Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত।
103 হে আমার আত্মা, প্রভুকে ধন্যবাদ দাও!
আমার প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা কর!
2 হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
ভুলে যেও না যে তিনি সত্যিই দয়ালু।
3 ঈশ্বর আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করেন।
তিনি আমাদের সকল রোগ থেকে সারিয়ে তোলেন।
4 ঈশ্বর আমাদের জীবনকে কবর থেকে রক্ষা করেন।
তিনি আমাদের প্রেম ও সহানুভূতি দেন।
5 তিনি আমাদের রাশি রাশি ভালো জিনিস দেন।
তিনিই সেইজন যিনি পুরানো পালক ঘসে নতুন পালক গজানো
একটি ঈগলের মত তোমাদের যৌবন পুনরুজ্জীবিত করেন।
6 প্রভুই সৎ।
প্রভু অবদমিত লোকদের কাছে ন্যায় বিচার ও নিরপেক্ষতা আনেন।
7 ঈশ্বর মোশিকে তাঁর শিক্ষামালা দিয়েছিলেন।
যে সব ক্ষমতা সম্পন্ন কাজ ঈশ্বর করতে পারেন সে সব তিনি ইস্রায়েলকে দেখিয়েছিলেন।
8 প্রভু দয়ালু এবং ক্ষমতাশীল।
ঈশ্বর ধৈর্য্যশীল এবং প্রেমে পূর্ণ।
9 প্রভু সব সময় আমাদের সমালোচনা করেন না।
প্রভু সর্বদা আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকেন না।
10 আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছিলাম
কিন্তু প্রাপ্য শাস্তি তিনি আমাদের দেন নি।
11 যেমন করে পৃথিবীর ওপরে আকাশ বিস্তৃত হয়ে আছে,
তেমনি ঈশ্বরের অনুগামীদের ওপরে ঈশ্বরের প্রেম পরিব্যপ্ত হয়ে আছে।
12 পূর্ব যেমন পশ্চিমের থেকে বিচ্ছিন্ন, তেমন করেই ঈশ্বর,
আমাদের কাছ থেকে আমাদের পাপকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে গেছেন।
13 পিতা যেমন পুত্রের প্রতি দয়াময়
তেমনি প্রভুও তাঁর অনুগামীদের প্রতি দয়ালু।
14 ঈশ্বর আমাদের সম্পর্কে সব কিছুই জানেন।
ঈশ্বর জানেন যে আমরা ধূলো থেকে সৃষ্ট হয়েছি।
15 ঈশ্বর জানেন আমাদের জীবন
ঘাসের মত অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত।
ঈশ্বর জানেন আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বুনো ফুলের মত, সেই সব ফুল খুব তাড়াতাড়ি জন্মায়।
16 তারপর উত্তপ্ত বাতাস বইলেই সেই সব ফুল ঝরে পড়ে।
আবার তুমি বলতেও পারবে না সেই সব ফুল কোথায় জন্মেছিল।
17 কিন্তু প্রভু তাঁর অনুগামীদের প্রতি সবসময়ই স্নেহশীল।
তিনি চিরদিনই তাঁর অনুগামীদের ভালোবাসবেন।
ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের প্রতি এবং সন্তানদের সন্তানের প্রতিও ভালো ব্যবহার করবেন।
18 যারা তাঁর চুক্তি অনুসরণ করে, তাদের প্রতি ঈশ্বর ভালো ব্যবহার করেন।
যারা তাঁর আজ্ঞা মেনে চলে তাদের প্রতিও ঈশ্বর ভালো ব্যবহার করেন।
19 স্বর্গে ঈশ্বরের সিংহাসন রয়েছে
এবং তিনিই সব কিছুর শাসন করছেন।
20 হে দূতগণ, প্রভুর প্রশংসা কর!
তোমরা দূতরা সেই শক্তিশালী সৈন্য যারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করো।
তোমরা ঈশ্বরের কথা শোন এবং তাঁর আজ্ঞা মান্য কর।
21 প্রভু এবং তাঁর সকল সৈন্যদের প্রশংসা কর।
তোমরা তাঁর দাস।
ঈশ্বর যা চান তোমরা তাই কর।
22 প্রভুর প্রশংসা কর।
তাঁর রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় তাঁর সব কাজগুলিকে প্রশংসা কর।
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
114 ইস্রায়েল মিশর ত্যাগ করলো।
যাকোব সেই বিদেশ ত্যাগ করলো।
2 যিহূদা ঈশ্বরের বিশেষ মানুষ হলো।
ইস্রায়েল তাঁর রাজত্ব হলো।
3 এই দেখে লোহিতসাগর দৌড়ে পালিয়েছিলো।
যর্দন নদীও ঘুরে দৌড় দিয়েছিলো।
4 পর্বতগুলো বুনো ছাগলের মত নেচে উঠেছিলো।
পাহাড়গুলো মেষের মত নেচে উঠেছিলো।
5 লোহিতসাগর কেন তুমি ছুটে পালালে?
