Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 97

97 প্রভু শাসন করেন, তাই পৃথিবী সুখী।
    দূরদূরান্তের ভূখণ্ডও সুখী।
ঘন কালো মেঘ প্রভুকে ঘিরে রয়েছে।
    সুবিচার এবং ধার্ম্মিকতা তাঁর রাজ্যকে দৃঢ় করে।
একটা আগুন প্রভুর আগে আগে যায়
    এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করে।
তাঁর বিদ্যুৎ আকাশে ঝলক দিয়ে ওঠে।
    তা দেখে লোকে ভয় পায়।
পর্বতও প্রভুর সামনে মোমের মত গলে যায়।
    সমগ্র পৃথিবীর প্রভুর সামনে তারা গলে যায়!
আকাশ তাঁর ধার্ম্মিকতার কথা বলে!
    প্রত্যেকে তাঁর মহিমা দেখুক!

লোকরা তাদের মূর্ত্তিকে পূজা করে।
    ওরা ওদের “দেবতার” বড়াই করে।
কিন্তু ওই লোকগুলো লজ্জিত হবে।
    ওদের “দেবতারাই” মাথা নত করে প্রভুর উপাসনা করবে।
সিয়োন, শোন এবং সুখী হও!
    যিহূদার শহরসমূহ, সুখী হও!
    কেন? কারণ ঈশ্বর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেন।
হে পরাৎ‌‌পর প্রভু, প্রকৃতই আপনি পৃথিবীর শাসনকর্তা।
    “দেবতাদের” চেয়ে আপনি অনেক ভালো।
10 যারা প্রভুকে ভালোবাসে, তারা মন্দকে ঘৃণা করবে।
    ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের মন্দ লোকদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
11 ধার্ম্মিক লোকদের ওপর আলো ও সুখ উদ্ভাসিত হয়।
12 হে ধার্ম্মিক লোকরা, প্রভুতে সুখী হও!
    তাঁর পবিত্র নামের সম্মান কর!

গীতসংহিতা 99-100

99 প্রভুই রাজা।
    তাই জাতিগুলোকে ভয়ে কাঁপতে দাও।
করূব দূতদের ওপরে ঈশ্বর একজন রাজার মত বসেন।
    তাই পৃথিবীকে ভয়ে কেঁপে উঠতে দাও।
সিয়োনে প্রভু মহান!
    সমগ্র জাতির ওপরে তিনি একজন মহান নেতা।
সমস্ত লোক আপনার প্রশংসা করুক।
    ঈশ্বরের নাম ভীতিপ্রদ।
    ঈশ্বরই পবিত্র।
শক্তিশালী রাজা ন্যায় বিচার পছন্দ করে।
    ঈশ্বর, আপনিই ধার্ম্মিকতা সৃষ্টি করেছেন।
    আপনিই যাকোবকে ধার্ম্মিকতা এবং ন্যায়নীতি দিয়েছিলেন।
আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর
    এবং তাঁর পবিত্র পাদপীঠে[a] উপাসনা কর।
মোশি ও হারোণ তাঁর বহু যাজকদের মধ্যে দু’জন
    এবং শমূয়েলও তাঁর নাম উচ্চারণকারীদের একজন।
ওরা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলো
    এবং প্রভু ওদের উত্তর দিয়েছেন।
দীর্ঘ মেঘের ভেতর থেকে ঈশ্বর কথা বলেছেন।
    ওরাও তাঁর আজ্ঞাগুলো পালন করেছিল।
    ঈশ্বর ওদের বিধি প্রদান করেছিলেন।
প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আপনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন।
    আপনি ওদের দেখিয়েছেন যে আপনিই ক্ষমাশীল ঈশ্বর
    এবং মানুষ মন্দ কাজ করে বলে আপনি মানুষকে শাস্তি দেন।
আমাদের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
    তাঁর পবিত্র পর্বতের দিকে মাথা নত কর এবং তাঁর উপাসনা কর।
    প্রভু আমাদের ঈশ্বর, সত্যিই পবিত্র!

