Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 101

দায়ূদের একটি গীত।

101 আমি প্রেম এবং ন্যায়ের গান গাইবো।
    প্রভু, আমি আপনার উদ্দেশ্যে গান গাইবো।
আমি একজন বিচক্ষণ লোকের মত শুদ্ধ হৃদয় নিয়ে
    একটি শুদ্ধ জীবনযাপন করব।
    আপনি আমার গৃহের একান্ত অভ্যন্তরভাগে কখন আসবেন?[a]
আমার সামনে কোন মূর্ত্তি আমি রাখবো না।
    ওরকম ভাবে যারা আপনার বিরুদ্ধে যায় তাদের আমি ঘৃণা করি।
    আমি তা করবো না!
আমি সৎ‌ থাকবো।
    আমি কোন মন্দ কাজ করবো না।
যদি কেউ গোপনে তার প্রতিবেশী সম্পর্কে মন্দ কথা বলে,
    আমি তাকে চুপ করিয়ে দেবো।
আমি লোকেদের কখনই উদ্ধত হতে দেবো না
    এবং তাদের ভাবতে দেবো না যে তারা অন্যান্যদের চেয়ে ভালো।

আমি সমস্ত দেশের মধ্যে সেই সব লোকেদের খুঁজবো যাদের ওপর নির্ভর করা যায়।
    এবং একমাত্র তাদেরই আমার সেবা করতে দেবো।
    যারা পবিত্র জীবনযাপন করে একমাত্র তারাই আমার সেবক হবে।
আমি মিথ্যেবাদীদের আমার গৃহের গোপন
    অভ্যন্তরভাগে বাস করতে দেব না।
এই দেশে যে সব মন্দ লোক বাস করে, সব সময়েই আমি তাদের ধ্বংস করবো।
    মন্দ লোকদের আমি প্রভুর শহর ছেড়ে যেতে বাধ্য করবো।

গীতসংহিতা 109:1-30

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।

109 ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা শোনা থেকে বিরত হবেন না!
দুষ্ট লোকরা আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছে।
    যা সত্য নয় ওরা তাই বলছে।
লোকেরা আমার সম্পর্কে অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলছে।
    অকারণে লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম, কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করে।
    তাই ঈশ্বর, এখন আমি আপনার কাছে শরণাগত।
আমি ওইসব লোকেদের জন্য ভাল কাজই করেছিলাম
    কিন্তু ওরা আমার প্রতি মন্দই করেছে।
আমি ওদের ভালোবেসেছিলাম,
    কিন্তু ওরা আমায় ঘৃণা করেছে।

