Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 75-76

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: “বিনাশ কর না।” গানটির পর্দায় গাওয়া আসফের একটি প্রশংসা গীত।

75 হে ঈশ্বর, আমরা আপনার প্রশংসা করি!
    আমরা আপনার প্রশংসা করি।
    আপনি (আপনার নাম) খুব কাছাকাছি রয়েছেন এবং যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেছেন লোকে তার কথা বলে।

ঈশ্বর বলেন, “আমি বিচারের সময় নির্দিষ্ট করব
    এবং আমি ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করবো।
পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুই কম্পমান এবং পতনোন্মুখ হতে পারে,
    কিন্তু আমি ওদের দৃঢ় সংবদ্ধ করে রাখবো।

“কিছু লোক প্রচণ্ড গর্বিত।
    ‘ওরা ভাবে ওরাই শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু আমি ওই লোকদের বলেছি, ‘মিথ্যা বড়াই করো না!
    এত অহঙ্কারী হয়ো না!’”

পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নেই
    যা একটা মানুষকে এতখানি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারে।
প্রভুই বিচারক।
    কে গুরুত্বপূর্ণ হবে তা ঈশ্বরই স্থির করেন।
    ঈশ্বর একজন ব্যক্তিকে তুলে নেন এবং তাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন।
    অন্যদিকে, তিনি অন্য এক ব্যক্তিকে টেনে নামিয়ে দেন এবং তাকে গুরুত্বহীন করেন।
মন্দ লোকদের শাস্তি দিতে ঈশ্বর সর্বদাই প্রস্তুত।
    প্রভুর হাতে একটা পেয়ালা আছে।
সেই পেয়ালাটি বিষাক্ত দ্রাক্ষারসে পরিপূর্ণ।
    এই দ্রাক্ষারস (শাস্তি) তিনি মন্দ লোকদের ওপর ঢালবেন এবং শেষ বিন্দু পর্যন্ত তারা তা পান করবে।
এসব বিষয় সম্পর্কে আমি সর্বদাই লোকদের বলবো।
    আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বরের প্রশংসা গান করবো।
10 ঈশ্বর বলেন, “মন্দ লোকদের শক্তি আমি হরণ করবো
    এবং ভাল লোকদের আমি বেশী শক্তি দেবো।”

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: বাদ্যযন্ত্র সহ আসফের একটি প্রশংসা গীত।

76 যিহূদার লোকরা ঈশ্বরকে জানে।
    ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের নামকে সম্মান করে।
শালেমে ঈশ্বরের মন্দির আছে।
    সিয়োন পর্বতের ওপর ঈশ্বর বাস করেন।
সেই খানেই ঈশ্বর, তীর-ধনুক,
    ঢাল-তলোয়ার এবং অন্য সব যুদ্ধাস্ত্র, চূর্ণবিচূর্ণ করেছেন।

হে ঈশ্বর, পর্বতসমূহের থেকে ফিরে,
    যেখানে আপনি আপনার শত্রুদের পরাজিত করেছেন, আপনাকে মহিমান্বিত দেখাচ্ছে।
ঐসব সৈন্য ভেবেছিলো ওরা শক্তিশালী।
    কিন্তু এখন তারা যুদ্ধক্ষেত্রে মরে পড়ে রয়েছে।
ওদের গায়ে যা কিছু ছিল সবই খুলে নেওয়া হয়েছিল।
    ঐ বলশালী সৈনিকরা কেউই নিজেকে রক্ষা করতে পারে নি।
যাকোবের ঈশ্বর ওই সৈন্যদের উদ্দেশ্যে গর্জন করে উঠলেন।
    তারা তাদের ঘোড়াগুলো সহ পড়ে মরে গেল।
ঈশ্বর, আপনি ভয়ানক!
    যখন আপনি ক্রুদ্ধ হন তখন কেউ আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না।
8-9 বিচারক হিসাবে প্রভুই তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
    এই ভূখণ্ডের নম্র ও ভক্ত লোকদের ঈশ্বর রক্ষা করেছেন।
স্বর্গ থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্ত পাঠিয়েছেন।
    সারা পৃথিবী ভয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
10 ঈশ্বর, যখন আপনি মন্দ লোকেদের শাস্তি দেন তখন লোকে আপনাকে সম্মান করে।
    আপনি আপনার ক্রোধ প্রদর্শন করলেন এবং যারা বেঁচে গিয়েছিলো তারা শক্তিশালী হল।

