Book of Common Prayer
33 ঈশ্বর নদীগুলিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছেন।
ঈশ্বর ঝর্ণার প্রবাহ বন্ধ করেছেন।
34 উর্বর জমিকে ঈশ্বর পরিবর্তিত করেছেন এবং তা অকাজের নোনা জমিতে পরিণত হয়েছে।
কেন? কারণ সেই অঞ্চলে মন্দ লোকরা বসবাস করতো।
35 ঈশ্বর মরুভূমিকে জলময় সরোবরে পরিবর্তিত করলেন।
শুকনো জমি থেকে তিনি ঝর্ণার প্রবাহ বইয়ে দিলেন।
36 ক্ষুধার্ত মানুষকে ঈশ্বর সেই দেশে নিয়ে এলেন
এবং তারা বসবাসের জন্য শহর নির্মাণ করলো।
37 ওরা ওদের জমিতে বীজ বুনলো।
ওরা জমিতে দ্রাক্ষালতা পুঁতলো এবং ওরা খুব ভাল ফসল পেলো।
38 ঈশ্বর ওদের আশীর্বাদ করলেন, ওদের পরিবার বেড়ে উঠতে লাগলো।
ওদের বহুবিধ গৃহপালিত পশু হলো।
39 দুর্যোগ এবং সমস্যার জন্য
ওদের পরিবারগুলো ছোট এবং দুর্বল ছিলো।
40 ঈশ্বর ওদের নেতাদের লজ্জিত ও বিব্রত করালেন।
ঈশ্বর ওদের মরুভূমির সেই স্থানে ঘোরালেন যেখানে কোন রাস্তাই নেই।
41 কিন্তু ঈশ্বর তারপর ওই ভাগ্যহত লোকদের দূর্দশা থেকে উদ্ধার করলেন।
এবং এখন ওদের পরিবার মেষের পালের মত বড় হয়েছে।
42 সৎ লোকরা এটা দেখে এবং তারা সুখী হয়।
কিন্তু, মন্দ লোকরা এটা দেখে এবং তারা জানে না কি বলবে।
43 কোন ব্যক্তি যদি জ্ঞানী হয় তবে সে এইসব গুলো স্মরণে রাখবে
এবং সে হৃদয়ঙ্গম করবে, ঈশ্বরের প্রকৃত প্রেম কি।
দায়ূদের প্রশংসা গীতগুলির অন্যতম।
108 ঈশ্বর, আমি প্রস্তুত, আমার সমস্ত হৃদয় ও আত্মা দিয়ে
আপনার প্রশংসা গান করার জন্য আমি প্রস্তুত।
2 হে বীণা এবং অন্যান্য তন্ত্রবাদ্য,
সূর্যকে জাগিয়ে দাও!
3 হে প্রভু, বিভিন্ন জাতির মধ্যে আমরা আপনার প্রশংসা করবো।
অন্যান্য লোকদের মাঝে আমরা আপনার প্রশংসা করবো।
4 হে প্রভু, আপনার প্রেম আকাশের চেয়ে উঁচু।
আপনার প্রেম উচ্চতম মেঘের চেয়েও উঁচুতে অবস্থিত।
5 হে ঈশ্বর, স্বর্গের ওপরে উঠুন!
সারা বিশ্বকে আপনার মহিমা দেখতে দিন।
6 হে ঈশ্বর, আপনার মিত্রদের রক্ষার জন্য এটা করুন।
আমার প্রার্থনার উত্তর দিন এবং আপনার পরাক্রমী শক্তি ব্যবহার করুন।
7 ঈশ্বর তাঁর মন্দিরে বলেছেন,
“আমি যুদ্ধে জয়ী হবো এবং জয় করে সুখী হবো!
