Book of Common Prayer
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: তন্ত্রবাদ্য সহযোগে দায়ূদের গানগুলির অন্যতম।
61 হে ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা সঙ্গীত শুনুন।
আমার প্রার্থনা শুনুন।
2 আমি যেখানেই থাকি, যতই দুর্বল হই না কেন,
আমি সাহায্যের জন্য আপনাকে ডাকবো!
আমাকে বহু বহু উঁচুতে
নিরাপদ স্থানে নিয়ে চলুন।
3 আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল!
আপনিই সেই শক্তিশালী দুর্গ যা আমাকে আমার শত্রুদের থেকে রক্ষা করে।
4 আমি চিরদিনের জন্য আপনার তাঁবুতে থাকতে চাই।
যেখানে আপনি আমায় সুরক্ষিত করবেন আমি সেখানেই লুকিয়ে থাকতে চাই।
5 হে ঈশ্বর, আপনাকে যা দেবার প্রতিশ্রুতি আমি করেছি তা আপনি শুনেছেন।
কিন্তু আপনার অনুগামীদের যা আছে, তার প্রতিটি জিনিসই আপনার কাছ থেকে এসেছে।
6 রাজাকে দীর্ঘ জীবন দিন!
তাকে চিরদিন জীবিত থাকতে দিন!
7 তাকে চিরদিন ঈশ্বরের সঙ্গে বেঁচে থাকতে দিন!
আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দিয়ে তাকে আপনি রক্ষা করুন।
8 আমি চিরকাল আপনার নামের প্রশংসা করবো।
আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রতিদিনই আমি তা পালন করবো।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: যিদূথূনের উদ্দেশ্যে দায়ূদের একটি গীত।
62 যাই ঘটুক না কেন, ঈশ্বর আমায় উদ্ধার করবেন এই আশায় আমার আত্মা ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছে।
আমার পরিত্রাণ একমাত্র তাঁর কাছ থেকেই আসবে।
2 হয়তো আমার অনেক শত্রু আছে, কিন্তু ঈশ্বরই আমার দুর্গ।
ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেন।
উঁচু পর্বতে ঈশ্বরই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আমার মস্ত বড় শত্রুও আমায় পরাজিত করতে পারবে না।
3 কতক্ষণ তোমরা আমায় আক্রমণ করবে?
আমি একটা ঝুঁকে পড়া দেওয়ালের মত।
আমি একটা ভগ্ন প্রায় বেড়ার মত।
4 আমার গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও
ঐসব লোক আমার বিনাশের পরিকল্পনা করছে।
আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলে ওরা আনন্দ পায়।
জনসমক্ষে ওরা আমার সম্পর্কে ভাল কথা বলে
কিন্তু গোপনে আমায় অভিশাপ দেয়।
5 আমাকে রক্ষা করবার জন্য আমার আত্মা ধৈর্য্য ধরে শুধুমাত্র ঈশ্বরের অপেক্ষা করছে!
ঈশ্বর আমার একমাত্র আশা।
6 ঈশ্বরই আমার দুর্গ। ঈশ্বরই আমায় রক্ষা করেন।
উঁচু পর্বতে ঈশ্বরই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
7 আমার মহিমা ও জয় ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে।
তিনিই আমার দৃঢ় দুর্গ, তিনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
8 হে লোক সকল, সর্বদাই ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস রাখো।
তোমাদের সব সমস্যা ঈশ্বরকে বল।
ঈশ্বরই আমাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
9 প্রকৃতপক্ষে লোকজন কোন সাহায্য করতে পারে না।
প্রকৃত সাহায্যের জন্য তোমরা ওদের ওপর নির্ভর করতে পারবে না।
ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করলে,
ওরা একটি বাতাসের ফুত্কার ছাড়া আর বেশী কিছু নয়।
10 জোর করে কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে তোমার ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস কর না।
একদম ভেবো না যে চুরি করে কিছু নিয়ে লাভবান হবে।
যদি তুমি ধনী হও,
তবে মোটেই বিশ্বাস করো না সম্পদ তোমায় সাহায্য করবে।
11 ঈশ্বর বলেন, একটাই মাত্র জিনিস আছে যার ওপর তুমি নির্ভর করতে পারো এবং আমি তা বিশ্বাস করি।
“একমাত্র ঈশ্বরের কাছ থেকেই শক্তি আসে!”
