Book of Common Prayer
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: তন্ত্রবাদ্য সহযোগে দায়ূদের গানগুলির অন্যতম।
61 হে ঈশ্বর, আমার প্রার্থনা সঙ্গীত শুনুন।
আমার প্রার্থনা শুনুন।
2 আমি যেখানেই থাকি, যতই দুর্বল হই না কেন,
আমি সাহায্যের জন্য আপনাকে ডাকবো!
আমাকে বহু বহু উঁচুতে
নিরাপদ স্থানে নিয়ে চলুন।
3 আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল!
আপনিই সেই শক্তিশালী দুর্গ যা আমাকে আমার শত্রুদের থেকে রক্ষা করে।
4 আমি চিরদিনের জন্য আপনার তাঁবুতে থাকতে চাই।
যেখানে আপনি আমায় সুরক্ষিত করবেন আমি সেখানেই লুকিয়ে থাকতে চাই।
5 হে ঈশ্বর, আপনাকে যা দেবার প্রতিশ্রুতি আমি করেছি তা আপনি শুনেছেন।
কিন্তু আপনার অনুগামীদের যা আছে, তার প্রতিটি জিনিসই আপনার কাছ থেকে এসেছে।
6 রাজাকে দীর্ঘ জীবন দিন!
তাকে চিরদিন জীবিত থাকতে দিন!
7 তাকে চিরদিন ঈশ্বরের সঙ্গে বেঁচে থাকতে দিন!
আপনার প্রকৃত ভালোবাসা দিয়ে তাকে আপনি রক্ষা করুন।
8 আমি চিরকাল আপনার নামের প্রশংসা করবো।
আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রতিদিনই আমি তা পালন করবো।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: যিদূথূনের উদ্দেশ্যে দায়ূদের একটি গীত।
62 যাই ঘটুক না কেন, ঈশ্বর আমায় উদ্ধার করবেন এই আশায় আমার আত্মা ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছে।
আমার পরিত্রাণ একমাত্র তাঁর কাছ থেকেই আসবে।
2 হয়তো আমার অনেক শত্রু আছে, কিন্তু ঈশ্বরই আমার দুর্গ।
ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেন।
উঁচু পর্বতে ঈশ্বরই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আমার মস্ত বড় শত্রুও আমায় পরাজিত করতে পারবে না।
3 কতক্ষণ তোমরা আমায় আক্রমণ করবে?
আমি একটা ঝুঁকে পড়া দেওয়ালের মত।
আমি একটা ভগ্ন প্রায় বেড়ার মত।
4 আমার গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও
ঐসব লোক আমার বিনাশের পরিকল্পনা করছে।
আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলে ওরা আনন্দ পায়।
জনসমক্ষে ওরা আমার সম্পর্কে ভাল কথা বলে
কিন্তু গোপনে আমায় অভিশাপ দেয়।
5 আমাকে রক্ষা করবার জন্য আমার আত্মা ধৈর্য্য ধরে শুধুমাত্র ঈশ্বরের অপেক্ষা করছে!
ঈশ্বর আমার একমাত্র আশা।
6 ঈশ্বরই আমার দুর্গ। ঈশ্বরই আমায় রক্ষা করেন।
উঁচু পর্বতে ঈশ্বরই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
7 আমার মহিমা ও জয় ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে।
তিনিই আমার দৃঢ় দুর্গ, তিনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
8 হে লোক সকল, সর্বদাই ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস রাখো।
তোমাদের সব সমস্যা ঈশ্বরকে বল।
ঈশ্বরই আমাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
9 প্রকৃতপক্ষে লোকজন কোন সাহায্য করতে পারে না।
প্রকৃত সাহায্যের জন্য তোমরা ওদের ওপর নির্ভর করতে পারবে না।
ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করলে,
ওরা একটি বাতাসের ফুত্কার ছাড়া আর বেশী কিছু নয়।
10 জোর করে কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে তোমার ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস কর না।
একদম ভেবো না যে চুরি করে কিছু নিয়ে লাভবান হবে।
যদি তুমি ধনী হও,
তবে মোটেই বিশ্বাস করো না সম্পদ তোমায় সাহায্য করবে।
11 ঈশ্বর বলেন, একটাই মাত্র জিনিস আছে যার ওপর তুমি নির্ভর করতে পারো এবং আমি তা বিশ্বাস করি।
“একমাত্র ঈশ্বরের কাছ থেকেই শক্তি আসে!”