একটি ধন্যবাদার্হ গীত।

100 হে পৃথিবী, প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও!
যখন তুমি প্রভুর সেবা কর তখন আনন্দিত থেকো!
    আনন্দ গীত গাইতে গাইতে প্রভুর সামনে এসো!
এটা জেনো যে প্রভুই ঈশ্বর।
    তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
    আমরা তাঁরই মেষের পাল।
ধন্যবাদের গীত গাইতে গাইতে তাঁর শহরে এসো।
    প্রশংসা গীত গাইতে গাইতে তাঁর মন্দিরে এসো।
    তাঁকে সম্মান কর, তাঁর নামকে ধন্য কর।
প্রভু ভালো!
    তাঁর ভালোবাসা চিরন্তন।
    আমরা সর্বদাই তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারি!

গীতসংহিতা 94-95

94 প্রভু, আপনিই সেই ঈশ্বর যিনি আসেন এবং লোকেদের শাস্তি দেন।
    আপনি সেই ঈশ্বর যিনি মানুষের জন্য শাস্তি নিয়ে আসেন।
আপনিই সারা পৃথিবীর বিচারক।
    উদ্ধত লোকদের যে শাস্তি প্রাপ্য তা আপনি ওদের দিন।
প্রভু, দুষ্ট লোকরা আর কতকাল ধরে উল্লাস করবে?
    আরও কতদিন প্রভু?
আরও কতদিন ধরে ওই দুষ্কৃতকারীরা
    তাদের দুষ্কৃতির বড়াই করে যাবে?
প্রভু, ওরা আপনার লোকদের আঘাত করে।
    ওরা আপনার লোকদের কষ্ট দিয়েছে।
আমাদের দেশে যে সব বিধবা ও বিদেশী থাকে, ওই দুর্জনরা তাদের হত্যা করে।
    অনাথদেরও ওরা খুন করে।
ওরা বলে, ওরা যে সব মন্দ কাজ করে প্রভু তা দেখেন না!
    ওরা বলে কি ঘটেছে ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাও জানে না।

তোমরা নিষ্ঠুর লোকরা সত্যই নির্বোধ মানুষ!
    আর কবে তোমরা শিক্ষা লাভ করবে?
তোমরা মন্দ লোকরা সত্যি অপগণ্ড!
    তোমরা অবশ্যই বোঝবার চেষ্টা কর।
ঈশ্বর আমাদের কান সৃষ্টি করেছেন,
    তাই নিশ্চয়ই তাঁরও কান রয়েছে এবং তিনি শুনতেও পান কি ঘটছে!
ঈশ্বর আমাদের চোখ দিয়েছেন,
    তাই নিশ্চিতভাবে কি ঘটছে তা তিনি দেখতে পান!
10 ঈশ্বর ওই লোকদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা আনবেন।
    ওই লোকেরা কি করবে তা ঈশ্বরই ওদের শেখাবেন।
11 মানুষ কি ভাবছে তাও ঈশ্বর জানেন।
    ঈশ্বর জানেন যে মানুষ বাতাসের একটি ফুৎ‌কারের মত।

12 প্রভু যে লোককে নিয়মানুবর্তী করেন সে সত্যই সুখী হবে।
    ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকার প্রকৃত পথ কি তা দেখাবেন।
13 ঈশ্বর, সংকটের সময় যে লোক শান্ত থাকে তাকেই আপনি সাহায্য করবেন।
    মন্দ লোকেদের যতক্ষণ পর্যন্ত না কবরে পাঠানো হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবেন।
14 প্রভু তাঁর লোকদের ত্যাগ করবেন না।
    সাহায্য না করে তিনি ওদের ত্যাগ করবেন না।
15 ন্যায্য বিচার ফিরে আসবে এবং ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে আসবে।
    তারপর সৎ‌ এবং ভাল লোকরা অবশ্যই থাকবে।

16 মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কেউই আমায় সাহায্য করে নি।
    যারা মন্দ কাজ করে, তাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য কোন লোক আমার পাশে দাঁড়ায় নি।
17 যদি প্রভু আমায় সাহায্য না করতেন
    আমি এতদিনে কবরের গর্ভে নীরব হয়ে যেতাম।
18 আমি জানি আমি পতনোন্মুখ ছিলাম,
    কিন্তু প্রভু তাঁর অনুগামীদের সাহায্য করেছেন।
19 আমি প্রচণ্ড চিন্তিত ও বিমর্ষ ছিলাম।
    কিন্তু প্রভু, আপনি আমায় সান্ত্বনা দিয়ে আমায় সুখী করেছেন!