আমার শত্রু যে মন্দ কাজ করেছে তার জন্য ওকে শাস্তি দিন।
    একজন লোককে খুঁজে বার করুন যে প্রমাণ দেবে ও ভুল করেছে।
বিচারককে এই সিদ্ধান্ত নিতে দিন যে আমার শত্রু ভুল করেছে এবং সে দোষী।
    আমার শত্রুরা যা যা বলে তা যেন ওর পক্ষে অহিতকরই হয়।
আমার শত্রুর শীঘ্রই মৃত্যু হোক্।
    অন্য লোকরা তার স্থান নিক।
আমার শত্রুর সন্তানদের অনাথ
    এবং তার স্ত্রীকে বিধবা করে দিন।
10 ওরা যেন ঘর বাড়ী হারিয়ে
    ভিখারী হয়ে যায়।
11 আমার শত্রু যার কাছে ঋণী সে যেন ওর সব কিছু নিয়ে নেয়।
    আমার শত্রু যে সব জিনিসের জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছিল, সেগুলো কোন আগন্তুক এসে নিয়ে যাক।
12 কামনা করি, কোন লোক যেন আমার শত্রুর প্রতি সদয় না হয়।
    কামনা করি, কোন লোক যেন ওর ছেলেদের প্রতি ক্ষমা না দেখায়।
13 আমার শত্রুকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিন।
    পরবর্তী প্রজন্ম যেন সব কিছু থেকে ওর নাম মুছে দেয়।
14 প্রভু যেন আমার শত্রুর পূর্বপুরুষদের পাপ সম্পর্কে অবগত হোন।
    ওর মায়ের পাপও যেন কখনও ধুয়ে না যায়।
15 আমি আশা করি প্রভু চিরদিন ওই সব পাপগুলো স্মরণে রাখবেন।
    এবং আমি আশা করি, আমার শত্রুকে সম্পূর্ণ ভুলে যেতে তিনি লোকদের বাধ্য করবেন।
16 কেন? কারণ ওই মন্দ লোকটা কোনদিন কোন ভালো কাজ করে নি।
    সে কোনদিন কাউকে ভালোবাসে নি।
    দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনকে সে কঠিন করে তুলেছিলো।
17 ওই লোকটা সর্বদাই অন্যদের অভিশাপ দিতে ভালবাসত।
    তাই ওর ক্ষেত্রেই ওই সব মন্দ বিষয় ফলতে দিন।
ওই মন্দ লোকটা কোনদিন চায় নি, অন্য কারো ভালো হোক্।
    তাই ওর ভালো হতে দেবেন না।
18 অভিশাপ যেন ওর বস্ত্র হয়।
অভিশাপ যেন ওর তৃষ্ণার জল হয়,
    অভিশাপগুলো যেন ওর দেহে মাখা তেল হয়।
19 দুষ্ট লোকে যে পোশাক পরে অভিশাপগুলো যেন সেই পোশাকসমূহ হয়
    এবং অভিশাপই যেন ওদের কোমরবন্ধ হয়।

20 আমার শত্রুর প্রতি প্রভু যেন এসব করেন। যারা আমায় খুন করতে চায় তাদের প্রতি প্রভু যেন এসব করেন।
21 প্রভু, আপনি আমার সদাপ্রভু। তাই আমার প্রতি এমন ব্যবহার করুন যা আপনার নামের মর্যাদা এনে দেবে।
    আপনার প্রেম খুব মহান, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 আমি নিছক একজন অসহায় দরিদ্র মানুষ।
    প্রকৃতই আমি ভগ্ন হৃদয়ের এক দুঃখী মানুষ।
23 আমি এমন অনুভব করি যেন, বেলা শেষের লম্বা ছায়ার মত আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।
    আমি নিজেকে অগ্রাহ্য করা ছারপোকার মত মনে করি।
24 ক্ষুধার কারণে আমার হাঁটু দুটো দুর্বল।
    ওজন কমে গিয়ে আমি ক্রমশঃই রোগা হয়ে যাচ্ছি।
25 মন্দ লোকরা আমায় অপমান করে।
    আমার দিকে তাকিয়ে ওরা মাথা নাড়ায়।
26 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমায় সাহায্য করুন।
    আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন!
27 তখন ওই লোকরা জানতে পারবে যে আপনি আমায় সাহায্য করেছিলেন।
    ওরা জানতে পারবে যে আপনার শক্তিই আমাকে সাহায্য করেছিলো।
28 ওই মন্দ লোকরা আমায় অভিশাপ দেয়।
    কিন্তু আপনি আমায় আশীর্বাদ করতে পারেন প্রভু।
ওরা আমায় আক্রমণ করেছে, তাই ওদের পরাজিত করুন।
    তাহলে আপনার দাস, আমি সুখী হব।
29 আমার শত্রুদের বিব্রত করে দিন!
    ওদের বস্ত্রাবরণ হিসেবে ওরা যেন ওদের লজ্জাই পরিধান করে।
30 আমি প্রভুকে ধন্যবাদ দিই।
    বহু লোকদের সামনে আমি তাঁর প্রশংসা করি।