আমার লোকজনদের মধ্যে আমি এই ভূখণ্ড ভাগ করে দেবো।
আমি ওদের শিখিম উপত্যকা দেবো।
আমি ওদের সুক্কোত উপত্যকা দেবো।
8 গিলিয়দ ও মনঃশিও আমার থাকবে।
ইফ্রয়িম আমার শিরস্ত্রাণ হবে।
যিহূদা হবে আমার বিচারদণ্ড।
9 মোয়াব আমার পা ধোয়ার পাত্র হবে।
ইদোম হবে আমার পাদূকাবাহক দাস।
আমি পলেষ্টীয়দের পরাজিত করবো এবং জয়ধ্বনি দেবো।”
10-11 কে আমাকে শত্রুর দূর্গে নেতৃত্ব দেবে?
কে আমাকে ইদোমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেতৃত্ব দেবে?
ঈশ্বর একমাত্র আপনিই আমাদের সাহায্য করতে পারেন।
কিন্তু আপনি আমাদের ত্যাগ করেছেন, আপনি আমাদের সৈন্যদের সঙ্গে যান নি!
12 ঈশ্বর আমাদের শত্রুদের পরাজিত করতে আমাদের সাহায্য করুন!
লোকেরা আমাদের সাহায্য করতে পারবে না!
13 একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের শক্তিশালী করে তুলতে পারেন।
ঈশ্বরই আমাদের শত্রুদের পরাজিত করতে পারেন!
33 হে ভালো লোকরা, তোমরা প্রভুতে আনন্দ কর!
ভাল লোকদের পক্ষে তাঁর প্রশংসা করাই ভালো!
2 বীণা বাজাও এবং প্রভুর প্রশংসা কর!
দশতারা বাদ্যযন্ত্র সহযোগে প্রভুর গান গাও।
3 তাঁর জন্য একটা নতুন গান গাও।
অত্যন্ত সুন্দরভাবে বাজাও এবং আনন্দ ধ্বনি দাও!
4 প্রভুর বাক্য সত্য। তিনি যা কিছু করেন,
তাতে তোমরা নির্ভর করতে পারো।
5 ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ হতে ও ভাল কাজ করতে ভালবাসেন।
প্রভুর প্রকৃত ভালোবাসা পৃথিবীকে ভরিয়ে দেয়!
6 প্রভু নির্দেশবাক্য উচ্চারণ করেছিলেন এবং এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল।
ঈশ্বরের মুখের নিঃশ্বাস থেকেই পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে।
7 ঈশ্বর, সমুদ্রের জল এক জায়গায় জমা করেছেন।
তিনি সমুদ্রকে তার জায়গায় রাখেন।
8 সমগ্র পৃথিবীর সকলের উচিৎ ঈশ্বরকে ভয় এবং শ্রদ্ধা করা।
জগতের প্রত্যেকটি মানুষের তাঁকে ভয় করা উচিত।
9 কেন? কারণ ঈশ্বর একটি আজ্ঞা দেন এবং সেটি ঘটে।
যদি তিনি বলেন “থাম” তাহলেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়।
10 প্রভু প্রত্যেকের উপদেশকেই অর্থহীন করে তুলতে পারেন।
তিনি জাতিদের পরিকল্পনাগুলি মূল্যহীন করে দিতে পারেন।
11 কিন্তু প্রভুর উপদেশ চিরন্তন সত্য।
তাঁর পরিকল্পনাগুলো বংশপরম্পরায় সত্য থাকে।
12 যারা প্রভুকে তাদের ঈশ্বররূপে পেয়েছে তারা সত্যিই ধন্য।
কেন? কারণ ঈশ্বরই তাদের তাঁর নিজের লোক হিসেবে মনোনীত করেছেন।
13 প্রভু স্বর্গ থেকে নীচের দিকে তাকিয়েছিলেন
এবং সমস্ত লোকদের দেখেছেন।
14 পৃথিবীতে যারা বসবাস করছে,
তাঁর উচ্চ সিংহাসন থেকে তিনি সকলকে দেখেন।
15 ঈশ্বর প্রত্যেকটি লোকের মন সৃষ্টি করেছেন।
প্রত্যেকটি লোক কি ভাবছে ঈশ্বর তাও জানেন।