যর্দন নদী কেন তুমি ঘুরে দৌড় দিলে?
6 পর্বতমালা কেন তোমরা বুনো ছাগলের মত নাচলে?
পাহাড় সকল, কেন তোমরা মেষশাবকের মত নাচলে?
7 যাকোবের প্রভু, ঈশ্বরের সামনে, পৃথিবী কেঁপে গিয়েছিলো।
8 ঈশ্বর হলেন এমন একজন, যিনি পাথর থেকে জলকে প্রবাহিত করান।
ঈশ্বর শক্ত পাথর থেকে একটি জলধারা প্রবাহিত করেছিলেন।
115 হে প্রভু, আমাদের কোন সম্মান পাওয়া উচিৎ নয়।
সব সম্মানই আপনার।
আপনার প্রেমের জন্য আমরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি।
2 অন্য জাতির লোকরা কি করে বলতে পারে, “কোথায় তোমাদের ঈশ্বর?”
3 ঈশ্বর স্বর্গে রয়েছেন এবং তিনি যা চান তাই করতে পারেন।
4 অন্যান্য জাতির “দেবতারা” শুধুই সোনা ও রূপার তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
ওরা কিছু মানুষের তৈরী মূর্ত্তি মাত্র।
5 ওই মূর্ত্তিদের মুখ আছে কিন্তু কথা বলতে পারে না।
ওদের চোখ আছে কিন্তু দেখতে পায় না।
6 ওদের কান আছে কিন্তু শুনতে পায় না।
ওদের নাক আছে কিন্তু ঘ্রাণ নিতে পারে না।
7 ওদের হাত আছে কিন্তু অনুভব করতে পারে না।
ওদের পা আছে কিন্তু চলতে পারে না
এবং ওদের কন্ঠ থেকে কোন স্বর আসে না।
8 যে সব লোকরা মূর্ত্তিগুলি তৈরী করে এবং তাতে তাদের আস্থা রাখে, তারা কি ওই সব মূর্ত্তিগুলোর মত হয়ে যাবে?
9 হে ইস্রায়েলের লোকরা, প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
10 হারোণের পরিবার প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
11 প্রভুর অনুগামীরা, প্রভুকে বিশ্বাস কর!
প্রভু ওদের রক্ষক এবং তিনি তাদের সাহায্য করেন।
12 প্রভু আমাদের স্মরণে রাখবেন
এবং আমাদের আশীর্বাদ করবেন।
প্রভু ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ করবেন।
প্রভু হারোণের পরিবারকে আশীর্বাদ করবেন।
13 প্রভু তাঁর সমস্ত অনুগামীদের আশীর্বাদ করবেন।
দীন থেকে মহত্তম পর্যন্ত সকলকেই সমানভাবে আশীর্বাদ করবেন।
14 প্রভু, তোমাকে এবং তোমার সন্তানদের অনেক অনেক আশীর্বাদ দিন।
15 প্রভুই স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন
এবং প্রভু তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন!
16 স্বর্গ ঈশ্বরের
কিন্তু মানুষকে তিনি পৃথিবী দিয়েছেন।
17 মৃত লোকেরা ঈশ্বরের প্রশংসা করে না।
মৃত লোকেরা, যারা কবরে রয়েছে তারা প্রভুর প্রশংসা করে না।
18 কিন্তু আমরা এখন প্রভুকে ধন্যবাদ দিচ্ছি এবং চিরদিন আমরা তাঁকে ধন্যবাদ দেবো।
প্রভুর প্রশংসা কর!
3 প্রভু বলেন, “তোমরা টাকার জন্য বিক্রি হওনি।
তাই তোমাদের মুক্ত করতেও টাকার প্রয়োজন হবে না।”
4 প্রভু, আমার সদাপ্রভু বলেন, “আমার লোকরা প্রথমে মিশরে গিয়েছিল। তারা সেখানে গিয়ে ক্রীতদাস হয়ে যায়। পরে অশূর তাদের ক্রীতদাস করে রাখে।” 5 প্রভু বলেন, “এখন দেখো কি ঘটে! অন্য জাতি আমার লোকদের ক্রীতদাস করে নিয়ে গিয়েছিল। আমার লোকদের নেবার জন্য এই জাতি কোন মূল্য দেয়নি। এই জাতি আমার লোকদের ওপর শাসন করে এবং তা নিয়ে বড়াই করে। তারা সব সময় আমাকে অপমান করে।”
6 প্রভু বলেন, “আমার লোকরা আমার নাম জানবে। সেই দিন তারা উপলদ্ধি করবে যে আমিই সে যে তাদের সঙ্গে কথা বলছি। সে হল আমি!”