20 ঈশ্বর আপনি ক্রুর বিচারকদের সাহায্য করবেন না।
    তাই মন্দ বিচারকরা মানুষের জীবনকে আরও কঠিনতর করার জন্য নিয়ম ব্যবহার করে।
21 ওই বিচারকরা ধার্ম্মিক লোকদের আক্রমণ করে।
    ওরা নিরপরাধ লোকদের দোষী বলে বিচার করে এবং ওদের হত্যা করে।
22 কিন্তু পর্বতগুলির সু-উচ্চে প্রভুই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
    ঈশ্বর আমার শিলা, আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
23 মন্দ কাজ করার জন্য ঈশ্বর ওই দুষ্ট বিচারকদের শাস্তি দেবেন।
    পাপ করেছে বলে ঈশ্বর ওদের ধ্বংস করবেন।
    প্রভু আমাদের ঈশ্বর, ওই দুষ্ট বিচারকদের ধ্বংস করবেন।

95 এস, আমরা প্রভুর প্রশংসা করি!
    যে শিলা আমাদের রক্ষা করেন তাঁর উদ্দেশ্যে আমরা উচ্চস্বরে প্রশংসাধ্বনি দিই।
আমরা প্রভুর উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের গান গাই।
    তাঁর প্রশংসায় আমরা আনন্দগান গাই।
কেন? কারণ প্রভুই মহান ঈশ্বর!
    তিনিই সেই মহান রাজা যিনি সকল “দেবতাদের” শাসন করছেন।
গভীরতম গুহা, উচ্চতম পর্বত, সবই প্রভুর।
সমুদ্রও তাঁরই—তিনিই তা সৃষ্টি করেছেন।
    ঈশ্বর তাঁর নিজের হাতে এই শুকনো জমি সৃষ্টি করেছেন।
এস, আমরা অবনত হয়ে তাঁর উপাসনা করি!
    যে প্রভু আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রশংসা করি!
কেন? কারণ যদি আমরা তাঁর কন্ঠ শুনি
    তাহলে তিনি আমাদের ঈশ্বর হবেন
    এবং আমরা হব সেই লোকেরা যাদের তিনি খাদ্য জোগান,

আমরা হব সেই মেষ যাদের তিনি স্বহস্তে নেতৃত্ব দেন।
ঈশ্বর বলেন, “মরীবাতে তোমরা যেমন অবাধ্য হয়েছিলে,
    মঃসার মরুপ্রান্তরে যেমন হয়েছিল, তেমন হয়ো না।
তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমায় পরীক্ষা করেছে।
    ওরা আমাকে পরীক্ষা করেছিলো কিন্তু এই সময় ওরা দেখেছিলো আমি কি করতে পারি!
10 40 বছর ধরে আমি ওদের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ করেছি।
    আমি জানি যে ওরা বিশ্বাসী নয়।
    ওরা আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করতে অগ্রাহ্য করেছে।
11 তাই ওদের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি কথা দিয়েছিলাম যে,
    ‘ওরা আমার বিশ্রামের স্থানে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না।’”

1 শমূয়েল 6:1-16

ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হল

সাত মাস পলেষ্টীয়রা তাদের দেশে পবিত্র সিন্দুকটিকে রেখে দিয়েছিল। তারা যাজক আর যাদুকরদের ডাকল। তাদের জিজ্ঞাসা করল, “প্রভুর এই সিন্দুক নিয়ে আমাদের কি করা উচিৎ‌? কি করে আমরা সেটা যথাস্থানে ফিরিয়ে দিতে পারি?”

যাজক আর যাদুকররা বলল, “যদি তোমরা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক ফিরিয়ে দাও তাহলে কখনও তা খালি পাঠাবে না। অবশ্যই তোমরা নৈবেদ্য সাজিয়ে দেবে। তাহলেই ইস্রায়েলের ঈশ্বর তোমাদের পাপ মুক্ত করবেন। তোমরা সুস্থ হবে। যা বললাম তাই করো, তাহলে ঈশ্বর তোমাদের আর শাস্তি দেবেন না।”

পলেষ্টীয়রা জিজ্ঞেস করল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মার্জনা পেতে হলে কি ধরণের উপহার দিতে হবে?”

