Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত।
101 আমি প্রেম এবং ন্যায়ের গান গাইবো।
প্রভু, আমি আপনার উদ্দেশ্যে গান গাইবো।
2 আমি একজন বিচক্ষণ লোকের মত শুদ্ধ হৃদয় নিয়ে
একটি শুদ্ধ জীবনযাপন করব।
আপনি আমার গৃহের একান্ত অভ্যন্তরভাগে কখন আসবেন?[a]
3 আমার সামনে কোন মূর্ত্তি আমি রাখবো না।
ওরকম ভাবে যারা আপনার বিরুদ্ধে যায় তাদের আমি ঘৃণা করি।
আমি তা করবো না!
4 আমি সৎ থাকবো।
আমি কোন মন্দ কাজ করবো না।
5 যদি কেউ গোপনে তার প্রতিবেশী সম্পর্কে মন্দ কথা বলে,
আমি তাকে চুপ করিয়ে দেবো।
আমি লোকেদের কখনই উদ্ধত হতে দেবো না
এবং তাদের ভাবতে দেবো না যে তারা অন্যান্যদের চেয়ে ভালো।
6 আমি সমস্ত দেশের মধ্যে সেই সব লোকেদের খুঁজবো যাদের ওপর নির্ভর করা যায়।
এবং একমাত্র তাদেরই আমার সেবা করতে দেবো।
যারা পবিত্র জীবনযাপন করে একমাত্র তারাই আমার সেবক হবে।
7 আমি মিথ্যেবাদীদের আমার গৃহের গোপন
অভ্যন্তরভাগে বাস করতে দেব না।
8 এই দেশে যে সব মন্দ লোক বাস করে, সব সময়েই আমি তাদের ধ্বংস করবো।
মন্দ লোকদের আমি প্রভুর শহর ছেড়ে যেতে বাধ্য করবো।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
109 ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা শোনা থেকে বিরত হবেন না!
2 দুষ্ট লোকরা আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছে।
যা সত্য নয় ওরা তাই বলছে।
3 লোকেরা আমার সম্পর্কে অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলছে।
অকারণে লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
4 আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম, কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করে।
তাই ঈশ্বর, এখন আমি আপনার কাছে শরণাগত।
5 আমি ওইসব লোকেদের জন্য ভাল কাজই করেছিলাম
কিন্তু ওরা আমার প্রতি মন্দই করেছে।
আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম,
কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করেছে।
6 আমার শত্রু যে মন্দ কাজ করেছে তার জন্য ওকে শাস্তি দিন।
একজন লোককে খুঁজে বার করুন যে প্রমাণ দেবে ও ভুল করেছে।
7 বিচারককে এই সিদ্ধান্ত নিতে দিন যে আমার শত্রু ভুল করেছে এবং সে দোষী।
আমার শত্রুরা যা যা বলে তা যেন ওর পক্ষে অহিতকরই হয়।
8 আমার শত্রুর শীঘ্রই মৃত্যু হোক্।
অন্য লোকরা তার স্থান নিক।
9 আমার শত্রুর সন্তানদের অনাথ
এবং তার স্ত্রীকে বিধবা করে দিন।
10 ওরা যেন ঘর বাড়ী হারিয়ে
ভিখারী হয়ে যায়।
11 আমার শত্রু যার কাছে ঋণী সে যেন ওর সব কিছু নিয়ে নেয়।
আমার শত্রু যে সব জিনিসের জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছিল, সেগুলো কোন আগন্তুক এসে নিয়ে যাক।
12 কামনা করি, কোন লোক যেন আমার শত্রুর প্রতি সদয় না হয়।
কামনা করি, কোন লোক যেন ওর ছেলেদের প্রতি ক্ষমা না দেখায়।
13 আমার শত্রুকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিন।
পরবর্তী প্রজন্ম যেন সব কিছু থেকে ওর নাম মুছে দেয়।