11 লোকরা তোমরা ঈশ্বরের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে।
    এখন, যা প্রতিশ্রুতি করেছিলে, তা তাঁকে দাও।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি জায়গার মানুষ ঈশ্বরকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে।
    তারা তাঁর কাছে উপহার নিয়ে আসবে।
12 ঈশ্বর বড় বড় নেতাদের পরাজিত করেন।
    পৃথিবীর প্রত্যেকটি রাজা তাঁকে ভয় করে।

গীতসংহিতা 23

দায়ূদের একটি গীত।

23 প্রভুই আমার মেষপালক।
    আমার যা কিছু চাই, সবসময় আমি তা-ই নেব।[a]
তিনি আমাকে সবুজ চারণ ক্ষেত্রে শুইয়ে দেন।
    তিনি আমাকে বিশ্রাম জলাধারের পাশে পরিচালিত করেন।
তাঁর নামের মহিমা উপলদ্ধি করার জন্য তিনি আমার আত্মাকে নতুন শক্তি দেন।
    তাঁর নামের জন্য তিনি আমায় ঠিক পথে পরিচালিত করেন।
এমনকি, যদি আমি কবরের মত গাঢ় অন্ধকারময় কোন উপত্যকা দিয়ে হেঁটে যাই,
    আমি কোন বিপদের দ্বারা ভীত হব না।
কেন? কারণ আপনি যে আমার সঙ্গে রয়েছেন প্রভু।
    আপনার শাসনদণ্ড আমাকে স্বস্তি দেয়, নিরাপদে রাখে।
প্রভু, আপনি আমার শত্রুদের সামনে আমার টেবিল তৈরী করেছিলেন।
    আপনি আমার মাথায় তেল দিয়ে আমাকে অভিবাদন করেছিলেন।
    আমার পানপাত্র পরিপূর্ণ এবং তা উপচে পড়ছে।
ধার্ম্মিকতা এবং ক্ষমা আজীবন আমার সঙ্গে থাকবে।
    এবং আমি প্রভুর মন্দিরে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকবো।

গীতসংহিতা 27

দায়ূদের একটি গীত।

27 প্রভু, আপনিই আমার জ্যোতি এবং আমার পরিত্রাতা।
    আমি কাউকেই ভয় পাবো না!
প্রভুই আমার জীবনের সুরক্ষা স্থান,
    তাই কোন লোককেই আমি ভয় পাবো না।
মন্দ লোকেরা আমায় আক্রমণ করতে পারে
    এবং আমার শত্রুরা আমায় ধ্বংস করবার চেষ্টা করতে পারে,
    তখন তারা হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে।
যদি একদল সৈন্যও আমার চারদিকে ঘিরে থাকে, আমি ভয় করবো না।
    এমনকি যুদ্ধে যদি লোকজন আমায় আক্রমণ করে, আমি ভয় করবো না। কেন? কারণ আমি প্রভুকে বিশ্বাস করি।

প্রভুর কাছ থেকে আমি কেবলমাত্র একটা জিনিসই চাইবো:
আমাকে সারাজীবন মন্দিরে তাঁর সৌন্দর্য্য দেখবার জন্য
    এবং তাঁকে সাক্ষাৎ করবার জন্য
    প্রভুর মন্দিরে বসে থাকতে দিন।

যখন আমি বিপদগ্রস্ত তখন প্রভুই আমায় রক্ষা করবেন।
    তাঁর তাঁবুতেই তিনি আমায় লুকিয়ে রাখবেন।
    তিনি আমাকে তাঁর নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে নেবেন।
আমার শত্রুরা আমায় ঘিরে রয়েছে, কিন্তু ওদের পরাজিত করতে প্রভু আমায় সাহায্য করবেন!
    তারপর আমি তাঁর তাঁবুতে বলি উৎসর্গ করবো।
আনন্দধ্বনি করে আমি উৎসর্গ নিবেদন করব।
    প্রভুর সম্মানে আমি গান-বাজনা করবো।

