Book of Common Prayer
97 প্রভু শাসন করেন, তাই পৃথিবী সুখী।
দূরদূরান্তের ভূখণ্ডও সুখী।
2 ঘন কালো মেঘ প্রভুকে ঘিরে রয়েছে।
সুবিচার এবং ধার্ম্মিকতা তাঁর রাজ্যকে দৃঢ় করে।
3 একটা আগুন প্রভুর আগে আগে যায়
এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করে।
4 তাঁর বিদ্যুৎ আকাশে ঝলক দিয়ে ওঠে।
তা দেখে লোকে ভয় পায়।
5 পর্বতও প্রভুর সামনে মোমের মত গলে যায়।
সমগ্র পৃথিবীর প্রভুর সামনে তারা গলে যায়!
6 আকাশ তাঁর ধার্ম্মিকতার কথা বলে!
প্রত্যেকে তাঁর মহিমা দেখুক!
7 লোকরা তাদের মূর্ত্তিকে পূজা করে।
ওরা ওদের “দেবতার” বড়াই করে।
কিন্তু ওই লোকগুলো লজ্জিত হবে।
ওদের “দেবতারাই” মাথা নত করে প্রভুর উপাসনা করবে।
8 সিয়োন, শোন এবং সুখী হও!
যিহূদার শহরসমূহ, সুখী হও!
কেন? কারণ ঈশ্বর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেন।
9 হে পরাৎপর প্রভু, প্রকৃতই আপনি পৃথিবীর শাসনকর্তা।
“দেবতাদের” চেয়ে আপনি অনেক ভালো।
10 যারা প্রভুকে ভালোবাসে, তারা মন্দকে ঘৃণা করবে।
ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
11 ধার্ম্মিক লোকদের ওপর আলো ও সুখ উদ্ভাসিত হয়।
12 হে ধার্ম্মিক লোকরা, প্রভুতে সুখী হও!
তাঁর পবিত্র নামের সম্মান কর!
99 প্রভুই রাজা।
তাই জাতিগুলোকে ভয়ে কাঁপতে দাও।
করূব দূতদের ওপরে ঈশ্বর একজন রাজার মত বসেন।
তাই পৃথিবীকে ভয়ে কেঁপে উঠতে দাও।
2 সিয়োনে প্রভু মহান!
সমগ্র জাতির ওপরে তিনি একজন মহান নেতা।
3 সমস্ত লোক আপনার প্রশংসা করুক।
ঈশ্বরের নাম ভীতিপ্রদ।
ঈশ্বরই পবিত্র।
4 শক্তিশালী রাজা ন্যায় বিচার পছন্দ করে।
ঈশ্বর, আপনিই ধার্ম্মিকতা সৃষ্টি করেছেন।
আপনিই যাকোবকে ধার্ম্মিকতা এবং ন্যায়নীতি দিয়েছিলেন।
5 আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর
এবং তাঁর পবিত্র পাদপীঠে[a] উপাসনা কর।
6 মোশি ও হারোণ তাঁর বহু যাজকদের মধ্যে দু’জন
এবং শমূয়েলও তাঁর নাম উচ্চারণকারীদের একজন।
ওরা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলো
এবং প্রভু ওদের উত্তর দিয়েছেন।
7 দীর্ঘ মেঘের ভেতর থেকে ঈশ্বর কথা বলেছেন।
ওরাও তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করেছিল।
ঈশ্বর ওদের বিধি প্রদান করেছিলেন।
8 প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন।
আপনি ওদের দেখিয়েছেন যে আপনিই ক্ষমাশীল ঈশ্বর
এবং মানুষ মন্দ কাজ করে বলে আপনি মানুষকে শাস্তি দেন।
9 আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
তাঁর পবিত্র পর্বতের দিকে মাথা নত কর এবং তাঁর উপাসনা কর।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, সত্যিই পবিত্র!
একটি ধন্যবাদার্হ গীত।
100 হে পৃথিবী, প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও!
2 যখন তুমি প্রভুর সেবা কর তখন আনন্দিত থেকো!
আনন্দ গীত গাইতে গাইতে প্রভুর সামনে এসো!