12 হে আমার প্রভু, আপনার ভালোবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা।
লোকে যে কাজ করে তার জন্যই আপনি তাকে পুরস্কার বা শাস্তি দেন।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
68 ঈশ্বর, আপনি উঠুন এবং শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করুন।
তাঁর সব শত্রুরা যেন তাঁর থেকে দূরে পালিয়ে যায়।
2 ধোঁয়া যেমন বাতাসে উড়ে যায়,
তেমনি আপনার শত্রুরা যেন ছত্রভঙ্গ হয়।
মোম যেমনভাবে আগুনে গলে যায়,
তেমনই করে যেন আপনার শত্রুরাও ধ্বংস হয়।
3 কিন্তু ধার্ম্মিক লোকরা সুখী।
ধার্ম্মিক লোকরা ঈশ্বরের সঙ্গে আনন্দোল্লাসে সময় কাটাবে।
ধার্ম্মিক লোকরা নিজেদের উপভোগ করতে পারবে এবং প্রচণ্ড সুখী হবে!
4 ঈশ্বরের উদ্দেশ্য গান গাও।
তাঁর নামে প্রশংসা কর। ঈশ্বরের জন্য পথ প্রস্তুত কর।
মরুভূমিতে তিনি রথে চড়ে আসছেন।
তাঁর নাম “যাঃ।” তাঁর নামের প্রশংসা কর!
5 তাঁর পবিত্র মন্দিরে তিনিই অনাথের পিতার মত।
ঈশ্বর বিধবাদের যত্ন নেন।
6 সঙ্গীহীন লোককে ঈশ্বর গৃহ দেন;
ঈশ্বর তাঁর লোকদের কারাগার থেকে মুক্ত করেন, তারা ভীষণ সুখী।
কিন্তু যে লোকরা ঈশ্বরের বিরোধিতা করবে তারা রৌদ্র দগ্ধ মরুভূমিতে বাস করবে।
7 ঈশ্বর, আপনিই আপনার লোকদের মিশর থেকে বেরিয়ে আসতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আপনিই মরুভূমিতে হেঁটে গিয়েছিলেন।
8 এবং ভূমি কেঁপে উঠেছিল।
ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর স্বয়ং সীনয় পর্বতে নেমে এলেন এবং আকাশ বিগলিত হল।
9 একটা পরিশ্রান্ত ও প্রাচীন ভূখণ্ডকে পুনরায় সতেজ করার জন্য
আপনি বৃষ্টি পাঠিয়েছিলেন।
10 আপনার সব পশু সেই ভূখণ্ডে ফিরে এলো।
হে ঈশ্বর, সেই জায়গায় দরিদ্র লোকদের আপনি বহু ভাল জিনিস দিয়েছেন।
11 ঈশ্বর আজ্ঞা দিলেন
এবং বহু লোক সুসমাচার দিতে গেল:
12 “শক্তিশালী রাজার সৈনিকরা পালিয়ে গেছে! সৈনিকরা যুদ্ধ ফেরৎ যে সব জিনিস আনবে, বাড়ীর মহিলারা সেগুলো ভাগ করে নেবে।
যারা বাড়ীতে আছে তারা সেই সব সম্পদ ভাগ করে নেবে।
13 রূপোয় মোড়া ঘুঘুর ডানা ওরা পাবে।
সোনায় ঝকঝক্ করা ডানা তারা পাবে।”
14 সল্মোন পর্বতে ঈশ্বর শত্রু রাজাদের ছত্রভঙ্গ করলেন।
ওরা হয়েছিল তুষারে ঝরে যাওয়ার মত।
15 বাশন পর্বত অনেকগুলো শৃঙ্গ সম্বলিত এক বিরাট পর্বত।
16 হে বাশন পর্বত, কেন তুমি সিয়োন পর্বতকে নীচু নজরে দেখ?
ঈশ্বর সিয়োন পর্বতকে ভালোবাসেন।
প্রভু চিরদিন সেখানে থাকবেন বলে স্থির করেছেন।
17 ঈশ্বর পবিত্র সিয়োন পর্বতে আসেন।
তাঁর পিছু পিছু লক্ষ লক্ষ রথ আসে।
18 লোকদের কাছ থেকে উপহার নেওয়ার জন্য,
এমনকি যারা তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল
তাদের কাছ থেকেও উপহার গ্রহণ করার জন্য
তিনি জাঁকজমক করে বন্দীদের নেতৃত্ব দিয়ে উচ্চ পর্বতের ওপরে গেলেন।
প্রভু ঈশ্বর সেখানে থাকার জন্য গেলেন।
19 প্রভুর প্রশংসা কর!