যাজক আর যাদুকররা বলল, “পাঁচজন পলেষ্টীয় শাসক রয়েছে। এরা প্রত্যেকে এক একটি শহরের নেতা। তোমাদের সমস্ত লোকের ও নেতাদের সমস্যা একই রকম। তাই এক কাজ করো, পাঁচটা সোনার ইঁদুর আর পাঁচটা টিউমার তৈরী করো। টিউমারগুলির এবং ইঁদুরের সোনার মূর্ত্তি তৈরী কর যা তোমাদের দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করো। তাহলে হয়তো তিনি তোমাদের আর তোমাদের দেবতাদের আর সেই সঙ্গে তোমাদের দেশের ওপর সমস্ত শাস্তি রদ করতে পারেন। ফরৌণ আর মিশরীয়দের মতো কখনও হৃদয় অনমনীয় করো না। ঈশ্বর মিশরীয়দের শাস্তি দিয়েছিলেন, আর সেই জন্যই মিশরীয়রা ইস্রায়েলীয়দের মিশর ছেড়ে চলে যেতে দিয়েছিল।

“তোমরা অবশ্যই একটা নতুন টানাগাড়ি তৈরী করো আর সদ্য বিয়োনো দুটো গাভী জোগাড় করো। গাভী দুটো যেন মাঠে কখনও কাজ না করে থাকে। ওদের গাড়ীর সঙ্গে জুড়ে দাও। তারপর বাছুরগুলোকে গোয়ালে পুরে দাও। কিছুতেই যেন তারা মায়েদের পিছু না নেয়। গাড়ীর মধ্যে এবার প্রভুর পবিত্র সিন্দুকটি রাখো। আর সিন্দুকের পাশে থলিতে সোনার ছাঁচগুলো রাখবে। সোনার ছাঁচগুলো ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের উপহার, যাতে তিনি তোমাদের ক্ষমা করেন। তারপর গাড়ীটা ছেড়ে দাও। গাড়ীটার দিকে লক্ষ্য রাখবে। যদি সেটা ইস্রায়েলের বৈৎ‌-শেমশের দিকে যায় তাহলেই বুঝবে প্রভু আমাদের এই ভয়ানক রোগ দিয়েছেন। আর যদি সোজাসুজি বৈৎ‌-শেমশের দিকে না যায় তবে জানবে যে ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমাদের শাস্তি দেন নি। তাহলে আমরা জানব আমাদের এমন রোগ এমনিই হয়েছে।”

10 পলেষ্টীয়রা যাজক ও যাদুকরদের কথামত কাজ করল। সদ্য বিয়োনো গাভী তারা পেয়ে গেল। গাভী দুটো গাড়ীর সঙ্গে জুড়ে দিল আর বাছুরদের গোয়ালে ঢুকিয়ে দিল। 11 তারপর পলেষ্টীয়রা ভেতরে রেখে দিল প্রভুর পবিত্র সিন্দুক। সোনার টিউমার আর ইঁদুরের ছাঁচগুলোর থলিটাও রেখে দিল। 12 গাভীদুটো সোজা বৈৎ‌-শেমশের দিকে গেল, সমস্ত রাস্তা তারা হাম্বা হাম্বা শব্দ করে চলল। ডাইনে কি বাঁয়ে একবারও ঘুরল না। পলেষ্টীয় শাসকরা বৈৎ‌-শেমশের সীমানা পর্যন্ত গাভী দুটোর পেছনে পেছনে গেল।

13 বৈৎ‌-শেমশের লোকরা উপত্যকার ক্ষেত্র থেকে গম তুলছিল। তারা পবিত্র সিন্দুকটা দেখে খুব খুশী হয়ে সিন্দুকটা পাবার জন্য ছুটে গেল। 14-15 মাঠটা ছিল বৈৎ‌-শেমশের বাসিন্দা যিহোশূয়ের। সেই মাঠের ওপর একটা বড় পাথরের কাছে এসে গাড়ীটা থামল। বৈৎ‌-শেমশের লোকরা গরুর গাড়ী থেকে গাড়ীটা আলাদা করে গাভী দুটোকে মেরে ফেলল এবং সেগুলো তারা প্রভুর কাছে নিবেদন করল।

