Book of Common Prayer
148 প্রভুর প্রশংসা কর!
হে দূতগণ স্বর্গ থেকে প্রভুর প্রশংসা কর!
2 তোমরা সব দূতগণ, প্রভুর প্রশংসা কর!
তাঁর সেনাবাহিনীরা[a] প্রভুর প্রশংসা কর!
3 চন্দ্র ও সূর্য প্রভুর প্রশংসা কর।
আকাশের তারকাগণ এবং আলো তাঁর প্রশংসা কর!
4 স্বর্গের উচ্চতম স্থানে প্রভুর প্রশংসা কর!
হে আকাশের উর্দ্ধের জলরাশি, তাঁর প্রশংসা কর!
5 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
কারণ ঈশ্বর আদেশ দিয়েছিলেন এবং তাই প্রতিটি বস্তু অস্তিত্ব পেয়েছে!
6 চিরদিন অব্যাহত থাকবার জন্য ঈশ্বর এইসব সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বর তাদের অনন্ত বিধিসমুহ দিয়েছেন।
7 পৃথিবীর সব কিছুই প্রভুর প্রশংসা করে!
মহাসাগরের বড় বড় সামুদ্রিক প্রাণীরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
8 আগুন ও শিলাবৃষ্টি, তুষার এবং ধোঁয়া,
এবং ঝোড়ো বাতাস সবই ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন।
9 ঈশ্বর পাহাড় ও পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন,
ফলের বৃক্ষসমুহ ও এরস গাছ সৃষ্টি করেছেন।
10 সমস্ত প্রাণী ও গবাদি পশু এবং সরীসৃপ ও পাখি সৃষ্টি করেছেন।
11 ঈশ্বরই পৃথিবীতে রাজাগণকে এবং জাতিগণকে সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরই নেতাদের ও বিচারকদের সৃষ্টি করেছেন।
12 ঈশ্বরই তরুণ তরুণীদের সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরই বৃদ্ধ ও যুবকদের সৃষ্টি করেছেন।
13 প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
চিরদিনের জন্য তাঁর নামের সম্মান কর!
পৃথিবী এবং স্বর্গে যা কিছু রয়েছে,
তারা সবাই প্রভুর প্রশংসা কর!
14 ঈশ্বর তাঁর মানুষদের শক্তিশালী করবেন।
লোক ঈশ্বরের অনুগামীদের প্রশংসা করবে।
লোকে ইস্রায়েলের প্রশংসা করবে।
ওরা সেই লোক যাদের জন্য ঈশ্বর লড়াই করেন, প্রভুর প্রশংসা কর!
149 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু নতুন যা করেছেন তার জন্য একটা নতুন গান গাও!
যেখানে তাঁর অনুগামীরা একসঙ্গে জড় হয়, সেই সমাজে তাঁর প্রশংসা কর।
2 ইস্রায়েলকে তাদের স্রষ্টাকে নিয়ে আনন্দ করতে দাও।
সিয়োনের লোককে তাদের রাজাকে নিয়ে আনন্দ করতে দাও।
3 লোকেরা বীণা ও খঞ্জনী বাজাক
এবং নাচতে নাচতে ঈশ্বরের প্রশংসা করুক!
4 ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি প্রসন্ন।
ঈশ্বর তাঁর বিনম্র লোকদের জন্য এক বিস্ময়কর জিনিস করেছেন।
তিনি তাদের রক্ষা করেছেন!
5 হে ঈশ্বর অনুগামীরা, তোমাদের জয়কে উপভোগ কর!
বিছানায় যাওয়ার পরে পর্যন্ত সুখী হও।
6 লোকজনকে চিৎকার করে প্রভুর প্রশংসা করতে দাও
এবং তাদের হাতে তরবারি ধরতে দাও।
7 ওরা ওদের শত্রুদের শাস্তি দিতে যাক।
ওরা ওই সব লোকদের শাস্তি দিতে যাক।
8 ঈশ্বরের লোকরা ওদের রাজাদের এবং বড় বড় নেতাদের
লোহার শিকল দিয়ে শৃঙ্খলিত করবে।
9 ঈশ্বরের নির্দেশ মতই ঈশ্বরের লোকরা ওদের শাস্তি দেবে।
ঈশ্বরের সমস্ত অনুগামীরা, তাঁকে সম্মান জানাও।
প্রভুর প্রশংসা কর!