16 একজন রাজা তার বৃহৎ শক্তিতে উদ্ধার পায় না।
একজন বলবান সৈনিক, তার নিজের শক্তিতে রক্ষা পায় না।
17 ঘোড়াগুলো যুদ্ধের বিজয় এনে দেয় না।
এমনকি তাদের শক্তিও সৈন্যদের পালাতে সাহায্য করতে পারে না।
18 তাঁর প্রকৃত ভালবাসায় আস্থা রেখে, যারা প্রভুকে অনুসরণ করে,
প্রভু তাদের ওপর লক্ষ্য রাখেন এবং তাদের প্রতি যত্ন নেন।
19 সেই সব লোককে ঈশ্বর মৃত্যু থেকে রক্ষা করেন।
ক্ষুধার্ত অবস্থায় তিনি তাদের শক্তি দেন।
20 তাই আমরা প্রভুর জন্য প্রতীক্ষা করবো।
তিনি আমাদের সাহায্য করেন, রক্ষা করেন।
21 ঈশ্বর আমাদের সুখী করেন,
আমরা তাঁর পবিত্র নামে প্রকৃতই আস্থা রাখি।
22 প্রভু, প্রকৃতই আমরা আপনার উপাসনা করি!
তাই আমাদের প্রতি আপনার মহান ভালোবাসা দেখান।
ভ্রান্ত ভাববাদীদের বিরুদ্ধে বিধান
9 ভাববাদীদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা:
আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে।
প্রভু যা বলেছেন তাতে ভয়ে আমার হাড়ে পর্যন্ত কাঁপুনি ধরেছে।
প্রভুর পবিত্র বার্তাটির দরুণ,
আমি একজন বদ্ধ মাতালের মত বলছি।
10 যিহূদার মাটি ব্যাভিচারীদের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ভরে গেছে।
তারা নানা বিষয়ে অবিশ্বস্ত।
প্রভুর অভিশাপে এই দেশের মাটি শুষ্ক হয়ে যাবে।
শুকিয়ে যাবে গাছের পাতা।
শুকিয়ে যাবে পশুচারণের তৃণভূমি।
শস্যভূমি শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যাবে।
ভাববাদীরা হল শয়তান।
তারা তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতা ভুলভাবে ব্যবহার করেছিল।
11 “ভাববাদীরা তো বটেই,
এমন কি যাজকরাও শয়তান।
আমি তাদের আমার মন্দিরে খারাপ কাজ করতে দেখেছি।
এই হল প্রভুর বার্তা।
12 আমি যদি ভাববাদীদের এবং যাজকদের আমার বার্তা দেওয়া বন্ধ করি,
তাহলে তাদের পিচ্ছিল পথে, অন্ধকারের মধ্যে হাঁটতে হবে।
তারা ঐ অন্ধকারে পড়ে যাবে।
আমি তাদের ওপর দুর্বিপাক আনব।
আমি শাস্তি দেব ঐ সমস্ত ভাববাদী ও যাজকদের।”
এই হল প্রভুর বার্তা।
13 “শমরিয়ার ভাববাদীদের অন্যায় করতে দেখেছি।
আমি ঐ ভাববাদীদের বাল মূর্ত্তির নামে ভাববাণী করতে দেখেছি।
ঐ ভাববাদীরা মিথ্যা শিক্ষা দিয়ে ইস্রায়েলবাসীকে প্রভুর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
14 এখন দেখছি যিহূদার ভাববাদীরা
সেই সব গর্হিত কাজগুলি জেরুশালেমে করছে।
এই ভাববাদীরা পাপ ও ব্যভিচার করে বেড়াচ্ছে।
তারা মিথ্যেকেই প্রশয় দিয়ে এসেছে এবং তারা ভুল শিক্ষাগুলিকে পালন করেছিল।
অসৎ লোকদের তারা একটা না একটা
গর্হিত কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে এসেছে।
তাই যিহূদার মানুষ সদোমের মানুষের মতো পাপ থেকে বিরত থাকেনি।