14 প্রভু যেন আমার শত্রুর পূর্বপুরুষদের পাপ সম্পর্কে অবগত হোন।
ওর মায়ের পাপও যেন কখনও ধুয়ে না যায়।
15 আমি আশা করি প্রভু চিরদিন ওই সব পাপগুলো স্মরণে রাখবেন।
এবং আমি আশা করি, আমার শত্রুকে সম্পূর্ণ ভুলে যেতে তিনি লোকদের বাধ্য করবেন।
16 কেন? কারণ ওই মন্দ লোকটা কোনদিন কোন ভালো কাজ করে নি।
সে কোনদিন কাউকে ভালোবাসে নি।
দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনকে সে কঠিন করে তুলেছিলো।
17 ওই লোকটা সর্বদাই অন্যদের অভিশাপ দিতে ভালবাসত।
তাই ওর ক্ষেত্রেই ওই সব মন্দ বিষয় ফলতে দিন।
ওই মন্দ লোকটা কোনদিন চায় নি, অন্য কারো ভালো হোক্।
তাই ওর ভালো হতে দেবেন না।
18 অভিশাপ যেন ওর বস্ত্র হয়।
অভিশাপ যেন ওর তৃষ্ণার জল হয়,
অভিশাপগুলো যেন ওর দেহে মাখা তেল হয়।
19 দুষ্ট লোকে যে পোশাক পরে অভিশাপগুলো যেন সেই পোশাকসমূহ হয়
এবং অভিশাপই যেন ওদের কোমরবন্ধ হয়।
20 আমার শত্রুর প্রতি প্রভু যেন এসব করেন। যারা আমায় খুন করতে চায় তাদের প্রতি প্রভু যেন এসব করেন।
21 প্রভু, আপনি আমার সদাপ্রভু। তাই আমার প্রতি এমন ব্যবহার করুন যা আপনার নামের মর্যাদা এনে দেবে।
আপনার প্রেম খুব মহান, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 আমি নিছক একজন অসহায় দরিদ্র মানুষ।
প্রকৃতই আমি ভগ্ন হৃদয়ের এক দুঃখী মানুষ।
23 আমি এমন অনুভব করি যেন, বেলা শেষের লম্বা ছায়ার মত আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।
আমি নিজেকে অগ্রাহ্য করা ছারপোকার মত মনে করি।
24 ক্ষুধার কারণে আমার হাঁটু দুটো দুর্বল।
ওজন কমে গিয়ে আমি ক্রমশঃই রোগা হয়ে যাচ্ছি।
25 মন্দ লোকরা আমায় অপমান করে।
আমার দিকে তাকিয়ে ওরা মাথা নাড়ায়।
26 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমায় সাহায্য করুন।
আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন!
27 তখন ওই লোকরা জানতে পারবে যে আপনি আমায় সাহায্য করেছিলেন।
ওরা জানতে পারবে যে আপনার শক্তিই আমাকে সাহায্য করেছিলো।
28 ওই মন্দ লোকরা আমায় অভিশাপ দেয়।
কিন্তু আপনি আমায় আশীর্বাদ করতে পারেন প্রভু।
ওরা আমায় আক্রমণ করেছে, তাই ওদের পরাজিত করুন।
তাহলে আপনার দাস, আমি সুখী হব।
29 আমার শত্রুদের বিব্রত করে দিন!
ওদের বস্ত্রাবরণ হিসেবে ওরা যেন ওদের লজ্জাই পরিধান করে।
30 আমি প্রভুকে ধন্যবাদ দিই।
বহু লোকদের সামনে আমি তাঁর প্রশংসা করি।
অয়িন
121 যা সঠিক এবং ভালো আমি তাই করেছি।
হে প্রভু, যারা আমায় উৎপীড়ন করে এমন লোকেদের হাতে আমায় সমর্পণ করবেন না।
122 আপনার দাস, আমার প্রতি ভাল ব্যবহার করবার প্রতিশ্রুতি করুন।
হে প্রভু, ঐ অহঙ্কারী লোকেদের আমাকে উৎপীড়ন করতে দেবেন না।
123 হে প্রভু, আপনার সাহায্যের আশায় থেকে
এবং আপনার সুন্দর বাক্যের প্রত্যাশায় আমার দু চোখ ক্লান্ত।
124 আমি আপনার দাস। আমার প্রতি আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
আমাকে আপনার বিধিগুলো শেখান।
125 আমি আপনার দাস।
আমি যাতে আপনার চুক্তি জানতে পারি, আমায় বুঝতে সাহায্য করুন।