150 প্রভুর প্রশংসা কর!
ঈশ্বরের মন্দিরে তাঁর প্রশংসা কর!
স্বর্গে তাঁর ক্ষমতার প্রশংসা কর!
2 ঈশ্বর যে সব মহৎ কাজ করেন, তার জন্য তাঁর প্রশংসা কর!
তাঁর সকল মহত্বের জন্য তাঁর প্রশংসা কর!
3 শিঙা ও বাঁশির সাহায্যে তাঁর প্রশংসা কর!
বীণা ও লীরা বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর!
4 খঞ্জনি বাজিয়ে নাচ করতে করতে তাঁর প্রশংসা কর!
তন্ত্রবাদ্যযন্ত্র ও বাঁশি বাজিয়ে তাঁর প্রশংসা কর!
5 করতালের উচ্চ ধ্বনিতে তাঁর প্রশংসা কর!
কান ফাটানো করতালের শব্দে তাঁর প্রশংসা কর!
6 প্রত্যেকটি জীব তোমরা তাঁর প্রশংসা কর!
প্রভুর প্রশংসা কর!
114 ইস্রায়েল মিশর ত্যাগ করলো।
যাকোব সেই বিদেশ ত্যাগ করলো।
2 যিহূদা ঈশ্বরের বিশেষ মানুষ হলো।
ইস্রায়েল তাঁর রাজত্ব হলো।
3 এই দেখে লোহিতসাগর দৌড়ে পালিয়েছিলো।
যর্দন নদীও ঘুরে দৌড় দিয়েছিলো।
4 পর্বতগুলো বুনো ছাগলের মত নেচে উঠেছিলো।
পাহাড়গুলো মেষের মত নেচে উঠেছিলো।
5 লোহিতসাগর কেন তুমি ছুটে পালালে?
যর্দন নদী কেন তুমি ঘুরে দৌড় দিলে?
6 পর্বতমালা কেন তোমরা বুনো ছাগলের মত নাচলে?
পাহাড় সকল, কেন তোমরা মেষশাবকের মত নাচলে?
7 যাকোবের প্রভু, ঈশ্বরের সামনে, পৃথিবী কেঁপে গিয়েছিলো।
8 ঈশ্বর হলেন এমন একজন, যিনি পাথর থেকে জলকে প্রবাহিত করান।
ঈশ্বর শক্ত পাথর থেকে একটি জলধারা প্রবাহিত করেছিলেন।
115 হে প্রভু, আমাদের কোন সম্মান পাওয়া উচিৎ নয়।
সব সম্মানই আপনার।
আপনার প্রেমের জন্য আমরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি।
2 অন্য জাতির লোকরা কি করে বলতে পারে, “কোথায় তোমাদের ঈশ্বর?”
3 ঈশ্বর স্বর্গে রয়েছেন এবং তিনি যা চান তাই করতে পারেন।
4 অন্যান্য জাতির “দেবতারা” শুধুই সোনা ও রূপার তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
ওরা কিছু মানুষের তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
5 ওই মূর্ত্তিদের মুখ আছে কিন্তু কথা বলতে পারে না।
ওদের চোখ আছে কিন্তু দেখতে পায় না।
6 ওদের কান আছে কিন্তু শুনতে পায় না।
ওদের নাক আছে কিন্তু ঘ্রাণ নিতে পারে না।
7 ওদের হাত আছে কিন্তু অনুভব করতে পারে না।
ওদের পা আছে কিন্তু চলতে পারে না
এবং ওদের কন্ঠ থেকে কোন স্বর আসে না।
8 যে সব লোকরা মূর্ত্তিগুলি তৈরী করে এবং তাতে তাদের আস্থা রাখে, তারা কি ওই সব মূর্ত্তিগুলোর মত হয়ে যাবে?