গীতসংহিতা 119:121-144

অয়িন

121 যা সঠিক এবং ভালো আমি তাই করেছি।
    হে প্রভু, যারা আমায় উৎ‌পীড়ন করে এমন লোকেদের হাতে আমায় সমর্পণ করবেন না।
122 আপনার দাস, আমার প্রতি ভাল ব্যবহার করবার প্রতিশ্রুতি করুন।
    হে প্রভু, ঐ অহঙ্কারী লোকেদের আমাকে উৎ‌পীড়ন করতে দেবেন না।
123 হে প্রভু, আপনার সাহায্যের আশায় থেকে
    এবং আপনার সুন্দর বাক্যের প্রত্যাশায় আমার দু চোখ ক্লান্ত।
124 আমি আপনার দাস। আমার প্রতি আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
    আমাকে আপনার বিধিগুলো শেখান।
125 আমি আপনার দাস।
    আমি যাতে আপনার চুক্তি জানতে পারি, আমায় বুঝতে সাহায্য করুন।
126 প্রভু এখন আপনার কিছু করার সময় এসেছে।
    লোকরা আপনার বিধি ভঙ্গ করেছে।
127 প্রভু আপনার বিধিগুলোকে
    আমি সব থেকে খাঁটি সোনার চেয়েও ভালোবাসি।
128 আপনার সব আজ্ঞা আমি খুব যত্ন করে পালন করি।
    ভ্রান্ত শিক্ষাকে আমি ঘৃণা করি।

পে

129 হে প্রভু, আপনার চুক্তি সত্যিই বিস্ময়কর।
    সেই জন্য আমি তা অনুসরণ করি।
130 যখন লোকেরা আপনার বানীসমুহ বুঝতে শুরু করে,
    তা একটি আলোর মত যেটা তাদের সঠিক পথে বেঁচে থাকার পথ দেখায়।
131 হে প্রভু, আমি সত্যিই আপনার আজ্ঞাগুলো অধ্যয়ন করতে চাই।
    আমি সেই লোকের মত যার নিঃশ্বাস ভারী হয়েছে এবং অধৈর্য্য হয়ে প্রতীক্ষা করছে।
132 ঈশ্বর আমার দিকে দেখুন, আমার প্রতি সদয় হন,
    যারা আপনার নাম ভালোবাসে তাদের পক্ষে যা হিতকর তাই করুন।
133 প্রভু, আপনার প্রতিশ্রুতি মত আমায় পরিচালিত করুন।
    আমার প্রতি ক্ষতিকর কিছু ঘটতে দেবেন না।
134 হে প্রভু, যে সব লোক আমায় আঘাত করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন
    এবং আমি আপনার আজ্ঞা মান্য করবো।
135 প্রভু, আপনার দাসকে গ্রহণ করুন
    এবং আমাকে আপনার বিধি শিক্ষা দিন।
136 লোকে আপনার শিক্ষামালাকে মান্য করে না।
    সেইজন্য আমি এত কেঁদেছি যে আমার চোখের জলে একটা নদী বইয়ে দিয়েছি।

সাদে

137 হে প্রভু, আপনি মঙ্গলময়
    এবং আপনার বিধিগুলোও ন্যায্য ও সৎ‌।
138 আপনার চুক্তিতে আপনি আমাদের জন্য ভালো এবং ন্যায্য বিধিসমূহ দিয়েছেন।
    আমরা সত্যি তাদের ওপর নির্ভর করতে পারি।
139 আমার প্রবল উদ্দীপনা আমায় ধ্বংস করে দিচ্ছে।
    আমার শত্রুরা আপনার আজ্ঞাগুলো ভুলে গেছে তাই আমি এত বিমর্ষ হয়ে রয়েছি।
140 আমরা যে আপনার বাক্যকে বিশ্বাস করতে পারি,
    আমাদের কাছে সেই প্রমাণ আছে এবং আমি তা ভালোবাসি।
141 আমি একজন তরুণ লোক এবং লোকে আমায় সম্মান করে না।
    কিন্তু আমি আপনার আজ্ঞা ভুলি নি।
142 আপনার ধার্ম্মিকতা চিরন্তন
    এবং আপনার শিক্ষাগুলিকে বিশ্বাস করা যায়।
143 আমার সমস্যা এবং দুঃসময় ছিল।
    কিন্তু আমি আপনার নির্দেশ উপভোগ করি।
144 আপনার চুক্তি চিরকালের জন্য ভালো ও ন্যায্য।
    আমাকে বুঝতে সাহায্য করুন যাতে আমি বাঁচতে পারি।