এখন জেরুশালেম আমার কাছে ঘমোরার মতো।”
15 সুতরাং প্রভু সর্বশক্তিমান ভাববাদীদের সম্বন্ধে যা বলেন তা হল এই:
“আমি ঐ ভাববাদীদের শাস্তি দেব।
বিষাক্ত খাদ্য ও জল পান করার মতো শাস্তি দেব।
ভাববাদীরা আত্মিক অসুখে ভুগতে শুরু করেছিল
এবং সেই অসুখ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
তাই আমি ঐ ভাববাদীদের শাস্তি দেব।
ঐ অসুখ ভাববাদীদের মাধ্যমে জেরুশালেমে এসেছিল।”
ঈশ্বর ও ইহুদী সমাজ
9 আমি খ্রীষ্টেতে আছি এবং সত্যি বলছি। পবিত্র আত্মা দ্বারা পরিচালিত আমার বিবেকও বলছে যে আমি মিথ্যা বলছি না। 2 আমি ইহুদী সমাজের জন্য অন্তরে সবসময় গভীর দুঃখ ও বেদনা অনুভব করছি। 3 তারা আমার ভাই ও বোন, আমার স্বজাতি। তাদের যদি সাহায্য করতে পারতাম! এমন কি আমার এমন ইচ্ছাও জাগে যে তাদের বদলে আমি যেন অভিশপ্ত এবং খ্রীষ্ট থেকে বিচ্ছিন্ন হই। 4 তারা ইস্রায়েল বংশেরই মানুষ। ঈশ্বর তাদের পুত্র হবার অধিকার দিয়েছেন, নিজের মহিমা দেখিয়েছেন, ধর্ম নিয়ম দিয়েছেন। ঈশ্বর তাদেরই মোশির দেওয়া বিধি-ব্যবস্থা, সঠিক উপাসনা পদ্ধতি এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 5 ঐ লোকেরাই আমাদের মহান পিতৃপুরুষদের বংশধর এবং খ্রীষ্ট এই জাতির মধ্য দিয়েই পার্থিব জগতে এসেছিলেন। ঈশ্বর, যিনি সবার ওপর কর্ত্তৃত্ব করেন, যুগে যুগে তিনি প্রশংসিত হোন্! আমেন!
6 আমি একথা বলছি না যে ঈশ্বরের যে প্রতিশ্রুতি তাদের জন্য ছিল তা তিনি পূর্ণ করেন নি। কিন্তু ইস্রায়েলের সমস্ত মানুষই সত্যিকার ইস্রায়েলের লোক নয়। 7 এমনও নয় যে অব্রাহামের বংশের বলেই তারা সত্যিকারের সন্তান; কিন্তু ঈশ্বর বলেছিলেন, “কেবল ইস্হাক্ই তোমার বৈধ পুত্র হবে।”(A) 8 এর অর্থ হল এই যে দৈহিকভাবে জন্মপ্রাপ্ত অব্রাহামের সন্তানরা সকলেই ঈশ্বরের সন্তান নয়। অব্রাহামের প্রকৃত বংশধর তারাই যারা অব্রাহামের কাছে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুসারে জন্মলাভ করেছে। 9 তিনি অব্রাহামকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন: “নিরুপিত সময়ে আমি পুনর্বার আসব। তখন সারার এক পুত্র হবে।”(B)
10 শুধু তাই নয়, রিবিকাও একজন মানুষের কাছ থেকেই সন্তান পেয়েছিলেন, তিনি আমাদের পূর্বপুরুষ ইস্হাক। 11-12 সেই সন্তান দুটির জন্ম হবার পূর্বে ঈশ্বর রিবিকাকে বলেছিলেন: “তোমার সন্তানদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠের দাস হবে।”(C) তাদের জন্মের পূর্বেই ঈশ্বর এই কথা জানিয়েছিলেন কারণ ঈশ্বরের সংকল্প অনুসারে তারা মনোনীত হয়েছিল। সেই সন্তান মনোনীত হল তার কৃত কোন কর্মের জন্য নয় বরং এই জন্যে যে ঈশ্বর তাকেই আহ্বান করেছিলেন। 13 আর শাস্ত্রে যেমন বলে: “আমি যাকোবকে ভালোবেসেছি, কিন্তু এষৌকে ঘৃণা করেছি।”(D)