দিনের পর দিন তিনি আমাদের ভার বহন করেন।
ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করেন!
20 তিনিই আমাদের ঈশ্বর, তিনি সেই ঈশ্বর যিনি আমাদের রক্ষা করেন।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, আমাদের মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
21 ঈশ্বর অবশ্যই দেখাবেন যে তিনি তাঁর শত্রুদের পরাজিত করেছেন।
যারা তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
22 আমার প্রভু বলেছেন, “বাশন থেকে আমি আমার শত্রুদের নিয়ে আসবো,
পশ্চিম দেশ থেকে আমি শত্রুদের নিয়ে আসবো।
23 তোমরা তাদের রক্তের ওপর দিয়ে হাঁটতে পারবে।
তোমাদের কুকুর ওদের রক্ত চেটে খাবে।”
24 ঈশ্বরের শোভাযাত্রার দিকে তাকিয়ে দেখ।
আমার ঈশ্বর, আমার রাজার পবিত্র শোভাযাত্রার দিকে তাকিয়ে দেখ।
25 প্রথমেই আসছে গায়করা, তাদের পেছনে রয়েছে বীণাযন্ত্র বাদ্যকারীগণ
যাদের অনুসরণ করছিল খঞ্জণী বাজনারতা মেয়েরা।[a]
26 মহাসমাবেশে ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
হে ইস্রায়েলের লোকরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
27 ছোট বিন্যামীন নামক উপজাতি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সেখানে যিহূদার বড় পরিবারও রয়েছে।
সবূলূন এবং নপ্তালির নেতারাও সেখানে রয়েছেন।
28 ঈশ্বর, আপনার ক্ষমতা আমাদের দেখান!
যে ক্ষমতা আমাদের জন্য অতীতে ব্যবহার করেছেন সেই ক্ষমতা প্রদর্শন করুন।
29 জেরুশালেমে, আপনার প্রাসাদে আপনাকে উপহার দেবার জন্য
রাজারা তাঁদের ঐশ্বর্য্য নিয়ে আসবেন।
30 আপনি যা চান আপনার দণ্ড ব্যবহার করে,
ঐসব জন্তুদের দিয়ে আপনি তাই করান।
ঐসব জাতির ষাঁড় ও গোরুদের
আপনার অনুগত করুন।
ওই সব জাতিকে আপনি যুদ্ধে পরাজিত করেছেন।
ওদের দিয়ে আপনার কাছে রূপো আনয়ন করুন।
31 ওদের দিয়ে মিশর থেকে ধন-সম্পদ আনয়ন করুন।
ঈশ্বর, কূশীয়রা যেন ওদের সম্পদ আপনার কাছে নিয়ে আসে।
32 পৃথিবীতে রাজারা যারা আছো, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রশংসা কর!
আমাদের প্রভুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান কর!
33 ঈশ্বরের গীত গাও! তিনি তাঁর রথ প্রাচীন স্বর্গগুলির মধ্য দিয়ে চালান।
তাঁর পরাক্রান্ত রব শোন!
34 তোমাদের যে কোন দেবতার থেকে
ঈশ্বর অনেক বেশী শক্তিশালী।
ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শক্তিশালী করেছেন।
35 তাঁর মন্দিরে ঈশ্বর অবিস্মরণীয়, ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শক্তি এবং ক্ষমতা দিয়েছেন।
ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
অবশেষে সারার সন্তান লাভ
21 প্রভু সারার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা রক্ষা করলেন। প্রভু সারার জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন করলেন। 2 সারা গর্ভবতী হলেন এবং এই বেশী বয়সে অব্রাহামের জন্য একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। ঈশ্বর যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেভাবেই সব সম্পন্ন হল। 3 সারা একটি পুত্রের জন্ম দিলেন এবং অব্রাহাম তার নাম রাখলেন ইস্হাক। 4 ইস্হাকের আট দিন বয়স হলে, যেমনটি ঈশ্বর বলেছিলেন ঠিক সেইভাবে অব্রাহাম তাঁকে সুন্নত করলেন।
5 ইস্হাকের জন্মের সময় অব্রাহামের বয়স ছিল 100 বছর। 6 এবং সারা বললেন, “ঈশ্বর আমাকে আনন্দিত করেছেন। যে শুনবে সেই আমার সুখে সুখী হবে। 7 কেউ ভাবে নি যে আমি অব্রাহামের পুত্রের জন্ম দেব। কিন্তু এই বৃদ্ধ বয়সেও আমি অব্রাহামকে পুত্র দিতে পেরেছি।”
ঘরের মধ্যে অশান্তি
8 ইস্হাক ক্রমশঃ বড় হতে লাগল। শীঘ্রই সে শক্ত খাবার খাওয়ার মত বড় হল। তখন অব্রাহাম একটা মস্ত ভোজ দিলেন। 9 অব্রাহামের প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিল হাগার নামে মিশরীয় দাসী। সারা দেখলেন হাগারের সেই পুত্র ইস্হাককে নিয়ে মজা করছে। তাই সারা বিচলিত হলেন। 10 সারা অব্রাহামকে বললেন, “ঐ দাসী আর তার পুত্রের হাত থেকে আমাদের বাঁচাও। ওদের বিদায় করে দাও! যখন আমাদের মৃত্যু হবে তখন আমাদের যা কিছু ধন-সম্পদ ইস্হাকই পাবে। আমি চাই না যে আমার পুত্র ইস্হাকের সঙ্গে আমার দাসীর পুত্রও সবকিছুর ভাগ পাক!”