3 এটা জেনো যে প্রভুই ঈশ্বর।
তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
আমরা তাঁরই মেষের পাল।
4 ধন্যবাদের গীত গাইতে গাইতে তাঁর শহরে এসো।
প্রশংসা গীত গাইতে গাইতে তাঁর মন্দিরে এসো।
তাঁকে সম্মান কর, তাঁর নামকে ধন্য কর।
5 প্রভু ভালো!
তাঁর ভালোবাসা চিরন্তন।
আমরা সর্বদাই তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারি!
94 প্রভু, আপনিই সেই ঈশ্বর যিনি আসেন এবং লোকেদের শাস্তি দেন।
আপনি সেই ঈশ্বর যিনি মানুষের জন্য শাস্তি নিয়ে আসেন।
2 আপনিই সারা পৃথিবীর বিচারক।
উদ্ধত লোকদের যে শাস্তি প্রাপ্য তা আপনি ওদের দিন।
3 প্রভু, দুষ্ট লোকরা আর কতকাল ধরে উল্লাস করবে?
আরও কতদিন প্রভু?
4 আরও কতদিন ধরে ওই দুষ্কৃতকারীরা
তাদের দুষ্কৃতির বড়াই করে যাবে?
5 প্রভু, ওরা আপনার লোকদের আঘাত করে।
ওরা আপনার লোকদের কষ্ট দিয়েছে।
6 আমাদের দেশে যে সব বিধবা ও বিদেশী থাকে, ওই দুর্জনরা তাদের হত্যা করে।
অনাথদেরও ওরা খুন করে।
7 ওরা বলে, ওরা যে সব মন্দ কাজ করে প্রভু তা দেখেন না!
ওরা বলে কি ঘটেছে ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাও জানে না।
8 তোমরা নিষ্ঠুর লোকরা সত্যই নির্বোধ মানুষ!
আর কবে তোমরা শিক্ষা লাভ করবে?
তোমরা মন্দ লোকরা সত্যি অপগণ্ড!
তোমরা অবশ্যই বোঝবার চেষ্টা কর।
9 ঈশ্বর আমাদের কান সৃষ্টি করেছেন,
তাই নিশ্চয়ই তাঁরও কান রয়েছে এবং তিনি শুনতেও পান কি ঘটছে!
ঈশ্বর আমাদের চোখ দিয়েছেন,
তাই নিশ্চিতভাবে কি ঘটছে তা তিনি দেখতে পান!
10 ঈশ্বর ওই লোকদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা আনবেন।
ওই লোকেরা কি করবে তা ঈশ্বরই ওদের শেখাবেন।
11 মানুষ কি ভাবছে তাও ঈশ্বর জানেন।
ঈশ্বর জানেন যে মানুষ বাতাসের একটি ফুৎকারের মত।
12 প্রভু যে লোককে নিয়মানুবর্তী করেন সে সত্যই সুখী হবে।
ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকার প্রকৃত পথ কি তা দেখাবেন।
13 ঈশ্বর, সংকটের সময় যে লোক শান্ত থাকে তাকেই আপনি সাহায্য করবেন।
মন্দ লোকেদের যতক্ষণ পর্যন্ত না কবরে পাঠানো হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবেন।
14 প্রভু তাঁর লোকদের ত্যাগ করবেন না।
সাহায্য না করে তিনি ওদের ত্যাগ করবেন না।
15 ন্যায্য বিচার ফিরে আসবে এবং ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে আসবে।
তারপর সৎ এবং ভাল লোকরা অবশ্যই থাকবে।
16 মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কেউই আমায় সাহায্য করে নি।
যারা মন্দ কাজ করে, তাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য কোন লোক আমার পাশে দাঁড়ায় নি।
17 যদি প্রভু আমায় সাহায্য না করতেন
আমি এতদিনে কবরের গর্ভে নীরব হয়ে যেতাম।
18 আমি জানি আমি পতনোন্মুখ ছিলাম,
কিন্তু প্রভু তাঁর অনুগামীদের সাহায্য করেছেন।
19 আমি প্রচণ্ড চিন্তিত ও বিমর্ষ ছিলাম।
কিন্তু প্রভু, আপনি আমায় সান্ত্বনা দিয়ে আমায় সুখী করেছেন!
