Book of Common Prayer
যন্ত্রণা কাতর একটি মানুষের প্রার্থনা। সে যখন দুর্বল বোধ করে ও প্রভুকে তার অভিযোগ জানাতে চায় তখনকার প্রার্থনা।
102 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
সাহায্যের জন্য আমার ক্রন্দন শুনুন।
2 যখন আমি সমস্যার মধ্যে থাকি তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
আমার কথা শুনুন, যখন আমি সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করি তখন আমায় উত্তর দিন।
3 ধোঁয়ার মত আমার জীবন কেটে যাচ্ছে।
আমার জীবন একটি আগুনের মত যা ধীরে ধীরে পুড়ে যাচ্ছে।
4 আমার শক্তি চলে গেছে।
আমি শুকনো মৃত প্রায় ঘাসের মত।
আমি আমার খাবার পর্যন্ত খেতে ভুলে গেছি।
5 দুঃখের কারণে আমার ওজন কমে যাচ্ছে।[a]
6 আমি একটি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বাস করা পেঁচার মত নিঃসঙ্গ।
ধ্বংসাবশিষ্ট অট্টালিকায় আমি একা পেঁচার মত বাস করছি।
7 আমি ঘুমোতে পারি না।
আমি ছাদে বাস করা এক নিঃসঙ্গ পাখির মত।
8 শত্রুরা সব সময়ে আমাকে অপমান করে।
ওরা আমাকে নিয়ে মজা করে ও ভৎর্সনা করে।
9 আমার খাদ্যই এখন আমার বিরাট দুঃখ।
আমার চোখের জল আমার পানীয়তে পড়ছে।
10 কেন? কারণ প্রভু আপনি আমার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন।
আপনিই আমাকে তুলে ধরেছেন এবং তারপর আপনিই আমায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।
11 দিনের শেষের দীর্ঘ ছায়াগুলির মত আমার জীবন প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
আমি শুকনো এবং মৃত প্রায় ঘাসের মত।
12 কিন্তু প্রভু, আপনি চিরদিনই বিরাজিত থাকবেন।
আপনার নাম চিরকাল এবং অনন্তকাল মনে রাখা হবে।
13 আপনাকে উত্থান করতে হবে এবং আপনি সিয়োনকে স্বস্তি দেবেন।
কারণ তাকে সান্ত্বনা দেবার সময় হয়েছে।
14 আপনার দাসগণ সিয়োনের পাথরগুলিকে ভালোবাসে।
এই শহরের ধূলোকে পর্যন্ত তারা ভালোবাসে।
15 লোকরা প্রভুর নামের উপাসনা করবে।
হে ঈশ্বর, পৃথিবীর সমস্ত রাজারা আপনাকে মহিমান্বিত করবে।
16 প্রভু সিয়োনকে আবার নির্মাণ করবেন।
লোকেরা আবার তাঁর মহিমা দেখবে।
17 যে সব লোককে ঈশ্বর বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনি আবার তাদের প্রার্থনার উত্তর দেবেন।
ঈশ্বর তাদের প্রার্থনা শুনবেন।
18 ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এইসব লিখে রাখো
এবং ভবিষ্যতে ওরা প্রভুর প্রশংসা করবে।
19 প্রভু, তাঁর পবিত্র স্থান থেকে নীচের দিকে চেয়ে দেখবেন।
স্বর্গ থেকে প্রভু পৃথিবীর দিকে চেয়ে দেখবেন।
20 তিনি বন্দীদের প্রার্থনা শুনবেন।
যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের তিনি মুক্ত করবেন।
21 তারপর সিয়োনে লোকরা প্রভুর কথা বলবে।
জেরুশালেমে তারা প্রভুর নামের প্রশংসা করবে।
22 সব জাতিসমূহ একসঙ্গে জড় হবে।
প্রভুর সেবার জন্য সব রাজ্য ছুটে আসবে।
23 আমার শক্তি কমে এসেছে।
আমার জীবনও ছোট হয়ে এসেছে।
24 তাই আমি বলেছিলাম, “আমি যতক্ষণ যুবক আছি আমাকে মরতে দেবেন না।
ঈশ্বর আপনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন!