11 এতে অব্রাহাম খুব বিচলিত হলেন। তিনি তাঁর পুত্র ইশ্মায়েলের জন্যে উদ্বিগ্ন হলেন। 12 কিন্তু অব্রাহামকে ঈশ্বর বললেন, “ঐ পুত্র আর দাসীর জন্যে চিন্তা কোরো না। সারা যা চায় তা-ই করো। তোমার একমাত্র উত্তরাধিকারী হবে ইস্হাক। 13 কিন্তু তোমার দাসী পুত্রকেও আমি আশীর্বাদ করব। সে তোমার পুত্র সুতরাং তার পরিবার থেকেও আমি এক মহান জাতি সৃষ্টি করব।”
14 পরদিন খুব ভোরে অব্রাহাম কিছু খাদ্য ও পানীয় জল এনে হাগারকে দিলেন। তাই সম্বল করে হাগার পুত্রকে নিয়ে চলে গেল। হাগার সেই স্থান ত্যাগ করে বের্-শেবা মরুভূমির মধ্যে ঘুরে বেড়াতে লাগল।
15 কিছুক্ষণ পরে সব জল ফুরিয়ে গেল। পিপাসা মেটাবার জন্যে আর কিছু থাকল না। তখন হাগার তার পুত্রকে একটা ঝোপের নীচে রাখল। 16 হাগার খানিকটা দূরে হেঁটে গেল। তারপর সেখানেই বসে পড়ল। হাগারের ভয় হল, জলের অভাবে তার পুত্র বোধ হয় মারা যাবে। পুত্রের মৃত্যু সে দেখতে পারবে না। তাই সেখানে বসে বসে সে কাঁদতে লাগল।
17 ঈশ্বর সেই পুত্রের কান্না শুনতে পেলেন এবং স্বর্গ থেকে ঈশ্বরের দূত হাগারকে বলল, “কি হয়েছে? ভয় পেও না! প্রভু তোমার পুত্রের কান্না শুনতে পেয়েছেন। 18 যাও, পুত্রকে গিয়ে দেখ। ওর হাত ধরে এগিয়ে চলো। আমি তাকে এক বৃহৎ জাতির পিতা করব।”
19 তখন হাগার ঈশ্বরের কৃপায় একটা কূপ দেখতে পেল। তারপর হাগার সেই কূপের জলে নিজের জলপাত্র পূর্ণ করল। তারপর সেই জল নিয়ে গিয়ে পুত্রকে পান করাল।
20 সেই পুত্র বড় হতে লাগল আর ঈশ্বর সারাক্ষণ তার সঙ্গে থাকলেন। ইশ্মায়েল সেই মরুভূমির মধ্যেই বড় হতে লাগল। ক্রমে ক্রমে সে হল একজন শিকারী। তীরধনুকে সে হয়ে উঠল খুব দক্ষ। 21 তার মা এক মিশরীয় কন্যার সঙ্গে তার বিয়ে দিল। তারা সেই পারণ নামের মরুভূমিতেই বাস করতে লাগল।
13 এইসব মহান ব্যক্তিরা বিশ্বাস নিয়েই মারা গেলেন। ঈশ্বর যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা কেউই বাস্তবে তা পান নি, কিন্তু দূর থেকে তা দেখেছিলেন ও তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁরা খোলাখুলি স্বীকার করেছিলেন যে এই পৃথিবীতে তাঁরা প্রবাসী ও বিদেশী। 14 কারণ যে সব লোক এরকম কথা বলেন, তাঁরা যে নিজের দেশে ফেরার আশায় আছেন তা স্পষ্ট করেই ব্যক্ত করেন। 15 যে দেশ থেকে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন, সেই দেশের কথা যদি মনে রাখতেন, তবে ইচ্ছা করলে সেখানে ফিরে যেতে পারতেন। 16 কিন্তু এখন তাঁরা তার থেকে আরো ভাল দেশে, সেই স্বর্গীয় দেশে, যাবার আকাঙ্খা করছিলেন। এইজন্য ঈশ্বর নিজেকে তাঁদের ঈশ্বর বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পান না, কারণ তিনি তাঁদের জন্য এক নগর প্রস্তুত করেছেন।