2 শমূয়েল 14:21-33

অবশালোম জেরুশালেমে ফিরে এল

21 রাজা যোয়াবকে বললেন, “দেখ, আমি যা প্রতিজ্ঞা করেছি, আমি তাই করব। তরুণ অবশালোমকে ফিরিয়ে নিয়ে এস।”

22 যোয়াব নত হলেন এবং রাজা দায়ূদকে আশীর্বাদ করলেন। তিনি রাজাকে বললেন, “আজ আমি জানতে পারলাম আপনি আমার প্রতি প্রসন্ন, কারণ আমি যা চেয়েছিলাম আপনি তাই করেছেন।”

23 তারপর যোয়াব উঠে পড়লেন এবং গশূরে গিয়ে অবশালোমকে জেরুশালেমে নিয়ে এলেন। 24 কিন্তু রাজা দায়ূদ বললেন, “অবশালোম তার নিজের বাড়ীতে ফিরে যেতে পারে। সে আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।” তখন অবশালোম নিজের বাড়ীতে ফিরে গেল। অবশালোম রাজার কাছে দেখা করতে যেতে পারল না।

25 লোক অবশালোমের সৌন্দর্য্যের প্রশংসা করত। অবশালোমের মত সুদর্শন গোটা ইস্রায়েলে কেউ ছিল না। পা থেকে মাথা পর্যন্ত অবশালোমের কোথাও কোন খুঁত ছিল না। 26 বছরের শেষে অবশালোম তার মাথা থেকে চুল কেটে ফেলত এবং সেই চুল ওজন করত। সেই চুল ওজনে প্রায় আড়াই সেরের মত হত। 27 অবশালোমের তিনটি পুত্র এবং একটি কন্যা ছিল। তার কন্যার নাম ছিল তামর। তামর অতীব সুন্দরী ছিল।

অবশালোম যোয়াবকে তার সঙ্গে দেখা করতে বাধ্য করল

28 অবশালোম পুরো দু বছর জেরুশালেমে ছিল। এই সময়ে রাজা দায়ূদের সঙ্গে তার দেখা করার অনুমতি ছিল না। 29 অবশালোম যোয়াবের কাছে বার্তাবাহক পাঠালো। বার্তাবাহক যোয়াবকে বলল অবশালোমকে রাজার কাছে পাঠাতে। কিন্তু যোয়াব অবশালোমের কাছে এলেন না। দ্বিতীয়বার অবশালোম খবর পাঠাল। এবারও যোয়াব এলেন না।

30 তখন অবশালোম তার ভৃত্যদের বলল, “দেখ, আমার জমির পাশেই যোয়াবের জমি। সে তার ক্ষেতে যব ফলিয়েছে। তোমরা গিয়ে আগুন ধরিয়ে দাও।”

তখন অবশালোমের ভৃত্যরা গিয়ে যোয়াবের জমিতে আগুন ধরিয়ে দিল। 31 যোয়াব অবশালোমের বাড়ী এলেন। যোয়াব অবশালোমকে বললেন, “কেন তোমার ভৃত্যরা আমার জমিতে আগুন দিয়েছে?”