12 হে আমার প্রভু, আপনার ভালোবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা।
লোকে যে কাজ করে তার জন্যই আপনি তাকে পুরস্কার বা শাস্তি দেন।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের একটি প্রশংসা গীত।
68 ঈশ্বর, আপনি উঠুন এবং শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করুন।
তাঁর সব শত্রুরা যেন তাঁর থেকে দূরে পালিয়ে যায়।
2 ধোঁয়া যেমন বাতাসে উড়ে যায়,
তেমনি আপনার শত্রুরা যেন ছত্রভঙ্গ হয়।
মোম যেমনভাবে আগুনে গলে যায়,
তেমনই করে যেন আপনার শত্রুরাও ধ্বংস হয়।
3 কিন্তু ধার্ম্মিক লোকরা সুখী।
ধার্ম্মিক লোকরা ঈশ্বরের সঙ্গে আনন্দোল্লাসে সময় কাটাবে।
ধার্ম্মিক লোকরা নিজেদের উপভোগ করতে পারবে এবং প্রচণ্ড সুখী হবে!
4 ঈশ্বরের উদ্দেশ্য গান গাও।
তাঁর নামে প্রশংসা কর। ঈশ্বরের জন্য পথ প্রস্তুত কর।
মরুভূমিতে তিনি রথে চড়ে আসছেন।
তাঁর নাম “যাঃ।” তাঁর নামের প্রশংসা কর!
5 তাঁর পবিত্র মন্দিরে তিনিই অনাথের পিতার মত।
ঈশ্বর বিধবাদের যত্ন নেন।
6 সঙ্গীহীন লোককে ঈশ্বর গৃহ দেন;
ঈশ্বর তাঁর লোকদের কারাগার থেকে মুক্ত করেন, তারা ভীষণ সুখী।
কিন্তু যে লোকরা ঈশ্বরের বিরোধিতা করবে তারা রৌদ্র দগ্ধ মরুভূমিতে বাস করবে।
7 ঈশ্বর, আপনিই আপনার লোকদের মিশর থেকে বেরিয়ে আসতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আপনিই মরুভূমিতে হেঁটে গিয়েছিলেন।
8 এবং ভূমি কেঁপে উঠেছিল।
ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর স্বয়ং সীনয় পর্বতে নেমে এলেন এবং আকাশ বিগলিত হল।
9 একটা পরিশ্রান্ত ও প্রাচীন ভূখণ্ডকে পুনরায় সতেজ করার জন্য
আপনি বৃষ্টি পাঠিয়েছিলেন।
10 আপনার সব পশু সেই ভূখণ্ডে ফিরে এলো।
হে ঈশ্বর, সেই জায়গায় দরিদ্র লোকদের আপনি বহু ভাল জিনিস দিয়েছেন।
11 ঈশ্বর আজ্ঞা দিলেন
এবং বহু লোক সুসমাচার দিতে গেল:
12 “শক্তিশালী রাজার সৈনিকরা পালিয়ে গেছে! সৈনিকরা যুদ্ধ ফেরৎ যে সব জিনিস আনবে, বাড়ীর মহিলারা সেগুলো ভাগ করে নেবে।
যারা বাড়ীতে আছে তারা সেই সব সম্পদ ভাগ করে নেবে।
13 রূপোয় মোড়া ঘুঘুর ডানা ওরা পাবে।
সোনায় ঝকঝক্ করা ডানা তারা পাবে।”
14 সল্মোন পর্বতে ঈশ্বর শত্রু রাজাদের ছত্রভঙ্গ করলেন।
ওরা হয়েছিল তুষারে ঝরে যাওয়ার মত।
15 বাশন পর্বত অনেকগুলো শৃঙ্গ সম্বলিত এক বিরাট পর্বত।
16 হে বাশন পর্বত, কেন তুমি সিয়োন পর্বতকে নীচু নজরে দেখ?
ঈশ্বর সিয়োন পর্বতকে ভালোবাসেন।
প্রভু চিরদিন সেখানে থাকবেন বলে স্থির করেছেন।
17 ঈশ্বর পবিত্র সিয়োন পর্বতে আসেন।
তাঁর পিছু পিছু লক্ষ লক্ষ রথ আসে।
18 লোকদের কাছ থেকে উপহার নেওয়ার জন্য,
এমনকি যারা তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল
তাদের কাছ থেকেও উপহার গ্রহণ করার জন্য
তিনি জাঁকজমক করে বন্দীদের নেতৃত্ব দিয়ে উচ্চ পর্বতের ওপরে গেলেন।
প্রভু ঈশ্বর সেখানে থাকার জন্য গেলেন।
19 প্রভুর প্রশংসা কর!