17-18 ঈশ্বর যখন অব্রাহামের বিশ্বাসের পরীক্ষা করছিলেন, অব্রাহাম তার কিছু পূর্বেই ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি পান তবু তিনি তাঁর পুত্র ইস্হাককে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে নিয়ে গিয়েছিলেন। অব্রাহাম ঈশ্বরের নির্দেশ পালন করেছিলেন কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল। ঈশ্বর অব্রাহামকে পূর্বেই বলে রেখেছিলেন, “ইস্হাকের মাধ্যমেই তোমার বংশধররা দেখা দেবে।”(A) 19 অব্রাহাম বিশ্বাস করলেন যে ঈশ্বর মৃত্যুর মধ্য হতেও মানুষকে উত্থিত করতে সমর্থ। বাস্তবে তাই হল, ঈশ্বর অব্রাহামকে তাঁর পুত্রকে বলি দেওয়া থেকে বিরত করলেন। ফলে অব্রাহাম ইস্হাককে যেন মৃত্যুর মধ্য থেকেই ফিরে পেলেন।
20 সেই বিশ্বাসের বলেই ইস্হাক ভবিষ্যতের বিষয় চিন্তা করে এষৌ ও যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল। 21 যাকোব বৃদ্ধ বয়সে মারা যাবার সময় বিশ্বাসের শক্তিতে যোষেফের ছেলেদের প্রত্যেককে আশীর্বাদ করেছিলেন। তিনি লাঠির উপর ভর দিয়ে উঠে ঈশ্বরের উপাসনা করেছিলেন। যাকোবের বিশ্বাস ছিল বলেই তিনি এইসব করেছিলেন।
22 বিশ্বাসের বলেই যোষেফ মৃত্যুশয্যায় বলেছিলেন যে ইস্রায়েলীয়রা মিশর দেশ ছেড়ে একদিন চলে যাবে। তাই তিনি তাঁর দেহাবশেষ নিয়ে কি করতে হবে তার নির্দেশ দিতে পেরেছিলেন। যোষেফের বিশ্বাস ছিল বলেই তিনি ঐ কথা বলে গিয়েছিলেন।
41 তখন ইহুদীরা যীশুর সম্পর্কে গুঞ্জন শুরু করল, কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমিই সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে।” 42 তারা বলল, “তিনি কি যোষেফের ছেলে নন? আমরা কি এর বাবা মাকে চিনি না? তাহলে এখন কেমন করে তিনি বলছেন, ‘আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি?’”
43 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, “নিজেদের মধ্যে ওসব বচসা বন্ধ কর। 44 যিনি আমায় পাঠিয়েছেন সেই পিতা না আনলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না; আর আমিই তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব। 45 ভাববাদীদের পুস্তকে লেখা আছে: ‘তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা লাভ করবে।’(A) যে কেউ পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে সেই আমার কাছে আসে। 46 আমি বলছি না যে, কেউ পিতাকে দেখেছেন। কেবলমাত্র যিনি পিতার কাছ থেকে এসেছেন তিনিই পিতাকে দেখেছেন।
47 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে কেউ বিশ্বাস করেছে সেই অনন্ত জীবন পেয়েছে। 48 আমিই সেই রুটি যা জীবন দেয়। 49 তোমাদের পিতৃপুরুষরা মরুপ্রান্তরে মান্না খেয়েছিল, কিন্তু তবু তারা মারা গিয়েছিল। 50 এ সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে, আর কেউ যদি তা খায়, তবে সে মরবে না। 51 আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই রুটি খায় তবে সে চিরজীবি হবে। যে রুটি আমি দেব তা হল আমার দেহের মাংস। তা আমি দিই যাতে জগত জীবন পায়।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International