126 প্রভু এখন আপনার কিছু করার সময় এসেছে।
লোকরা আপনার বিধি ভঙ্গ করেছে।
127 প্রভু আপনার বিধিগুলোকে
আমি সব থেকে খাঁটি সোনার চেয়েও ভালোবাসি।
128 আপনার সব আজ্ঞা আমি খুব যত্ন করে পালন করি।
ভ্রান্ত শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি।
পে
129 হে প্রভু, আপনার চুক্তি সত্যিই বিস্ময়কর।
সেই জন্য আমি তা অনুসরণ করি।
130 যখন লোকেরা আপনার বানীসমুহ বুঝতে শুরু করে,
তা একটি আলোর মত যেটা তাদের সঠিক পথে বেঁচে থাকার পথ দেখায়।
131 হে প্রভু, আমি সত্যিই আপনার আজ্ঞাগুলো অধ্যয়ন করতে চাই।
আমি সেই লোকের মত যার নিঃশ্বাস ভারী হয়েছে এবং অধৈর্য্য হয়ে প্রতীক্ষা করছে।
132 ঈশ্বর আমার দিকে দেখুন, আমার প্রতি সদয় হন,
যারা আপনার নাম ভালোবাসে তাদের পক্ষে যা হিতকর তাই করুন।
133 প্রভু, আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় পরিচালিত করুন।
আমার প্রতি ক্ষতিকর কিছু ঘটতে দেবেন না।
134 হে প্রভু, যে সব লোক আমায় আঘাত করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন
এবং আমি আপনার আজ্ঞা মান্য করবো।
135 প্রভু, আপনার দাসকে গ্রহণ করুন
এবং আমাকে আপনার বিধি শিক্ষা দিন।
136 লোকে আপনার শিক্ষামালাকে মান্য করে না।
সেইজন্য আমি এত কেঁদেছি যে আমার চোখের জলে একটা নদী বইয়ে দিয়েছি।
সাদে
137 হে প্রভু, আপনি মঙ্গলময়
এবং আপনার বিধিগুলোও ন্যায্য ও সৎ।
138 আপনার চুক্তিতে আপনি আমাদের জন্য ভালো এবং ন্যায্য বিধিসমূহ দিয়েছেন।
আমরা সত্যি তাদের ওপর নির্ভর করতে পারি।
139 আমার প্রবল উদ্দীপনা আমায় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আমার শত্রুরা আপনার আজ্ঞাগুলো ভুলে গেছে তাই আমি এত বিমর্ষ হয়ে রয়েছি।
140 আমরা যে আপনার বাক্যকে বিশ্বাস করতে পারি,
আমাদের কাছে সেই প্রমাণ আছে এবং আমি তা ভালোবাসি।
141 আমি একজন তরুণ লোক এবং লোকে আমায় সম্মান করে না।
কিন্তু আমি আপনার আজ্ঞা ভুলি নি।
142 আপনার ধার্ম্মিকতা চিরন্তন
এবং আপনার শিক্ষাগুলিকে বিশ্বাস করা যায়।
143 আমার সমস্যা এবং দুঃসময় ছিল।
কিন্তু আমি আপনার নির্দেশ উপভোগ করি।
144 আপনার চুক্তি চিরকালের জন্য ভালো ও ন্যায্য।
আমাকে বুঝতে সাহায্য করুন যাতে আমি বাঁচতে পারি।
অশূররা শমরিয়া দখল করল
9 অশূররাজ শলমনেষর, হিষ্কিয়র যিহূদায় রাজত্বের চতুর্থ বছরে এবং এলার পুত্র হোশিয়র ইস্রায়েলে রাজত্বের সপ্তম বছরে, শমরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন। অশূররাজের সেনাবাহিনী চতুর্দিক থেকে শমরিয়া ঘিরে ফেলে 10 এবং তৃতীয় বছরে অশূররাজ শলমনেষর শমরিয়া দখল করেন। হিষ্কিয়র যিহূদায় শাসনের ষষ্ঠ বছরে এবং হোশিযর ইস্রায়েলে শাসনের নবম বছরে শমরিয়া অশূররাজের পদানত হয়। 11 অশূররাজ ইস্রায়েলীয়দের বন্দী করে তাঁর সঙ্গে অশূর রাজ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের হলহ, হাবোর, গোষণ নদীর তীরে মাদীয়দের বিভিন্ন শহরে বসবাস করতে বাধ্য করেন। 12 ইস্রায়েলীয়রা তাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করায় এবং প্রভুর সঙ্গে তাদের চুক্তি ভঙ্গ করার জন্যই এ ঘটনা ঘটেছিল। প্রভুর দাস মোশি যে আদেশগুলি দিয়েছিলেন বা ইস্রায়েলীয়দের যে নীতি-শিক্ষা দিয়েছিলেন, তা তারা পালন না করার জন্যই এই দুর্যোগ ঘনিয়ে আসে।