দিনের পর দিন তিনি আমাদের ভার বহন করেন।
ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করেন!
20 তিনিই আমাদের ঈশ্বর, তিনি সেই ঈশ্বর যিনি আমাদের রক্ষা করেন।
প্রভু আমাদের ঈশ্বর, আমাদের মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
21 ঈশ্বর অবশ্যই দেখাবেন যে তিনি তাঁর শত্রুদের পরাজিত করেছেন।
যারা তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন।
22 আমার প্রভু বলেছেন, “বাশন থেকে আমি আমার শত্রুদের নিয়ে আসবো,
পশ্চিম দেশ থেকে আমি শত্রুদের নিয়ে আসবো।
23 তোমরা তাদের রক্তের ওপর দিয়ে হাঁটতে পারবে।
তোমাদের কুকুর ওদের রক্ত চেটে খাবে।”
24 ঈশ্বরের শোভাযাত্রার দিকে তাকিয়ে দেখ।
আমার ঈশ্বর, আমার রাজার পবিত্র শোভাযাত্রার দিকে তাকিয়ে দেখ।
25 প্রথমেই আসছে গায়করা, তাদের পেছনে রয়েছে বীণাযন্ত্র বাদ্যকারীগণ
যাদের অনুসরণ করছিল খঞ্জণী বাজনারতা মেয়েরা।[a]
26 মহাসমাবেশে ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
হে ইস্রায়েলের লোকরা, প্রভুর প্রশংসা কর!
27 ছোট বিন্যামীন নামক উপজাতি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সেখানে যিহূদার বড় পরিবারও রয়েছে।
সবূলূন এবং নপ্তালির নেতারাও সেখানে রয়েছেন।
28 ঈশ্বর, আপনার ক্ষমতা আমাদের দেখান!
যে ক্ষমতা আমাদের জন্য অতীতে ব্যবহার করেছেন সেই ক্ষমতা প্রদর্শন করুন।
29 জেরুশালেমে, আপনার প্রাসাদে আপনাকে উপহার দেবার জন্য
রাজারা তাঁদের ঐশ্বর্য্য নিয়ে আসবেন।
30 আপনি যা চান আপনার দণ্ড ব্যবহার করে,
ঐসব জন্তুদের দিয়ে আপনি তাই করান।
ঐসব জাতির ষাঁড় ও গোরুদের
আপনার অনুগত করুন।
ওই সব জাতিকে আপনি যুদ্ধে পরাজিত করেছেন।
ওদের দিয়ে আপনার কাছে রূপো আনয়ন করুন।
31 ওদের দিয়ে মিশর থেকে ধন-সম্পদ আনয়ন করুন।
ঈশ্বর, কূশীয়রা যেন ওদের সম্পদ আপনার কাছে নিয়ে আসে।
32 পৃথিবীতে রাজারা যারা আছো, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রশংসা কর!
আমাদের প্রভুর উদ্দেশ্যে প্রশংসা গান কর!
33 ঈশ্বরের গীত গাও! তিনি তাঁর রথ প্রাচীন স্বর্গগুলির মধ্য দিয়ে চালান।
তাঁর পরাক্রান্ত রব শোন!
34 তোমাদের যে কোন দেবতার থেকে
ঈশ্বর অনেক বেশী শক্তিশালী।
ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শক্তিশালী করেছেন।
35 তাঁর মন্দিরে ঈশ্বর অবিস্মরণীয়, ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শক্তি এবং ক্ষমতা দিয়েছেন।
ঈশ্বরের প্রশংসা কর!
ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবন উৎসর্গ কর
12 ভাই ও বোনেরা, আমার মিনতি এই, ঈশ্বর আমাদের প্রতি দয়া করেছেন বলে তোমাদের জীবন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবিত বলিরূপে উৎসর্গ কর, তা তাঁর কাছে পবিত্র প্রীতিজনক হোক্। ঈশ্বরের উপাসনা করার জন্য তোমাদের কাছে এ এক আত্মিক উপায়। 2 এই জগতের লোকদের মতো নিজেদের চলতে দিও না, বরং নতুন চিন্তাধারায় নিজেদের পরিবর্তন কর; যেন বুঝতে পার ঈশ্বর কি চান, কোনটা ভাল, কোনটা তাঁকে খুশী করে ও কোনটা সিদ্ধ।
3 ঈশ্বর আমাকে একটি বিশেষ বর দান করেছেন, তাই তোমাদের মধ্যে প্রত্যেককে আমার কিছু বলার আছে। নিজের সম্বন্ধে যেমন ধারণা থাকা উচিত তার থেকে উঁচু ধারণা পোষণ করো না; কিন্তু ঈশ্বর যাকে যে পরিমাণ বিশ্বাস দিয়েছেন তোমরা সেইমতো নিজেদের সম্বন্ধে ধারণা পোষণ কর। 4 আমাদের সকলের দেহ আছে আর সেই দেহে অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে। এই অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি একই কাজ করে না। 5 ঠিক তেমনই আমরা অনেকে মিলে খ্রীষ্টেতে দেহ গঠন করি। আমরা সেই দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।
6 আর ঈশ্বরের অনুগ্রহ অনুসারেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন বরদান পেয়েছি। কেউ যদি ভাববাণী বলার বরদান পেয়ে থাকে তবে সে তার বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলুক। 7 যার সেবা করবার বরদান আছে সে তা সেবা কর্মেই প্রয়োগ করুক। যে শিক্ষক, সে শিক্ষার দ্বারা লোকদের উৎসাহ দিক। 8 যে উপদেষ্টা, সে উপদেশ দানের কাজ করুক। যার অপরকে সাহায্যদানের ক্ষমতা আছে, সে উদারভাবেই সাহায্য করুক। কর্ত্তৃত্ব যার হাতে সে সযত্নেই কর্ত্তৃত্ব করুক। যে দয়া করে, সে আনন্দের সঙ্গেই তা করুক।
9 তোমার ভালবাসা অকৃত্রিম হোক। যা মন্দ তা ঘৃণা কর আর যা ভাল তাতে আসক্ত থাক। 10 ভাই বোনের মধ্যে যে পবিত্র ভালোবাসা থাকে সেই ভালোবাসায় তোমরা পরস্পরকে ভালবাস। অপর ভাই বোনেদের নিজের থেকেও বেশী সম্মানের যোগ্য বলে মনে কর। 11 প্রভুর কাজে শিথিল হয়ো না। আত্মায় উদ্দীপ্ত হয়েই তোমরা প্রভুর সেবা কর। 12 আনন্দ কর, কারণ তোমাদের প্রত্যাশা আছে। তোমরা দুঃখকষ্টে সহিষ্ণু হও; নিরন্তর প্রার্থনা কর। 13 তোমাদের যা আছে তা অভাবী ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে ভাগ করে নাও। তোমাদের গৃহে অতিথিদের স্বাগত জানাও।
14 তোমাদের যারা নির্যাতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো, যেন ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করেন। তাদের মঙ্গল কামনা কর, অভিশাপ দিও না। 15 তোমরা অপরের সুখে সুখী হও, যারা দুঃখে কাঁদছে তাদের সঙ্গে কাঁদো। 16 তোমরা পরস্পর একপ্রাণ হয়ে শান্তিতে থাক, অহঙ্কারী হয়ো না। যারা দীনহীন মানুষ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চল। নিজেকে জ্ঞানী মনে করে গর্ব করো না।
17 কেউ অপকার করলে অপকার করে তার প্রতিশোধ নিও না। সকলের চোখে যা ভাল তোমরা তা করতেই চেষ্টা কর। 18 যতদূর পার সকলের সঙ্গে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করে যাও। 19 আমার বন্ধুরা, কেউ তোমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দিতে যেও না, বরং ঈশ্বরকেই শাস্তি দিতে দাও। শাস্ত্রে প্রভু বলছেন, “প্রতিশোধ নেওয়া আমার কাজ, প্রতিদান যা দেবার আমিই দেব।”(A) 20 কিন্তু তোমরা এই কাজ কর,