32 অবশালোম যোয়াবকে বলল, “আমি তোমাকে একটা খবর পাঠিয়েছিলাম, এখানে আসতে বলেছিলাম। আমি তোমাকে রাজার কাছে পাঠাতে চেয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম তুমি তাঁকে জিজ্ঞাসা কর কেন তিনি আমাকে গশূর থেকে ঘরে ফিরে আসতে বলেছিলেন। যেহেতু আমার তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই, কাজেই আমার পক্ষে সেখানে থেকে যাওয়াই ভাল হত। এখন আমাকে রাজার সঙ্গে দেখা করতে দাও। যদি আমি কোন অন্যায় করে থাকি, তবে তিনি আমায় হত্যা করতে পারেন।”

রাজা দায়ূদের সঙ্গে অবশালোম দেখা করলেন

33 যোয়াব রাজার কাছে এসে অবশালোমের সব কথা বললেন। রাজা অবশালোমকে ডেকে পাঠালেন। অবশালোম রাজার কাছে এলো। রাজার সামনে এসে অবশালোম মাটিতে নত হয়ে রাজাকে প্রণাম করল এবং রাজা অবশালোমকে চুম্বন করলেন।

প্রেরিত 21:15-26

15 এরপর আমরা প্রস্তুত হয়ে জেরুশালেমে রওনা হলাম। 16 কৈসরিয়া থেকে কয়েকজন অনুগামী (খ্রীষ্টানুসারী) আমাদের সঙ্গে চললেন। তারা ম্লাসোন নামে একজন লোকের বাড়িতে আমাদের তুললেন। ইনি ছিলেন কুপ্রের লোক, গোড়ায় যাঁরা খ্রীষ্টানুসারী হয়েছিলেন, ইনি তাঁদের অন্যতম। তাঁর বাড়ীতে আমাদের নিয়ে যাওয়া হল যাতে আমরা সেখানে থাকতে পারি।

যাকোবের সঙ্গে পৌলের সাক্ষাৎকার

17 জেরুশালেমের বিশ্বাসীরা আমাদের দেখে বড়ই খুশী হলেন। 18 পরদিন পৌল আমাদের নিয়ে যাকোবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। মণ্ডলীর প্রাচীনরা সেখানে ছিলেন। 19 সেখানে পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর পৌল তাঁর কাজের মাধ্যমে অইহুদীদের মধ্যে ঈশ্বর যেসব কাজ করেছেন তা বিস্তারিতভাবে জানালেন।

20 এই কথা শুনে তাঁরা ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগলেন। তাঁরা পৌলকে বললেন, “ভাই, আপনি তো জানেন, হাজার হাজার ইহুদী আজ খ্রীষ্টবিশ্বাসী হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের মোশির বিধি-ব্যবস্থা পালন করতে বড়ই উৎসাহী। 21 তারা আপনার বিষয়ে এই কথা শুনেছে যে অইহুদীদের মধ্যে বাসকারী প্রবাসী ইহুদীদের আপনি নাকি মোশির বিধি-ব্যবস্থা অনুসারে চলতে বারণ করেন। আপনি তাদের ছেলেদের সুন্নত করা বা ইহুদী রীতিনীতি মেনে চলা নাকি নিষেধ করেন!

22 “আমরা কি করব? তারা নিশ্চয় শুনবে যে আপনি এখানে আছেন। 23 তাই আমরা যা বলি আপনি তাই করুন। আমাদের মধ্যে চারজন লোকের একটা মানত আছে। 24 আপনি তাদের সঙ্গে নিয়ে শুচিকরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিন, এজন্য তাদের যা খরচ পড়ে আপনি তা দিয়ে দিন। আর তারা যেন তাদের মাথা নেড়া করে। তাহলে সকলে জানবে যে আপনার বিষয়ে যে সব কথা ওরা শুনেছে সে সব সত্য নয়, বরং আপনি নিজে মোশির বিধি-ব্যবস্থা যথারীতি পালন করেন।

