ইস্হাক বললেন,
“তুমি কখনও উর্বর জমি পাবে না,
তুমি কখনও পর্যাপ্ত বর্ষা পাবে না।
40 তোমাকে লড়তে হবে জীবনের জন্য
এবং ভ্রাতার ভৃত্য হবে তুমি।
কিন্তু লড়ে তুমি হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
মুক্তি পাবে তোমার ভ্রাতার শাসন থেকে।”
যাকোব দেশ ত্যাগ করল
41 তারপর এই আশীর্বাদের জন্য এষৌ যাকোবকে ঘৃণা করতে শুরু করল। মনে মনে এষৌ ভাবল, “আমার পিতা শীঘ্রই মারা যাবেন। তার জন্য শোক করার সময় শেষ হবার পরে আমি যাকোবকে হত্যা করব।”
42 রিবিকা জানলেন যে এষৌ যাকোবকে হত্যা করার কথা ভাবছে। তিনি যাকোবকে ডেকে পাঠালেন। যাকোবকে তিনি বললেন, “শোন, তোমার ভাই এষৌ তোমায় হত্যা করার কথা ভাবছে। 43 তাই আমি যা বলি তা-ই করো। আমার ভাই লাবন বাস করে হারণে। তার কাছে গিয়ে তুমি লুকিয়ে থাকো। 44 তার কাছে তুমি কিছুদিন থাকো যতদিন না তোমার ভাইয়ের রাগ পড়ে। 45 কিছুদিন পরে তোমার ভাই, তুমি তার প্রতি কি করেছ না করেছ সব ভুলে যাবে। তখন আমি তোমায় ফিরিয়ে আনার জন্যে একটি ভৃত্য পাঠাব। আমি একই দিনে আমার দু পুত্রকে হারাতে চাই না।”
9 তোমার ভালবাসা অকৃত্রিম হোক। যা মন্দ তা ঘৃণা কর আর যা ভাল তাতে আসক্ত থাক। 10 ভাই বোনের মধ্যে যে পবিত্র ভালোবাসা থাকে সেই ভালোবাসায় তোমরা পরস্পরকে ভালবাস। অপর ভাই বোনেদের নিজের থেকেও বেশী সম্মানের যোগ্য বলে মনে কর। 11 প্রভুর কাজে শিথিল হয়ো না। আত্মায় উদ্দীপ্ত হয়েই তোমরা প্রভুর সেবা কর। 12 আনন্দ কর, কারণ তোমাদের প্রত্যাশা আছে। তোমরা দুঃখকষ্টে সহিষ্ণু হও; নিরন্তর প্রার্থনা কর। 13 তোমাদের যা আছে তা অভাবী ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে ভাগ করে নাও। তোমাদের গৃহে অতিথিদের স্বাগত জানাও।
14 তোমাদের যারা নির্যাতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো, যেন ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করেন। তাদের মঙ্গল কামনা কর, অভিশাপ দিও না। 15 তোমরা অপরের সুখে সুখী হও, যারা দুঃখে কাঁদছে তাদের সঙ্গে কাঁদো। 16 তোমরা পরস্পর একপ্রাণ হয়ে শান্তিতে থাক, অহঙ্কারী হয়ো না। যারা দীনহীন মানুষ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চল। নিজেকে জ্ঞানী মনে করে গর্ব করো না।
17 কেউ অপকার করলে অপকার করে তার প্রতিশোধ নিও না। সকলের চোখে যা ভাল তোমরা তা করতেই চেষ্টা কর। 18 যতদূর পার সকলের সঙ্গে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করে যাও। 19 আমার বন্ধুরা, কেউ তোমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দিতে যেও না, বরং ঈশ্বরকেই শাস্তি দিতে দাও। শাস্ত্রে প্রভু বলছেন, “প্রতিশোধ নেওয়া আমার কাজ, প্রতিদান যা দেবার আমিই দেব।”(A) 20 কিন্তু তোমরা এই কাজ কর,
“তোমাদের শত্রুরা ক্ষুধার্ত হলে
তাদের খেতে দাও,
তোমাদের শত্রু তৃষ্ণার্ত হলে
তাদের জল পান করাও।
এই রকম করলে তোমরা তাকে লজ্জায় ফেলে দেবে।”(B)
21 মন্দের কাছে পরাস্ত হয়ো না, বরং উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাস্ত করো।
ইহুদীরা যীশুর বিষয় বোঝে নি
21 তিনি তাদের আর একবার বললেন, “আমি যাচ্ছি, আর তোমরা আমার খোঁজ করবে; কিন্তু তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে। আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না।”
22 তখন ইহুদীরা বলছিল, “তিনি কি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন? কেন তিনি বললেন, ‘আমি যেখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না’?”
23 যীশু তাদের বললেন, “তোমরা এই নিম্নলোকের আর আমি উর্দ্ধলোকের। তোমরা এজগতের, আমি এ জগতের নই। 24 তাই আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে। তোমরা যদি বিশ্বাস না কর যে আমিই তিনি, তবে তোমরা তোমাদের পাপের জন্যই মরবে।”
25 তখন তারা জিজ্ঞেস করল, “তুমি কে?”
যীশু তাদের বললেন, “আমি যা, তা তো শুরু থেকেই তোমাদের বলে আসছি। 26 তোমাদের বিষয়ে বলার ও বিচার করার অনেক কিছুই আমার আছে। যা হোক্, যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য। আর আমি তাঁর কাছ থেকে যা কিছু শুনি, পৃথিবীর মানুষের কাছে তাই বলি।”
27 তারা বুঝতে পারে নি যে, তিনি তাদের কাছে পিতার বিষয়ে বলছেন। 28 তখন যীশু তাদের বললেন, “যখন তোমরা মানবপুত্রকে উঁচুতে তুলবে, তখন জানবে যে আমিই তিনি এবং আমি নিজের থেকে কিছুই করি না। পিতা যেমন আমায় শিখিয়েছেন, আমি সেরকমই বলছি। 29 আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তিনি আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে একা ফেলে রাখেন নি, কারণ আমি সব সময় সন্তোষজনক কাজই করি।” 30 যীশু যখন এইসব কথা বললেন তখন অনেকেরই তাঁর ওপর বিশ্বাস হল।
যীশু পাপ থেকে মুক্তি লাভের কথা বললেন
31 ইহুদীদের মধ্যে যাঁরা তাঁর ওপর বিশ্বাস করল, তাদের উদ্দেশ্যে যীশু বললেন, “তোমরা যদি সকলে আমার শিক্ষা মান্য করে চল তবে তোমরা সকলেই আমার প্রকৃত শিষ্য। 32 তোমরা সত্যকে জানবে, আর সেই সত্য তোমাদের স্বাধীন করবে।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International