প্রভু আমার কথা শুনুন।
    আমায় উত্তর দিন এবং আমার প্রতি সদয় হোন।
প্রভু, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
    আমার অন্তর থেকে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
    আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি আপনার সামনে এসেছি।
প্রভু, আপনার দাস আমি, আমার দিক থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
    আমায় সাহায্য করুন এবং আমায় সরিয়ে দেবেন না!
    আমায় ফেলে চলে যাবেন না! ঈশ্বর আমার, আপনিই আমার পরিত্রাতা।
10 আমার মা বাবা আমায় ছেড়ে চলে গেছেন।
    কিন্তু প্রভু আমায় গ্রহণ করেছেন।
    তিনি আমায় তাঁর আপনজন করে নিয়েছেন।
11 প্রভু আমার প্রচুর শত্রু আছে।
    তাই আপনার পথ আমায় শেখান।
    আমায় সঠিক কাজ করতে শেখান।
12 প্রভু, আমার বিরোধী পক্ষকে আমায় পরাজিত করতে দেবেন না।
    কারণ মিথ্যে সাক্ষীরা আদালতে আমার বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
আমার বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ উদ্রেক করবার জন্য
    তারা এটা করেছিল।
13 আমি প্রকৃতই বিশ্বাস করি যে, আমার মৃত্যুর পূর্বে[a] আমি প্রভুর ধার্মিকতা দেখে যাবো।
14 প্রভুর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা কর।
    শক্তিমান ও সাহসী হও
    এবং প্রভুর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা কর!

আদি 24:28-38

28 তখন রিবিকা ছুটে গিয়ে যা যা ঘটেছে সেসব তার পরিবারের সবাইকে বলল। 29-30 রিবিকার এক ভাই ছিল। তার নাম লাবন। সেই আগন্তুক যা কিছু বলেছে, সেইসব রিবিকা যখন বলছিল তখন লাবন মন দিয়ে সব শুনছিল এবং লাবন যখন তার দিদির আঙুলে আংটি আর হাতে বালা দেখল তখন ছুটে বেরিয়ে গিয়ে সেই কূপের ধারে এল। সেই লোকটি তখন কূপের ধারে উটগুলো নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। 31 লাবন বলল, “মহাশয়, আপনাকে আমাদের আলয়ে স্বাগত জানাই। আপনার এখানে দাঁড়িয়ে থাকার দরকার নেই। আপনাদের বিশ্রামের জন্য আমি সমস্ত বন্দোবস্ত করছি এবং আপনাদের উটগুলোর জন্যে আমাদের বাড়ীতে জায়গা আছে।”

32 তাই অব্রাহামের ভৃত্য তাদের বাড়ীর ভেতরে গেল। উটগুলোর থেকে বোঝা নামাতে লাবন তাদের সাহায্য করল এবং উটগুলোকে খাবারের জন্য খড়ও দিল। লাবন তারপর সেই ভৃত্য ও তার লোকদের পা ধোওয়ার জন্য জল দিল। 33 তারপর লাবন তাদের খাওয়ার জন্য খাবার দিল। কিন্তু ভৃত্যটি খেতে রাজী হল না। সে বলল, “আমি কেন এসেছি তা না বলে আমি খাব না।”

তখন লাবন বলল, “তাহলে আমাদের বলুন।”