“তোমাদের শত্রুরা ক্ষুধার্ত হলে
তাদের খেতে দাও,
তোমাদের শত্রু তৃষ্ণার্ত হলে
তাদের জল পান করাও।
এই রকম করলে তোমরা তাকে লজ্জায় ফেলে দেবে।”(B)
21 মন্দের কাছে পরাস্ত হয়ো না, বরং উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাস্ত করো।
অনুগামীদের সঙ্গে যীশু
8 এরপর যীশু গ্রামে ও নগরে নগরে ঘুরে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন; তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেই বারোজন প্রেরিত। 2 এমন কয়েকজন স্ত্রীলোকও তাঁর সঙ্গে ছিলেন, যারা নানারকম রোগ ব্যাধি থেকে সুস্থ হয়েছিলেন ও অশুচি আত্মার কবল থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন মরিয়ম মগ্দলীনী, এর মধ্যে থেকে যীশু সাতটি মন্দ আত্মা দূর করে দিয়েছিলেন। 3 রাজা হেরোদের বাড়ির অধ্যক্ষ কূষের স্ত্রী শোশন্না ও আরো অনেক স্ত্রীলোক ছিলেন। যীশু ও তাঁর শিষ্যদের সেবা যত্নের জন্য এঁরা নিজেদের টাকা খরচ করতেন।
যীশু বীজ বোনার দৃষ্টান্তমূলক গল্প বললেন
(মথি 13:1-17; মার্ক 4:1-12)
4 সেই সময় বিভিন্ন শহর থেকে দলে দলে লোক এসে যীশুর কাছে জড়ো হচ্ছিল, তখন যীশু তাদের উপদেশ দিতে গিয়ে এই দৃষ্টান্তটি বললেন:
5 “একজন চাষী বীজ বুনতে গেল। সে যখন বীজ বুনছিল তখন কিছু পথের পাশে পড়ল, আর লোকে তা মাড়িয়ে গেল, পাখিতে তা খেয়ে গেল। 6 কিছু বীজ পাথুরে জমির ওপর পড়ল, সেই বীজগুলো থেকে অঙ্কুর বার হল বটে, কিন্তু মাটিতে রস না থাকায় তা শুকিয়ে গেল। 7 কিছু বীজ ঝোপের মধ্যে পড়ল। কাঁটাগাছ বেড়ে উঠে চারাগুলিকে চেপে দিল। 8 আবার কিছু বীজ ভাল জমিতে পড়ল, সেগুলি বেড়ে উঠলে যা বোনা হয়েছিল তার একশো গুণ বেশী ফসল হল।”
এই কথা বলার পর তিনি চিৎকার করে বললেন, “যার শোনবার মত কান আছে, সে শুনুক।”
9 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে এই দৃষ্টান্তটির অর্থ কি তা জিজ্ঞেস করলেন।
10 তখন যীশু তাঁদের বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্যের নিগূঢ় তত্ত্ব তোমাদের জানতে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু বাকি সকলের কাছে দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বলা হয়েছে:
‘যেন তারা দেখেও না দেখে,
শুনেও না বোঝে।’(A)
যীশুর বীজের দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা
(মথি 13:18-23; মার্ক 4:13-20)
11 “দৃষ্টান্তটির অর্থ এই, বীজ হল ঈশ্বরের শিক্ষা। 12 যে বীজ পথের ধারে পড়েছিল তা এমন লোকদের বোঝায়, যারা শোনে, তারপর দিয়াবল এসে তাদের অন্তর থেকে ঈশ্বরের শিক্ষা হরণ করে নিয়ে যায়, যেন তারা বিশ্বাস করে মুক্তি না পায়। 13 যে বীজ পাথুরে জমিতে পড়েছিল তা এমন লোকদের বোঝায়, যারা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে তা গ্রহণ করে; কিন্তু মাটি না থাকাতে তাদের কোন শিকড় গজায়না। কিছু দিনের জন্য তারা বিশ্বাস করে বটে; কিন্তু কঠিন পরীক্ষার সময় তারা পিছিয়ে যায়।
14 “কাঁটা ঝোপের মধ্যে যে বীজ পড়ল তা সেই সব লোককে বোঝায়, যারা শোনে; কিন্তু পরে জগত সংসারের চিন্তা ভাবনা, ধন-সম্পত্তি ও সুখভোগের মধ্যে তা চাপা পড়ে যায়, আর তারা কখনও ভাল ফল উৎপন্ন করে না। 15 যে বীজ ভাল জমিতে পড়ল তা হচ্ছে সেই সব লোকের প্রতীক যাদের অন্তর সত্যতা ও সরলতায় ভরা, তারা যখন ঈশ্বরের শিক্ষা শোনে তখন তা ধরে রাখে, আর স্থির থেকে জীবনে ফল উৎপন্ন করে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International