25 সুদূর অতীতে আপনি এই বিশ্বসৃষ্টি করেছিলেন।
নিজের হাতে আপনি আকাশ সৃষ্টি করেছিলেন!
26 এই বিশ্ব, এই আকাশ একদিন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আপনি চির বিরাজমান থাকবেন!
ওদের বস্ত্রের মতই পরিধান করা হবে।
এবং জামাকাপড়ের মতই আপনি ওদের বদল করবেন।
ওরা সবাই পরিবর্তিত হবে।
27 কিন্তু ঈশ্বর, আপনি পরিবর্তিত হবেন না।
আপনি চিরদিন বিরাজ করবেন!
28 আজ আমরা আপনার দাস।
আমাদের সন্তানরাও এখানে বসবাস করবে।
এমনকি তাদের উত্তরপুরুষরাও আপনার উপাসনা করার জন্য এখানেই বসবাস করবে।”
দায়ূদের একটি মস্কীল। যখন তিনি গুহায় ছিলেন সেই সময় থেকে একটি প্রার্থনা।
142 আমি সাহায্যের জন্য প্রভুকে ডাকবো।
আমি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করবো।
2 আমি প্রভুকে আমার সব সংকটের কথা বলবো।
আমি প্রভুকে আমার অসুবিধার কথা বলবো।
3 আমার শত্রুরা আমার জন্য একটা ফাঁদ পেতেছে।
আমি সমর্পণ করতে প্রস্তুত।
কিন্তু প্রভু জানেন আমার মধ্যে কি হচ্ছে।
4 আমি চারদিকে দেখি,
কিন্তু আমি আমার কোন বন্ধু দেখি না।
আমার পালানোর কোন জায়গা নেই।
কেউ আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে না।
5 তাই আমি প্রভুর কাছে উচ্চস্বরে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলাম।
“প্রভু, আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
প্রভু আপনিই আমায় বাঁচতে দিতে পারেন।”
6 হে প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন
কারণ আমি অসহায়।
যারা আমায় তাড়া করে তাদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
ওই লোকগুলো আমার পক্ষে প্রচণ্ড শক্তিশালী।
7 আমাকে এই ফাঁদ এড়িয়ে যেতে সাহায্য করুন
যাতে আমি আপনার নামের প্রশংসা করতে পারি।
এবং ভালো লোকরা এসে আমার সঙ্গে উদ্যাপন করবে,
কারণ আপনি আমায় প্রযত্নে রেখেছিলেন।
দায়ূদের প্রশংসা গীতের অন্যতম।
143 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
এবং তারপর আমার প্রার্থনার উত্তর দিন।
আমাকে দেখান যে সত্যিই আপনি কত মঙ্গলকর ও বিশ্বস্ত।
2 আমি আপনার দাস, আমাকে বিচার করবেন না।
কারণ কোন জীবিত ব্যক্তি আপনার সামনে কখনই নির্দোষ বলে বিবেচিত হতে পারে না।
সারা জীবন ধরে আমি কি কখনও নিষ্পাপ বলে বিবেচিত হব।
3 কিন্তু শত্রুরা আমায় তাড়া করেছে।
তারা আমার জীবনকে ভেঙে গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
দীর্ঘদিন আগে মরে যাওয়া লোকের মত
ওরা আমাকে অন্ধকার কবরে ঠেলে দিচ্ছে।
4 আমি ত্যাগ করতে প্রস্তুত।
আমি আমার সাহস হারিয়ে ফেলেছি।
5 কিন্তু দীর্ঘকাল আগে কি ঘটেছিলো আমার তা মনে আছে।
বহু বিষয়, যেগুলো আপনি করেছিলেন তার সম্বন্ধে আমি ভাবি।
আপনার বিপুল ক্ষমতা দিয়ে আপনি যা করেছিলেন সে সম্পর্কে আমি বলে থাকি।
6 প্রভু, আমার দু হাত তুলে আপনার কাছে প্রার্থনা করি,
যেমন করে শুকনো জমি বৃষ্টির প্রতীক্ষা করে তেমন করে আমি আপনার সাহায্যের প্রতীক্ষা করি।
7 শীঘ্রই আমাকে উত্তর দিন প্রভু।
আমি সাহস হারিয়েছি।
আমার থেকে বিমুখ হবেন না।
কবরে শুয়ে থাকা মৃত লোকের মত আমাকে মৃত হতে দেবেন না।
8 প্রভু আজকের সকালে আমাকে আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন।
আমি আপনাতে বিশ্বাস রাখি।
আমার যা করণীয় তা আমায় দেখান।
আমি আমার জীবন আপনার হাতে সমর্পণ করছি!