লেবীয়রা প্রভুর পবিত্র সিন্দুক আর সোনার ছাঁচের থলেটা নামিয়ে আনল। তারা প্রভুর সিন্দুক আর থলেটা পাথরের ওপর রাখল। সেদিন বৈৎ‌-শেমশের লোকরা প্রভুকে হোমবলি নিবেদন করল।

16 পাঁচজন পলেষ্টীয় শাসক বৈৎ‌-শেমশে এই সমস্ত ক্রিয়াকাণ্ড দেখে সেদিনই ইক্রোণে ফিরে গেল।

প্রেরিত 5:27-42

27 তারা প্রেরিতদের নিয়ে এসে ইহুদী নেতাদের সামনে দাঁড় করালে মহাযাজক প্রেরিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। 28 তিনি বললেন, “ঐ মানুষটির বিষয়ে কোন শিক্ষা দিতে আমরা তোমাদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করেছিলাম। ভেবে দেখ তোমরা কি করেছ? তোমরা তোমাদের শিক্ষায় জেরুশালেম মাতিয়ে তুলেছ, আর সেই লোকের মৃত্যুর জন্য সব দোষ আমাদের ওপর চাপাতে চাইছ।”

29 তখন পিতর ও অন্য প্রেরিতরা এর উত্তরে বললেন, “মানুষের হুকুম মানার চেয়ে বরং ঈশ্বরের আদেশ আমাদের অবশ্যই পালন করতে হবে। 30 আপনারা যীশুকে হত্যা করেছিলেন, তাঁকে বিদ্ধ করে ক্রুশে টাঙ্গিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সেই পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন। 31 সেই যীশুকে ঈশ্বর নেতা ও ত্রাণকর্তারূপে উন্নত করে নিজের ডান দিকে স্থাপন করেছেন, যাতে ইহুদীরা তাদের মন ফিরায় ও তিনি তাদের পাপ ক্ষমা করতে পারেন 32 আর আমরা এসব ঘটতে দেখেছি, বলতে পারি যে এসব সত্য। পবিত্র আত্মাও দেখাচ্ছেন যে এসব সত্য। যাঁরা তাঁর বাধ্য তাদের তিনি পবিত্র আত্মা দান করেছেন।”

33 মহাসভার সভ্যরা এসব কথা শুনে প্রচণ্ড রেগে উঠল, আর তারা প্রেরিতদের হত্যা করতে চাইল। 34 কিন্তু সেই মহাসভার একজন সভ্য, গমলীয়েল ইনি ব্যবস্থার শিক্ষক, যাকে সকলে মান্য করত, তিনি উঠে দাঁড়িয়ে ঐ প্রেরিতদের কিছু সময়ের জন্য সভা থেকে বাইরে নিয়ে যেতে বললেন। 35 পরে তিনি তাদের বললেন, “হে ইস্রায়েলীরা, এই লোকদের নিয়ে তোমরা যা করতে যাচ্ছ সে বিষয়ে সাবধান। 36 কারণ এর কিছু আগে থুদা নামে একজন লোক নিজেকে মহান বলে দাবী করেছিল। প্রায় চারশো লোক তার অনুসারী হয়েছিল; আর সে নিহত হলে তার অনুগামীরা সব যে যার পালিয়ে গেল, তার কোন চিহ্নই রইল না। 37 থুদার পরে আদমসুমারীর সময় গালীলীয় যিহূদার উদয় হয়, সেও বেশ কিছু লোককে তার দলে টানে; পরে সেও নিহত হয়, আর তার অনুগামীরাও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 38 তাই বর্তমানে এই অবস্থা দেখে আমি তোমাদের বলছি: এই লোকেদের থেকে দূরে থাক, তাদের ছেড়ে দাও, কারণ তাদের এই পরিকল্পনা অথবা এই কাজ যদি মানুষের থেকে হয় তবে তা ব্যর্থ হবে। 39 কিন্তু যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে তোমরা তা বন্ধ করতে পারবে না। হয়তো দেখবে যে তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ।”