14 তাহলে আমরা কি বলব? ঈশ্বরে কি অন্যায় আছে? আমরা তা বলতে পারি না। 15 ঈশ্বর, মোশিকে বলেছিলেন, “আমি যাকে দয়া করতে চাই, তাকেই দয়া করব। যাকে করুণা করতে চাই, তাকেই করুণা করব।”(E) 16 তাই ঈশ্বর তাকেই মনোনীত করেন যাকে করুণা করবেন বলে ঠিক করেছেন। তাই মানুষের চেষ্টা বা তার ইচ্ছার ওপর তাঁর মনোনয়ন নির্ভর করে না। 17 শাস্ত্রে আছে ঈশ্বর ফরৌণকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তুমি আমার জন্য এই কাজ করবে, এই জন্যই আমি তোমাকে রাজা করেছি, যেন তোমার মধ্য দিয়ে আমি আমার ক্ষমতা প্রকাশ করতে পারি ও সারা জগতে আমার নাম ঘোষিত হয়।”(F)
18 সেজন্য ঈশ্বর যাকে দয়া করতে চান, তাকেই দয়া করেন আর যার অন্তর ঈশ্বর কঠোর করতে চান, তার অন্তর কঠোর করে তোলেন।
অনন্ত জীবনের বাক্যসকল
60 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে তাঁর এই কথা শুনে বলল, “এ বড়ই কঠিন কথা; কে এ গ্রহণ করতে পারে?”
61 যীশু অন্তরে টের পেলেন যে তাঁর শিষ্যরা এই বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। তাই তিনি তাদের বললেন, “এই শিক্ষায় কি তোমরা ধাক্কা পেয়েছ? 62 তবে মানবপুত্র আগে যেখানে ছিলেন উর্দ্ধে সেখানে তাঁকে ফিরে যেতে দেখলে তোমরা কি বলবে? 63 আত্মাই জীবন দান করে, রক্ত মাংসের শরীর কোন উপকারে আসে না। আমি তোমাদের সকলকে যে সব কথা বলেছি তা হল আধ্যাত্মিক আর তাই জীবন দান করে। 64 কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করে না।” কারণ যীশু শুরু থেকেই জানতেন কে কে তাঁকে বিশ্বাস করে না, আর কেই বা তাঁকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে। 65 তাই তিনি বললেন, “এজন্য আমি তোমাদের বলেছি, ‘পিতা ইচ্ছা না করলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না।’”
66 এই কারণেই তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে পিছিয়ে গেল, তাঁর সঙ্গে চলাফেরা বন্ধ করে দিল।
67 তখন যীশু সেই বারোজন প্রেরিতকে বললেন, “তোমরাও কি চলে যেতে চাইছ?”
68 শিমোন পিতর বললেন, “প্রভু, আমরা কার কাছে যাব? আপনার কাছে সেই বাণী আছে যা অনন্ত জীবন দান করে। 69 আমরা বিশ্বাস করি ও জানি যে আপনিই সেই পবিত্র একজন, যিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন।”
70 এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “আমি কি তোমাদের বারোজনকে মনোনীত করি নি? তবু তোমাদের মধ্যে একজন দিয়াবল আছে।” 71 তিনি শিমোন ঈষ্করিয়োতের ছেলে যিহূদার বিষয়ে বলছিলেন, কারণ যিহূদা সেই বারো জনের মধ্যে একজন হলেও পরে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International