9 প্রভু আমি নিরাপত্তার জন্য আপনার কাছে এসেছি।
শত্রুদের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
10 আমাকে দিয়ে আপনি কি করাতে চান তা আমায় দেখান।
আপনি আমার ঈশ্বর।
আপনার মহৎ উদ্দীপনা দিয়ে
আমায় সঠিক পথে এগিয়ে দিন।
11 প্রভু আমাকে বাঁচতে দিন,
তাহলে লোকে আপনার নামের প্রশংসা করবে।
আপনি যে প্রকৃতই মঙ্গলকর তা আমায় দেখান
এবং শত্রুদের থেকে আমায় রক্ষা করুন।
12 হে প্রভু, আপনার প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করুন
এবং যারা আমায় মেরে ফেলতে চাইছে সেই শত্রুদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
তাদের পরাজিত করুন
এবং তাদের ধ্বংস করুন।
যিরমিয়র পঞ্চম অভিযোগ
7 প্রভু, আপনি কৌশল করেছিলেন এবং আমি প্রতারিত[a] হয়েছিলাম।
আপনি আমার চেয়ে শক্তিশালী তাই আপনি জিতে গেলেন।
আমি মানুষের কাছে হাস্যকর হয়ে গেলাম।
ওরা আমাকে নিয়ে সারাদিন ধরে হাসাহাসি করল।
8 আমি যখনই কথা বলি,
হিংসা ও ধ্বংসের বিরুদ্ধে চেঁচাই।
প্রভুর বার্তা আমি লোকেদের জানিয়ে এসেছি।
কিন্তু লোকরা আমাকে অপমান করেছে,
আমাকে নিয়ে উপহাস করেছে।
9 কখনো আমি নিজে নিজে বলেছি,
“আমি প্রভুকে ভুলে যাব।
প্রভুর নাম করে আর কথা বলব না।”
যখন আমি একথা বলি তখনই প্রভুর বার্তা আমার শরীরের ভেতরে আগুনের মতো জ্বালায়, পোড়ায়।
হাড়ের ভেতর সেই জ্বালা পোড়া এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে
যে আমি আর ঠিক থাকতে পারি না, ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
প্রভুর বার্তা শরীরের ভেতরে আর ধরে রাখতে পারি না।
10 আমি শুনতে পাচ্ছি লোকরা আমার বিরুদ্ধে ফিসফিস করে কথা বলছে।
সব জায়গায় একই কথা শুনে আমি ভয় পাই।
এমন কি আমার বন্ধুরাও আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে।
লোকরা আমার ভুল করবার অপেক্ষায় রয়েছে।
তারা বলছে, “চলো আমরা একটা মিথ্যে কথা বলি যে সে একটা ভীষণ খারাপ কাজ করেছে।
আমরা হয়তো যিরমিয়কে প্রতারণাপূর্বক কৌশল করতে পারব।
তাহলে পরিশেষে আমরা তার হাত থেকে মুক্তি পাবো।
তারপর আমরা তাকে বন্দী করব এবং প্রতিশোধ নেব।”
11 কিন্তু প্রভু আমার সঙ্গে আছেন।
প্রভু একজন শক্তিশালী সৈন্যের মত।
তাই লোকরা যারা আমাকে তাড়া করছে
তারা হোঁচট খাবে।
তারা আমাকে হারাতে পারবে না।
তারা নিজেরাই হেরে গিয়ে হতাশ হবে।
তারা এমন অপমানিত হবে যে
সেই লজ্জা তারা কখনো ভুলতে পারবে না।
14 আমার প্রিয় বন্ধুরা, সব রকম প্রতিমা পূজা থেকে দূরে থাক। 15 আমি তোমাদের বুদ্ধিমান জেনে একথা বলছি। আমি যা বলি তা তোমরা নিজেরাই বিচার করে দেখ। 16 আশীর্বাদের পানপাত্র, যা নিয়ে আমরা ধন্যবাদ দিই তা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগীতা নয়? যে রুটি ভেঙে টুকরো টুকরো করে খাওয়া হয়, তা কি খ্রীষ্টের দেহের সহভাগীতা নয়? 17 রুটি একটাই কিন্তু আমরা সকলেই সেই একটা রুটি থেকেই অংশ গ্রহণ করি। তাই আমরা অনেক হলেও আসলে আমরা এক দেহ।