20 ঈশ্বর আপনি ক্রুর বিচারকদের সাহায্য করবেন না।
তাই মন্দ বিচারকরা মানুষের জীবনকে আরও কঠিনতর করার জন্য নিয়ম ব্যবহার করে।
21 ওই বিচারকরা ধার্ম্মিক লোকদের আক্রমণ করে।
ওরা নিরপরাধ লোকদের দোষী বলে বিচার করে এবং ওদের হত্যা করে।
22 কিন্তু পর্বতগুলির সু-উচ্চে প্রভুই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
ঈশ্বর আমার শিলা, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
23 মন্দ কাজ করার জন্য ঈশ্বর ওই দুষ্ট বিচারকদের শাস্তি দেবেন।
পাপ করেছে বলে ঈশ্বর ওদের ধ্বংস করবেন।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, ওই দুষ্ট বিচারকদের ধ্বংস করবেন।
95 এস, আমরা প্রভুর প্রশংসা করি!
যে শিলা আমাদের রক্ষা করেন তাঁর উদ্দেশ্যে আমরা উচ্চস্বরে প্রশংসাধ্বনি দিই।
2 আমরা প্রভুর উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের গান গাই।
তাঁর প্রশংসায় আমরা আনন্দগান গাই।
3 কেন? কারণ প্রভুই মহান ঈশ্বর!
তিনিই সেই মহান রাজা যিনি সকল “দেবতাদের” শাসন করছেন।
4 গভীরতম গুহা, উচ্চতম পর্বত, সবই প্রভুর।
5 সমুদ্রও তাঁরই—তিনিই তা সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বর তাঁর নিজের হাতে এই শুকনো জমি সৃষ্টি করেছেন।
6 এস, আমরা অবনত হয়ে তাঁর উপাসনা করি!
যে প্রভু আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রশংসা করি!
7 কেন? কারণ যদি আমরা তাঁর কন্ঠ শুনি
তাহলে তিনি আমাদের ঈশ্বর হবেন
এবং আমরা হব সেই লোকেরা যাদের তিনি খাদ্য জোগান,
আমরা হব সেই মেষ যাদের তিনি স্বহস্তে নেতৃত্ব দেন।
8 ঈশ্বর বলেন, “মরীবাতে তোমরা যেমন অবাধ্য হয়েছিলে,
মঃসার মরুপ্রান্তরে যেমন হয়েছিল, তেমন হয়ো না।
9 তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমায় পরীক্ষা করেছে।
ওরা আমাকে পরীক্ষা করেছিলো কিন্তু এই সময় ওরা দেখেছিলো আমি কি করতে পারি!
10 40 বছর ধরে আমি ওদের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ করেছি।
আমি জানি যে ওরা বিশ্বাসী নয়।
ওরা আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করতে অগ্রাহ্য করেছে।
11 তাই ওদের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি কথা দিয়েছিলাম যে,
‘ওরা আমার বিশ্রামের স্থানে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না।’”
যোয়াব দায়ূদের কাছে একজন জ্ঞানী মহিলাকে পাঠালেন
14 সরূয়ার পুত্র যোয়াব জানতেন যে রাজা দায়ূদ প্রচণ্ডভাবে অবশালোমের অভাব বোধ করছেন। 2 যোয়াব তকোয়েতে সেখান থেকে একজন জ্ঞানী মহিলাকে আনতে আদেশ দিয়ে বার্তাবাহকদের পাঠালেন। যোয়াব সেই জ্ঞানী মহিলাকে বললেন, “প্রচণ্ড দুঃখের ভান কর এবং বিমর্ষ লাগে এমন জামাকাপড় পর। একদম সাজ-গোজ করো না। এমন নিপুণ অভিনয় করবে যেন দেখে মনে হয়, তুমি দীর্ঘদিন ধরে কাঁদছ। 3 রাজার কাছে যাও এবং তাকে ঠিক এ কথাগুলোই বলবে যা আমি তোমায় শিখিয়ে দিচ্ছি।” তারপর যোয়াব, সেই জ্ঞানী মহিলাটিকে কি কি বলতে হবে তা বলে দিলেন।
4 তখন তকোয়ের সেই মহিলা রাজার সঙ্গে কথা বলল। মাটির দিকে মাথা নত করে সে বলল, “রাজা, দয়া করে আমায় বাঁচান।”
5 রাজা দায়ূদ তাকে বললেন, “তোমার সমস্যা কি?”