অশূর-রাজ যিহূদা দখল করার জন্য প্রস্তুত হলেন
13 হিষ্কিয়র রাজত্বের 14তম বছরে, অশূর-রাজ সন্হেরীব যিহূদার দূর্গ বেষ্টিত সমস্ত শহরগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করেন এবং তাদের পরাজিত করেন। 14 তখন যিহূদার রাজা হিষ্কিয় লাখীশে অশূররাজের কাছে একটা খবর পাঠালেন। হিষ্কিয় বললেন, “আমি অন্যায় করেছি। আপনি আমার রাজত্ব ছেড়ে চলে গেলে, আপনি যা চাইবেন আমি তাই দিতে প্রস্তুত আছি।”
তখন অশূররাজ হিষ্কিয়ের কাছে 11 টন রূপো ও 1 টন সোনা চেয়ে পাঠালেন! 15 হিষ্কিয় প্রভুর মন্দিরে ও রাজকোষে যত রূপো ছিল সবই অশূররাজকে দিয়ে দেন। 16 হিষ্কিয় প্রভুর মন্দিরের দরজা ও দরজার থামে যেসব সোনা বসিয়েছিলেন, সে সবও কেটে অশূররাজকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
অশূররাজ জেরুশালেমে লোক পাঠালেন
17 অশূররাজ লাখীশ থেকে জেরুশালেমে হিষ্কিয়র কাছে তাঁর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন সেনাপতি, রব্শাকি, তর্ত্তয় ও রব্সারিসের অধীনে একটি বড় সেনাবাহিনী পাঠান। তারা ধোপাদের ঘাটের কাছের রাস্তার ওপরের খাঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। 18 তিনি হিল্কিয়ের পুত্র রাজপ্রাসাদের তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াকীম, সচিব শিব্ন ও একজন তথ্যসংগ্রাহক আসফের পুত্র যোয়াহ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বাইরে এল।
19 তিনজন সেনাপতিদের একজন, রব্শাকি বললেন, “হিষ্কিয়কে গিয়ে জানাও যে অশূররাজ বলেছেন:
‘তোমার আত্মবিশ্বাসের পেছনে কি কারণ আছে? 20 তুমি বলো, “যুদ্ধ করবার মতো যথেষ্ট শক্তি তোমার আছে।” কিন্তু সে তো কথার কথা মাত্র! কার ভরসায় তুমি আমার অধীনতা অস্বীকার করেছ? 21 তুমি কি মিশরের ওপর, একটি বেনু বাঁশের তৈরী চলবার ছড়ির ওপর নির্ভর করছ? মনে রেখো এই ছড়ির ওপর বেশী ভর দিলে, ছড়ি তো ভাঙবেই এমন কি তার চোঁচও তোমার হাতে ফুটে তোমায় জখম করতে পারে! মিশরের রাজার উপরে তুমি নির্ভর করতে পার না। 22 একথা শুনে তুমি হয়তো বলবে, “আমাদের প্রভু, ঈশ্বরের ওপরে আস্থা আছে।” কিন্তু আমি এও জানি, তোমার লোকরা প্রভুকে যে উঁচু বেদীগুলোয় উপাসনা করত, তুমি সেই সমস্ত ভেঙে দিয়ে যিহূদার লোকদের বলেছ, “তোমরা শুধুমাত্র জেরুশালেমের বেদীর সামনে উপাসনা করবে।”
23 ‘এখন অশূররাজের সঙ্গে এই চুক্তিটি করে ফেলো এবং আমি তোমাকে 2000 ভাল ঘোড়া দেব যদি তুমি ততগুলো অশ্বারোহী জোগাতে পার। 24 কারণ তোমরা মিশরের রথ আর অশ্বারোহীদের ওপর ভরসা করে আমাদের সেনাবাহিনীর একজন জমাদারকেও হারাতে পারবে না!
25 ‘আমরা প্রভুর বিনা সম্মতিতে জেরুশালেম ধ্বংস করতে আসি নি। প্রভুই স্বয়ং বলেছেন, “যাও, এই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই দেশকে ধ্বংস করো!”’”