রিবিকার জন্যে দরাদরি

34 তখন সেই ভৃত্য বলল, “আমি অব্রাহামের পরিচারক। 35 কিন্তু সমস্ত বিষয়েই আমার মনিবকে আশীর্বাদ করেছেন। আমার মনিব এখন এক মহান ব্যক্তি। অব্রাহামকে প্রভু অনেক মেষের পাল এবং প্রচুর গবাদি পশু দিয়েছেন। অব্রাহামের এখন অনেক সোনা, রূপা, অনেক দাসদাসী। অব্রাহামের অনেক উট ও গাধা আছে। 36 আমার মনিবের স্ত্রী ছিলেন সারা। অনেক বয়সে তিনি একটি পুত্রের জন্ম দিলেন এবং আমার মনিব তাঁর সমস্ত ধন-সম্পদ তাঁর এই পুত্রকে দিয়েছেন। 37 আমার মনিব আমায় একটা শপথ নিতে বাধ্য করেছেন। আমার মনিব আমায় বললেন, ‘আমার পুত্রকে তুমি কনানের কোনও কন্যাকে বিয়ে করতে দেবে না। আমরা কনানের লোকদের মধ্যে বাস করি বটে, কিন্তু আমি চাই না যে সে কনানের কোনও কন্যাকে বিয়ে করে। 38 সুতরাং তুমি শপথ করো যে তুমি আমার পিতার দেশে যাবে। আমার আত্মীয়স্বজনদের কাছে যাও এবং আমার পুত্রের জন্যে একজন পাত্রী নির্বাচন করো।’

আদি 24:49-51

49 এখন আমায় বলুন, আপনি কি আমার মনিবের প্রতি সদয় এবং বিশ্বস্ত হয়ে তাঁকে আপনার কন্যাটিকে দেবেন? অথবা আপনি গররাজী হবেন? আপনি খুলে বলুন যাতে আমি কি করব, না করব ঠিক করতে পারি।”

50 তখন লাবন এবং বথুয়েল উত্তর দিলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, সবই প্রভুর ইচ্ছা অনুসারে হচ্ছে। সুতরাং তোমাকে আমরা এটি বদলাবার জন্য কিছুই বলতে পারি না। 51 তাই রিবিকাকে দিলাম। ওকে নিয়ে যাও। ওর সঙ্গে তোমার মনিবের পুত্রের বিয়ে দাও। প্রভুর এটাই ইচ্ছা।”

ইব্রীয় 12:12-29

জীবনযাপন সম্পর্কে সতর্ক হও

12 তাই তোমাদের শিথিল হাত দুটোকে শক্ত করো, অবশ হাঁটু দুটোকে সবল করে তোল। 13 তোমাদের চলার পথ সরল কর, খোঁড়া পা যেন গাঁট থেকে খুলে না যায়, বরং তা যেন সুস্থ হয়।

14 সবার সঙ্গে শান্তিতে জীবনযাপন করতে চেষ্টা কর, কারণ এই ধরণের জীবন ছাড়া কেউ প্রভুর দর্শন লাভ করে না। 15 দেখো, কেউ যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত না হও। দেখো তোমাদের মধ্যে যেন তিক্ততার শেকড় না গজিয়ে ওঠে। তোমাদের মধ্যে এমন লোক থাকলে গোটা দলকে কলুষিত করতে পারে। 16 সাবধান, কেউ যেন যৌন পাপে না পড়ে অথবা এষৌর মতো ঈশ্বর ভক্তি জলাঞ্জলি না দেয়। এষৌ ছিল জ্যেষ্ঠ পুত্র, সে তার পিতার সমস্ত কিছুর উত্তরাধিকারী ছিল; কিন্তু এক বেলার খাবারের জন্য সে নিজের জন্মাধিকার বিকিয়ে দিয়েছিল। 17 তোমরা তো জানো, পরে সে বাবার আশীর্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করেও বিফল হল। তার বাবা তাকে সেই আশীর্বাদ দিতে অস্বীকার করলেন, কারণ এষৌ তার ভুল শোধরাবার কোন পথ খুঁজে পেল না।

18 তোমরা এক নতুন স্থানে এসেছ; ইস্রায়েলীয়রা যেমন এক পাহাড়ের সামনে এসেছিল এ স্থান তেমন নয়। তোমরা সেই পাহাড়ের কাছে আসো নি যা স্পর্শ করা যেত না, যা আগুনে জ্বলছিলো, তোমরা এমন স্থানে আসোনি যা অন্ধকারময়, বিষাদময়, ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ। 19 তারা যেমন শুনেছিল তেমন তূরীধ্বনি অথবা সেই কন্ঠস্বর তোমরা শুনতে পাচ্ছ না, যা শুনে তারা মিনতি করেছিল যেন আর কোন বাক্য তাদের কখনও শোনানো না হয়। 20 কারণ যে আদেশ তাদের দেওয়া হয়েছিল তা তারা সহ্য করতে পারল না। তাদের বলা হল, “যদি কোন কিছু, এমন কি কোন পশু পর্যন্ত পর্বত স্পর্শ করে, তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে হবে।”(A) 21 সেই দৃশ্য এমন ভয়ঙ্কর ছিল যে মোশি বললেন, “আমি অত্যন্ত ভয় পেয়েছি আর কাঁপছি।”(B)