ইফিষের মণ্ডলীর কাছে যীশুর পত্র
2 “ইফিষে মণ্ডলীর স্বর্গদূতদের উদ্দেশ্যে লেখ:
“যিনি তাঁর ডান হাতে সাতটি তারা ধরে থাকেন আর যিনি সাতটি সুবর্ণ দীপাধারের মাঝে যাতায়াত করেন তিনি বলছেন:
2 “আমি জানি তুমি কি করেছ। তুমি কঠোর পরিশ্রম করেছ, ধৈর্য্য সহকারে সহ্য করেছ। তুমি যে দুষ্ট লোকদের সহ্য করতে পার না তাও আমি জানি। যারা প্রেরিত নয় অথচ নিজেদের প্রেরিত বলে দাবী করে তুমি তাদের পরীক্ষা করেছ, আর তারা যে মিথ্যাবাদী তা জেনেছ। 3 আমি জানি তোমার ধৈর্য্য্য্য আছে; আর আমার নামের জন্য দুঃখকষ্ট সহ্য করেছ, ক্লান্ত হয়ে পড়ো নি।
4 “তবু তোমার বিরুদ্ধে আমার এই অভিযোগ আছে: তোমার যে ভালবাসা প্রথমে ছিল তা তুমি হারিয়ে ফেলেছ। 5 তাই তুমি চিন্তা করে দেখ কোথা থেকে তোমার পতন হয়েছে। অনুতাপ কর, আর শুরুতে যেসব কাজ করতে তাতে ফিরে যাও। তুমি যদি অনুতাপ না কর তবে আমি তোমার কাছে আসব ও তোমার দীপাধারটি তার স্থান থেকে সরিয়ে দেব। 6 কিন্তু একটি গুণ তোমার আছে, তুমি নীকলায়তীয়দের[a] কাজ ঘৃণা কর, তাদের কাজ আমিও ঘৃণা করি।
7 “যার শোনার মত কান আছে সে শুনুক আত্মা মণ্ডলীগুলিকে কি বলছেন। যে বিজয়ী হয় আমি তাকে জীবন বৃক্ষের ফল খাওয়ার অধিকার দেব। এই বৃক্ষ রয়েছে ঈশ্বরের বাগানে।
কান্না নগরে বিবাহ
2 তৃতীয় দিনে গালীলের কান্না নগরে একটা বিয়ে হচ্ছিল এবং যীশুর মা সেখানে ছিলেন। 2 সেই বিয়ে বাড়িতে যীশু ও তাঁর শিষ্যদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। 3 যখন সমস্ত দ্রাক্ষারস ফুরিয়ে গেল, তখন যীশুর মা তাঁর কাছে এসে বললেন, “এদের আর দ্রাক্ষারস নেই।”
4 যীশু বললেন, “হে নারী, তুমি আমায় কেন জিজ্ঞাসা করছ কি করা উচিত? আমার সময় এখনও আসেনি।”
5 তাঁর মা চাকরদের বললেন, “ইনি তোমাদের যা কিছু করতে বলেন তোমরা তাই কর।”
6 ইহুদী ধর্মের রীতি অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে হাত পা ধোয়ার জন্য সেই জায়গায় ছটা পাথরের জলের জালা বসানো ছিল। এই জালাগুলির প্রতিটিতে আশি থেকে একশ লিটার জল ধরত।
7 যীশু সেই চাকরদের বললেন, “এই জালাগুলিতে জল ভরে আন।” তখন তারা জালাগুলি কানায় কানায় ভরে দিল।
8 তারপর যীশু তাদের বললেন, “এর থেকে কিছুটা নিয়ে ভোজের কর্তার কাছে নিয়ে যাও।”
তখন তারা তাই করল। 9 জল, যা দ্রাক্ষারসে পরিণত হয়েছিল, ভোজের কর্তা তা আস্বাদ করলেন। সেই দ্রাক্ষারস কোথা থেকে এল তা তিনি জানতেন না; কিন্তু যে চাকররা জল এনেছিল তারা তা জানত। তারপর তিনি বরকে ডাকলেন। 10 তিনি বললেন, “সাধারণতঃ প্রথমে লোকে ভাল দ্রাক্ষারস পরিবেশন করে আর অতিথিরা যখন মাতাল হয়ে ওঠে তখন তাদের নিম্নমানের দ্রাক্ষারস পরিবেশন করা হয়, অথচ আমি দেখছি তোমরা ভাল দ্রাক্ষারস এখনও রেখে দিয়েছ।”
11 এই প্রথম অলৌকিক চিহ্ন করে গালীলের কান্না নগরে যীশু তাঁর মহিমা প্রকাশ করলেন; আর তাঁর শিষ্যেরা তাঁর ওপর বিশ্বাস করল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International