9 হে ইস্রায়েলের লোকরা, প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
10 হারোণের পরিবার প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
11 প্রভুর অনুগামীরা, প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
12 প্রভু আমাদের স্মরণে রাখবেন
এবং আমাদের আশীর্বাদ করবেন।
প্রভু ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ করবেন।
প্রভু হারোণের পরিবারকে আশীর্বাদ করবেন।
13 প্রভু তাঁর সমস্ত অনুগামীদের আশীর্বাদ করবেন।
দীন থেকে মহত্তম পর্যন্ত সকলকেই সমানভাবে আশীর্বাদ করবেন।
14 প্রভু, তোমাকে এবং তোমার সন্তানদের অনেক অনেক আশীর্বাদ দিন।
15 প্রভুই স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন
এবং প্রভু তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন!
16 স্বর্গ ঈশ্বরের
কিন্তু মানুষকে তিনি পৃথিবী দিয়েছেন।
17 মৃত লোকেরা ঈশ্বরের প্রশংসা করে না।
মৃত লোকেরা, যারা কবরে রয়েছে তারা প্রভুর প্রশংসা করে না।
18 কিন্তু আমরা এখন প্রভুকে ধন্যবাদ দিচ্ছি এবং চিরদিন আমরা তাঁকে ধন্যবাদ দেবো।
প্রভুর প্রশংসা কর!
বন্যার শুরু
7 তখন প্রভু নোহকে বললেন, “তুমি যে একজন সৎ মানুষ তা আমি লক্ষ্য করেছি। এমনকি এই যুগের দুষ্ট লোকদের মধ্যেও তুমি নিজেকে সৎ রেখেছ। সুতরাং তোমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে তুমি গিয়ে নৌকোতে ওঠো। 2 পৃথিবীর সমস্ত শুচি পশুপাখীর[a] সাত সাত জোড়া এবং অন্যান্য প্রত্যেক পশুর এক এক জোড়া নাও। এই সমস্ত পশুপাখীদের তুমি ঐ নৌকোতে তোমার সঙ্গে নেবে। 3 সমস্ত রকম পাখীর সাতটি করে জোড়া নেবে। এর ফলে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত পশুপাখী আমি ধ্বংস করে ফেলার পরেও এইসব পশুপাখী সম্পূর্ণভাবে বংশলোপের হাত থেকে রক্ষা পাবে। 4 এখন থেকে ঠিক সাতদিন পরে আমি পৃথিবীতে প্রবল বর্ষণ ঘটাবো। 40 দিন 40 রাত ধরে বৃষ্টি হবে। আমি পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত প্রাণী ধ্বংস করে দেব। যা কিছু আমি সৃষ্টি করেছি, সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।” 5 প্রভু যা যা করতে বললেন, নোহ সে সমস্তই করলেন।
6 যখন সেই বর্ষন শুরু হল তখন নোহের বয়স 600 বছর। 7 নোহ এবং তাঁর পরিবার মহাপ্লাবন থেকে পরিত্রাণের জন্যে নৌকোতে প্রবেশ করলেন। নোহের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, তাঁর পুত্ররা ও পুত্রবধূরা সবাই নৌকোতে ছিলেন। 8 সমস্ত শুচি ও অশুচি পশুপাখী এবং মাটিতে যারা বুকে হেঁটে চলে সেইসব প্রাণী 9 নোহের সঙ্গে নৌকোতে গিয়ে উঠল। ঈশ্বর যেমনটি আদেশ করেছিলেন ঠিক তেমনভাবে স্ত্রী ও পুরুষে জুটি বেঁধে সমস্ত পশুপাখী নৌকোতে চড়লে, 10 সাত দিন পরে শুরু হল প্লাবন। পৃথিবীতে শুরু হলো বর্ষা।