27 তাই যে কেউ অযোগ্যভাবে প্রভুর এই রুটি খায় ও পানপাত্রে পান করে, সে প্রভুর দেহের ও রক্তের জন্য দায়ী হবে। 28 এই রুটি খাওয়ার ও সেই পানপাত্রে পান করার আগে প্রত্যেকের উচিত নিজের হৃদয় পরীক্ষা করা। 29 কারণ যে অযোগ্যভাবে এই রুটি খায় ও পানপাত্রে পান করে, সে যদি দেহের অর্থ কি তা না বোঝে তবে সেই খাদ্য পানীয় ঈশ্বরের বিচারদণ্ডেই পরিণত হয়। 30 সেই জন্য তোমাদের মধ্যে অনেকে আজ দুর্বল ও অসুস্থ, অনেকে মারাও পড়েছে। 31 কিন্তু যদি নিজেদের ঠিক মতো পরীক্ষা করতাম, তাহলে ঈশ্বরকে আমাদের বিচার করতে হত না। 32 কিন্তু যখন প্রভু আমাদের বিচার করেন, তিনি আমাদের শাসনও করেন, যাতে আমরা জগতের জন্য লোকদের সঙ্গে বিচারপ্রাপ্ত না হই।
শিষ্যদের জন্য যীশুর প্রার্থনা
17 এইসব কথা বলার পর যীশু স্বর্গের দিকে তাকিয়ে এই কথা বললেন, “পিতা, এখন সময় হয়েছে; তোমার পুত্রকে মহিমান্বিত কর, যেন তোমার পুত্রও তোমাকে মহিমান্বিত করতে পারে। 2 সমস্ত মানুষের উপর পুত্রকে তুমি অধিকার দিয়েছ যাতে তিনি তাদের সকলকে অনন্ত জীবন দিতে পারেন। 3 এই হল অনন্ত জীবন; তারা তোমাকে জানে যে তুমি একমাত্র সত্য ঈশ্বর ও তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ সেই যীশু খ্রীষ্টকে জানে। 4 তুমি যে কাজ করার দায়িত্ব আমায় দিয়েছিলে, তা আমি শেষ করেছি ও পৃথিবীতে তোমাকে মহিমান্বিত করেছি। 5 তাই এখন তোমার সান্নিধ্যে আমায় মহিমান্বিত কর। হে পিতা, জগত সৃষ্টির পূর্বে তোমার কাছে আমার যে মহিমা ছিল, তুমি সেই মহিমায় এখন আমায় মহিমান্বিত কর।
6 “এই জগতের মধ্যে থেকে তুমি যে সব লোকদের আমায় দিয়েছ, আমি তাদের কাছে তোমার পরিচয় দিয়েছি। তারা তোমারই ছিল এবং তুমি তাদেরকে আমায় দিয়েছ, আর তারা তোমার শিক্ষানুসারে চলেছে। 7 এখন তারা বুঝেছে যে তুমি যা কিছু আমায় দিয়েছ তা তোমার কাছ থেকেই এসেছে। 8 তুমি আমায় যে শিক্ষা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, আর তা তারা গ্রহণও করেছে। তারা সত্যিই বুঝেছে যে আমি তোমারই কাছ থেকে এসেছি, আর তারা বিশ্বাস করে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ। 9 আমি তাদের জন্য এখন প্রার্থনা করছি। আমি সারা জগতের জন্য প্রার্থনা করছি না, কেবল সেই সকল লোকদের জন্য প্রার্থনা করছি যাদের তুমি দিয়েছ, কারণ তারা তোমার। 10 আমার যা কিছু তা তোমার, আর তোমার যা তা আমার। আর এদের মাধ্যমে আমি মহিমান্বিত হয়েছি।