মহিলা বলল, “আমি একজন বিধবা। আমার স্বামী মারা গেছে। 6 আমার দুটি পুত্র ছিল। তারা মাঠে লড়াই করছিল। তাদের বাধা দেবার মত কেউ ছিল না। আমার এক পুত্র আর এক পুত্রকে হত্যা করেছে। 7 এখন গোটা পরিবার আমার বিরুদ্ধে। তারা আমাকে বলল, ‘সেই পুত্রকে নিয়ে এসো যে তার ভাইকে মেরেছে—আমরাও তাকে মেরে ফেলবো। কেন? কারণ সে তার ভাইকে হত্যা করেছে।’ আমার আগুনের শেষ স্ফুলিঙ্গের মত যদি ওরা আমার পুত্রকে মেরে ফেলে তাহলে সেই আগুন জ্বলে শেষ হয়ে যাবে। সেই একমাত্র জীবিত সন্তান যে তার পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। অন্যাথায়, আমার স্বামীর সম্পত্তি ভুল হাতে পড়বে এবং তার নাম সেই জমি থেকে মুছে যাবে।”
8 তখন রাজা সেই মহিলাকে বললেন, “বাড়ী চলে যাও, আমি তোমার বিষয়গুলি দেখব।”
9 তকোয়ের মহিলা রাজাকে বলল, “আমার মনিব এবং রাজা, সব দোষ আমার ওপর এবং আমার পরিবারের ওপর আসুক। আপনি এবং আপনার রাজত্ব নির্দোষ হোক্।”
10 রাজা দায়ূদ বললেন, “কেউ যদি তোমাকে খারাপ কিছু বলে, তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। সে দ্বিতীয়বার তোমাকে জ্বালাতন করবে না।”
11 মহিলা বলল, “আপনার প্রভু ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলুন যে আপনি সেই সব লোকদের বাধা দেবেন। তারা আমার পুত্রকে তার ভাইকে হত্যা করার জন্য শাস্তি দিতে চাইছে। আপনি শপথ করুন যে ঐ লোকদের আপনি আমার পুত্রকে হত্যা করতে দেবেন না।”
দায়ূদ বললেন, “অস্তিত্বময় প্রভুর নামে শপথ নিয়ে বলছি, কেউ তোমার পুত্রের ক্ষতি করতে পারবে না। এমনকি তার মাথার একটা চুলও মাটিতে পড়বে না।”
12 মহিলা বলল, “হে আমার মনিব এবং রাজা, আপনাকে আর কয়েকটা কথা বলতে দিন।”
রাজা বললেন, “বল।”
13 তারপর সেই মহিলা বলল, “কেন আপনি ঈশ্বরের লোকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন? হ্যাঁ, যখন আপনি এই ধরণের কথাবার্তা বলেন তখন আপনি বুঝিয়ে দেন যে আপনি অপরাধী। কেন? কারণ যে সন্তানকে আপনি ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন, তাকে আপনি ঘরে ফিরিয়ে আনেন নি। 14 আমরা প্রত্যেকেই একদিন না একদিন মরব। আমরা প্রত্যেকেই মাটিতে ফেলে দেওয়া জলের মত হব। সেই জলকে কেউই পুনরায় মাটি থেকে তুলে আনতে পারে না। আপনি জানেন ঈশ্বর মানুষকে ক্ষমা করেন। যারা নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, ঈশ্বর তাদের জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন। ঈশ্বর তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে যাবার জন্য কাউকে বাধ্য করেন না। 15 হে আমার মনিব এবং রাজা এই কথাই আমি আপনাকে বলতে এসেছি। কেন? কারণ লোকরা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। আমি নিজেকেই বললাম, ‘আমি রাজার সঙ্গে কথা বলব। হয়তো রাজা আমাকে সাহায্য করতে পারবেন। 16 রাজা আমার কথা শুনবেন এবং যারা আমাকে ও আমার পুত্রকে মেরে ফেলতে চাইছে তাদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করবেন। ঈশ্বর আমাদের যা দিয়েছিলেন, সেই লোকটি তা পাওয়া থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে চায়।’ 17 আমি জানি আমার মনিব রাজার কথা আমাকে স্বস্তি দেবে, কারণ আপনি ঈশ্বরের দূতের মত। আপনি ভাল এবং মন্দ দুটো বিষয়েই অবগত আছেন এবং প্রভু, আপনার ঈশ্বর আপনার সঙ্গেই উপস্থিত আছেন।”
18 রাজা দায়ূদ প্রত্যুত্তরে সেই মহিলাকে বললেন, “আমি যে প্রশ্ন করব তুমি অবশ্যই তার উত্তর দেবে।”
মহিলাটি বলল, “হে গুরু, আমার রাজা, আপনার প্রশ্ন করুন।”
19 রাজা দায়ূদ জিজ্ঞাসা করলেন, “যোয়াব কি তোমাকে এইসব কথা বলতে বলেছে?”