22 কিন্তু তোমরা সেরকম কোন স্থানে আসো নি। যে নতুন স্থানে তোমরা এসেছ তা হল সিয়োন পর্বত। তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের নগরী স্বর্গীয় জেরুশালেমে এসেছ। তোমরা সেই জায়গায় এসেছ যেখানে হাজার হাজার স্বর্গদূতরা পরমানন্দে একত্রিত হয়। 23 তোমরা এসেছ ঈশ্বরের প্রথম জাতদের সভাস্থলে, যাদের নাম স্বর্গে লিখিত রয়েছে। যিনি সকলের বিচারকর্তা সেই ঈশ্বরের কাছে এসেছ। সিদ্ধিপ্রাপ্ত আত্মার সমাবেশে এসেছ। 24 তোমরা যীশুর কাছে এসেছ যিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে তাঁর লোকদের জন্য নতুন চুক্তি এনেছেন। সেই ছেটানো রক্তের কাছে এসেছ যা হেবলের রক্ত থেকে উত্তম কথা বলে।

25 সাবধান, ঈশ্বর যখন কথা বলেন তা শুনতে অসম্মত হয়ো না। তিনি পৃথিবীতে যখন সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন যারা তাঁর কথা শুনতে অসম্মত হল তারা রক্ষা পেল না। এখন ঈশ্বর স্বর্গ থেকে বলছেন, তাঁর কথা না শুনলে তোমাদের অবস্থা ঐ লোকদের থেকেও ভয়াবহ হবে একথা সুনিশ্চিত জেনো। 26 সেই সময় তাঁর কথায় পৃথিবী কেঁপে উঠেছিল। কিন্তু এখন তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, “আমি আর একবার পৃথিবীকে কাঁপিয়ে তুলব। এমনকি স্বর্গকেও কাঁপিয়ে তুলব।”(C) 27 “আর একবার” এর অর্থ হল সমস্ত সৃষ্ট বস্তু যাদের নাড়ানো যায় তাদের তিনি দূর করে দেবেন, সুতরাং যা কিছু অনড় তা হবে চিরস্থায়ী।

28 আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত কারণ আমরা একটা জগতকে পেয়েছি যাকে নাড়ানো যায় না। আমরা কৃতজ্ঞ চিত্তে ঈশ্বরের উপাসনা করব যাতে তিনি প্রীত হন। আমরা তাঁর উপাসনা করবো শ্রদ্ধা ও ভীতির সঙ্গে। 29 কারণ আমাদের “ঈশ্বর সর্বগ্রাসী অগ্নিস্বরূপ।”(D)

যোহন 7:14-36

জেরুশালেমে যীশুর শিক্ষা

14 পর্বের আধা-আধি সময়ে যীশু মন্দিরে গিয়ে লোকদের মাঝে শিক্ষা দিতে লাগলেন। 15 ইহুদীরা এতে খুব আশ্চর্য হয়ে বলল, “এই লোক কোন কিছু অধ্যয়ন না করেই কিভাবে এত সব জ্ঞান লাভ করল?”

16 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি যা শিক্ষা দিই তা আমার নিজস্ব নয়। যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এসব সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া। 17 যদি কেউ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চায় তাহলে সে জানবে আমি যা শিক্ষা দিই তা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, না আমি নিজের থেকে এসব কথা বলছি। 18 যদি কেউ নিজের ভাবনার কথা নিজে বলে, তাহলে সে নিজেই নিজেকে সম্মানিত করতে চায়; কিন্তু যে তার প্রেরণ কর্তার গৌরব চায়, সেই লোক সত্যবাদী, তার মধ্যে কোন অসাধুতা নেই। 19 মোশি কি তোমাদের কাছে বিধি-ব্যবস্থা দেন নি? কিন্তু তোমরা কেউই সেই বিধি-ব্যবস্থা পালন কর না। তোমরা কেন আমাকে হত্যা করতে চাইছ?”