17 পৃথিবীতে 40 দিন ধরে বন্যা চলল। জলের মাত্রা ক্রমশঃ উঁচু হতে লাগল আর সেই নৌকো মাটি ছেড়ে জলের উপরে ভাসতে থাকলো। 18 জল বাড়তেই থাকল আর নৌকো মাটি ছেড়ে অনেক উঁচুতে ভাসতে লাগল। 19 জল এত বাড়লো যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলো পর্যন্ত ডুবে গেল। 20 পর্বতগুলোর মাথা ছাপিয়ে জল বাড়তে লাগল। সবচেয়ে উঁচু পর্বতের উপরেও 20 ফুটের বেশী জল দাঁড়াল।
21-22 পৃথিবীর সমস্ত জীব মারা গেল। প্রতিটি পুরুষ ও স্ত্রী এবং পৃথিবীর সমস্ত জন্তু জানোয়ার মারা পড়ল। সমস্ত বন্য প্রাণী, সরীসৃপ ধ্বংস হয়ে গেল। স্থলচর যত প্রাণী শ্বাস প্রশ্বাস নেয় তারাও মারা গেল। 23 এইভাবে ঈশ্বর পৃথিবীকে একেবারে পরিষ্কার করে ফেললেন। পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত অস্তিত্ব ধ্বংস করে ফেললেন। সমস্ত মানুষ, সমস্ত জন্তু জানোয়ার, বুকে হাঁটা সমস্ত প্রাণী এবং সমস্ত পাখী এইসব কিছুই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। নোহ আর নোহের পরিবার পরিজন এবং নৌকোতে আশ্রয় পাওয়া পশুপাখী—কেবলমাত্র এইসব প্রাণের অবশেষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকলো।
দেহের একতা
4 আমি প্রভুর বলে কারাগারে বন্দী। ঈশ্বর তোমাদের মনোনীত করেছেন যেন তোমরা তাঁর লোক হতে পার। আমি তোমাদের সেইরকম জীবনযাপন করতে অনুরোধ করি, যেভাবে ঈশ্বরের লোকদের জীবনযাপন করা উচিত। 2 তোমরা সর্বদাই নতনম্র থাক, সহিষ্ণু হও, ভালবেসে একে অপরকে গ্রহণ কর। 3 পবিত্র আত্মা তোমাদের যুক্ত করেছিলেন। সেই একতা রক্ষা করার জন্য সর্বোত্তমভাবে চেষ্টা কর। শান্তি তোমাদের একসঙ্গে ধরে থাকুক। 4 দেহ এক ও আত্মা এক, ঠিক সেইরকমই ঈশ্বর তোমাদের সকলকে এক প্রত্যাশার জন্য আহ্বান করেছেন। 5 কেবল একই প্রভু, এক বিশ্বাস ও এক বাপ্তিস্ম রয়েছে; 6 আর আছেন এক ঈশ্বর যিনি সকলের পিতা। যিনি সকলের ওপরে কর্তৃত্ত্ব করেন। তিনি সর্বত্র আছেন ও সবকিছুতে আছেন।
7 খ্রীষ্ট আমাদের প্রত্যেককে বিশেষ বিশেষ বরদান দিয়েছেন। যাকে যা দিতে ইচ্ছা করেছেন তাকে তা দিয়েছেন। 8 তাই শাস্ত্র বলছে:
“তিনি উর্দ্ধে আকাশে গেলেন,
সঙ্গে বন্দীদের নিয়ে গেলেন,
আর মানুষের হাতে তুলে দিয়ে গেলেন নানা বরদান।”(A)
9 যখন বলা হয়েছে, “তিনি উর্দ্ধে উঠে গেলেন,” তার অর্থ কি? তার অর্থ এই যে প্রথমে তিনি নিম্নে পৃথিবীতে নেমেছিলেন। 10 সেই জন যিনি নেমে এসেছিলেন (খ্রীষ্ট) তিনি সেই একই ব্যক্তি যিনি আকাশের থেকেও উচ্চে উঠেছিলেন, যাতে সব কিছুই তাঁর দ্বারা পূর্ণ করতে পারেন। 11 সেই খ্রীষ্ট লোকদের বরদান করলেন, তাদের কয়েকজনকে প্রেরিত করলেন, আবার কয়েকজনকে ভাববাদী, কয়েকজনকে সুসমাচার প্রচারক, কয়েকজনকে শিক্ষক ও পালক হবার ক্ষমতা দিলেন। 12 ঈশ্বরের লোকদের প্রস্তুত করার জন্য ও সেবার কাজ সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে খ্রীষ্ট এইসব বরদান করেছেন। খ্রীষ্টের দেহরূপে মণ্ডলীকে গঠন করার জন্য তিনি সেইসব বর দিয়েছেন। 13 যে পর্যন্ত না আমরা ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ে একই বিশ্বাস ও তত্ত্বজ্ঞানে সুষ্ঠভাবে যুক্ত হব, সেই পর্যন্ত এই কাজ চলতে থাকবে। আমাদের পরিণত মানুষের মতো হতে হবে। আমরা ততদিন বৃদ্ধি পেতে থাকব যে পর্যন্ত না খ্রীষ্টের মত হই ও তাঁর মত সম্পূর্ণ সিদ্ধ হই।