মহিলা উত্তর দিল, “আপনার দিব্যি, হে আমার মনিব রাজা, আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনার আধিকারিক যোয়াবই আমাকে এইসব কথা আপনাকে বলতে বলেছে। 20 যোয়াব এই কাজগুলি করেছে যাতে আপনি এই ঘটনাগুলিকে অন্যভাবে দেখতে পান। হে আমার মনিব, আপনি ঈশ্বরের দূতের মতই জ্ঞানী। এই পৃথিবীতে যা যা ঘটে আপনি তার সবই জানেন।”
পৌলের জেরুশালেম যাত্রা
21 ইফিষের মণ্ডলীর প্রাচীনদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা সমুদ্র পথে সোজা কো দ্বীপে এলাম। পরদিন আমরা রোদঃ দ্বীপে গেলাম। রোদঃ থেকে পাতারায় চলে গেলাম। 2 পাতারায় এমন একটি জাহাজ পেলাম যা পার হয়ে ফৈনীকিয়া অঞ্চলে যাবে। আমরা সেই জাহাজে চড়ে যাত্রা করলাম।
3 পরে আমরা যাবার পথে কুপ্র দ্বীপের কাছে এলাম। আমাদের উত্তরদিকে দ্বীপটিকে দেখতে পাচ্ছিলাম; কিন্তু সেখানে আমরা জাহাজ ভেড়ালাম না। 4 আমরা সুরিয়ার দিকে এগিয়ে গেলাম, সোর শহরে জাহাজ থামানো হল, কারণ সেখানে জাহাজ থেকে কিছু মাল নামানোর ছিল। আমরা সেখানে কিছু খ্রীষ্টানুসারীর দেখা পেয়ে তাঁদের সঙ্গে সাতদিন কাটালাম। পবিত্র আত্মার মাধ্যমে তাঁরা পৌলকে জেরুশালেম যেতে নিষেধ করলেন। 5 কিন্তু সেখানে থাকার সময় শেষ হলে আমরা রওনা দিলাম এবং যাত্রাপথে এগিয়ে চললাম। সেখানকার খ্রীষ্টানুসারীরা সকলে নিজেদের পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে এসে আমাদের বিদায় জানাতে শহরের বাইরে এলেন। সেখানে সমুদ্রতীরে আমরা হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করে পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। 6 এরপর আমরা জাহাজে উঠলাম আর তাঁরা বাড়ি ফিরে গেলেন।
7 সোর থেকে যাত্রা করে আমরা তলিমায়িতে পৌঁছালাম। আর সেখানকার খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ভাইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের সঙ্গে একদিন থাকলাম। 8 পরের দিন আমরা তলিমায়ি থেকে রওনা হয়ে কৈসরিয়ায় এলাম। সেখানে সুসমাচার প্রচারক ফিলিপের বাড়িতে উঠলাম। ইনি সেই সাতজন মনোনীত লোকদের মধ্যে একজন। আমরা সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকলাম। 9 এই ফিলিপের চারটি কুমারী কন্যা ছিলেন, এরা ভাববাণী বলতে পারতেন।
10 সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর যিহূদিয়া থেকে আগাব নামে একজন ভাববাদী এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন। 11 তিনি আমাদের কাছে এসে পৌলের কোমর বন্ধনীটি নিয়ে নিজের হাত পা বেঁধে বললেন, “পবিত্র আত্মা এই কথা বলছেন, ‘এই কোমর বন্ধনীটি যার তাকে জেরুশালেমের ইহুদীরা এইভাবে বেঁধে অইহুদীদের হাতে তুলে দেবে।’”
12 সেই কথা শুনে আমরা ও যীশুর অন্য অনুগামীরা পৌলকে অনুরোধ করলাম যেন তিনি জেরুশালেমে না যান। 13 পৌল এর জবাবে বললেন, “তোমরা এ কি করছ? তোমরা এভাবে কান্নাকাটি করে আমার হৃদয় কি ভেঙে দিচ্ছ না? খ্রীষ্টের নামের জন্য আমি জেরুশালেমে কেবল শৃঙ্খলাবদ্ধ হবার জন্য যাব তাই নয়, আমি সেখানে মরতেও প্রস্তুত!”