তখন তারা এই পরামর্শ গ্রহণ করল। 40 তারা প্রেরিতদের ভেতরে ডেকে এনে চাবুক মারল, যীশুর নামে একটি কথাও বলতে নিষেধ করে তাদের ছেড়ে দিল। 41 প্রেরিতরা মহাসভার সভাস্থল থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন, আর যীশুর নামের জন্য তাঁরা যে নির্যাতন ও অপমান সহ্য করার যোগ্য বলে বিবেচিত হযেছেন, এই কথা ভেবে আনন্দ করতে লাগলেন। 42 এবং দমে না গিয়ে প্রতিদিন মন্দিরের মধ্যে ও বিভিন্ন বাড়িতে যীশুর বিষয়ে শিক্ষা ও সুসমাচারের প্রচার করে দেখালেন যে যীশুই হলেন খ্রীষ্ট।

লূক 21:37-22:13

37 তিনি মন্দিরের মধ্যে প্রতিদিন শিক্ষা দিতেন কিন্তু সন্ধ্যা হলে রাতে থাকার জন্য জৈতুন পর্বতে চলে যেতেন। 38 প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে লোকেরা তাঁর কথা শোনার জন্য মন্দিরে যেত।

ইহুদী নেতারা যীশুকে হত্যা করতে চাইল

(মথি 26:1-5, 14-16; মার্ক 14:1-2, 10-11; যোহন 11:45-53)

22 সেই সময় খামিরবিহীন রুটির পর্ব এগিয়ে এলো, এই পর্বকে নিস্তারপর্ব বলা হত। এদিকে প্রধান যাজকরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা যীশুকে হত্যা করার উপায় খুঁজতে লাগল, কারণ তারা লোকদের ভয় করত।

যীশুর বিরুদ্ধে যিহূদার ষড়যন্ত্র

(মথি 26:14-16; মার্ক 14:10-11)

এই সময় যিহূদা, যে ছিল বারো জন প্রেরিতের মধ্যে একজন, যাকে যিহূদা ঈষ্করিয়োতীয় বলা হত, তার অন্তরে শয়তান ঢুকল। যিহূদা কেমন করে যীশুকে ধরিয়ে দেবে সে বিষয়ে পরামর্শ করতে প্রধান যাজকদের ও মন্দিরের রক্ষীবাহিনীর পদস্থ কর্মচারীদের কাছে গেল। তারা যিহূদার কথা শুনে খুবই খুশী হয়ে তাকে এর জন্য টাকা দিতে রাজী হল। যিহূদাও সম্মত হয়ে যখন লোকের ভীড় থাকবে না সেই সময় যীশুকে ধরিয়ে দেবার সুযোগ খুঁজতে লাগল।

নিস্তারপর্বের ভোজের আয়োজন

(মথি 26:17-25; মার্ক 14:12-21; যোহন 13:21-30)

এরপর খামিরবিহীন রুটির দিন এল, যে দিনে নিস্তারপর্বের মেষ বলি দিতে হত। তাই যীশু পিতর ও যোহনকে বললেন, “যাও, আমাদের জন্য নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত কর, যেন আমরা তা গিয়ে খেতে পারি।”

তাঁরা যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কোথায় চান, আমরা কোথায় তা প্রস্তুত করব?”

10 যীশু তাঁদের বললেন, “শোন! তোমরা শহরে ঢোকার মুখেই দেখতে পাবে একজন লোক এক কলসী জল নিয়ে যাচ্ছে। তার পেছনে পেছনে গিয়ে সে যে বাড়িতে ঢুকবে, 11 সেই বাড়ির মালিককে বলবে, ‘গুরু বলেছেন, আপনার সেই অতিথিঘর কোনটা, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের সঙ্গে নিস্তারপর্বের ভোজ খেতে পারি।’ 12 তখন সেই লোকটি তোমাদের ওপর তলার একটি বড় সাজানো ঘর দেখিয়ে দেবে। তোমরা সেখানেই আয়োজন করো।”

13 যীশু যেমন বলেছিলেন, তাঁরা গিয়ে সেরকমই দেখতে পেলেন আর নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International