20 জনতা উত্তর দিল, “তোমাকে ভূতে পেয়েছে, কে তোমাকে হত্যা করতে চাইছে?”

21 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “আমি একটা অলৌকিক কাজ করেছি, আর তোমরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেছ। 22 মোশিও তোমাদের সুন্নতের বিধি-ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। যদিও মুলতঃ সেই বিধি-ব্যবস্থা মোশির নয় কিন্তু এই বিধি-ব্যবস্থা প্রাচীন পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে এসেছে। আর তোমরা বিশ্রামবারেও শিশুদের সুন্নত করে থাকো। 23 মোশির বিধি-ব্যবস্থা যেন লঙ্ঘন করা না হয়, এই যুক্তিতে বিশ্রামবারেও যদি কোন মানুষের সুন্নত করা চলে, তাহলে আমি বিশ্রামবারে একটা মানুষকে সম্পূর্ণ সুস্থ করেছি বলে তোমরা আমার ওপর এত ক্রুদ্ধ হয়েছ কেন? 24 বাহ্যিকভাবে কোন কিছু দেখেই তার বিচার করো না। যা সঠিক সেই হিসাবেই ন্যায় বিচার কর।”

লোকেরা সংশয়গ্রস্ত যীশুই কি খ্রীষ্ট?

25 তখন জেরুশালেমের লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “এই লোককেই না ইহুদী নেতারা হত্যা করতে চাইছে? 26 কিন্তু দেখ! এ তো প্রকাশ্যেই শিক্ষা দিচ্ছে; কিন্তু তারা তো এঁকে কিছুই বলছে না। এটা কি হতে পারে যে নেতারা সত্যিই জানে যে, ইনি সেই খ্রীষ্ট? 27 আমরা জানি ইনি কোথা থেকে এসেছেন; কিন্তু মশীহ যখন আসবেন তখন কেউ জানবে না তিনি কোথা থেকে এসেছেন।”

28 তখন যীশু মন্দিরে শিক্ষা দিতে দিতে বেশ চেঁচিয়ে বললেন, “তোমরা আমায় জান, আর আমি কোথা থেকে এসেছি তাও তোমরা জান। তবু বলছি, আমি নিজের থেকে আসি নি, তবে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য; আর তোমরা তাঁকে জান না। 29 কিন্তু আমি তাঁকে জানি, কারণ তিনি আমায় পাঠিয়েছেন। আমি তাঁরই কাছ থেকে এসেছি।”

30 তখন তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করতে লাগল। তবু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না, কারণ তখনও তার সময় আসে নি। 31 কিন্তু সেই জনতার মধ্যে থেকে অনেকেই তাঁর ওপর বিশ্বাস করল; আর বলল, “মশীহ এসে কি তাঁর চেয়েও বেশী অলৌকিক চিহ্ন করবেন?”

ইহুদীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করল

32 ফরীশীরা শুনল যে সাধারণ লোক যীশুর বিষয়ে চুপি চুপি এইসব আলোচনা করছে। তখন প্রধান যাজকরা ও ফরীশীরা যীশুকে ধরে আনবার জন্য মন্দিরের কয়েকজন পদাতিককে পাঠাল। 33 তখন যীশু বললেন, “আমি আর অল্প কিছুকাল তোমাদের সঙ্গে আছি; তারপর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে ফিরে যাব। 34 তোমরা আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমার খোঁজ পাবে না, কারণ আমি যেখানে থাকব তোমরা সেখানে আসতে পারো না।”

35 ইহুদী নেতারা তখন পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, “সে এমন কোথায় যাবে যে আমরা ওকে খুঁজলেও পাব না? গ্রীকদের শহরে যে সব ইহুদীরা বসবাস করছে, ও কি তাদের কাছে যাবে আর সেখানে গিয়ে গ্রীকদেব কাছে শিক্ষা দেবে? নিশ্চয়ই নয়। 36 ও যে কথা বলল তার মানে কি যে, ‘তোমরা আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমায় পাবে না?’ আর ‘আমি যেখানে যাব, তোমরা সেখানে আসতে পার না?’”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International