প্রতিমার প্রসাদ সম্বন্ধে
8 এখন প্রতিমার সামনে উৎসর্গ করা খাবারের বিষয়ে বলছি: আমরা জানি যে, “আমাদের সবার জ্ঞান আছে।” “জ্ঞান” মানুষকে আত্মগর্বে ফাঁপিয়ে তোলে; কিন্তু ভালোবাসা অপরকে গড়ে তোলে। 2 যদি কেউ মনে করে সে কিছু জানে, তবে তার যা জানা উচিত ছিল এখনও সে তা জানে না। 3 কিন্তু কেউ যদি ঈশ্বরকে ভালবাসে, তবে ঈশ্বর তাকে জানেন।
4 প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাদ্যবস্তুর বিষয়ে বলি, আমরা জানি এই জগতে প্রতিমা আসলে কিছুই নয়, এবং ঈশ্বর মাত্র একজনই। 5 স্বর্গে হোক্ বা পৃথিবীতে হোক্, লোকে যাদের দেবতা বলে সেইরকম বহু “দেবতারা” ও বহু “প্রভুরা” থাকলেও 6 কিন্তু আমাদের জন্য একমাত্র ঈশ্বর আছেন; তিনি আমাদের পিতা, তাঁর থেকেই সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তাঁর জন্যই বেঁচে আছি। একমাত্র প্রভু আছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্ট, তাঁর মাধ্যমেই সব কিছু সৃষ্ট, তাঁর মাধ্যমেই আমরা বেঁচে আছি।
7 কিন্তু সকলের এ জ্ঞান নেই। কিছু লোক এখনও প্রতিমার সংশ্রবে থাকায় প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাদ্য বস্তুকে প্রসাদ জ্ঞানে খায়, আর তাদের বিবেক দুর্বল হওয়াতে দোষী প্রতিপন্ন হয়। 8 কিন্তু খাদ্যবস্তু আমাদের ঈশ্বরের কাছে নিয়ে আসে না। ঐ সব যদি আমরা না খাই তাহলে আমাদের কোন ক্ষতি হয় না, আর যদি খাই তাহলেও কোন লাভ হয় না।
9 কিন্তু সাবধান, তোমাদের এই স্বাধীনতা যেন দুর্বল এমন লোকদের পাপের কারণ না হয়। 10 তুমি জান যে প্রতিমা কিছুই নয়। বেশ, কিন্তু দুর্বল চিত্তের কেউ যদি তোমাকে মন্দিরে বসে খেতে দেখে তবে সে দুর্বল চিত্তের বলে তার বিবেক কি তাকে প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা বলির মাংস খেতে সাহস যোগাবে না? যদিও সে বিশ্বাস করে এটা ঠিক নয়। 11 এইভাবে তোমার এই জ্ঞানের দ্বারা সেই দুর্বল চিত্তের ভাই, যার জন্য খ্রীষ্ট মরেছেন, সে ধ্বংস হয়। 12 তাই এইভাবে বিশ্বাসী ভাইদের বিরুদ্ধে পাপ করলে ও তাদের দুর্বল বিবেকে আঘাত করলে, তোমরা খ্রীষ্টের বিরুদ্ধেই পাপ কর। 13 সেইজন্য কোন খাদ্য খাওয়াতে যদি আমার ভাই পাপে পড়ে, তবে আমি কখনও তা খাব না। আমি মাংস খাওয়া ছেড়ে দেব যাতে আমি আমার ভাইয়ের পাপের কারণ না হই।
স্বর্গে এবং নরকে যাওয়ার পথ
(লূক 13:24)
13 “সংকীর্ণ দরজা দিয়ে সেই পথে প্রবেশ করো, যে পথ স্বর্গের দিকে নিয়ে যায়। যে পথ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় তার দরজা প্রশস্ত, পথও চওড়া, বহু লোক সেই পথেই চলছে। 14 কিন্তু যে পথ জীবনের দিকে গেছে তার দরজা সংকীর্ণ আর পথও দুর্গম, খুব অল্প লোকই তার সন্ধান পায়।
লোকেরা যা করে তা লক্ষ্য কর
(লূক 6:43-44; 13:25-27)
15 “ভণ্ড ভাববাদীদের থেকে সাবধান। তারা তোমাদের কাছে নিরীহ মেষের ছদ্মবেশে আসে অথচ ভেতরে তারা হিংস্র নেকড়ে বাঘ। 16 তাদের জীবনের ফল দেখেই তোমরা তাদের চিনতে পারবে। কেউ কি কাঁটাঝোপের মধ্যে থেকে দ্রাক্ষা বা শিয়ালকাঁটার ভেতর থেকে ডুমুর পেতে পারে? 17 ঠিক সেই ভাবে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফলই ধরে, কিন্তু খারাপ গাছে খারাপ ফলই ধরে। 18 ভাল গাছে খারাপ ফল এবং খারাপ গাছে ভাল ফল ধরতে পারে না। 19 যে গাছে ভাল ফল ধরে না তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হয়। 20 তাই আমি তোমাদের আবার বলছি, তারা যা করে তা দেখেই তোমরা তাদের চিনতে পারবে।
21 “যারা আমাকে প্রভু, প্রভু বলে তাদের প্রত্যেকেই যে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে তা নয়। আমার স্বর্গের পিতার ইচ্ছা যে পালন করবে, কেবল সেই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International