25 “অইহুদীদের মধ্য থেকে যারা খ্রীষ্টবিশ্বাসী হয়েছে, তাদের উদ্দেশ্যে আমরা লিখেছি যে:

‘তারা যেন প্রতিমার প্রসাদ,

রক্ত, গলাটিপে মারা প্রাণীর মাংস না খায়

ও যৌন পাপ থেকে দুরে থাকে।’”

পৌল বন্দী হলেন

26 তখন পৌল সেই কয়েকজনকে নিয়ে তাদের সঙ্গে নিজেকে শুচি করলেন। তারপর মন্দিরে গিয়ে শুচিকরণ অনুষ্ঠান কত দিনে সম্পূর্ণ হবে ও তাদের প্রত্যেকের জন্য কবে নৈবেদ্য উৎসর্গ করা হবে তাও জানালেন।

মার্ক 10:17-31

একজন ধনী লোকের যীশুকে অনুসরণ করতে অস্বীকার

(মথি 19:16-30; লূক 18:18-30)

17 পরে তিনি বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় একজন লোক দৌড়ে এসে, তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে জিজ্ঞেস করলেন, “হে সৎ‌ গুরু, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমি কি করব?”

18 তখন যীশু তাকে বললেন, “তুমি কেন আমাকে সৎ‌ বলছ? ঈশ্বর ছাড়া আর কেউই সৎ‌ নয়। 19 তুমি তো ঈশ্বরের সব আদেশ জানো, ‘নরহত্যা কোরো না, ব্যভিচার কোরো না, চুরি কোরো না, বাবা-মাকে সম্মান কোরো।’”(A)

20 লোকটি তাঁকে বলল, “হে গুরু, ছোটবেলা থেকে এগুলো আমি পালন করে আসছি।”

21 যীশু লোকটির দিকে সস্নেহে তাকালেন এবং বললেন, “একটা বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে। যাও তোমার যা কিছু আছে বিক্রি কর; আর সেই অর্থ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দাও, তাতে তুমি স্বর্গে ধন পাবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ কর।”

22 এই কথায় সে মর্মাহত ও দুঃখিত হল এবং ম্লান মুখে চলে গেল, কারণ তার অনেক সম্পত্তি ছিল।

23 তখন যীশু চারদিকে তাকিয়ে শিষ্যদের বললেন, “যাদের ধন আছে তাদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা খুবই দুষ্কর!”

24 শিষ্যরা তাঁর কথা শুনে অবাক হলেন। যীশু আবার তাঁদের বললেন, “শোন, ঈশ্বরের রাজ্যে যাওয়া সত্যিই কষ্টকর। 25 একজন ধনী লোকের ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার চেয়ে বরং সূচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”

26 তখন তারা আরও আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, “তবে কারা উদ্ধার পেতে পারে?”

27 তখন যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “এটা মানুষের পক্ষে অসম্ভব; কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে নয়, কারণ সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের পক্ষে সম্ভব।”

28 তখন পিতর তাঁকে বলতে লাগলেন, “দেখুন! আমরা সবকিছু ত্যাগ করে আপনার অনুসারী হয়েছি।”

29 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি যে কেউ আমার জন্য বা আমার সুসমাচার প্রচারের জন্য বাড়িঘর, ভাইবোন, মা-বাবা, ছেলেমেয়ে জমিজমা ছেড়ে এসেছে, 30 তার বদলে সে এই জগতে তার শতগুণ ফিরে পাবে। তাকে তাড়না ভোগ করতে হলেও এই জগতে শতগুণ বাড়িঘর, ভাইবোন, মা, ছেলেমেয়ে এবং জমিজমা পাবে, আর পরবর্তী যুগে পাবে অনন্ত জীবন। 31 কিন্তু আজ যারা প্রথম, এমন অনেক লোক শেষে পড়বে এবং যারা আজ শেষের তাদের মধ্যে অনেকে প্রথম হবে।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International