11 “আমি আর এই জগতে থাকছি না, কিন্তু তারা এই জগতে থাকছে, আমি তোমারই কাছে যাচ্ছি। পবিত্র পিতা, যে নাম তুমি আমায় দিয়েছ, তোমার সেই নামের শক্তিতে তুমি তাদের রক্ষা কর। আমরা যেমন এক, তেমনি তারা যেন সকলে এক হতে পারে। 12 আমি যখন তাদের সঙ্গে ছিলাম, আমি তাদের নিরাপদে রেখেছিলাম। তুমি আমায় যে নাম দিয়েছ সেই নামের শক্তিতে তখন আমি তাদের রক্ষা করেছিলাম। আমি তাদের সাবধানে রক্ষা করেছি। তাদের মধ্যে কেউ বিনষ্ট হয় নি, একমাত্র ব্যতিক্রম সেই লোকটি, ধ্বংস হওয়াই যার পরিণতি। শাস্ত্রের কথা সফল করার জন্যেই এই পরিণতি।
13 “এখন আমি তোমার কাছে আসছি, কিন্তু এই জগতে থাকতে থাকতে আমি এসব কথা বলছি, যেন তারা আমার যে আনন্দ তা পরিপূর্ণরূপে পায়। 14 আমি তাদের তোমার শিক্ষা জানিয়েছি, কিন্তু জগত সংসার তাদের ঘৃণা করে, কারণ তারা এই জগতের নয়, যেমন আমিও এই জগতের নই।
15 “তাদের এই জগত থেকে নিয়ে যাবার জন্য আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি না, কিন্তু তাদের মন্দ শক্তির হাত থেকে রক্ষা কর। 16 তারা এই জগতের নয়, যেমন আমিও এ জগতের নই। 17 সত্যের দ্বারা তোমার সেবার জন্য তুমি তাদের পবিত্র কর। তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ। 18 তুমি যেমন এ জগতে আমাকে পাঠিয়েছ, আমিও তাদের তেমনি জগতের মাঝে পাঠিয়েছি। 19 তাদের জন্য আমি তোমার সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছি, যেন তারাও সত্যের মাধ্যমে তোমার সেবায় নিজেদের নিযুক্ত করতে পারে।
20 “আমি কেবল এদের জন্যই প্রার্থনা করছি না, এদের শিক্ষার মধ্য দিয়ে যারা আমায় বিশ্বাস করবে তাদের জন্যও করছি। 21 পিতা, যেমন তুমি আমাতে রয়েছ, আর আমি তোমাতে রয়েছি, তেমনি তারাও যেন এক হয়। তারা যেন আমাদের মধ্যে থাকে যাতে জগত সংসার বিশ্বাস করে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছ। 22 আর তুমি আমায় যে মহিমা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, যাতে আমরা যেমন এক, তারাও তেমনি এক হতে পারে। 23 আমি তাদের মধ্যে, আর তুমি আমার মধ্যে থাকবে, এইভাবে তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এক হয়। জগত যাতে জানে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ। আর তুমি যেমন আমায় ভালবেসেছ, তেমনি তুমি তাদেরও ভালবেসেছ।
24 “পিতা, আমি চাই, আমি যেখানে আছি, তুমি যাদের আমায় দিয়েছ, তারাও যেন আমার সঙ্গে সেখানে থাকে। আর তুমি আমায় যে মহিমা দিয়েছ তারা আমার সেই মহিমা যেন দেখতে পায়, কারণ জগত সৃষ্টির আগেই তুমি আমায় ভালবেসেছ। 25 ন্যায়বান পিতা, জগত তোমায় জানে না, কিন্তু আমি তোমায় জানি। আর আমার এই শিষ্যরা জানে যে তুমি আমায় পাঠিয়েছ। 26 তুমি কে আমি তাদের কাছে তা প্রকাশ করেছি, আর এরপরেও আমি তাদের কাছে তা করতেই থাকব। তাহলে তুমি আমায় যেমন ভালবেসেছ, তারা একইভাবে অন্যদের ভালবাসবে আর আমি তাদের মধ্যেই থাকব।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International