14 তখন আমরা আর শিশুর মত থাকব না। জাহাজ যেমন তরঙ্গের দাপটে এদিক ওদিক চালিত হয়, তেমনি আমরা কোন নতুন শিক্ষা দ্বারা আর স্থানচ্যুত হব না; ঠগবাজ লোকের নতুন শিক্ষা দ্বারা আমরা প্রভাবিত হব না। এরা তাদের পরিকল্পনা ও চালবাজি দ্বারা মানুষকে ঠকিয়ে ভুল পথে নিয়ে যায়। 15 আমরা বরং প্রেমের সঙ্গে সত্য কথাই বলব, এইভাবে খ্রীষ্টের মতো সব বিষয়ে আমরা বৃদ্ধিলাভ করব। খ্রীষ্ট হলেন মস্তক, আমরা তাঁর দেহ। 16 সমস্ত দেহটা খ্রীষ্টের ওপর নির্ভরশীল। দেহের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরস্পরের সঙ্গে একত্রে যুক্ত রয়েছে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যখন তাদের করণীয় কাজ করে, তখন সমস্ত দেহ বৃদ্ধিলাভ করে প্রেমে শক্ত ও দৃঢ় হয়।
বহু মানুষ যীশুর অনুগামী হলেন
7 যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে গালীল হ্রদের দিকে গেলেন। গালীল, যিহূদিয়া, জেরুশালেম, ইদোম এমন কি যর্দন নদীর অপর পারে সোর ও সীদোন থেকে বহুলোক তাঁদের পিছনে পিছনে এল। 8 তিনি যে সমস্ত অলৌকিক কাজ করেছিলেন তা শুনে এই বিশাল জনতা তাঁর কাছে এসেছিল।
9 যাতে ভীড়ের চাপ তাঁর ওপরে না পড়ে, তাই তিনি শিষ্যদের তাঁর জন্য একটা ছোট নৌকা প্রস্তুত রাখতে বললেন। 10 তিনি বহু লোককে সুস্থ করেছিলেন, তাই সমস্ত রোগী তাঁকে স্পর্শ করার জন্য ঠেলাঠেলি করছিল। 11 অশুচি আত্মায় পাওয়া রোগীরা তাঁকে দেখতে পেলেই তাঁর পায়ের সামনে পড়ে চেঁচিয়ে বলত, “আপনি ঈশ্বরের পুত্র!” 12 কিন্তু তিনি তাদের কঠোরভাবে তিরস্কার করতেন যাতে তারা তাঁর পরিচয় না দেয়।
যীশু বারোজন প্রেরিতকে মনোনীত করলেন
(মথি 10:1-4; লূক 6:12-16)
13 তারপর তিনি পাহাড়ের ওপরে উঠে নিজের ইচ্ছামতো কিছু লোককে কাছে ডাকলে তাঁরা তাঁর কাছে এলেন। 14 আর তিনি বারোজনকে প্রেরিত পদে নিয়োগ করলেন যেন তাঁরা তাঁর সাথে সাথে থাকে এবং বাক্য প্রচারের জন্য যেন তিনি তাঁদের পাঠাতে পারেন। 15 তাঁদের তিনি ভূত ছাড়াবার ক্ষমতাও দিলেন। 16 তিনি যে বারোজনকে মনোনীত করেন তাঁদের নাম
শিমোন যাকে তিনি নাম দিলেন পিতর;
17 যাকোব যিনি সিবদিয়ের ছেলে এবং যাকোবের ভাই যোহন; (যাদের তিনি নাম দিয়েছিলেন, বোনেরগশ যার অর্থ “মেঘধ্বনির পুত্র।”)
18 আন্দ্রিয়,
ফিলিপ,
বর্থলময়,
মথি,
থোমা,
আলফেয়ের ছেলে যাকোব,
থদ্দেয়,
দেশ-ভক্ত,[a] দলের শিমোন
19 এবং যিহূদা ঈষ্করিয়োতীয় (যে যীশুকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল।)
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International