14 তাঁকে যখন আমরা জেরুশালেমে যাওয়া থেকে বিরত করতে পারলাম না, তখন আর অনুরোধ না করে চুপ করে গেলাম আর বললাম, “প্রভুর ইচ্ছাই পূর্ণ হোক্।”
বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(মথি 19:1-12)
10 এরপর যীশু সেই স্থান ছেড়ে যর্দন নদীর অন্য পাড়ে যিহূদিয়ার অঞ্চলে এলেন। আবার লোকরা তাঁর কাছে এল এবং তিনি তাঁর রীতি অনুসারে তাদের শিক্ষা দিলেন।
2 তখন কয়েকজন ফরীশী তাঁর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “একটি লোকের পক্ষে তার স্ত্রীকে ত্যাগ করা কি আইনত ঠিক?” তাঁরা তাঁকে পরীক্ষা করার জন্যই এই কথা জিজ্ঞাসা করলেন।
3 যীশু তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন “এই ব্যাপারে মোশি তোমাদের কি নির্দেশ দিয়েছেন?”
4 তাঁরা বললেন, “বিবাহ বিচ্ছেদ পত্র লিখে নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করবার অনুমতি মোশি দিয়েছেন।”[a]
5 যীশু তাঁদের বললেন, “তোমাদের কঠিন মনের জন্য তিনি আজ্ঞা লিখেছিলেন। 6 কিন্তু সৃষ্টির প্রথম থেকেই ‘ঈশ্বর স্ত্রী পুরুষ হিসাবে তাদের তৈরী করেছেন।’(A) 7 ‘সেইজন্যই মানুষ তার বাবা-মাকে ত্যাগ করে স্ত্রীর প্রতি আসক্ত হয়, 8 আর ঐ দুজন একদেহে পরিণত হয়।’(B) তখন তারা আর দুজন নয়, তারা এক। 9 অতএব ঈশ্বর যাদের যোগ করে দিয়েছেন, মানুষ তাদের বিচ্ছিন্ন না করুক।”
10 তারা বাড়িতে এলে শিষ্যেরা তাঁকে সেই বিষয় জিজ্ঞাসা করলেন। 11 যীশু তাদের বললেন, “কেউ যদি নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করে অন্য কাউকে বিয়ে করে তবে সে তার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে। 12 যদি সেই স্ত্রীলোকটি নিজের স্বামীকে ত্যাগ করে আর একজনকে বিয়ে করে সেও ব্যভিচার করে।”
যীশু ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আশীর্বাদ করলেন
(মথি 19:13-15; লূক 18:15-17)
13 পরে লোকরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের তাঁর কাছে নিয়ে এল, যেন তিনি তাদের স্পর্শ করেন: কিন্তু শিষ্যরা তাদের ধমক দিলেন। 14 যীশু তা দেখে ক্রুদ্ধ হলেন এবং তাদের বললেন, “ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও। তাদের বারণ করো না, কারণ এদের মত লোকদের জন্যই তো ঈশ্বরের রাজ্য। 15 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি ছোট ছেলেমেয়েদের মন নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্য গ্রহণ না করে, তবে সে কোনমতেই সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না।” 16 এরপর তিনি তাদের কোলে নিলেন এবং তাদের ওপর হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International